#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================
❝ #ফিরে_আসা ❞
————————
লেখিকা – Umma Hurayra Jahan
পর্ব- ২৩
ফাতেমা – আর আপনি কি যেন বললেন???এই মেয়ে তাইতো????
মাহিন- হুম তো তোমাকে কি আদর করে বউ বলে ডাকবো নাকি????
ফাতেমা- বউ তো একটা নাম আছে। অনেক সুন্দর একটা নাম।এই মেয়ে না বলে তো নাম ধরে ডাকলেই হয়। আর আদর করে ফাতু ডাকলেও চলবে। হিহিহিহি
মাহিন- হু……..আসছে আমার আদরিনি কোথাকার।
ফাতেমা – ঠিক আছে রাগি মশাই আমাকে ডাকতে হবে না।নিন এবার পায়েসটা খেয়ে নিন।
মাহিন- না আমি খাবো না।
ফাতেমা – ক্ষিদের জ্বালায় মরবে তবু মশাইয়ের ভাব যাবে না ।বুঝেছি আমার সামনে খাবেন না।আমি বাটিটা এখানে রাখলাম আপনি খেয়ে নিয়েন।আমি বেলকনিতে যাচ্ছি।
এই বলে ফাতেমা বেলকনিতে চলে গেল।বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে ফাতেমা ।আর হালকা হালকা বাতাস বইছে। এই কোলাহল পুর্ন শহরটা যেন একদম নিবর হয়ে গেছে কোন এক অজানা শান্তিতে। রাস্তায় লোকজন নেই ।মনে হচ্ছে যেন ভিন্ন এক রাজ্য। সাথে সাথে ফাতেমা আকাশেও তাকিয়ে আছে।কত সুন্দর তারা আকাশে। কি অপরূপ সৃষ্টি আমাদের সৃষ্টি কর্তার।যার সৃষ্টি এরকম সুন্দর সে নিজে না জানি কত সুন্দর।তখনি ফাতেমার একটা কথা মনে পড়ে গেল যে„সৃষ্টি কর্তার প্রতিটি সৃষ্টিই অতুলনীয় সুন্দর।এসব ভাবতে ভাবতে ফাতেমা হারিয়ে গেল এক অজানা সুখের রাজ্যে।সে ভুলেই গেল তার প্রতি মাহিনের খারাপ ব্যবহারের কথা ।হালকা হিমেল হাওয়ায় বেশ ভালোই লাগছে ফাতেমার।
এদিকে মাহিন তো ক্ষিদের জ্বালায় মরছে।কিন্তু পায়েসটা কি সে খাবে নাকি খাবেনা কিছুই বুঝতে পারছে না।
মাহিন- ইশ. .ক্ষিদের চুটে পেটের মধ্যে ইদুর. লাফাচ্ছে। কি যে করি।ঐ বদমাইশ মেয়ের জন্য হয়েছে সব। কি করি কি করি???আচ্ছা পায়েস টা খেয়েই ফেলি ।এটা তো আর ও রাধে নি।
এই বলে মাহিন গপাগপ সবটা পায়েস খেয়ে নিলো।
মাহিন- ইশ ……কি শান্তি কি শান্তি।এবার সুন্দর ঘুম আসবে।
মাহিন পায়েস খেয়ে শুয়ে পড়লো।
কিছুক্ষন পর ফাতেমা ঘরে এলো।
ফাতেমা বাটির দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলছে“যাই হোক পায়েসটা তো অন্তত খেয়েছে। এতেই আমার শান্তি।আমার রাগি মশাইটার রাগ এতো কেন আল্লাহ।তুমি উনাকে রাগ দমন করার তৌফিক দান করো।
মাহিন ঘুমাচ্ছে আর ফাতেমা সোফায় বসে বসে তাকে দেখছে।
ফাতেমা – ঘুমালে কতো নিশ্পাপ লাগে লোকটাকে।কিন্তু সজাক থাকলে মনে হয় তার মতো এতো রাগি পৃথিবিতে আর একটাও নেই।
এই বলে ফাতেমা তাহাজ্জতের জন্য এলার্ম দিয়ে কিছু ক্ষনের জন্য।ঘুমিয়ে পড়লো।
এলার্ম বাজতেই ফাতেমা ঘুম থেকে উঠে পড়লো ।
ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গেল ওযূ করতে।
ওযু করে বাথরুম থেকে রুমে আসতেই ধপাস করে পা পিছলে পড়ে গেল ফাতেমা
ফাতেমা – ও আল্লাহ রে।ইশ……।কি ব্যাথাটাই না পেলাম রে আল্লাহ।..ইশ……………
আওয়াজ শুনে মাহিন ঘুম থেকে তাড়াহুড়া করে উঠলো।
মাহিন- হি হয়েছে কি হয়েছে এতো আওয়াজ কেন? ঘরে চুর ঢুকলো নাকি????
ফাতেমা ফ্লোরে বসেই ছোটদের মতো কান্না করছে।
মাহিন ফাতেমাকে কান্না করতে দেখে হাসতে হাসতে শেষ।
মাহিন- হাহাহাহা।
ফাতেমা – আমি পরে গেছি আর আপনি হাসছেন???এএএএএএএএ
মাহিন- হাসবো না তো কি করতো??ছোট বাচ্চাদের মতো কিভাবে কান্না করছে দেখো।হাহাহাহা
ফাতেমা – আপনি তো হাসবেনই।হাসেন হাসেন ভালো করে হাসেন।এএএএএ।বউ পরে গেছে কই তাকে একটু তুলে সাহায্য করবেন তা না আপনি বলদার মতো হাসছেন।এএএএএ
মাহিন- বড় তো কম হও নি।তো ছোটদের মতো কাদছো কেন???হুম???কথা তো বড় বড় বলো ।নিজে উঠতে পারো না???
ফাতেমা – কে বলছে আমি বড় হয়ে গেছি।মাত্র তো ssc পাশ করলাম। এেএেএএ
মাহিন- কিন্তু কথা তো বলো বড়দের মতো।খালি জ্ঞান দাও।এখন এসব কোথায় গেলো????
এই বলে মাহিন ফাতেমাকে উঠাতে গেলো।
মাহিন- উঠো উঠো।মাহিন ফাতেমার হাত ধরে উঠালো।
ফাতেমা মাহিনের দিকে চেয়ে আছে।এবার ফাতেমা কান্না থামালো।
ফাতেমা – আচ্ছা সবসময় এভাবে আমার হাতটা ধরে রাখতে পারেন না????এতো রাগ দেখান কেন আমার সাথে???আপনি কি বুঝেন না আপনি আমার উপর রাগ করে থাকলে আমার কলিজাটা ফেটে যায় কষ্টে???
এ কথাগুলো শুনে মাহিন সাথে সাথে ফাতেমার হাতটা জোরে ঝাড়া দিয়ে ছেড়ে দিলো
মাহিন- এই মেয়ে কি ভেবেছো তুমি ???সামান্য একটু হেসে মজা করেছি বলে তোমাকে নিচ থেকে তুলেছি বলে আমি তোমার প্রতি দূর্বল হয়ে গেছি ???।না মিসেস না । এই ভুল ধারনা কোন দিন মনে আনবে না ।
এই বলে মাহিন আবার গিয়ে শুয়ে পড়লো।
ফাতেমা নামাযে বসলো। নামাযের শেষে দুই হাত তুলে ফাতেমা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলো।
ফাতেমার- হে আল্লাহ ,হে রহমানুর রাহিম,হে মাবুদ তোমার কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া ।আমার ব্যাথার বিনিময়ে হলেও তো তিনি আমার সাথে একটু হেসে কথা বলেছেন। হে আল্লাহ তুমি তাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও।তুমি তাকে হেদায়েত দান করো মাবুদ হেদায়েত দান করো। আমিন
দোয়া করতে করতে ফাতেমা চোখের পানি ছেড়ে দিলো।
একটু পরেই ফজরের নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেলো। ফাতেমা ফজরের নামাযটাও পড়ে নিলো। কারন আযান না পড়লেও নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে নামায পড়া যায়।নামায পড়ে ফাতেমা কিছু আমল করে নিলো।
এবার আযান পড়েছে। ফাতেমা পরিবারের বাকি সদস্যদের নামাযের জন্য ডাকতে গেলো।সে আজ মাহিনকে ডাকে নি ।কারন তাকে ডেকে কোন লাভ নেই।তাকে আরো ভালো করে আগে নামায সম্পর্কে ,ইসলাম সম্পর্কে ,দ্বীন সম্পর্কে বুঝাতে হবে।একদিন সে ঠিকি বুঝবে।
ফাতেমা মেহেঘ বেগম আর আরমান সাহেবকে ডাকতে গেলো।দরজার সামনে দাড়িয়ে ফাতেমা ডাকছে
ফাতেমা – মা. ..বাবা….।তোমরা উঠ ।ফজরের আযান দিচ্ছে তো।তাড়াতাড়ি উঠ।
আজ মেহেঘ বেগম তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দিলেন ।আজ মেহেঘ বেগমের মুখে কোন বিরক্তির ছাপ নেই।তিনি হাসি মুখে দরজা খুলে দিলেন ।
মেহেঘ- আসসালামুআলাইকুর রে মা।
ফাতেমা – ওয়ালাইকুমুসসালাম। মা দেরি করো না তাড়াতাড়ি নামাযটা পড়ে নাও ।আর বাবাকে বলো যাতে উনি মসজিদে দিয়ে নামাযটা আদায় করে নেন।কারন একা সালাত আদায় করার থেকে জামাতের সাথে সালাত আদায় করলে ২৭ গুণ সওয়াব বেশি পাওয়া যায়।
আরমান – আমি উঠে পরেছি রে মা।আর আমি আজ থেকে মসজিদে গিয়েই নামায পড়ার চেষ্টা করবো।
ফাতেমা – আলহামদুলিল্লাহ বাবা।আল্লাহ তোমার নেক ইচ্ছা পূরন করুক ।
আচ্ছা আমি মহিমা আর নুরিকে ডাকতে যাচ্ছি নামাযের জন্য।
মেহেঘ- আচ্ছা যা মা।
ফাতেমা মহিমা আর নুরিকে ডাকতে চলে গেল।
মেহেঘ- মেয়েটা দুদিনেই সবাইকে কেমন আপন করে ফেলেছে।আমি তো ওর মায়ায় পড়ে গেছি।
আরমান- আমি বলেছিলাম না এমন মেয়ে আর খুজে পাবে না।
মেহেঘ – ঠিকি বলেছো। আচ্ছা তাড়াতাড়ি মসজিদে যাও ।না হলে দেরি হয়ে যাবে।
ফাতেম প্রথমে নুরিকে ডেকে তুললো।এবার নুরি আর ফাতেমা মহিমাকে ডাকতে গেল।
ফাতেমা – মহিমা বোন আমার উঠো। ফজরের সময় হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি উঠো
মহিমা – উঠছি ভাবি।
মহিমা তাড়াতাড়ি উঠে পড়লো ঘুম থেকে।
মহিমা আর নুরি ওযু করে এলো। নুরি কালকে রাতেই সারা ঘর খুজে দুটো জায়নামায বের করেছিলো।
ফাতেমা – মহিমা বোন তোমাকে কালকে যে দোয়া গুলো শিখতে দিয়েছিলাম সেগুলো শিখেছো তো????
মহিমা – জ্বী ভাবি।অনেক কষ্ট হয়েছে তাও শিখেছি
ফাতেমা – একটু চেষ্টা করলেই সব পারা যায় বোন।
এবার মহিমা আর নুরি একসাথে জায়নামায বিছিয়ে নামাযে দাড়ালো ।ফাতেমা তাদেরকে সব শিখিয়ে দিচ্ছে।
নামায শেষে
মহিমা – ভাবি নামায পড়া তো অনেক সহজ।আমি তো আগে ভাবতাম নামায পড়া অনেক কঠিন।কিন্তু এখন তো দেখছি অনেক সোজা।
নুরি- হ আফা ঠিক কইছো।
ফাতেমা – নামায পড়া তো অনেক সোজা।কিন্তু অনেকে মনে করে নামায পড়া না জানি কতো কঠিন।কিন্তু আসলে তা না।আমাদেরকে আল্লাহ এ পৃথিবীতে কতো নিয়ামত দিয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালা। কিন্তু আমরা যদি তার জন্য এটুকু না করতে পারি তাহলে আমরা কিসের বান্দা হলাম।আমরা তো জালিম হয়ে যাবো।
মহিমা- ঠিক বলেছো ভাবি। এতোদিন বেপথে ছিলাম আল্লাহর কোন ইবাদতই করি নি।কিন্তু এখন তোমাকে দেখে তার উপলব্ধি করতে পারছি। আল্লাহ কি আমাদেরকে মাফ করবেন???
ফাতেমা – অবশ্যই কেন নয়? ?তুমি যদি সকল গুনাহ কাজ ছেড়ে দাও আর অন্তর থেকে মাফ চাও তাহলে তিনি অবশ্যই মাফ করবেন।কারন আল্লাহু গাফুরুন অর্থাত আল্লাহ ক্ষমাশীল।
তোমাদের দুজনকেই বলছি আর যেন নামায মিস না হয়।
নুরি- ঠিক আছে।
মহিমা- ঠিক আছে কইতরি ভাবি আমার।হিহিহিহি
ফাতেমা – ওরে আমার টিয়া পাখি রে।হিহিহি
নুরি- আর আমি???
ফাতেমা – তুমি তো আমার ময়না পাখি।হিহিহি
আচ্ছা আমি এখন একটু ঘরে যাচ্ছি।একটু ঘুমাবো।কারন আজ তো ময়মনসিংহ যেতে হবে।
মহিমা – আচ্ছা ঠিক আছে।
ফাতেমা ঘরে গিয়ে দেখে মাহিন ঘুমাচ্ছে । ফাতেমা দরজা বন্ধ না করেই সোফায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লো
সকাল নয়টা বাজে
মেহেঘ – যা তো মহিমা ফাতেমা আর মাহিনকে ডেকে নিয়ে আয়।
ওদেরকে তো আজ ময়মনসিংহ যেতে হবে।
মহিমা – ঠিক আছে মা।
মহিমা ফাতেমা আর মাহিনকে ডাকতে গেলো।দরজা খুলা দেখে মহিমা ভিতরে ঢুকলো।
মহিমা ঘরে ঢুকে দেখে মাহিন বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে আর ফাতেমা সোফায় শুয়ে আছে।
মহিমা- এ ভাইয়া „ভাইয়া„আরে এই ভাইয়া উঠ ।
মহিমার ডাক শুনে ফাতেমা উঠে গেলো।
মহিমা- ভাবি তুমি সোফায় কেন শুয়েছো????
আর এই আমার দামড়া ভাই একাই বিছানা দখল করে শুয়ে আছে কেন???আর তোমার সব জিনিস সোফায় কেন?????ব্যাপারটা কি ভাবি?????
ফাতেমা – না মানে….
মহিমা – আমি বুঝতে পেরেছি।এসব এই ভাইয়ার কাজ ।দাড়াও একে মজা দেখাচ্ছি ।মা…..ও. .মা……
ফাতেমা – আমি তোমার পায়ে পড়ি বোন।মাকে ডেকো না ।আমি তোমাকে সব বুঝিয়ে বলছি।
ফাতেমা মহিমাকে সব কিছু বললো।মাহিন যে ফাতেমাকে পছন্দ করে না এটা ফাতেমা মহিমাকে বলে দিলো।
মহিমা – তুমি এতো অপমান সহ্য করছো কেন ভাবি???তুমি তো বাবাকে সব বলে দিলে বাবা ওকে টাইট দিয়ে দিবে।
ফাতেমা – না না বোন আমি চাই উনি আমাকে নিজ থেকে মেনে নিক।কারো কথায় না।তুমি শুধু দোয়া করো বোন।আর তুমি কাউকে বলো না এসব কথা প্লিজ বোন ।
মহিমা – আচ্ছা ঠিক আছে।তোমরা তাড়াতাড়ি নিচে এসো খাবার খাওয়ার জন্য।
ফাতেমা – আচ্ছা তুমি যাও আমি উনাকে ডেকে দিচ্ছি।
মহিমা নিচে চলে গেল।
ফাতেমা – এই যে শুনছেন।এই যে রাগি মশাই তাড়াতাড়ি উঠুন।মা ডাকছে নাস্তা করার জন্য।
মাহিন- তুমি আমাকে ডাকছো কেন???নিজের যাওয়া উচিত নিজে যাও ।আমি পরে আসছি।
ফাতেমা নিচে ডাইনিং রুমে গেল। সবাই মাহিনের জন্য নাস্তা সামনে নিয়ে বসে আছে কিন্তু উনার আসার নাম নেই।
একটু পর মাহিন এলো নাস্তা করতে।
মেহেঘ- মাহিন আজকে ফাতেমাকে নিয়ে ওর বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা মনে আছে তো???
মাহিন- আমি না গেলে হয় না??
আরমান সাহেব চোখ রাঙিয়ে বললেন
মানে……
মাহিন- না কিছু না আমিই নিয়ে যাবো।
ফাতেমা বাবার প্রতি মাহিনের ভয় দেখে মুচকি হাসছে।
নাস্তা শেষে মাহিন আর ফাতেমা রেডি হলো বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য।
ফাতেমা – আচ্ছা মা আসছি।সামধানে থাকবে ।বাবা তুমিও সাবধানে থাকবে। নামায যেন মিস না হয়। আমি কিন্তু প্রতিদিন ফোন দিয়ে খবর নিবো।
আর মহিমা তুমি আর নুরিও নিয়মিত নামায পড়ো কিন্তু।আমি কিন্তু ফোন দিবো।
মেহেঘ- তুই চিন্তা করিস না মা।আমাদের নামায মিস হবে না ইনশাল্লাহ।আর তোরাও সাবধানে যাস।
ফাতেমা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে নিলো।
ফাতেমা- আসসালামুআলাইকুম ।আসছি।
সবাই সালামের জবাব দিলো।
আরমান- সাবধানে নিয়ে যাস কিন্তু মাহিন আমার মা টাকে দেখে রাখিস।
মাহিন- হুম এখন তো শুধু ওর কথাই ভাববে। আমি তো বাদ।
মহিমা- তুই বাদ ।এবার হয়েছে। যা সাবধানে যাস।
মাহিন- ঠিক আছে।
ফাতেমা তো মাহিনের সাথে যাচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু ফাতেমার খুব চিন্তা হচ্ছে এতোটা পথ কিভাবে সে যাবে??কারন ফাতেমা বাস,প্রাইভেট কার ,এগুলোতে জার্নি করতে পারে না।ওর বমি হয়। তাই খুব চিন্তায় আছে ফাতেমা।
আর ওদিকে মাহিন মনে মনে বলছে
মাহিন- এই ভুত ,গাইয়্যা ,ক্ষেত মার্কা মেয়েটার সাথে এতোক্ষন থাকতে হবে। ধুর ভালো লাগে না। এর জন্য যে আর কি কি সহ্য করতে হবে কে জানে???
মাহিন গাড়িতে ড্রাইভিং সিটে বসলো।
ফাতেমা বাইরে দাড়িয়ে চিন্তাই করছে এখন কি করে সে যাবে গাড়ি করে?
মাহিন- এই মেয়ে কি হলো দাড়িয়ে থাকবে না কি যাবে??
ফাতেমা গাড়িতে উঠে বসলো।
মাহিন- সিট বেল্ট লাগিয়ে নাও।
ফাতেমা — আসলে কি হয়েছে জানেন তো আমি গাড়িতে উঠে অভ্যস্ত না তাই সিট বেল্ট কি করে লাগায় আমি জানি না।
মাহিন- গাইয়্যা কোথাকার। দাও আমি লাগিয়ে দিচ্ছি।
ফাতেমা – একটু ভালো করে কথা বললে কি কেউ আপনাকে ধরে মারবে????এমন রাগ করেন কেন?আমি আপনার বউ না???
মাহিন- বউ না কচু।
ফাতেমা- একদিন এই কচুকেই খুজবেন কিন্তু তখন আর পাবেন না।
মাহিন- হয়েছে এতো লেকচার মারতে হবে না।কালকে রাতে কথা মনে নেই?ছোটদের মতো ম্যা ম্যা করে কাদছিলে।
আমি গাড়ি স্টার্ট দিচ্ছি ।আর কোন কথা বলবে না।
মাহিন গাড়ির জানালার কাচ গুলো লাগাচ্ছিলো।
ফাতেমা- আরে আরে এগুলো লাগাবেন না ।আমার দম বন্ধ হয়ে যায়।
মাহিন- হায় আল্লাহ এ আমি কার পাল্লায় পড়লাম????
ফাতেমা – এবার গাড়ি চালান।
মাহিন গাড়ি চালানো শুরু করলো।
১ ঘন্টা পর………..
চলবে ইনশাল্লাহ……….