#হুজুরের_বউ_যখন_ডক্টর
রাইটার :রাকিবুল ইসলাম
পাঠঃ ০৮
নাসরিন : আহ তোর কথা শুনে চোখে পানি চলে আসলো রে। আসলে রিয়েল ভালোবাসা গুলো এমনই হয় বুঝি।
ছয় থেকে সাত বছর হতে চলছে তারপরও তুই ওকে ভুলিস নাই।
জাফরী : দোস্ত বিশ্বাস কর আমি ওনাকে ভুলতে পারব নাহ।কারণ উনার কাছে আমি পেয়েছি স্বার্থহীন ভালোবাসা।
যে ভালোবাসায় কোন ভেজাল ছিলো নাহ।
উনি যদি এই দুনিয়াতে নাও থাকে তবুও আমি ওনার জন্য সারা জীবন এইভাবে কাটিয়ে দেব
কারণ আমি ওনাকে চিরকালের জন্য পেতে চাই
আল্লাহ একদিন ঠিক কবুল করবে।
নাসরিন : আচ্ছা জাফরী আমি প্রায় শুনতে পাই
হুজুরেরা নাকি বউকে খুব ভালোবাসে।
তোকে হয়তো খুব ভালোবাসছে তাই ভুলতে পারিস নাহ।
জাফরী : জানিস,,, হুজুর আমার মনটা খুব সহজেই বুঝতো।আর কলেজ থেকে যখন বাড়িতে আসতাম
আমার মাথার উকুন তিনি তুলে দিতেন,মাথায় তেল দিয়ে আছড়িয়ে দিত।মনের মত করে আমার মাথার চুল সাজিয়ে তুলত।
দুূঃখ কষ্ট উনি ভাগ করে নিতেন।
সুধু কি তাই এক সাথে খেতে বসলে আমি যখন গোস্তের হাড্ডি খেয়ে চুসে রাখতাম।
ওই হাড্ডি তিনি মুখে নিয়ে আবার চুসতেন।
এইযে দেখ আমার পায়ে তলায় হাজার বার হুজুরের চুমু।
নাসরিন : ওরে বাবা তাই নাকি
জাফরী : কি করব বল,,, ওনাকে ভুলে অন্য কাউকে বিয়ে করতে আমি পারব নাহ।
নাসরীনঃ আচ্ছা হুজুরেরা এতো বউয়ের পাগল হয় কেন?
জাফরিঃ হুজুরেরা বউয়ের পাগল এইজন্য হয়,,,,, কারণ হুজরদের যৌবন বেশি।
কারণ হুজুরের যৌবনের পাহারাদার তার শুধু স্ত্রী।
হুজুরেরা তো আর গালফ্রেন্ড অন্য কোন পর নারী নাই
হুজুর মনে করেই এটাই আমার তৃপ্তির জায়গা।
শান্তির জায়গা।আর বউয়ের পাগল হওয়া
এটা খারাপ কিছু না।সবল পুরুষের লক্ষণ বউয়ের পাগল হওয়া।
আর দ্বিতীয় কথা হলো, বাংলাদেশে যতো হারবাল
যৌন রোগের চিকিংসা হয়, সব গুলো সাধারণ মানুষকে দেখা যায় বেশি।
হুজুরদের পাওয়া যায়না বললেই চলে…..!!!
কেন পাওয়া যায়না জানেন…..
কারণ হুজুরেরা যৌবন টাকে হেফাজত করতে জানে।
কারণ এই যৌবন টা আপনার স্ত্রীর হক
আপনি যদি হস্থমৈথুন এর মাধ্যমে তা নষ্ট করে ফেলেন
ধরে নেন আপনি আরেকজনের হক নষ্ট করলেন।
হস্থমৈথুন করলে দুইটা গুনাহ হবে…..
১। কবিরাহ গুনাহ তো হবেই
২। আপনি আরেক জনের হক নষ্ট করলেন তার গুনাও আপনি পাবেন।
এখন যদি বলেন হাতুড়ি ভাই হুজুরেরা যদি এতোই
ভালো হয়।হুজুরেরা ধর্ষণ করে কেন।
তাদের উত্তরে আমি বলব ধান থাকলে দুই একটা পাতান থাকেই।
হুজুরদের মান ঠিকই থাকবে। ধংস হবে ওরা।
যারা হুজুর সেজে ভন্ডামি করবে।
আর হ্যা এটাও সত্য আপনি স্ত্রীর কাছে যতোটুকু
তৃপ্তি পাবেন।এমন তৃপ্তি যিনা ধর্ষণ করতে গিয়েও পাবেন না।কারণ হারামে আরাম নাই।
সরি ভাই আমি অবিবাহিত,নারী সম্পর্কে অভিগ্গতা
নাই।তবে ওস্তাদেরা যিনা সম্পর্কে বুঝানোর জন্য
এমন কথা গুলো তুলে ধরেন।
রইলো আরেকটা কথা…..
অনেকের বউ থাকার পরও অন্য মহিলার সাথে
যিনা করে কেন।আমি এটার উত্তরে বলতে চাই।
কারণ তার যৌবন বেশি।এইজন্য যিনা করেছে
কারণ যে লোকটা যিনা করলো তাকে গিয়ে তুমি
বলো।বউ আছে তারপরও যিনা করলে কেন।
সে তোমাকে উত্তরে বলবে।শুধু কি আলুভর্তা খেতে
ভালোলাগে।
তারমানে তাকে বউ আর ভালো লাগছেনা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে হাতুড়ি ভাই…
বউয়ের কাছে যদি আসল তৃপ্তি যদি পাওয়া যায়
তাহলে বউ রেখে অন্য মহিলার সাথে কেন এমন টা করছে।
এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব
কুত্তাকে যতোই গোস্ত পোলাও খাওয়ানো হোক
তবুও তাকিয়ে দেখবে তুমি।এক হাত জিব্বাহ বের করেই থাকে।একদিন আমি কুত্তাকে বললাম
কিরে কুত্তা বিয়ে বাড়িতে এতো গোস্ত পোলাও খাওয়ানো হলো তারপরও দেখছি তোর জিব্বাহ এক
হাত বের হয়ে আছে।
কুত্তা আমার প্রশ্নের জবাবে বলল হুজুর…..
যতোই গোস্ত ভাত খাইনা কেন আমার শান্তি হবেনা।
কারণ ওরজিনাল জিনিস না খাইলে শান্তি পাবোনা
আমি বললাম কোন ওরজিনাল জিনিস.?
কুত্তা উত্তরে বলিলো পায়খানা….
আপনারা দেখবেন কুত্তার জিব্বাহ পায়খানা না খাওয়া
পর্যন্ত শান্ত হয়না।
সমাজে দুই পা ওয়ালা কিছু কুত্তা আছে
এদের যতোই দুই তিন টা হালাল স্ত্রী থাক না কেন
পরের বউয়ের কাছে না গেলে এরা শান্তিই পায়না।
কেন শান্তি পায়না জানেন কারণ সে দুই পা ওয়ালা কুত্তা। হারাম যিনা না করলে এরা শান্তি পায়না।
কারণ শান্তি পায়না এইজন্য। তারা দেখতে মানুষ রুপি।
ভিতরে আছে কুত্তার চরিত্র।
আর কুত্তা কুত্তাই থেকে যায় কখনো মানুষ হয়না।
কুত্তা যেমন বিয়ে ছাড়া কাতি মাসে রাস্তাঘাটে মুহাব্বত
করে।ঠিক তেমন কিছু দুই পা ওয়ালা শিক্ষিত কুত্তা
আছে।এরা পার্কে, অফিসে, ১৪ই ফেফ্রয়ারীর দিন গাছের জোড়ায় বিয়ে ছাড়া জোড়ায় জোড়ায় লেগে থাকে।
আল্লাহ হেফাজত করুণ
____________
ডাক্তারের টিম পৌছে গেল,খুব সুন্দর জায়গা
পাহাড়িয়া এলাকা, হালকা কুয়াশা।
বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসে বেড়াতে…!!!
জাফরী ছাদের উপর বসে আছে,
বসে থেকে আল্লাহর সৃষ্টি দেখছে
কতো সুন্দর পাহাড়,কতো সুন্দর জায়গা।
নাসরিন এসে বলল কিরে জাফরী নিচে চল একটু ঘুরে আসি।
জাফরী : হুমমম চল রে
জাফরী আর নাসরিন বের হয়েছে,
দুজনের হাত মোজা পা মোজা পরা
পূরিপূর্ণ পর্দার সহিত তারা বের হয়েছে
একটু আশেপাশে ঘুরতেছে।
তাদের সাথে আর কয়েজন মেয়ে যোগ দিলো
মোট ছয়জন।
তারা গল্প করছে আর হাটছে, জাফরী কিছু বলছে নাহ চুপ করে আছে।
বান্ধবীরা : কিরে জাফরী চুপ করে আছিস কেন মন খারাপ নাকি
জাফরী : কই নাতো তোদেরই গল্প শুনছি
বান্ধবীরা : তুই যাই বলরে প্রায় কয়েক বছর ধরে তোকে আমরা ভালমত হাসি খুশি দেখতে পাইনা।
আগের জাফরীকে আমরা খুজে পাইনা।
কতো হাসিখুশি কতো কিছু ড্রামা করতিস
কিন্তু এখন,,, দেখ জাফরী যা হবার হয়ে গেছে রে।
উনি যদি বেচে থাকতেন ঠিক আসতেন
সাত বছর হয়ে গেল কোথায় আছে।
নাকি মরে গেছে,, কিছুই জানিস নাহ
কি দরকার নিজেকে এইভাবে কষ্ট দিতে।
আমরা জানি তোর হুজুর ছেলে খুব পছন্দ
কিন্তু আরো অনেক ভালো হুজুর আছে
তাকে বিয়ে করে নিতে পারিস….
জাফরী : তোদের বলা কি শেষ
বান্ধবীরা : আমরা আর কি বলব তোর ভালোর জন্যই বললাম
জাফরী : সুনে নে আমার মন বলে হুজুর কোথাও আছে।নিশ্চয় আল্লাহ একদিন দেখা করিয়ে দেবে
বান্ধবীরা : তুই পারিস বটে
_____________
বিকালবেলা জাফরী তাকিয়ে দেখছে ক্যাম্পাস
একটা খেলার মাঠ।সেই খানে অনেক বাচ্চারা
খেলা দুলা করছে।
জাফরী তাকিয়ে দেখছে ছোট্ট বাচ্চাদের মধ্যে একটা বাচ্চা দেখা যাচ্ছে।
ছয় সাত বছরের বাচ্চা হবে হয়তো
জাফরী সেই বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে আছে
কারণ বোরখা পরা, হাত মোজা, পা মোজা পরা
মুখ ঢাকা আছে।
জাফরী আকর্ষনীয় ভাবে তাকিয়ে আছে
বাচ্চাটার দিকে।বাচ্চাটা খেলাদুলা করছে।
জাফরী এক ধান্দায় দেখছে….!!!!
হঠাৎ বাচ্চাটি পড়ে গিয়ে কান্না শুরু করে দিলো
অন্য বাচ্চারা খেলতেই আছে।
জাফরী বাচ্চাটার কান্না দেখে দৌড়ে গিয়ে
বাচ্চাটাকে টেনে তুললো।
বাচ্চাটা কান্না করতেই আছে,জাফরী বোরখার উপর দিয়ে চোখের পানি মুছে দিলো।
পাশে একটা দোকান, সেই দোকানে বাচ্চাটাকে
নিয়ে গিয়ে কয়েকটা চকলেট কিনে দিলো।
বাচ্চাটার কান্না থেমে গেল।
জাফরী : আচ্ছা আম্মু তোমার নাম কি
বাচ্চা : আমার নাম (খাদিজাতুল কুবরাহ)
জাফরী : বাহ খুব সুন্দর নাম তো।আচ্ছা তুমি যে এতো ছোট অবস্থায় বোরখা পরে বের হয়েছো।
হাত মোজা পা মোজা পরেছো।
তুমি তো এসব খুলে খেলাদুলা করতে পারতে।
বাচ্চা : আন্টি তোমার চকলেট তুমি ফেরত নাও তোমার ইমান ঠিক নাই।
বাচ্চার মুখে এমন কথা শুনে জাফরী চমকে গিয়ে বললো বাপরে। এ কেমন মেয়ে, আমার মতো একজন ডাক্তারকে বলে আমার ইমান ঠিক নাই
জাফরী : আচ্ছা তুমি কি করে বুঝলে আমার ইমান ঠিক নাই।
বাচ্চা : কারণ তুমি আল্লাহর ফরজ বিধান ছেড়ে দেয়ার জন্য আমাকে উপদেশ দিচ্ছো।
এইজন্য তোমার ইমান ঠিক নাই….!!!!!!
তুমি খুব পচা,, খুব বাজে।
জাফরী : ওহ আমি খুব পচা তাইনা
বাচ্চা : হুমমমম
জাফরী : আমি কিভাবে আল্লাহর ফরজ বিধানকে ছেড়ে দেয়ার কথা বললাম বলো তো।
বাচ্চা : তুমি কি আল্লাহর কোরআন পড়োনি
জাফরী : হ্যা পড়েছি তো
বাচ্চা : তাহলে আমাকে বলছো কেন।
তুমি চিন্তা করে দেখ কিভাবে তুমি আল্লাহর ফরজ বিধান অমান্য করার জন্য আমাকে উপদেশ দিচ্ছো।
জাফরী টেনশনে পড়ে গেল,বাপরে এ কেমন বাচ্চা
আমার মতো একটা মেয়েকে সাইচ করছে।
আমি নাকি আল্লাহর বিধান অমান্য করার কথা বলেছি।আচ্ছা আম্মু তুমি বলো তো
আমি কিভাবে আল্লাহর ফরজ বিধান অমান্য করার কথা বলেছি।
বাচ্চা : তুমি আল্লাহর কোরান খুলে দেখো
সুরা আহযাব ৩৩ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন
হে মেয়েরা তোমরা জাহেলিয়াত যুগের মেয়েদের মতো রুপ সুন্দর্য করে বের হবেনা।
রাস্তায় যখন বের হবে, তখন পরিপূর্ণ চাদর দ্বারা নিজেকে আবৃত করে রাখো।
এই আয়াতে বললেন নারীদের পর্দা করতে হবে।
আর তুমি বললে হাত মুজা পা মুজা খুলতে
তাহলে তুমি আল্লাহর আইনের বিপক্ষে কথা বললে এইজন্য তো তোমাকে বাজে পচা বললাম।
জাফরী অবাক নজরে তাকিয়ে আছে বাচ্চাটার দিকে।এতো ছোট্ট বাচ্চা কয় কি….!!!!!
সন্ধা লেগে আসতেছে বাচ্চা বললো
আন্টি তুমি আমার মুখের কাছে এসো
জাফরী মুখের কাছে গেল,বাচ্চাটি গালে একটা চুমু দিয়ে বলছে আন্টি তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও
তোমাকে রাগ করে পচা বলেছি…!!!
আমাকে এখন যেতে হবে মাগরিব এর নামাজ আদায় করব।
ভাল থেকো আন্টি,, দোয়া করিয়ো আমার জন্য।
আল্লাহ বেচে রাখলে কাল দেখা হবে।
জাফরী হা করে তাকিয়ে আছে,আসলে এটা বাচ্চা নাকি আল্লাহর কোন ফেরেস্তা।
এতো ছোট বাচ্চা কোরআন থেকে কথা বলতে পারে।আবার মুখে চুমু দিয়ে ক্ষমা চেয়ে চলে গেল
বাপরে খুব ভাল মেয়ে…..
নাসরিন : জাফরী কিরে ওখানে কি করছিস
জাফরী : আসছি দাড়া…..!!!
★★★★★★★★★★★
মা : কিরে এতো দেরি কেন
বাচ্চা : না আম্মু একটু দেরি হয়ে গেল
এক আন্টির সাথে কথা বলছিলাম
মা : তোর তো আন্টির শেষ নাই
বাচ্চা : মা জানো আন্টিটা খুব ভালো…!!
আমাকে অনেক গুলো চকলেট কিনে দিয়েছে।
বাবা : কোন আন্টি তোমার
বাচ্চা : ওই ক্যাম্পাসে দেখলাম
বাবা : এর আগে তুমি কি কোথাও দেখেছো
বাচ্চা : নাহ আব্বু দেখি নাই তো।
বাবা : চিনো না তাহলে চকলেট নিলে কেন…!!
বাচ্চা : নেয়া টা ঠিক হয়নি তাইনা আব্বু…
তাহলে কালকে বিকালে আন্টিকে চকলেট গুলো ঘুরিয়ে দেব কেমন।
প্লিজ আব্বু তুমি রাগ করিয়োনা কেমন।
তুমি রাগ করলে আমার কষ্ট হয়….!! (উম্মাহ)
এই কথা বলতেই বাবা মুখে একটা হাসি দিয়ে
খাদিজাকে কোলে নিয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল পাগলী মেয়ে….!!!
উনি খুব ভাল তাইনা
বাচ্চা : হ্যা আব্বু খুব ভাল উনি, আম্মুর মতো কালো বোরখা পরে ওই আন্টি।
চলবে……?