ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৩৫

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৩৫
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমাকে ফাইটিং এরিনার মধ্যে যেতে হলো। লড়তে হবে জেনারেল লুকের সাথে। যদিও আমি এতো তারাতারি প্রস্তুত নই। আর আমি এখানে একটু অসুবিধার মধ্যেই আছি আমার তলোয়ার ছাড়া। তারপরও দেখা যাবে কি হয়। আজকে ফাইটিং এরিনা পুরো ভরে গেছে। মনে হচ্ছে পুরো এ্যারসাকে এই খবর ছরিয়েছে। আর তার ফলেই এতো এন্জেল দেখতে এসেছে। যাই হোক জেনারেল লুক অনেক শক্তিশালী। তাকে হারাতে চাইলে আমাকে বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে হবে। মাঝখানে আমি এবং লুক হেটে আসলাম। লুকের শরীরে প্রচন্ড শক্তি রয়েছে যেটা যে কাউকে এক আঘাতে মেরে ফেলতে পারবে। আমি এটুকু শিওর যে প্রথম লড়াই এ তেমন শক্তি ব্যবহার করে নি সে। কিন্তু এবার পুরোটাই ব্যবহার করবে। যদি ম্যাজিকাল কোনো স্পেল ব্যবহার করে, তাহলে আমি সেটা বিরুদ্ধে তাকে আঘাত করতে পারবো আমার পিঠের হাতগুলো দিয়ে। কিন্তু আমাকে সোজাসোজা লড়াই এর জন্য একটা অস্ত্র ভাবতে হবে। আপাতোতো আমি গ্রাভিটি কন্ট্রোল ব্যবহার করতে চাই না। সেটা শেষের দিকে ব্যবহার করতে পারবো। আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই লুক আল্ট্রা স্পিডে আমার দিকে আসতে লাগলো যেটাকে আমি দেখতেই পেলাম না। এক দম কাছে এসে আমাকে ঘুষি মারতে যাবে, তখনি আমি আমার পিঠ থেকে তিনটা হাত বের করলাম। এবং আমার ডান হাত সহ তিনটা হাত দিয়ে লুকের ঘুষিটা থামিয়ে ফেললাম। ঘুষিটা এতো শক্তিশালী হবে, সেটা বুঝতে পারি নি। গডহ্যান্ডের তিনটা হাত এবং আমার নিজের হাতের জোরও ওর ঘুষিকে থামিয়ে রাখতে পারলাম না বেশীক্ষন। ঘুষির ফোর্সের ফলে আমি অনেকটা দূরে কয়েক পল্টি খেতে খেতে চলে আসলাম। মুখে লাগে নি এখনো ঘুষি। তবে ডান হাতের কব্জিতে হালকা ব্যথা করা শুরু হয়েছে। এটা আগের ঘুষিগুলোর থেকে দ্বিগুন শক্তিশালী। আমি ভাবতে শুরু করলাম কি করা যায় এমন পরিস্থিতিতে। আর তখনি লুক দূর থেকে আল্ট্রা স্পিডে আমার কাছে চলে আসলো। এবং আমার মাথা ধরে সোজা ফ্লোরে যাতা দিলো। এবার ওর স্পিডও দ্বিগুন ছিলো। যেটা আমি দেখতেই পারি নি। একদম নিমিষেই আমার কাছে চলে আসলো ও। সামনের দিক দিয়ে আসায় আমার মাথার পিছনের সাইড ফ্লোরে যাতা দিয়েছে। এজন্য মুখ বেচে গেলেও। মাথার পিছন দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। মাথা অনেকটা কেটে গেছে। কিন্তু সেটা আস্তে আস্তে হিল হচ্ছে। আমি উঠতে পারছিলাম না। মাথায় ব্যথায় ঘুরছিলো। লুক কিছুটা পিছিয়ে গেলো। আমাকেও আক্রমন করার সময় দিলো। আমি উঠে দাড়িয়ে সয়মকে আটকিয়ে দিলাম। অবশ্য বেশীক্ষন আটকিয়ে রাখতে পারি না। তারপরও আধা সেকেন্ড আমার জন্য যথেষ্ঠ আঘাত করার জন্য। আমি সময়কে আটকানোর পর সোজা আমার ডান হাতে আগুন বানিয়ে ফেললাম। এবং পুরো ডান হাটতে আগুনে ঢেকে দিলাম। এরপর আল্ট্রা স্পিডে আমি লুকের কাছে গেলাম। যদিও আমার আল্ট্রা স্পিড ওর কাছে কিছুই না। কিন্তু সময় আটকে থাকার কারনে এখন আমার এডভান্টেজই বেশী। আমি আমার ডান হাত দিয়ে সোজা ওর নাক বরাবর একটা ঘুষি মারতে গেলাম। কিন্তু লুক সেটা আটকে ফেললো।
.
–টাইম স্পেল খারাপ না। কিন্তু এটা এন্জেলরাও পারে।(লুক)
।।
।।
লুক আমার ডান হাত ধরে পিছনের দিকে আমাকে উচু করে ফেলে দিলো। আমি ফ্লোরে পরে গেলাম উপুর হয়ে। পুরো ফ্লোর ভেঙে নিচু হয়ে গেলো। আমার বুকের পাজরের হাড় ও মনে হলো ভেঙে গেলো। প্রচন্ড ব্যথা শুরু হলো বুকের মধ্যে। আমি আগের দুনিয়াতে এতো ব্যথা কখনো অনুভব করেনি যেটা এখন করছি। সব কিছু নিয়ে বলা যাচ্ছে আমি অনেক দুর্বল। তারপরও আমাকে চেষ্টা করতে হবে। আমি এখনো আমার ক্ষমতা গুলো ব্যবহার করা শুরু করি নি। আমি আমার পিঠের হাত বের করলাম একটা। এবং সেটা দিয়ে একটা তলোয়ার বানালাম। আমি মাত্র কয়েকটা হাতের সঠিক যে কোনো রূপ দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রন করতে পারি। অবশ্য কথা ছিলো বাইরের কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ম্যাজিক দিয়ে বানালে সেটা অন্য কথা। লুকের লড়াই এর স্টাইল হলো ক্লোজে। আমি যদি ক্লোজে না গিয়ে দূর থেকে ওকে মারতে পারি তাহলে কিছু একটা করতে পারবো। আর সেটার জন্য তলোয়ার হয়তো ভালো চয়েজ হবে না। তারপরও আমাকে চেষ্টা করতে হবে। আমি লুসেফারের থেকে শেখা কয়েকটা টেকনিক ব্যবহার করতে লাগলাম৷ প্রথমেই তলোয়ার দিয়ে আমি মাটিতে আঘাত করলাম। যেটা মাটি থেকে অনেক লোহার তলোয়ার বের করছে। এটা মূলত লোহা নয়। বরং হালকা সময়ের জন্য আমার শরীর থেকে তলোয়ারের রূপ নিয়ে ম্যাজিক পাওয়ার অনেকগুলো তলোয়ার তৈরী করে। আর সেটা মাটির উপরে কাটা বিছানোর মতো যেতে থাকে সামনে। আমি অনেকটা দূর থেকেই এক টেকনিক ব্যবহার করলাম। যদিও এটা লুকের পায়ে সামান্য পরিমান ক্ষত করতে পেরেছে। এইটুকুতে আমি লুককে কখনো হারাতে পারবো না। লুক কিছুটা হেসে উঠলো। এবং আবারো আমার দিকে এগিয়ে আমাকে ঘুষি মারলো দুটো। আমি এবার আর আমার ক্ষমতা রেখে দিলাম না। আমি পুরো দশটা হাত বের করলাম পিঠ থেকে। এবং লুকের দুটো হাতের ঘুষি আমি ছয়টা ছয়টা হাত দিয়ে থামিয়ে ফেললাম। যদিও আমাদের শক্তি এখন সমান সমান হয়েছে, তারপরও এটাও যথেষ্ঠ না। আমি আমার পুরো ক্ষমতা এখনি ব্যবহার করতে চাই। কারন যত তারাতারি তাকে হারাতে পারবো ততই ভালো হবে আমার জন্য। তাছাড়া বুকের হাড় ভাঙার ব্যথা নিয়ে আমাকে এভাবেই লড়তে হবে অনেকক্ষন। আবার এর থেকেও খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে এভাবে বেশীক্ষন লড়তে থাকলে। আমি আমার ডান হাতে কিছুটা আগুন জ্বালালাম। পুরো ডান হাত আমি আগুনে ঢেকে ফেললাম। এবং আমি লুকের কাছে গিয়ে ঘুষি মারতে লাগলাম। শুধু আমার ডান হাত নয়, ডান হাতের সাথে দশটা হাত বের হয়েছে পিঠ থেকে। সেগুলোও একসাথে ঘুষি মারছে লুককে। লুক তার হাত দিয়ে আমার ছয় সাতটা ঘুষি থামাতে পারলেও বাকি কয়েকটা ঠিকই শরীরে লাগছে। তেমন শক্তিশালী ঘুষি না হলেও আমি ঠিক একটা পয়েন্ট করে সবগুলো ঘুষি মারছি। এক মিনিটের মধ্যে আল্ট্রা স্পিডে আমি পুরো দুইশোর বেশী ঘুষি মেরেছি এক একটা হাত দিয়ে। ঘুষি গুলোর পর লুক হেসে আমার দিকে বলতে লাগলো,
.
–এটাই আশা করেছিলাম আপনার থেকে। যতই গডহ্যান্ড থাকুক না কেনো? একজন মানুষ তো মানুষই থাকে। শারিরীক দিক দিয়ে তারা দুর্বলই হয়।(লুক)
।।
।।
লুক হেসে আমাকে বলতে লাগলো। তার কথা সত্য। মানুষ শারিরীক দিক দিয়ে বাকি গোত্র থেকে অনেক দুর্বল। আমার কাছে হিলিং ক্ষমতা থাকার ফলে আমি এতোদিন বেচে আছি, নাহলে অনেক আগেই মারা যেতাম। লুকের এই কথা আমি অমান্য করতে পারলাম না। হ্যা আমরা মানুষেরা অনেক দুর্বল। শারিরীক ভাবে আমরা ঠিকই দুর্বল। যারা অন্য গোত্রের সাথে কিছু করতে পারবো না। তবে লুক হয়তো জানে না মানুষেরা তাদের নিজেদের দিক দিয়ে আলাদা। একটা জিনিস আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। মানুষের কাছে যে জ্ঞান ছিলো সেটা অন্য কোনো গোত্রের কাছে ছিলো না আগের দুনিয়াতে। আর এবারো সেটাই হবে। যদিও মানুষ এই দুনিয়ায় তেমন সুবিধা পায় না জ্ঞান অর্জনের। কিন্তু মানুষের জ্ঞান অর্জনের অনেক আগ্রহ আছে। ঠিক আমার মতই। ড্রাকুলার প্যালেস থেকে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ন জিনিস জানতে পেরেছি যেটা এই দুনিয়ার মানুষদের অনেক উন্নতির পথে নিয়ে যাবে। কিন্তু সেটার জন্য অনেক কষ্ট করতে হবে। যাইহোক আমি আশেপাশের অক্সিজেন আমার আগুনের মধ্যে নিয়ে আসলাম। এরজন্য আমার আগুন অনেকগুন বেরে গেলো। এবং পুরো ডান পাশ আগুনে জ্বলতে লাগলো। আগুন আকাশের দিকে অনেকটা উপরে উঠছে। আর চারিদিকে মারাত্মক তাপ দিচ্ছে। আমার তাপ বেড়ে গেলেও শরীরে আমি তেমন ফিল করছি না তাপ। সেটা স্বাভাবিকই রয়েছে। আমি আপাতোতো শুধু অক্সিজেনই ব্যবহার করছি। এছাড়া আরো অনেক পদার্থ রয়েছে যেগুলো আমাকে ব্যবহার করতে হবে। আমার ম্যাজিক পাওয়ার দেখার ক্ষমতা এখানে অনেক কাজে দেই। কারন আমি বায়ুতে প্রতিটা পদার্থকে আলাদা ভাবে এটার সাহায্যে দেখতে পাই। যাইহোক আমি অক্সিজেনের পরিমান আরো বাড়িয়ে দিলাম। আগুন আরো মারাত্মক ভাবে জ্বলতে লাগলো। এই অবস্থায় আমি অ্যামোনিয়া গ্যাস এবং এখানে নাইট্রোজেন কিংবা হাইড্রোজেন যোগ করলে এই জায়গায় পুরো বিশাল একটা ডিসট্রাকসন হবে। অনেকটা নাইট্রোজেন এবং হাইড্রোজেন বোমার মতো কাজ করবে। যাইহোক আপাতোতো আমার আগুন অনেক বেড়ে গেছে। আমি আল্ট্রা স্পিডে আগাতে লাগলাম। তাছাড়া ছয়টা হাত বের করেছি পিঠ থেকে। পিঠের হাতগুলোকে আমি আমার স্পিড বারানোর জন্য ভালো একটা বুদ্ধি পেয়েছি্ ছয়টা হাত ফ্লোরে ভর করে সামনের দিকে আমাকে ঢেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে। অনেকটা একটা মাকড়া যেভাবে তার অনেকগুলো পা দিয়ে দ্রুত চলাচল করে, ঠিক সেভাবে কিন্তু আমি হাতগুলো আমার শরীরকে আরো দূরে ব্যবহার করছি। অনেকটা রাবারের মাধ্যমে পাথর ছোড়ার মতো। আমার স্পিডের কারনে লুক এবার আমাকে দেখতেই পারলো না। আসলেই অনেক স্পিড বেরে গেছে গডহ্যান্ডকে এভাবে ব্যবহারের জন্য। ডানা থাকলে হয়তো আরো স্পিড হতো, তবে আপাতোতো এইটুকুই যথেষ্ঠ। আমি দ্রুত এগিয়ে লুকের মুখে ডান হাত দিয়ে একটা ঘুষি দিলাম। লুক এটা আমার থেকে আশা করে নি। আমার ঘুষিতে এমনিতেই অনেক পাওয়ার ছিলো, এবং যে স্পিড ছিলো তাতে লুক পল্টি খেতে খেতে একদম দূরে গিয়ে এরিনার দেওয়ালের মধ্যে ঢুকে গেলো। ঘুষিটা ওর দেওয়া ঘুষির থেকেও অনেকটা শক্তিশালী হয়েছে। লুক ভাঙা দেওয়ালের মধ্য থেকে হাটতে হাটতে বের হয়ে আসলো। ওর বাম পাশের গাল অনেকটা কেটে গেছে। এবং একটা দাঁত ভেঙে পরে গেছে। যেটা দূর থেকে ওর থুতু মারার ফলে দেখতে পেরেছি। এন্জেলদের দাঁত অনেক সাদা হওয়ার ফলে দূর থেকেই সেটা জ্বলজ্বল করে জ্বলে। আর থুথুর মধ্যে সেটা ভালো করেই দেখা যাচ্ছিলো। লুকের চেহারা দেখে ঠিকই বুঝতে পারছিলাম ও রেগে গেছে। লুক এবার কাছে এসে আমাকে আঘাত করলো না। রাগে দূর থেকেই অনেক শক্তিশালী একটা লাইট বল বানিয়ে সেটা আমার দিকে ছুড়ে মারলো। আমার জন্য এটাই সুযোগ। আমি চাচ্ছিলাম লুক আমার উপরে ম্যাজিকাল আঘাত করুক। তার স্পেল যতটাই শক্তিশালী হোক না কেনো আমার এই হাতগুলো সেটার জন্য পারফেক্ট। আমি সুরক্ষার জন্য পঞ্চাশ টা হাত বের করলাম।
।।।
।।।
লুকের লাইট বল আমার গডহ্যান্ডের সাথে সংঘর্ষ করলো। এবং সাথে সাথে সকল লাইট বলের সকল ম্যাজিক পাওয়ার এবজোর্ব করে নিলো। আমি একটা বাদে বাকি হাতগুলোকে আবার ভিতরে নিয়ে গেলাম। একটা জিনিস আমি বুঝি না, এ হাতগুলো কোথায় থাকে? হয়তো শরীরের হাড়গুলোই হাতের রূপ নেই। কিংবা অন্য কিছুও হতে পারে। যাইহোক বাকি হাতগুলো ভিতরে রাখার কারন হলো, এই একটা একটা লাইট বল আমার পঞ্চাশটা হাতই এবজোর্ব করেছে কিছুটা কিছুটা করে। এবং সবাই যদি দ্বিগুন ক্ষমতায় আবার সেটা লুকের দিকে ফেলে তাহলে সেটা অনেক শক্তিশালী হবে। আপাতোতো লুকের লাইট স্পেলটা আমার একটা হাতে রয়েছে। এবং সেটার দ্বিগুন শক্তিতে এটা তার দিকেই নিক্ষেপ করবে। দুই সেকেন্ড সময় পর লাইট বলটা লুকের দিকে ছুড়ে মারলাম। লুক তার চারদিকে একটা ব্যারিয়ার বানিয়ে ফেললো। কিন্তু লাইট বলটা ব্যারিয়ারকে ভেঙে ফেলে। লুক তার হাত দিয়ে লাইট বল থামানোর চেষ্টা করলো। আর সেটা থেমে গেলো। লুকের হাতে অনেক ক্ষত হয়েছে, তবে সেটা আস্তে আস্তে হিল হওয়া শুরু করেছে। লুক রাগে কি করবে বুঝতে পারছে না। কারন ম্যাজিক পাওয়ার আমার উপরে কাজ করবে না। তাই লুক সাথে সাথে আবার আমার কাছে চলে আসলো হাতে হাতে লড়তে। আমিও এবার প্রস্তুত। আমার ডানপাশের আগুন আমি আবারো বারিয়ে নিলাম। এটা অনেকটা পাওয়ার বুস্ট এর মতো। আগুন আমার ডান অংশে এসে আমার ডান অংশের ক্ষমতা বারিয়ে দেই। অবশ্য পানির এট্রিবিউট থাকলে আমি দুই অংশকে সমান ভাবে ব্যবহার করতে পারতাম। লুক আমার কাছে আসার আগে ওর উপরে একটা ম্যাজিক স্পেল ব্যবহার করলো। যেটা ওর শরীরের বডি অনেকটা বাড়িয়ে দিলো। ওর সমস্ত পেশী ফুলে গেলো। বুঝতে পারলাম ও নিজেও একটা পাওয়ার বুস্ট স্পেল ব্যবহার করেছে। আগের থেকে অনেকটা ক্ষমতা ওর ও বেরে যাবে। তাই আমিও আমার পুরো ক্ষমতা দিয়ে ঘুষি মারতে গেলাম। দুজনের ঘুষিতে পুরো এরিনার মধ্যে ভূমিকম্প হয়ে গেলো। ফ্লোর গর্ত হয়ে গেলো অনেকটা আমাদের আশে পাশের। যদিও দুজনের ক্ষমতা এখন সমান একদম। তারপরও ঘুষির কম্পনে আমার ডান হাতের জামার হাতা পুরো ছিড়ে গেছে। যেটা দিয়ে ইগড্রাসিলের ছবি পুরো ক্লিয়ার দেখা যাচ্ছে। ইগড্রাসিল এতোক্ষন ঘুমে ছিলো, কিন্তু আমাদের লড়াইয়ের ফলে সে নিজেও জেগে উঠেছে। আমার আগুন এতোক্ষন এমনিতেই মারাত্মক ভাবে জ্বলছিলো। কিন্তু হঠাৎ ইগড্রাসিল চিল্লিয়ে উঠলো, আর আমার ডান অংশের আগুন আরো দ্বিগুন ভাবে জ্বলতে লাগলো। এবার পুরো এরিনা উত্তপ্ত হয়ে গেলো। আমার ডান চোখ পুরো লাল হয়ে গেলো। আমি সব কিছু লাল লাল দেখতে লাগলাম। হঠাৎ ইগড্রাসিল বলতে লাগলে,
.
–জ্যাক, তুমি আমাদের ম্যাজিক পাওয়ার দেখার ক্ষমতা পুরো পুরি মাস্টার করে ফেলেছো?(ভিরুদা)
.
–ঠিক জায়গায় তো তাহলে হয়েছে।(আমি)
.
–হ্যা, এখন তুমি আরো ক্লিয়ার ভাবে ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পারবে। শত্রুর শরীরের কোথা দিয়ে ম্যাজিক পাওয়ার বের হচ্ছে সেটা দেখে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারবে।(ভিরুদা)
.
–এটা তো সু সংবাদ।(আমি)
।।।
।।।
লাল চোখে কেমন দেখাচ্ছে সেটা আমার দেখার ইচ্ছা এখন। কিন্তু সেটা না হয় আমি পরে দেখবো। আপাতোতো আমার শরীরের আগুনে লুকের শরীরের ডানার পালক পুড়ে যাচ্ছে যেগুলো ওর ডানা থেকে পরে গেছে। যাক এবার নাহয় লুককে আমার তাপে কুক করা যাবে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরের পার্টের জন্য। পুরো লড়াই দিয়ে দিতাম, তবে বাসায় অনেক লোক আজকে, সবার চিল্লানিতে লেখার প্রতি মন বসছে না। অনেক ভুল থাকতে পারে আজকের পার্টে, দেখিয়ে দিবেন যাতে সংশোধন করতে পারি। আর ছোট হলে দুঃখিত আমি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here