সুইটহার্ট-পর্ব:১

0
3099

#সুইটহার্ট
#Sohani_Simu
১.

দশতলা বিল্ডিং এর ছাদের উপর দাঁড়িয়ে থেকে এরোপ্লেনের জন্য ওয়েট করছি।এখন সকাল ৯টা বাজে।আর দশ মিনিটের মধ্যে ছাদের উপর দিয়ে একটা সাদা এরোপ্লেন উড়ে যাবে।একমাস ধরে দেখছি এই সময় প্লেনটা এখান দিয়ে উড়ে যায় আর আমি প্রতিদিন এটা দেখতে আসি।বাবা বলে আকাশে উড়া প্রত্যেকটা প্লেনেই আমার মা থাকে।তাই মাকে দেখতে সেই ছোটবেলা থেকেই প্লেনের পেছনে ছুটি।জানি মা কোনদিন আসবেনা তাও প্লেন দেখলে চিৎকার করে আসতে বলি।আমার মা পাইলট ছিল।আমার যখন সাত বছর বয়স তখন মা প্লেন দূর্ঘটনায় মারা যায়।

চাতক পাখির মতো আকাশ পানে চেয়েছিলাম তখনই একটা এরোপ্লেন উড়ে যাচ্ছিল।প্লেন দেখে ছাদের এক কোনা থেকে দৌঁড়ে অন্য কোনায় গেলাম।প্লেনের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বললাম,

“আই লাভ ইউ আম্মু,আই লাভ ইউ সো মাচ।”
বলতে বলতেই প্লেনটা অনেকদূর চলে গেল কিন্তু আমার বলা তো শেষ হয়নি।তাই আমি কংক্রিটের রেলিংয়ের উপর উঠে দাঁড়িয়ে প্লেনের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বললাম,

“তুমি শুনতে পাচ্ছো?আই লাভ ইউ।প্লিজ কাম ব্যাক আম্মু।”

হঠাৎই কেউ আমার হাত ধরে টান দিল।আমি তাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেলাম কিন্তু নিচে পড়িনি। লোকটা আমার কোমড় শক্ত করে ধরে ভীত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ধবধবে ফর্সা মুখ,বাদামি চোখ,লম্বা তরতরে নাক,গোলাপি পাতলা ঠোঁট,চুলগুলো লম্বা সিল্কি কিন্তু জেল দিয়ে সুন্দর করে সেট করা আছে।এত সুন্দর ছেলেকে আমাদের সোসাইটিতে তো আগে কখনও দেখিনি।কে এই ছেলে?ছেলেটা আমাকে এভাবে উঁচু করে ধরে আছে দেখে আমার মেজাজ বিগরে গেল।ছেলেটার দুই কাঁধে কিল ঘুষি দিতে দিতে বললাম,
“এই কে আপনি?আমাকে ফেলে দিলেন কেন?বেয়াদব লোক একটা,আপনার সাহস হলো কি করে আমাকে ফেলে দেওয়ার?নামান আমাকে।অসভ্য লোক কোথাকার!”

ছেলেটা ফট করে আমাকে ফ্লোরে নামিয়ে দিয়ে চোখমুখ শক্ত করে আমার গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিল।আমি গালে হাত দিয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে কান্না শুরু করবো তখনই ছেলেটা রাগী কন্ঠে বললেন,

“আর একটু হলেই তো দশতলা থেকে ডিরেক্ট নিচে পড়তি।শুনেছি তোর নাকি কিসব ফোবিয়া টোবিয়া আছে?কিন্তু এখানে এসে তো দেখছি সেসব কিছু নয়।উল্টো রেলিংয়ের উপর উঠে পাশের বিল্ডিংয়ের ছেলেদের গলা ফাঁটিয়ে আই লাভ ইউ বলছিস।তুই এত অসভ্য হলি কবে থেকে জুঁই?”

আমি গালে হাত রেখে রাগী কন্ঠে বললাম,
“কে আপনি?আমাকে চড় মারলেন কেন?আর আমার নাম জানলেন কি করে?”

ছেলেটা হাতের কালো ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললেন,

“১৫মিনিটের মধ্যে বই খাতা কলম গুছিয়ে নিয়ে নিচে আসবি।আমি গাড়িতে ওয়েট করছি।”

ছেলেটা আর এক মুহূর্তও দেরি না করে হাঁটা দিল।আমিও ছেলেটার পেছনে যেতে যেতে বললাম,
“ড্রাইভার চাচা পাঠিয়েছে আপনাকে?আমি তো চাচাকে ছুটি দিয়েছি আজকে স্কুলে যাবোনা।আপনি বাসায় চলে যান।”

ছেলেটা হাঁটা থামিয়ে আমার দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বললেন,
“আমাকে দেখে কি তোর ড্রাইভার মনে হচ্ছে?”

আমি ভ্রু কুচকে ছেলেটির দিকে তাকালাম।নেভি ব্লু শার্ট পরে আছে।দেখে তো মনে হচ্ছে খুব দামি শার্ট।কালো ঘড়িটাও খুব সুন্দর আর জিন্স টাও দামি ব্রান্ডের মনে হচ্ছে।জুতোটাও ব্রান্ডের।যাইহোক ড্রাইভাররা সচরাচর এত নামি দামি পোষাক পরে না তাই আমি লোকটার দিকে তাকিয়ে বললাম,
“ড্রাইভার নাহলে আপনি কে?”

ছেলেটা রাগী ফেস করে বললেন,
“তোকে বলার প্রয়োজন মনে করছিনা।যা বলছি তাই কর,ফাস্ট।”

বলেই উনি লিফটে উঠে নিচে চলে গেলেন।আমি কিছু বুঝতে না পেরে সিঁড়ি ভেঙ্গে নয় তলায় আমাদের ফ্লাটে যেতে লাগলাম।

আমার নাম জুঁই।ঢাকার মণিপুর গার্লস হাই স্কুলে ক্লাস টেনে পড়ি তিনমাস পর ফাইনাম এক্সাম।উজ্জ্বল শ্যামলা দেখতে,উচ্চতা ৫ ফুট হবে,চুলগুলো অনেক সিল্কি কিন্তু আমি সেগুলো হিট দিয়ে কোকড়া করে রাখি।চেহারা মোটামোটি সুন্দর।লোকে বলে আমি একটা জেদি,অভদ্র মেয়ে,কেন বলে সেসব ধীরে ধীরে জানতে পারবেন।আমার বাবা বিজনেসম্যান আর মায়ের কথা তো জানেনই।আমার একটা বড় ভাইয়া আছে,একদম দজ্জাল ভাইয়া।ভাইয়ার নাম আবু তালহা।ভাইয়া দুবছর হলো বিয়ে করেছে।ভাবির নাম শিরিন।আমাদের এই দশতলা ড্রিম ওয়ার্ল্ড বিল্ডিং এর মডেল ভাইয়াই বানিয়েছে।ভাইয়া একজন আর্কিটেকচার।

নিচে এসে বাবাকে টেবিলে ব্রেকফাস্ট করতে দেখে আমি ধপ ধপ করে হেঁটে বাবার সামনে গিয়ে একদমে বললাম,
“নেভি ব্লু শার্ট পরা ওই সাদা ছেলেটা কে বাবা?তোমার ড্রাইভার?আমি তো বলেছি আজ স্কুলে যাবোনা তাও কেন যেতে বলছো?”

বাবা আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বলল,
“ও ড্রাইভার হতে যাবে কেন?ও তো শ্রাবণ।তুই চিনতে পারিসনি ওকে?তোর বড় ফুপ্পির ছেলে ও।”

বাবার কথা শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম।ওটা শ্রাবণ ভাইয়া ছিল!!আমি তো একটুও চিনতে পারিনি।কিভাবে চিনবো প্রায় পাঁচ বছর ধরে কোন দেখা সাক্ষাত নেই।শ্রাবণ ভাইয়া তো এতদিন লন্ডন ছিল,দেশে আসলো কবে।বড় ফুপ্পি তো আমাকে কিছুই জানায় নি। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসবই ভাবছিলাম তখনই বাবা বলল,

“কালই ও এসেছে আর কিছুক্ষণ আগে এখানে তোকে নিতে এসেছে। তুই জিনিসপত্র গুছিয়ে ওর সাথে যা আমি আর শিরিন মা তোর ভাইয়া আসলে যাবো।”

আমি ভাবির দিকে তাকিয়ে বললাম,
“ভাইয়া কোথায় ভাবস্?আর আমার ফোন?দেখো আজকে যদি আমাকে ফোন না দাও আমি কিন্তু তোমার ফোন নিয়ে নিবো।”

ভাবি বাবার প্লেটে আর একটু খাবার বেরে দিতে দিতে বলল,
“আমাকে বলছিস কেন?তোর ভাইয়াকে গিয়ে বল।তিনি আমাকে বলেছেন এস.এস.সি এক্সাম শেষ হওয়ার আগে যেন তোকে আর ফোন না দিই।”

আমি মুখ ফুলিয়ে এক দৌঁড়ে রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম।শ্রাবণ ভাইয়া যে আমাকে নিতে এসেছে সেটা বেমালুম ভুলে গেলাম।প্লেন দেখার জন্য আমার সকালে ঘুৃৃম হয়না তাই প্লেন দেখে এসে ঘুমাই আর এর জন্যই একমাস ধরে আমি প্রতিদিন দুটো ক্লাস মিস করি।স্কুল থেকে আমার নামে কমপ্লেইন এসেছে তাই ভাইয়া রাগ করে আমার ফোন কেড়ে নিয়েছে।আমি পুরো রুম যতটা সম্ভব অন্ধকার করে ঘুমিয়ে গেলাম।

মুখের উপর ঠান্ডা পানি পরতেই আমি হকচকিয়ে লাফিয়ে উঠলাম।তাকিয়ে দেখি শ্রাবণ ভাইয়া জগ হাতে নিয়ে পাশেই রাগী মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন।আমারও রাগ উঠে গেল ভাইয়ার হাত থেকে কাচের জগটা নিয়ে ফ্লোরে আচাড় দিয়ে বললাম,

“কুকুর ছানার মতো আমাকে ডিস্টার্ব করছিন কেন?আর চোরের মতো আমার রুমে…..”

আর কিছু বলার আগেই শ্রাবণ ভাইয়া আমার গালে আরেকটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলেন।এবারের টা অনেক বেশি জোড়ে দিয়েছে।গালটা খুব জ্বলছে,চার আঙ্গুলের দাগ উঠবে নিশ্চিত।আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম।যদিও আমি কাউকে ভয় পাই না কিন্তু শ্রাবণ ভাইয়াকে ভয় পাচ্ছি।এই ছেলেতো দেখছি কথায় কথায় চড় থাপ্পড় দিচ্ছে।এত থাপ্পড় খেলে আমার মুখ বাঁকা হয়ে যাবে আর আমার দাঁত গুলোও সব খুলে পড়ে যাবো।অহ নো তাহলে তো আমি আর ড্রিম ওয়ার্ল্ডের সেরা সুন্দরি এওয়ার্ড পাবো না।সবাই আমাকে দেখে হাসবে।এসব ভাবতেই আমি গালে হাত দিয়ে কান্না করে দিলাম।শ্রাবণ ভাইয়া রেগে কটমট করতে করতে আমাকে কোলে নিয়ে বাহিরে যেতে লাগলেন।রুম থেকে বাহিরে আসতেই ভাবির সাথে দেখা।শ্রাবণ ভাইয়া গম্ভীর মুখ করে হাঁটতে হাঁটতে বললেন,
“ভাবি ওর জিনিসপত্র তোমরা আসার সময় নিয়ে এসো আমি ওকে নিয়ে গেলাম।”

আমি রেগে হাত পা ছুড়তে ছুড়তে বললাম,
“এই নামান আমাকে,আমি যাবোনা কোথাও।নামান বলছি।এই ভাবস্ তুমি নামাতে বলো উনাকে।”

ভাবি কিছু বললো না।শ্রাবণ ভাইয়া আমাকে গাড়িতে এনে নামিয়ে দিল।আমি জামার দিকে তাকিয়ে দেখি আমার গোলাপি টপস বুক পর্যন্ত ভিজে গেছে আর চুলগুলোও অনেকটা ভিজে গেছে।টিস্যু নিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বললাম,
“আমাকে শুধু একবার বড় ফুপ্পির কাছে নিয়ে চলুন তারপর দেখবেন আপনাকে যদি দুইটা থাপ্পড় না খাইয়েছি আমার নাম জুঁই নয়।আজ পর্যন্ত আমাকে কেউ মারেনি আর আপনি আমাকে দুইটা থাপ্পড় মেরেছেন?ভাইয়াকে বলে দিবো আমি।আপনি চিনেন আমার ভাইয়াকে?ভাইয়ার একটা থাপ্পড় খেলে আপনি সারাজীবনের মতো বাপের নাম ভুলে যাবেন আর আমার টয়কেও বলে দিবো,টয় আপনাকে কামড়ে মাংস তুলে নিবে হুহ্।এই আপনি কথা বলছেন না কেন?অহ আই সি, আপনি নিশ্চয় অনেক ভয় পেয়ে গেছেন।এই সাহস নিয়ে আমাকে দুটো থাপ্পড় মেরেছেন?হাইস্যোকর এসব হাইস্যোকর।আচ্ছা ঠিক আছে এত ভয় পেতে হবেনা আমি শুধু ফুপ্পিকে বলবো তাছাড়া আর কাউকে বলবোনা,প্রমিস।উফ্ কি এত ধীরে ধীরে ড্রাইভ করছেন?আপনি কি ড্রাইভিং জানেননা নাকি?না জানলে গাড়ি নিয়ে কেন বের হয়েছেন?যত্তসব আজাইরা ভাব!তাড়াতাড়ি চলুন তো আমার ক্ষুধা পেয়েছে। এই আপনি এত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরলেন কেন?বিয়ে করতে এসেছেন?ফুপ্পি আপনার জন্য তানজিল নামের এক মেয়েকে চয়েস করে রেখেছে। আপনি দেখেছেন তানজিল আপুকে?সুন্দর না অনেক?আমার তো খুবই ভাল লেগেছে।আচ্ছা আপনার জব আছে কোন?নাকি বেকার?তানজিল আপু কিন্তু ভার্সিটিতে পরে সরকারি চাকরি না থাকলে তাকে বিয়ে করবেনা।আপুর বয়ফ্রেন্ড তো আপুর সাথেই পরে তাই আপুর বাবা আপনার সাথে বিয়ে ঠিক করেছে।তাড়াতাড়ি বিয়ে করুন তো আমি তাহলে কয়েকদিন স্কুল ছুটি নিবো।কি যে হয়েছে আমার স্কুলে যেতে আর ভাল লাগেনা।ইচ্ছে করে রকির সাথে কলেজে যায়।ওই বেটা রকিকে কত করে বলি আমাকে একটু কলেজে নিয়ে যেতে কিন্তু ও কিছুতেই নিয়ে যায়না।আচ্ছা আপনি তো কলেজে পরেছেন তাইনা?আপনি বলুন তো কলেজে উঠলে নাকি আর পড়াশুনো করতে হয়না।এটা কি সত্যি কথা?আর ছেলে মেয়েরা নাকি সিগারেট খায়?ইশ আমার কত দিনের স্বপ্ন একটু সিগারেট খাবো কিন্তু কলেজে উঠিনি দেখে খেতে পারিনা। আপনি খান?খুব মিষ্টি খেতে?আপনি কথা বলছেন না কেন?এখনও ভয় পেয়ে আছেন?আচ্ছা ঠিক আছে আপনি আমাকে একবার সরি বলুন আমি তাহলে ফুপ্পিকে আর কিছু বলবো না।বলুন বলুন তাড়াতাড়ি সরি বলুন। ”

হঠাৎ গাড়ি থেমে গেল।আমি আশেপাশে তাকিয়ে দেখি ফুপ্পির বাসায় চলে এসেছি।শ্রাবণ ভাইয়া গাড়ি থেকে নেমে বাসার ভেতরে যেতে লাগলেন আর আমি বাগানে মালি চাচাকে দেখে এক দৌঁড়ে সেখানে গেলাম।চাচা পাইপ দিয়ে গাছে পানি দিচ্ছিল আমি যেয়ে পাইপ কেরে নিয়ে চাচাকে ভিজিয়ে দিলাম তারপর কাঁদায় লাফালাফি করে পুরো ড্রেস খারাপ করে ফেললাম আর বাসার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে আমার প্রাণের বন্ধু তৌসি কে ডাকতে থাকলাম।
“ওই তৌসি,বের হো হারামি।দেখ আমি এসে গেছি।ওই কোথায় তুই?নিচে আয়,কাঁদা নিয়ে খেলবো।”

তৌসি আমার ফুপাতো বোন।বয়সে আমার থেকে দুবছরের বড়, ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ে।আমি ওর সাথে খুবই ফ্রি।

অনেকক্ষন ডেকেও যখন বের হলোনা আমি হতাশ হয়ে বাসার দিকে যেতে লাগলাম কিন্তু একি শ্রাবণ ভাইয়া এখনও বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে কেন?আর এত রেগে আছে কেন?আবার থাপ্পড় মারবে নাকি?ভয়ে আমি দুই গালে হাত দিয়ে দৌঁড়ে ফুপ্পি বলে চিৎকার দিয়ে ভেতরে গেলাম।হাত পা কাঁদায় মাখামাখি হওয়ায় ভেতরে এসেই পা স্লিপ করে ধরাম করে নিচে পরে গেলাম।আমি ভাবছি যাক বাবা কেউ দেখেনি।দেখলেতো আমার মান সম্মানের ফালুদা হয়ে যেত।সিঁড়ি দিয়ে ফুপ্পিকে নামতে দেখেই আমি হাঁটুতে হাত দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম আর তখনই কেউ আমাকে এক ঝটকায় উল্টো দিকে ঘুড়িয়ে কষে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিল।আমার পুরো পৃথিবী বন বন করে ঘুরতে লাগলো আর কয়েকসেকেন্ডের মধ্যেই আমি শ্রাবণ ভাইয়ার দিকে ঢলে পরলাম।

চলবে…..????

(ডিয়ার পাঠক পাঠিকা আপনাদের জন্য সুইটহার্ট নামের গল্প নিয়ে হাজির হলাম।আমি জানিনা এর আগে এই নামের কোন গল্প ছিল কিনা।গল্পের কাহিনী পরে অন্যকোন গল্পের সাথে মিল থাকলে আমাকে জানাবেন প্লিজ।আর প্রথম পর্ব কেমন হলো কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।ভুল ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here