হুজুরের বউ যখন ডক্টর পর্ব-৯

0
1100

হুজুরের বউ যখন ডক্টর

রাইটার :রাকিবুল ইসলাম

9 part

এই কথা বলতেই বাবা মুখে একটা হাসি দিয়ে
খাদিজাকে কোলে নিয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল পাগলী মেয়ে….!!!
উনি খুব ভাল তাইনা

বাচ্চা : হ্যা আব্বু খুব ভাল উনি, আম্মুর মতো কালো বোরখা পরে ওই আন্টি।

বাবা : ওহ তাই বুঝি…!!!তো আন্টির বাড়ি কই

বাচ্চা : বাড়িতো জানিনা আব্বু

বাবা : আরেকবার দেখা হলে জেনে নিও

মা : তুই এখন ঘরে যা পড়তে বস

বাচ্চা : নাহ পড়ব নাহ

মা : মাইর খাবি কিন্তু,,, যা গিয়ে পড়তে বসো

বাবা : আহ খাদিজার আম্মু,,,, বাচ্চার সাথে এমন করছো কেন…!!!

মা : সারাদিন শুধু খেলা পড়তে বসে না

বাবা : তুমি চুপ করো আমার মেয়েকে খবরদার বকবে নাহ।
আম্মু যাও পড়তে বস কেমন,,,,, কোন দুষ্টুমি করবে না

বাচ্চা : আচ্ছা,,, আব্বু কালকে আন্টির কাছে শুনে আসব ওনার বাড়ি কই কেমন।

বাবা : আচ্ছা আম্মু ঠিক আছে শুনে নিও

খাদিজার বাবা : তুমি এমন কেন বলো তো

খাদিজার মা : কেন কি হইছে

খাদিজার বাবা : বাচ্চাদের সাথে কি এমন করে

খাদিজার মা : তো কি করব তোমার মত মাথায় নিয়ে নাচব।

খাদিজার বাবা : এই শুনো একটা

খাদিজার মা : কিহ

খাদিজার বাবা : একটা কিস

খাদিজার মা : না এখন না পরে

স্বামী : কেন,,, পরে কেন

স্ত্রী : নাহ কিছুনা এখন হবে না

স্বামী : ইচ্ছে হচ্ছে

স্ত্রী : আরেকটা বিয়ে করুণ

স্বামী : কি বললে

স্ত্রী : আরেকটা বিয়ে করতে বলছি

স্বামী : সত্যি

স্ত্রী : হ্যা সত্যি

স্বামী : আচ্ছা ঠিক আছে আমি একটা মেয়েকে পছন্দ করে রেখেছি। তাকে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়ে আসব।
তাহলে তোমার অনেক লাভ হবে।

স্ত্রী : আমার আবার কিসের লাভ

স্বামী : কারণ তোমাকে একা সংসার সামলাতে হয়
সেখানে একজন সংগি পাবে তোমার।
দুজনে একসাথে গল্প করবে বাড়ির কাজ করবে
কত্তো ভাল হবে তাইনা।
তুমি যখন দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি দিছো।
তাহলে আমার উচিত তোমার স্বতীন এনে দেওয়া তাই নয় কি।

স্ত্রী : ধ্যাত চুপ করো

স্বামী : আরে রাগ করার কি হলো তোমার

স্ত্রী : আমি বেচে থাকতে আপনাকে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি দিব না।কারণ আমার স্বামীর ভাগ আমি কাউকে দেব না।

এই কথা বলেই স্বামীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো
স্বামীর উপর শুয়ে পড়ে বলছে কি সাহেব
দ্বিতীয় বিয়ে করবেন তাইনা দেখাচ্ছি মজা…
______________
নাসরিন : কিরে কি করছিস

জাফরী : নাহ কিছু নাহ,এইতো শুয়ে আছি।

নাসরিন : আমি নিজের চোখে দেখলাম তুই কিছু একটা লুকাইলি

জাফরী : কই,,, কিছুনা তো

নাসরিন : দেখে ফেলেছি কি লুকাইছিস

জাফরী : কি

নাসরিন : তোর হুজুরের রুমালটা মুখে নিয়ে কান্না
করছিলি তাইতো।

জাফরী : আসলে এই গুলো থাকলে আমার হুজুরের গন্ধ পাই।

নাসরিন : আর কান্না করিস না রে।তোর কান্না দেখে আমার কান্না পায়।
চল রেহেনা তালিম করছে, যাবি নাহ।

জাফরি : আচ্ছা তুই যা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি

নাসরিন : আচ্ছা আয় তুই……!!!!

নাসরিন জাফরির ঘর থেকে বের হয়ে চলে গেল
মেহেদির রুমাল টা নিজের ব্যাগের ভিতরে রেখে
দিয়ে ফ্রেশ হতে যাবে।
এমন সময় নজর করে দেখছে কে যেন জানালার পাশে দাড়িয়ে আছে।
জাফরী এটা দেখার পর মুখটা ভালভাবে ঢেকে
এক পা,,, দুপা করে এগিয়ে গেল।
জানালার পাশে গিয়ে বলছে কে এই অন্ধকারে দাড়িয়ে।কিন্তু কোন আওয়াজ নাই।
কে ওখানে দাড়িয়ে। কথা বলুন।

হঠাৎ জাফরী একটা চিৎকার দিয়ে উঠলো
জাফরীর চিৎকারে নাসরিন আর কয়েকজন
মেয়ে দৌড়ে আসলো।

নাসরিন : কিহ হয়েছে রে

জাফরী : ওই খানে কে যেন দাড়িয়ে

নাসরিন : কোথায়…!!!

জাফরী : জানালার পাশে

নাসরিন : দাড়া আমি দেখছি

নাসরিন জানালার পাশে গিয়ে চারদিকে তাকিয়ে
দেখছে কেউ নাই।

নাসরিন : ওই কেউ নাই তো

জাফরী : ছিলো আমি নিজের চোখে দেখেছি

নাসরিন : তুই কিছু ভুল দেখেছিস এই রাতে,,, কে তোর জানালার পাসে থাকবে বলত

বান্ধবীরা : তোর বর মনে হয় ভুত হয়ে তোকে ভয় দেখাচ্ছে হা হা হা

জাফরী : আহ তোরা থামবি।সব সময় ফান করিস তাইনা।আর সবাই ওজু করে নে, এশার নামাজের সময় হয়ে যাচ্ছে।
_________________
সকালবেলা ফজরের নামাজ পড়ে বের হয়েছে
ওরা সবাই।ভোরের হালকা বাতাস,
পাখির কিচির মিচির ডাক।সকালের শীতল হাওয়া

নাসরিন : ফজরের নামাজ পড়ে বের হয়ে হেটে যাওয়ার মজাই আলাদা তাইনা।

বান্ধবীরা : তা আর বলতে।আগে তো আমরা নামাজ ঠিকমত পড়তাম না।
ভাগ্য ভালো জাফরীটা ছিলো , সে যদি না বুঝাতো তাহলে নামাজই পড়তাম নাহ মনে হয়।

জাফরী : শুধু নামাজ পড়লে হবে না,,,খাস পর্দা করতে হবে বুঝলি।
নিজের সুন্দর্য একমাত্র স্বামীর জন্য, আর করো জন্য নাহ।বুঝলি তোরা।

বান্ধবীরা : হুমমম বুঝেছি দোয়া করিস

হঠাৎ করে সব বান্ধবীরা তাকিয়ে দেখছে
ছোট্ট একটা বাচ্চা বোরখা পরা হাত মোজা পা মোজা পরা।
বান্ধবীরা দেখে বলছে বাহ এতো ছোট বাচ্চা,,, এতো সুন্দর পর্দা।

জাফরী দেখে চিন্তে পারল,কালকের সেই মেয়েটা।

জাফরি : আস্সালামুআলাইকুম

খাদিজাহ : ওয়ালাইকুমুস্সালাম,আন্টি তুমি।

জাফরী : হ্যা আমি, এই গুড়গুড়ি পায়ে হেটে হেটে। এতো সকালে কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি।

খাদিজাহ : আন্টি আব্বুর মাথায় ব্যাথা উঠেছে
তাই ওষুধ গুলো আনতে যাচ্ছি।

জাফরী : কি হয়েছে তোমার বাবার

খাদিজাহ : জানিনা তবে মাঝে মাঝে মাথায় ব্যাথা উঠে।পাগলের মত হয়ে যায়।
আর সব কিছু তাড়াতাড়ি ভুলে যায়…!!!

জাফরী : ওহ তোমার বাবাকে আমাদের চেম্বারে
নিয়ে এসো।

খাদিজাহ : তোমরা কি ডাক্তার

জাফরী : হ্যা আমরা সবাই ডাক্তার

খাদিজাহ : আন্টি বিকালে কথা হবে।আব্বুর মনেহয় কষ্ট হচ্ছে তাড়াতাড়ি যেতে হবে
এই বলে বাচ্চাটা চলে গেল।

জাফরী : আচ্ছা নাসরিন প্রচন্ড আঘাত পেলেও তো মাথা ব্যাথা হয়।আর সব কিছু ভুলে যায় তাইনা।

নাসরিন : হ্যা কিন্তু কেন রে…..!!!

জাফরী : নাহ কিছু নাহ।

আবার হাটতে শুরু করলো জাফরী
এমন সময় জাফরীর ফোনটা বেজে উঠলো
জাফরী ফোনটা রিসিভ করেই শুনতে পেল
হ্যালো সোনা।

জাফরী : কে আপনি

লোক : এতো তাড়াতাড়ি আমার কন্ঠ কে ভুলে
গেলে বুঝি।

জাফরী : কে পরিচয় দিন নয়তো ফোন কেটে দেব

লোক : এতো ব্যাস্ত হচ্ছো কেন জাফরী

জাফরী : আপনি কে,,,,,,, আর আপনি আমার নাম্বার পেলেন কই।

লোক : সব বলব,,,, আগে বলো তুমি কেমন আছো

জাফরী : ফালতু কথা বলার সময় নাই আমার।
এইবলে ফোনটা কেটে দিলো জাফরী

নাসরিন : কে ফোন দিয়েছিল

জাফরী : জানিনা কোন যে মক্কেল যত্তোসব।

জাফরীকে আবার পুনরায় ফোন দিলো
জাফরী ফোনটা কেটে দিলো।
ধ্যাত কোথায় থেকে যতো মক্কেল আসে…!!!
আবার জাফরীকে ফোন দিলো…
জাফরী ফোনটা রিসিভ করতেই বললো
ফোনটা কেটে দিলে কেন…!!!

জাফরী : আপনি কে ভাই যে আপনার সাথে কথা বলতে হবে।
লোকটি : কথা বলতেই হবে…তোর জন্য আমাকে পাচ বছর জেল খাটতে হয়েছে।

জাফরী : কে কে আপনি…

লোকটি : বলতো কাকে জেলে দিছিলি

জাফরী : নয়ন আপনি

লোকটি : এইতো ঠিক ধরেছিস আমি নয়ন

জাফরী : প্লিজ ভাইয়া আমার পিছু ছেড়ে দেন

নয়ন : এতো সহজে ছেড়ে দেব। তোর কারনে আমাকে জেলে থাকতে হয়েছে।
তোকে এখনো সুযোগ দিচ্ছি আমাকে বিয়ে করবি কিনা বল। আরেহ যেই লোকটা মারা গেছে তাকে ভুলে যা

জাফরী : আমার হুজুর যে মারা গেছে আপনি শিওর কিভাবে হচ্ছেন।

নয়ন : বেসি প্রশ্ন করবিনা।আমাকে বিয়ে করবি কিনা বল।

জাফরী : নাহ করব না, কখনো ফোন দেবেন না আমায়।ছিহ লজ্জা করেনা আপনার
এইবলে জাফরী ফোন কেটে দিলো,
ফোন কেটে দিয়ে হাটু গেড়ে বসে পড়লো

নাসরিন : কি হলো রে

জাফরী : নয়ন ছাড়া পেয়েছে

নাসরিন : কিভাবে কখন আর এতো তাড়াতড়ি

জাফরী : জানিনা রে।আমার খুব ভয় করছে।
ও আমার কোন ক্ষতি করে বসবে নাতো।

নাসরিন : এতো সোজা,,,,,ও তো এখানে আমাদের
ক্যাম্পাস ঢুকতেই পারবে নাহ।
_____________
খাদিজাহ : আব্বু এবার কি তোমার মাথা ব্যাথা কমেছে।

বাবা : হ্যা মা কমেছে।

খাদিজাহ : আচ্ছা আব্বু তোমার মাথার উপর এটা কিসের দাগ

মা : আহ এতো প্রশ্ন করিস কেন…!!!

খাদিজাহ : হ্যা একশবার বলব আমি ছোট থেকেই দেখে আসছি।আব্বুর এই দাগ।

স্বামী : খাদিজার আম্মু,,,,, খাদিজা কিন্তু কথাটা মন্দ বলেনি।কিসের দাগ এটা আমার মাথায়।
আর আমার এই দাগের ছাইটে ব্যাথা করে…
খুব…….!!!
আর মাঝে মাঝে মনেহয় আমার কি যেন মনে নেই।কি যেন হারিয়েছি। শুধু এমনই মনেহয়।

স্ত্রী : তুমি শুধু খামাখা ভাবতেছো।কি হারিয়েছো
তুমি।এই দেখো তোমার মেয়ে খাদিজাহ দাড়িয়ে।
আর আমি তোমার স্ত্রী, তাহলে কি হারিয়েছো বলো

স্বামী : কিন্তু আমার মাথায় এটা কিসের দাগ
আর এতো যন্ত্রনা করে কেন।

স্ত্রী : ওটা কোন ব্যাপার না।যখন মাথা ব্যাথা করবে
তখন আমি তোমার মাথায় ফু দিয়ে দেব কেমন..
তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যাবে।
আর আমি চুমু দিলেই নাকি তোমার ব্যাথা ভাল হয়ে যায়।
তাহলে তোমার এতো টেনশন কিসের বলো…!!!

স্বামী : তা ঠিক…..তাহলে একটু চুমু দেও।
আমার ওই দাগে যদি ব্যাথাটা তাড়াতড়ি ভাল হয়ে যায়।

স্ত্রী : লুচু লোক কোথাকার,দিন রাত বউয়ের আদর উপভোগ করছো।তারপরও মন ভরে না।

স্বামী এবার স্ত্রীর হাত ধরে বলছে
কি গো প্লিজ,, একটু চুমু দেও প্লিজ।

স্ত্রী : এই কি করছো খাদিজাহ ঘরে পড়তেছে যদি দেখে ফেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।

স্বামী : দেখুক

স্ত্রী : ইশ ছাড়ুন তো।

স্বামী : না ছাড়ব না (উম্মাহ)

স্ত্রী : লুচ্চা লোক কোথাকার। পুরো জিব্বাহ
আমার মুখে ঢুকিয়ে দিছেন।
যদি আপনার জিব্বায় কাপড় দিয়ে ধরতাম
কেমন লাগতো।

স্বামী : নিজের স্ত্রীর মুখের লালাও কি একটু খেতে পারব নাহ

স্ত্রী : ছিহ ছিহ

স্বামী : এতে ছিহ বলার কি হলো

স্ত্রী : নাহ কিছু না,,, (যত্তোসব) ছাড়ুন আমার কাজ আছে।
_____________
জাফরী আর বান্ধবীরা বসে গল্প করছে।
ডাক্তারদের ভিতরে অনেকেই অবিবাহিত
আছে।যারা বিয়ে করেনি।

বান্ধবীরা : ওই জাফরী কিছুতো ক

জাফরী : কি বলব

বান্ধবীরা : কি বলবি মানে,,, তোর প্রেমের গল্প বল

জাফরী : আমি কোনদিন প্রেম করিনি এসব রিলেশন করা হারাম

বান্ধবীরা : আরেহ সেটা নারে,,, তুই তোর বরের সাথে কেমন করে প্রেম করতিস সেটা ক

বান্ধবীরা এই কথা বলতেই জাফরী হেসে উঠলো
বান্ধবীরা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
কারণ এতোদিন পর জাফরীর মুখে দাত বের করা হাসি দেখছে।
যে মেয়েটা পুরো কলেজের বান্ধবীদের মাতিয়ে তুলতো।সেই মেয়োটার সাথ বছর ধরে,
হাসলেও ওমন দাত বের করে হাসে নাই।

বান্ধবীরা : ওয়াও

জাফরী : কি হলো তোদের

বান্ধবীরা : এতোদিন পর প্রাণ খুলে হাসতে দেখে খুব ভাল লাগছে রে তোকে।

জাফরী : বরের সাথে কিভাবে প্রেম করেছি তোদের কে আজ অভিনয় করে দেখাবো।
দাড়া আমি ক্যাম্পাস এর পিছন থেকে একটা
ফুল তুলে নিয়ে আসি।

বান্ধবীরা : যাহ

জাফরী খুশিতে দৌড়ে গেল ক্যাম্পাসের পিছনে
একটা গোলাপ ফুল আনতে।

নাসরিন : আজ জাফরিকে হাসতে দেখে খুব ভালো লাগছেরে আমাদের

রেহেনা : তা আর বলতে।

নাসরিন : তোরা জানিস কালকে ওর ঘরে ঢুকেছিলাম।ঘরে ঢুকতেই দেখি ওর হুজুরের
রোমালটা নাকের সাথে নিয়ে কান্না করছে।
ও আমাকে বললো হুজুরের রুমালটা আর জুব্বাহটা থাকলে।ও নাকি ওর হুজুরের গন্ধ পায়।
তাই ও সবসময় ওসব রেখে দেয়।

রেহেনা : আমি অবাক হয়ে যাই একটা মেয়ে একটা ছেলেকে এতোটা কিভাবে ভালোবাসতে পারে বল।
সব সময় ওর মুখে ওর স্বামীরই নাম

নাসরিন : ঠিক বলেছিস…..আজ সাতটা বছর হয়ে গেল।তারপরও ওর স্বামীর গুনগান।
আজ মেহেদি ভাই মারা গেছে,, নাকি বেচে আছে
আল্লাহ ভাল জানে।
তবে আমার মনেহয় মেহেদি ভাই বেচে নাই
যদি বেচে থাকত,, তাহলে ঠিক ওর কাছে আসত

রেহেনা : একদম ঠিক বলেছিস
কিন্তু এখনো ওকে বুঝাতে পারিনা….!!!!

নাসরিন : আরে জাফরি এতো দেরি করছে কেন,,
এই সুমাইয়া গিয়ে দেখ তো,,, জাফরী এতো দেরি করছে কেন।

সুমাইয়া ক্যাম্পাসের পিছনে গেল,
কিন্তু জাফরী নেই।
চারপাশে খুজে দেখলো জাফরী কোথাও নাই।
শুধু একটা ছেড়া গোলাপ ফুল মাটিতে পড়ে আছে।
আহ কোথায় গেল জাফরী, অবাক কান্ড,
মেয়েটা কোথায় গেল।
ক্যাম্পাসের চারদিকে খুজতেছে জাফরী কোথাও নাই।
সুমাইয়া দৌড়ে গিয়ে বলছে এই জাফরীকে
কোথাও দেখছি নাহ।

এই কথা শুনতেই নাসরিন উঠে দাড়ালো।

নাসরিন : কিহ বলছিস এসব

সুমাইয়া : হ্যা রে জাফরীকে কোথাও পাচ্ছিনা

নাসরিন : আহ মেয়েটাকে একা ছাড়া ঠিক হয়নি।
নয়ন যেহেতু ছাড়া পেয়েছে।
আমার মনেহয় নয়ন আমাদের আসেপাশে কোথাও আছে।ও যদি জাফরীকে ধরে তাহলে
তো বড় বিপদ।
এমনিতে নয়ন জাফরীর উপর রেগে আছে
জাফরীর জন্য ওকে পাচ বছর জেল খাটতে হয়েছে।
যদি ও জাফরীর কোন ক্ষতি করে দেয়।
কি করব উফ,নাসরিন ক্যাম্পাসের সব দায়িত্ব
শীলদের চরম ভাবে বকাবকি শুরু করে দিলো
আপনারা কিসের দায়িত্ব পালন করেন।
একটা মেয়ে ক্যাম্পাসের পিছন থেকে উধাও আর আপনারা কিছু বলতে পারেন না।

দারোয়ান : ম্যাডাম আমরা ভিতরে কাউকে ঢুকতে দেখি নাই।আবার কাউকে বাহির হতে দেখি নাই।

নাসরিন : তাহলে কই গেল কিসের দায়িত্ব পালন করেন আপনারা

জাফরি : কিরে চেচামিচি করছিস ক্যান

নাসরিন পিছনে ঘুরিয়ে দেখে জাফরী দাড়িয়ে

নাসরিন : কিরে বদমাইস মাইয়া
তুই মানুষ হবি কবে বলতো।

জাফরী : ক্যান কি হইছে তোর

নাসরিন : তুই কইছিলি তোকে তন্ন তন্ন করে খুজেছি।বদমাইশ মাইয়া।

জাফরী : আমি তো ক্যাম্পাসের পিছনেই
_______________
নয়ন জাফরীর পিছু পিছু এসেছে মুম্বাই
নয়ন বসেবসে মদ পান করছে।
এমন সময় একটা ছেলে দৌড়ে নয়নের কাছে আসল।
নয়ন : কিরে এতো হাপাচ্ছিস কেন

ছেলেটা : নয়ন ভাই খবর খুব খারাপ

নয়ন : কেনরে কি হয়েছে

ছেলেটা : মেহেদি এখনো বেচে আছে ভাই

নয়ন : কিহ বলছিস এসব

ছেলেটা : ঠিকি বলছি ভাই

নয়ন : তোর মাথা খারাপ হইছে

এইবলে নয়ন ছেলেটার মাথায় মদ ঢেলে দিলো
যত্তোসব আজগবি কথা বলস।
আবে হালা মেহেদিকে তো আমরা খালাস করে দিছি।

ছেলেটা : ভাই বিশ্বাস করুণ সত্যি আমি নিজের
চোখে দেখেছি।

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here