#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ২৮
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমরা এ্যারসাকের প্যালেসে অবস্থান করেছি আপাতোতো সময়ের জন্য। এ্যারসাক আমার অনেক ভালো লেগেছে। কারন এখানের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। কিছুক্ষন বিশ্রাম করার পরে আমি বের হলাম আমাকে যে রুমে থাকতে দেওয়া হয়েছে সেটা থেকে। পুরো প্যালেসে অনেক গার্ড রয়েছে, যারা অনেক ভালো ভাবে গার্ড দিচ্ছে। আমি হেটে হেটে পুরো প্যালেস দেখতে চাইছিলাম, কিন্তু প্যালেসে হাটাহাটি করা নিষেধ। তাই আমাকে আবার নিজের রুমের মধ্যে চলে আসতে হলো। অবশ্য গার্ডগুলো আমাকে দেখে আমাকে নিজের রুমেই চলে যেতে বলেছে। অনেক বোরিং লাগছে। ভেবেছিলাম হয়তো এ্যারসাক অনেক ইন্টারেস্টিং জায়গা হবে। কিন্তু আমাকে যদি বেরই না হতে দেই।
।।।
।।।
পুরো চারঘন্টা বোরিং অবস্থায় ঘুমানোর পর একজন এন্জেল আসলো আমার কাছে। এসে সে বলতে লাগলো,
.
–আমার নাম এন্জিলা। আমি আপনার গাইড হবো আজকের জন্য। চলুন আপনাকে পুরো প্যালেস ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।(এন্জিলা)
।।।
।।।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। এন্জেলটা বয়সে আমার থেকে ছয়, সাত বছরের বড় হবে। একদম সেই চেহারা, সেই লুক যেটা আমি মাত্র কয়েকবার দেখেছি। যদিও বয়স কম এই জন্মে তার, কিন্তু আমি চিন্তে ভুল করি নি। এটা আমার জন্ম দেওয়া মাতা ছিলো আগের জন্মে। যে কিনা তার নিজের জীবন দিয়েছে আমাকে রক্ষা করার জন্য। তাকে আমি জীবন্ত আমার চোখের সামনে দেখে চোখের পানি আটকে রাখতে পারছি না। অনেক বড় একটা কানেকশন আছে তার সাথে আমার। রক্তের সম্পর্কের সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। যদিও এই রিয়েলিটিতে সেটার কোনো মূল্য নেই। আমাকে জন্ম দিয়েছে অন্য একজন মহিলা। আমার আগের জন্মের আম্মা যে কিনা তার আগের জন্মের ছেলের সামনে দাড়িয়ে আছে, কিন্তু চিন্তে পারছে না। আমার চোখের পানি পরা দেখে এন্জিলা বলতে লাগলো,
.
–কি হলো আপনি কাদছেন কেনো? খারাপ কিছু মনে পরে গেছে আপনার?(এন্জিলা)
.
–না, একটা প্যালেসের রুমে আমাকে আটক করে রাখা হয়েছিলো, আপনি আমাকে নিতে এসেছেন, এজন্য চোখ দিয়ে পানি পরছে।(আমি মনের কথা ঘুরিয়ে বলে দিলাম)
.
–ওওও। আচ্ছা চলুন তাহলে এক এক করে প্যালেস ঘুরিয়ে দেখানো যাক আপনাকে।(এন্জিলা)
.
–আমার সাথে আসা অন্যরা কোথায়?(আমি)
.
–প্রিন্সেস এলিনা আমাদের রানী আফরিয়েল এর সাথে কথা বলছেন। এবং অন্য তিনজন ফাইটিং এরিনায় ট্রেনিং করছে।(এন্জিলা)
.
–তাহলে আমাকেই এই রুম থেকে বের হতে দিলো না কেনো।(আমি)
.
–এটা রানীর আদেশ ছিলো তাই। রানী বলেছেন আপনি নাকি গডহ্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন?(এন্জিলা)
.
–হ্যা। চলুন তাহলে ফাইটিং এরিনার দিকেই যাওয়া যাক।(আমি)
।।।
।।।
আমি হাটতে লাগলাম এন্জিলার পিছনে। আপাতোতো আমি আগের রিয়েলিটি এখানে আনতে চাই না। তারপরও আগের স্মৃতি আমাকে তারিয়ে বেরাচ্ছে শুধু। আমার মাঝে এন্জেলদের ক্ষমতা থাকলেও তাদের শারিরীক রূপ কিংবা তাদের স্বভাব আমার হবে না। অন্য দিকে ভ্যাম্পায়ার এবং ডিম্যানের ক্ষমতা থাকলেও তাদের শারিরীক রূপ কিংবা তাদের স্বভাব আমার হবে না। এক দিক দিয়ে এটা অনেক ভালো। আনার শরীরের মধ্যে আর আগের মতো সত্ত্বাদের লড়াই হবে না। বিষয়টা মোটেও ভালো ছিলো না। আমি সেটার জন্য আমার পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারি নি আগের দুনিয়ায়। সেরকম না হওয়ায় এখন ভালো লাগছে। আমার পিঠে ইগড্রাসিল এবং ভ্যালিরা দুজনই আছে। তাদের এই তলোয়ার ফর্মটা আমার মোটেও ভালো লাগছে না। আমার আগের দুনিয়ার তলোয়ারটা সেরকম ছিলো। কি নাম ছিলো তা মনে করতে পারছি না। সম্ভবত এক্সোনিয়া হবে। ঔটা সব সময় অদৃশ্য থাকতো। এক্সোনিয়া বলেই হাত মুঠো করার সাথে সাথে আমার হাতে সেটা চলে আসতো।
।।।
।।।
সবচেয়ে আজব করার বিষয় হলো আমি এখনো এক্সোনিয়া বলে আমার হাত মুঠ করেছি। আর আগের দুনিয়ার মতো সেই এক্সোনিয়া আমার হাতে চলে এসেছে। তবে একটু সমস্যা। আমি এক্সোনিয়ার হাতল দেখেই চিন্তে পারছি এটা এক্সোনিয়া। তবে সমস্যা হচ্ছে এক্সোনিয়ার হাতলই শুধু এসেছে আমার কাছে। বাকি তলোয়ারের ব্লেড নেই। ব্লেড হাতলের ঔখান থেকে ভেঙে রয়েছে। হয়তো এগারো দুনিয়া এক হওয়ার সময় এই এইটা হয়েছে। আর হাতলে অনেক মাটি লেগে থাকার কারনে বুঝতে পারলাম এটা মাটির নিচে ছিলো এতোদিন। বিষয়টা খারাপ না। আমি এই এক্সোনিয়াও মেরামত করতে পারবো। অবশ্য আমি পারবো না। তবে কিছু ডয়ারফস রয়েছে যারা পুরাতন অস্ত্র আবার আগের মতো করে দিতে পারে। সেই ডয়ারফসদের লেজেন্ডারী ব্লাক স্মিথ নামে জানে সবাই। অবশ্য তাদের খুজতে আমাকে এ্যলকোর্ট যেতে হবে। এই দুনিয়াতে দশজন লেজেন্ডারী ব্লাক স্মিথ ছিলো। যাদের ৯ জনই মারা গিয়েছে। আর আরেকজনের কোনো খোজই নাই। বলা হয়ে থাকে আজ থেকে দশ বছর আগে সেই একজন নিখোজ হয়েছে। তবে কিছু ধারনা করা হয়ে থাকে সে এ্যালকোর্টে রয়েছে। আমাকেও এই এক্সোনিয়া ঠিক করাতে হলে সেই একজনকেই খুজতে হবে। নাহলে একজন শক্তিশালী সময়ের স্পেল ব্যবহার কারীকে খুজতে হবে। তবে আমার মনে হয় না কারো সময়ের স্পেল এতো পুরানো তলোয়ারকে ঠিক করতে পারবে। তাই একটা রাস্তাই দেখতে পাচ্ছি যেটা হলো সেই ব্লাক স্মিথকে খোজা। আমি আমার ব্যাগের চেইন খুলে সেটার মধ্যে হাতলটা রেখে দিলাম। কারন এক্সোনিয়ার মাঝে আর কোনো ম্যাজিক পাওয়ার নেই। সেটা মৃত হয়ে গেছে। হয়তো শেষ ম্যাজিকটুকু ব্যবহার করেছে আমার কাছে আসতেই। আর এখন সে ম্যাজিক শূন্য। যায়হোক ইগড্রাসিল এবং ভ্যালিরার তলোয়ার দুটো ভালো হলেও একটা আরেক হাত দিয়ে ব্যবহার করা যায় না। আগুনে পানি দিলে যেমন আগুন এবং পানির মধ্যে ঝগড়া লাগে, ঠিক তেমনি এর তলোয়ার আরেক হাত দিয়ে ব্যবহার করলে আমার হাত জ্বালা করে। বিষয়টার জন্য তাদের ফেলে দিতে মন চাচ্ছে। তারপরও শক্তিশালী অস্ত্র তারা। তাদের ফেলে দিলে অনেকটা দুর্বল হয়ে যাবো আমি।
।।।
।।।
আমি এন্জিলার পিছন পিছন হাটতে হাটতে চলে আসলাম ফাইটিং এরিনার দিকে। ওর পিছনে ছিলাম বলে হয়তো আমার এক্সোনিয়া হাতে আসা দেখে নি। আর ভাঙা পুরাতন তলোয়ার দেখেই বা কি করবে। অবশ্য এটা একসময় এন্জেলদেরই ছিলো। তবে মাইকেল সেটাকে আনার হাতে তুলে দিয়েছিলো। অনেক কাজের একটা তলোয়ার, যেটা ডেভিলদের বিরুদ্ধে ভালো কাজে দেই। আমি আগের জন্মে কোনো ডেভিলের উপরে ব্যবহার করতে পারি নি, তবে এবার সেটা ব্যবহার করতে মন চাচ্ছে। যদিও সেটাকে ঠিক করতে পারবো কিনা জানি না। তবে চেষ্টা করতে কতোক্ষন। এন্জিলা আমাকে নিয়ে ফাইটিং জোনে চলে আসলো। সেখানে হ্যারি, লুসি এবং লুসানা তিনজন এন্জেলের সাথে লড়াই করছে। লড়াই অনেক ভালোই যাচ্ছে। আমি অবাক হলাম লুসি এবং লুসানার আক্রমনাত্নক স্পেল দেখে। মূলত তারা দুজন সাপোর্ট ম্যাজিকই ব্যবহার করে। কিন্তু সেটা দিয়ে আক্রমন করা আমি কাউকে দেখি নি। লুসি এবং লুসানার মূল স্পেল যেটা আমাদের কাজে দেই সেটা হলো ঢাল বা ব্যারিয়ার। এই ব্যারিয়ার বা ঢাল দিয়েই দুজনে আক্রমন করছে। অনেকগুলো ঢাল বানাচ্ছে, এবং সেগুলোকে হাওয়ার মধ্যে কন্ট্রোল করছে। এরকম অনেক কম লোকই আছে যারা করতে পারে। যাইহোক ওদের লড়াই দেখে আমি অনেক উৎসাহিত হলাম। লড়াই দেখলে আমার ও লড়তে মন চায়। অনেকক্ষন লড়াই এর পরে হ্যারির লাইটিং স্পেলের ফলে এন্জেল তিনজন হেরে গেলো। লুসি এবং লুসানা তাদের চারপাশে একটা ব্যারিয়ার বানিয়ে রাখছিলো যেটার মধ্যেই হ্যারির স্পেল পরে। আর স্পেলের পুরো আঘাত তাদের লাগার কারনে তারা হেরে যায়। লড়াইটা বেশ ভালোই লাগলো। ওদের লড়াই দেখে বুঝতে পারলাম অনেক শক্তিশালী হয়ে গেছে ওরা। তিনজন এন্জেলকে যদি হারাতে পারে এভাবে, তাহলে অনেক কিছুই করতে পারবে। অবশ্য এন্জেল তিনজন তাদের পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করছিলো না। তারা সাধাধন এট্রিবিউট এর স্পেল, যেমন পানি, বরফ এবং মাটির সাহায্য নিচ্ছিলো। হঠাৎ একটা এন্জেল আমার সামনে আসলো, যে কিনা সাইজে বিশাল। একটা ভাইকিংস কিংবা বিস্টম্যানের আকার হবে তার।
.
–শুনলাম আপনি নাকি গডহ্যান্ডের মালিক, আমার নাম লুক।(লুক)
.
–আমি জ্যাক।(আমি)
.
–উনি হলেন আমাদের এন্জেল সেনার জেনারেল।(এন্জিলা)
.
–ওওও।(আমি)
.
–চলুন জ্যাক, আমার সাথে একটা ম্যাচ হয়ে যাক আপনার।(লুক)
.
–হ্যা অবশ্যই।(আমি)
।।।
।।।
আমিও একটা সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। আমি এখনো পুরোপুরি সিওর না যে আমি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারবো। তবে লড়াই এর মাঝেই সেটা বোঝা যাবে। যেহেতু সে এন্জেলদের জেনারেল, তাই আমার মতে এখানের সবচেয়ে শক্তিশালী রানীর পরে সেই হবে। অবশ্য অন্যান্য রাজ্যে তো সেটাই হয় অফিসিয়াল ভাবে। আমি এরিনার মধ্যে ঢুকে পরলাম। অনেকটা বড় স্টুডিয়ামের মতো। চারপাশে বসার জন্য চেয়ার রয়েছে, যেখানে সবাই মজা করে বসে লড়াই দেখে। এবং মাঝখানে অনেকটা জায়গা যেখানে লড়াই হয়। আমার একটা লড়াই এর প্রয়োজন ছিলো। কারন আমি এখন পর্যন্ত ভালো করে জানি না কিরকম স্পেল আমি ব্যবহার করতে পারবো। এটাও সিওর না যে ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারবো কিনা, তবে মনে হচ্ছে পারবো। কারন আমি ডেভিল কিং এর সাথে লড়াই এর সময়ে একটা টাইম স্পেল ব্যবহার করেছিলাম। তারপরও আমার এট্রিবিউট সম্পর্কে আমি সিওর না। আগের দুনিয়ায় আমার এট্রিবিউট সব ধরনের ম্যাজিকের ছিলো। আশা করা যায় এখানেও সব কিছুর থাকবে। তাহলে আরো বেশী ভালো হবে। আমি হেটে হেটে মাঝ বরাবর যেতে লাগলাম। এবং লড়াই আগেই আমার এট্রিবিউট চেক করে নিচ্ছি। ম্যাজিক কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটা আমার জানা আছে, তাই কোনো জিনিসের সমস্যা হবে না। ম্যাজিকের বিষয়টায় হলো কল্পনা। কল্পনা সঠিকভাবেই করলে শরীরের ম্যাজিক পাওয়ার একত্র হয়ে সেটাকে একটা রূপ দেই, যেটাকে ম্যাজিক স্পেল বলে। অবশ্য এটা বইয়ের লেখা। সংক্ষেপে বলতে গেলে ম্যাজিক হলো সকলের চিন্তা। চিন্তাকে বাস্তব করাই ম্যাজিক। আমি বরফের কথা চিন্তা করতে লাগলাম, কিন্তু কোনো বরফ বের হলো না। আমি বাকি চারটা এলিমেন্ট এর কথাও ভাবতে লাগলাম। কিন্তু কোনো কিছুই কাজ হচ্ছে না। শেষমেষ আমি আগুনের দৃশ্য কল্পনা করলাম। আর সাথে সাথে আমার ডান এবং বাম হাতের তালু দিয়ে আগুন বের হতে শুরু করলো। যেহেতু তালুতে বের হচ্ছে তাই বাম হাতের ভ্যালির কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমার ডান হাতের আগুন পেয়ে ইগড্রাসিলের আগুনও বেরে গেলো। ইগড্রাসিল এবং ভ্যালি দুজনেই ঘুমিয়ে ছিলো এতোক্ষন। দুজনের সাথে বেশী কথা হয় না বলে বেশীর ভাগ সময় তারা ঘুমেই থাকে। ঘুমালে তাদের ম্যাজিক পাওয়ারও নিয়ন্ত্রনে থাকে। কিন্তু আমার হাতে আগুন তৈরী করায় ইগড্রাসিলের আগুনও জ্বলতে থাকে, যেটা আমার ডান হাতের ফুল হাতা জামার ডান জাতা পুরিয়ে ফেলে। এবং কিছু ব্যান্ডেজ কাপড় ছিলো যেটাও পুরে যায়। আগে এরকম হয় নি। ওর আগুনে কখনো আমার জামাকাপড় পুরে যায় নি। আমি এক হিসাবে বুঝতে পারলাম আমার এট্রিবিউট এই দুনিয়ার জন্য শুধু ফায়ার। আমি আগুনের সমস্ত স্পেল ব্যবহার করতে পারবে। এক হিসাবে দেখা যায় আগুনের স্পেলই সবথেকে শক্তিশালী হয় এট্রিবিউট স্পেলের মধ্যে। আর আমার কাছে আছে ফায়ার ড্রাগন ইগড্রাসিল। ওর আগুনে আমার ডান হাত পুরো আগুনে জ্বলে উঠেছে। ওর ছবি বলা যায় না, বরং ওর ট্যাটু আমার ডান হাতে এখন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এতোক্ষনে আমি লুকের সামনে এসে দাড়িয়েছি। লুক আমার ডান হাতে ইগড্রাসিলকে দেখে অবাক হয়ে গেছে। অনেকেই আছে যারা ছয় ড্রাগনের সম্পর্কে জানে। কিন্তু কারো ধারনা ছিলো না যে ইগড্রাসিলকে কেউ মুক্ত করেছে।
.
–দেখে মনে হচ্ছে না আপনি শুধু গডহ্যান্ডের মালিক। আপনার কাছে ফায়ার ড্রাগন ইগড্রাসিলও আছে। এখন বুঝেছি আমাদের রানী কেনো আপনাকে সিলেক্ট করেছেন।(লুক)
.
–আমাকে সিলেক্ট করেছে মানে?(আমি)
.
–এসব কথা পরে হবে। আমি চাইবো আপনি পুরো শক্ততে লড়ুন আমার সাথে।(লুক)
.
–হ্যা ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
আমারও ইচ্ছা পুরো শক্তিতে কারো সাথে লড়ার। হোক না সেটা এন্জেল জেনারেল। অবশ্য তার কাছে হেরে যাবো এটা আমার মনে হচ্ছে। কারন তার ম্যাজিক পাওয়ারটা আমার থেকে অনেক উচ্চ লেভেলের। আমি আমার ডান হাতের আগুনটা আরো বড় করলাম। সাথে সাথে ইগড্রাসিলের আগুনও আমার ডান হাতে বড় হয়ে গেলো। সেটা বড় হয়ে উপরের দিলে উড়তে লাগলো আরো। সেদিকে আমার নজর নেই। এদিকে লুক তার ডানা দিয়ে একদম আল্ট্রা বেগে আমার কাছে চলে আসলো। যদিও আগে এটা আমি দেখতে পারতাম না। তবে এখন এন্জেলদের ক্ষমতা থাকার কারনে, আমিও আল্ট্রা স্পিড ব্যবহার করতে পারি। অবশ্য একটা সময় ছিলো যখন আমি এটা ব্যবহারও করেছি। তবে এখন আবার সব কিছু আমার কাছে নতুন লাগছে।
।।।
।।।
লুক আমাকে তার ডান হাত দিয়ে ঘুষি মারতে আসছিলো। আর আমিও সেইসময় আমার আগুনে ভরা ডান হাত দিয়ে ঘুষি মারলাম। দুজনে দশ পনেরো সেকেন্ডের জন্য স্থির ছিলাম। আমাদের দুজনের ঘুষিতে পুরো ফ্লোরে ভূমিকম্প দেখা দিলো। অনেক মারাত্মক শক ওয়েব তৈরী হয়েছে, যেটা আমাদের দুজনের চারপাশের ফ্লোরকে ভেঙে অনেকটা দাবিয়ে দিলো। যদিও কিছুক্ষনের জন্য আমি তার ঘুষিটাকে আটকিয়ে রাখতে পারছি। কিন্তু হঠাৎ ডান হাত পিছিয়ে নিয়ে আরেকটা ঘুষি দিলো যেটার আঘাতে আমি উড়তে উড়তে এরিনার দেওয়াল ভেঙে ভিতরে চলে গেলাম। ঘুষিটা ঠিক আমার ডান পাশের মুখে লাগে, যেটার কারনে ডান পাশের একটা দাঁত ভেঙে গেলো। আমি দাড়ালাম। ঘুষিটা অনেক মারাত্মক ছিলো। আমি ভাঙা দাঁতটা থুথু দিয়ে বের করে ফেললাম। দাঁতের ক্ষত একা একা হিল হয়ে যাচ্ছে। হয়তো কিছুদিন লাগবে নতুন দাঁত উঠতে। তারপরও দাঁত উঠার ব্যথা ভালো লাগছে না। ক্ষত হিল হলে ব্যথাও চলে যায়। কিন্তু ক্ষত হওয়ার সময় যে ব্যথা পাওয়া যায় সেটা বেদনাদায়ক। এরকম ঘুষি মনে হয় আমি আজ পর্যন্ত খাইনি। আরেকটু জোরে হলে তো আমার মাথায় ঘুরে যেতে। যাইহোক আমি একটু রেগে গেলাম। আমি আমার পুরো পাওয়ার ব্যবহার না করলে হবে না এখানে। মূলত কোনো প্রকার অস্ত্রে ব্যবহার করা যাবে না বলে আমি আমার ব্যাগটা হ্যারির হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলাম আসার সময়। নিজের শরীরে দিয়েই লড়তে হবে আমাকে। আমি আমার হাতের আগুন ফুল পাওয়ারের বানিয়ে ফেললাম। হাতের তালু থেকে অনেক বড় একটা আগুনের বল বের হলো। আমি কোনো স্পেল ব্যবহার করি নি। এটা শুধু আগুন তৈরী করেছি। বেশী আগুন একত্র হওয়ার ফলে একটা বিশাল বলের আকার ধারন করেছে সেটা। আমি বলের মধ্যে আমার হাত ঢুকিয়ে দিলাম। সাথে সাথে ইগড্রাসিলের ক্ষমতাও বেড়ে গেলো। আমি জানি কিভাবে ইগড্রাসিলকে ব্যবহার করতে হয়। নিজের শরীরের তাপমাত্রা যত বেশী হবে, ইগড্রাসিলের ক্ষমতাও তত বেশী হবে। এবার আমার পুরো ডান পাশ আগুনে জ্বলতে লাগলো। আমি বুঝতে পারছি না বাম পাশে একটু আগুনও যাচ্ছে না। হয়তে আমার শরীর সত্ত্বা ভাগ না করলেও দুটো ড্রাগন ঠিকই ভাগ করে নিয়েছে। শরীরে দুটো ড্রাগন নিয়ে ঘোড়ার কোনো মানে হয় না। আমি ডান পা থেকে শুরু করে মাথার ডান পাশের সব কিছু আগুনে জ্বলছে। আমি আস্তে আস্তে করে এগিয়ে যাচ্ছি লুকের কাছে। যেখানে পা দিচ্ছি সেখানের ফ্লোর একদম পুরে যাচ্ছে। আমি আল্ট্রা স্পিডে এগিয়ে আসলাম লুকের দিকে। এবং একসাথে আল্ট্রা স্পিডে ওর শরীরে একসাথে বিশ ত্রিশটার মতে ঘুষি দিলাম। সে আমার মতো উড়ে না গেলেও, অনেকটা দূরে গিয়ে পরে যায়। মুখের অনেকটা জায়গায় কেটে গেছে।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য।