স্বপ্নচূড়ার আহবান ‘ পর্ব-৩০

0
969

“স্বপ্নচূড়ার আহ্বান”
পর্ব-৩০

গুমোট অন্ধকার রুম। সন্ধ্যা নেমেছে ঘন্টা খানিক আগে। শহরের ফুটপাতের পাশে কপোত-কপোতীরা
হাত ধরে হাঁটছে। কেউ কেউ ফুসকার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ল্যাম্পপোস্টের বাতিতে অন্যরকম সুন্দর লাগছে রাস্তাটা। ব্যালকনির গ্রিল ধরে অপলক তাকিয়ে আছে পায়রা। আজ মন খুব টানছে ওই মিষ্টি বাতাস গায়ে মাখাতে। বিকেলে নীলাংশের ঘর থেকে আসার পর দীর্ঘক্ষণ একধ্যাণে বসে অশ্রু বিসর্জন দিয়েছে। মাগরিবের আযান দিতেই
নামাজ পড়ে বারান্দায় এসেছে। চমৎকার সুন্দর হালকা মেঘলা দিনটা নিমিষেই মন ভালো করে দেবে যে কারো। কিন্তু পায়রার কাছে এই চমৎকার উজালা
দিনটাও ভারী বিষাদ মনে হলো। যেনো আকাশেরও খুব মন খারাপ তার জন্য। তাঁর সুন্দর সাহেব কী আকাশকেও তাঁর মতো বকে দিয়েছে! দিতেই পারে সুন্দর সাহেব সবাইকেই আজকাল বকে দিচ্ছে। পায়রা যখন ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়েছিলো তখন অপূর্ব ক্ষুব্ধ হয়ে নীলাংশকে জিজ্ঞেস করতে গেছিলো।
নীলাংশ অপূর্বের উপরও মেজাজ দেখিয়ে বের করেছে। কীসের জন্য এতো রাগ ভেবে পায় না পায়রা! ভাবনার গভীর অতলে হারিয়ে যাচ্ছিলো পায়রা। তাঁকে টেনে বের করলো মিহি পুরুষ কন্ঠ।
চকিত হয়ে তাকালো পায়রা। পাশের ফ্ল্যাটের বারান্দায়
হালকা ড্রিম লাইটের আলোয় মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু পায়রা বুঝতে পারলো এটা স্বপ্নীল ৷ তিন দিন আগে তার সাথে অনেক ক্ষণ কথা হয়েছে পায়রার। বিকেলের দিকে ছাঁদে দেখা হয়েছিলো সেদিন। পায়রাকে খুব একটা ঘাটায়নি। নিজের মতো হালকা পাতলা পরিচয় দিচ্ছিলো ৷ সেই সুবাদে বেশ ভালোই মনে হয়েছে পায়রার। প্রথম দিকে যেমন বিরক্ত লেগেছিলো এখন তেমন লাগেনা। পায়রাকে বলেছিলো সেদিন, স্বপ্নীল খুব অল্প বয়সে মা বাবা হারায়। যখন সাত বছর বয়স তখন দাদা বাড়ি থেকে মামা এসে তাঁকে আমেরিকায় নিয়ে যায়। সেখানেই বড় হয়ে ওঠা। খুব ইচ্ছে ছিলো নিজের দেশের মাটিতেই পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবে। মামা বাঁধা দেননি৷ তাই সে মাস্টার্স বাংলাদেশেই কন্টিনিউ করছে। সাথে একটা রেডিও স্টেশনের আর.জে। বেশ ভালো অঙ্কের টাকা পাওয়া যায়। নিজের খরচ সহ যাবতীয় সবকিছুই নিজের টাকায় চালায়। তবুও তাঁর মামা টাকা পাঠায় প্রতি মাসে। মামার বিজনেস আছে
আমেরিকাতে। মামা বিয়ে করেননি। আজীবন নিঃসঙ্গ
হয়েই কাটালেন। তাঁর সকল সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী স্বপ্নীল। তাই প্রায়ই মামা বলেন তাকে পড়াশোনা শেষ করে আমেরিকায় চলে আসতে।

স্বপ্নীলের ডাকে তাকায় পায়রা ৷ পরিপাটি দেখাচ্ছে।
বাহির থেকে এসেছে বোধ হয়। পায়রা চেয়ার ঠিক করে সোজা হয়ে বসলো। এতক্ষণ নিজের মতো করে
ঝুঁকে বসেছিলো। স্বপ্নীলের মুখভঙ্গি ঠিক বুঝতে পারছে না, অন্ধকারে ঢেকে আছে মুখ অবয়ব। স্বপ্নীল নিজের চেয়ারটায় বসতে বসতে বললো –

‘এই অন্ধকারে এমন ভূতের মতো বসে আছো কেনো পায়রা? ‘

পায়রা ফস করে বললো-

‘আমি ভূত?’

স্বপ্নীল খুব দ্রুত কন্ঠে বললো-

‘আরে আরে রেগে যাও কেনো মেয়ে! এই অন্ধকারে মশার কামড় খেয়ে বসে থাকার মতো ধৈর্য একমাত্র ভূতেরই থাকতে পারে। ‘

পরমুহূর্তেই কিছু একটা ভেবে বললো-

‘বসে আছো কেনো বলো?’

পায়রা গুমোট ভাবে শ্বাস ফেললো। ছেলেটার সাথে মাঝে মাঝে দুই একটা কথায় তর্কাতর্কি লেগে যায়।
কিন্তু এই মুহূর্তে সামান্য ঝগড়া করার মনোভাবও অবশিষ্ট নেই। তাই মিইয়ে যাওয়া গলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো-

‘এমনি। ‘

স্বপ্নীল যেনো মন খারাপ টের পেলো। আদুরে ভাবে বললো –

‘সে কী! তোমার মন খারাপ? ‘

পায়রা উঠে দাঁড়িয়ে গেলো। স্বপ্নীল মানুষটা ভালো সে অস্বীকার করে না। কিন্তু কিছু সময় আমাদের কথা বলার ইচ্ছে হয়না। সামনের মানুষগুলোকে বিরক্ত লাগে। মন সায় দেয়না আলাপ বাড়ানোয়। মনকে শান্তি দিতে সবাই পারে না। যাদের কথায় মন খারাপ গুলো মূর্ছা যায়, বুঝতে হবে তারা আমাদের হৃদয়ের অত্যন্ত গভীরের। পায়রা অবাক হলো এই ভেবে, এই অসাধারণ সুন্দর কন্ঠের স্পষ্ট মানুষটাকে তার মনে ঠাই দিচ্ছে না। তাঁর মন চাচ্ছে রাগী, শক্ত, মেজাজ তুঙ্গে থাকা নীলাংশকে এক পলক দেখে আসতে।
সেই ভেবে চুপচাপ উঠে দাঁড়িয়ে বললো-

‘আমি যাই রাত হচ্ছে। একটু পরই রাতের খাবার খাওয়ার সময়। আপনি মনে হচ্ছে ক্লান্ত। বিশ্রাম করুন। ‘

স্বপ্নীল পায়রার গতিবিধি লক্ষ্য করেও খুব একটা
বিচলিত হলো না। শুধু ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শ্বাস ফেলে বললো-

‘হুম, আসলেই আমি ক্লান্ত। দেখো দুনিয়ায় কত মানুষ।
কিন্তু এর মধ্যে একান্ত ব্যাক্তিগত মানুষ যার নেই সে সত্যিই খুব ক্লান্ত। ‘

পায়রা বুঝতে পারলো কথার মাঝে খুবই স্পষ্ট একটা
হতাশা লুকিয়ে আছে। সেই হতাশার তীর পায়রার দিকেই ছুড়ে দেয়া হয়েছে। পায়রাকে খুবই অস্পষ্টতার
সঙ্গে বলা হয়েছে -‘ আরেকটু থাকো, সঙ্গ দাও আমায়’

কিন্তু পায়রা খুবই সাবলীল ভাবে এড়িয়ে গেলো। সবার সব কথা রাখা যায় না। একজন মানুষ যত মহৎপ্রাণই হোক। কিন্তু সবার আগে সে নিজের ভালোলাগা মন্দ লাগাকেই প্রাধান্য দেয়। যেমন এখন
পায়রা হতাশাগ্রস্ত স্বপ্নীলকে বুঝতে পেরেও ‘আসি, আল্লাহ হাফেজ ‘ বলে নিঃশব্দে প্রস্থান করলো!

রুমের দরজা খুলে বের হয়েও আচানক চিন্তা ভাবনা বদলে ফেললো পায়রা। কোনো দরকার নেই ঐ গুমরো রাগী লোকটার কাছে বেহায়ার মতো যাওয়ার। সে আর যাবে না। কী কঠিন কঠিন ভাষা ব্যবহার করে তাঁকে অপমান করলো! কথায় আছে না, আপন জনের অপমান গুলোও মন গায়ে মাখে না। তা-ই তো
নির্লজ্জের মতো যেতে চাইছে। কিন্তু নিজের আত্মসম্মান রক্ষা করতে মনকে দমিয়ে মস্তিষ্কের কথায় জেদ করে টেবিলে বসে পড়াশোনা শুরু করলো। সামনের বছরের পড়া গুলোতে চোখ বুলালো। কিন্তু একি! পৃষ্ঠায় অক্ষরের৷ বদলে নীলাংশের চেহারা দেখা যাচ্ছে। এ তো সিনেমার কান্ড। পায়রা হতবাক হয়ে ঠাস করে বইটা বন্ধ করে দিলো। কীসব চিন্তা ভাবনা করছে সে! বইয়ের পাতা আবার খুলতেই দেখলো সব ঠিকঠাক। সব গড়মিল মনের ৷ কীসের উল্টো পাল্টা আজগুবি চিন্তাভাবনা করে! চোখ কচলে নিয়ে আবারও মনোযোগ দিলো। সর্বনাশ হয়েছে! এখানেও নীলাংশ। বইয়ের পাতায় নীলাংশ হাসছে। পায়রা কল্পনাতেই নীলাংশের অবয়বকে ধাক্কা বসিয়ে দিলো। নীলাংশ যেনো গাল ফুলিয়ে তাকে বলছে-

‘এই পিচ্চি ইউ আর হার্টিং মি! ‘

পায়রা বইটা হাত থেকে ফেলে দিলো। কী অলক্ষুণে কান্ড! ছি ছি! নিজেকে ইচ্ছে মতো বকলো। যে তাকে অপমান করে একপ্রকার ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করলো তাঁকে নিয়ে কল্পনা শুরু করে দিয়েছে সে! নাহ এ তো ভারি জ্বালা। মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো। আচমকা দেখলো তার সামনেই নীলাংশ দাঁড়িয়ে আছে। পায়রা নিজের মাথায় টোকা দিয়ে চোখ বন্ধ করে বিরবির করে বললো-

‘সব কল্পনা, তোর মনের ভ্রম। বিশ্বাস করবি না। ‘

নীলাংশ তাঁর পাশে বসলো। অস্থির ভাবে বললো –

‘কী হয়েছে পিচ্চি? তোমার খারাপ লাগছে? এমন বিরবির করে কী বলছো! ‘

পায়রা চোখ মেললো। নিজের হাতে চিমটি কাটলো। চোখ কচলালো। নাহ, কল্পনা নয়। এটা সত্যিই নীলাংশ। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পায়রার অবচেতন মন সজাগ হলো। পানিতে টুইটুম্বুর হয়ে গেলো ডাগর আঁখিদ্বয়। কোনো কথা বলবে না আর এই অসভ্য রাগী ছেলের সাথে। কোনো দরকার নেই।
চুপটি করে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলো পায়রা। কিন্তু পেছনে থেকে এক হাত আলতো করে ধরে ফেললো নীলাংশ। করুণ স্বরে বললো –

‘আই এম সরি পিচ্চি! সে সময় আমার মন মেজাজ ভালো ছিলো না। প্লিজ রাগ করে থেকো না। ‘

পায়রা ফুপিয়ে উঠলো। বর্তমানে সবার কাছে সে সাহসী, বুদ্ধিমতী,গম্ভীর, চালাক ৷ কিন্তু এই একজন মানুষের সামনে সে খুব বোকা, চঞ্চল, ভীতু। এর কারণ হচ্ছে, পায়রাকে নীলাংশ এই রূপেই প্রথম দেখেছে ৷ পায়রা পারেনা নিজেকে শক্ত করে দেখাতে তাঁর সুন্দর সাহেবের সামনে৷ হাজার বকাঝকা সত্ত্বেও
অভিমান টিকেনা। চোখ বেয়ে উষ্ণ অশ্রুর নহর গড়িয়ে পড়ছে। নীলাংশ আচমকা অদ্ভুত কাজ করলো। শক্ত করে পায়রার নরম হাতটা মুঠোয় নিয়ে নিজের ঠোঁট ছোঁয়ালো। আলতো আবছা স্পর্শে আগুনের মতো ধপ করে জ্বলে ছারখার হয়ে গেলো পায়রার অন্তরদেহ।
নীলাংশের গাঢ় চোখের মণি গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে পায়রার লজ্জায় নত হওয়া নেত্রপল্লবে। থাকে না কিছু কথা! যা চোখের দৃষ্টিতেই বিনিময় হয়। অজস্র অনুভূতির একমাত্র মাধ্যম ঐ দুইজোড়া চোখ। নাম না জানা হাজারও অনুভূতি ধীরে ধীরে প্রকাশ পেয়ে গেলো। পায়রা দ্রুত দৃষ্টি সরালো। আর কিছু সময় এভাবে কাটলে নিশ্চিত সে দমবন্ধ হয়ে লজ্জায় মারা যাবে। নীলাংশ মৃদু হেঁসে বললো –

‘চলো আজ তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবো। ‘

পায়রা অবাক হয়ে বললো-

‘এত রাতে! ‘

‘রাত কোথায়? মাত্র সাড়ে সাতটা বাজে। এক ঘন্টা ঘুরে আসলে কিছু হবে না৷ ‘

পায়রা খুশিমনে মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো। তাঁরও খুব ইচ্ছে করছিলো বাহির থেকে ঘুরে আসতে। পায়রাকে তৈরি হতে বলে চলে যেতে নিলে পায়রা অভিমানী গলায় বললো –

‘ঐ সময় আপনার কী হয়েছিলো সুন্দর সাহেব?’

নীলাংশের মুখ কালো হয়ে গেলো। তারপরও হাসার চেষ্টা করে বললো –

‘এখন এসবে মন খারাপ করো না পিচ্চি, ঘুরতে যাবার সময় হাসিখুশি মুখটাই মানায়।’

পায়রা বুঝতে পারলো নীলাংশ কথাটা এড়িয়ে গেলো। কিন্তু এর বিপরীতে কিছু বললো না৷ চুপচাপ তৈরি হলো। বের হতেই নীলাংশ হাত ধরে তাকে গাড়ির ভেতর যেতে বললো। কিন্তু পায়রা মুখ লটকে বললো-

‘সুন্দর সাহেব, আজ গাড়িতে যাবো না! ‘

নীলাংশ চাবি আনতে যাচ্ছিলো। পায়রার কথা শুনে বিস্মিত মুখে বললো-

‘গাড়িতে না , তাহলে কীসে! এখানে ঘোড়ার গাড়ি পাওয়া যায় না পিচ্চি। ‘

পায়রা বুঝতে পারলো নীলাংশ মশকরা করছে। চোখে মুখে মেকি রাগ দেখালো। নীলাংশ মৃদু হেঁসে বললো –

‘আচ্ছা আচ্ছা, চলো হাঁটবো। ‘

নীলাংশ দারোয়ানকে গেট খুলে দিতে বললো। পায়রা নীলাংশের পিছু পিছু হাঁটছে। পায়রা উপর থেকে যেই রাস্তাটা দেখছিলো, এটা সেই রাস্তাই ৷ মন পুলকিত হয়ে উঠলো তাঁর। আনন্দে আত্মহারা হয়ে নীলাংশের জ্যাকেটের এক পাশ আঁকড়ে বললো-

‘ধইন্যবাদ। ‘

বহুদিন পর গ্রাম্য ভাষা শুনে নীলাংশের মন অজানা খুশিতে লিপ্ত হলো। সে পায়রার হাতটা মুঠোয় নিয়ে হাঁটতে লাগলো। প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস বইছে। দুইজন হাঁটতে হাঁটতে ল্যাম্পপোস্টের ঘোলাটে বাতির পাশে এসে দাঁড়ালো। পায়রা মুগ্ধ দৃষ্টিতে আশপাশ দেখছে। হঠাৎই দেখলো একটি শাড়ি পরিহিত মেয়ে ফুটপাতের ওপর বসে আছে। পাশে থাকা যুবকটি মেয়েটির খোঁপায় বেলীফুলের মালা গেঁথে দিচ্ছে। পায়রা অস্ফুটে বললো-

‘সুন্দর দৃশ্য না! আচ্ছা, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য কী? ‘

নীলাংশ হাস্যজ্জ্বল দৃষ্টিতে সেই দিকেই তাকিয়ে ছিলো। পায়রার প্রশ্নে বললো-

‘সঠিক ভাবে জানিনা পিচ্চি। কারো কাছে বৃষ্টির দৃশ্য সুন্দর, কারো কাছে রোদ সুন্দর, কারো আবার কান্না করার দৃশ্য ভালো লাগে। ‘

পায়রা সম্মোহনীর মতো বললো-

‘আর আপনার কাছে? ‘

‘আমার পিচ্চির হাসির দৃশ্যপট আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য । ‘

পায়রা অজান্তেই নিজের মাথা নীলাংশের কাঁধে রেখে সম্পূর্ণ বাহু আঁকড়ে নিলো। নীলাংশ তার হাতের মুঠোয় থাকা হাতটা বুকের বাম পাশে লেপ্টে বললো-

‘হে হৃদয় উদ্ভাসিত চঞ্চলা কিশোরী,
চলো আমরা একবার প্রেমে পড়ি,
আমি তোমার কাজলা চোখে ডুবে মরি,
প্রেমের নতুন সংজ্ঞা রোপণ করি। ‘

-রোদসী

চলবে….
(এই পর্বটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পর্ব ছিলো। তাই কাল রাতে না দিয়ে আরেকটু সময় নিয়ে লিখেছি।
এখন থেকে গল্প রাত ১০.৩০ এর মধ্যে পাবেন৷ যদি এই সময় পার হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিবেন সেদিন গল্প আসবে না৷)

মন্তব্য জানাবেন সবাই আশা করি, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here