ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৩৪

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৩৪
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
ভ্যালিকে ব্যবহারের ফলে পুরো রুম পানিতে ভরে গেলো। যেহেতু বের হওয়ার রাস্তা পাচ্ছে না, তাই রুমের মধ্যেই ছোট একটা পুকুর হয়ে গেলো। আমি পানির ভিতরে তলিয়ে যাচ্ছিলাম। পানির এট্রিবিউট থাকলে কোনো সমস্যা হতো না, তখন আমি পানিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারতাম। একটা জিনিস আমি লক্ষ করেছি, ছয়টা এট্রিবিউটের আগুন বাদে আমি অন্য একটাও ব্যবহার করতে পারি না। তবে বাকি যে পদার্থ রয়েছে পরিবেশে সেটা আমি নিজের মতো নিয়ন্ত্রন করতে পারি। যেমন একটু আগেই এই রুমের অক্সিজেনকে নিয়ন্ত্রন করে আমি আমার হাতের ছোট আগুনকে একদম মারাত্মক রূপ দিয়েছিলাম। হঠাৎ রুমের দরজা কেউ খুলে দিলো, এবং সমস্ত পানি রুম থেকে বের হয়ে গেলো। পানি বের হওয়ার স্রোতও মারাত্মক ছিলো। তাই আমিও স্রোতের সাথে সাথে বের হয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ কারো উপরে আমি পরলাম। পানির জন্য প্রথমে লক্ষ না করলেও পানি চলে যাওয়ার পর দেখতে পেলাম, প্রিন্সেস এলিনায় দরজা খুলেছিলো। পানিতে সে পুরো ভিজে গেছে। আর আমার উপরে একদম রাগ করে আছে। আমি তার উপরে পরার ফলে সে নিজে পরে গেছে। উঠে আমাকে মারতে যাবে, কিন্তু আমার ডান হাতে স্পর্শ করার সাথে সাথে সে হাওয়ায় উড়তে লাগলো। বুঝতে পারলাম জিরো গ্রাভিটি হয়ে গেছে তার জন্য। আমার ট্রেনিং ভালোই কাজে দিয়েছে এটুকু আমি বুঝতে পারলাম। যদিও সেটার জন্য মারাত্মক ট্রেনিং করতে হয়েছে, যেটায় আমার হার্টকে বার বার ড্রাকুলা বের করেছে। আমি ভাবছি এখন কোথায় আছে ড্রাকুলা।
.
–এসব কি জ্যাক, প্রথমে আমাকে পানিতে ভিজিয়ে এখন হাওয়ায় ভাসাচ্ছো। এভাবে একজন প্রিন্সেসকে কি কেউ লজ্জিত করে?(প্রিন্সেস)
.
–আমি অনেক দুঃখিত। আসলে আমি ট্রেনিং করছিলাম। এমন সময় আপনি রুমের দরজা খুলেছেন।(আমি)
.
–ওওওও।(প্রিন্সেস)
।।।।
।।।।
প্রিন্সেস উপরে উড়ার ফলে তাকে আমি টান দিয়ে নামিয়ে ফেললাম। সে ঝুক রাখার জন্য আমার বুকের মধ্যে এসে জরিয়ে ধরলো। যদিও সিনটা অনেক রোমান্টিক। তারপরও ভেজা কাপড়ে বেশীক্ষন থাকলে ঠান্ডা তো লাগবেই। আমি প্রিন্সেসকে ছেড়ে দিতে যাবো, তখনি সে আমার ডান গালে একটা চুমু দিয়ে দৌড়ে চলে গেলো। লজ্জা মাখা চেহারা প্রিন্সেসকে আরো অনেক সুন্দর লাগে, যদিও তাকে আগের দুনিয়া থেকেই সুন্দর লাগে। তারপরও এই দুনিয়া তার নিজস্ব আলাদা একটা সৌন্দর্য রয়েছে।
।।।
।।।
আমি আবার আমার নিজের রুমে আসলাম। রুমের মধ্যে এন্জেলরা পরে এরকম অনেক জামা রয়েছে, যদিও আমার সেগুলো পছন্দ না। এন্জেলরা সাদা জামা বেশী পছন্দ করে। আর তারা তাদের ডানার সাথে মেচিং করে সাদা জামাই পরে থাকে। আমি আমার নিজের জামা নিজেই শোকাতে পারবো। একটা ভিজা কাপড়ের শোকানের জন্য দুইটা জিনিস প্রয়োজন, এক হলো বাতাস, এবং আরেকটা হলো তাপ। তাপের ফলে জামা থেকে পানি বাষ্প আকারে বের হয়ে যাবে, এবং বাতাসের সাহায্যে কাপড় থেকে পানি হাওয়ার তীব্রতার জন্য বের হয়ে যাবে। যদিও আমার কাছে বাতাসের এট্রিবিউট নেই। কিন্তু তাপের এট্রিবিউট থাকার ফলে কোনো সমস্যা হবে না। আমি আমার ডান পাশের শরীরকে অনেকটা উত্তপ্ত করলাম। আমার শরীরের আগুন এখন আমার নিজের জামা একদম পোড়াতে পারবে না। কারন আমি একটা ম্যাজিকাল জামা কিনেছিলাম। যেটা আগুন থেকে সুরক্ষা দেবে আমার জামাকে। যদিও ভিরুদার আগুন আমার জামা পোড়ায় না, তবে একবার হাতার জামা পুড়িয়ে ফেলেছিলো। কিন্তু এখন সেটা সমস্যা হয় না। তবে আমার নিজের আগুন অনেকটা ঝামেলার। আমি কম তাপমাত্রায় সেটা ঠিকই কন্ট্রোল করতে পারি। তবে যখন সেটার তাপমাত্রা একদম বেড়ে যায় তখন সেটা আমার পুরো ডানপাশ জুড়ে থাকে। আর তখনই আমার ডানপাশের জামা নিয়ে ভয় থাকে। যদিও জামাটা ফায়ারপ্রুভ। তারপরও আমার চিন্তা হচ্ছে। হঠাৎ ভ্যালির আওয়াজ শুনতে পেলাম। ভ্যালি এবং ইগড্রাসিল এখন খুব কমই কথা বলে আমার সাথে। কারন আমি সব সময়ই কারো না কারো সাথেই থাকি। আর ড্রাগনরা সাধারনত অন্যের সামনে কথা বলে না।
.
–জ্যাক তোমার আগুনের মাধ্যমে তো তোমার জামার শুধু ডানপাশই শুকাচ্ছে। বাম পাশ তো ভিজাই থাকবে।(ভ্যালি)
.
–হ্যা। আমার শরীর দুইভাগে ভাগ হয়েছে। একটা পানির, একটা আগুনের। আগুনের এট্রিবিউট থাকার ফলে আমার ডানপাশ দিয়েই শুধু আগুন ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু পানির এট্রিবিউট না থাকার কারনে আমি বাম পাশ দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারি না।(আমি)
.
–আমার শরীরকে তোমার বাম পাশের জামার উপরে রাখো।(ভ্যালি)
।।।
।।।
ভ্যালির কথা মতো আমি আমার বাম হাতকে আমার জামার উপরে রাখলাম।
.
–আরে বোকা তোমার হাত না। তলোয়ারটা রাখো। আমার শরীর কোথায় তুমি জানো না?(ভ্যালি)
.
–ওওও সরি সরি।(আমি)
।।।
।।।
আমি তলোয়ারটা জামার সাথে রাখার ফলে, জামা থেকে সব পানি আস্তে আস্তে ভ্যালির তলোয়ার চুষে নিচ্ছে। এবং সকল আমার বাম পাশের জামাও শুকিয়ে গেলো। যাক এবার আমি রেডি।
.
–আমার এই ক্ষমতার নাম ওয়াটার এবজোর্বসন। এটা দিয়ে আমি যে কোনো পরিমান পানি এবজোর্ব করতে পারবো। এবং সেটাকে পরে যেকোনো সময় এ্যাটাকের জন্য কিংবা ডিফেন্সের জন্য ব্যবহার করতে পারবো।(ভ্যালি)
.
–ওয়াও। এটা তো অনেক কাজের একটা ক্ষমতা।(আমি)
।।
।।
কেউ এদিকে আসছিলো, তাই ভ্যালি আর কথা বললো না। আমি রুম থেকে বের হবো, তখনি একটা এন্জেল গার্ড ঢুকে আমাকে বলতে লাগলো,
.
–রানী আপনাকে তার সিংহাসনের রুমে যেতে বলেছেন।(গার্ড)
।।।
।।।
আমারও কিছুই করার নেই। হাটতে হাটতে যাচ্ছি। সবাই কত ভাগ্যবান দুটো ডানা পেয়ে। কিন্তু একটা সময় আমার কাছে বারোটা ডানা ছিলো, এটা ভেবেই আমার দুঃখ লাগছে। সেটা কি সময় ছিলো, আর এখন আমার একটা ডানাও নেই। যদিও বারোটা ডানা ওয়ালা ডেভিল কিং হয়ে আমি কিছুই করতে পারি নি। আমার শরীরে সবসময় শুধু সত্ত্বাদের লড়াই চলতো। এই দুনিয়াতে একটা জিনিস আমার ভালো লাগছে, সেটা হলো আমার সত্ত্বাগুলো আর আমার শরীরে জীবিত নেই। যদি থাকতো হয়তো তারা আগের মতোই আমার শরীর নিয়ে কাড়াকাড়ি করতো। তারপরও আমার খারাপ লাগছে। আমি আগের মতো সঠিক চিন্তা ভাবনা করতে পারছি না। আগের দুনিয়াতে আমার শরীরের কন্ট্রোল ছোট থেকেই এন্জেল সত্ত্বা করেছিলো। এজন্য আমি দয়ালু টাইপের ছিলাম। ডিম্যান সত্ত্বা থাকলেও সেটা আমার ডেভিল সত্ত্বার সাথে সিল করা ছিলো অনেকবছর। কিন্তু এখন আমার শরীর একটা মানুষের সত্ত্বা। যারা আগের দুনিয়ায় শক্তি এবং পাওয়ারের দিক দিয়ে অনেক দুর্বল ছিলো। এখনো সেই একই অবস্থা। যদিও মানুষেরা ম্যাজিক জানে, তারপরও তারা সবচেয়ে দুর্বল গোত্রের মধ্যে পরে। কিছু কিছু মানুষ ছিলো যারা নিজেদের শক্তিশালী প্রমান করেছিলো। কিন্তু তারপরও আজও এখানেও সকল মানুষেরা দুর্বল এবং বাকি সকল গোত্রের থেকে ঘৃনিত।
।।।
।।।
আমি হাটতে হাটতে রানী আফরিয়েল এর সিংহাসনের দিকে চলে আসলাম। রানী আমাকে দেখে বলতে লাগলো,
.
–জ্যাক তুমি এখান থেকে যাওয়ার আগে বলেছিলে এখান থেকে তোমাকে তখন যেতে দিলে পরে আমি যেটা বলবো তুমি সেটাই করবে তাই না?(রানী)
.
–হ্যা। তবে রানী আফরিয়েল সেটা আমার পছন্দ মতো হতে হবে। এমন না যে আপনি আমাকে মরতে বললেন, আর আমি মরে গেলাম।(আমি)
.
–না না এরকম কিছু না। আমাদের রানী আফরিয়েল এর ইচ্ছা সে আপনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। এই পুরো রাজ্যের রাজা আপনাকে বানাবেন। এবং আপনার পাশেই রানী হয়ে দুজনে মিলে এ্যারসাককে শাসন করবেন।(এন্জিলা)
।।।
।।।
আমি পুরো শকে পরে গেলাম এই কথা শুনে। আমি ভাবতেও পারি নি এরকম কোনো কিছু আসবে একজন রানীর থেকে। একজন এন্জেল রানী কিভাবে একজন মানুষকে তার স্বামী করবে। আমার থেকে বেশী অবাক হলো প্রিন্সেস। সে অবাক হওয়ার সাথে সাথে রেগেও আছে। যদিও এই দুনিয়ায় বহু বিবাহ ছেলেদের জন্য প্রচলিত, তারপরও কেউ চাইবে না পছন্দের কারো ভাগ অন্যকে দিতে। আমি জানি প্রিন্সেস এলিনা আমাকে ভালোবাসে। হয়তো এইটা ভাগ্য যেটা আমাদের এই দুনিয়াতেও আবার এক করে দিয়েছে। কিন্তু সেই ভাগ্য ঘুরে ফিরে আবার সেই একই জায়গায় যাচ্ছে।
.
–আমি মাত্রই বলেছি, রানী আফরিয়েল যেটা করতে বলবে সেটাই করবো। কিন্তু সেটা আমার ইচ্ছামতো হতে হবে। সে আমাকে মরতে বললো আর আমি মরবো এটা কোনোদিনও হবে না। আর সে আমাকে তাকে বিয়ে করতে বললো এটাও কোনোদিন হবে না।(আমি)
.
–সাহস কি করে হয় আপনার, আমাদের রানির বিয়ের প্রপোজাল মানা করার। একজন মানুষ হয়ে বেশী ভাব দেখাচ্ছেন।(এন্জিলা)
.
–এইখানেই সমস্যা। আমি সাধারন একজন মানুষ। যে কিনা কয়েকদিন আগেও কিছুই ছিলো না। কিন্তু হঠাৎ আমার পিঠের হাত দেখে এন্জেলদের রানী আমাকে নিয়ে আসলেন তার রাজ্যে। এবং আজ সে বলছে তাকে বিয়ে করতে। তো পুরো জিনিসটা আমার পিঠের হাতের জন্য, যেটাকে আপনারা গডহ্যান্ড বলছেন। তো এখন এন্জেল রানীকে বিয়ে করলে, বিয়েটা আমার সাথে হবে না তার, মূলত আমার পিঠের হাতগুলোর সাথে হবে তার।(আমি)
.
–এতোবড় অপমান আমাদের রানীর উপরে। এটা আমরা মেনে নিবো না। রানী আদেশ করুন এখনি এই ছোট মানুষিকতার মানুষটাকে তার জায়গা শিখায়।(জেনারেল লুক)
.
–জেনারেল থামুন।(রানী)
।।।
।।।
পুরো জায়গাটা হঠাৎ একটা যুদ্ধক্ষেত্রের মতে হয়ে গেলো। যদিও যুদ্ধ হচ্ছে না। তারপরও সিংহাসনের রুমের সকল এন্জেলের দৃষ্টি আমার দিকে। আর তারা যে আমার দিকে ভালো করে তাকাচ্ছে না, সেটা আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছি। এখন কি করা যায় সেটাই আমি মনে মনে ভাবছি, তখনি এন্জেল রানী আফরিয়েল বলে উঠলো,
.
–তুমি বললে আমি গডহ্যান্ডের জন্য তোমাকে বিয়ে করছি। হ্যা সত্য সেটাই। আমাদের এন্জেলদের অনেক লিজেন্ডে রয়েছে, গডহ্যান্ড যে ব্যবহার করতে পারবে এই পুরো দুনিয়া তার কন্ট্রোলে চলে আসবে। আর সেই এই পুরো দুনিয়াতে একদম সুন্দর একটা জায়গা বানাবে, যেখানে কোনো লড়াই থাকবে না, কোনো যুদ্ধ থাকবে না। সবাই সে জায়গায় সুখিতেই থাকবে। তো এখন সেই ব্যক্তির স্ত্রী হয়ে তার পাশে থাকার চিন্তা করলে আমার দোষ কোথায়?(রানী আফরিয়েল)
.
–এখানেই সব দোষ। আপনি যেটা বলছেন সেটা কখনো হবে না। আপনি বলছেন আমার এই ক্ষমতার নাম গডহ্যান্ড, যেটা এই পুরো দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রন করবে তাই না। কিন্তু এই দুনিয়া কেমন হলো না হলো, সেটা নিয়ে আমার কেনো আগ্রহ নেই, হয়তো আমার পরে এই ক্ষমতা যার কাছে যাবে সেই লোকটা সেই কাজ করবে। তাই আমাকে না বিয়ে করার চিন্তা করে তার জন্য অপেক্ষা করুন।(আমি)
.
–ঠিক আছে যদি নরম কথায় রাজি না হও তাহলে আমি ফোর্স ব্যবহার করতে বাধ্য হবো।(রানী)
.
–যেটার করার করেন। আমার উত্তর না।(আমি)
.
–উত্তর দেওয়ার আগে ভেবে নিলে ভালো হতো তোমার পরিস্থিতি এখানে। তোমার সাথে এখানে প্রিন্সেস এবং তোমার বন্ধুরা বন্ধী। আমার আদেশ ছাড়া কেউই এই জায়গা থেকে বের হতে পারবে না। কোনো প্রকার টেলিপোর্ট স্পেলও কাজে দিবে না এখানে।(রানী)
.
–হ্যা পরিস্থিতি আমি বুঝতে পেরেছি, সেটার জন্য আমি প্লানও করেছি।(আমি)
.
–যদি জোর করে এখান থেকে বের হওয়ার চিন্তা করে থাকো, তাহলে লাভ হবে না।(রানী)
.
–না। আপনি আমাকে বিয়ে করতে চান এই তো?(আমি)
.
–হঠাৎ এই প্রশ্ন।(রানী)
.
–না এমনি মন চাইলো। আপনি আমাকে বিয়ে করলে তো আমি আপনার এই পুরো রাজ্যের রাজা হবো, সেটা আগেই এন্জিলা ঘোষনা করলেন। তো আমি চাই আপনার রাজ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী এন্জেল এর সাথে লড়তে, সেটা যদি আপনি হয়ে থাকেন, তাহলেও সমস্যা নাই আমি লড়বো। যদি আমাকে হারাতে পারেন তাহলে আমি আপনার ইচ্ছা মেনে নিয়ে আপনাকে বিয়ে করবো। আর যদি আমি জিতে যায়,।(আমি)
.
–তাহলে?(রানী কিছুটা অবাক হয়ে)
.
–সমস্যা নেই আমি এই রাজ্য নিবো না😃। আমি জিতলে আপনি শুধু আমাদের সবাইকে যেখান থেকে এনেছেন সেখানে দিয়ে আসবেন।(আমি)
.
–এতো কনফিডেন্স। কয়েদিন আগেই তো আমার জেনারেল এর সাথে লড়াই এ অনেক লজ্জাজনক হার হয়েছিলো আপনার।(রানী)
.
–চাইলে আবারো জেনারেল এর সাথে আমার লড়াই এর ব্যবস্থা করতে পারেন।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে। জেনারেল লুক এবংতোমার মধ্যে আবারো হ্যান্ড টু হ্যান্ড এর লড়াই হবে, যেখানে কোনো প্রকার বাইরের অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। যদি জিততে পারেন তাহলে আমি তোমাদের ইগড্রোলিয়ায় দিয়ে আসবো। আর আমি জিতলে আজই আমাদের বিবাহ হবে।(রানী)
.
–হ্যা ঠিক আছে।(আমি)
।।।
।।।
যদিও তলোয়ার ছাড়া আমি অনেকটা অসুবিধায় পরে গেলাম। তারপরও আমাকে জিততে হবে। না জিততে পারলে আমার এখানেই বিয়ে হয়ে যাবে। এবং এই রাজ্যের রাজা হতে হবে। যদিও বিয়ে নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। কারন আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী কন্যা এই রানী আফরিয়েল যদিও আমার থেকে দুই তিন বছরের বড় হবে। তারপরও সে অনেকটা সুন্দর। রাতে তার চেহারা এবং শরীরের সুন্দর্য উজ্জল আলোর মতো দেখায়। তাকে বউ করা আপত্তিকর বিষয় না। কিন্তু সমস্যা হলো আমি কোনো রকম রাজ্য শাসনের কাজে যেতে চাই না। এই কাজ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে আমাকে। যদিও আমার মন চাচ্ছে রানীকে বিয়ে করে আমি প্রিন্সেস এনার থেকে প্রতিশোধ নেই কিছুটা। কিন্তু আমি এখনো সিওর না যে প্রিন্সেস এর আগের দুনিয়ার কথা মনে আছে কিনা। যাইহোক আমি আমার জীবনকে উপভোগ করতে চাই। আগের দুনিয়ার মতো কম বয়সে মরতে না। তাই মেয়েদের চক্করে একটু কম যাওয়ায় ভালো। শেষে এই মেয়েরাই বিশ্বাসঘাতক হয়।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পর্বের জন্য। আর আশা করি লুক এবং জ্যাকের ফাইট ভালো লাগবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here