#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ৩১
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
দেখতে দেখতে দুইদিন সময় পার হয়ে গেলো, গতকাল লুসেফারের সাথে গিয়েছিলাম সিলভার লোটাসে। এনার সাথে ঠিক মতো এখনো কথা হয় নি। ওর রাগ কিছুতেই ভাঙাতে পারি নি আমি। হালকা কিছুটা কথা বলেছিলো যখন আমি ওকে একটু জোর করেছিলাম। তারপরও ফরমালিটি নিয়ে। আসলে এনা আমি ডেভিল কিং সেটার জন্য তেমন রাগ করে নি যতটা করেছে এই বিষয়টা ওর থেকে লুকানোর জন্য। ভালোবাসার মানুষের কাছে যদি নিজের বাস্তব লুকিয়ে রাখতে হয় তাহলে সেটা ভালোবাসা কিভাবে হলো। এটুকুই ওর কথা ছিলো। এর থেকে বেশী কিছু ওর থেকে বের করতে পারি নি। যায়হোক অনেকটা হতাশা বুক ভরা কষ্ট নিয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডে এসে আমি ইচ্ছা মতো ঘুম দিয়েছি। ঘুমের মধ্যেও আমি শান্তি পাচ্ছিলাম না। যেহেতু স্বপ্নের রানী তার দুনিয়াতে নেই তাই অনেক আজব আজব স্বপ্ন আমি দেখছিলাম।
।।
।।
এখন উঠে আমি ভিরুকে নিয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডে উড়তে লাগলাম। আন্ডারওয়ার্ল্ড মূলত মাটির নিচে। এটা ঠিক মনস্টার দুনিয়ার যে গ্রহটা রয়েছে সেটার মাঝখানে অবস্থিত। তাই আন্ডারওয়ার্ল্ডের চারিদিকে রয়েছে গলিত লাভা। বাইরে থেকে ম্যাজিকের সাহায্য ছাড়া এখানে কেউই ঢুকতে পারবে না। কিন্তু এনার সাথে আমার একটা কন্ট্রাক্ট হয়েছে, সেটা হলো যুদ্ধের পরে আমাকে আন্ডারওয়ার্ল্ড খুলে দিতে হবে ওদের জন্য। পাঁচ রাজ্যের সবাই আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করতে পারবে, আবার আন্ডারওয়ার্ল্ডের সবাই পাঁচ রাজ্যে নিজ ইচ্ছা মতো প্রবেশ করতে পারবে, কিন্তু বিষয় টা আমার তেমন ভালো মনে হচ্ছে না। আন্ডারওয়ার্ল্ড যদি এরকম করে তাহলে মনস্টার দুনিয়ায় ছয়টা রাজ্য থাকবে বলে সবাই মনে করবে। এখন এমনিতেই আন্ডারওয়ার্ল্ডকে সবাই আলাদা একটা দুনিয়ার চোখেই দেখে, কারন এটা সব দুনিয়ার থেকে আলাদা একটা জায়গায় আছে, এবং আমি না চাইলে কিছু সংখ্যক লোক বাদে এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
।।
।।
যাইহোক অনেক হলো আলাপ। আমি ভিরুর পিঠে দাড়িয়ে উড়ে যাচ্ছিলাম হ্যারির কাছে। হ্যারিকে আজকে আমার পঞ্চম জেনারেল হিসাবে ঘোষনা করতে হবে। মূলত ডেভিলদের কাউকে সে তার সেনা হিসাবে পাবে না। তার মূল সেনা সবসময় মনস্টার দুনিয়ার পাঁচ রাজ্য থেকে আসা লোকজনই হবে। যাইহোক আমি একটা ভাঙা স্টুডিয়াম এর উপরে এসে থামলাম। এখানেই হ্যারির ট্রেনিং চলছে। ডেভিলদের একটা জিনিস আমার খুব ভালো লাগে। ডেভিল কিং যত শক্তিশালী হবে তার জেনারেল, সেনা ততই বেশী শক্তিশালী হবে। এদের সব শক্তি মূলত ডেভিল কিং থেকেই আসে। ডেভিল কিং যদি মারা যায়, তাহলে সকল ডেভিলরা সাধারন মনস্টারই হয়ে যায়। ডেভিলরা ও এক ধরনের মনস্টার। তবে সকল মনস্টার থেকে ডেভিলরা অনেক শক্তিশালী হয়। তাদের ম্যাজিকাল ক্ষমতাও বেশী হয়ে থাকে। আমি নিচে দেখতে পেলাম হ্যারি দশ বারো জন ডেভিলদের সাথে লড়ছে। আগের থেকে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ওর তলোয়ার চালনোর ভঙ্গিও অনেক উন্নত হয়েছে। আমি ওদের লড়াই এর মধ্যে প্রবেশ করলাম। এক পাশে ক্যারেন, আফরিয়েল, আর জেসি বসে বসে গল্প করছে৷ আমি এখানে আসছি হয়তো ওরা সেটা লক্ষ করে নি। আমার সকল ক্ষমতার মধ্যে একটা ক্ষমতা হলো আমি দূরের জিনিস খুব কাছে দেখতে পারি। এটার জন্য কোনো স্পেলের প্রয়োজন হয় না। শুধু তাই না দূরে কেউ কিছু কথা বললেও সেটা শুনতে পারি সহজে। দুইটা পাওয়ার লড়াই এর জন্য বেশ উপযোগী। শত্রুকে দূর থেকেই সঠিক ভাবে আঘাত করা যায় এইটার মাধ্যমে, যায়হোক আমাকে দেখে সবাই কুর্নিশ করলো আমাকে।
.
–তোমার ট্রেনিং কিছুটা কাজে দিয়েছে বলতে হবে হ্যারি।(আমি)
.
–মাই কিং, ধন্যবাদ আপনাকে। আমি আমার সম্পূর্ন চেষ্টা করবো।(হ্যারি)
.
–হ্যারি, একটু পরেই যুদ্ধের ময়দানে যেতে হবে আমাদের। তাই বেশী সময় নেই আমাদের। তুমি প্রস্তুত আমার জেনারেল হওয়ার জন্য?(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং।(হ্যারি)
।।।
।।।
হ্যারি হাটু গেড়ে বসলো আমার সামনে। আমি ওর কপালে হাত দিলাম। এবার ওকে বলতে লাগলাম,
.
–হ্যারি অদ্রি, আমি জ্যাকসন ব্রিট, ডেভিল কিং, তোমাকে আজ থেকে আমার পঞ্চম জেনারেল বানাচ্ছি।(আমি)
।।।
।।।
আমার কথাটা বলার সাথে সাথে আমার শরীর থেকে একটা কালো ধোয়া হ্যারির শরীরে ঢুকলো। আর তাতে করে হ্যারির ডানা পিছনে আস্তে আস্তে ডানা বারতে লাগলে। মূলত ডেভিল জেনারেলদের দশটা ডানা থাকে। যেহেতু হ্যারি আমার চার জেনারেলের কেউ না, তাই তার পিঠে দশটা ডানা হলো না। বরং ছয়টা ডানা হলো। এখন যদি চার জেনারেলের মধ্যে কেউ একজন মারা যায় তাহলে ওর পিঠে দশটা ডানা হবে, এবং পুরো জেনারেলের ক্ষমতা পাবে। এখন একজন জেনারেলের পাঁচ ভাগের একভাগ শক্তি হয়েছে তার।
এতোক্ষনে জেসি আমাকে লক্ষ করেছে। জেসি, ক্যারেন আর আফরিয়েল এই দিকেই আসছে।
.
–হ্যারি আমি তোমাকে আদেশ করছি এখনি সিলভার লোটাসে যাও। তোমার বাবার সেনা থেকে একশোজন ভালো সেনা সাথে করে নিয়ে যাও।(আমি)
.
–ইয়েস, মাই কিং। আমি এখনি রওনা দিচ্ছি।(হ্যারি)
।।
।।
হ্যারি আর দেরী করলো না। ও সাথে সাথে উড়ে গেলো। হয়তো লুসেফারের সাথে দেখা করবে। আমি জানি না এখনো, যুদ্ধ কোথায় হবে। কিন্তু সেনা তো রেডী রাখতে হবে। জেসি আমাকে বলতে লাগলো,
.
–শুনলাম তুই নাকি মেয়েদের কিডন্যাপ করা শুরু করেছিস।(জেসি)
.
–কি বলছিস আমি কিডন্যাপ করবো কেনো?(আমি)
.
–এইযে আমাকে।(আফরিয়েল)
.
–ওকে তো স্বপ্নের রানীকে বাচাতে এনেছিলাম। কিন্তু সেটার পরে তাকে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছি কিন্তু সে যায় নি।(আমি)
.
–এনা এই ব্যাপারে শুনলে কি করবে আমি সেটা ভাবছি। এমনিতেই ওর সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে, ভিশন রেগে আছে।(জেসি)
.
–তোর কথা হয়েছে ওর সাথে?(আমি)
.
–হ্যা। ম্যাজিক কলের মাধ্যমে কথা বলেছি। আর ওর কথা শুনে মনে হলো অনেক রেগেই আছে।(জেসি)
.
–আমার থেকে বেঁচে গেছো ভাইয়া, কিন্তু এখন যে এই এন্জেলকে এখানে এনে ভুল করেছো।(ক্যারেন)
.
–দেখ আমার প্রিন্সেসকে অনেক ভালো লেগেছে, এনাকে কিভাবে বুঝাবি আমি জানি না। যেহেতু তোর জন্য আমার ঘাড়ে একটা সতিন এসেছে তাই তোকে আমি খালি রাখতে চাই না। এনা আর আফরিয়েল দুইজনকেই আমি ভাবী হিসাবে চাই। না মানলে আমি এনাকে এমন কিছু বলবো যে তোর ভালোবাসা একদম চুরমার হয়ে যাবে।(জেসি)
.
–তুই আমার আপন বোন তো?(আমি)
.
–কেনো? ক্যারেনকে আমার ঘাড়ে দেওয়া সময় সেটা মনে ছিলো?(জেসি)
.
–ঔটা তো এক্সিডেন্ট ছিলো।(আমি)
.
–আমি কিছু শুনতে চাই না। কি করবি সেটা আমি জানি না। কিন্তু আমি ভাবী হিসাবে দুইজনকেই চাই। তাতে যদি তোর এন্জেল দের সাথে যুদ্ধ করতে হয় তাতেও কোনো সমস্যা নাই।(জেসি)
.
–তুই ওর সামনেই এগুলো বলতেছোস কেনো?(আমি)
.
–আমার কোনো সমস্যা নাই? আপনার সাথে দেখা করার পর থেকে আমার আপনার প্রতি অনেক ভালো ধারনা হয়ে গেছে। আর হ্যাভেন এর রানী আমি কখনো হতে পারবো না, যেহেতু আমি ডেভিল কিং এর দ্বারা কিডন্যাপ হয়েছি আমি যতই নিষ্পাপ হয় না কেনো এখন হ্যাভেনে গেলে আমি কখনো রানী হতে পারবো না। সেটা আমার দুই বোনের একজন হবে। আমার মর্যাদাও সেখানে অনেক কমে যাবে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।(আফরিয়েল)
.
–যেহেতু আপনি আমাকে এখানে এনেছেন। আর আমার মর্যাদায় দাগ লাগিয়ে দিয়েছেন হ্যাভেনে। তাই আমি এখান থেকে যেতে চাই না। আমি আপনার রানী হতে চাই। অবশ্য না আপনি বলতে পারবেন না। এনা কে সেটা আমি প্রিন্সেস জেসির কাছ থেকে শুনেছি, আমি আপনাদের মধ্যে আসতে চাই না। শুধু আপনার মনে একটু জায়গা চাই।(আফরিয়েল)
.
–দেখ রাজি না হলে আমি ওকে নিয়ে সোজা এনার কাছে চলে যাবো। আর তখন কি হবে সেটা তো বুঝতে পারতেছোস?(জেসি)
.
–তুই আমার আর এনার মধ্যে পরলি কেনো?(আমি)
.
–আগে বল তুই কেনো আমার আর হ্যারির মধ্যে পরলি?(জেসি)
.
–সেটা তো এই বাচ্চার কাজ।(আমি)
.
–ঔ আমি বাচ্চা না একদম।(ক্যারেন)
.
–ওকে বাচ্চা বলতেছিস কেনো? তোর একদম ছোট বোন ও।(জেসি)
।।।
।।।
আমার মনে হয় ক্যারেন জেসির উপরেও ওর ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। নাহলে জেসির সাথে ক্যারেনের এতো ভাব সেটা মানা যায় না। যায়হোক ক্যারেন চুপ চাপই রয়েছে। কারন ও নিজে এখন খারাপ বোধ করে ওর কাজের জন্য। হয়তো মেয়েটা আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে জেসির সাথে থেকে। যায়হোক আমি ওদের থেকে ভাবার জন্য কিছু সময় চেয়ে নিলাম,
.
–আচ্ছা আমাকে ভাবতে দে।(আমি)
.
–এতে আবার ভাবার কি আছে?(জেসি)
.
–আজকে যুদ্ধে যেতে হবে। আর আমি এখন এসব আজে বাজে ভাবনা মাথায় আনতে চাই না।(আমি)
.
–যুদ্ধে যাবে আজ? সেটা তো আমাদের আগে বলো নি ভাইয়া?(ক্যারেন)
.
–আমিও সাথে যাবো তোর।(জেসি)
.
–না আমার আদেশ তোরা তিনজন আন্ডারওয়ার্ল্ডেই থাকবি।(আমি)
.
–কিন্তু।(জেসি)
.
–কোনো কিন্তু না। আমার কথা না শুনলে আমি একটা রুমে তোদের লক করে দিবো।(আমি)
.
–হ্যারিও যাবে তাহলে?(জেসি)
.
–হ্যা। চিন্তা করিস না। ওর কিছু না হবে না।(আমি)
.
–হারামী, আমি ওর চিন্তা করছি না। আমার তোর চিন্তা হচ্ছে। ওকে বলা দরকার তোর খেয়াল রাখতে।(জেসি)
.
–আরে আমার কিছুই হবে না। তোরা কোনো চিন্তা করিস না।(আমি)
.
–প্রমিস কর।(জেসি)
.
–হ্যা বাবা প্রমিস।(আমি)
.
–আচ্ছা।(জেসি)
.
–জ্যাকসন সময় হয়ে গেছে। আমাদের যেতে হবে।(ভিরু হঠাৎ নিচে নেমে বললো)
.
–ঠিক আছে ভিরু চলো যায়।(আমি)
।।।
।।।
আমি এক লাফ দিয়ে আবারো ভিরুর পিঠে চরলাম। ভিরু আমাকে নিয়ে সোজা প্রাসাদের দিকে যেতে লাগলো, জেসিদের জন্য একটা কালো রথ আছে। সেটাই করে ওরা প্রাসাদে যাবে। প্রাসাদের সামনে আমার সমস্ত সৈন্য দাড়িয়ে রয়েছে। আমি সবার সামনে ভিরুর পিঠ থেকে নামলাম। সবাই আমাকে কুর্নিশ দিয়ে সম্মান জানালো।
.
–মাই কিং, লোকি মনস্টার দুনিয়ায় আক্রমন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।(অর্নিজ)
.
–ওরা কি আন্ডারওয়ার্ল্ডে আক্রমন করবে না?(আমি)
.
–আমার মনে হয় না ওরা আন্ডারওয়ার্ল্ডে আক্রমন করবে। বরং ওরা বাকি পাচ রাজ্যে আক্রমন করবে।(থর)
.
–তাহলে তো আমাদের এখনি সেখানে যাওয়া উচিত।(আমি)
.
–লোকির সেনারা সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। ওরা আক্রমন করছে না। ওদের ডিম্যান্ড হলো আপনি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করলেই ওরা আক্রমন করবে।(লুসেফার)
.
–আমি যতদূর জানি লোকি এই পুরো এগারো দুনিয়ার মধ্যে সবথেকে চালাক এবং মিথ্যাবাদী। ও আক্রমন করছে না এর মানে কিছু একটা ঠিকই প্লান করে রেখেছে ও।(থর)
.
–আমাদের সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। অর্নিজ, লুইস, লুসেফার, কর্ডিজ যুদ্ধের সেনাদের সকল ভার আমি তোমাদের উপর দিচ্ছি। নিজেদের সেনাদের সঠিক ব্যবহার করবেন। যুদ্ধের সম্পর্কে আমার তত জ্ঞান নেই যততা আপনাদের আছে, তারপরও যুদ্ধক্ষেত্রে আপনাদের মতামত দিবেন আমাকে।(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং।(চার জেনারেল)
.
–তাহলে চলুন যুদ্ধের ময়দানে যাওয়া যাক।(আমি)
।।।
।।।
আমি এতো সেনাকে টেলিপোর্ট করতে পারবো না। কিন্তু আন্ডারওয়ার্ল্ড গেইটের ব্যবহার ঠিকই করতে পারবো। গেটের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে পৃথিবী এবং মনস্টার দুনিয়ার যে কোনো জায়গায় যেতে পারবো। আর গেটের সাহায্যে যাতায়াত খুব সহজও হয়। শুধু সমস্যা একটু সময় প্রয়োজন এতো লোকের গেইটের সাহায্যে কোথাও যেতে হলে।
।।
।।
আমি বিরাট একটা গেট খুলে ফেললাম ঠিক যুদ্ধের ময়দানে। জায়গাটা সকল রাজ্য থেকে অনেক দূরে। এখানে যুদ্ধ করলে আশে পাশের কোনো রাজ্যতেই হয়তো কোনো ক্ষতি হবে না। তারপরও বলা যায় না। প্রথমে গেইট দিয়ে আমি বের হলাম। আন্ডারওয়ার্ল্ডের গেইটের একটা সুবিধা। যদি আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে গেট ব্যবহার করা হয়, তাহলে নিজেকে হেটে গেইটের মধ্যে যেতে হয় না, বরং গেইটই সবার কাছে আসবে এবং অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে। এখানে ঠিক তেমনি হচ্ছে সকল সৈন্যরা দাড়িয়ে ছিলো কিন্তু গেইট আস্তে আস্তে তাদের যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে আসছে। আমাদের ডান পাশে দাড়িয়ে আছে পাঁচ রাজ্যের সেনা। আর বাম পাশে আমরাই এসেছি। ভাবলাম প্রথমে পরিস্থিতি বুঝে নিবো তারপর আক্রমন করবো। কিন্তু না লোকির ড্রাগন সেনা গুলো আমাদের সকল ডেভিল সেনাদের উপর আক্রমন শুরু করলো। তারা মুখ দিয়ে আগুন মারছিলো। যেহেতু এটা হঠাৎ ছিলো তাই বেশী কিছু করে উঠতে পারি নি। অনেক সেনা গুরুতর আহত হলো। আবার অনেকে মারাও গেলো। হয়তো লোকি এগুলো আগে থেকেই প্লান করে রেখেছে। এমনিতেও লোকি যদি আমাদের ডেভিল সেনাদের হারাতে পারে তাহলে এমনিতেই যুদ্ধ ওরা জিতে যাবে। কিন্তু আমরাও এতো সহজে হার মানছি না।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য।