ফাগুন প্রেম পর্বঃ ২৬

0
431

#___ফাগুন_প্রেম___
#_লিখাঃ Bornali Suhana
#_পর্বঃ ২৬
💛
ও কীভাবে পারে এসব নিয়ে ভাবতে? যেখানে আমি কোন সম্ভাবনাই দেখছি না সেখানে ও বিয়ের পরের প্ল্যান করছে! কেন এতো স্বপ্ন দেখছে ইভান আমায় নিয়ে? এসব স্বপ্ন যে ওর কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। কেন বুজতে পারছে না ও?
`
-“ইভান আমাকে রুমুর বাসায় নামিয়ে দিও।”
-“কেন?”
-“রুমুকে সাথে নিয়ে যাবো বাড়িতে।”
-“তাহলে ওকে কল দাও। বলো বের হতে আমি তোমাদের নামিয়ে দিবো।”
-“আরে বাদ দাও না তোমাকে এতো কষ্ট করতে হবে না।”
-“আমি কি বলেছি আমার কষ্ট হচ্ছে?”
-“না তবুও তুমি সারাদিন আমাকে নিয়ে এতো ব্যাস্ত ছিলে। ইভান তুমি কি দুপুরে খেয়েছিলে?”
ইভান বর্ণালীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে মৃদু হেসে বললো,
-“সকালে নাস্তা করে বেরিয়েছি।”
-“ইভান চলো আগে কোথাও গিয়ে ভাত খেয়ে নেবে।”
-“তুমি খেয়েছো দুপুরে?”
-“হ্যাঁ মা আমাকে টিফিন দিয়ে দেন।”
-“কি এনেছিলে টিফিনে?”
-“বিরিয়ানি। মা প্রায়ই আমায় বিরিয়ানি করে টিফিনে ভরে দেয়। কিন্তু আমার একদম পছন্দ না।”
বর্ণালীর হুট করেই খেয়াল হয় ওর তো বিরিয়ানি পুরোটা খায়নি। এখনো অর্ধেকটা রয়ে গেছে। কিন্তু ইভান কি খাবে? এটা যে আমার খাওয়া খাবারের অংশ। কিন্তু জিজ্ঞেস করতে দোষ কোথায়!
-“বিরিয়ানি খাবে ইভান?”
-“আছে?”
-“হ্যাঁ আমি অল্পটা খেয়ে রেখে দিয়েছিলাম। আমি এতোবেশি বিরিয়ানি খাই না তো তাই।”
-“তাহলে তাড়াতাড়ি বের করো না প্লিজ।”
-“কিন্তু এটা যে আমার…..”
-“পেটে ইঁদুর দৌড়ে বেড়াচ্ছে তো বের করো না।”
বর্ণালী টিফিনটা বের করে।
-“গাড়ি থামাও কোথাও ইভান। আগে খেয়ে নাও।”
ইভান এক সাইড করে গাড়ি থামায়।
-“বর্ণালী,”
-“হ্যাঁ”
-“আমাকে খাইয়ে দেবে প্লিজ?”
বর্ণালীর হাত টিফিনেই থমকে যায়। এসব কেন চাইছে ইভান! কেন বুঝতে চায় না ও! কিভাবে আমি ওকে খাইয়ে দেই!
-“আমি কেন তোমাকে খাইয়ে দিবো?”
-“সেদিনও তো খাইয়ে দিয়েছিলে।”
-“সেদিন আর আজকে তফাৎ আছে। সেদিন তোমার হাত কাটা ছিলো কিন্তু আজকে ভালো।”
-“তাহলে আবার হাত কেটে নেই? কি বলো?”
-“একদম বাজে কথা বলবে না বলে দিলাম।”
-“তাহলে খাইয়ে দাও।”
-“কিন্তু ইভান…”
-“ভয় পাচ্ছো প্রেমে পড়ে যাবে?”
-“ওকে হা করো।”
ইভান মুচকি হেসে সিট বেল্ট খুলে বর্ণালীর দিকে চেয়ে বসে। তার হালকা ঠোঁটে হাসি ঝুলে আছে।
বর্ণালীও সিট বেল্ট খুলে ইভানের দিকে তাকিয়ে বসে। চামচ দিয়ে খাবার তুলে এগিয়ে দেয় তার মুখের দিকে। ইভানের সেদিকে কোন খেয়ালই নেই। ও এক দৃষ্টিতে বর্ণালীর দিকেই তাকিয়ে আছে।
-“এভাবে তাকিয়ে থাকলে কি পেট ভরবে? খাবার খাবে কখন?”
ইভানের ঘোর কাটে ওর কথায়। হা করে খাবারটা নিয়ে নেয় বর্ণালীর হাত থেকে। এমন ভাবে হা করে যেনো সাত জনমে খাবার খায় নি। এটা দেখেই হেসে দেয় বর্ণালী। পুরো বিরিয়ানিটা একেবারে চেটেপুটে খায়।
-“বিশ্বাস করো আমার জীবনে আমি এতো মজার বিরিয়ানি খাই নি। প্লিজ একটা কাজ করবে?”
-“কি?”
-“তুমি তো বিরিয়ানি খাও না তাই না?”
-“হ্যাঁ। তো?”
-“তো মা তোমাকে যতদিন বিরিয়ানি করে দিবেন প্লিজ আমার জন্য রেখে একটা কল দিয়ে দিও আমি এসে খেয়ে যাবো।”
-“সে না হয় খেও কিন্তু, আমার মা তোমার মা হলো কিভাবে?”
-“আরে বিয়ের পর তো মা ডাকতেই হবে তারচেয়ে ভালো না আগে থেকে ডেকে অভ্যাস করি।”
-“ঢং!!!!! দিনের বেলা জেগে জেগে চোখ বন্ধ করে স্বপ্ন দেখো না ইভান। হোচট খেয়ে পড়বে।”
-“পড়ে গেলে তুমি আছো তো টেনে তুলার জন্য।”
বর্ণালী নিশ্চুপ হয়ে যায়। ইভান হেসে কিছু একটা গুনগুন করতে করতে গাড়ি স্টার্ট দেয়।
`
রুমুর বাসার নিচে এসে বর্ণালী ওকে কল দেয়। কিন্তু রুমু কল ধরছে না। কোন উপায় না দেখে উপরে উঠে যায়।
রুমুর ভাবী এসে দরজা খুলে দেন।
-“আরে বর্ণ তুমি?”
-“হ্যাঁ ভাবী রুমু কোথায়?”
-“ও আর কই! নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।”
-“ওর ঘুম বের করছি।”
কথাটা বলেই বর্ণালী রুমুর রুমে যায়। কয়েকবার ডাকার পরও কোন সারাশব্দ নেই দেখে ওকে টেনেটুনে বিছানা থেকে তুলে। রুমুর চোখে যেনো রাজ্যের ঘুম। আলমিরা থেকে ব্যাগের মাঝে রুমুর কয়েকটা ড্রেস ভরে নেয়। রুমু কিছুই বুঝতে পারছেন বারবার হাই তুলে ঘুমঘুম আওয়াজে বলছে,
-“আমাকে কি তুই কিডনাপ করছিস?”
-“কেন কিডনাপ করছিস?”
-“শেষ পর্যন্ত বান্ধবী হয়ে তুই এটা করতে পারলি?”
থেমে থেমে চোখ বন্ধ অবস্থাতেই এইরকম নানা কথা বলেই যাচ্ছে। বর্ণালী ওর কোন কথায় ভ্রুক্ষেপহীন হয়ে যেভাবে আছে ওইভাবেই রুমুকে নিয়ে বাইরে আসে। রুমু ভালো করে হাটতেও পারছেনা। বর্ণালীর কাঁধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করেই আছে। ঘুমে পুরোটাই হেলে পড়ে যাচ্ছে।
-“ভাবী আমি রুমুকে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি। কয়েকদিন থাকবে আমার বাসায়। ভাইয়া আর আংকেল আন্টিকে বলে দিও।”
-“কিন্তু ওর ভাইয়া যদি কিছু বলে?”
-“ভাইয়া এমন কোন কথা কখনোই বলবেন না সেই ভরসা আছে ভাবী। তারপরও ভাইয়াকে বলো ফ্রি হয়ে আমার সাথে একবার কথা বলতে।”
-“ঠিকাছে যাও।”
রুমুর ভাবী একগাল হেসে কথাটা বলেন। এদিকে রুমু আবারো বলে উঠে,
-“ভাবী তুমিও ঘুষ খেয়েছো মনে হচ্ছে? আমাকে কিডনাপ করতে সাহায্য করছো? কেউ আমার আপন না।”
বর্ণালী আর রুমুর ভাবী দুজনেই হেসে দেন। কোনরকম কষ্ট করে বর্ণালী রুমুকে নিয়ে নীচে আসে। ইভান হা হয়ে তাকিয়ে আছে।
-“রুমুর কি হয়েছে?”
-“আরে দেখছো না জনাবা ঘুমে ঢলে পড়ে যাচ্ছেন। ঘুম থেকে তুলে এনেছি। গাড়ির দরজা খুলো আগে।”
ইভান আর কিছু না বলেই গাড়ির পিছনের সিটের দরজা খুলে দেয়। বর্ণালী রুমুকে নিয়ে পেছনে উঠে বসে।
কিছুক্ষণ পর রুমু ঘুমঘুম চোখে চেয়ে বলে,
-“আরে ইভান এখানে কি করছে? বর্ণ তোরা কি পালিয়ে যাচ্ছিস? কোর্ট ম্যারেজ করবি? আমাকে কি সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাচ্ছিস? কিন্তু আরেকজন তো লাগবে আমি বরং ঈশাকে কল দেই হ্যাঁ?”
বর্ণালী চুপ হয়ে বসে আছে। ইভান গাড়ির গ্লাস দিয়ে বর্ণালীর দিকে তাকিয়ে দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরে দুষ্টুমি ভরা হাসি দিচ্ছে।
-“কিরে আমার মোবাইল দে ঈশাকে বলি সাক্ষী হিসেবে আসতে।”
-“চুপ কর রুমু। এমন কিছুই হতে যাচ্ছেনা।”
-“আচ্ছাহ??? তাহলে নিশ্চয়ই তোরা আমাকে নিয়ে বেচে দিতে যাচ্ছিস? কত টাকা পাবি? আমি তোদের দিয়ে দিবো তবুও আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করিস না জান। আমি তোর বান্ধবী হই। তুই এটা করতে পারিস না। ইভান তুমি এতো বড়লোক বাবার ছেলে হয়ে কেন এমন করছো? আমাকে বেচে কত টাকাই আর পাবে? আমার এমনিতেই হার্ট দূর্বল, রাতে চোখে দেখিনা। এই যে এখন দেখো চোখে দেখছিনা।”
বর্ণালী রুমুর এসব কথায় হাসবে না কাঁদবে কিছুই ভেবে পাচ্ছেনা। এই মেয়েটা এতো পাগল কেন!!!! ইভান হো হো করেই হেসে দিলো। বর্ণালী রুমুকে বলে,
-“চোখ না খুললে কেউই দেখে না রুমু। তুই চোখ বন্ধ করে কীভাবে দেখবি?”
রুমু নিজের চোখে হাত দিয়ে দেখে আসলেই ওর চোখ বন্ধ।
-“আসলেই তো আমার চোখ বন্ধ। ওহ মাই আল্লাহ!!! এই জন্যই তো আমি রাত্রে দেখিনা। থ্যাংক ইউ জানটা। তুই না বললে তো আমি জানতামই না যে আমার চোখ বন্ধ থাকায় আমি দেখিনা।”
বর্ণালী আর কোন কথাই বাড়ালো না। পুরো রাস্তা রুমু এভাবেই বকবক করে এলো। ইভান ওদের বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
`
-“আরে রুমুর এই অবস্থা কেন?”
-“আর বলো না মা ঘুম থেকে তুলে এনেছি ওকে।”
-“আচ্ছা যা আগে ওকে শুইয়ে দে।”
-“হুম দিচ্ছি।”
রুমু একবার চোখ খুলে দেখে ওর সামনে শারমিন বেগম দাঁড়িয়ে আছেন। আবারো বকবক শুরু করে দেয়।
-“আরে শারমিন বেগম আপনিও শেষমেশ ওদের সাথে যুক্ত হলেন? বাহ বাহ! তাহলে ওই সবজিওয়ালাটাও জড়িত আছে তাই না? আমি সবাইকে জেলের ভাত খাওয়াবো। তোমার কাছ থেকে আমি এটা আশা করি নি শারমিন বেগম।”
-“পাজি মেয়েটা বড় মায়ের নাম ধরে ডাকছে।”
-“মা ও তো ঘুমের মাঝে তাই এমন করছে। জানোই তো এটা ওর ছোট বেলার অভ্যাস। ঘুমের ঘোরে এমন পাগলামো করে আর মনের মাঝে লুকিয়ে রাখা সব সত্যি কথা বলে দেয়।”
শারমিন বেগম একগাল হেসে আলতো করে রুমুর মাথায় চুমু একে দেন।
-“আমি জানি রে। এই পাগলী মেয়েটাকে যে নিজের কোলে-পিঠে করেই বড় করেছি।”
বর্ণালী রুমুর দিকে একবার তাকায় ও এখন আবারো ঘুমাচ্ছে। কি ঘুম পাগলী মেয়েটা।
-“আচ্ছা মা রুমুকে ভাইয়ার সাথে বিয়ে দিয়ে দিলে কেমন হয়?”
মেয়ের এমন কথায় শারমিন বেগমের কপালে সূক্ষ্ম ভাঁজ পড়ে। কিন্তু পরক্ষণেই চোখে মুখে হাসির ঝলক দেখতে পায় বর্ণালী।
-“কিন্তু সজিব কি রাজী হবে আর রুমুও কি রাজী হবে? ওদের তো কখনোই কোন কিছু মিলেনা। যখনি দেখা হয় ঝগড়াই করে।”
-“মা সব ঠিক হয়ে যাবে বিয়ের পর। আর ওদের মাঝে অন্যরকম একটা মায়ার টান দেখতে পাই আমি। তুমি কি তা দেখতে পারো না?”
-“তোমরা কি আমাকে ওই সবজিওয়ালার সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছ? দিয়ে দাও হ্যাঁ? আমি ওকে রান্না করে খেতে চাই। না না আস্ত কাঁচা খাবো ওকে। আমার সাথে ভালো মতো কথাটাও বলে না আর ওই ঈ….”
আর কিছু বলতে পারলো না আবারো ঘুমে ওর মাথা বর্ণালীর কাঁধে ঢলে পড়ে গেলো। শারমিন বেগম আর বর্ণালী হো হো করে একসাথে হেসে দেন।
-“যা তুই ওকে শুইয়ে দে।”
-“আচ্ছা মা যাই।”
বর্ণালী গিয়ে রুমুকে নিজের রুমে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। কাঁথাটা টেনে ওর গায় জড়িয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
-“তোকে আমার ভাবী করে পেলে যে এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহারটা পাবো। ভাইয়া যেনো আমাকে এই উপহারটা দিয়ে দেয়। এটাই উনার কাছে আমার প্রথম ও শেষ চাওয়া।”
একা একাই কথাগুলো বলে বর্ণালী রুমুর চুলের উপর চুমু একে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়।
`
সজিব সেই কখন থেকে ঈশার পাশে বসে আছে। ঈশা আসার পর থেকে একটা কথাও বলেনি। একনাগাড়ে চিপস খেয়ে যাচ্ছে। এইজন্যই কি ওকে এখানে ডেকে এনেছে? কি নাটকটাই না করলো কল দিয়ে।
২ঘন্টা আগে,
ঈশা সজিবকে কল দেয়। সজিবের কাজের চাপ না থাকায় কল রিসিভ করে।
-“আসসালামু আলাইকুম।”
-“ওয়ালাইকুম আস সালাম। কোথায় তুমি?”
-“আমি আর কোথায় থাকবো? অফিসেই আছি।”
-“এখনি অফিস থেকে বের হবে। ২০মিনিটের ভেতর পার্কে চলে এসো।”
-“কিন্তু আমার কাজ আছে ঈশা আমি পারবো না।”
-“তুমি পার্কে না আসলে আমি এখনি তোমার বাসায় যাবো আর সবাইকে বলে দিবো তোমার সাথে আমার গভীর সম্পর্ক। এখন এটা তোমার উপর। তুমি আসবে কি না। তবে বলে রাখি ঈশা যা বলে তাই করে।”
-“ঈশা প্লিজ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড।”
-“ইউ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড মাই সিচুয়েশন মি. সজিব। ডোন্ট ওয়েস্ট ইউর টাইম। কাম ফাস্ট আদার ওয়াইজ ইউ নো দ্যাট ভেরি ওয়েল হুয়াট আই উইল ডু। জাস্ট 20মিনিটস ইউ হেভ।বাই।”
কথাটা বলেই ঈশা কল কেটে দেয়। আর এজন্যই সজিব অফিস থেকে ছুটি নিয়ে সোজা এখানে চলে আসে। কিন্তু ও এসে দেখে ঈশা ওর আগেই এসে বসে আছে।
বর্তমান সময়,
চিপসটা শেষ করে এখন আঙুলে লেগে থাকা চিপ্সের গুড়ো চেটে খাচ্ছে। সজিব ওর এমন খাওয়া দেখতে বেশ মজা পাচ্ছে। কি সুন্দর ঠোঁট দুটো পাউট করে প্রত্যেকটা আঙুল মুখের ভেতর ঢুকিয়ে চেটে চেটে খাচ্ছে। ঠোঁটের আশেপাশে চিপ্সের গুড়ো লেগে আছে। কেমন যেনো ঘোর লেগে যাচ্ছে ওর। এক ঝটকায় ভেতরটা শিউরে ওঠে। ও কেন যেকোন পুরুষের ভেতর নাড়া দিয়ে বসবে এমন দৃশ্য দেখলে। নিজেকে সামলে রাখা দায় পড়ে। কিন্তু সজিব নিজেকে এমন সিচুয়েশনে সামলে রাখতেই হবে। ঈশার দিক থেকে চোখ সরিয়ে অন্য দিকে তাকায় সে।
কিন্তু ঈশার মাথায় অন্যরকম দুষ্টুমি ভর করেছে। ও ইচ্ছেকরেই এমন করছে। আজকে যে ও সজিবকে নিয়ে ভালোবাসার সাগরে পা ভেজাতে চায়।
💛
#_____চলবে………
[ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 😍]

Part 25
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=126383575698668&id=103632171307142

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here