#সেই_সন্ধ্যা
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_৫
.
কলেজ থেকে এসে ঘন্টা খানেক বিশ্রাম নিয়ে আফিকে ফোন করে বললো বের হতে। শপিংয়ে যাবে ওরা। সকাল আফির বাসার সামনে থেকে আফিকে পিক করে নিলো।
সকাল আর আফি ইচ্ছে মতো শপিং করলো। শপিং শেষে উল্টো দিক ঘুরে লাফাতে লাফাতে সকাল আফির সাথে কথা বলছিল। সকালের হাতে থাকা ব্যাগ গুলো ঠাস করে কারও মুখের সাথে বারি খেল। জিহ্বে কামড় দিয়ে এক চোখ বন্ধ করে আস্তে করে পেছনে ঘুরে স্নিগ্ধকে দেখতেই হাত থেকে ব্যাগ গুলো নিচে পরে গেল। অন্য কেউ হলে সামান্য স্যরি বলে কেটে পরতো। কিন্তু স্নিগ্ধকে দেখে ও “স্যরি” কি জিনিস সেটাই ভুলে গেল।
-“ডাক্তার সাহেব আপনি! আমি কিছু করি নি। যা করেছে এই ব্যাগ গুলো করেছে। তাই সব দোষ এই ব্যাগ গুলোর। সকাল সত্যি বলছে ডাক্তার সাহেব। আপনিই বলুন! সকাল কি কখনো ইচ্ছে করে এমন কাজ করতে পারে? আমি তো ইনোসেন্ট, কিউট, সুইট একটা মেয়ে।”
কাঁদো কাঁদো চেহারায় একদমে কথা গুলো বলে ফেললো সকাল। স্নিগ্ধ সকালের কথা শুনে হাসবে, কাঁদবে না রাগ করবে কিছুই বুঝতে পারলো না। শেষে সকালের ফেস এক্সপ্রেশন দেখে না হেসে আর পারলো না। হাসতে হাসতেই বললো,
-“তোমাকে কি আমি এমনি এমনি পিচ্চি বলে ডাকি?”
গাল ফুলিয়ে সকাল বললো,
-“আমি পিচ্চি না।”
-“হ্যা তুমি পিচ্চি না। তুমি তো ছোট বাবু।”
-“ছোট বাবুরা ফিডার খায়। আমি ফিডার খাই না। তাই আমি ছোট বাবু না।”
-“হাহাহা… ফিডার খেলেই ছোট বাবু হয় সেটা তোমাকে কে বললো?”
-“বড়রা কি ফিডার খায় না’কি! ছোট বাচ্চারাই তো ফিডার খায়।”
-“তুমি তো বাচ্চা না। তুমি পিচ্চি।”
-“বাচ্চা আর পিচ্চির মধ্যে তফাৎ কি?”
-“বাচ্চারা বাচ্চাকালে বাচ্চামো করে। আর পিচ্চিরা বড় হয়েও বাচ্চামো করে।”
সকাল চিন্তা করার ভঙ্গিতে এক আঙুল থুঁতনির নিচে রেখে ওপরের দিকে তাকালো স্নিগ্ধর কথা শুনে। তা দেখে নিজের মুখের হাসি বজায় রেখে স্নিগ্ধ জিজ্ঞেস করে,
-“কি ভাবছো?”
-“আপনি আসলে আমাকে কি বুঝাতে চাইলেন সেটাই ভাবছি?”
-“আরে ইয়্যার! থাক তোমাকে এত ভাবতে হবে না।”
-“ওকে। তো আপনি এখানে কি করছেন?”
-“বাবা-মায়ের জন্য গিফট্ নিতে এসেছিলাম।”
-“আঙ্কেল-আন্টির জন্য! কেন আজ কি বিশেষ কোনো দিন ওনাদের জন্য?”
-“হুমম তবে আজ নয় আগামীকাল। ওনাদের ২৬ তম বিবাহবার্ষিকী।”
-“ওহ আচ্ছা। তো গিফট্ নিয়েছেন?”
-“না এখনো কেনা হয় নি। কি কিনবো সেটাই ভাবছি। বাট বুঝতে পারছি না।”
-“আপনি চাইলে আমি হেল্প করতে পারি।”
-“সিয়র।”
-“আচ্ছা আন্টি সব থেকে বেশি কি পছন্দ করে?”
-“আম্মু! আম্মুর বিশেষ কোনো পছন্দ নেই।”
-“উমম…. আন্টি নামাজ পড়ে?”
-“হ্যা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।”
-“ঠিক আছে। আর আঙ্কেল?”
-“আব্বু বই পড়তে ভালোবাসে।”
-“আঙ্কেলের প্রিয় লেখক কে?”
-“হুমায়ুন আহমেদ।”
-“ওকে ডান। আসুন আমার সাথে।”
এতক্ষণ আফি চুপচাপ দাঁড়িয়ে ওদের কথোপকথন শুনছিল। আর চুপ থাকতে না পেরে বলে উঠলো,
-“আমাকে কি কারও মনে আছে? আই মিন আমাকে চিনেন তো আপনারা?”
-“মিস আফি! আপনি তো মিস বিকালের গার্জিয়ান। আপনাকে চিনবো না কেন?”
-“আমি গার্জিয়ান! কেমনে কি?”
-“আপনার মধ্যে যে ম্যাচিউরিটি আছে! তার ১% ও মিস বিকালের মধ্যে নেই। তাই ওর বাবা-মায়ের অবর্তমানে আপনিই ওর গার্জিয়ান বলে আমি মনে করি।”
আফি আনমনে বললো,
-“কথাটা অবশ্য ভুল বলেন নি।”
-“আচ্ছা আপনাদের দু’জনের কথা শেষ হয়ে থাকলে এবার গিফট্ কিনতে যাওয়া যাক?”
-“হ্যা চলো।”
সকাল প্রথমে একটা দোকানে গিয়ে কুরআন শরীফ নিলো। দু’টো জায়নামাজ, তজবী আর কিছু হাদিসের বই কিনলো। কুরআন শরীফ আর বাকি বই গুলো আলাদা আলাদা ভাবে র্যাপিং করে নিলো। আরেক দোকানে গিয়ে হুমায়ুন আহমেদের বেশ কয়েকটি বই কিনে নিলো। জামাকাপড়ের দোকানে ঢুকে একটা কাতান শাড়ি নিলো। স্নিগ্ধর বাবার জন্য পাঞ্জাবি কিনতে গিয়ে ঝামেলায় পরে গেল সকাল। চিন্তিত সুরে স্নিগ্ধকে জিজ্ঞেস করলো,
-“আঙ্কেলের বডি সাইজ কত?”
-“আমার বডি আর আব্বুর বডি সেইম।”
-“বাহ! আঙ্কেল এখনো এত ফিট?”
-“হ্যা।”
স্নিগ্ধকে পেছন ঘুরিয়ে পাঞ্জাবির সঠিক মাপ নিয়ে পাঞ্জাবি কিনে ফেললো। ফুলের দোকান থেকে গোলাপ আর রজনীগন্ধার তোড়া নিলো। কেকের দোকানে যেয়ে চকলেট আর ভ্যানিলা মিক্স ফ্লেভারের একটা কেক কিনে সব কিছু স্নিগ্ধর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,
-“ধরুন শপিং ডান।”
-“তুমি এত ইজিলি এত কিছু কিভাবে ভেবে নিলে?”
-“মেয়েরা শপিংয়ে এক্সপার্ট হয় জানেন না!”
-“হ্যা তা জানি। বাট এক্সপিরিয়েন্স ছিল না কখনো। আজ হয়ে গেল।”
-“হিহিহি…. বাই দ্যা ওয়ে! তোমার মাথায় কুরআন শরীফ, জায়নামাজ, তজবী আর হাদিসের বই কেনার চিন্তা কিভাবে আসলো? আই মিন তোমাকে দেখে তো মনে হয় না তুমি…”
-“আম্মু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। আম্মুকে দেখেছি যারা নামাজ পড়ে তাদের অলওয়েজ আম্মু এগুলোই গিফট্ করে। তাই আমিও আম্মুর আইডিয়া কাজে লাগালাম।”
-“ওহ আচ্ছা। তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তুমি আজ না থাকলে আমি যে কি কিনতাম আল্লাহ্ মাবুদ’ই জানে।”
-“আচ্ছা যান এবার বাসায় গিয়ে আঙ্কেল-আন্টির সাথে সেলিব্রেট করুন। আমরাও যাই।”
-“ওয়েট! তুমি এত কিছু যে কিনলে তার একটা টাকাও তো তুমি আমায় দিতে দাও নি। সব নিজে খরচ করেছো।”
-“হ্যা। এই সব গিফট্ আমার তরফ থেকে।”
-“হোয়াট! ইম্পসিবল! আমি এগুলো তাহলে নিতে পারবো না। ওয়েট আমি তোমাকে টাকা দিচ্ছি। আমার বাবা-মায়ের এ্যানিভার্সারি। গিফট্ও আমিই দিব।”
-“দিন। না কে করলো। আপনার যা মন চায় আপনি তাই দিন। বাট এগুলো আমার তরফ থেকে। হিহিহি…”
আফির হাত ধরে দৌড়ে চলে গেল সকাল। স্নিগ্ধ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। “এই মেয়ে এত বিচ্ছু কেন? একে তো বাবা-মায়ের এ্যানিভার্সারির কথা বলাই ভুল হয়েছে।” এক দীর্ঘশ্বাস ফেললো স্নিগ্ধ। একটু পরে একাই ওর মুখে হাসি ফুটে উঠলো সকালের কথা ভেবে। মাথা চুলকে আশেপাশে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে গেল।
ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় বেলকনিতে গরম ধোঁয়া ওঠা কফি মগ হাতে দাঁড়িয়ে আছে স্নিগ্ধ। প্রতিদিন ভোরবেলা সূর্যদোয় না দেখলে দিনটাই খারাপ হয়ে যায় ওর। যখন ও নিজে মেডিক্যালে পড়ত তখন থেকে সূর্যদোয় দেখতে দেখতে কফি খাওয়া ওর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এখন অবশ্য প্রতিদিন সময় পায় না এই দৃশ্যটা উপভোগ করার। তবে যখন সময় পায় তখন সুযোগটা হাত ছাড়া করে না। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর যখন দেখলো ভোরের আলো মোটামুটি ভালো করে ফুটে উঠেছে তখন স্নিগ্ধ কানে হেডফোন গুঁজে ট্রাউজার আর টি-শার্ট পড়ে জুতোর ফিতা বেঁধে জগিং করতে বের হয়ে গেল। প্রতিটি মানুষকে সব সময় ফিট থাকা উচিৎ। তাই প্রতিদিন এক্সারসাইজ করাটা সব থেকে উত্তম উপায় ফিট থাকার। আর সেই মানুষটি যদি ডক্টর হয় তাহলে তো অবশ্যই তাকে ফিট থাকতে হবে। নাহলে রোগীদের দেখবে কারা? দৌড়াতে দৌড়াতে হঠাৎ একজনকে দেখে থেমে গেল স্নিগ্ধ। ওর চোয়াল জোড়া শক্ত হয়ে গেল। হাত দু’টো মুষ্টি বদ্ধ করে রক্তবর্ণ চোখে তাকিয়ে রইলো মানুষটির দিকে। মন তো চাইছে এখনি গিয়ে তাকে খুন করে আসতে। কিন্তু এভাবে সে আইন নিজের হাতে নিতে চায় না। একে তো সকল প্রমাণসহ আইনের হাতে তুলে দিয়ে উচিৎ শিক্ষা দিবে। এসব যখন ভাবতে ব্যস্ত স্নিগ্ধ! তখন কে যেন ওর কানের সামনে এসে ‘ভাউ’ বলে চিল্লিয়ে উঠলো। স্নিগ্ধ কিছুটা চমকে পাশে তাকিয়ে সকালকে দেখে অবাক হয়ে গেল। একটু আগে যে ও রেগে ছিল কারও ওপর সেটাই ভুলে গেল। মুখের মৃদু হাসিটা বজায় রেখে সকাল বললো,
-“কি ডাক্তার সাহেব! কেমন চমকে দিলাম?
-“তুমি এত সকালে এখানে কি করছো?”
-“প্রকৃতি দেখতে এসেছি।”
-“সিরিয়াসলি!”
-“এত সকালে মানুষ কি করতে আসে এখানে?”
-“জগিং করতে অথবা হাঁটাহাঁটি করতে।”
-“তাহলে?”
-“আচ্ছা আচ্ছা বুঝেছি আমি।”
-“হুহ! পাপার সাথে এসেছি জগিং করতে।”
-“ওয়াও দ্যাট’স গ্রেট। এক্সারসাইজ করা খুব ভালো।”
চেহারাটা কাঁদো কাঁদো বানিয়ে সকাল বলে,
-“পাপা আমাকে ঘুম থেকে টেনে নিয়ে এসেছে। আর আপনি গ্রেট বলছেন?”
-“ঘুমানো ভালো। তবে অতিরিক্ত নয়।”
-“অতিরিক্ত কোথায়? গতকাল সন্ধ্যা ৭ টায় ঘুমিয়ে ছিলাম। আর এখন বাজে সকাল ৬ টা।”
-“মিস বিকাল!”
-“স…কা…ল।”
-“ওই হলো একটা। আপনি পুরো ১১ ঘন্টা ঘুমিয়েছেন।”
-“না। ওটা ১০ ঘন্টা হবে। ১ ঘন্টা আগে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়েছি। তারপর এই পর্যন্ত এসেছি না!”
-“আপনি মানে… অ্যান্ড ওয়েট! এসব কি পড়েছ তুমি? এভাবে জগিং করবে?”
-“দেখুন! প্রচুর শীত করছে আমার। তাই এভাবে এসেছি।”
-“এত মোটা কেন লাগছে তোমাকে?”
-“কারন আমি টপস এর উপর দিয়ে ফুল হাতা গেঞ্জি, তার উপরে সোয়েটার, তার উপরে জ্যাকেট পড়েছি। তাই আমাকে ফোলা ফোলা লাগছে।”
স্নিগ্ধ মাথায় হাত দিয়ে বলে উঠলো,
-“সারা দুনিয়ার সব কাপড়ই তো মনে হয় তুমি পড়ে এসেছো!”
সকাল কিছু একটা চিন্তা করতে করতে বলে,
-“সারা দুনিয়ার কাপড়! পৃথিবীকেও কাপড় পড়ানো হয় বুঝি?”
সকালের কথায় ঠিক কি রিয়্যাক্ট করা উচিৎ বুঝতে না পেরে এক দীর্ঘশ্বাস ফেললো স্নিগ্ধ। শীতল দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে ওর নিষ্পাপ মুখটা দেখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো স্নিগ্ধর মুখে। মেয়েটা সেই যে দু’বছর আগে ওর পেশেন্ট হয়ে আসার পর ওকে পছন্দ করা শুরু করেছিল! এখনো সেই পছন্দটাই রয়ে গেছে। মনে মনে কথাটা ভেবেই মৃদু হাসলো স্নিগ্ধ। সকাল বললো,
-“আপনাকে হাসলে না অনেক সুন্দর লাগে। মন চায় শুধু দেখতেই থাকি আপনার হাসিটা।”
সকালের কথায় থমকে গেল স্নিগ্ধ। মুহূর্তেই ওর মুখটা গম্ভীর হয়ে গেল। চোখের সামনে ভেসে উঠলো কিছু পুরোনো স্মৃতি। যে স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে এখনো স্নিগ্ধ। যে স্মৃতি প্রতিনিয়ত তাকে তার বুকের ভেতরে দাফন থাকা আগুনের কথা মনে করিয়ে দেয়। যে স্মৃতিতে রয়েছে তার হাসি, কান্না, দুষ্টুমি, আবদার, আর….. নাহ! এখন এসব ভাবার সময় নয়। এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে স্নিগ্ধ সকালের দিকে তাকালো। বললো,
-“আচ্ছা এবার তুমি যাও, আমিও যাই। মেডিকেলেও যেতে হবে তো!”
-“হ্যা তাই তো! আচ্ছা তাহলে আপনি যান।”
স্নিগ্ধকে কথাটা বলে সকাল নিজেই চলে গেল। তা দেখে মৃদু হাসলো স্নিগ্ধ। “মেয়েটা আসলেই একটা পাগলি।” মুচকি হেসে স্নিগ্ধ নিজেও বাসার দিকে চলে গেল। সকাল বাসায় এসে কিছুক্ষণ ঝিমিয়ে তারপর রেডি হতে চলে গেল। মেডিকেলে ঢুকতেই একটি ছেলে সকাল আর আফিকে ইশারা করে দেখিয়ে দিল। কয়েকজন গুন্ডা টাইপ ছেলে এগিয়ে এলো ওদের দিকে। তাদের মধ্যে একজন জিজ্ঞেস করলো,
-“আশরাফুল ইসলামের মেয়ে কে তোমাদের মধ্যে?”
সকাল নির্বিকার ভাবে বললো,
-“আমি। কেন?”
“আমি” বলার সাথে সাথেই গুন্ডা গুলো সকালের হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে গেলে সকাল চিৎকার করে ওঠে। হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয় না। আশেপাশের কেউ প্রতিবাদ না করে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। আফি কিছু বলতে আসলে লোকগুলো ছুরি বের করে সকালের গলায় রাখে। সকাল ভয়ে কুঁকড়ে যায়। ছুরিটা গলায় একটু জোরে ধরায় গলার চামড়া সামান্য একটু কেটে গেল সকালের। সাথে সাথেই ওর চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে গেল ব্যাথায়। আফি আর কিছু না বলে দৌড়ে মেডিক্যালের বাইরে চলে যায় সকালের বডিগার্ডদের ডাকতে। যে লোকটি সকালের গলায় ছুরি ধরে ওকে নিয়ে যাচ্ছে! তাকে কেউ একজন পেছন থেকে লাথি মারতেই লোকটি সকালের কাছ থেকে সরে গেল। তখনি সকালের হাত ধরে টান দিয়ে সরিয়ে নেয় সকালকে। সকাল পাশে তাকিয়ে স্নিগ্ধকে দেখে স্বস্তি পেলো।
চলবে…..