বেখায়ালি ভালোবাসা পর্ব-১৭

0
2440

#বেখায়ালি_ভালোবাসা,
#পাট_১৭
#লেখাঃসাবেরা_সুলতানা_রশিদ
.
মেঘ ফোনের ওপাশে মেয়ের কন্ঠ শুনেই আর কোন কথা না বাড়িয়ে ফোনটা রেখে দেয়।
ভাবনার জগৎ টা আজ বড্ড বেশী উচ্ছৃখল হয়ে গেছে।
কোন ভাবেই মনের জগৎ থেকে সৈকতকে বের করতে পারছে না। কে হতে পারে যে সৈকতকে নাম ধরে ডেকে লাঞ্চ করার কথা বললো!!?
এ কি সেই মেয়েটা?
যে সৈকতের সাথে শপিংমল আর গাড়িতে ছিল।
কে সে??
আর জেনেশুনে সৈকতের সাথেই বা কেন এমন করছে?
কি সম্পর্ক তার সৈকতর সাথে??
ভালবাসা না অন্যেকিছুর!!?
না,আমি আর ভাববো না এসব কিছু।
কি লাভ এসব ভেবে?
আমাকে তো আমার সব মায়া কাটিয়ে কিছুদিন পর চলেই যেতে হবে।
তাহলে শুধুুশুধু কেন এত চিন্তা করছি??
যদি মেয়েটা সত্যি সৈকতের তেমন কিছু হয় তাহলে হয়তো সে নিজেই সৈকতের অনেক খেয়াল রাখবে ।
আমার আর সৈকত কে নিয়ে ভাববার কিছু নেই।
হাতে সময় কম । এখন আমার বাকি কাজ গুলো তাড়াতাড়ি শেষ করে এখান থেকে চলে যেতে হবে।
হ্যা চলে যাব অনেক দূরেই চলে যাবো।
এই শহর ,এই বাড়ি ,এই বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষকে ছেড়ে আমি চলে যাবো।
কথা গুলো ভাবতে ভাবতে চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে ওঠে মেঘের।
—ভাবি আসবো??
ঝিনুকের কন্ঠ পেয়ে মেঘ চোখ মুছে স্বাভাবিক হয়ে বলেঃ
— হুম এসো। আমার কাছো আসার জন্যে আর অনুমতি নেওয়ার কি আছে?
—তারপরও । আমি তো ভাবলাম তুমি ঘুমাচ্ছো।
—না,
ঝিনুক নিজেরাত দুটো পিছনে রেখে বলে—ভাবি চোখ বন্ধ করো।
—কেন!!
—করোই না ,তারপর বলছি।
মেঘ চোখ বন্ধ করে।
ঝিনুক পেছন থেকে হাত মেঘের সামনে এনে বলে এবার চোখ খোল।
মেঘ চোখ খুলতেই অবাক হয়ে যায় ।
—আরে এই ছবি তুমি কোথায় পেলে?
—উুহহু। আইডিয়া করো।
—তুমি কখন তুলেছিলে এটা?
—যখন তুমি পড়ে যাচ্ছিলে ভাইয়া তোমাকে ফিল্মের নায়কের মত করে ধরে ফেললো। তোমরা হারিয়ে গিয়েছিলে কিছুটা সময়ের জন্য অদৃশ্য কল্পনায় । ঠিক তখনি আমি ছবিটা তাড়াতাড়ি করে তুলে ছিলাম।
মেঘ ছবিটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষন ধরে দেখে। সত্যি সেদিন মেঘ সৈকতের চোখে কিছু একটা দেখেছিল । কিন্তু তার সেই দেখা চোখে এখন যে অন্যে কিছুর ইঙ্গিত করছে।
—ভাবি তোমার জন্য আরেকটি গিফট আছে।
—আরেকটা গিফট!!কি সেটা?
ঝিনুক মেঘ কে একটি ডিজিটাল ফটো ফ্রেম গিফট করে ।
—ভাবি এটাতে তোমাদের বিয়ের কিছু ছবি আর জাফলং থেকে তোলা কিছু ছবি আছে। এগুলো যত্ন করে রেখে দিবে । ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
—কি কাজে লাগবে শুনি?
—বা—-রে আমি যখন ফুফি হবো তখন পিচ্চি দের এ ছবি গুলো দেখাতে হবে না।
মেঘ কোন কথা বলে না। চুপ হয়ে যায়।
—এই ছবিটা কেন বড় করে এনেছি জানো?
—না, কেন??
—কারণ এই ছবিটা এখন থেকে দেওয়ালে লাগানো থাকবে। বলেই মেঘের হাত থেকে ছবিটা নিয়ে ঝিনুক দেওয়ালে ঝুলিয়ে দেয়।
এবার দেখ কি সুন্দর লাগছে। দেখ ছবি দেখে ভাইয়া নির্ঘাত আজ অবাক হবে।
—হ্যা ঠিকই বলেছ। শুধু অবাক না শকড ও হবে।
আচ্ছা এসব বাদ দাও। তুমি আমাকে একটা কথা বলতো।
—কি কথা??
—আচ্ছা তোমার সেই দাদির নাম টা মনে আছে??
—কোন দাদি?
—আরে যে শ্বাশুড়ী মা মারা যাওয়ার পর তোমাদের কাছে ছিল।
—ও আচ্ছা। হ্যা মনে আছে। কিন্তু কেন??
—কি নাম?
—রেহানা ।
মেঘ মনে মনে যা ভেবেছিল ঠিক তাই হলো। তাহলে ঐ কার্ডে ওনার নাম দেওয়া ছিল। নিশ্চয় ওটা তার মেয়ের বিয়ের কার্ড।
কিন্তু তার তো ছেলে মেয়ে ছিল না। তাহলে!??
—আচ্ছা ঝিনুক পরে যার সাথে ওনার বিয়ে হয়ে ছিল তার ও কী আগে কোন বিয়ে হয়ে ছিল।
—হ্যা। দাদা আগের স্ত্রী মারা যায় একটা ছেলে আর একটা মেয়ে রেখে। তাই তো বাবা উনাকে বিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু তুমি আজ হঠাৎ এসব জানতে চাইছো??
—না,এমনি।
—আচ্ছা ভাবি তুমি রেস্ট করো আমি যায়।
—ঠিক আছে।
ঝিনুক রুম থেকে বের হতেই মেঘ তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে রোজিকে একটা কাজ আছে বলে বেরিয়ে পড়ে ।
বাড়িতে গাড়ি থাকা সত্বেও মেঘ কোন গাড়ি না নিয়ে রাস্তায় এসে একটা ট্যাক্সি ভাড়া নেয় ।
ট্যাক্সি ড্রাইভার কোথায় যাবে জানতে চাইলে একটা ঠিকানা বলে দেয়।
ট্যাক্সি চলতে শুরু করে ।
আর মেঘের মাথার মধ্যে অনেক গুলো প্রশ্ন এলোমেলো হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
মেঘ জানেনা সে যেখানে যাচ্ছে আদেও সেখানে গিয়ে তার কোন লাভ হবে কিনা!!
তবুও মেঘ একবুক আশা নিয়ে যাচ্ছে।
মেঘ জানে যে উদ্দেশ্য নিয়ে সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে সেটা তার জন্য অনেক কঠিন হতে পারে ।
ট্যাক্সি ড্রাইভার পথে দুই বার গাড়ি থামিয়ে লোকের কাছে মেঘের দেওয়া ঠিকানার কথা জিঙ্গাসা করেছে।
হঠাৎ গাড়িটা একটি দোতলা বাড়ির সামনে এসে থামে। মেঘ ভাড়া পরিশোধ করে ধীর পায়ে গেটের ভিতরে প্রবেশ করতেই এক বয়স্ক লোক এগিয়ে আসে।
—কে তুমি?এখানে কি চাও??
মেঘ সালাম দিয়ে বলেঃ
—জ্বী আমি রেহানা দাদীমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি চৌধুরী বাড়ি থেকে।
—তুমি চৌধুরী বাড়ি থেকে এসেছ!!?কে মা তুমি?
—আমি চৌধুরী বাড়ির ছোট বউ।
লোকটার চোখে মুখে খুশির ছাপ ফুটে ওঠে। এসো ,এসো ,ভিতরে এসো ।
বলে লোকটা আগে আগে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে ।
মেঘ তার পিছুপিছু যায় ।
—দেখ রেহানা দেখ কে এসেছে তোমার সঙ্গে দেখা করতে।
তুমি বসো। তোমার দাদী মনে হচ্ছে নামাজ পড়ছে। আমি ভিতরে গিয়ে দেখে আসি বলে লোকটা একটা রুমের ভিতরে চলে গেল।
মেঘ ড্রয়িং রুমে
ঘরে ঢুকে ওয়ালের দিকে তাকাতেই দেখে অনেক ছবি ঝুলছে । তার মানে এতক্ষন যে কথা বলছিল উনি সৈকতের দাদা হন।
মেঘ ছবি গুলো দেখে চুপচাপ বসে থাকে।
একটু পরে দুজন একসঙ্গে মেঘের সামনে এসে দাড়ায় ।
মেঘ দুজনকে সালাম করে ।
রেহানা মেঘের মাথায় হাত রেখে বলে যেমন সুন্দর আমার নাতি ঠিক তেমন সুন্দরী নাত বউ হয়েছে।
—কি নাম তোমার?
—মেঘ
—সুন্দর নাম। আচ্ছা তুমি যে এখানে এসেছ সেটা কি কেও জানে?
—না।
—তাহলে তুমি আমার কথা জানলে কি করে ??আর ঠিকানায় বা কোথায় পেলে?
—সে অনেক কথা। বলতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তবে আপনাকে সংক্ষেপে বলি আপনি বুজতে পারবেন। বলে। মেঘ দাদীকে ঝিনুকের কাছ থেকে শোনা কথা গুলো বলে। আর ঠিকানা বিয়ের কার্ড থেকে পেয়েছে সেটাও বলে।
রেহানা বেগম মেঘের মুখ থেকে সব শুনে মেঘ কে বলেঃ
—আমার কাছে কি জানতে চাস?
—দাদীমা আমি ঐবাড়ির সত্যিটা জানতে চাই। আপনি তো জানেন বাবা আর সৈকতের মাঝে একটা দেওয়াল তৈরি হয়ে আছে। আমি তাদের দুজনের মধ্যকার সেই দেওয়াল টা ভাঙ্গতে চাই।
আমি বাবা আর সৈকত কে এক করতে চাই।
—আমি তোকে কিছু বলতে পারবো না।
— কেন বলতে পারবেন না দাদীমা?
—কারণ রায়হান নিজে আমাকে সেটা অন্যেদের না জানানোর জন্য কশম দিয়েছিল। আমি ওকে কথা দিয়েছিলাম যে কাউকে বলবো না।
—দাদীমা আপনি কি চান না ,য বাবা আর ছেলে মিলে যাক। সৈকতের মনে বাবাকে নিয়ে যে ভুল ধারণা আছে তা ভেঙ্গে যাক।
দাদীমা আমি তো ঐ বাড়িতে বেশীদিন বৌ হয়ে আসি নি। তবুও এ কদিনে আমি বাবাকে যতটুকু জেনেছি বুঝেছি বাবা খুব নরম মনের মানুষ। বাবা ভিতরে ভিতরে দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু সেটা প্রকাশ করতে পারছে না।
—আমি জানিরে । রায়হান কে আমার থেকে ভাল আর কে জানবে। আমি ওকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি জেনেছি।
নিজের ক্ষতি হয়ে যাক কিন্তু ও অন্য কারোর কোন ক্ষতি হতে দেয় না।
—বাবা খুব কষ্ট পাচ্ছে দাদীমা। বাবা মনে মনে আমার উপরে ভরসা করে থাকে আমি সৈকতের মনের সব ভুল ভাঙ্গিয়ে সঠিক পথে নিয় আসবো বলে । কিন্তু আমি যদি সবটা না জানি তাহলে কি ভাবে তা সম্ভব ??
—আমি সব জানি। রায়হান গত পরশু এসেও আমার কাছে কান্না করছে সৈকতের কথা বলে। সৈকত যে তাকে কখনও বাবা বলে ডাকেনা এটাই ওর সবচেয়ে বড় কষ্ট।
—প্লিজ দাদীমা আমাকে সব খুলে বলো। আমি কাউকে বুঝতে দেব না যে তোমার থেকে সবটা জেনেছি। আমি খুব সতর্কতার সাথে বিষয়টা ধীরে ধীরে সবার সামনে নিয়ে আসবো।
—না,খবরদার এমন ভুল করিস না। তাহলে রায়হান একেবারে শেষ হয়ে যাবে। রায়হান চাইনা তার ছেলে মেয়ে সব সত্যিটা জানুক। তারা এতদিন যা জেনে এসেছে তাই জানবে । তুই জানিস কেন আমি আর ও বাড়িতে যায় না??
—কেন দাদীমা?
—কারণ রায়হান আমাকে যেতে নিষেধ করেছে বলে। ওর ভয় হয় যদি আমি ওর সন্তানদের সব সত্য টা বলে দিই তাই।
—তাহলে আমার কি করা উচিত দাদীমা আপনিই বলুন!!
—তুই শুধু সৈকত আর রায়হানের মাঝের দেওয়াল টা ভেঙ্গে দে। অন্যে সবাই যে যেমন আছে তাদের সে ভাবেই থাকতে দে।
—কিন্তু সেটা কিভাবে??!
—আমি যা বলছি মন দিয়ে শোন। পরে তুই যেভাবে পারবি নিজের মত করে সৈকতের সামনে জিনিষটা উপস্থাপন করবি।
দাদীমা চৌধুরী বাড়ির সত্যি ঘটনা একটু একটু করে বলতে থাকে আর মেঘ ততই যেন বিস্মিত আর বাকরুদ্ধ হয়ে যায় ।
————**——**——**————
মেঘ দাদীমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি পৌছাতে অনেক টা দেরি হয়ে যায়।
ততক্ষনে সবাই অফিস শেষ করে বাসায় ফিরেছে ।
হল রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
মেঘ বাসায় ঢুকতেই রোজি এগিয়ে যায়
—কিরে এতক্ষন কোথায় ছিলি?
—একটা কাজের কথা বলেছিলাম সেটা করতেই দেরি হয়ে গেল।
—ঠিক আছে তুই ফ্রেশ হয়ে নে আমি নাস্তা দিতে বলি।
—না ভাবি আমি এখন কিছুই খাব না।
—কেন রে?শরীর খারাপ করলো নাকি?
—না,আমি ঠিক আছি । ওনাকে তো দেখছি না । বাসায় ফেরেনি এখনো?
—কার কথা বলছিস বলতো?
—কার কথা আবার বুঝতে পারছো না,কার কথা বলছি?
—না, বুঝতে পারছি না। বলে মিচকি হাসতে থাকে রোজি
—তাহলে থাক আর বুঝতে হবে না। বলে মেঘ সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে যায়।
রোজি নীচ থেকে মেঘ কে শুনিয়ে একটু জোরে জোরে বলে তবে যায় বলিস তুই কিন্তু অসাধ্য সাধন করেছিস। কিভাবে করলি সেটা কিন্তু শুনবো।
মেঘ রোজির কথা শুনে বিড় বিড় করে নিজের সাথে কথা বলেঃ
অসাধ্য আর সাধন করতে পারলাম কোথায়!!?বরং নিজের কপাল নিজেই পোড়াচ্ছি। এমন পোড়াকপাল যে নিজের স্বামীর ভালবাসায় পেলাম না।
রুমে ঢুকে লাইট অন করে কাপড় চেন্জ করতে গিয়ে মেঘের নজর পড়ে দেওয়ালে ঝুলানো সেই ছবি টার উপর ।
মনে হচ্ছে সৈকতের ছবির সামনে দাড়িয়ে মেঘ লজ্জা পাচ্ছে।
মেঘ কাপড় চেন্জ করে ছবিটা ধরে নিজ মনে সৈকতের সঙ্গে কথা বলতে থাকে।
—আপনি এমন কেন বলুন তো?আপনার কি আমার জন্য একটু ও খারাপ লাগে না?আপনার কি একটুও চিন্তা হয় না যে আপনাকে ছেড়ে আমি কিভাবে থাকবো। আপনাকে ভালবেসে যে আমি একদম নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার সবটা জুড়ে যে শুধু আপনি। সেটা কেন বুঝতে চান না?
হঠাৎ পিছন থেকে কথার শব্দ আসে
আমি অনেক কিছু বুঝতে চাই ও না।
সৈকতের কন্ঠ শুনে মেঘ পিছন ফিরে দেখে সৈকত বেলকনির দরজায় দাড়িয়ে আছে।
—আপনি !!কখন আসলেন?
—অনেক আগে। এসে শুনলাম তুমি কোথায় বেরিয়েছ।
—একটা কাজ ছিল তাই।
—আমি তো জানতে চাই নি সেটা। তোমাকে তো আমি মুক্ত করেই রেখেছি । কোন কিছুর জন্য তোমাকে আমার কাছে কখনও জবাবদিহীতা করতে হবে না।
তুমি কি কাজে গিয়েছিলে বা অন্য কারো সঙ্গে লুকিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলে সেটা সম্পূর্ণ তোমার নিজের ব্যাপার।
সৈকতের শেষ কথা শুনে মেঘ চমকে ওঠে। তাহলে কি সৈকত কোন ভাবে জেনে গেছে যে ও দাদীমার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল!!
না ,সেটা তো অন্যে কারো জানার কথা নয়।
তাহলে!!?
মেঘ স্বাভাবিক হয়ে বলেঃ
—কি বলতে চাইছেন আপনি??
—তেমন কিছুই না। হতে পারে তুমি হয়তো তোমার এক্স বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলে।
সৈকতের ওমন কুরুচিকর কথা শুনে মেঘের পা থেকে মাথা পর্যন্ত শরীর জ্বলতে শুরু করে।
মেঘ আর নিজের রাগ টাকে কন্টোল করতে পারে না। মেঘ একপ্রকার চিৎকার করেই বলে ওঠে
—জাস্ট সাট আপ। আর একটা কথাও বলবেন না আপনি। আপনাকে ভালবাসি তাই বলে এই না যে আপনি আমার ভালবাসাকে আমার দূর্বলতা মনে করে যখন যা খুশি তাই বলবেন। আর আমি তা সবটা মাথা পেতে মেনে নেব।
আপনার কোন অধিকার নেই আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলার । আমাকে ভালবাসতে পারবেন না ভালকথা । তাই বলে মিথ্যা অপবাদ কেন দিচ্ছেন মিঃচৌধুরী।
আগে নিজের দিকে তাকান তারপর না হয় অন্যেকে নিয়ে কথা বলবেন।
সৈকত মেঘের কথার কোন জবাব না দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
সৈকত রুম থেকে চলে যেতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মেঘ।
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here