বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗পর্ব-৩১

0
2177

💗 বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗
Part – 31
____________________________________

পরি সোফাতে আধসোয়া হয়ে শুয়ে আছে।
কি নিষ্পাপ এ মুখ,, নীলের ইচ্ছে করছে একটা ভালোবাসার পরস দিয়ে দিতে।
পরক্ষণেই ভাবল নাহহ পরি ঘুমে ,,, যদি এতে কোনো ভাবে ওর খারাপ লাগে।
তাই নীল নিজের সূক্ষ্ম ইচ্ছে টাকে দমিয়ে রাখলো।
ব্লেজার টা কাবাড এ রেখে পরির কাছে আসলো।
দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ পরি কে দেখলো ,,, খুব গভীর ভাবেই দেখলো।
পরি আগের মতো আর গুলুমুলু নেই।
বেশ সুন্দর স্বাস্থ্য হয়েছে,,, খুব বেশি চিকন ও নয়।
গায়ের রং আগের থেকে কয়েক সেড ফর্সা হয়েছে।
আর বোচা নাকটা খানিকটা সরু হয়েছে।
নীল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরি কে দেখে নিলো।
ইসসস নীল বুঝি আবার নতুন করে পরির প্রেমে পড়লো।
নিজেকে পাগল পাগল ই মনে হচ্ছে নীলের ।
নীল 80% নিশ্চিত পরির ফ্যামিলি থেকে ওদের সম্পর্ক টা মেনে নিবে।
কিন্তু যদি কোনো ভাবে ওনারা নীলের প্রতি আহত হয় সেটাই ভয়।
তবু ও নীল বেশ নিশ্চিতে আছে এখন।
আগের মতো বুকে পাথর চাঁপা কষ্ট টা আর নেই।
নীল মেঝে তে বসে পড়লো,,,, বেশ কিছুক্ষণ পরির দিকে এক পলকে তাকিয়ে রইলো।
এই ঘুমন্ত পরি টা রোজ নীলের পাশে এভাবে ঘুমিয়ে থাকবে বুঝি ?

নাহ নাহহ পাশে কেন ঘুমোবে?
পরি তো নীলের বুকে ঘুমোবে।
নীল আলতো হাতে পরির চুলে বিলি কেটে দিবে।
আর মাঝে মাঝে ভালোবাসার পরস দিয়ে দিবে।
ভবিষ্যতের কথা ভাবতে ভাবতে নীলের ঠোঁটে কিঞ্চিত হাসি ফুটে উঠলো।
নীল লক্ষ্য করলো সোফাতে ঘুমোতে পরির বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
নীল মুচকি হেসে উঠে দাড়ালো।
পরি কে কোলে করে বেডে এনে শুইয়ে দিলো।
গায়ে চাদর টেনে দিয়ে নীল ফ্রেস হতে চলে গেল।
ফ্রেস হয়ে এসে দেখলো পরির অবাধ্য চুল গুলো মুখে আঁচড়ে পড়ছে।
নীল বেশ বিরক্ত হলো,,, কেন রে আর কাউকে পাস না শুধু শুধু আমার পরিকে আঁকড়ে ধরিস।
পরির চুল থেকে পায়ের পাতা অব্দি সমস্ত টা জুড়ে আমি থাকবো শুধু আমি।
হঠাৎ ই নীল নিজের কৈশোর জীবন কে অনুভব করতে লাগলো।
এই সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা বড্ড কঠিন।
নীল নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করলে ও বার বার ব্যর্থ হচ্ছে।
অবশেষে নীল ভাবলো নাহহ পরি আমার স্ত্রী আমি ওকে জড়িয়ে ধরতেই পারি,,, ওর পাশে ঘুমোতে দোষ কিসের।
আর এমন তো নয় যে পরি ওকে ভালবাসে নাহহ।

নীল ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে পরির পাশে গিয়ে শুইয়ে পড়লো।
বেশ কিছুক্ষণ পরি কে দেখলো নীল।
পরি ঘুমের ঘোরে কোল বালিস খুঁজতে লাগলো,,, এপাশ ঘুরতেই পরি নীলের পেট জড়িয়ে ধরলো।
তারপর নীলের খানিকটা কাছে এসে একদম নীলের বুকের সাথে মিশে গেল।
নীলের বুকের উষ্ণতা পেয়ে পরি নীল কে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
ঘুমের ঘোরে পরির এমন কান্ড দেখে নীল মুচকি হাসলো।
পরি যদি এই পরিস্থিতি দেখতো তো লজ্জায় লাল নীল হয়ে যেত।
পরির লজ্জা মাখা মুখ টা দেখতে নীলের বেশ ভালো লাগে।
পুরো পরি কেই নীলের কাছে স্বর্গীয় সুখ মনে হয়।
এক হাত দিয়ে পরি কে জড়িয়ে নিলো নীল।
তারপর চোখ বুঝতেই ঘুম মহাশয় নীল কে ঘুমের রাজ্যে নিয়ে গেল।

_______________________

সকালের মৃদু আলো চোখে পরতেই পরির ঘুম ভেঙে গেল।
পরি চোখ পিট পিট করে তাকিয়ে উঠে বসতে চাইল কিন্তু কোনো কিছু যেন ওকে আটকে রেখেছে।
পরি পাশ ফিরে তাকাতেই দেখলো নীল ওকে জড়িয়ে ধরে আছে।
পরির চোখ দুটো রসগোল্লা হয়ে গেলো ।
নীল এখানে কীভাবে?
পরি আশে পাশে চোখ বুলাতেই বুঝলো এটা নীলের রুম।
কাল রাতে নীলের রুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলো।
আর বাকিটুকু বুঝতে পরির আর বেগ পেতে হলো না।
হঠাৎ ই পরির বেশ লজ্জা লাগছিলো।
নীল ওর পাশে শুইয়ে আছে।
ইসসসস কি লজ্জা,,,,,,

এখন যদি নীল জেগে যায় তো পরি লজ্জা তেই মরে যাবে।
ভাবতে না ভাবতেই নীলের ঘুম টা আলগা হয়ে গেল।
নীল চোখ মেলে তাকাতেই দেখলো পরি জেগে গিয়েছে।
নীল মুচকি হেসে উঠে বসলো তারপর বলল
– ঘুম কেমন হলো পরি?

পরি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বলল
– হুমম ভালো ।
নীল মৃদু হেসে বলল
– শুধু ভালো?
আমার তো খুব ভালো ঘুম হয়েছে।
ইনজোয়েবেল ঘুমমম

নীলের কথাতে পরি থতমত খেয়ে গেল।
কি বলছে নীল,,,,,

পরি ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে বলল
– মানে?
নীল কিছুক্ষণ পরির দিকে তাকিয়ে তারপর বলল
– তুমি যেমনটা ভাবছো তেমনটা নাহ।
আমি কিছুই করি নি।

নীলের কথাতে পরি দ্বিগুণ লজা পেল।
ইসসস কি সব কথা বলছে নীল ।

নীল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সাড়ে ছয়টা বাজে।
শীত কাল পড়ে যাওয়াতে সাতটার আগে কোনো কাক পক্ষী ও ঘুম থেকে উঠে না।
নীল পরি কে টেনে বেডে শুইয়ে দিলো।
তারপর পরি কে জড়িয়ে শুয়ে পড়লো ।
সব কিছু এতো তাড়াতাড়ি ঘটলো যে সমস্ত টাই পরির মাথার উপর দিয়ে গেল।
পরি ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকলো।

পরি নীল কে ছাড়ানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা করতে লাগল।
কিন্তু বার বার ই অসফল হলো।

পরি মৃদু স্বরে বলল
– ছাড়ুন প্লিজ।আম্মু উঠে পড়বে।

পরির কথাতে নীল পরির দিকে একপলক তাকিয়ে আবার শুইয়ে পড়লো।
পরি বোকা বনে গেল।

নীল মুচকি হেসে বলল
– এতো দূরে দূরে থেকো না পরি ,,,, নিজেকে সামলাতে পারছি না।
বড্ড ইচ্ছে করে কাছে পেতে।

নীলের কথা শুনে পরির গাল দুটো কমলা রঙ ধারন করলো।
নীল জানে পরি লজ্জা পেয়েছে।
তাই আর কিছু বলল না।

হঠাৎ ই দরজায় কড়া পড়লো।
পরি শুকনো ঢোক গিলে নিলো।
ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে নীল কে বলল
– আমি লুকিয়ে পড়ছি আপনি গিয়ে দরজাটা খুলে দিন।

পরির কথাতে নীলের ভ্রু যুগল আপনা আপনি ই কুঁচকে গেল।
নীল অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো তারপর বলল
– হোয়াট।

পরি নিচু স্বরে বলল
– কেউ আমাকে দেখলে কি ভাববে?
আমাকে যদি বলে আমি এখানে কি করছিলাম ?

পরির কথাতে নীল হাসবে না কাঁদবে তা বুঝে উঠতো পারছে না ।

অবশেষে নীল হাসতে হাসতে বলল
– কি বলবে তাই তো ?
এটা তো সহজ ,,, বলবে স্বামীর সাথে রোম্যান্স করছিলাম।

পরি নীলের দিকে তাকিয়ে বোকার মতো করে বলল
– আমি কখন রোম্যান্স করলাম।
আপনি ই তো বললেন আপনি কিছু করেন নি।

এই টুকু বলেই পরি জ্বিহা তে কামড় দিলো।
এই রে ভুল জায়গাতে ভুল উচ্চারন করে ফেলেছি ।
ইসসস কি লজ্জা

পরি কে লজ্জায় লাল নীল হতে দেখে নীল হাসতে লাগলো।

ময়না ডাক দিতেই বলল
– একটু পড়ে উঠছি;,,,,

ময়না আচ্ছা ভাইজান বলে যেতেই নীল বাঁকা হাসলো।
পরি কে এক হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে বলল
– আমি এখন যা তা করতে পারি।
কিন্তু করবো না মিসেস
নীল।
তবে এতো সহজে ছাড়ছি না।
এই টুকু বলেই নীল পরির গলাতে চুমু দিয়ে দিলো।
ভোরের মিষ্টি আলোর সাথে নীলের উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্শ পেয়েই পরি কেঁপে উঠলো।
নীল পরির গলাতে বেশ কয়েকটা চুমু দিতেই পরি নীল কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ।
নীশ বুঝতে পেরে মুচকি হাসলো।
পাগলি একটা এই টুকু ভালোবাসা ও নিতে পারে না।
পরবর্তী তে কি যে করবে,,,, এতো লজ্জা বতী মেয়েটা অথচ সেই নীল কেই গভীর ভাবে ভালোবাসে।

নীল পরির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল
– খুব তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ ভালোবাসার সাগরে ডুবিয়ে দিবো।
প্রস্তুত হও পিচ্ছি,,, পিচ্ছি বলে কোনো ছাড় নেই।

নীলের কথাতে পরি লজ্জায় কুকরে গেল।
কি সব বলছে নীল,,,, এই ছেলেটার মুখে লাগাম নেই।
পরি কে লজ্জা পেতে দেখলেই যেন এর শান্তি।
ভালোবাসার সাগরে ডুবিয়ে দিবো কথাতে ভাবতেই পরির শরীরে শিহরন বয়ে গেল।
উফফফ নীল এই ছেলেটা বুঝি পরি কে মেরেই ফেলবে।

_______________________

নাস্তার টেবিলে বসে আছে সবাই।
পরি আর রোজিনা বেগম খাবার সার্ভ করছে। ময়না কিচেন থেকে খাবার এনে দিচ্ছে ।
নীল আপন মনে খাবার খাচ্ছে।
পরি বার বার নীলের দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু নীল পরি কে পাত্তাই দিচ্ছে না।
পরির ইচ্ছে করছে নীলের মাথাটা ফাটিয়ে দিতে।
কিন্তু ইচ্ছে থাকলে ও উপায় নেই।
পরি নীলের মনোযোগ পাওয়ার জন্য খাবার সার্ভ করে নীলের বরাবর খেতে বসলো।
অল্প একটু খাবার নিয়ে খেতে লাগলো পরি।
কিন্তু নীল এখনো পরির দিকে তাকাচ্ছে না।
যার ফলে পরি বেশ বিরক্ত।
হঠাৎ ই পরির মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেল।
পরি বাঁকা হাসলো,,,, তারপর এক টুকরো খাবার মুখে দিতে দিতে পা দিয়ে নীলের পায়ে খোঁচা মেরে দিলো।
নীল খাবার খেতে গিয়ে চমকে গেল।
নীল ভ্রু কুঁচকে পরির দিকে তাকালো কিন্তু পরি তো খাবার খেতে মগ্ন।
পরি কে দেখে মোটে ও বোঝার উপায় নেই যে এই কাজ টা পরিই করেছে।
কিন্তু আশে পাশে এমন কেউ ও নেই যে নীল কে খোঁচা মারবে।
নীল বিরক্তি ঠেলে আবার খাবার খেতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
পরি মিটিমিটি হাসছে ,,,,, পরি নীল কে খোঁচা মারার জন্য আবার পা এগুতেই নীল নিজের পা দিয়ে পরির পা আটকে ফেলল।
পরির হাত থেকে খাবারের টুকরো প্লেট এ পড়ে গেল।
নীল বাঁকা হেসে পরির দিকে তাকিয়ে আছে।
পরি বা হাত মাথায় ঠেকিয়ে ভাবছে গেলাম ধরা পড়ে।
পরি শুকনো ঢোক গিলে নীলের দিকে তাকাতেই নীল চোখ মেরে দিলো।
পরি লজ্জা পেয়ে চোখ সরিয়ে নিলো।
পরি পা ঠেলে বার বার ছাড়ানোর চেষ্টা করছে নীলের পা কে,,, কিন্তু নীল বারং বার পা আটকে নিচ্ছে।
পরি অসহায় দৃষ্টি তে নীলের দিকে চেয়ে আছে।
কিন্তু নীল খাবার খেতে গভীর মনোযোগ দিচ্ছে।
পরি একটু জোড়ে পা সরাতে চাইলেই নীল বোম ফাটিয়ে দেয়।
নীল একটু অবাক হয়ে বলল
– পরি এমন করছো কেন ?
মনে হচ্ছে তোমার পা কোন বেড়াল এ খামচে ধরেছে ।

পরি হা হয়ে আছে।
এই ছেলে নিজেই এমন উল্টো কাজ করে এখন ভাব দেখাচ্ছে ।
এতো গুলো মানুষের সামনে এভাবে লজ্জায় ফেলে দিলেন ওনি।
আসলেই এই ছেলেটা নাম্বার ওয়ান বজ্জাত।

পরি মেকি হাসি দিয়ে বলল
– নাহহহ বেড়াল কেন হবে এক হনুমান পা আটকে ধরেছে ।

পরির কথাতে সবাই থতমথ খেয়ে যায়।
আর নীল ভ্যাবলার মতো পরির দিকে চেয়ে রইলো।

সবাই একটু সন্দিহান চোখে তাকাতেই পরি বোকা হাসি দিলো ।
হাফসা চোখ মুখ কুঁচকে বলল
– ওয়েট আমি দেখছি কি হয়েছে।

হাফসা কে বারন করার আগেই হাফসা টেবিলের নিচে তাকালো।
টেবিলের নিচে তাকিয়ে হাফসার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল।
হাফসা মুখ চেপে হাসছে পরি অসহায়ের মতো হাফসার দিকে আর নীলের দিকে চেয়ে আছে।
আর নীল এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন কিছু ই জানে না।
হাফসা কে এভাবে হাসতে দেখে সবাই জিজ্ঞাসা করলো কি হয়েছে।
হাফসা একটু কেশে গলা পরিষ্কার করে নীলের দিকে তাকিয়ে বলল
– পরির পা একটা হনুমান আকড়ে ধরেছে।
আর সেই হনুমান টা হলো ,,,,,

হাফসা কে আর বলতে না দিয়ে পরি বলল
– নাহ নাহহ তেমন নাহ।
আমি তো মজা করছিলাম।
আর হাফসা ও,,,,,,

হাফসা মেকি হাসি দিয়ে বলল
– ওহহহ তাই বুঝি ?

পরি তুতলিয়ে বলল
– তাহহহ নয় তো কি ?

এদের কান্ডে বিষয়টা সবাই খানিকটা বুঝে ও গেছে ।তাই সবাই মুখ চেপে হাসছে আর নীল খাবার খাচ্ছে যেন সে কিছুই করে নি ।
পরির ইচ্ছে হচ্ছে নীলের মাথার সব গুলো চুল ছিঁড়ে ফেলতে।
সব সময় পরি কে লজ্জায় ফেলে দিয়ে নিজে নবাব এর মতো ভাব ধরে থাকে।
এদের সকলের কথার মাঝে নীল পারমাণবিক বোম ব্লাস্ট করে দেয়।
নীল খাবার শেষ করে চেয়ার টেনে উঠে দাড়িয়ে বলল
– সবাই কে একটা কথা বলার ছিলো।
হাফসা আর অনিক একে ওপর কে পছন্দ করে।

সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
হাফসার হাত থেকে পানির গ্লাস টা টেবিলের উপর পড়ে গেল।
অনিক শুকনো ঢোক গিলে বলল
– এটাই বাকি ছিলো তা ও হয়ে গেল।

( আসসালামুআলাই রির্ডাস। এই গল্প আর কয়েক পার্ট হবে। আশা করি সকলের ভালো লাগবে ।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক ফলো আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন )

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💙 হ্যাপি রিডিং 💙

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here