ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৬৬(শেষ)

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৬৬(শেষ)
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি লোকি এবং ডেভিল কিং নিয়ে অনেক দূরে ফেলে আসলাম। কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত তারা আমার এই নতুন তৈরী এট্রিবিউটের মাঝে জ্বলবে এবং হিল হবে। তারপর একাই ফায়ার ওয়াটার এর বিশাল বলটা যেটা এখন একটা গ্রহের আকার ধারন করেছে সেটা শেষ হয়ে যাবে। যদি ততদিন লোকি এবং ডেভিল কিং বেচে যায় তাহলে সেটা তাদের ভাগ্য। আমি তাদেরকে অনেক দূরে আমাদের গ্রহ থেকে অনেক দূরে পাঠিয়ে দিলাম। যেখান থেকে তারা আমাদের গ্রহে আসার ঠিকানা খুজে পাবে না যদিও ঔ স্পেল থেকে বেচে যায়। আমি তাদেরকে পাঠিয়ে দিয়ে সোজা চলে আসলাম আমাদের গ্রহতে। সোজা আমাদের রাজ্যে চলে গেলাম। আপাতোতো আমাদের রাজ্যের সবাই এখানে তো আছেই, আরো যারা যুদ্ধে আহত হয়েছে তাদেরকেও আনা হয়েছে। আমি আস্তে আস্তে উপর থেকে নিচে উড়ে নামছিলাম। আমার পিছনে বিশটা ডানা রয়েছে, যেগুলোর পালক গুলো ছড়িয়ে থাকার ফলে পুরো অন্যরকম লাগছে আমাকে। সবাই আমাকে দেখার সাথে সাথে হাটু গেড়ে সম্মান জানালো। কিন্তু আমি তাদেরকে টেলিপ্যাথিক ক্ষমতায় জানিয়ে দিলাম সম্মান আমাকে নয়, বরং আমার জায়গায় রানী এলিহা এবং রানী এলিনাকে সম্মান দিতে। কারন যুদ্ধের প্রধান হিরো তারাই।
।।।
।।।
অবশ্য পুরো দুনিয়া পাওয়ার পরও আমি যত্মবেশী থাকাটায় বেশী পছন্দ করি। জিনিসটা ততোটাও খারাপ না। যেখানে পুরো একটা রাজ্য ভাবে তাদের রাজা কিংবা রানী কন্ট্রোল করে। কিন্তু সেখানে আসল কথা বলতে আমি নিজেই পুরো রাজ্যের রাজা এবং রানীকে কন্ট্রোল করি। আজ এক বছর সময় অতিবাহিত হয়েছে। এর মাঝে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন আর বেশ কয়েকটা রাজ্য নেই, বরং একটা রাজ্য যেটাকে শাসন করে দশজন। টেন টেবিল নাম দেওয়া হয়েছে নতুন রাজ্যকে। যেখানে দশটা সিট রয়েছে রাজ্য প্রধানের। দশজনের মধ্যে রয়েছে এলিনা, এলিহা, হ্যারি, জেসি, এলেন, এলিন, লুইস ইকারেস, থর এবং শেষ মেষ ড্রাকুলা। তাদের দশজনকে বলা হয় টেবিল অফ টেন। মানে দশজনের টেবিল। তাদের কোনো অংশ বিভক্ত করে দেওয়া নয়। বরং দশজনই একসাথে পুরো রাজ্য পরিচালনা করে। পুরো বিশাল জায়গাটা এখন একটা রাজ্য হয়ে গিয়েছে। টেবিল অফ টেন এর মধ্যে পাঁচটা সিট জনগনের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। এবং পাঁচজন সিট শক্তির মাধ্যমে। মানে পাঁচজন জনগনের সাপোর্টের মাধ্যমে রাজ্য প্রধান হতে পারবে। এবং পাঁচজন তাদের শক্তি দিয়ে রাজ্য প্রধান হতে পারবে। রাজ্যের সকল সিদ্ধান্ত এই দশজনই নিয়ে থাকে। তবে তাদের মধ্যেও ভোট হয়, কোনো কাজ করার আগে সেটায় ভোট হয়। যদি দশজনের মধ্যে বেশীজন সমর্থন করে কাজটায় তাহলে হবে নাহলে না। এখন আর প্রতিটা রাজ্যের মধ্যে দূরত্ব নেই যেমনটা আগে ছিলো। প্রতিটা শহর একত্রিত করা হচ্ছে। আমাদের মার্ডিলা এখন নতুন রাজ্যের ক্যাপিটাল। হিমরার, ইগড্রোলিয়া, এ্যালকোর্ট, এ্যারসাক তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়ে এখন মার্ডিলার আশে পাশে এসে নিজেদের শহর বানাচ্ছে, যেখানে তারা সুন্দর মতো থাকতে পারবে।
।।।
।।।
রাজ্যের প্রধান ম্যাজিক প্রফেসর আমার আম্মা। যে কিনা সব বৈজ্ঞানিক জিনিস আবিষ্কার করেই না শুধু। সেই জিনিস এর মধ্যে ম্যাজিকাল জিনিসও আছে। তার নিজের তৈরী একটা স্পেল আছে, যেটার নাম ফ্লাইট। এটার মাধ্যমে যারা এয়ার এট্রিবিউট এর তারা খুব সহজেই উড়তে পারবে কোনো ডানা ছাড়ায়। অবশ্য এটা আমি অনেক আগে তাকে দেখেছিলাম ব্যবহার করতে। তবে এখন সে এটা সকল এয়ার এট্রিবিউট দের শিখানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। যেটা অনেক অন্যতম চয়েজ। দুনিয়া খুব ভালো ভাবে চলছে। কিন্তু সেই সময়ে মাংকি কিং এর সাথে করা কন্ট্রাক এর কথা আমার মনে পরে গেলো। বিষয়টা আরো অনেক আগে মনে করার কথা ছিলো, কিন্তু দুনিয়ার মায়ায় সেটা ভুলে গিয়েছি। অবশ্য মায়া আমার দুনিয়ার না। এলি এবং এনা দুজনের মায়ায় বানরের কথা ভুলেই গিয়েছি। যেটার ফল এক মাস যাবৎ আমি বুঝতে পারছি। আমার অস্তিত্ব আস্তে আস্তে মুছে যাচ্ছে, যেটা একমাস হলো বুঝতে পারছি। আমি অনেকটা ভূতের মতো হয়ে গেছি। প্রথম একসপ্তাহ ব্যাপারটা খারাপ না হলেও শেষে ব্যাপারটা অনেক খারাপ হয়ে গেছে। এখন তো এলি এবং এনাও আমাকে লক্ষ করে না। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম। আমি যদি রাস্তায় নাচানাচিও করি তাহলে কেউ আমাকে লক্ষ করবে না, কারন আমার অস্তিত্ব আস্তে আস্তে মুছে যাচ্ছে। অনেকটা ভূতের মতো হয়ে গিয়েছি আমি। কাউকে ডাক দিলেও সে শুনতে পায় না যদি না তাকে স্পর্শ করে ডাক দেই। মাংকি কিং আমাকে বলেছিলো তার কন্ট্রাকের কথা ভুলে গেলে খারাপ কিছু হবে। কিন্তু আমি এরকম আশা করি নি। একটু আগেই সকাল হয়েছে, আমি এলি এবং এনার সাথেই শুয়ে ছিলাম। কিন্তু সকালে উঠে যাওয়ার পর থেকে আমি অনেকটা এরকম হয়ে গেছি যে তারা আমাকে রুমের মধ্যে দেখতেই পাচ্ছে না। প্রথমে আমার মনে হচ্ছিলো সবাই আমাকে ইগনোর করছে, কিন্তু ড্রাকুলার মতো আমারও ট্যালিপ্যাথি ক্ষমতা রয়েছে এখন। যেটার মাধ্যমে আমি বুঝতে পেরেছে কেউ আমার দিকে লক্ষই করে না। কারো মনে আমার কথা উল্লেখই হয় না। যেরকম দিন যাচ্ছে তাতে আমার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। এক সপ্তাহ হলো জেসি এবং হ্যারির বিয়ে হয়েছে, যেখানে পুরো রাজ্যকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু আমার বেস্টফ্রেন্ড হ্যারি এবং আমার বোন জেসি একবারের জন্যও আমার সাথে কথা বলে নি। আমি চেয়েছিলাম দুনিয়া থেকে আড়াল হয়ে থাকতে, কিন্তু এরকম আড়াল নয়। বাইরের সবার সাথে আমার চেনাজানা লোকজনও আমার আমাকে ইগনোর করছে এ বিষয়টা আমার খারাপ লাগছে। এলি এবং এনার ক্ষেত্রে তাদের শরীরে স্পর্শ করে যতক্ষন তাদের সাথে কথা বলবো তারা আমাকে লক্ষ করতে পারে, কিন্তু কিছুসময়ের জন্য তাদের মাথা থেকে আমার কথা চলে গেলেই তারা আমাকে আর লক্ষ করে না। আমি দিন দিন একটা ভূতের মতো জীবন যাপন করতে লাগলাম। বিষয়টা আর বেশীক্ষন আমি নিতে পারছি না। তাই বইয়ের মাঝেও ঢোকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিভাবে ঢুকবো সেটা বুঝতে পারি নি। তখন মৃতের মতো অবস্থায় চলে যাওয়ার জন্য হয়তো আমি এই বইয়ের মধ্যে প্রবেশ করতে পেরেছিলাম, কিন্তু এবার কিভাবে করবো সেটা জানি না। তাই আমি অপেক্ষা করছি। হয়তো শীঘ্রই আমার স্পর্শেও কাজ হবে না কিংবা এমনও হতে পারে আমি কাউকে স্পর্শই করতে পারবো না। তখন আমার পুরো অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে। দুনিয়ার কারো মনে আমার কোনো স্মৃতিই তখন থাকবে না। আমি এই মানসিক অশান্তিকে দূর করার জন্য ভ্রমনে বের হয়ে গেলাম। যেটার মাধ্যমে হয়তো কিছুটা মানষিক শান্তি আমি পাবো।
।।।
।।।
ছয় মাসের ভ্রমনের পরে আমি যখন রাজ্যে ফিরে আসলাম তখন আর জীবিত থাকতে মন চাচ্ছে না। আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে পরিচিত লোক বানাতে চেয়েছি, কিন্তু সবার সাথে মিশার কয়েকদিন পরেই তারা আমাকে ভুলে গিয়েছে, যেটা আমাকে আরো মানসিক ভাবে দুর্বল করে দিলো। দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাক্তি আমি কিন্তু আমার এখন মানসিক শান্তি নাই। আমার এখন এক একটা দিন অনেক জেলখানায় কাটানোর মতো লাগছে। আমি জানি না এই জীবন নিয়ে আমি কি করবো। আমি শুনেছিলাম ডিভাইন গেইট দিয়ে যে কোনো ইচ্ছা পূর্ন করা যায়। আমার অস্তিত্ব ফিরে আনার জন্য আমার এখন ডিভাইন গেইটকে খুজতে হবে। যেটা এই ছয়মাসের ভ্রমনে আমি খুজে বের করতে পেরেছি। আমাকে ছয়টা ড্রাগনকে সংগ্রহ করতে হবে। যে ছয়টা মিলে একটা গেইট খুলবে। আর সেটাই ডিভাইন গেইট। পাঁচ টা ড্রাগনের অস্ত্র আমি দেখেছি, কিন্তু ছয় নম্বরটাকে আমি ভ্রমনের মাধ্যমে খুজে বের করেছি। যেটা কিনা একটা তলোয়ার, এবং সেটা হচ্ছে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ড্রাগনের অস্ত্র, যার নাম ভ্যালডোরা দ্যা হোয়াইট ড্রাগন। সবাই মনে করতো এই ড্রাগনের ক্ষমতা সবচেয়ে কম। কারন এর ম্যাজিক পাওয়ার কম দেখা যেতো। কিন্তু সেরকম মোটেও না। একমাত্র ড্রাগন যে অন্য কোনো ড্রাগনকে এবজোর্ব করে তার ক্ষমতাও ব্যবহার করতে পারে সেটা হলো ভ্যালডোরা। এর শক্তিশালী ক্ষমতা সম্পর্কে কেউ না জানতে পারে এজন্য ভ্যালডোরা নিজেই কখনো তার ক্ষমতা ব্যবহার করে নি। একটা পুরাতন গুহার মধ্যে তার অস্ত্রটাকে পাওয়া গিয়েছে। মাত্র একজন ব্যাক্তিই আমাকে তার ব্যাপারে বলতে পেরেছে, যে ভ্যালডোরার ব্যবহারকারীই বংশধর। তার কথা মতে তার পূর্ব পুরুষ এর একজন ভ্যালডোরার ক্ষমতা সহ্য করতে না পেরেই মারা যায়। এজন্য তার বংশধরেরা কেউই এই ব্যাপারে কাউকে কিছু বলে নি। মূলত এই ড্রাগনটাই ডিভাইন গেইটকে খোলার জন্য কাজে দিবে। সেটা কিভাবে সেটা অনেক রিসার্স করেই আমি বের করেছি।
।।।
।।।
আমি ছয়টা ড্রাগন অস্ত্রকে হাতে নিলাম। যে ছয়টার মালিক এখন আমি। ড্রাগন ব্লেড তার মালিক ছাড়া কেউ উঠাতে পারে না। তবে আমি যখন থেকে আমার ফুল ফর্মে ট্রান্সফর্ম হয়েছি তখন আর আগের কোনো ফর্মে ফিরতে পারি না। আর এই ফর্মে আমি আমার বোনের দুটো ড্রাগনের অস্ত্রকে একবার ছোয়ার পর থেকে তারা আর সে অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে না। মূলত সেটা আমার হয়ে গেছে। লোকিকে হারানোর সময় আমি ব্লাক সোর্ডও নিয়ে এসেছিলাম। যেটা আপাতোতো আমার কাছে ছয়টা ড্রাগনই আছে, যেগুলো নিয়ে আমি অনেক দূরে শুনশান এলাকায় চলে এসেছি। সাথে আমার ব্যাগটাও আছে যার মধ্যে মাংকি কিং এর বইটাও আছে। আমার কানে এখনো তার জিঙ্গু আছে। সেটা নিয়ে এখনো ঘুরে বেরাচ্ছি। অনেক ভারি তবে আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। জিঙ্গু নিয়ে হাটার ফলে শরীর আরো অনেক শক্তিশালী হয়ে গেছে এখন। আমি ছয়টা ড্রাগনকেই তাদের আসল রূপে নিয়ে আসলাম আমার গডহ্যান্ডের মাধ্যমে, যেটার ফলে ছয়টা ড্রাগনই আমার সামনে দাড়িয়ে রইলো।
.
–তো তোমাদের কাজ কি সেটা তো বুঝতেই পারছো।(আমি)
।।।
।।।
পাঁচজন সাথে সাথে ভ্যালডোরার শরীরের সাথে মিশে যেতে লাগছে। এককথায় এবজোর্ব হয়ে যাচ্ছে ভ্যালডোরার মাঝে বাকি সবাই। সবগুলো এবজোর্ব হওয়ার পর ভ্যালডোরা সাথে সাথে তার তলোয়ারের ফর্মে ফিরে আসলো। তলোয়ারটা পুরো ছয়টা ড্রাগনের রঙের মিশ্রনে তৈরী হয়েছে। আমি তলোয়ারটা হাতে নিলাম। এটাকে আমি যেকোনো অস্ত্রের আকার দিতে পারবো। তবে সেটা মূল বিষয় না। আপাতোতো মূল বিষয় হলো এটা দিয়ে আমাকে স্লাইস দিয়ে ডিভাইন গেইট খুলতে হবে। আমি স্লাইস দিবো তার আগেই সরাসরি আমি বইয়ের মধ্যে ঢুকে পরলাম। আমি বইয়ের মধ্যে আবারো সেই জায়গায় চলে আসলাম যেখানে মাংকি কিং উকং বিশাল পাথরের নিচে পরে আছে। শুধু তার মাথা বের করা আছে। সে জীবিত রয়েছে কারন সে অমরত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। তার ওয়ার্ল্ড টা অনেক ইন্টারেস্টিং।
.
–আমি জানতাম তুমি ভুলে যাবে কন্ট্রাকের কথা। কারন সেটা আমিও সুপ্রিম গডের কাছে ভুলে গিয়েছিলাম। যার জন্য সে আমাকে তার মৃত্যুর আগে আমার দুনিয়া থেকে আমার অস্তিত্ব মুছে দিয়েছে।(মাংকি কিং)
.
–আমি ডিভাইন গেইটের চাবি পেয়ে গিয়েছি। এবার আমি সৃষ্টিকর্তার থেকে আমার অস্তিত্ব ফিরে চাইবো?(আমি)
.
–সেটা হবে না। ডিভাইন গেইট বিষয়টা কি জানো? অবশ্য জানবে কিভাবে এটাকে প্যারারাল ডাইমেনশন গেইটও বলা হয়, যেটা আমাদের ইউনিভার্সের হ্যাভেন এর সুপ্রিম গড ব্যবহার করতো অন্য ইউনিভার্সে প্রবেশের ফলে। সবটা ইউনিভার্সে একটা করে চাবি থাকে ডিভাইন গেইটের যেটা দিয়ে অন্য দুনিয়ায় প্রবেশ করা যায়।(মাংকি কিং)
.
–তাহলে আমার অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে?(আমি)
.
–তুমি ক্ষমতা চেয়েছো আমি সেটা দিয়েছি তোমাকে, কিন্তু সেটার জন্য আমার সাথে কন্ট্রাক করতে হয়েছে তোমাকে, কন্ট্রাক সম্পর্কে তোমাকে ভুলতে মানা করেছি কিন্তু তুমি ভুলে গেছো যেটার কারনে তোমার অস্তিত্ব শেষ হওয়ার পথে। দুই বছর সম্পূর্ন হলে তোমার কোনো স্মৃতিই কারো কাছে থাকবে না।(মাংকি কিং)
.
–এটার কোনো সমাধান?(আমি)
.
–একটায় আছে। আমাকে মুক্ত করা, কিংবা দুই বছর সময় হওয়ার পূর্বে মারা যাওয়া।(মাংকি কিং)
.
–আমার কাছের লোক গুলোর সাথে অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার যেগুলো আমি চাই না তারা ভুলে যাক।(আমি)
.
–তাহলে আমাকে মুক্ত করতে হবে তোমাকে।(মাংকি কিং)
.
–সেটা কিভাবে?(আমি)
.
–তোমার গডহ্যান্ড আছে না। এইটাও একটা ম্যাজিক সিল যে পাথরটা দেখতে পারছো। এটাকে ক্যান্সেল করবে শুধু।(মাংকি কিং)
.
–তাহলেই হবে?(আমি)
.
–আমি মুক্ত হলে আমার ক্ষমতা দিয়ে পুরাতন কন্ট্রাক ক্যান্সেল করে দিবো। কিন্তু সেটার জন্য নতুন কন্ট্রাক করতে হবে।(মাংকি কিং)
.
–কেনো?(আমি)
.
–দেখো আমি প্রথম থেকেই আমার অস্তিত্ব হারিয়েছি, আমার দুনিয়ায় গেলেও কেউ আমাকে চিনবে না এখন। তার কারন হলো সুপ্রিম গড। আর আমার সাথে কন্ট্রাক করার ফলে তুমি অস্তিত্ব হারালে, যেটাকে এখন একভাবেই ঠিক করা যাবে।(মাংকি কিং)
.
–কিভাবে?(আমি)
.
–সেটা সুপ্রিম বিয়িং এ জানতে পারবে।(মাংকি কিং)
।।।।
।।।।
আমার জীবন এরকম ভাবে যাবে আমি ভাবি নি। আমাকে এই ইউনিভার্স ছারতে হবে যদি আমার অস্তিত্ব আমি বাচিয়ে রাখতে চাই। আমি এখান থেকে যাওয়ার পরই আমার অস্তিত্ব আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে যেটা মাংকি কিং এর কথা মতো। আমি সিওর না কিন্তু আমাকে চেষ্টা করতে হবে। এলিনা এবং এলিহার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে আট মাস হয়ে যায়। অবশ্য কিছু মাস পরে আমাদের মাঝে আরো দুজন চলে আসার কথা, হয়তো আমি তাদের দেখতে পারবো না, কিন্তু আমি চাই না তারা তাদের বাবার পরিচয় ভুলে যাক। তাই যেটা মাংকি কিং বলছে সেটা আমাকে করতে হবে। আমি পা দিলাম ডিভাইন গেইট দিয়ে নতুন একটা গন্তব্যে, তবে একদিন ফিরে আমি আসবো আবার এখানে।
।।।।
।।।
।।

(((The End)))

।।
।।।
।।।।
শেষটা অনেকের সমস্যা হবে বুঝতে কিন্তু আমি আশা করবো সেটা সুপ্রিম বিয়িং এ ক্লিয়ার হয়ে যাবে। আর কন্ট্রাক এর ব্যাপারে সুপ্রিম বিয়িং এ বিস্তারিত জানতে পারবেন। তারপরও যদি শেষটা একদম খারাপ হয় বলেন আমি আলাদা ভাবে শেষ করবো

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here