ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৬৩

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৬৩
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি আমার ডেভিল ফর্মে চলে আলসাম। এন্জেল ফর্মের মতো এই ফর্মেও আমার ছয়টা ডানা বের হলো পিঠ থেকে। বাম পাশে ছয়টা ডানা যেটা পাখির পালকের মতো দেখতে, তবে রং একদম কালো। আমি অবাক হলাম না, কারন আগেও দেখেছি আমার ডেভিল ফর্মের ডানা গুলো। আমার শরীরের আকার অনেকটা বৃদ্ধি পেলো, এবং আমার শরীরের রং অনেকটা কালো হয়ে গেলো। যদিও সেটা কোনো ব্যাপার হবে না। আমি আমার শরীরের মধ্য থেকে অনেক অসীম আকারের ক্ষমতা অনুভব করতে পারছি। আগের দুনিয়ায় আমি আমার ডেভিল ক্ষমতার পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারি নি। অবশ্য সেটার কারন ছিলো সাটান ক্রস। সে আমার সত্ত্বার জায়গা দখল করে ছিলো, যার জন্য আমি যত ডেভিল ম্যাজিক বা ক্ষমতা ব্যবহার করেছি সে তত আমার শরীরকে দখল করতে চেয়েছে। তবে এই দুনিয়ায় আমার আর ভয় নেই। আমি আমাদের বিশাল সেনার সামনে দাড়িয়ে আছি। সময়টা যুদ্ধে, যেখানে আমাদের বিরুদ্ধে এ্যারসাক, হিমরার, এ্যালকোর্ট এবং জেলিনা। এ্যালকোর্ট জেলিনার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে আমাদের রাজ্যকে হারানোর জন্য। তবে এদিকে আমি জায়েন্ট রাজ্য এবং ডেভিল কিং এর থেকে কিছু শুনি নি। এজগার্ড এই যুদ্ধে আমাদের পক্ষে থাকতে চেয়েছিলো। তবে আমি তাদের মানা করেছি, আমি তাদের নিরপেক্ষ থাকতে বলেছি। এমনিতেই এজগার্ডের রানী আমার বড় বোন এলেন তার রাজ্যকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে, তবে কুইন এলিহা সেটাকে আমার বোনকেই শাসন করার অনুমতি দিয়েছেন।
।।।
।।।
বিষয়টা অনেক সিম্পেল হয়ে গেছে, অবশ্য আমারও চিন্তা ছিলো যে আমাদের রাজ্যের অধীনেই থাকবে এজগার্ড, তবে সেটার শাসন আমার বোনই করবে। এদিকে এলিনার সাথে অনেকদিন হলো আমার দেখা হয় না। জানি না কোন অবস্থায় আছে, কিন্তু আমি ইচ্ছা করেই তার সাথে দেখা করি না। তার সাথে আমার দেখা হলে মনটা মানতে চাই না, দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে মন চাই তার সাথে। তবে সেটা আমার জন্য এখন সম্ভব নয়। কারন ড্রাকুলার এলিনার উপরে অনেকগুলো শর্ত দিয়েছে তার ক্ষমতার বদলে, অবশ্য আমি চাইলে এই স্পেলটাও হয়তো বাদ করে দিতে পারবো। তারপরও আমি সিওর না। আমার গডহ্যান্ড যেকোনো স্পেল বাদ করতে পারলেও সেটা ব্লাক কন্ট্রাক বাদ করতে পারবে কিনা আমি জানি না। তবে সেটা চেষ্টা করে দেখা যাবে। আপাতোতো রানী এলিনা ড্রাকুলার কনট্রোলে আছে। আমি তখন ড্রাকুলার মতো শক্তিশালী না হওয়ার ফলে তখন তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারি নি। সে যা ইচ্ছা করেছে। কিন্তু সেটা আর এখন মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
।।।
।।।
আমার ডেসটেনি এই পুরো দুনিয়াকে নিজের কনট্রোলে করা। এটাই আমার স্বপ্নে আমাকে দেখাচ্ছে, তাছাড়া আমার আম্মা আগের দুনিয়ায় ভবিষ্যতে দেখেছিলো আমি পুরো দুনিয়ার রাজা হবো। অবশ্য সেটা হওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার মাঝে নেই, তবে এই পুরো দুনিয়া আমার কনট্রোলে করার ইচ্ছা আমার প্রবল হয়ে যাচ্ছে। হয়তো আমার ডেসটিনি আমাকে এদিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ্যারসাক, জেলিনা, হিমরার এবং এ্যালকোর্টের সকল সেনা আমাদের সামনে দাড়িয়ে আছে। যারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তাদের সেনার সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ লক্ষেরও বেশী। আর সেখানে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের মাত্র বিশ হাজার পন এবং দুই হাজার নাইট। সবার সামনে আমি এবং আমার পিছনে রাজ্যের চারজন বিশপ। মোট মিলিয়ে আমরা মাত্র বাইশ হাজার পাঁচজন দাড়িয়ে আছি বিশাল সেনার সামনে। শত্রু পক্ষের সেনা সংখ্যা দূর থেকে দেখে ভয়ই করছে। কিন্তু আমাদের ভয়ের কারন কোথায়। আমাদের চারজন বিশপই চাইলে পুরো সেনা ধ্বংস করে দিতে পারে, যেহেতু এখন তারা যুদ্ধ ঘোষনা করেছে, তাই আমরা কোনো দয়া দেখাচ্ছি না এবার। আমি পিছিয়ে আসলাম। কারন এখন আমার ক্ষমতার প্রয়োজন হবে না। আমি আপাতোতো আমাদের দশ হাজার পন এবং পাঁচশ নাইট পাঠালাম সামনের দিকে। এটার কারন আমি আমার পনদের দেখতে চাই, তারা কতটা শক্তিশালী সেটা আমাকে দেখতে হবে। তাছাড়া রাজ্যের মধ্যে আমাদের পঞ্চাশ হাজার পন এবং পাঁচ হাজার নাইট রয়েছে, তাছাড়া দশ হাজার রুক রয়েছে, যারা রাজ্যের সুরক্ষার জন্য আছে। আমি তাদের রাজ্যের মাঝে রেখেছে, কারন অন্য পাশ দিয়েও কেউ আক্রমন করতে পারে রাজ্যে, তাই বেশী সংখ্যাক সৈন্য আমরা রাজ্যে রেখেছি।
।।।
।।।
যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। আমাদের পন এবং নাইট সামনে গিয়ে সেই আকারে লড়ছিলো। আমাদের সংখ্যা তাদের কাছে সামান্য চুলের মতে। যেখানে তারা হাতির সমান সৈন্য নিয়ে এসেছে, তারপরও আমাদের পনের কাছে তাদের একশো সেনা কিছুই না। আমি শক্তিশালী দেহ বিশিষ্ট গোত্রের প্রানীদের পন বানিয়েছে, যাদের ম্যাজিক পাওয়ার কিছুটা কম হলেও শারিরীক ক্ষমতা অনেক। পন গুলো তাদের তলোয়ারের এক আঘাতে একশোর বেশী সেনা আহত/নিয়ত করছে। আর নাইটগুলো এক একজন পুরো একটা রাজ্যের সেনা ধ্বংস করে দিতে পারে, নাইটগুলোর এক একটা স্পেলে কিংবা আঘাতে এক হাজার করে সেনা আহত কিংবা নিহত হচ্ছে। এর মাঝে আমাদের অনেক পন এবং নাইট গুরুতর আহত হয়েছে, যাদের দূর থেকে আমাদের বিশপ ইকারেস হিল করে দিচ্ছে। ইকারেস তার ডানা মেলে দিয়ে সে ডানার পালক গুলো যেখানে ইচ্ছা পাঠাতে পারে। আর সেই পালক কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে তার ক্ষত হিল হয়ে যায়। আমাদের কিছু সেনা মারা গেলেও অধিকাংশ ইকারেস এর হিলিং ক্ষমতার জন্য ঠিক হয়ে আবার লড়ছে। আমাদের দুই পক্ষ সংঘর্ষের মধ্যে ছিলো ঠিক এই সময় এ্যারসাকের এন্জেলরা উপর থেকে হামলা করা শুরু করলো এন্জেলরা এতোক্ষন যুদ্ধে ছিলো না। বাট তারা এখন উপর থেকে উড়ে এসে লড়াই করছে। তাদের আসার পর থেকে আমাদের সেনার সংখ্যা কমে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। ইকারেস এর হিলিং ক্ষমতাও কাজ করছে না। কারন এন্জেলরা মেরে ফেলছে আমাদের পনদের। যদিও নাইটদের মারতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে তাদের। কিন্তু তাদের সংখ্যা বেশী হওয়ার ফলে তারা খুব সহজে ঘিরে ধরছে নাইটদের এবং তাদের হত্যা করছে।
.
–মিনিস্টার স্যার, মনে হচ্ছে না এভাবে আমরা জিততে পারবো। আমাদের একজন বিশপের যেতে হবে নাহলে আমাদের সেনারা সাহস হারিয়ে ফেলবে।(হ্যারি)
.
–হ্যা ঠিক বলেছো।(জেসি)
.
–তাহলে কে যাবে?(আমি)
.
–আমি বলবো ইকারেস যাক। কারন তার ক্ষমতা সম্পর্কে এখনো কেউ জানে না।(লুইস)
.
–ঠিক আছে ইকারেস। তাহলে তোমার ক্ষমতা দেখিয়ে দাও।(আমি)
.
–আপনার জন্য তো আমি আমার জীবন ও দিয়ে দিতে পারি আমার প্রিয়তম মিনিস্টার স্যার। আর এখানে তো কিছু সেনাদের হারাতে হবে। দেখুন কত তারাতারি হয়ে যাবে জিনিসটা।(ইকারেস)
।।।
।।।
ইকারেস ওর ডানা গুলোর পালক ফেরত নিয়ে আসলো। এবং ডানা দুটো মেলে দিলো। এবং এখান থেকেই তার স্পেল ব্যবহার করলো। স্পেলের নাম সোর্ডস অফ গড। যেটার মাধ্যমে পুরো আকাশ জুরে বিশাল বিশাল গোল বৃত্ত হয়ে গেলো। এবং সেগুলো থেকে বিলাকার তলোয়ার বের হতে শুরু করলো। ইকারেস তার হাত দিয়ে ইশারা করলো সেটা শত্রুপক্ষের দিকে, কয়েক হাজার বিশাল বিশাল তলোয়ার যেগুলো একটা বিশাল পিলার এর সমান হবে সেসব পরতে লাগলো শত্রুদের উপরে। আমি ভাবি নি এতো মারাত্মক স্পেল ব্যবহার করবে ইকারেস। তারপরও তার তলোয়ার গুলো পরার আগে আমাদের সেনার উপরে সুরক্ষা ঢাল তৈরী করে দিয়েছিলো লুইস।।।
।।।
।।।
ইকারেস এর একটা স্পেলের ফলে প্রায় অর্ধেক পরিমান শত্রুদের সেনা শেষ হয়ে গেলো। যেটা অনেক মারাত্মক ব্যাপার। তবে আমি নিজে এন্জেল হয়ে থাকার পরও এই স্পেল সম্পর্কে জানি না। বলতে হবে ইকারেসের ক্ষমতা একটা রানীর থেকে কম না। তারপরও আমি বলবো রানীদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হলো এলিনা। কারন সে ড্রাকুলার অর্ধেক ক্ষমতা পেয়েছে, যেখানে আমাদের কুইন এলিহা আমার এন্জেল ক্ষমতার বিশ শতাংশ পেয়েছে। তাই দুই বোনের মধ্যে যুদ্ধ হলে সেখানে এলিনাই জিতবে। তবে যদি ড্রাকুলার ব্লাড কন্ট্রাক যদি আমি মুছে দিতে পারি, তাহলে আমাদের রানী সবচেয়ে শক্তিশালী রানী হবে।
।।।
।।।
যদিও ভবিষ্যত প্লান আমার করা হয়েছে, এখন শুধু প্লানে কাজ করতে হবে। অনেক সেনা মারা গিয়েছে আমাদের যুদ্ধের ফলে, যেটা আমার ভালো না লাগলেও মেনে নিতে হবে। যুদ্ধ মানেই মৃত্যু হবে। তবে এই একটা যুদ্ধ হয়ে গেলো সব বন্ধ হয়ে যাবে। আমি এমন একটা রাজ্য বানাবো যেখানে আর যুদ্ধই হবে না। কারন তখন এতো রাজ্য থাকবে না, থাকবে শুধু একটা গনতান্ত্রিক দুনিয়া। যেটা জনগন চালাবে। অনেকটা পৃথিবীর মতো করে দিতে চাই আমি এই পুরো দুনিয়াকে। এই প্লানেট এর নামও পৃথিবী করে দিবো। ইতিহাস আবার নতুন করে তৈরী করবো। আমাদের দুই পক্ষ এখনো লড়তে ছিলো। কিন্তু ঠিক এই সময় সমস্ত মৃত শরীর গুলো উঠতে শুরু করলো। পুরো অর্ধেক শত্রুদের সেনারা মৃত ছিলো, যারা উঠে গেছে। প্রায় পচিশ লক্ষ মৃত সেনা হবে যারা জাম্বি হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিটা দেখে আমার অনেকটা ম্যালিকিত এর কথা মনে পরে গেলো, যে আগের দুনিয়ায় এরকম একটা পরিবেশ তৈরী করেছিলো। পরিবেশ অনেকটা ভয়ানক হয়ে গেলো। আমি ভাবলাম হয়তো জাম্বিগুলো আমাদের কিংবা এলিনাদের জয়েন্ট সেনাদের উপরে আক্রমন করবে, কিন্তু সেটা হলো না। বরং আমাদের দুই পক্ষের মাঝে ডেভিল কিং চলে আসলো তার হাতে ব্লাক সোর্ড নিয়ে। আমি তাকিয়ে রইলাম সে কি করবে সেটা দেখার জন্য।
।।।
।।।
ডেভিল কিং তার হাতের ব্লাক সোর্ড দিয়ে সমস্ত মৃত জাম্বিদের এবজোর্ব করা শুরু করলো। আমি সেদিন ব্লাক সোর্ডের সংস্পর্শে এসে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি, যেহেতু সেটা ড্রাগন ব্লেড এর মিশ্রনে বানানো এজন্য নেকরো ব্লেড এর ক্ষমতা অনেকটা কম। যার ফলে সেটা আমার এন্জেল পাওয়ারকে এবজোর্ব করলেও সেটা নিজের করে ব্যবহার করতে পারে নি। কিন্তু সাধারন জিনিসের উপরে সেটা ভালোই কাজ করে। এক মুহুর্তের মধে পুরো পচিশ হাজার জাম্বিদের এবজোর্ব করে নিলো ডেভিল কিং। যার ফলে তার ব্লাক সোর্ড আরো কালো হয়ে গেলো, সেই সাথে আরো ধোয়া বের হতে শুরু করো সেটা থেকে। ঠিক তখনি লোকি এবং তার জায়েন্ট রাজ্যের ফ্রস্ট জায়েন্ট এবং ট্রোলে চলে আসলো টেলিপোর্ট হয়ে। লোকি পিছন থেকে ডেভিল কিং এর থেকে দা ব্লাক সোর্ড নিয়ে নিলো এবং সেটা দিয়ে ডেভিল কিং এর পিঠে ঢুকিয়ে দিলো। যদিও ডেভিল কিং তলোয়ারের মাঝে গেলো না, কিন্তু সে লোকির শরীরে মাঝে চলে গেলো। আমি লোকির মাঝ থেকে মারাত্মক আকারের ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করতে পারছি, যেটা আগে কখনো আমি কারো থেকে করি নি। মোটকথা ড্রাকুলার থেকেও এরকম ম্যাজিক পাওয়ার সেন্স করা যায় না। লোকি অন্যরকম একটা কিছু হয়ে গেছে, যেটা আমি কখনো আশা করি নি। অনেকটা আমার ডেভিল সত্ত্বা যেমন আমার শরীরে গিয়ে আমাকে তার ক্ষমতা দান করেছে, ঠিক সেরকম মনে হচ্ছে লোকিকে ডেভিল কিং তার শরীরে গিয়ে তার ক্ষমতা দান করেছে, সেই সাথে ব্লাক সোর্ড তো আছে। আমি জানি না সে লোকি আছে নাকি ডেভিল কিং লোকির শরীরকে কনট্রোল করেছে, কিন্তু এটা বুঝতে পারছি যেটা সামনে হবে সেটা অনেক ভয়ানক হবে। তাই আমি আমার সেনাদের পিছনে চলে আসতে বললাম। কারন বাচ্চাদের লড়াই করার সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন বড়দের লড়াই করতে হবে।
।।।
।।।
আমাদের এবং আমাদের শত্রু পক্ষের সমস্ত সেনা পিছনে চলে গেলো। আমি বুঝলাম ড্রাকুলাও পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। যাইহোক ব্যাপারটা মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না। আর আমার মনেও হচ্ছে না এখন আমার পুরো ক্ষমতা দিয়ে আমি হারাতে পারবো লোকিকে, কারন একে তো সে শক্তিশালী ছিলোই এই দুনিয়ায় না জন্মে আসার কারনে। আর তারউপর সে ডেভিল কিং এর পাওয়ার ও পেয়েছে, আবার ব্লাক সোর্ডও রয়েছে, যেটা পরিস্থিতি ভয়ানক করছে। আমি আশা করি থরও আসুক আমাদের সাহায্যের জন্য। কারন এখন একে অপরের সাথে লড়াই করার সময় না আমাদের। ড্রাকুলা,থর এবং আমাকে মিলে হারাতে হবে লোকিকে। সে কি চাই আমি জানি না। তবে লোকিকে না হারাতে পারলে আমাদের কেউ বাচবে না সেটা সিওর ভাবে বলতে পারছি আমি। আগে আমাকে সিওর হতে হবে সে কে? সে লোকি নাকি ডেভিল কিং সেটা আমাকে জানতে হবে।
।।।
।।।
আমি এগিয়ে আসলাম। আর ঔ সাইড থেকে ড্রাকুলা এবং রানী এলিনাও এগিয়ে আসলো। আমার সাথে আমি আমার বিশপদের নিলাম না। কারন আমি বুঝতে পেরেছি ব্লাক সোর্ড তাদেরকেও এবজোর্ব করে নিবে। আমাদের এগিয়ে আসতে দেখে লোকি তার হাতের ব্লাক সোর্ড দিয়ে তার জায়েন্ট সেনাদের এবজোর্ব করা শুরু করলো, যেটার ফলে তার তলোয়ার আরো কালো ধোয়া বের করতে শুরু করলো। এবং অনেকটা বিশাল হয়ে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম আমার এক্সোভিলিরা এখানে কাজে দিবে। ড্রাকুলা তার লুকারিও বের করলো। আমি ভেবেছিলাম আমি প্রথমে যাবো লড়তে, কিন্তু আমাকে না যেতে দিয়ে ড্রাকুলা লোকির সামনে চলে গেলো লড়তে। আমি একটু দূর থেকে দেখতে লাগলাম। প্রথমে আমাকে লোকির পুরো ক্ষমতা দেখতে হবে, তারপর সে অনুযায়ী আমাকে কাজ করতে হবে। আমি ওর ক্ষমতা না জেনেই লড়াই তে যেতে চাই না।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কেমন হলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here