বেখায়ালি ভালোবাসা পর্ব-২৫

0
2318

#বেখায়ালি_ভালোবাসা,
#পর্ব_২৫
#লেখাঃসাবেরা_সুলতানা_রশিদ
.
সৈকতের এতদিনের মনের মধ্য তিল তিল করে গড়ে তোলা নিজের পৃথিবীটা আজ একনিমিষে সব এলোমেলো হয়ে গেল ।
মনে হচ্ছে কোন এক সুনামি এসে মুহূর্তের মধ্যে তার তান্ডব খেলা দেখিয়ে সব লন্ডভন্ড করে দিল।
সৈকত কাঁদছে ,চিৎকার করে কাঁদছে বুকের ভিতরের জমাট কষ্টগুলো আজ চোখ দিয়ে ঝরছে।
কে বলছে পুরুষ মানুষ শতকষ্টেও কাঁদতে পারে না !!!?
আজ সৈকতের চারিপাশের প্রকৃতি স্বাক্ষি। এই রাত,এই রাতের আকাশ,আকাশের বুকে জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকা তারাগুলি সবাই আজ স্বাক্ষী।
সবাই আজ সৈকতের ব্যথায় ব্যথিত হয়ে যাচ্ছে।
সৈকত কিছুসময় পর নিজেকে একটু সামলে বাইকে উঠে বসে ।
সৈকত বাড়ি ফিরে নিজের রুম থেকে কিছু জিনিস নিয়ে তাড়াতাড়ি করে আবার বেরিয়ে যায় ।
মেঘ একা একা বসে আছে নার্সিং হোমের কেবিনে। বার বার ডাক্তারদের কাছ থেকে খবর নিচ্ছে বাবা এখন কেমন আছে??
দুই তিনজন বড় ডাক্তার সবসময় চৌধুরী সাহেবের পাশে আছে।
ডাক্তার সব খবরই মেঘকে দিচ্ছে।
অনেক রাত হয়ে গেছে মেঘের মনের ভিতর কেমন যেন অস্থিরতা কাজ করছে ।
ভাল লাগছে না। কেবলই শুধু মনে হচ্ছে বাবার আজকের এই অবস্থার জন্য শুধুমাত্র আমিই দায়ী।
কেন যে হুট করেই এমন সব করতে গেলাম!!?
এখন যদি বাবার কিছু হয়ে যায় তাহলে যে আমি নিজেকেই কোনদিন ক্ষমা করতে পারবো না।
যে করেই হোক বাবাকে সুস্থ করতে হবে।
মেঘ ওযু করে এসে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে দাড়িয়ে যায় ।
দীর্ঘ সময় নিয়ে আস্তুে আস্তে নামাজ পড়ে।
নামাজ শেষ করে মোনাজাতের মাধ্যমে কান্না করতে করতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই।
মোনাজাত শেষ করে জায়নামাজ থেকে উঠে দেখে সৈকত দাড়িয়ে আছে।
মেঘ জায়নামাজ টা রেখে সৈকতকে বলেঃ
—এতো রাতে আপনি এখানে??
———
মেঘ সৈকতের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে চোখ দুটো লাল আর ফুলে আছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক কান্নাকাটি করেছে।
—কি হলো কথা বলছেন না কেন??কি হয়েছে আপনার ??আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন??
তারপরও সৈকতের মুখে কোন কথা নেই।
মেঘ সৈকতের হাত ধরে একটা ঝাঁকি দিয়ে বলেঃ
—কি হলো ??শুনতে পাচ্ছেন না??
মেঘের ঝাঁকুনিতে সৈকত একটু থতমত খেয়ে যেন বাস্তবে ফিরে আসে । মনে হচ্ছে কোন এক গভীর ভাবনায় ডুবে গিয়েছিল।
মেঘ শান্ত কন্ঠে বলে কি হয়েছে আপনার কথা বলছেন না কেন?সব ঠিকঠাক আছেতো ?
—না কিচ্ছু ঠিক নেই। সব শেষ হয়ে গিয়েছে,সব শেষ।
—মানে কি বলছেন আপনি!!?
মেঘ মনে মনে ভয় পেয়ে যায় তাহলে কি বাবা আর নেই!!?
একটু আগেও তো মেঘ খোজ নিয়েছিল তখন তো সব ঠিক ছিল।
নামাজ পড়তে যতটুকু সময় তার ভিতরে—-
মেঘের কন্ঠ বুজে আসে।
বাবা বলে দৌড়ে বের হতে যায় ,সৈকত পিছন থেকে মেঘের হাতটা টেনে ধরে ।
আমাকে ছাড়ুন , বাবার কাছে যেতে দিন।
সব দোষ আমার । আমি কেন যে সেদিন আপনাকে ওসব কথা বলে ছিলাম!!
যদি না বলতাম তাহলে আজ এমনটা হতো না বলে মেঘ কান্না শুরু করে ।
সৈকত কোন কথা না বলে মেঘের হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায় ।
মেঘ ভাবে সৈকত হয়তো বাবার কাছে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যখন দেখলো সৈকত তার হাত ধরে টেনে সিঁড়ির দিকে যাচ্ছে তখন মেঘ বললো কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে ??
ছেড়ে দিন আমি বাবার কাছে যাবো—
সৈকত কোন কথা না বলে মেঘকে ছাদে নিয়ে যায় ।
সৈকত মেঘের হাত ধরে ছাদের একপাশে দাড় করিয়ে অন্যহাতে থাকা ব্যাগ থেকে কিছু জিনিস বের করে ছাদের মাঝেখানে রাখে ।
মেঘ দেখে আরে এগুলোতো শ্বাশুড়ী মায়ের জিনিস । যেগুলো এত দিন সৈকত তার নিজের কাছে খুব যত্নসহকারে গুছিয়ে রেখেছিল ।
মেঘ মনে মনে উনি এসব জিনিস কেন এখানে এনেছেন। কি করবে এগুলো দিয়ে ??
সৈকত জিনিস গুলো রেখে ব্যাগের অন্য পাশ থেকে একটা বোতল বের করে পানির মত তরল কিছু জিনিসপত্রের চারিদিকে ছিটিয়ে দেয় ।
বাতাসে মেঘের নাকে গন্ধ যেতেই মেঘ বুঝতে পারে যে এটা অন্য কিছু নই পেট্রলের গন্ধ।
মেঘ হতবাক হয়ে যায় । কি করতে চাইছেন উনি!!এতবছর ধরে সযত্নে রাখা মায়ের স্মৃতি গুলোকে তিনি কি আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে চাইছেন!!?
কিন্তু কেন??
কি এমন হল হঠাৎ বাড়ি যাওয়ার পর যে উনি এরাকম পাগলামি শুরু করেছেন।
সৈকত পকেট থেকে ম্যাচটা বের করে একটা কাঠি বের করে আগুন জ্বেলে জিনিসপত্রের উপর ছুড়ে ফেলে দেয় । দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে ।
সৈকত পিছনে সরে এসে মেঘের পাশে এসে দাড়ায় ।
মেঘ সৈকতের দিকে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করে ।
সৈকত আগুনের দিকে তাকিয়ে আছে । আগুনের লাল আভায় সৈকতের চোখ মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
হয়তোবা আগের সেই ভয়ের জন্য। তবে আজ আর সৈকত আগুন দেখে আগের মত ভয় পাচ্ছে না ।
ধীরে ধীরে নিজের ভিতর থেকে ভয়টা কে বিলীন করে দিচ্ছে ।
সৈকতের চোয়াল শক্ত হয়ে আছে । চোখ দিয়ে অঝর ধারায় গড়িয়ে পড়ছে অশ্রু ।
মেঘ কিছুই বুঝতে পারছেনা!!বোঝা না বোঝার মধ্য দুলছে।
দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন এখন সব কিছু পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে ।
হঠাৎ হাটু গেড়ে বসে পড়ে সৈকত ।
মেঘ সামনে এসে দাড়াতেই জড়িয়ে ধরে জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করে ।
এতক্ষন বুকের ভিতরটা গুমড়ে মরছিল আর এখন একটা অবলম্বন পেয়ে সেটা বুক ফেটে বেরিয়ে আসছে ।
মেঘ এবার কিছুটা বুঝতে পারে ।
নিশ্চয় উনি সত্যটা জেনে গেছেন হয়তোবা মুখোমুখি ও হয়েছেন তাই হয়তো—–
মেঘ কি করবে এ মুহূর্তে কি বলেই বা সৈকত কে সাত্বনা দিবে বুঝতে পারে না।
মেঘ আস্তে করে সৈকতের মাথার উপর তার হাত রাখে ।
মেঘ সৈকতকে কাঁদতে বাধা দেয় না। যতটা পারে কান্না করুক আজ কান্না করে যদি সে নিজের মনের কষ্টটা ভুলতে পারে ।
মেঘ সৈকতের হাত ছাড়িয়ে দিয়ে সৈকতের মুখোমুখি বসে ।
—আমার দিকে তাকান।
সৈকত নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে ।
মেঘ নিজের হাত দিয়ে সৈকতের মুখটা উঁচু করে দেয়।
সৈকত মেঘের চোখের দিকে তাকাতেই মেঘ বলেঃ
—আপনি নিশ্চয় আপনার এতদিনের সব না পাওয়া উত্তর পেয়ে গেছেন?
সৈকত ছোট্ট বাচ্চাদের মত ঘাড় দোলায় ।
মেঘের চোখ দুটো খুশিতে ছলছল করে ওঠে।
মেঘ আনন্দে সৈকতকে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ।
আমি জানতাম আপনি একদিন সব সত্যিটা জানতে পারবেন। কিন্তু সেই দিনটা যে এত তাড়াতাড়ি আসবে সেটা বুঝতে পারিনি।
সৈকত কোন কথা বলে না । চুপ করে মেঘের বলা কথা গুলো শুনতে থাকে ।
একটু পর মেঘ সৈকত কে ছেড়ে দিয়ে বলেঃ
—সরি । আসলে খুশিতে না বুঝে ——
—ইটস ওকে । তবে তুমি যেটা বললে সেটা ভুল।
—কোনটা ভুল?
—তাড়াতাড়ি ভুল বুঝতে পেরেছি !!সেটা।
আমার জন্য এটা অনেক দেরি হয়ে গেছে । আমাকে এই সত্যেটা আরে অনেক আগেই জানার দরকার ছিল।
আগে জানলে হয়তো আমি এতোটা খারাপ হতাম না।
—কে বলেছে আপনি খারাপ??
—আমি জানি এটা আর কাউকে বলার প্রয়োজন নেই।
মেঘ কি যেন ভেবে
হঠাৎ বসা থেকে উঠে দাড়ায় ।
তারপর সৈকতের হাত ধরে বলে চলুন আমার সাথে ।
—কোথায়?
—কোন প্রশ্ন করবেন না। যা বলবো তাই করবেন ।
সৈকত আর কোন কথা না বলে উঠে মেঘকে অনুসরণ করে।
মেঘ সৈকত কে আই সি ইউ এর সামনে দাড় করিয়ে বলে আপনি এখানে দাড়ান আমি একটু আসছি।
সৈকত তাকিয়ে দেখে মেঘ ডাক্তারদের কাছে গিয়ে কথা বলছে।
দূর থেকে কোন কথা বোঝা যাচ্ছেনা তবে দেখে যতটুকু মনে হচ্ছে তাতে মেঘ ডাক্তারদের যা বলছে তারা মাথা নাড়িয়ে মেঘের কথায় অসম্মতি জানাচ্ছে ।
মেঘ হাসিমুখে সৈকতের দিকে ছুটে আসছে। বোঝাই যাচ্ছে
অনেকক্ষন কথা বলার পর অনেক রিকুয়েস্ট করার পর ডাক্তাররা মেঘের কথাই রাজি হয়েছে ।
মেঘ সৈকতের কাছে এসে বলে আমি যেটা বলছি মন দিয়ে শুনুন।
আপনি এখন বাবার কাছে যাবেন।
সৈকত বিস্ময় চোখে মেঘের দিকে তাকাই।
মেঘ বলে ভয় নেই আপনার সঙ্গে কেউ যাবে না। আপনি একাই ভিতরে যাবেন।
আমার বিশ্বাস আপনার স্পর্শে আর আপনার কথায় আল্লাহ চাইলে বাবা সুস্থ হয়ে যেতে পারেন। আমি শিওর নই তবে আমার মনটা কেন জানিনা এই কথায় বলছে।
একটা নার্স এসে সৈকতকে একটা ড্রেস দিয়ে বলে এটা পরে নিন।
সৈকত মেঘের দিকে তাকাই।
মেঘ মাথা নেড়ে হ্যা বলে ।
সৈকত ড্রেসটা পরে নেয় ।
মেঘ কাছে এসে বলে আপনি ভিতরে যান আমরা বাইরে আছি।
সৈকত মেঘের চোখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ভেতরে চলে যায় ।
মেঘ চোখ বন্ধ করে মনে প্রানে আল্লাহকে ডাকতে থাকে ।
সৈকত যত ধীর পায়ে চৌধুরী সাহেবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততোই হৃদকম্পনটা জোরে জোরে হচ্ছে।
সৈকত এগিয়ে গিয়ে দেখে চৌধুরী সাহেব খুব আস্তে আস্তে নিশ্বাস ফেলছেন আর নিচ্ছে।
নিশ্বাসের সাথে সাথে বুকটা উঁচু আর নিচু হচ্ছে।
মনে হচ্ছে নিশ্বাস টা নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে ।
সৈকত চৌধুরী সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে ।
এই ষোলবছরে একটি বারের জন্যও সৈকত চৌধুরী সাহেবের দিকে ফিরেও তাকায়নি। যদিও বা কথা বলছে অন্যদিকে চোখ রেখে কথা বলেছে।
এই ষোলবছরে মানুষটা যে এতটা পরিবর্তন হয়ে গেছে সৈকত না দেখলে বুঝতে পারতো না।
সৈকত আস্তে করে চৌধুরী সাহেবের বুকের উপর রাখা হাতের উপর নিজের হাতটা রাখে ।
মুহূর্তে সৈকতের চোখদুটো ঝাপসা হয়ে যায় । বুকের ভিতরে এক আদ্ভুত রকমের ভাললাগা কাজ করতে শুরু করে ।
বুকের ভিতরের কলিজাটা যেন তিনগুণ বড় হয়ে গেছে ।
সৈকত এই কেটে যাওয়া ষোল বছরের কথা মনে করে । কতকষ্টই না দিয়েছি কথার মাধ্যমে এই মানুষটাকে। কত ছোট করেছি অন্যেদের সামনে অথচ তিনি কখনো কোন দিন জোরে কথা বলেননি,এমনকি কখনো ধমক দিয়েও কথা বলেননি।
সৈকতের আগের সব কথাগুলো মনে পড়ে যায় কিভাবে তিনি অন্যেভাই বোনদের আদর করতেন।
সৈকতের কাছে গেলেই সৈকত সেখান থেকে সরে চলে যেত রাগে আর ঘৃনায় ।
সৈকতের চোখের সামনে আজ এত স্মৃতি ভাসছে যে সৈকত কোন কথাই বলতে পারছেনা ।
সৈকত চৌধুরী সাহেবের হাত ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে ।
সৈকত তার একটা হাত চৌধুরী সাহেবের মাথায় রেখে বলে আমাকে মাফ করে দিন বাবা । বাবা আমাকে আপনি ক্ষমা করৈ দিন।
আমি সত্যিটা না জেনে আপনাকে অনেক অপমান করেছি ,অন্যেদের সামনে অনেক ছোট করেছি। অনেক বড় বড় কথা বলে আপনার মনে কষ্ট দিয়েছি ।
আমাকে আপনি মাফ করে দিন।
সৈকত কাঁদতে কাঁদতে চৌধুরী সাহেবের বুকে মাথা রেখে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে কান্না করতে থাকে।
ডাক্তাররা সবাই বাইরে দাড়িয়ে কাচের ভিতর দিয়ে ভিতরের দৃশ্য দেখে তাড়াতাড়ি করে ভিতরে ঢুকে যায় ।
সৈকত ডাক্তার দের এভাবে আসতে দেখে চমকে যায় ।
ডাক্তাররা তাড়াতাড়ি করে চৌধুরী সাহেবের হার্টবিট আর প্রেসার চেক করে অবাক হয়ে যায় ।
সব কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
ডাক্তাররা সবাই অবাক হয়ে যায় ।
মেঘ ভিতরে ঢুকে ডাক্তারদের কাছে জিঙ্গাসা করতেই ডাক্তার হাসিমুখে বলে
তিনি এখন বিপদমুক্ত । কিন্তু আমরা ত অবাক হয়ে যাচ্ছি এটা ভেবে যে সারাদিন আমরা যেটা করতে পারলামনা সেটা আপনি কিভাবে করলেন!??
মেঘ লজ্জা পেয়ে বলে আসলে এমন অনেক কিছু ঘটনা আমাদের সামনে ঘটে যার উত্তর আমরা দিতে পারি না। এটা সম্পূর্ন আল্লাহের ইচ্ছায় সম্পাদিত হয়ে থাকে ।
ডাক্তাররা একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে মৃদ্যু হেসে বলে
ধন্যবাদ আজ আপনি না থাকলে হয়তো এতকিছু সম্ভব হতো না।
মেঘ হেসে চৌধুরী সাহেবের দিকে এগিয়ে যায় ।
চৌধুরী সাহেব আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকাতেই সৈকত বাবা বলে জড়িয়ে ধরে ।
চৌধুরী সাহেবের চোখ বেয়ে দু’ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে ।
ততক্ষনে বাইরে থেকে ভেসে আসে ফজরের আযানের সুর ।
চৌধুরী সাহেব বাম হাতদিয়ে সৈকতকে জড়িয়ে ডান হাতটা মেঘের দিকে বাড়িয়ে দেন।
মেঘ ছলছল চোখে এগিয়ে যায়——- ——————
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here