মন_গহীনের_গল্প পর্ব -৩৮ রূবাইবা_মেহউইশ

মন_গহীনের_গল্প
পর্ব -৩৮
রূবাইবা_মেহউইশ
💞
ঘোর কাটেনি ঘুমের, উষ্ণ চুমুর আর অপার্থিব সৌন্দর্য মিশ্রিত ভোরের। নিষ্পাপ চাহনি মেলে রিশাদের দিকে তাকিয়ে থেকেই ডান হাতের মধ্যমা আর তর্জনী তুলে তার অধর ছুঁলো। সত্যিই কি রিশাদ এই মাত্র তাকে চুমু খেল! মুখ ফিরিয়ে অন্যদের আসা যাওয়া মনযোগে দেখতে লাগলো রিশাদ। সংকোচোর সমুদ্রের আকন্ঠ ডুবে গেছে তার। প্রথম, এই প্রথম সে সংকোচে কারও সামনে থেকে দৃষ্টি সরিয়েছে। আজই প্রথম তার ভেতরে জড়তার আকাশ নেমেছে মাথার উপর।মেহউইশ যখন একটু সরলো তখনি রিশাদ বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে।

-‘ফেরা দরকার।’

ঘোর কাটলো রিশাদের কথায়। উঠতে ইচ্ছে করছে না তার তবুও বলল, ‘ হুম।’

মেহউইশও উঠলো বসা থেকে ; কেউ কারো দিকে দেখছে না। কারো মুখের ছায়ায় কতোটা সংকোচ একটিবার মুখোমুখি দাঁড়ালেই দেখতে পেত। ভালোবাসা নাই’বা হলো ভালোলাগাটা তো হয়েই গেছে। একটা মানুষের খোলসের আবরণে যে রূপটা ঢাকা আছে সেটাই হয়তো আসল রূপ। মেহউইশ দেখছে খুব কাছ থেকে খোলসবিহীন রিশাদকে৷ যতটুকু দেখেছে ততটুকুতে আবর্জনার ছিঁটেফোটাও নেই। খোলসটাই যা ময়লা হয়েছে,নষ্ট হয়ে গেছে, ভেতরকার মানুষটা পরিষ্কার । চেষ্টা করলে আবরণটাকেও হয়তো ধুয়েমুছে নেওয়া যেত তবে তা করার জন্যও যোগ্য একজন মানুষ দরকার। সূর্যের লালচে আলো ঘন হয়ে রঙ বদল করছে। মেহউইশের ভাবনা শেষ হওয়ার আগেই তারা হোটেলে পৌঁছে গেছে৷ রিশাদ সত্যিই তাকায়নি তার দিকে একটিবারও। বসার মত জায়গা কোথায় ভাবতে ভাবতে মনে পড়লো সুইমিংপুলের পাশে কচি ঘাস আছে। শরতের এই শুরুটাতে ওই ঘাসগুলোকে খুব সতেজ লাগে। এই ভোরে শুধু সেখানটাতেই বসতে আরাম লাগবে।

-‘ তুমি সুইমিংপুলের পাশে লনে গিয়ে বসো আমি দেখছি কফির ব্যবস্থা হয় কিনা।’ কথাটা বলেই রিশাদ দোতলার দিকে এগোচ্ছিলো।

-‘কফি না চা।’

– ‘আমি চা বানাতে পারি না৷ রেস্টুরেন্টের কুকরা এখনও কেউ উঠেছে বলে মনে হয় না।’

মেহউইশ লনের দিকেই এগোচ্ছিলো, রিশাদের কথা শুনে উল্টো ঘুরলো।

-‘আমি কি সেখানের কিচেনে ঢোকার অনুমতি পাবো?’

রিশাদ না করতে গিয়েও করলো না। ইচ্ছেই হলো না বাঁধা দেওয়ার৷

-‘এসো’

দুজন মিলে আবার পায়ে পা মিলিয়ে চলল। দোতলায় রেস্টুরেন্ট খালি পড়ে আছে৷ কোথাও কোন শব্দ নেই, এমনকি তাদের পায়ের আওয়াজটাও নেই। রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরের স্লাইড দরজাটা সরিয়ে দুজন চুপিসারে ভেতরে ঢুকলো। মেহউইশ স্তব্ধ হয়ে গেল ভেতরে প্রবেশ করতেই। সুবিশাল কিচেন, বড় বড় ক্যাবিনেট,ড্রয়ার, ইলেকট্রিক ওভেন,হিটার,প্রেসার কুকার আবার একপাশে ক্রোকারিজ সেট। মেহউইশ হা করে চেয়ে রইলো সেদিকে। এত এত জিনিসপত্র তাও আবার রান্নাঘরের সে একসাথে কখনোই দেখেনি৷ রিশাদ মশলার কাঁচের কৌটো গুলো একে একে সবগুলো নামিয়ে দেখছে। কোথাও চা পাতা খুঁজে পেলো না। সে ভাবছে চা করতে চা পাতা লাগবে, দুধ লাগবে, চিনিও এগুলো কোথায় খুঁজবে।মেহউইশ মেয়ে মানুষ হয়তো সে তাড়াতাড়িই খুঁজতে পারবে তাই ডাকলো, মেবিশ,,,

মেহউইশ এ জগতেই যেন নেই। সে শুনতে পায়নি রিশাদের ডাক৷ তার চোখ জ্বলজ্বল করছে এতসব দামী, অত্যাধুনিক জিনিসপত্র দেখে। ফ্রিজটার সাইজও এত বড় যা সে কখনোই দেখেনি।

-মেবিশ চা পাতার কৌটো পাচ্ছি না।

-হু!

-বলছি চা পাতা ছাড়া চা সম্ভব নয়। কফিও পেলাম না তবে নিচের ক্যাবিনেটে নুডলস আছে খাবে?

এবারে সম্বিৎ ফিরলো মেহউইশের৷ লজ্জিত হলো নিজের এমন হা মুখো আচরণে। ছিহ, রিশাদ কি তাকে ছ্যাঁচড়া ভাবছে? জীবনেও দেখেনি এসব তা নিশ্চয়ই বুঝে গেছে! মুখটা কাচুমাচু করে রিশাদের দিকে তাকাতেই সে ইশারা করলো নুডুলসের প্যাকেটের দিকে।

মেহউইশ মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলতেই রিশাদ একটা প্যানে পানি বসালো। গ্যাস চালু করে ফ্রিজ খুলে দেখলো কি কি আছে তাতে। কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম আর সস বের করল। কপাল কুঁচকে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে মনে করার চেষ্টা করলো নুডুলসে আর কি দেয়? সে ভার্সিটি থেকে বন্ধুদের সাথে যেবার ট্র্যাকিংয় করতে পাহাড়ে গেল সেবারই ছিলো তার শেষবার নিজে হাতে নুডুলস রান্না করা৷ সেটাতো খুব সিম্পল ছিলো ফুটন্ত পানিতে নুডুলস ছেড়ে মশলা ঢেলে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিয়েছিলে। এখন কিভাবে রাঁধবে!

মেহউইশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখতে থাকল তবুও এগিয়ে এসে বলতে চাইলে না, ‘দিন আমি রাঁধছি।’

পানি ফুটে উঠেছে। নুডলসের প্যাকেট ছিঁড়ে তাতে নুডলস দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত চুলোর পাশে থাকা আরেকটা প্যান নিচে পড়লো। নিশ্ছিদ্র নীরবতায় ছেদ ঘটিয়ে জোর আওয়াজ হলো, চমকে উঠলো মেহউইশ । ধড়মড় করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রেস্টুরেন্টের শেফ আলাউদ্দিনও এসে ঢুকলো। এতভোরে তার রান্নাঘরে কিছু পড়ার শব্দ শুনেই সে দিকদিশা ভুলে দৌড়ে এসেছিলো বেচারা৷ তার সুরতহাল দেখে মেহউইশ চোখ বন্ধ করে উল্টোদিকে ঘুরে দাঁড়ালো তৎক্ষনাৎ ।

-স্যার আপনি রান্নাঘরে! বেশ আশ্চর্যজনক মুখভঙ্গি করেই প্রশ্ন করলো আলাউদ্দিন। রিশাদ খেয়াল করেছে মেহউইশ মুখ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

-আলাউদ্দিন সাহেব আপনি দয়া করে কাপড় পরে আসুন।

‘ওহ, স্যরি স্যার ‘ বলে লজ্জায় লাল হয়ে আবার দৌঁড়ে বের হলো আলাউদ্দিন৷ এই রান্নাঘরে কখনো কোন মেয়ে কাজের লোক ছিলো না। বলা যায় কিচেন শেফ আলাউদ্দিন এর আর্জি ছিলো তার রান্নাঘরে যেন কোন নারী না আসে৷ সে চুয়াল্লিশের ঘরে পা রাখা অবিবাহিত পুরুষ। হয়তো জীবনে নারীঘটিত কোন দূর্ঘটনা ছিলো অথবা অন্যকোন কারণ যার দরুণ সে মেয়ে জাতিকে তেমন একটা পছন্দ করে না। আর যেখানে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানে সে এত ভোরে তার পোশাকের দিকে খেয়াল দেওয়ার চিন্তা মাথায় ভুল করেও আনেনি৷ রাতে ঘুমানোর সময় পরা প্যান্ট, যার লম্বা তার হাঁটু পর্যন্তও নয় সেটা পরেই এখন এসেছিলো সে। তা দেখেই মেহউইশ অপ্রস্তুত হয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। আবার এলো আলাউদ্দিন কাপড়চোপড় পরে বাবু সেজে। লজ্জায় তার মুখ এখনও রক্তিম তা দেখে রিশাদের হাসি পাচ্ছে।

-‘ মেয়েদের মত গাল গোলাপি করার আর দরকার নেই আলাউদ্দিন সাহেব৷ আমি নুডুলস বানাচ্ছিলাম ভুল করে এই কড়াইটা পড়ে গেছে।’

-স্যার আমাকে ডাকলেন না কেন? আমি করে দিচ্ছি এক্ষুনি৷

– ‘আপনার করতে হবে না আপনি শুধু বলে দিন চা পাত্তি,চিনি কোথায় আমি চা করবো।’ মুখ খুলল এবার মেহউইশ। আলাউদ্দিন এগিয়ে গিয়ে সব কিছু এগিয়ে দিতেই রিশাদ তাকে চলে যেতে বলল। মেহউইশ নিজেই নুডুলস আর চা করে একটা ট্রে তে সাজিয়ে নিয়ে রান্নাঘর থেকে বের হচ্ছিলো। রিশাদকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল, ‘ এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবেন না চা খাবেন?’

‘কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এসব।’

-‘লনে বসে খাবো৷ এখনও সাতটা বাজেনি। আর যাইহোক লোকজনের ভীড় হবে না।’

-‘চা ঠান্ডা হয়ে যাবে নিচে যেতে যেতে।’

-‘হোপফুলি আমি অতোটা বোকা আর গর্দভ নই।’

-‘মানেহ!’ রিশাদ ভ্রু কুঁচকালো আবারও তা দেখে মেহউইশ যেন সুযোগ পেল টিপ্পনী কাটার মত।

-‘ কথায় কথায় ভ্রু দুটোকে ওরকম কষ্ট না দিয়ে মাথাটা একটু খাটালেই বেশি উপকৃত হবেন, আমার ধারণা।’ মেহউইশ আর দাঁড়ায়নি । সত্যিই চলে গেল সিঁড়ি বেয়ে নিচ তলায়। লনে ছোট গোল একটা টেবিলে ট্রে নামিয়ে রেখে চেয়ার টেনে বসলো৷ রিশাদও পেছন পেছন এসে আরেকটা চেয়ার টেনে বসলো। এবার খেয়াল করলো চা ছোট্ট একটা ফ্লাক্সে করে এনেছে সে সাথে দুটো কাপও৷ নুডুলসের বাটি টেনে নিয়ে রিশাদ খাওয়া শুরু করলো, মেহউইশও তাই করলো। তারপরের সময়টা দুজনে টুকটাক গল্প করেই কাটিয়ে দিলো। কল্পনার চেয়েও সুন্দর অনেক বেশি সুন্দর ছিলো আজকের সকাল মেহউইশের জীবনে। রিশাদের জীবনেও তাই নয় কি! কৈশোরের প্রেম ভ্রমণ যৌবনের শুরুতে একটা মেয়ের প্রেমে পড়লেও প্রেম করা তার হয়নি। সময়মত বিয়ে হলো ভুল মানুষের সাথে যে কিনা সময়ের সাথেই আবার হারিয়ে গেল। প্রেম না হলেও নীলিমার জন্য মায়া জন্মেছিলো৷ সেই মায়াকে সম্বল করে আজীবন পার করতে চাওয়ার সাধে ঘুন ধরলো। নীলিমা পালালো আর সন্তানকে করে গেল মা হারা। এরই মাঝে নিজেরই এক ভুল ধারণার জন্যই ইভানের কাছ থেকে মেহউইশকে আলাদা করলো। সে চেয়েছিলো এক ঢিলে দুই পাখি মারতে কিন্তু ভাগ্য তো তার বরাবরই সংকুচিত রইলো। যতদূর খবর নিয়ে জানা গেল রাইমা ইভান নয় অন্যকাউকে ভালোবাসে। সেই এক ভুল তার জীবনে মেহউইশকে বেঁধে দিলো। বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করেই সে চলল। বাবা যা করলো খালার সাথে সেও কি তাই করেনি মেহউইশ এর সাথে! তাই তো করলো পার্থক্য শুধু তার কাজ বৈধতাযুক্ত৷ এক ভোরেই যে আজ সকল ভুলত্রুটি, অন্যায় – পাপ তাকে এমন গাঢ়ভাবে নাড়া দিবে কে জানতো৷ আজই উপলব্ধি হলো মেহউইশকে সে সম্মানের সাথে নিজের কাছে বেঁধে রাখতে পারে আর আজই মনে হলো মেহউইশের একটা সুন্দর জীবন সে ধ্বংস করেছে৷ তার প্রায়শ্চিত্ত করা দরকার। মেহউইশ কি চায়!

সারাটা দিন খুব হৈ চৈ এর সাথে কাটলো রাইমাদের। তানভীর নিজের পরিচয় হিসেবে রাইমা যে কলেজে পড়ে সেখানেই ইউনিভার্সিটি লেভেলের সিনিয়র বলেছে রিশাদকে। মেহউইশের সাথে আলাদাভাবে বেশ ক’বার কথা বলার চেষ্টা করেছে তানভীর । মেহউইশ এড়িয়ে গেছে তাকে বিভিন্ন ব্যস্ততার অজুহাতে। ইভান সম্পর্কিত কোন কথাই আলোচনা করতে আগ্রহী নয় সে এখন। ইভানকে ভুলে যাওয়া অসম্ভব কিন্তু রিশাদের সংসারে ভালো একজন বউ আর মা হওয়া অসম্ভব নয়৷ তাই সে এ বিষয়েই সততার পরিচয় দিতে চায়। সুযোগ পেলে অবশ্যই তানভীরের কৌতূহলও মিটিয়ে দেওয়া যাবে৷ দুপুরের পর রিশাদকে আর দেখা যায়নি। মেহউইশ নির্জন আর তার মায়ের সাথেই বেশি ব্যস্ত ছিলো। রেহনুমাও খুব উৎসাহ নিয়ে লনের ডেকোরেশন দেখছিলো ঘুরে ঘুরে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানটা তেমন বড় করে না হলেও মোটামুটি নিজেরাই আছে প্রায় বিশ,বাইশজন। আজকের জন্য লনের সাইডে ট্যুরিস্টদের জন্য ঢোকা বারণ৷ তিশমা এসে রাইমাদের সাথে যোগ দিলো সোৎসাহে। ম্যানেজার বেচারা এখানেও ছাড় পেলো না৷ মি.হাংকি পাংকি নামেই তাকে সকলের সামনেই খুব জ্বালিয়ে মারলো।

দিনের আলো যখন নিভু নিভু , রাত যখন আসি আসি করছে সন্ধ্যের শেষ আলোটুকু গায়ে মেখে রিশাদ এলো। দু হাত ভর্তি তার শপিং ব্যাগ। সব নিয়ে সে প্রথমে নিজের ঘরেই ঢুকলো। রাইমারা দুপুরেই নিজেদের রুম পেয়ে গেছে তাই সে রুমেই শিফট হয়েছে। মেহউইশ রুমেই ছিলো নিজের৷ দু দিনের জন্য হোটেলে আসা তাদের তাই বেশি কিছু না নিয়েই এসেছিলো। রিশাদ হাতের ব্যাগগুলো ড্রেসিংটেবিল এর পাশেই ডিভানের উপর রাখলো।

‘ফুপি আর আন্টি কোথায়?’ রিশাদ জানতে চাইলো।

-‘ নিচেই মনে হয় লনের পাশে ডেকোরেশন দেখছে।’ কানে দুলজোড়া পরতে পরতে কথাটা বলল মেহউইশ।

– এখানে দুটো শাড়ি আছে একই রঙের। আমার ফুপি কখনও রঙচঙে কাপড় পরেননা আর আন্টিকেও আমি যে কদিন দেখেছি তিনিও সাদামাটা পরেন৷ এ দুটো শাড়ি একই রকম তাদের দিয়ে দিও৷ আর এখানে তিনটে ব্যাগ মিহাদের ‘ বলতে বলতে ব্যাগ তিনটা আলাদা করে দেখালো মেহউইশকে৷ শার্ট,প্যান্ট আর একরাতে মোবাইল ফোন এগুলো মিহাদের জন্য কেনা।

-এতকিছু কেন আনতে গেলেন৷ মিহাদের মোবাইল দরকার নেই।

-‘ভয় পেয়ো না আমাদের মত বিগড়াবো না তাকে৷ শুধু ফোনটাই দিচ্ছি সে খুব খুশি হবে৷ আর এদিকে একটা শাড়ি আর একটা গাউন আছে। গাউনটা রাইমা নিজেই পছন্দ করে ছবি পাঠিয়েছিলো। তাকে ডেকে দিয়ে দিও৷’ কথা শেষ করে রিশাদ বাথরুমে ঢুকলো। মেহউইশ ভাবছে শাড়িটা কার! সবগুলো ব্যাগের কথাই বলেছে কার কোনটা শুধু নির্জন আর তার জন্যই কিছু এনেছে কিনা বলল না। মন খারাপ করে শাড়িটা শপিং ব্যাগ থেকে বের করতেই ছোট্ট একটা চিরকুট বেরুলো, নির্জনের মায়ের জন্য এই উপহারটা ।’

চলবে
(ভুল গুলো শুধরে দিবেন আশা করি। )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here