#পারমিতা
পর্ব ২৪
_নীলাভ্র জহির
রোদের হাত ধরে হাঁটছে প্রীতুল। পেছনে হাঁটছে পারমিতা। ওদেরকে দেখে পারমিতার আত্মায় শান্তি লাগছে। পারমিতার মনে হচ্ছে, প্রীতুল যে শূন্যতায় ভুগছে এতদিন ধরে, যেন সেই শূন্যতা পূর্ণ হয়েছে আজ। মুহুর্তেই এই ভাবনা ওকে আবেগে আচ্ছন্ন করে তুললো।
পারমিতা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিল। সম্বিত ফিরে এলো প্রীতুলের ডাকে। ওরা দাঁড়িয়ে আছে। প্রীতুল পারমিতাকে মা মা বলে ডাকছে। পারমিতা এগিয়ে গেলে প্রীতুল বলল, তুমিও আমার হাত ধরো। রোদ আমার ডান ধরেছে, তুমি আমার বাম হাত ধরো। ধরো বলছি।
পারমিতা প্রথমে কিছুক্ষণ ইতস্ততবোধ করলো। তারপর রোদ যখন ইশারায় ওকে ধরতে বলল, তখন পারমিতা প্রীতুলের অন্য হাত ধরলো। মাঝখানে প্রীতুলকে রেখে দুইজন দুই হাত ধরে হেঁটে চলল তারা। তাদেরকে দেখে মনে হচ্ছে, নিশ্চিত দুজন সুখী দম্পতি। চা খেয়ে বাসার উদ্দেশ্যে ফিরে এলো ওরা।
বাড়িতে প্রবেশের পথে একজন মহিলা জিজ্ঞেস করলেন, তুমি সামান্তার বান্ধবী না?
পারমিতা মাথা ঝাঁকিয়ে উত্তর দিলো, জি আন্টি।
– উনি নিশ্চয়ই তোমার হাজবেন্ড? ভালো আছেন?
রোদের দিকে তাকিয়ে কথাটি বলল সেই মহিলা। পারমিতা লজ্জায় তাকাতে পারলো না কারও দিকে। রোদকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়ার ওর খুব খারাপ লাগল।
সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলো পারমিতা, আন্টি ও আমার বন্ধু।
– ও..
সেখান থেকে দ্রুত পদে প্রস্থান করল পারমিতা। রোদ ওকে জিজ্ঞেস করল, হাজবেন্ড বলেছে যখন, সেটা স্বীকার করে নিলেই পারতে।
– কেন নেবো? আপনি আমার স্বামী নন। অযথা মিথ্যে বলবো কেন? উনি সবাইকে বলে বেড়াবেন। তারপর সবাই জিজ্ঞেস করবে, উনি তোমার হাজবেন্ড?
– সবাইকেই বলবে, হ্যাঁ উনি আমার হাজবেন্ড।
– কিহ? আপনার কি মাথা খারাপ?
– মাথা ঠিকই আছে। কথাটা হয়তো মিথ্যা তাই বলতে চাও না। কথাটাকে সত্যি করলেই হয়।
রোদ মুচকি হেসে পারমিতার চোখে চোখ রেখে চেয়ে রইপো। পারমিতা একটা নিশ্বাস ফেলে মুখ সরিয়ে নিলো, এটা কখনো সম্ভব না।
– আমি ছেলে খারাপ?
– ছি ছি, এসব কেন বলছেন? আপনি সবই জানেন।
রোদ বলল, আমরা এসব ড্রামা করা বন্ধ করে দেই প্লিজ? সিদ্ধান্তটাকে সময়ের ওপর ছেড়ে দেয়াই ভালো।
পারমিতা প্রীতুলকে নিয়ে অন্যদিকে চলে গেল। একটা সুন্দর মুহুর্তের পরিসমাপ্তি ঘটলো এখানেই।
রাত নেমেছে। ঝিলমিল করছে বিয়েবাড়ির লাল নীল আলো। গায়ে হলুদের পর্ব শেষ করে এখন সবাই সান্তাকে ঘিরে বসে আছে। ক্লান্ত সামান্তা। গোসলের পর চুল ছেড়ে দিয়ে বসে আছে ও। পরনে একটা সুতি হলুদ শাড়ি। ওকে এত মিষ্টি লাগছে আজ, পারমিতা বারবার তাকাচ্ছে ওর দিকে। সামান্তা পারমিতাকে বলল, আমার ফোনটা চার্জে দিয়ে আয় তো প্লিজ।
পারমিতা উঠে গেল মোবাইল নিয়ে। রোদ এতক্ষণ তাদের পাশেই বসে ছিল। পারমিতার আসতে দেরী হওয়ায় রোদও উঠে গেল। ব্যাপারটা খেয়ালে এলেও সামান্তা কিছুই বললো না। সামান্তা চায়, পারমিতা রোদের হয়ে যাক।
রোদ নিজেও তাই চায়। তাই তো ঘরের দরজায় কড়া নেড়ে বলল, পারমিতা..
পারমিতা ভেতর থেকে বলল, এখানে কি?
– ভেতরে আসবো।
– কেন?
– কথা আছে।
– দরজা খোলা আছে। ভেতরে আসুন।
রোদ ভেতরে প্রবেশ করল। পারমিতা বিছানায় বসা। রোদকে দেখে উঠে এসে জিজ্ঞেস করল, বলুন?
– না মানে গিফট নিয়ে কথা বলতে চাইছিলাম। সামান্তাকে কি গিফট দেয়া যায়, সেটা বুঝতে পারছি না। তুমি হয়তো ভালো আইডিয়া দিতে পারবে।
– ওহ। বসুন।
রোদ বিছানার পাশে রাখা সোফার ওপর বসলো। পারমিতা বলল, আপনি নিজেই তো অনেক ভালো জিনিস কিনতে পারেন। একটা কিছু কিনে আনলেই পারেন।
– ও তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড। একটা কিছু কিনলেই হবে না।
– ওমা তাই! ভালো। তা, চলে যাচ্ছেন কখন?
– একটু পরেই বেরোবো৷ আর যদি কেউ থাকতে বলে তাহলে আরও কিছুক্ষণ…
পারমিতা মুচকি হেসে বলল, থাকুন। একটুপর সবাই মিলে একটা খেলার আয়োজন করেছি৷ মজা হবে।
– তুমি চাইলে না বলে আজ আর একসঙ্গে নাচা হল না।
– একসঙ্গে নাচলাম তো। ভুলে গেলেন?
– উহু। সেটা কি কখনো ভোলার মতো?
পারমিতা রোদের দিকে না তাকিয়ে থাকতে পারলো না। রোদ পারমিতার চোখে চোখ রাখলো। চোখে চোখে হয়ে গেল অনেক কথা। যেই কথার কোনো আগামাথা নেই। কেবল অনুভূতি আছে।
রোদ বলল, তোমাকে আজ অসম্ভব সুন্দর লাগছে।
– আপনাকেও।
– যাক, কেউ স্বীকার করল তবে, যে আমি সুন্দর।
– সুন্দরকে অস্বীকার করিনি কখনো।
রোদ পারমিতার দিকে ঝুঁকে এসে বলল, এই সুন্দরকে ভালবাসতে ইচ্ছে করে না কখনো?
চমকে উঠলো পারমিতা। ওর বুকের ভেতর ধুকপুক ধুকপুক করছে। রোদ বলল, একবার ভালবেসেই দেখো না। কতটা আগলে রাখি তোমায়। যতটা পরম যত্নে তুমি প্রীতুলকে আগলে রেখেছো।
– প্রীতুল একদিন আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।
– ধরে রাখবে তুমি। যেতে দিবে না। ও ভালবাসা পেলে যাবে না। আমিও যাবো না।
– আমি ভালবাসতে ভুলে গেছি। যত্ন নিতেও ভুলে গেছি।
– আমি নাহয় আবার নতুন করে শিখিয়ে দেবো।
– সেটা কি করে হয়। সমাজ কি বলবে? একটা ডিভোর্সি মেয়েকে আপনার পরিবার, আত্মীয় স্বজন কেনই বা মেনে নেবে? আপনি একজন সুপুরুষ। কত মেয়েই তো আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছে।
– আমি তো শত শত গোলাপ চাই না। আমি চাই শুধু একটি নীল পদ্ম। যাকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
– আমি কি নীল পদ্ম?
– কারও চোখে হয়তো তুমি সেটাই।
পারমিতা শিউরে উঠল। রোদ এত সুন্দর করে প্রেমের কথা বলতে পারে, সে মুগ্ধ না হয়ে পারে না। বিছানা থেকে উঠে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়াল পারমিতা। রোদ পিছনে গিয়ে দাঁড়াল। নরম সুরে বলল, তুমি গান জানো?
– উহু জানিনা।
– বললেই বিশ্বাস করে ফেলবো? তোমার কণ্ঠ মধুর। একটা গান শোনাবে?
– এখন?
– হুম। আজকের মুহুর্তটা ভীষণ সুন্দর পারমিতা। আমার ইচ্ছে করছে এই মুহুর্তকে বন্দি করে রাখতে পারতাম যদি।
– বুকের ভেতর বন্দি করে রাখুন।
রোদ পারমিতার বাহু ধরে টান দিয়ে এক ঝটকায় পারমিতাকে বুকে টেনে নিলো। মুহুর্তেই রোদের বুক নিজেকে আবিষ্কার করে পারমিতা খেই হারিয়ে ফেলল। রোদের শক্ত বুকে দুই হাত দিয়ে পরম যত্নে রোদ ওকে জড়িয়ে ধরলো। পারমিতার সমস্ত শরীর দুরুদুরু করে কাঁপছে। নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে ইচ্ছে করছে ওর। কিন্তু রোদের বাহুবন্ধনী থেকে ছাড়াতে পারল না নিজেকে।
মৃদু স্বরে পারমিতা বলল, কি করছেন এসব?
– তুমিই তো বললে বুকের ভেতর বন্দি করে রাখতে।
– আমাকে রাখতে বলিনি। মুহুর্তটাকে রাখতে বলেছি। ছেড়ে দিন না। এটা ঠিক হচ্ছে না।
– আমার তো মনে হচ্ছে ঠিকই হচ্ছে।
– উহু একদম না।
– সেদিন যখন তোমার বাসা থেকে চলে যাচ্ছিলাম, ওইদিন কি ঠিক হয়েছিল?
– ওইদিন আমি ইমোশয়ছিলাম অনেক। অনেক ডিপ্রেসড ছিলাম। তাই হয়তো একটা ভুল..
– ওটা ভুল ছিল না পারমিতা। আমার বুকে তুমি স্বস্তি পাও কিনা বলো?
রোদ দুই হাতে পারমিতার মুখ ধরলো। নিজের দিকে তুলে নিলো পারমিতার মুখ। পারমিতার শরীর কাঁপছে। ও রোদের দিকে তাকাতে পারল না। ওরচিবুক বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। রোদ ওর চোখ মুছে দিয়ে বললো, কাঁদবে না পারমিতা। প্লিজ লক্ষিটি। আমি তোমাকে কান্না করতে দেবো না আর। তুমি বলো, আমার বুকে তুমি স্বস্তি পাও?
পারমিতা ধীরেধীরে চোখ মেলে তাকালো। এত কাছ থেকে কখনো রোদের সঙ্গে চোখাচোখি হয়নি ওর। জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে ও। রোদ পারমিতার চিবুক ধরে বলল, আমি তোমাকে ভালবাসি। সত্যি অনেক ভালোবাসি love you। তুমি আমার নিজেরই একটা অংশ হয়ে উঠছো ধীরেধীরে। আমি আমার থেকে তোমাকে আলাদা করতে পারবো না কখনো। প্লিজ আমাকে কষ্ট দিও না। প্লিজ।
পারমিতা এবার জোর করে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ধপ করে বিছানার ওপর বসে পড়ল। কাঁদতে শুরু করল ও। রোদ পারমিতার পাশে এসে বসল। পারমিতার মাথাটা নিজের কাঁধে তুলে নিলো। পারমিতা কাঁদতে কাঁদতে বলল, কেন আমার জীবনে এলেন আপনি?
– তোমার জীবনে আমার প্রয়োজন আছে। আর আমার জীবনে তোমার।
– আমার জীবনে কারও প্রয়োজন নেই।
– এটা মিথ্যে। যতদিন আমাকে প্রয়োজন না হবে, আমি তোমার কাছে কিছু চাইবো না। তুমি আরও সময় নাও। কিন্তু দিনশেষে আমাকে শুন্যতা নিয়ে যেন ফিরতে না হয়।
পারমিতা খেয়াল করল অসহায় শোনাচ্ছে রোদের কণ্ঠ। রুমের দিকে কারও পায়ের আওয়াজ শোনা গেল। দুরত্ব বজায় রেখে বসল ওরা। পারমিতাকে ডাকতে এসেছে একটা মেয়ে। পারমিতা বলল, দরজা খোলা আছে। ভেতরে আসো।
মেয়েটা ভেতরে এসে বলল, গেম শুরু হচ্ছে। চলো আপু।
– তুমি যাও আমি আসছি। রোদ, আপনি যাবেন না?
রোদের দিকে তাকালো পারমিতা। মেয়েটা রোদকে দেখে কিছু ভাবছে কিনা সেটা নিয়ে রোদকে বিব্রত দেখালো। পারমিতা বলল, আসুন। অনেক মজা হবে।
সবাই মিলে খেলায় মেতে উঠল। মাইন্ড গেম। বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে খেলা হল। মন ভালো হয়ে গেল পারমিতার। মাঝেমাঝে রোদের দিকে চোখ গেলে পারমিতা বুঝতে পারে, রোদ তার দিকেই তাকিয়ে আছে। এভাবে বেশ কয়েকবার খেয়াল করল ও। তারপর আর তাকাল না ওর দিকে। মুহুর্তটা অপরিসীম সুন্দর হয়ে উঠল ধীরেধীরে।
খেলা শেষ করে রোদ পারমিতাকে বলল, আমি আজ চলে যাই।
– কাল কখন আসবেন?
প্রশ্নটা করেই পারমিতা জিহ্বায় কামড় দিলো। এরকম ভুল তো করে না সে। সে কখন আসবে, নাকি আসবেই না, তাতে তার কি। উফফ রোদ কি ভাব্বে!
পারমিতা লজ্জায় অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে ফেললো। রোদ মুচকি হেসে বলল, দুপুরের পরপরই চলে আসবো।
পারমিতাও হাসি লুকাতে পারলো না। রোদ সামান্তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল৷ রোদ চলে যাওয়ার পর এত আমুদে বাড়িটাকেও পারমিতার কাছে কেমন যেন অনুভূতিহীন মনে হতে লাগল। যেন কোথাও একটা অভাব রয়ে গেছে। এই অনুভূতির নাম কি দেবে সে? বিষয়টা ওকে আন্দোলিত করে তুলল।
আজ রাতে আর ঘুম হবে না। বাসা ভর্তি গিজগিজ করছে লোকজন। গান বাজছে সাউন্ড বক্সে। লোকজনের কথাবার্তায় চারপাশ হয়ে উঠেছে মুখরিত। এই গ্যাঞ্জামের ভেতর ঘুমানোর অবকাশ নেই। সামান্তাকে জোর করে রাত বারোটায় বিছানায় নিয়ে এলো পারমিতা। বুঝিয়ে সুঝিয়ে ঘুমাতে বলে দিলো। আগামীকাল ওর ওপর অনেক ধকল যাবে। আজ সামান্তার বিছানায় চারজন বাচ্চাকাচ্চারা শুয়েছে। পারমিতা মেঝেতে বিছানা করে শুয়ে পড়ল। রোদ বাসায় পৌঁছেই মেসেজ পাঠিয়েছে ওকে।
‘Pouche gechi. Take care.’
পারমিতা মুচকি হাসল। মোবাইল রেখে প্রীতুলকে জড়িয়ে ধরে পারমিতা ঘুমানোর চেষ্টা করল। রোদকে বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে। রোদের চোখ দুটো যেন অপলক তাকিয়ে আছে ওর দিকে। বারবার স্মৃতি গুলো ভেসে উঠছে মনের আয়নায়। পারমিতা কয়েকবার এপাশ ওপাশ করে সবেমাত্র চোখে ঘুম নেমে এসেছে, এমন সময় বেজে উঠল মোবাইল। চমকে উঠল পারমিতা। নিশ্চয়ই রোদ কল দিয়েছে। ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ওর দম বন্ধ হয়ে আসলো। এমন একটা নাম্বার থেকে কল এসেছে, যা ওর বহু পরিচিত নাম্বার। রুদ্ধশ্বাসে কয়েক সেকেণ্ড মুহুর্ত যেন থমকে রইল। রাসিফ কেন তাকে কল দিয়েছে!
পারমিতা রিসিভ করলো না। অনেক রাত হয়েছে। এত রাতে রাসিফ কল দেবে কেন? তাও আবার এত বছর পর! কখনো তো রাসিফ ওকে কল দেয়নি। রাসিফ এখন কোথায়, কিভাবে আছে পারমিতা কিছুই জানেনা। একবার খোঁজ পেয়েছিল, রাসিফ ইতালি চলে যাবে। বিয়ের জন্য মেয়েও দেখা হচ্ছে। সেটা তো কয়েক মাস আগের কথা। এরপর আর কোনো সংবাদ পায়নি পারমিতা। আজ হঠাৎ!
ওর বুক কেঁপে উঠল। ফোন সাইলেন্ট করে বালিশের নিচে রেখে পারমিতা ঘুমাতে চেষ্টা করলো। অনেক্ষণ নিরবে কেটে গেল। ঘুম এলো না ওর। এক ধরনের দুশ্চিন্তা হচ্ছে। এই ঘটনার পর দুশ্চিন্তা হওয়াটাই হয়তো স্বাভাবিক।
পারমিতা উঠে বসল। ফোন নিয়ে বারান্দায় এলো ও। রাসিফ একবারের পর আর কল দেয়নি। কিন্তু কেন কল দিয়েছিল সেটা জানতে হবে ওকে। অনেক দুশ্চিন্তা সঙ্গে নিয়ে রাসিফের নাম্বারে কল দিলো পারমিতা।
চলবে..