বেখেয়ালি মনে পর্ব-১৫

0
658

#বেখেয়ালি_মনে
#লেখনীতে- Ifra Chowdhury
পর্ব-১৫
.
.
ইনান ওর এক চুমুক দেওয়া চায়ের কাপটা ত্রয়ীর কাছে গচ্ছিত রেখে হঠাৎ কার দিকে যেন ছুটে গেলো। ত্রয়ী সেদিকে এক পলক দৃষ্টি দিয়ে আবার ইনানের রেখে যাওয়া চায়ের কাপটার দিকে তাকায়।
ওর হাতের কাপটা সাইডে রেখে আস্তে আস্তে ইনানের চায়ের কাপটা হাতে নেয়। কেমন এক আসক্ত দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে চায়ের দিকে। তারপর ধীরে ধীরে ঠোঁট ছুইয়ে এক চুমুক চা টেনে নেয়। সাথে সাথেই এক অদৃশ্য শিহরণ বয়ে যায় ওর শরীরে।
যেন বিদ্যুতের ঝটকা খেয়ে গেলো সে। গায়ের লোম দাড়িয়ে গেলো আবেশে। হৃদস্পন্দন বাড়তে থাকে হঠাৎ করেই। পরোক্ষভাবে কি ইনানের ঠোঁটের ছোঁয়া পেয়ে গেলো ত্রয়ী? ভেবেই ওর আরো বুকটা আরো ধুকপুক করে উঠে।
দ্রুত ইনানের চায়ের কাপটা রেখে অস্থিরভাবে তাকায় এদিক সেদিক তাকায় ত্রয়ী। নাহ কেউ দেখে নি। ধুর ত্রয়ী, কি যে হয়ে যায় তোর হুট করেই! মনে মনে বেশ উশখুশ অনুভব করে। নিচের ঠোটটা কামড়ে ধরে চোখ বন্ধ করে একটা ঢোক গিলে সে।
আনমনে ভাবতে ভাবতেই আবার ইনানের চায়ের কাপের দিকে আড়চোখে তাকায় ও। ধ্যাৎ খুব লজ্জা লজ্জা লাগছে ওর। এই চায়ের কাপটাও যেন ওকে দেখে দুষ্টামির হাসি দিচ্ছে। ও বিপরীত দিকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে নিজেই নিজের মাথায় একটা গাট্টা মারে। আর ভুলেও নজর রাখতে যায় না ওটার দিকে।
.
কিছুক্ষণ পরেই ইনান ফিরে এসে ডাক পাড়ে,
-ত্রয়ী.. নৌকা পেয়ে গেছি। আসো।
ইনানের ডাক শুনেই ত্রয়ী চমকে তাকায়। ইনান একবার ত্রয়ীর দিকে তাকিয়ে আবার ওর রেখে যাওয়া চায়ের দিকে তাকায়। কাপটা হাতে নিয়ে একটানে খেয়ে ফেলতে যাবে, তখনি ত্রয়ী ওকে বাঁধা দিয়ে বলে,
-না না। এ চা খাবেন না আপনি।
ইনান অলরেডি এক চুমুক খেয়ে ফেলেছে। ও হন্তদন্ত হয়ে আটকে যায়। বাকিটা আর খায় না। জিজ্ঞেস করে,
-কেন? কী হয়েছে এতে?
-না মানে.. ইয়ে.. খুব নোনতা এটা। মুখেই দিতে পারবেন না আপনি।
ইনান অবাক হয়ে বলে,
-কই? ভালোই তো খেলাম।
ত্রয়ী ভাবতে থাকে কী বলবে। ওর খুব বিব্রতবোধ হচ্ছে কেন জানি। লজ্জাটাও বেশ ঝেকে ধরেছে। কিন্তু ইনান তো এসবের কিচ্ছুই বুঝছে না।

ত্রয়ী আচমকা জবাব দেয়,
-ওহ হ্যাঁ হ্যাঁ! একটা পিঁপড়ে পড়েছিলো এতে। ফেলে দিন। ফেলে দিন।
বলেই সাথে সাথে কাপটা নিয়ে ফেলে দেয়। ইনান বেকুব হয়ে যায় এ কান্ড দেখে। ও বলে,
-কই পিঁপড়ে দেখলে? দেখতেই তো দিলে না। যাকগে! পিচ্চিবেলা শুনতাম বড়রা বলতো, পিঁপড়ে খেলে নাকি দ্রুত সাঁতার শেখা যায়!
বলেই জোরে জোরে হাসতে থাকে ইনান। ছোটবেলাটা তো এমনি। কতো সব মজার মজার কান্ডে ভরা। সেসব ভাবলে যেকোনো ব্যক্তিই হাসতে বাধ্য হবেই।
ত্রয়ী আর কথা বাড়ায় না। ইনানের সাথে তাল মিলিয়ে হাসতে হাসতে নৌকার দিকে এগোতে থাকে। কিন্তু ওর পেটে পেটে আসলে যে কি চলছিলো, সেটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে দেয় না ইনানকে।
___________________________________________________
নদীর কলকল পানির উপর নৌকা তার বুক ভর করে ভেসে চলছে। তাতে মানুষ বলতে শুধু দুই মাঝি আর ইনান-ত্রয়ী। মাঝিরা তাদের মতো করে নৌকা বাইতে ব্যস্ত। আর ইনান ও ত্রয়ী ব্যস্ত চারদিকের সৌন্দর্য দেখতে। নৌকার দুলুনিতে ওদের মনও দুলছে যেন।
ত্রয়ীর ঠোঁটে মুখে এক অনাবিল হাসি লেগে আছে। চারপাশ থেকে সাঁই সাঁই করে বাতাস এসে ওকে বারংবার ছুয়ে দিচ্ছে। আর সেই বাতাসে ওর খোলা চুল আর ওড়নাও খুব উড়ছে। স্নিগ্ধ শ্যামল এই নদী যেন খুব টানছে ওকে। খুব। চোখ বন্ধ করে বুক ভরে লম্বা শ্বাস নেয় ও।

ভেবেছিলো বৃষ্টি আসবে! কিন্তু না.. এতোক্ষণে আকাশের মেঘ সরে গিয়ে বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন রুপ ধারণ করেছে। আর সেই আকাশের বুকে কতো যে পাখ-পাখালি উড়ে যাচ্ছে, হিসেব নেই।
ধীরে ধীরে নৌকা এগোয়, আর সেই সাথে নদীর চারদিক থেকে পাহাড় গুলোও স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হতে থাকে। এমন আকাশছোঁয়া পাহাড় এই প্রথম দেখছে ত্রয়ী। তাই আরো বেশি মুগ্ধতা কাজ করছে। ওর মনে হচ্ছে যেন আকাশকে ক্যানভাস বানিয়ে কেউ পাখ-পাখালি, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা এঁকে দিয়েছে। ঠিক যেমন ছোটবেলার আঁকা সেসব প্রাকৃতিক দৃশ্য!

চেঁচিয়ে উঠে ত্রয়ী,
-ওয়াও! পাহাড়! সিলেটেও এতো সুন্দর পাহাড় দেখা যায়? জানতাম ই না। সত্যিই মনোমুগ্ধকর!
ইনান এক মুগ্ধতার হাসি দিয়ে তাকায় ত্রয়ীর দিকে,
-হ্যাঁ! তবে এসব কিন্তু আমাদের দেশের পাহাড় নয়।
ত্রয়ী হা হয়ে জিজ্ঞেস করে,
-তবে?
-আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যে অবস্থিত এসব পাহাড়। অথচ দেখো কতো ভাগ্যবান আমরা! সিলেট থেকেই ওসবের সৌন্দর্য বেশ উপভোগ করতে পারি।
বলেই ইনান হাসে। ত্রয়ী অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। ইনান একদিকে আঙু্ল ইশারা করে ত্রয়ীকে দেখায়,
-ঐ যে পাহাড় দেখছো? এটা মেঘালয় রাজ্যেরই খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়। দারুণ না?
-মারাত্মক! আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না আমার চোখকে! ইশ.. স্বপ্ন নাকি বাস্তব এসব?

ইনান তৎক্ষনাৎ একটু কাছে এগিয়ে ত্রয়ীর নাকটা ধরে টেনে দেয়। ত্রয়ী হালকা ব্যাথায় আচমকা ককিয়ে উঠে। ইনানের দিকে তাকিয়ে হুশহাশ করতে করতে হাত বুলাতে থাকে নাকে।
মেয়েটার চোখে মুখে অসীম মুগ্ধতা! আর সেই সাথে অনাবিল আনন্দ। ইনান প্রকৃতির সৌন্দর্যের থেকে ত্রয়ীর এই আনন্দটাই যেন বেশি উপভোগ করছে। এইটুক দেখেই মেয়েটা এতো খুশি, সামনে যে প্রকৃতি আরো কতো সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষা করে আছে, সেসব দেখলে তো ও পাগলই হয়ে যাবে!

-আমরা সাদা পাথর কখন দেখবো? কোথায় ওটা?
বাচ্চাদের মতো বলে উঠে ত্রয়ী। ইনান জবাব দেয়,
-এইতো আর কিছুক্ষণ পরেই পৌছে যাবো। আমরা এখন যে নদীর উপর দিয়ে চলছি, এটা আসলে ধলাই নদ। এরই উৎসমুখে রয়েছে অসংখ্য পাথরে পরিপূর্ণ জিরো পয়েন্ট। ঐ এলাকাটিকেই ‘সাদা পাথর’ বলে অভিহিত করা হয়।
-ওহ আচ্ছা।
গভীর কৌতুহল নিয়ে ত্রয়ী ইনানের সাথে কথাবার্তা বলছে। হঠাৎই ওর নজর যায় নদীর একদিকে কাত হয়ে থাকা এক বিশাল টাওয়ারের দিকে। ও ইনানকে ওটা দেখিয়ে বলে,
-এটা কোন জায়গা?
-ওহ হ্যাঁ তোমাকে রজ্জুপথ বা রোপওয়ের কথা বলছিলাম না? এটাই ওই জায়গা। ভোলাগঞ্জের রোপওয়ে। যদিও এটা এখন পরিত্যক্ত। তেমন ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে।
-উম.. বুঝলাম।

একদম কোনো এক বুঝদারের মতো ভাব ধরে মাথা উপরনিচ করে ত্রয়ী। ইনান হেসে দেয় ওকে দেখে। সেই সাথে ত্রয়ীও। ওদের সাথে যেন হেসে উঠে ধলাই নদও। আর সেটা প্রকাশ পাচ্ছে তার ক্রমাগত কলকলানি ধ্বনির মাধ্যমে।
চারপাশের এমন লীলাময় সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে পড়ে দুজনেই। আকাশের মধ্যে উড়ে বেড়ানো টুকরো টুকরো মেঘ গুলো দেখে ত্রয়ীরও ইচ্ছে হয়,
“ইশ! ওর যদি ডানা থাকতো!
পাখির মতো উড়াল দিয়ে নেচে বেড়াতো এই আকাশে।
পিপাসা পেলে ফুড়ুৎ করে স্বাদ নিতো এই নীল স্বচ্ছ পানির। আর..
ক্লান্ত হয়ে গেলে বিশ্রাম নিতো, ঐ দূর সবুজ পর্বতমালার চূড়ায় বসে।”
____________________________________________________

ওরা জিরো পয়েন্টে পৌঁছতেই একদম হতবাক হয়ে যায় ত্রয়ী। তীরে নেমেই দ্রুত ছুটে যায় সাদা পাথরগুলো স্পর্শ করতে! ইনান পিছু ডাকে,
-দৌড়িও না ত্রয়ী। পাথরে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে তো।
ত্রয়ী বাঁধা মানে না। ছুটে যায় পাথরের কাছে। হাটু গেড়ে পায়ের উপর ভর দিয়ে বসে পড়ে। ছোট ছোট পাথরগুলো হাতে নেয়। ওর চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। আনন্দে হার্টবিট দশগুণ দ্রুত চলছে। নদীর পাড়ে পড়ে থাকা পাথরগুলোর উপর হাত বুলাতে থাকে সে।
ও ভেবেছিলো, এখানে হয়তো শুধু সাদা পাথরই পাওয়া যাবে। কিন্তু নাহ! যদিও সাদা পাথরের সংখ্যাই বেশি, তবুও কতো রকম আর ধরনের যে পাথর এখানে! কালো, খয়েরী, বাদামী! গোলাকার, ডিম্বাকার এমনকি চারকোণা পাথরও আছে। আবার কোনোটার তো নির্দিষ্ট কোনো আকারই নেই। ছোট, বড়, মাঝারি, বোল্ডার আকৃতির। বিষমাকৃতির।

নদীর টলমল জলের নিচেও চিকচিক বালি আর অগণিত পাথরের সমাহার। আর তার উপর নীল আকাশে মেঘের ছড়াছড়ি। ঝরণার শব্দ শুনতে পেয়ে এগিয়ে যায় ত্রয়ী। ওয়াও! এত্ত এত্ত পাথর মাড়িয়ে উপর থেকে নিচে কত্ত সুন্দর ঝরণাও বইছে। এই চোখধাঁধানো সৌন্দর্য দেখে সত্যিই যে কেউই নির্বাক হয়ে যাবে!
পেছন থেকে ইনান বলে,
-এই ঝরণা কোথা থেকে নেমে আসছে জানো? ঐ যে.. মেঘালয় রাজ্যের উঁচু উঁচু পাহাড় থেকে! আর এই পানির প্রবাহই আমাদের ধলাই নদের উৎস।

ত্রয়ী বিহ্বল হয়। সেই সাথে আনন্দে আত্মহারাও। ইনানকে পাশেই ইশারা করে বলে,
-আমি একটু ঐখানটার পানিতে নামবো প্লিজ? খুব ইচ্ছে হচ্ছে। গোসলও করতে মন চাইছে।
বলেই সে ওর প্লাজুটা হালকা উপরে তুলে টলমল পানির দিকে এগিয়ে যায়।
-একদম নাহ ত্রয়ী! বকবো কিন্তু।
ইনানের নিষেধ শুনে ঘুরে তাকায় ত্রয়ী। তারপর একটা ভেংচি কেটে দাত বের করে হেসে বলে,
-আমি তো নামবোই! নাহলে আমিও রাগ করবো। হুহ..
-নাহ ত্রয়ী। পানি কিন্তু খুব ঠান্ডা।
ত্রয়ী ইনানের বারণ না শুনে ওর মুখোমুখি ফিরে একটা দুষ্টামির হাসি দেয়। তারপর ওকে চেতানোর জন্য আস্তে-ধীরে পেছাতে পেছাতে একটা গান ধরে,

“আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি,
মন বান্ধিবি কেমনে?
আমার চোখ বান্ধিবি, মুখ বান্ধিবি,
পরান বান্ধিবি কে ম নে?”

ইনান চোখ পাকিয়েও হেসে দেয়। আর আটকাতে যায় না ত্রয়ীকে। আসলেই এই কিশোর মনের কৌতুহল সমূহ আটকানো এতো সহজ নয়। যেটার উঁকি চাপে, সেটা করেই তবে ক্ষান্ত হয় যেন।
ত্রয়ী স্বাধীনতা পেয়ে এগিয়ে যায় পানিতে। জুতোটা খুলে রাখে একপাশে। তারপর ধীরে ধীরে এক কদম, দুই কদম, বেশ কয়েক কদম এগিয়ে যায় পানিতে। ত্রয়ী ওর টাখনু অবধি ডুবিয়ে পানিতে দাড়িয়ে আছে। ইচ্ছে করছে আরেকটু এগিয়ে যাক! ভাবতে ভাবতে এগোয়ও সে।
যেদিকে তাকায়, সেদিকেই পানি দেখতে পাচ্ছে ওর চোখ। কোথাও হাটুজল, কোথাও কোমর সমান পানি, কোথাও গলা অবধি, আবার কোথাও অথৈ বারিধারা। কত মানুষ পানিতে নেমে লম্ফঝম্পও করছে। ইচ্ছে করছে সে-ও ঝাপিয়ে পড়ুক, কিন্তু পারছে না যে। এক্সট্রা কাপড়চোপড় আনেনি তো। আবার ইনানও বকবে।

যাকগে! ও ফুড়ফুড়ে মনে উবু হয়ে পানিতে পাঁচ আঙুল দিয়ে নাড়াচাড়া করে খেলতে থাকে আর একটু আগের গাওয়া গানটার পরের লাইনগুলোও সুর টেনে গাইতে থাকে,
“আমি না গেলাম যমুনার ঘাটে,
না তুলিলাম জল..
না হেরিলাম তারে সখী,
না হইলাম চঞ্চল..”

ইনান পাশেই একটা বড় সাদা পাথরে বসেছিলো। ওর জিন্স হাটুর নিচ পর্যন্ত ফোল্ড করা। পানিতে পা ভিজিয়ে রেখে ত্রয়ীর দিকে খেয়াল রাখছিলো। ত্রয়ীর গান গাওয়া দেখে ওর মনেও দুষ্টুমি চেপে বসে। ত্রয়ী থেমে যাওয়ার পর সে নিজেই লিরিক্সের সাব্জেক্ট চেঞ্জ করে ত্রয়ীর উদ্দেশ্যে গান ধরে,
“তোমার ইচ্ছা বান্ধিবো,
সোহাগ বান্ধিবো..
অনুরাগ বান্ধিবো কে-ম-নে?”

ত্রয়ী ইনানের গান শুনে চমকে তাকায় ওর দিকে। কেন জানি লাজ ঘিরে ধরে ওকে। বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায়। যদিও একটা অপ্রস্তুত হাসি দেয় সে, তবুও লজ্জাটা লুকানোর জন্য সোজা হয়ে দাড়াতে গিয়েই হঠাৎ একটা ছোট পাথরে পা ফসকে যায়। একদম পড়েই যাচ্ছিলো ত্রয়ী। ইনান অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত উঠে ওর দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু ও ধরতে পারে না ত্রয়ীকে। বরং ত্রয়ী নিজেই নিজেকে সামলাতে গিয়ে ইনানকে ধরার জন্য হোঁচট খেতে খেতেও হাত বাড়ায়।

আহ! ব্যর্থ হয়নি মেয়েটা। একটুর জন্য পানিতে নাকানিচুবানি খাওয়ার থেকে বেঁচে যায় সে। কিন্তু ইনানকে যেভাবে ধরেছিলো, একদম যেন কোনো দমকা হাওয়া! ত্রয়ীর বাম হাত ইনানের ডান হাতকে সজোরে আঁকড়ে ধরে আছে, আর অন্যটা শার্টের কলার বরাবর। বেচারার উপরের বাটন দুইটা ছিঁড়ে গেছে। ত্রয়ী পিচ্চিদের মতো আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকাতে চায় ইনানের দিকে।
.
.
চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here