#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ৩২
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
ড্রাগনদের হঠাৎ আক্রমনে আমাদের সেনা অনেকটা চমকে উঠলো। কেউ ভাবে নি এভাবে হঠাৎ হামলা করবে তারা। তাদের হামলায় আমাদের আরো সেনা আহত কিংবা নিহত হতো যদি না ইগড্রাসিল নিজের ফর্মে না আসতো। ইগড্রাসিল বিশাল একটা গর্জন করলো। ওর গর্জন শুনে সমস্ত ড্রাগন গুলো ভয় পেয়ে গেলো। ভয় পাবারই কথা। কারন ইগড্রাসিল তাদের পুরাতন রাজা ছিলো, যাকে ধোকা দিয়ে ড্রাগোনিয়া থেকে বের করে দিয়েছিলো তাদের নতুন রাজা। ড্রাগনদের সংখ্যা প্রায় এক হাজারের মতো। এতো সংখ্যক ড্রাগনদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে সেটা আমি ধারনা করি নি। হঠাৎ ভিরু বলে উঠলো,
.
–আমার নাম ভি রু দা ইগড্রাসিল। দ্যা ফায়ার ড্রাগন। ফায়ার রাজ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগন আমি। ডেভিল কিং আমার পার্টনার। যদি কোনো ড্রাগন ডেভিল কিং এর বিরুদ্ধে লড়তে চাই, তাহলে তাকে আমার সাথে লড়তে হবে প্রথমে।(ভিরু)
।।।
।।।
ভিরুর কথায় সমস্ত ড্রাগন ভয় পেয়ে গেলো। এমনিতেও তারা অবাক ও হয়েছে ভিরুকে আমার সাথে দেখে। এখন তারা কি করবে সেটা হয়তো ভেবে পাচ্ছে না। এই সুযোগে আমার সমস্ত সেনা গেইটের মাধ্যমে যুদ্ধের ময়দানে চলে এসেছে। ভিরুর এন্ট্রিটা অনেকটা কাজে দিয়েছে। ড্রাগনরা কিছু সময় চুপ থাকলেও, হঠাৎ তাদের মধ্যে থেকে একজন বিশাল ড্রাগন চলে আসলো। দেখে মনে হচ্ছে সেই নতুন ড্রাগন রাজা।
.
–আমার নাম বেলপিস্ট। আমি ফায়ার ড্রাগন কিং। ইগড্রাসিল আপনি হয়তো এক সময় শক্তিশালী ছিলেন। কিন্তু সেই সময় শেষ। এখন ফায়ার রাজ্যের শক্তিশালী ড্রাগন আমি।(বেলপিস্ট)
.
–বেলপিস্ট আমি ভুলি নি আমাকে যে ধোকাটা তুমি দিয়েছিলে। আমি আশা করছিলাম তুমি নিজে এখানে আসবে। আজ সেই ধোকার ফল পাবে তুমি।(ভিরু)
.
–সেটা দেখা যাবে।(বেলপিস্ট)
।।।
।।।
বেলপিস্ট তার সেনাকে সামলাতে লাগলো, যেহেতু সেই এখন রাজা, তাই সমস্ত ড্রাগনকে তার হুকুমই মানতে হবে। সমস্ত এক হাজার ড্রাগনের বিশাল সেনা আকাশে উড়তে লাগলো, আর লোকির এজগার্ডের সেনারা দাড়িয়ে আছে আমাদের সামনে। মূলত কোনো ভাইকিংস কোনো ধরনের ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারে না। ভাইকিংস দের রাজার বংশের লোকেরাই ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারে। তাছাড়া বাকি সবাইকে নিডাভেলির ডয়ারফস দের বানানো অস্ত্রের সাহায্য নিতে হয়। ডয়ারফস রা পরিচিত তাদের বানানো ম্যাজিকাল অস্ত্রের জন্য। তারা যেকোনো ধরনের অস্ত্র বানাতে পারে। আমার হাতে যে এক্সোনিয়া রয়েছে, সেটাও ডয়ারফসদের বানানো। তাছাড়া এজগার্ডের সকল ভাইকিংস সেনাদের কাছে ডয়ারফসদের বানানো ম্যাজিকাল অস্ত্র রয়েছে। যেগুলো আমাদের সেনাকে টক্কর দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আর তাছাড়া তাদের কাছে ড্রাগন এবং ডার্ক এল্ফসদের সাহায্য রয়েছে। লাইট এল্ফসদের থেকে ডার্ক এল্ফসদের থাকে ভয়ানক ম্যাজিকাল ক্ষমতা। কিন্তু ডার্ক এল্ফসদের বেশীর ভাগ স্পেল উচু বর্নের লোকেরাই ব্যবহার করে, তাই তাদের সেনা এতোটাও শক্তিশালী নই। আর আমাদের না জানিয়ে যদি অন্য কোনো দুনিয়ার সাহায্য লোকি নিয়ে থাকে তাহলে আমাদের জন্য কষ্ট হতে পারে।
।
।
বেলপিস্ট তার সেনাকে নিয়ে পিছনে চলে গেলো। বুঝতে পারছি না লোকি কি প্লান করছে। যা প্লান করছে হয়তো ভয়ানক কিছুই করছে। আমাকে সব দিক দিয়েই সতর্ক থাকতে হবে।
.
–লুসেফার, কর্ডিজ, লুইস, অর্নিজ।(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং।(সকল জেনারেল)
.
–আমি মনস্টার সেনাদের কাছে একটু যাচ্ছি। তাদের জেনারেলের সাথে কথা বলতে। তোমরা চারজন নিজেদের সেনা ঠিক করো। লোকির যে কোনো সেনা আমাদের উপরে আক্রমন করলে সেটা রুখে দিয়ো আপাতোতো। আমরা কিছুক্ষনের জন্য ডিফেন্সিভ মোডে থাকবো।(আমি)
.
–ঠিক আছে, মাই কিং।(সকল জেনারেল)
।।।
।।।
আমি থরের সাথে করে যেতে লাগলাম মনস্টার সেনাদের দিকে।
.
–ডেভিল কিং আপনার কি কোনো সলিট প্লান আছে?(থর)
.
–আমি আগে কখনো যুদ্ধ করি নি। সব সময় কাহিনী শুনেছি যুদ্ধের। নিজের চোখে প্রথম কোনো আসল যুদ্ধ দেখতে পেলাম আজ।(আমি)
.
–আমি জানি আপনি অনেক নার্ভাস এখন। আমিও ছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে এটা অভ্যাস হয়ে যাবে। আমার জীবনে এটা কততম লড়াই হতে চলেছে আমি ঠিক জানি না। প্রতিটা যুদ্ধে হার জিত থাকেই, মূল বিষয় হলো আমরা সেটা থেকে কি শিখতে পারি। লোকির সাথে এটা আমার কততম লড়াই সেটা আমি সঠিক জানি না। কিন্তু আমি একটা জিনিস জেনেছি সেটা হলো ও আমার ছোট ভাই, যত কিছুই হোক আমি ওকে মারতে পারবো না কখনো।(থর)
.
–আপনি না হয় কিছু শিখেছেন, কিছু জেনেছেন, কিন্তু আপনার ভাই লোকি মনে হয় “”চেষ্টা করলে সবই করা যায়”” এই উক্তিকে মুখস্ত করে বসে আছে।(আমি)
.
–যাইহোক আমি একটা বিষয়ই আপনার কাছে রিকোয়েস্ট করবো আর, সেটা হলো লোকিকে জানে মারবেন না। তাকে আমার হাতে তুলে দিবেন।(থর)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
আমি মূলত যুদ্ধে নামতে চাচ্ছি না। আমার চার জেনারেলের কাছে লোকি কিছু না। কিন্তু আমি আপাতোতো প্রস্তুত নয় কোনো যুদ্ধের জন্য। আমার ডেভিল পাওয়ার বেশী ব্যবহার করলে ডেভিল সাইড বেশী শক্তিশালী হয়ে যাবে। আর যুদ্ধের সময় সকল ভয়ানক ভয়ানক স্পেলই ব্যবহার করতে হয়। যেহেতু লোকিও ম্যাজিক জানে তাই মোটেও ওর সাথে লড়াই টা সহজ হবে না। কিন্তু আমার চার জেনারেল এর আগেও লোকির সাথে লড়েছে এবং তাকে হারিয়েছে। তাই এই কাজটা তাদেরকেই করতে হবে আবার। আমার শুধু দেখা ছাড়া এখানে কোনো কাজ নেই। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমাকে তখন কিছু একটা করতে হবে। এমনিতেই আন্ডারওয়ার্ল্ড গেইট খুলে আমার অনেকটা ডেভিল পাওয়ার খরচ হয়েছে, যার জন্য আমার ডেভিল সাইড এখনি যুদ্ধে নামতে চাচ্ছে। শুধু আমাকে এই যুদ্ধে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করতে হবে। আমি জানি লোকি দুটো জিনিস চাচ্ছে। প্রথমত আমাকে চাচ্ছে ওর পাশে। আর আমি না মানলে থর এবং আমাকে মেরে ফেলতে চাচ্ছে। লোকি খুব চালাক লোক। ওর স্বপ্ন হলো এই পুরো দুনিয়ার সমস্ত শক্তিশালী লোকদের আস্তে আস্তে ও মেরে ফেলবে, এবং তারপর পুরো দুনিয়াতে সেই শক্তিশালী হয়ে শাসন করবে। এটা কাউকে যদি আমি বলি নিশ্চয় সেটা মানাবে। কারন আমি ডেভিল কিং। লোকির সাথে জিনিসটা যায় না। মাথাটা আস্তে আস্তে ব্যথা ব্যথা শুরু করলো,
হাটতে হাটতে কোনো রকমে মনস্টার সেনাদের কাছে গেলাম। সেখানে একটা ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখানে বসে আছে হ্যারি। আমাকে দেখেই হ্যারি কুর্নিশ দিয়ে বলতে লাগলো,
.
–মাই কি, লোকির কোনো বাহিনী এদিকে আক্রমন করছে না।(হ্যারি)
.
–হুমমম দেখতে পেলাম তো সেটা। লোকি হয়তো প্রথমে চাচ্ছে আমাদের ডেভিল সেনাদের হারাতে। তাতে করে তারা যুদ্ধে অনেকটা জয়ের দিকে থাকবে।(আমি)
.
–মনস্টাররা ডেভিলদের থেকে কম না। আমরা ডেভিলদের মতো শক্তিশালী না হলেও, আমাদের সেনার সংখ্যা আপনাদের থেকে দশগুন বেশী। তাই ছোট চোখে দেখবেন না আমাদের।(এনা পিছন থেকে এসে বললো)
.
–তুমি এখানে?(আমি)
.
–আমি কুইন অফ অল মনস্টার, রানী এলিনা কোয়াডার্ট, এখানে এসেছি মনস্টার সেনাদের জেনারেল হিসাবে। আর হ্যা আমি আপনাকে পারশোনাল ভাবে চিনি না, তাই আপনি করে বলুন।(এনা)
.
–ওওও, ঠিক আছে। কিন্তু আপনি এখানে এসেছেন কেনো?(আমি)
.
–সেটা আমার ইচ্ছা। আমি আসবো কি না আসবো সেটা একান্তই আমার ব্যাপার। আপনার এর ভিতর তো কোনো কথা থাকতে পারে না।(এনা)
.
–হ্যা সেটাও ঠিক। তারপরও…(আমাকে থামিয়ে দিয়ে এনা বলতে লাগলো)
.
–আমি কোনো দুর্বল মেয়ে নই, যে যুদ্ধে আসতে পারবো না। আর হয়তো আমার বদলে অন্য কেউ জেনারেল হলে ভয়ে মনস্টারদের কাপুরুষতার পরিচয় দিয়ে যেতো।(এনা)
.
–আচ্ছা এসেছেন ভালো হয়েছে।(আমি)
.
–তো প্লান কি বলুন, আপনাদের সেনা দেখে তো মনে হচ্ছে আমাদের শত্রুদের আক্রমন প্রতিহত করতে হবে।(এনা)
.
–হ্যা। আপাতোতো এটাই প্লান।(আমি)
.
–কিন্তু শত্রু তো আক্রমন করছে না। ওরা যদি আমাদের আক্রমনের অপেক্ষা করে বসে থাকে।(এনা)
.
–লোকি আমাদের আক্রমনের জন্য বসে থাকবে না। যদিও কিছুক্ষন অপেক্ষা করবে, কিন্তু এরপর ও নিজেই আক্রমন করবে আমাদের উপরে।(থর)
.
–হ্যা। সেই সময়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।(আমি)
.
–ডেভিল কিং, আমি বলবো আমাদের এই সময়ে ওদের উপরে আক্রমন করা উচিত।(থর)
.
–হ্যা আমাদের শক্তিশালী একটা সেনাদের পাঠিয়ে দেওয়া উচিত তাদের দিকে আক্রমন করার জন্য। আর বাকি সবাই ওদের অপেক্ষা করবে যদি ওরা অন্য কোনো প্লান করে থাকে।(এনা)
.
–হ্যা এটা বেশ ভালো বুদ্ধি।(থর)
.
–আমি এখনো ওদের মাঝে ডার্ক এল্ফসদের দেখতে পাচ্ছি না। আলফাইমের রানী বলেছে ওনারা শুধু ডার্ক এল্ফসদের সামলে নিবে। আর বাকি সেনাদের আমাদেরকেই দেখতে হবে।(আমি)
.
–তাতে তো আরো সহজ হয়ে যাচ্ছে আমাদের কাজ।(এনা)
.
–ওদের রয়েছে এক হাজার ড্রাগন। এখানেই আসল সমস্যা। ড্রাগনদের সাথে লড়তে হলে উড়তে পারে এমন সেনার দরকার। একটা ড্রাগনকে হারাতে কমপক্ষে পঞ্চাশজন মনস্টারের প্রয়োজন। এখন আপনারা বলুন আপনারা ভাগ হয়ে যাবেন নাকি এক পক্ষকেই আক্রমন করবেন?(আমি)
.
–আমাদের যেসব সেনা উড়তে পারে তারা ড্রাগনদেরকে হারাবে। যেহেতু অনেক হান্টার আছে যারা এই পর্যন্ত বেশ কয়েকটা ড্রাগন হারিয়েছে তাই সমস্যা হবে না। আর যেসব সেনা উড়তে পারে না তারা আপনাদের সেনার সাথে এজগার্ডের সেনার মোকাবেলা করবে।(এনা)
.
–ঠিক আছে তাহলে। আমরা হামলা করছি প্রথমে।(আমি)
।।।
।।।
যেহেতু থর ও বললো প্রথমে হামলা করতে তাই আমিও রাজি হয়ে গেলাম। যত তারাতারি যুদ্ধ হবে তত তারাতারি যেতে পারবো। আর আমার এনার রাগটাও ভাঙাতে হবে। অনেক রেগে আছে। মূল কথা হলো আমার চিন্তা হচ্ছে ওর জন্য। এমন একটা পরিস্থিতিতে পরেছি যে ওকে এখন জোর করেও আমি পাঠিয়ে দিতে পারবো না এখান থেকে। ওর কিছু হলে আমার কি হবে।
।।।
।।।
যাইহোক আমি আমার জেনারেলদের আদেশ দিয়ে দিলাম প্রথমে তাদের উপরে আক্রমন করতে। তারা জানে আমি যুদ্ধের বিষয়ে একটু কম বুঝি, তাই নিজেরাই সেনাদের পুরো আদেশ দিতে লাগলো। তা নাহলে সব বিষয়ে আমাকেই জেনারেলদের আদেশ দিতে হতো, এবং তারা তাদের সেনাদের সেটা করতে বলতো। আর এখনতো আমি শুধু বলে দিলাম আক্রমন করতে। বাকিটুকু ওরাই এখন দেখে নেবে। যায় হোক আমাদের এবং মনস্টার সেনারা সবাই একসাথে আক্রমন করতে লাগলো। আমাদের দুই পক্ষের পাঁচ ভাগের তিন ভাগ সেনা সামনে এগিয়ে গেলো। আর দুই ভাগ এখানেই রইলো। যদি লোকির উল্টো কোনো প্লান থাকে তাহলে সেটা দেখে এই দুই ভাগ আক্রমন করবে।
।।।
।।।
আমার এক পাশ থেকে কখন যে এনাও চলে গেছে সেটা আমি জানি না। হ্যারি এখানেই ছিলো। ওর কাছ ছিলো বাকি যে মনস্টার সেনাগুলো এখানে ছিলো তাদেরকে আদেশ দেওয়া। মূলত এই কাজটা এনার ছিলো, কিন্তু এনা হ্যারির উপরে এটা চাপিয়ে দিয়ে নিজে প্রথম সেনাদের সাথে চলে গেছে। আমি জানি না মেয়েটা কি ভাবছে? কখনো কারো সাথে তেমন লড়াই করে নি। হ্যারির সাথেই সেইদিন পারে নি, আজ কিভাবে লড়বে। নিশ্চয় পাগল হয়ে গেছে ও।
।।।
।।।
থর ও আক্রমন করতে গিয়েছে। যুদ্ধটা ওনারও। উনি তো বসে থাকতে পারে না। নিজের হাতে একটা বিশাল চাইনিজ কুরাল নিয়ে নিলো। এবং একটা মনস্টার ঘোড়ার উপরে বসে আক্রমন করতে যাচ্ছে। আমজ যুদ্ধে নামতে চাই নি। কিন্তু আমি চাই না এনার কোনো কিছু হোক। তাই ওকে রক্ষা করার জন্য আমাকেও যেতে হবে। আমি আমার এক জেনারেলকে বলতে পারি ওকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু সেটা খারাপ দেখাবে। আমার ভালোবাসাকে যদি আমিই রক্ষা করতে না পারি তাহলে কেমন আসিক হলাম আমি?
।।।
।।।
যাইহোক আমি ভিরুর পিঠে উঠে বসলাম। ভিরু আজ অনেক আনন্দে আছে। শেষ মেষ ও ওর নিজের প্রতিশোধ নিতে পারবে। অনেক বছর ধরে নিজের মধ্যে আগুন জ্বলছিলো ওর। আজ সেই সব আগুন দিয়ে ও জ্বালিয়ে দিতে প্রস্তুত।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। পরের পার্ট কালকে/পরশু পাবেন। আজকের পার্ট কেমন হলো জানাবেন।