বিষাক্ত প্রেমের অনুভূতি উর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনীর) পর্ব :৪৯

বিষাক্ত প্রেমের অনুভূতি

উর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনীর)

পর্ব :৪৯

দাউদাউ করে চারদিকে আগুন জ্বলছে ।ক্ষিপ্ত অগ্নি সব কিছু বিলীনের পথে নেমেছে । আজই যেন সব দগ্ধ করে ভস্ম রূপে হাওয়ায় উড়িয়ে দিবে । আরহাম আগুনের মাঝে হাঁটু গেড়ে বসে।পাঁচ বছরের ছোট বাচ্চাদের মত ছটফট করছে। কাঁপছে।চিৎকার করে বাবা মাকে ডাকছে । সেহের তখনো জড়সড় ভাবে দেয়ালের সাথে মিশে। এই অগ্নিকুণ্ড থেকে বেশি আরহামকে তার ভয় হচ্ছে।হ্ঠাৎ এভাবে পরিবর্তন হলো কেন? অদ্ভুত আচরণ!
অগ্নিতাপ ধীরেধীরে বাড়ছে। চারদিকে ধোঁয়া ছড়িয়েছে । শ্বাস নেওয়া দুষ্কর হচ্ছে।সেহের জোরে জোরে কাঁশতে শুরু করেছে।ধম বন্ধ হয়ে আসছে ঐদিকে আরহামেরও এই হাল।ছোট বাচ্চাদের মত আগুনের ভেতর শুয়ে পড়েছে। চারদিকে আগুন জ্বলছে মাঝে আরহাম।সেহেরের এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো এই সুযোগ আরহাম থেকে মুক্তি পাবার ,এখান থেকে পালানোর।সিঁড়ির দিকে পা বাড়িয়ে থেমে যায়।পিছন ফিরে আরহামের দিকে তাকায়।ধোঁয়ায় শ্বাসবন্ধ হয়ে আসছে।উঁচু শক্তিশালী সুগঠন দেহটা নেতিয়ে পড়েছে।বড় বড় শ্বাস নিচ্ছে।জীবনের অন্তিম সময়ে দাঁড়িয়ে । এই অবস্থায় মানুষটাকে কিভাবে ছেড়ে যাবে? সে খুনি তাকে ঘৃণা করে তাই বলে আগুনে দগ্ধ হতে ফেলে যেতে পারেনা ।একটা সময় এই মানুষটাকে ভীষণ ভালোবেসেছে। আগুনে জ্বলতে ফেলে যেতে পারেনা হাজার হোক আর গর্ভের সন্তানের পিতা সে। সেহের এগিয়ে দেওয়া পা পিছিয়ে নেয়। দ্রুত আরহামের কাছে ফিরে আছে। আরহামের ভারী শরীর কোনরকম টেনে দাঁড় করায়।টানতে টানতে সিঁড়ি অবধি নিয়ে আসে।দ্রুত পায়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আরহামের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে দরজা খুলে দুজন বাড়ির থেকে বেরিয়ে আসে । বাগানে এসে আরহামকে ঘাসের উপর ফেলে। সেহেরও ধপ করে মাটিতে বসে। ততক্ষণে পুরো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে গেছে। সেহের
পেছনে ফিরে দেখে পুরো বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে । আরহাম অর্ধ চেতন হয়ে আছে। বিরবির স্বরে বলছে ” বা…বাবা ঐ লোকগুলো পঁচা …..মাকে ব্যথা দিয়েছে … আগুন আগুন ….তুমি যেও না ! ”
সেহের আরহামের বিরবির করে বলা কথা গুলো শুনতে চাইল। কিন্তু পারল না।ছাড়াছাড়া কথা গুলো মিলিয়ে যাচ্ছে।আগুনের তাপে আরহামের শরীরের অনেক জায়গা পুড়েছে । জায়গা জায়গা লাল হয়ে আছে শরীর থেকে ঘাম ঝোরছে। সেহেরেরও একই হাল। হাত পায়ে ভীষণ লেগেছে । আরহামের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে , বড় বড় শ্বাস ফেলছে । শার্টের বোতাম খুলে দেয়।মুখে মুখ ঠেকিয়ে কৃত্রিম শ্বাস দিচ্ছে ।
দূরে লাইটের আলো দেখা যাচ্ছে। সেহের থামল । সাদা বাড়ি থেকে একদল মানুষ টচ- লাইট নিয়ে এগিয়ে আসছে।অগ্নিকাণ্ডের খরব নিশ্চয় ঐ বাড়ি অবধি পৌঁছেছে!
সেহের আরহামের মুখের কাছে ঝুকে গভীর চোখে তাকিয়ে বলে,”আমাদের পথচলা এই অবধি ছিলো! আজ এখন এই মুহূর্ত থেকে আমাদের পথ ভিন্ন । এই বাড়ি আপনার বিষাক্ত প্রেমকে চির বিদায় ।একটাই চাওয়া, কোন দিন কোন অচেনা রাস্তার মোরে যেন দেখা না হয়।আপনার বানানো পিঞ্জিরা থেকে আমি মুক্ত! চির স্বাধীন ।
ঘৃণা করি,চিরকাল ঘৃণা করব।আমার সন্তানের উপর আপনার ছায়া পড়তে দিবো না। শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তার রক্ষা করব। ”
আরহাম পিটপিট চোখে সেহেরের মুখ পানে চেয়ে রইল। চোখ জোড়া জলে ভিজে।কেন এই অশ্রুকণা? অতি ঘৃণার নাকি ঘৃণার পিছনে লুকানো ভালোবাসার?
সেহের উঠে দাঁড়াল।আরহামের দিকে কয়েক পলক তাকিয়ে দ্রুত সেখান থেকে উঠে গেল।আরহাম সেহেরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল। তবে এখানেই কি সব শেষ! এটাই কি অন্তিম বিদায়?
আরহাম উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ।বিফল ,ক্লান্তি ভারী ব্যথাতুর শরীর ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসছে।মনের জোর শরীরকে আর সাই দিচ্ছে না। আরহাম আস্তে আস্তে চোখ জোড়া বুঝে নেয়।ক্লান্ত শরীর নিদ্রায় তলিয়ে যায়।

পাঁচ বছর পর ….

রাতের আকাশ পৃথিবীর বুকে আঁধার নামলেও এ শহরে এখনো আঁধার নামেনি ।আঁধার কাটাতে হাজারো আয়োজন।কৃত্রিম আলোয় চারদিক আলোকিত।ক্রিসমাসের মাস। সাজসজ্জায় পুরো শহর সজ্জিত । যেন শহরের বিয়ে! নিউইয়র্কের অন্ধকার রাস্তায় কারো দ্রুত পা চলছে। আলোর পথ ছেড়ে অন্ধকারের দিকে হেঁটে যাচ্ছে ।শীতে কঠিনদশা ,প্রচণ্ড হিমেল হাওয়া বইছে।কালো হুডি পরিগ্রহ করা লোকটা দ্রুত পায়ে অন্ধকার বিল্ডিং এর দিকে ছুটছে।মুখ মাস্ক দিয়ে ঢাকা । বিল্ডিং এর পেছনে আসতেই সেখানে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল।এই এরিয়া অপকর্মের জন্য বেশ বিখ্যাত । রাতে দিকে খানিক রিস্কি। লোকটাকে দেখে সিরিয়াল কিলার বা বড় কোন গ্যাং এর লিডার মনে হচ্ছে। বিল্ডিং এ হেলান দিয়ে সিগারেট টানছে।বেশভূষা দেখে মনে হচ্ছে তুখোড় নেশাগ্রস্ত!
হুডি পরিধান করা ব্যক্তি চার- সাড়ে চার বছরের ছোট এক বাচ্চা মেয়ের ছবি দেখিয়ে শুদ্ধ আমেরিকান ভাষায় বলল,” আমার তাকে চাই ,যেই কোন মূল্যেই হোক ”
সিগারেটের শেষ টান দিয়ে লোকটা বলল,” কিডন্যাপিং? ”
হুডি পরা লোকটা “হ্যাঁ ” সূচক মাথা নাড়াল ।লোকটা বলল ,” একটু রিস্কি , খরচা বেশি পড়বে! ”
“দশহাজার ডলার চলবে? ”
হুডি পরা লোকটা সোজা হয়ে দাঁড়াল । টাকার অংক শুনে বিষম খেলো! সামান্য একটু কাজের জন্য দশ হাজার ডলার ? সে ভাবল ,হয়তো লোকটা ভীষণ বোকা ,নয়তো বিত্তশালী পরিবারের কর্নধার! বাচ্চাটা বিশেষ কেউ যার সামনে টাকা অংক সংখ্যা মাত্র।
সে তড়াক করে রাজি হয়ে গেল। হুডি পরা লোকটা টাকার বান্ডিলটা বাড়িয়ে বলল,” পাঁচ হাজার ডলার আছে, বাকিটা কাজ শেষে।খবরদার মেয়েটার গায়ে যেন আঁচ না লাগে। পুরোপুরি সুস্থ চাই! ”
লোকটা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়াল ।বলল,”আগামী কালকের মধ্যে এই মেয়ে আপনার সামনে থাকবে স্যার! ”
হুডি পরা লোকটা কথা বলল না।দ্রুত পায়ে হাঁটা শুরু করল।ধীরে ধীরে অন্ধকার রাস্তায় মিলিয়ে গেল ।

আঁধার কালো রাতের পর নব্য দিনের সূচনা । আজ ক্রিসমাস।বাহিরে প্রচণ্ড তুষারপাত হচ্ছে।পুরো শহর সাদায় ঢেকে।শহর যেন সাদা ঘোমটায় মুড়িয়ে ।তিন তলা বিল্ডিং ডান পাশের এপার্টমেন্টের বড় ছোট কামড়ায় ভারী লুই মুড়িয়ে ছোট ‘আশনূহা ‘ শুয়ে।এলামের ঘন্টি বাজতে- ই ধরফরিয়ে উঠে বসে।চোখে মুখে ঘুম ঘুম ভাব ।পিটপিট করা চোখ দুটো খুলে জানালার দিকে তাকায়।ফিসফিস করে বলে “ওয়াও স্নো ফল ”
মুহূর্তেই ঘুম ঘুম চোখ জোড়ায় খুশির আমেজ ছড়িয়ে পরে। ধরফর করে বিছানা থেকে নেমে যায়। উৎসাহের সাথে বড় কাবার্ডের কাছে এগিয়ে যায়।অনেক বার চেষ্টার পর হাতল পর্যন্ত আশনূহার হাত পোঁছাচ্ছে না।ছুঁই ছুঁই করে বিফল হচ্ছে। তাই টুল টেনে আনে। টুলের উপর দাড়িয়ে কাবার্ড খুলে বড় গিফট বক্সটা বের করে আনে।দ্রুত হাতে খুলে দেখে বিগ বক্স চকলেট আর পিংক টেডিবিয়ার।আশনূহার ঠোঁটে ইয়া বড় এক হাসি ফুটে উঠে। মাম্মাম নিশ্চয় কিচেনে। আশনূহার ফেভারিট চকলেট কেক বানাচ্ছে। দ্রুত পায়ে কিচেনের দিকে ছুটে যায়।পেছন থেকে মায়ের কোমড় চেপে ধরে।আধোআধো স্বরে বলে,”গুডমর্নিং লাভ! ”
আশনূহার আওয়াজে সেহেরের ঠোঁটে হাসি ছড়ায়।পিছন ফিরে হাঁটে গেড়ে বসে। আশনূহার এলোমেলো বেবি হেয়ার গুলো গুছিয়ে দিতে দিতে বলে,”গুড মর্নিং আশু ,ঘুম হয়েছে? ”
আশু মিটমিট হেসে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ায়।বলল, “থেংকিউ মাম্মাম ”
সেহের মুচকি হাসল। নিজের গায়ের চাদরটা আশুর গায়ে জড়িয়ে বলে, ” গিফট পেয়ে গেছ? ”
আশু মিটমিট হেসে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়াল।সেহের বলল,”বাহ ,এতো ফাস্ট! ”
আশু ছোট ছোট হাতে মুখ চেপে হাসল।বলল,”মাম্মাম , আজ ক্রিসমাস আজ বাবাই আসবে? আমার সব ফ্রেন্ডরা তাদের বাবার সাথে ঘুরতে যাবে ।আমরা যাবো না? ”
আশুর কথায় সেহেরের মুখ কালো হয়ে গেল।হাসিটা কোথাও মিলিয়ে গেল।জোরপূর্বক হাসি টেনে আশুকে নিজের কাছে টানল বলল, “বাবাই আজ বিজি , নেক্সট বার্থডে তে পাক্কা আসবে! ”
মায়ের কথায় আশু দূরে সরে গেল। আমেজ ফুর্তি হাসি উজ্জ্বল চোখ জোড়া অশ্রুতে ভরে উঠে ।” তুমি আবারো মিথ্যা বলছ । বাবা আসবে না। তুমি মিথ্যা বলো! ”
পাশ থেকে কাচের বোয়ামটা নিচে ফেলে। কান্না করতে করতে রুমের দিকে চলে যায়।সেহের থামাতে পারেনা ।আশুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হতাশা ভারী নিশ্বাস ফেলল।আশু আর পাঁচটা বাচ্চাদের মত নয়। তার বুদ্ধিবল তার বয়সের বাচ্চাদের থেকে অনেকটা উন্নত ।বয়স কম হলেও অনেকটাই বুঝে।সেদিন সেই রাতের অগ্নিকান্ডের পর সেহের পালিয়ে তফিরের বাড়ি উঠে। সেখান থেকে বাবার সাথে যোগাযোগ করে ।বাবা সবটা ব্যবস্থা করে নিউইয়র্ক উনার দূর সম্পর্কের আত্মীয়র বাসায় পাঠায়।তখন থেকে এখানে নতুন শহরে নতুন করে বাঁচা।পুরানো শহর ,দেশ ছেড়ে আরহাম থেকে বহুদূর। আশনূহাকে ঘিরে নতুন দুনিয়া ।যতই আরহামকে ভুলতে চেষ্টা করে আশনূহার প্রত্যেককটা কথা কাজ আরহামের কথা মনে করিয়ে দেয়।আশনূহা দেখতে সেহেরের মত হলেও আরহামের রাগ জেদ কথাবলার ধরন সবটাই আশনূহার মাঝে আছে।প্রায়শই আরহামের মত “লাভ ” বলে ডাকে। তখন সেহের ভীষণ চমকায়।আশনূহার আচরণ মাঝে মাঝে সেহেরকে ভীষণ ভাবায়।না দেখে না জেনে কেউ কারো স্বভাব আচার আচরণ এতোটা কিভাবে মিলে? আরহাম বায়োলজিক্যাল ফাদার বলেই কি আরহাম আর আশনূহার মাঝে এতো মিল?

আশনূহা বালিশে মাথা রেখে মুখ ফুলিয়ে আছে । সেহের পুরো ঘরের দিকে একবার চোখ বুলায়।সবকিছু এলোমেলো ।নতুন টেডিবিয়ার আর চকলেট বক্স মাটিতে ছড়িয়ে।আশনূহার মাথার কাছে বসে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে, ” আশু সরি মাম্মাম! ”
আশু মুখ ফিরিয়ে নেয়। সেহের আবারো বলল,”আশু মাম্মামের সাথে কথা বলবে না? ”
আশু মাথা না সূচক নাড়াল। সেহের আবারো বলল,” মাম্মাম কান্না করবে যে! ”
আশু এবারো কথা বলল না।সেহের বলল,”মাম্মাম চলে যাবে? ”
আশু চুপ। সেহের যেই বিছানা ছাড়তে যাবে আশু পেছন থেকে গলা জড়িয়ে ধরে।ফিসফিস করে বলে,”আশু লাভস ইউ মাম্মাম! ”
সেহের মুচকি হেসে আশুকে জড়িয়ে ধরে, আশু ,মাম্মাস গুড গার্ল। তাই না? ”
আশু বিশ্বজয়ের হাসি দেয়। এমন সময় নিচ থেকে আশু আশু বলে ডাক ভেসে আসে।আশু সেহের বারান্দায় দাঁড়ায়।নিচে এক দল ইংরেজ দাঁড়িয়ে। আশুর ফ্রেন্ড। পাশে পার্কে স্নোবল তৈরি করতে ডাকছে।আশু মায়ের দিকে সেহের মুচকি হেসে যাওয়ার অনুমতি দিলো।ব্রেকফাস্ট করিয়ে নিচ অবধি ছেড়ে আসলো।আশু মায়ের গাকে চুমু দিয়ে খেলতে চলে গেল। সেহের আশুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে উপর থেকে সেহেরের বাবা নিচে আসলো ।গত সাপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে এসেছে ।বহু দিন হলো মেয়ে আর নাতনিকে দেখেননা । উপরে আশুর আচরণ রাগারাগি সবটাই তিনি দেখেছে।এ নিয়ে চিন্তিত । সেহেরের পাশে দাঁড়িয়ে আশুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলল ,”কতদিন আশুকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে রাখবি? ও আর পাঁচটা বাচ্চদের মত নয়! ”
সেহের উদাসীন স্বরে জবাব দিলো ,”যতদিন আশু তার মাম্মামকে বুঝার মত বড় না হবে! ”

আশু তার বন্ধুদের সাথে খেলছে ।এর মাঝেই এক রহস্যময় জোকার পার্কে ঢুকে।আশুর দিকে এক বক্স ক্যান্ডি এগিয়ে দিয়ে কানে কানে কিছু বলে । আশু খুশিতে নেচে উঠে। জোকারে পিছু পিছু গাড়ি পর্যন্ত যায়। আশু গাড়িতে উঠতেই গাড়ি শুঁ করে ছাড়ে। দূর কালো গাড়ি থেকে কেউ সবটা দেখে। জোকারের গাড়ির পিছু নিয়ে সেই গাড়িটাও ছুটে।

চলবে…..❣️

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । প্লিজ সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here