বেখেয়ালি মনে পর্ব-৭

0
732

#বেখেয়ালি_মনে
#লেখনীতে- Ifra Chowdhury
পর্ব-০৭
.
.
সকালে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলার সময় ইনানের মুখটা ছিলো জ্বলজ্বল করা জোনাক পোকার মতো। কিন্তু এই মুহুর্তে সেই জ্বলজ্বল করা মুখটা আর নেই সেই মুখে এখন বিষন্নতার ছাপ পড়েছে। ইনানের ফ্যাকাসে মুখ দেখতে ত্রয়ীর মোটেই ভালো লাগছে না।
– আপনার কি কোনো কারণে মন খারাপ?
অস্থির কন্ঠে কথাটা জিজ্ঞেস করল ত্রয়ী।

ইনান রাস্তার এপাশ ওপাশ একবার দেখে নিলো। তারপর বলল,
– মন খারাপ না। তবে, চিন্তা হচ্ছে।
ত্রয়ী ভ্রু কুঁচকে বললে,
– চিন্তা কেন?
– আকাশের অবস্থা দেখেছো? যে কোনো মুহুর্তে বৃষ্টি নামতে পারে। তার উপর তোমার তো আবার সিএনজি চড়ার অভ্যাস নেই। এই গ্রামের রাস্তা ভেবে তোমাদের গাড়িও তো আনতে পারলাম না।

ত্রয়ী একটু হাসার চেষ্টা করে বলল,
– এই ব্যাপার? সমস্যা নেই আপনি বরং রিকশা ডাকুন। রিকশায় চড়ার অভ্যেস আছে আমার। আর আমরা কোথায় যাচ্ছি?
ইনান কিছু একটা ভেবে বলল,
– নাহ, আজ বরং থাক। রিকশা নিলেও সমস্যা আরেকটা রয়ে যাবে।

ইনানের কথায় ত্রয়ীর খুব রাগ হয়। মনে মনে ইনানকে একশ একটা গালি দিয়ে বলে,
– এহ! বললেই হলো আজ থাক? বদ লোক একটা। আমি এতো করে চাইছি উনার সাথে একটু একা সময় কাটাতে আর উনি চাইছেন পালাতে। একবার বাগে পাই আপনাকে, তখন এসব কিছুর মজা বের করবো। হুহ!

ত্রয়ীকে এমন ভাবান্তর অবস্থায় দেখে ইনান ধমকের সুরে বলে,
– এখন আকাশ পাতাল ভাবার সময় নেই। চলো ব্যাক করি। না হলে বৃষ্টিতে ভিজতে হবে।
– না, আমি ব্যাক করবো না। আপনি যেখানে নিয়ে যেতে চাইছিলেন সেখানে চলুন। দরকার হলে বৃষ্টিতে ভিজতেও রাজি আছি আপনার সাথে।
শেষের কথাটুকু অস্পষ্ট। তবে কন্ঠে তার অভিমানের সুর।

ইনানের এই মুহুর্তে ত্রয়ীর উপর ভীষণ রাগ হচ্ছে। তবে তা প্রকাশ করলো না। জিদ্দি হওয়ারও একটা লিমিট থাকা প্রয়োজন, কিন্তু এই মেয়ে সেই লিমিটটাও ছাড়িয়ে গেছে।

বিরক্তিকর কন্ঠে ইনান বলল,
– আচ্ছা তুমি এখানে দাঁড়াও। আমি রিকশা নিয়ে আসছি।
ইনান রিকশা ডাকতে গেলে ত্রয়ী ইনানের কথাটা ব্যঙ্গ করে বলল,
– আচ্ছা তুমি এখানে দাঁড়াও আমি রিকশা নিয়ে আসছি।

কথাটা বলে ঘাড় ঘুরাতেই দেখে ইনান ওর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ত্রয়ী লজ্জা পেয়ে যায়। আবার ঘাড় ঘুরিয়ে নিয়ে চোখ খিঁচিয়ে জিভ কাটে।
– হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না। এবার রিকশায় উঠুন।
ইনানের কন্ঠে দুষ্টুমির সুর। ঠোঁটে মাতাল করা হাসি।
ত্রয়ী চোখ পিটপিট করে ইশারায় আচ্ছা বলে।

রিকশা চলছে আপন ছন্দে। ত্রয়ী ইনান পাশাপাশি বসে আছে। গা শিহরণ করা অনুভূতি কাজ করছে এই মুহুর্তে। ইনানের বাম হাতের ছোঁয়া বারংবার ত্রয়ীর ডান হাত ছুঁয়ে যাচ্ছে। ত্রয়ীর বুকে কম্পনের সৃষ্টি হচ্ছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ থমথমে হয়ে আছে। ত্রয়ী শ্বাস নেওয়ার জন্য আকাশের দিকে তাকায়। দেখে মেঘগুলো এক জায়গায় আটকে আছে। মেঘেরাও যেনো ত্রয়ীর এই মুহুর্তের সঙ্গ দিতে এক টুকরোর সাথে আরেক টুকরো জোড় বেঁধেছে। রিকশা খানিকটা যেতেই হুড়মুড় করে বৃষ্টি নামা শুরু হয়েছে। এখন ভিজা ছাড়া আর কোনো গতি নেই।

ত্রয়ীর এমনিতেও বৃষ্টি খুব পছন্দ। আর এখন তো পছন্দের মানুষটাও তার সঙ্গে আছে। এই মুহুর্তে ও ইনানের নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। কিশোরী বয়সের সকল আবেগ অনুভূতি গুলো যেনো উতলা হয়ে উঠেছে। ত্রয়ীর উপস্থিত বুদ্ধি কাজ করছে না। আকাশে বিজলি চকমকানোর সাথে বাজ পড়ার এক বিকট শব্দ হয়। ত্রয়ী কেঁপে উঠে ইনানের হাতে খামচি দিয়ে ধরে। চোখ বন্ধ তার। ইনান বুঝতে পারে মেয়েটা ভয় পেয়েছে, তাই ওর হাতে রাখা ত্রয়ীর হাতটা ও অন্যহাত দিয়ে আঁকড়ে ধরে। দু’জনের গায়ে পলিথিন থাকলেও হালকা ভিজে যায় তারা। রিকশা আরেকটু সামনে যেতেই দেখে বাতাসের গতি বাড়ছে তাই তারা একটা জায়গায় থামে। ত্রয়ী রিকশা থেকে নেমে যায়। ইনান বাঁধা দিলেও তা মানেনা। মিনিট পাঁচেক ভিজার পর ইনান নামে রিকশা থেকে।

ধমক দিয়ে বলে,
– এমন পাগলামি করবে জানলে কখনো তোমাকে নিয়ে বের হতাম না। ভীষণ পাগলি তুমি।
ইনানের কথা শুনে কলা পর্যন্ত ত্রয়ীর কান্না চলে আসে। সেটাকে সংযত করে সে নিচু কন্ঠে বলে,
– সরি, ভুল হয়ে গেছে।
– আমাদের গন্তব্য আর কিছু পথ গেলেই পেয়ে যাবো। ভিজে যখন গেছোই তাহলে চলো এটুকু পথ হেঁটে হেঁটে যাই।
ইনানের কথাটা শুনে ত্রয়ীর চোখ মুখে খুশির ঝিলিক দেখা যায়। উৎকন্ঠিত স্বরে বলে,
– ঠিক আছে।

ইনান রিকশার ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে আগে আগে চলতে থাকে। ত্রয়ী ইনানের পিছু পিছু হেঁটে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ইনানের হাঁটাকে নকল করেও হাঁটছে সে। ইনান ঘাড় ঘুরাতেই আবার নিজের মত করে হাঁটতে থাকে।

___________________________________________________________

ইনান ও ত্রয়ী বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছে গাছতলা ব্রীজের উপর। ব্রীজের নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এক অপরিচিত নদী। ত্রয়ীর কাছে নদীটা অপরিচিত মনে হলেও ইনানের কাছে তা বেশ পরিচিত।

ত্রয়ীর উৎসুক দৃষ্টিতে ইনানের দিকে তাকায়। ইনান তার চাহনির মানে বুঝতে পেরে বলে,
– এই ব্রীজের নাম হলো গাছতলা ব্রীজ। ব্রীজের নিচে যে নদীটা বয়ে যাচ্ছে, তার নাম ডাকাতিয়া নদী। হাজীগঞ্জ গ্রামের অর্থাৎ তোমাদের গ্রামের এই জায়গাটা দেখতে অনেকেই আসে।

ইনানের প্রত্যেকটা কথায় ত্রয়ী ভারী অবাক হচ্ছে। সে এই গ্রামের মেয়ে হয়েও এসব কিছু জানেনা। অথচ, ইনান অন্য বিভাগ, অন্য জেলার একটা ছেলে হয়ে এসব জানে।

ত্রয়ী ইনানের কথা শুনে নদীর দিকে তাকায়। বৃষ্টি পড়ছে অবিরাম। বৃষ্টির টিপ টপ ফোঁটা নদীর পানির সাথে মিশে গিয়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে। তা দেখে ত্রয়ীর লোভ হচ্ছে। আপন মনে বলে,
– ইশ! এই মুহুর্তে এমন একটা দৃশ্যকে সাক্ষী রেখে যদি আমিও তার সাথে মিশে একাকার হয়ে যেতে পারতাম।

ত্রয়ীর ভাবনার ছেদ করে ইনান বলে,
– বোকাপাখি, আমাদের এখন বাড়ি ফেরা প্রয়োজন। না হলে সন্ধ্যার আগে পৌঁছাতে পারবো না।
বাড়ি ফেরার কথা শুনে ত্রয়ীর মুখ চুপসে যায়। ইশ! যদি সময়টা এখন থেমে যেতো তাহলে ওর বাড়ি ফিরে যেতে হতোনা। আজীবন এই মানুষটার সাথে দাঁড়িয়ে এমন দৃশ্য উপভোগ করতে পারতো সে।

– আমরা আর কিছুক্ষন থাকি না প্লিজ?
ইনান বিব্রতকর কন্ঠে বলে,
– আর কিছুক্ষণ থাকলে বাসার সবাই জেনে যাবে ঘুরতে আসার ব্যাপারটা।
ত্রয়ী উদাস মনে বলে,
– জানলে জানুক। সমস্যা নেই। তাছাড়া বৃষ্টি তো এখনও কমেনি। যাওয়া টা মুশকিল। রিকশা পাবেন না এই মুহুর্তে।

ত্রয়ীর কথা শুনে ইনানের হঠাৎ হেঁচকি উঠে। পানির প্রয়োজন, কিন্তু পানি নেই। কিছুক্ষন অনবরত হেঁচকি দেয় সে। তারপর নিজ থেকেই হেঁচকি থেমে যায়। ইনান হাসে।
তা দেখে ত্রয়ী বলে,
– হাসছেন কেন?
ইনান ত্রয়ীর প্রশ্নের প্রত্যুত্তর দেয় না। এক মনে হাসে। অল্প বয়সী এমন মনের কোনো ব্যাপার নিয়ে সে কথা বাড়ায় না। সবার জীবনেরই তো এক বিশেষ মুহুর্তে আসে এমন সময়। আবেগময়। অতিরিক্ত আবেগময়। এসব আপাতত ওর পাত্তা না দেওয়াই সমীচীন।

ঝুম বৃষ্টিতে দু’জন দাঁড়িয়ে আছে। দু’জন দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়েছে। এক জনের মনে অন্যজনকে নিয়ে মাতাল করা অনূভুতি, ভালোবাসা। আর আরেক জনের অজানা! দু’জনেই স্থির নয়নে বৃষ্টি পড়া দেখছে। বৃষ্টির আওয়াজ শুনছে।
বৃষ্টির আওয়াজ শুনে ত্রয়ীর মন ছন্দ তুলে বলছে,
“আমি সেই বৃষ্টির দিনটি চাই,
যে বৃষ্টির দিনে আপনার বুকে মাথা রেখে বৃষ্টি দেখতে,
আমায় আর অপেক্ষা করে থাকতে হবে না।”

_________________________________________________________

বৃষ্টি থেমেছে। ইনান ত্রয়ী হাঁটছে পাশাপাশি। দু’জনেই ভিজে একদম চুপচুপে রসগোল্লার মতো হয়ে আছে। আকাশ এখনো পরিষ্কার হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে, আবার বৃষ্টি নামবে। ইনান দ্রুত রিকশা ডাকে। রিশায় চড়ে বসে দু’জনে। অর্ধেক পথ আসার পরই তারা দেখতে পায় রাস্তার মাঝখানে গাছ পড়ে রাস্তা ব্লক হয়ে গেছে। রিকশা আর যেতে পারবেনা। ওদেরকে বাকি পথটুকু হেঁটেই যেতে হবে। ত্রয়ী রিকশা থেকে নামে। কাঁচা রাস্তা কাদায় ভর্তি। পিচ্ছিলও মনে হচ্ছে।

ইনান রিকশাওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে ত্রয়ীর দিকে তাকিয়ে বলে,
– সাবধানে হাঁটো। রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে আছে। দ্রুতপায়ে কদম ফেলো না কিন্তু।
ইনানের কথানুযায়ী ত্রয়ী সাবধানে পা ফেলে দু’কদম যেতেই স্লিপ খায়। ইনান ত্রয়ীর খানিকটা দূরে ছিলো। ত্রয়ী চিৎকার দিতেই খেয়াল করে ত্রয়ী পড়ে যাচ্ছে। ও নিজেও বেসামাল হয়ে দৌড়ে গিয়ে ধরে তাকে। ত্রয়ী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাপটে পড়ে ইনানের উপর। উপুড় হয়ে ছেলেটার বুকের সাথে যেন চিপকে যায়।

ইনান আর টাল সামলাতে না পেরে কাদায় পড়ে যায়। তার উপর পরে ত্রয়ী। ইনানের হৃদপিন্ড গরম তেলে ভাজার মতো কাতরাতে থাকে। ত্রয়ীর নাজেহাল অবস্থা। লাজ ছড়িয়ে গেছে চোখে মুখে, তাকাতে পারছেনা ওর দিকে। মিনিট দু’য়েক পর ত্রয়ী ইনানের বুক থেকে সরে। ইনান উঠে বসে। দু’জনের দৃষ্টি কাদার দিকে। কেউ কারো দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারছেনা। এক অদ্ভুত জড়তা আর বিব্রতবোধ বেধে ফেলেছে তাদের।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইনান বলে,
– বলেছিলাম তো কেয়ারফুল থাকতে। এখন কোনো বিপদ বা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তো তোমার বাপ দাদা চৌদ্দগুষ্ঠী আমায় একদম উড়িয়েই ফেলতো!
ইনানের কথা শুনে ত্রয়ী মুচকি হাসছে। দু’জনের শরীরে কাদা লেগে একাকার অবস্থা হয়ে গিয়েছে। একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা!
আবারও দু’জনে হাঁটা শুরু করে। এভাবে হাটতে হাটতে যেনো পথ শেষ হতে চাচ্ছে না। কথা বলা দরকার। কিন্তু কারোর মুখ ফুটেই কোনো কথা বের হচ্ছে না। ভেতর থেকে কোনো এক বাধা কাজ করছে। কিন্তু অজানা সেটা।
শুনশান নীরবতা। চারদিকেই শীতল হাওয়া বইছে।

কিছুক্ষন পর ইনান বলে,
-ত্রয়ী, একটা গান ধরো। দারুণ তো গাও শুনলাম সেদিন।
ত্রয়ী এক লজ্জামাখা প্রসন্ন হাসি দিলো। আর সেই সাথে যেন কিছু একটার সুযোগও পেয়ে গেলো,
-গান? আচ্ছা তো গান গাওয়ার জন্য আমি কী পাবো?
ইনান হেসে ফেলে। বলে,
– কী চাও বলো?
– আপনাকে চাই! বুঝেন না কেন এটা?
বিড়বিড় করে কথাটা বলে ত্রয়ী। ইনানের কান অবধি তাই কথাটা পৌঁছায় না। জিজ্ঞেস করে,
– কী?
ত্রয়ী কেশে বলে,
– আমম.. আপনার প্রেমিকার দর্শন করে তার ফুল বায়োডাটা জানতে চাই। অবশ্য দর্শন করানোর জন্য পিক দেখালেও চলবে।

গার্লফ্রেন্ডের কথা শুনে হেসে দেয় ইনান। এই এক প্রশ্ন, যেটার সম্মুখীন ওর প্রায় মেয়ের সামনেই হতে হয়! ও কিছুটা রহস্যময় সুরে বলে,
– অন্যদের এতো গোপন কথা জানতে হয় না, বুঝলে? বিশেষত সেটা যদি প্রেম ভালোবাসা নিয়ে হয়! জানানোর সময় হলে তো এমনেই জানবে সবাই।
ত্রয়ী কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়। ভাবে, তাহলে কি সত্যিই উনার গার্লফ্রেন্ড আছে? ভালোবাসেন কাউকে?

মুখটা একদম বাংলার পাঁচের মত বানিয়ে ফেলে। ইনানের বেশ লাগছে ত্রয়ীর এমন চুপসে যাওয়া মুখ দেখতে।
– কী হলো? গাইবে না গান?
ভেজা কন্ঠে বলে,
– আগে আপনার উনাকে দেখান। দেখি একটু আপুকে..
ইনান দাঁত খেলিয়ে একটা হাসি দিয়ে বলে,
– হেয়ালি করলাম। নেই তেমন কেউ।

ইনানের কথা শুনামাত্রই নিমিষেই ত্রয়ীর মুখে হাসির রেখা ফুঁটে উঠে। নিজের অজান্তেই কন্ঠে গান চলে আসে।

“এ পথ যদি না শেষ হয়,
তবে কেমন হতো তুমি বলো তো..
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়,
তবে কেমন হতো তুমি বলো তো..

কোন রাখালের ওই ঘর ছাড়া বাঁশীতে,
সবুজের ওই দোল দোল হাসিতে..
মন আমার মিশে গেলে বেশ হয়..
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়,
তবে কেমন হতো তুমি বলো তো..

নীল আকাশের ওই দূর সীমা ছাড়িয়ে,
এই গান যেন যায় আজ হারিয়ে..
প্রাণে যদি এ গানের রেশ হয়,
পৃথিবীটা যদি স্বপ্নের দেশ হয়,
তবে কেমন হতো তুমি বলো তো..

এ পথ যদি না শেষ হয়,
তবে কেমন হতো তুমি বলো তো!”
.
.
চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here