#ভালোবাসি_আমি_যে_তোমায়_২
#Sohani_Simu
৪.
চোখ খুলে দেখি আমি বিছানায় শুয়ে আছি।আমার একপাশে অ্যান্টি বসে আছে আর অন্যপাশে নির্ভীক বসে আছেন।অ্যান্টির পেছনে ইচ্ছে আমার পায়ের কাছে বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।অ্যান্টির হাতে ইন্জেকশনের সূচ দেখেই আমি লাফ দিয়ে উঠে বসে বললাম,
—কি করছো?কি করবা ওটা দিয়ে।আমি ইন্জেকশন নিব না।(ভয় পেয়ে)
ইচ্ছে হাসতে হাসতে বলল,
—তুই সব সময় লেইটে এন্ট্রি নিস বেহেনজি।ইন্জেকশন দেওয়া হয়ে গেছে এখন নাক ডেকে ঘুমা।
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,
–আমি কোথায়?কুকুরটা কোথায়?নির্ভীক ভাইয়া কেন এসেছে?
অ্যান্টি আমার মাথা নেড়ে বলল,
–তুই আমাদের বাসায়। কুকুর নিচে আছে।চাঁদ তোকে ঢাকায় রেখে আসবে।এবার খুশি তো তুই?
—কখন যাবো ঢাকায়?চাঁদ ভাইয়া এসেছে? (চিন্তিত হয়ে)
অ্যান্টি মুচকি হেসে বলল,
–এই তো চাঁদ তোর পাশেই আছে।
আমি অবাক হয়ে নির্ভীকের দিকে তাকিয়ে বললাম,
—আপনি চাঁদ ভাইয়া?আপনার নাম নির্ভীক না?
উনি মুচকি হেসে বললেন,
—হুম।
আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
–আপনিই চাঁদ ভাইয়া আর আপনিই নির্ভীক ভাইয়া?
–ইয়াহ।এখন কেমন লাগছে তোমার?(মুচকি হেসে)
—ভাল।(ভ্রু কুচকে)
—ঘুম পাচ্ছেনা?(চিন্তিত হয়ে)
–হুম।(হাই তুলে)
–ঘুমাও তাহলে।কাল তোমার সাথে কথা বলবো ওকে?(মুচকি হেসে)
–আপনি সত্যি অ্যান্টির ছেলে?আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না।অ্যান্টি কত ভাল আর আপনি কত রাগী। (বেডে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে)
অ্যান্টি বললেন,
–একদম খাঁটি কথা বলেছিস।আমারও বিশ্বাস হয়না ও আমার ছেলে নাকি হসপিটালে বাচ্চা চেন্জ হয়ে গিয়েছিল।সবাই বলে ছেলে একদম মায়ের মতো হয়েছে তাই জোড় দিয়ে কিছু বলতে পারিনা।(রাগী কন্ঠে)
ইচ্ছে মুচকি হেসে বলল,
–তাও ভাল সবাই নির্ভীক ভাইয়াকে তোমার মতো দেখতে বলে,অন্তকে তো সবাই কুড়িয়ে পাওয়া বলে।
অ্যান্টি আমার হাত নেড়ে বললেন,
–না না কুড়িয়ে পাওয়া নয় আমি নিজে ওর আম্মুর সিজার করেছি।তখন আমি ঢাকাতেই ছিলাম।ওকে যখন পেট কেটে বের করলাম ওর তো জীবনই ছিল না।আরও আগে সিজার করতে হতো।কত কি করে ওকে বাঁচাতে হয়েছে সেটা শুধু আমি আর আমার কলিগ ডক্টররাই জানেন।
অ্যান্টির কথা শুনে ইচ্ছে করছিল এগুলো রেকর্ড করে আমার আপু আর কাজিনদের শুনাই বিশেষ করে ওই এলিয়েনটাকে।এলিয়েনটা কোনদিন স্বীকার করেনা আমি আমার বাবা-মার সন্তান।রেকর্ড তো দূরের কথা আমি চোখই খুলতে পারছিনা।ঘুমে আমি নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি।অ্যান্টি আমার একবাহু ধরে ঝাকিয়ে বললেন,
–অন্ত ঘুমিয়ে গেলি?তোর রুমে গিয়ে ঘুমাবি চল।এটা তো চাঁদের রুম।
নির্ভীক বললেন,
–থাক এখানেই ঘুমোক আমি ভাইয়ার রুমে থাকবো।
তারপর উনি মনে হলো আমার হাত ধরলেন।বালিশ ঠিক করে আমাকে ভাল করে শুয়ে দিলেন।ওরা কথা ঠিকই বলে যাচ্ছে কিন্তু আমি কিছু বুঝতে পারছিনা।একটু পরই ঘুম গভীর হয়ে গেল।
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে আড়মোড়া ভাঙ্গাতেই খেয়াল করলাম আমি নিজের রুমে নেই।ধুরমুর করে বেড থেকে নেমে রুম থেকে বেড়িয়েই দেখি একটু দূরে আমাদের রুম থেকে ব্যাগ কাঁধে করে ইচ্ছে বেড়িয়ে আসছে।আমাকে দেখেই ইচ্ছে বলল,
—পিচ্চিপাখি ঘুম থেকে উঠে গেছে?(মুচকি হেসে)
—ছোটপাখি আমি।(ভাব নিয়ে ঘুম ঘুম কন্ঠে)
—হুম হুম সব পাখি তুই।জারিফ ভাইয়ার ছোটপাখি,আমার ভাইয়ার জানপাখি আর নতুন আমদানি হওয়া নির্ভীক ভাইয়ার পিচ্চিপাখি।(হাসতে হাসতে)
আমি রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললাম,
—পিচ্চিপাখি?সেটা আবার কি?সত্যি করে বলতো নির্ভীক ভাইয়াই চাঁদ ভাইয়া?যদি তাই হয় তাহলে চাঁদ ভাইয়া মোটেও ভাল নয়।
ইচ্ছে আমার পেছন পেছন রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল,
—অনেক ভাল।নির্ভীক ভাইয়ার সাথে কাল রাতে অনেক গল্প করেছি,উনি খুব ভাল।
আমি ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল খুলতে খুলতে বললাম,
—এক নাম্বারের খারাপ ছেলে।কাল কি করেছে জানিস?আমাকে জড়িয়ে ধরে কিস করেছে।(থমে থমে মুখ করে)
—কি বলছিস?কখন?আমি তো দেখলাম না,আমি ওখানেই ছিলাম।কুকুরের তাড়া খেয়ে সেন্সলেস হয়ে গেলি তারপর তো শুধু ঘুমালি।(অবাক হয়ে)
আমি ভ্রু কুচকে ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে বললাম,
—মানে?আমি তো নির্ভীক ভাইয়ার কাছে গেলাম আর উনি আমাকে…
—স্বপ্ন দেখেছিস তুই।এইরকম কিছুই হয়নি। আমি ওখানেই ছিলাম।ছিঃ ছিঃ জানু,তুই এইধরনের স্বপ্ন দেখিস?(আমাকে পুরোটা বলতে না দিয়ে)
আমি ভ্রু কুচকে ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।মনে মনে ভাবলাম এটা কি সত্যি স্বপ্ন ছিল?হুম সত্যিই হবে নাহলে ইচ্ছে মিথ্যে বলবে কেন কিন্তু আমি এইরকম একটা বিশ্রী স্বপ্ন কিভাবে দেখলাম?হাউ?ক্যাম্পাসে নির্ভীক থ্রেট দেওয়ার পর থেকে একটু টেনশন করেছি তাই হয়তো স্বপ্ন দেখেছি।হুম তাই হবে।আমি মুখ কাচুমাচু করে বললাম,
–মোটেও না,আমি কখনও এসব স্বপ্ন দেখিনা।কালকে একটু টেনশন করেছিলাম তাই হয়তো…
বলেই আমি ওয়াশ রুমে ঢুকে গেলাম।ফ্রেশ হয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য রেডি হলাম।নীল জিন্স আর সাদা রঙের গাউনের উপর নীল জ্যাকেট পরে ছোট একটা সাইড ব্যাগ নিয়ে গট গট করে হেঁটে সিঁড়ির কাছে আসতেই মনে পরলো চুল গুলো বাধা হয়নি আর লিপস্টিক ও দেওয়া হয়নি তাই আবার রুমে গেলাম।চুলে চিরুনি করে চুল খোলায় রাখলাম আর ঠোঁটে লাল লিপস্টিক দিয়ে নিচে চলে আসলাম।ডাইনিং টেবিলে সবাই নাস্তা করছে।আমাকে দেখেই অ্যান্টি খেতে ডাকলো।আমি আড় চোখে একবার নির্ভীকের দিকে তাকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্যদিকে তাকালাম কারন উনি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছেন।ইচ্ছে খেতে খেতে বলল,
—কিরে তুই এত সেজে ভার্সিটি যাবি?অ্যাসাইনমেন্টের খাতা গুলো নিসনি কেন?তোর গুলোও আমি লিখে দিয়েছি।লিখতে লিখতে হাত ব্যথা হয়ে গেছে হাত দিয়ে খেতেই পারছিনা দেখ।
আমি থম থমে মুখ করে বললাম,
—আমি এখন ঢাকায় যাবো।
অ্যান্টি আমার প্লেটে খাবার দিতে দিতে বলল,
—তোকে যেতে হবেনা।জারিফ আর তোর আম্মু আসছে।
আমি অনেক খুশি হয়ে বললাম,
—সত্যি আম্মু আসছে?কখন আসবে?আমার ফোন কোথায় গেল।
ব্যাগের মধ্যে থেকে ফোন নিয়ে ভাইয়াকে ফোন দিলাম। দ্রুত পায়চারি করছি আর ফোন কানে ধরে আছি।ভাইয়া ফোন তুলছে না।তিনবার রিং হওয়ার পর ভাইয়া কল রিসিভ করে বলল রাজশাহী আসতে ওদের রাত হবে।ওরা এখনও ঢাকাতেই আছে,বিকেলে ওখান থেকে রওনা দিবে।আমি মুখ ফুলিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসলাম।সবাই মুচকি হাসছে।অ্যান্টি চেয়ার টেনে আমার পাশে বসে বলল,
–কমলা আজকে তোর প্রিয় খিঁচুড়ি আর ডিম ভাজি করেছে।দেখ এখানে কত কালারিং সবজি দেওয়া আছে।এসবে অনেক পুষ্টি,তোকে কিন্তু সব খেতে হবে।
–ইয়াক এসব আমি খাইনা।(নাক ছিটকে)
–তুই তো একটুও সবজি খাস না।সবজি খেতে হবে।একটু একটু করে খেলেই অভ্যাস হয়ে যাবে।(আমার সামনে প্লেট দিয়ে)
ইচ্ছে খেতে খেতে বলল,
–জারিফ ভাইয়া থাকলে ভয়েই খেয়ে নিত এখন নেই তো তাই আল্হাদ হয়েছে।ভাইয়া আসলে আমি সব বলে দিব।লিস্ট করে রেখেছি সব।
আমি চোখ গরম করে ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে খেতে লাগলাম।সকালে খেতে আমার কোনো কালেই ভাল লাগেনা।ফ্যামেলির পাল্লায় পরে খেতে হয়।অ্যাঙ্কেল আর ইচ্ছে উঠে গেল ওদের খাওয়া শেষ।নির্ভীক আমার সামনেই বসে আছেন।বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছেন আর চুপচাপ খাচ্ছেন।আমি অল্প খেয়েই উঠে গিয়ে সোফায় ইচ্ছের পাশে বসলাম।নির্ভীক উঠতেই অ্যান্টি বলল,
—৬৪,২০০ টাকা দিয়ে দুপুরের খাবার খাবি নাহলে এই বাসায় তোর খাওয়া বন্ধ।
—কেন আমি আবার কি করলাম?(বেসিনে হাত ধুতে ধুতে)
—ভুলে গেলি?সেদিন বাবা ছেলে ঝগরা করে আমার সাধের কাচের ডাইনিং টেবিল টা ভেঙ্গে ফেললি আর কাল ফিরে এসে ফুলদানি টা ভাঙলি।টেবিলের ৬০,০০০ আর ফুলদানি ৪,২০০ টাকা ভালই ভালই আমাকে দিয়ে দিবি।(রাগী কন্ঠে)
নির্ভীক এসে আমার পাশে বসে সোফায় হেলান দিয়ে অ্যান্টির দিকে তাকিয়ে বললেন,
—আমাকে বলছো কেন তোমার বরকে বলো।তোমার বরের জন্যই তো সব হয়েছে।
অ্যাঙ্কেল পেপার রেখে চোখ কটমট করে নির্ভীকের দিকে তাকিয়ে অ্যান্টিকে বললেন,
—ওকে বলে দাও আমি আমার মত চেন্জ করেছি।আমি হানিফকে একমাস আগেই না করে দিয়েছি।
নির্ভীক চোখ বন্ধ করে বললেন,
–আজকেই আবার হ্যা করে দিবা নাকরলে বউকে ভুলে যাও।আম্মুকে নিয়ে আমি এখান থেকে চলে যাবো।
অ্যাঙ্কেল হাতের পেপার সামনের টেবিলে রেখে বললেন,
–দেখেছো তো বাবার কথা না শুনলে কেমন পস্তাতে হয়?হানিফকে আমি আরও ভাল করে না করে দিব।
আমি ভ্রু কুচকে অ্যাঙ্কেলের দিকে তাকিয়ে বললাম,
–বাবার সাথে কি হয়েছে অ্যাঙ্কেল?
–কই কিছু নাতো।আমি ভার্সিটিতে যাচ্ছি। তোমরা কি আমার সাথে যাবে?গেলে আসো।(সোফা থেকে দাঁড়িয়ে)
অ্যাঙ্কেল যেতেই ইচ্ছে আমার কাঁধে হাত রেখে বলল,
—চল যাই,লেইট হয়ে যাচ্ছে।
—যাবোনা।(মুখ মলিন করে)
নির্ভীক ভ্রু কুচকে বললেন,
–কেন?
আমি কিছু না বলে উঠে রুমে চলে গেলাম।জুতো খুলে কম্বলের মধ্যে ঢুকে ফোনে গেইমস খেলতে লাগলাম।একটু পরই দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ হতেই চোখ তুলে তাকিয়ে দেখি নির্ভীক।আমি তাকাতেই উনি মুচকি হেসে ভেতরে এসে পড়ার টেবিল থেকে চেয়ার টেনে বেডের পাশে বসে বললেন,
—কি করছো পিচ্চি?নিচে আমার সাথে কথা বললা না কেন?
—আমি পিচ্চি?(ভ্রু কুচকে)
–অফকোর্স পিচ্চি।পিচ্চি নাহলে কেউ এরকম করে?(মুচকি হেসে)
—কি রকম করি?(উনার দিকে তাকিয়ে)
—আসার পর থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য কাঁদছো।পাঁচ বছরের বাচ্চারাও আজকাল বাবা-মাকে ছাড়া অনায়াসে যেখানে সেখানে গিয়ে থাকতে পারে কিন্ত তুমি পারছোনা। তুুমি কত পিচ্চি বুঝতে পারছো?
–আমি পিচ্চি নই।(ফোনের দিকে তাকিয়ে)
–তুমি অবশ্যই একটা পিচ্চি।একদম ছোট বাবু।(হাসতে হাসতে)
আমি রাগী চোখে উনার দিকে তাকালাম।উনি ইনোসেন্ট মুখ করে বললেন,
–তোমাকে এখন সাদা বিড়াল ছানার মতো লাগছে।পিচ্চি বিড়াল ছানা।
–আর আপনাকে ডাইনোসরের মতো লাগছে।কত্ত বড় আপনি আল্লাহ্!!(হেসে)
উনি উঠে গিয়ে টেবিল থেকে আমার খাতা হাতে নিয়ে দেখতে দেখতে বললেন,
–ডাইনোসর?নট ব্যাড।
সেই শুরু।তারপর উনার সাথে কথা বলতে বলতে অপরিচিতির দেয়ালটা টিকটিকির লেজের মতো কখন যে টুপ করে খসে গেল লক্ষ্যই করিনি।পুরো সকাল উনার সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিলাম।উনার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম উনি রুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্সে এম.এস. করছেন।উনার সাথে লম্বা,ফর্সা যেই ভাইয়াটা থাকেন উনার নাম প্রান্ত।নির্ভীক আর প্রান্ত ভাইয়া বেস্ট ফ্রেন্ড।
রাতে আম্মু আর ভাইয়া আসলো।আমি আম্মুকে জড়িয়ে ধরে সোফায় চুপ করে বসে আছি।আম্মু সবার সাথে কথা বলছে।একটু দূরে নিচতলার বেলকুনিতে বেতের চেয়ারে বসে নির্ভীক আর জারিফ ভাইয়া বসে কথা বলছে।ওখানে গ্লাস লাগানো আছে জন্য ওদের দেখা যাচ্ছে কিন্তু কি গল্প করছে কিছু শোনা যাচ্ছে না।জারিফ ভাইয়া নির্ভীক ভাইয়ার সাথে কথা বলছে, নির্ভীক ভাইয়া অল্প কথা বলছেন আর মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকাচ্ছেন।আমি তখন চোখ সরিয়ে নিচ্ছি।একটুপর আবার উনার দিকে তাকাচ্ছি আর ভাবছি উনি এত সুন্দর কেন?উনার পুরো মুখটাই একদম শার্প।যেমন নাক সুন্দর,তেমন চোখ,চুল,গাল,ঠোঁট,গলা,গলার ওই উচু হার।এত সুন্দর কি করে?রহস্য কি?আর শীতের পোষাক না পরে শুধু একটা ছাই কালার টিশার্ট পড়ে কেমন করে বেলকুনিতে বসে আছেন উনি?উনার কি শীত করছেনা?আমি তো দুটো সোয়েটার পরে আছি।অবশ্য আজকে কেউ সোয়েটার পরেনি কারন আজকে শীত একটু কম।শীতের সময় যত রাজ্যের শীত সব আমার কাছে আসে আর গরমের সময় গরমে আমি অস্থির হয়ে যায়।ভাইয়া ঠিকই বলে আমি একটুও মানিয়ে চলতে পারিনা।আমার একটু ট্রাই করা উচিত।কাল থেকে না হয় করব।ভেবেই মুচকি হেসে আরও শক্ত করে আম্মুকে জড়িয়ে ধরে চোখবন্ধ করে থাকলাম।
চলবে………..