সুখের সন্ধানে পর্ব ১৩

0
538

#সুখের_সন্ধানে
#পর্ব_১৩
আমি উদ্গ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছি কখন সিদ্ধার্থ আসবে। অপেক্ষার প্রহর যেন কাটছেই না। সিদ্ধার্থকে আনতে আমি আমার গাড়ি পাঠিয়েছি। বারবার ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি কতদূর পৌঁছাল। সাড়ে সাতটার দিকে আমার অপেক্ষার অবসান ঘটল। সেলিম ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখছে। সেই সময় সিদ্ধার্থ বাসায় ঢুকল। সিদ্ধার্থকে দেখে আমি হাসি মুখে এগিয়ে গেলাম। সেলিমের সামনেই সিদ্ধার্থের দিকে হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলাম। সিদ্ধার্থকে দেখে সেলিম যে বিশাল বড় একটা ধাক্কা খাবে সেটা আমি নিশ্চিত। এবং আমিও সেটা চাই। ওকে এমন ধাক্কা দেবার খুব দরকার এই মুহূর্তে। সে কখনো ভাবেনি আমি কোনো ছেলে বন্ধুকে বাসায় ইনভাইট করতে পারি বা তার জন্য এত আয়োজন আর প্রস্তুতি আমার।
আমি সিদ্ধার্থকে সেলিমের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এগিয়ে গেলাম।

– সিদ্ধার্থ, মিট মাই হাজবেন্ড, সেলিম।

– সেলিম, হি ইজ সিদ্ধার্থ । মাই বেস্ট ফ্রেন্ড ফ্রম ব্যাংকক।

সেলিম উঠে দাঁড়িয়ে সিদ্ধার্থের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে দিল।

– হাই, নাইস টু মিট ইউ। প্লিজ, হ্যাভ ইওর সিট।

– থ্যাংক ইউ সো মাচ। আ’ম সিদ্ধার্থ ব্যানার্জী। নাইস টু মিট ইউ, ঠু!

– ইটস মাই প্লেজার!

আমি সিদ্ধার্থের পাশে বসে বললাম, এত দেরী করলে কেন? জানো কত অধৈর্য হয়ে পড়েছিলাম। ইট’স অলরেডি এইট পি এম।
বাই দ্যা বাই। রাস্তায় কনো সমস্যা হয়নি তো?

– তুমি তো ট্রাফিক জ্যামের কথা জানোই। মাই গড । এত জ্যাম! বাংলাদেশ নাকি পুওর কান্ট্রি বাট ঢাকার রাস্তায় এত গাড়ী কই দিয়ে আসে সেটাই ভেবে পাই না। হা হা!

– আর বলো না। জ্যামের কথা উঠলে আমার মেজাজ গরম হয়ে যায়।

– তোমার গাড়ি পাঠানোর প্রয়োজন ছিল না। আমি ম্যানেজ করতে পারতাম। তুমি কী যে করো না!

– আমার ড্রাইভার তো অলস বসেই ছিল সারাদিন। সমস্যা কী?

– ইউ লুক সো মাচ প্রিটি এন্ড গর্জিয়াস!

– থ্যাংক ইউ সো মাচ!

– ওয়েলকাম। তোমার বাড়ি ঘুরিয়ে দেখাবে না?

– অফকোর্স! চল যাই।

সিদ্ধার্থ আর আমার চলে যাবার দিকে ক্যাবলাকান্তের মতো তাকিয়ে আছে সেলিম। তাকে যেন দেখেও দেখছি না। আমরা আমাদের মতো কথবার্তায় ব্যস্ত। তার দিকে তাকানোর ফুরসৎ নেই। এ ক’দিন ঘোরাঘুরি করতে করতে সিদ্ধার্থের সাথে সম্বোধন কখন যে আপনি থেকে তুমিতে নেমে গিয়েছে নিজেই টের পাইনি। সিদ্ধার্থকে পুরো বাড়ি ঘুরিয়ে দেখাচ্ছি আর টুকটাক গল্প করছি।
সিদ্ধার্থকে বাসা ঘুরিয়ে দেখিয়ে আমি টেবিল সাজানোর কাজে লেগে গেলাম। সেলিমের সাথে বসে বিজনেস রিলেটেড টুকটাক কথাবার্তা চলছে দু’জনের যেটা সচরাচর দু’জন অপরিচিত পুরুষ মানুষ একসাথে হলে হয়। এরা পার্সোনাল ইনফরমেশানের চাইতে প্রফেশনাল ইনফরমেশান নিয়েই বেশি কৌতূহলী।

খাবার টেবিলের আয়োজন দেখে সিদ্ধার্থের সাথে সাথে আমার স্বামী বেচারারও চোখ ছানাবড়া।

– এত আয়োজন কেন, রূম্পা? আর ইউ ক্রেজি?

– ইয়েস, আ’ম। বিকজ ফার্স্ট টাইম তুমি আমার বাসায় এসেছ। সবই তোমার জন্য।

– আমি এত কিছু কী করে খাব? তুমি তো জানোই আমি ডিনারে খুবই কম খাই।

– আজ কোনো কথা নেই। সব কিছু ট্রাই করতে হবে। এখানের অনেক আইটেম আমি শুধুমাত্র তোমার জন্য নিজের হাতে করেছি। রান্নাঘরে রেগুলার না গেলেও কোনোকিছু রান্না করলে খুব বেশি খারাপ হয় না কিন্তু। টেস্ট করে মার্কস দিবে তুমি।

আমি ইচ্ছে করেই বারবার শুধু তোমার জন্য শব্দটা ব্যবহার করছি । আমি সেলিমকে অনুভব করাতে চাই কাউকে অবজ্ঞা করলে তার কেমন লাগে।

আমি এটা সেটা জোর করে উঠিয়েই যাচ্ছি সিদ্ধার্থের প্লেটে। সে অর্থে সেলিমের দিকে আমার কোনো নজরই নেই। সেলিম নিজের মতো করে নিচ্ছে , খাচ্ছে।

– খাসীর রেজালা আর চিংড়ীর মালাইকারি কিন্তু একদম নিজের হাতে করেছি। এ দুটিই তোমার ফেভারিট । এজন্য কাউকে হাত লাগাতে দেইনি। এটা কিন্তু একদমই স্কিপ করতে পারবে না। খেতেই হবে তোমাকে।

– মাই গড! কত খাব? তুমি তো আজ আমার বারোটা বাজাবে। এটা জানলে তিনদিন আগে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে রাখতাম ।

– করোনি কেন? এজন্য পানিসমেন্টস্বরুপ খাবার বেশিই খেতে হবে।

– শুইধু আমাকেই পেয়েছ পানিসমেন্ট দেবার জন্য ? সেলিম সাহেবের প্লেট একদমই খালি। তাকে কিছু দাও।

– সেলিম সাহেবকে তো প্রতিদিনই পাচ্ছি পানিশমেন্ট দেবার জন্য। কিন্তু তোমাকে রোজ রোজ কোথায় পাই বলো!

– তার মানে তুমি সেলিম সাহেবকে এভাবেই টর্চার চালাও প্রতিদিন? মাই গড! বেচারার লাইফ তো তবে শেষ!

– সেটা সেলিম সাহেবই ভালো জানবেন। জিজ্ঞেস করতে পারো । সামনেই তো বসা আছে।

– কী ব্যাপার ! রূম্পা কি এভাবেই টর্চার করে নাকি, ব্রো?

– সেলিম মৃদু হেসে কোনোরকম মাথা নাড়িয়ে দায় সারা একটা উত্তর দিয়ে শেষ করল।

সেলিমের আচরণ দেখে নিশ্চিত হলাম যে তার ভেতরে জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে গেছে। মনে মনে বলছি, জ্বলে দেখ ব্যাটা হারামজাদা! আমাকে জ্বালিয়ে মারছিস। এবার বুঝবি কত ধানে কত চাল! তুই তো ওই চুন্নি হেলেনের সাথে লুকিয়ে চোরের মতো ফস্টিনস্টি করেছিস , কিন্তু আমি এসব করছি না। আমি তোর সামনেই যা করার করব। আর তুই ভ্যান্দার মতো এভাবেই তাকিয়ে দেখবি। জ্বলে দেখ , লাগেটা কেমন? আমার সাথে বদমায়েশির শাস্তি এটা।

খাওয়া দাওয়া শেষে সেলিম বেডরুমে চলে যাবে কিন্তু সিদ্ধার্থ আটকাল।

– হেই মিস্টার! কই যাচ্ছেন? এমন একটা ভুড়িভোজের পর আপনার মিষ্টি বউয়ের কণ্ঠে একটা গান না হলে চলেই না। প্লিজ, বসুন না। আপনি তো টু মাচ লাকি পার্সন। এমন গুণী আর সুন্দরী একটা বউ পেয়েছেন । দেখেন না, হাউ মাচ আনলাকি আই এম! বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে বাট আজ পর্যন্ত সংসার করতে পারলাম না। পারবই বা কী করে আমার চয়েসের টপলিস্টে থাকা মেয়েটা তো আপনার দখলে।

সিদ্ধার্থের এবারের কথা শুনে সেলিমের চোখ লাল হয়ে গেল। সিদ্ধার্থ খেয়াল না করলেও আমি সবই খেয়াল করছি। অগত্যা অনুরোধের ঢেকি গেলার মতো সেলিম বসল।
বারবার অনুরোধ করার পরেও আমি গান গাচ্ছি না দেখে সিদ্ধার্থ সেলিমকে বলল,

– ব্রো , আপনি বলুন না, প্লিজ! আই থিংক সে আপনি বললে রাজি হবে। আমি ভালো করেই জানি সে চমৎকার গায়।

– সেলিম কিছুটা বিরক্তির সাথেই বলল, ব্যানার্জী সাহেব এত রিকোয়েস্ট করছেন যখন একটা গান শোনাতেই পারো।

আমি সেলিমের অনুমতির অপেক্ষাই করছিলাম। সে একদম চুপচাপ দেখেই এটা করেছি। তার ভেতরের ভাব বোঝার চেষ্টায় ব্যাকুল আমি।
অনেকদিন পিয়ানোতে হাত দেই না। মাঝেমাঝে খালি গলায় গান গাইলেও বাজানো হয় না অনেক কাল । আজ নিজেই পিয়ানোর দিকে এগিয়ে গেলাম। পিয়ানোতে সুর তুললাম । পুরো হলরুমে অন্য রকম একটা পরিবেশ তৈরি হলো।

“ধীরে ধীরে সে মেরি জিন্দেগি মে আনা
ধীরে ধীরেসে দিল কো চুরানা,
তুমসে পেয়ার হামে হে কিত্না জানে জানা
তুমসে মিলকার তুমকো হে বাতানা !
……

সেলিম এবং সিদ্ধার্থ দুজনেই তন্ময় হয়ে গান শুনল। খুব একটা খারাপ গাই না আমি। গান শেষ হওয়ার সাথে সাথে সিদ্ধার্থ তালি বাজানো শুরু করল। সেলিম নিরুত্তাপ তবে গানটা যে এনজয় করেছে সেটা তার মুখ দেখে বুঝতে পারছি।

– ওয়াও, ইউ আর সাচ আ ট্যালেন্টেড গাই! আমেজিং ভয়েস এন্ড সিঙ্গিং স্টাইল। প্লিজ, ওয়ান্স মোর।

– না, না। প্লিজ, আর গাইতে বলো না। অনেকদিন পরে গাইলাম। কেমন না কেমন হয়েছে কে জানে?

– কেমন না কেমন মানে কি? আমি তো তোমাকে বললাম সুপারহিট গেয়েছ। বিশ্বাস না হলে সেলিম সাহেব কে জিজ্ঞেস করো!

– ঠিক আছে, ঠিক আছে। আর জিজ্ঞেস করতে হবে না কাউকে। গান শোনাচ্ছি। তবে এটাই কিন্তু শেষ, এরপরে আর বলতে পারবে না!

– দ্যাট ডিপেন্ডস অন ইয়োর লিসেনার। হা হা। আগে শুরু তো করো। এবার একটা বাংলা গান গাইবে। এরপরে তোমার কাছে আরো দুটো হিন্দি গান শুনব।

– মাই গড! বল কি? আমি কি কোন সিঙ্গার নাকি?

– গান শোনাতে হলে সিঙ্গার হতে হবে কে বলেছে? সিঙ্গার না হলেও মানুষ গান গাইতে পারে। আর তার প্রমাণ তুমি। সো শুরু করো।

“এ জীবনে যারে চেয়েছি

আজ আমি তারে পেয়েছি,

তুমি আমার সেই তুমি আমার

তোমারে খুঁজে পেয়েছি।

তুমি ছিলে না ছিল না আশা

তোমায় পেয়ে আশা বেঁধেছে বাসা ।

তুমি ছিলেনা ছিল না আশা

তোমায় পেয়ে আশা বেঁধেছে বাসা ,

ফুটালে আমার মুখে সুখের ভাষা।

ও….ও….ও….ও….”

– আহা..হা.. প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। কী চমৎকার গাও তুমি! দারুণ। সেলিম সাহেব, আপনাকে দেখে তো আমার হিংসে হচ্ছে এখন খুব। যেমন সুন্দরী বউ আপনার, তেমন গুণবতী। সামলে রাখবেন। কাল টিপ দিয়ে রাখেন আবার যেন কারো নজরে না পড়ে।

এবার খোশ গল্প করতে-করতে প্রায় রাত বারোটা। সেলিম অবশ্য আরও কিছুক্ষণ আগে ঘুমের বাহানা দিয়ে এখান থেকে চলে গেছে। আমি অবশ্য বুঝতে পেরেছি ঘুমের বাহানা টাহানা কিছু না। আজকে এমন ডোজ দিয়েছি যে ওর রাতে ঘুমই হবে না ।

আমার বিয়ের এ্যালবাম, পারিবারিক অ্যালবামের ছবিগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সিদ্ধার্থের দেখাচ্ছি আর একেকটা ছবির পিছনের নানান মজার গল্প বলছি আর হাসছি দু’জন।

সিদ্ধার্থকে বিদায় করে অবশেষে রাত একটার দিকে আমি বেডরুমে গেলাম। সেলিম খুব অস্থির হয়ে রুমের ভেতর পায়চারি করছে। আমার জন্যই যে অপেক্ষা করছি সেটা আমি নিশ্চিত। তার চেহারা দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম। কারণ সেলিম রেগে গেলে ওর কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা কি থেকে কি বলে নিজেও জানে না।

এত তাড়াতাড়ি যে ডোজ কাজ করা শুরু করবে ভাবিনি।

– এতক্ষণে রুমে আসার সময় হল? বেশ চড়া সুরে বলল সে।

– গেস্ট বিদায় করে তারপরে তো আসব?

– এ ধরনের ম্যানারলেস গেস্ট তুমি কোথায় পাও? যে রাত একটা-দেড়টা পর্যন্ত মানুষের ঘরের বউয়ের সাথে আড্ডা দেয়! শুধু দেখতে শুনতে সুন্দর হলেই স্মার্ট হওয়া যায় না! স্মার্টনেস হয় কথায়, আচরণে।

– নিশ্চয়ই পথে ঘাটে বা বাজারে পাইনি। কোথায় পেয়েছি সেটা তোমাকে জানিয়েছি। আর এক্সকিউজ মি! তুমি তাকে ম্যানারলেস বলতে পারো না। কারো ম্যানার সম্পর্কে আগে জেনে তারপর তাকে নিয়ে মন্তব্য করতে হয়।

– হেয়ালিপনা রাখো। আমার কিছু কথার ক্লিয়ার কাট আনসার দিবে।

– অবশ্যই। বলো কী জানতে চাও?

– সিদ্ধার্থ নামের এই নমুনার সাথে তোমার পরিচয় কি আসলেই ব্যাংককে গিয়ে? মাত্র এই ক’দিন পরিচয়েই এই পর্যায়ে পৌছেছে রিলেশান?

– কেন, তোমার কী কিছু সন্দেহ হয় নাকি? উল্টাপাল্টা কিছু ভাবার কোনো অবকাশ নেই। ও খুব ভালো মানুষ। আমার একাকীত্ব কাটানোর জন্য কাউকে খুব প্রয়োজন। তোমার তো সময় হয় না আমার জন্য। সেই ভাবে ওর সাথে আমার সখ্যতা গড়ে ওঠা । এছাড়া আর কিছুই না।

– ওকে ফাইন। তো তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড কী জানে না অন্যের ওয়াইফের সাথে কী করে কথা বলতে হয়। ডিসগাস্টিং আচরণ! তাকে সঠিক ট্রাকে থাকতে বলো। তোমাদের দু’জনের গায়ে পড়া স্বভাব আমার একদমই পছন্দ না। সো বুঝতেই পারছ আমি কী বোঝাতে চাচ্ছি।

– মোটেই কোনো গায়ে পড়া স্বভাব দেখাচ্ছি না আমরা। উই আর গুড ফ্রেন্ডস। জাস্ট ইট!

– হ্যা, গুড ফ্রেন্ডস এর নমুনা তো দেখতেই পেলাম। আর তোমার বিহেভিয়ারও দেখলাম।

– দেখার মতো এমন কিছুই করিনি।

– ওহ,আই সি! সারাদিনের এত আয়োজন, খুব পরিপাটি লুক নিয়ে নিজেকে তার সামনে প্রেজেন্ট করা, নিজের হাতে রান্নাকরা, জোর করে করে তুলে খাওয়ানো, গাড়ি পাঠানো, পিয়ানোতে সুর তুলে একের পর এক রোমান্টিক গান শোনানো এগুলি কিছুই কি দেখার মতো ছিল না? আমি কি কিছুই বুঝি না ভেবেছ?

– এগুলিকে সমস্যা মনে করা তোমার ব্যক্তিগত বিষয়। আমি তো কোনো সমস্যা দেখছি না।

– আমার জন্য তো কখনো তোমাকে এমন উতলা হতে দেখি না।

– কারণ আমার এমন উতলা হওয়া এখন আর তোমার পছন্দ না। শেষ কবে আমার দিকে ভালো করে তাকিয়েছ মনে করে আমাকে জানিও! আপাতত ঘুমাতে
গেলাম। সারাদিন খুব পরিশ্রম হয়েছে। রেস্ট নিতে চাই। রাত দুপুরে এসব ননসেন্স টপিকে কথা বলতে একদমই ইচ্ছে হচ্ছে না। গুড নাইট।

সেলিমের চেহারা দেখার মতো ছিল। আমি ওকে পাশ কাটিয়ে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় চলে গেলাম। সেলিম তখনো সোফায় বসা।
বেচারার ঘুমের যে চৌদ্দটা বাজাতে পেরেছি এটা ভেবেই বহুদিন পরে আমার একটা শান্তির ঘুম হবে।

চলবে….

পর্ব- ১২

https://www.facebook.com/111576077291737/posts/344366644012678/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here