#পারমিতা
পর্ব ৩৯
নীলাভ্র জহির
সারাদিন পারমিতার মন অস্থির হয়ে রইল। রোদের স্মৃতি গুলো মনের আঙিনায় ঘুরছে। ভালবাসার আরেক নাম অস্থিরতা হতে পারতো।
অফিস থেকে ফিরে মাত্র গোসল সেরে নিয়েছে পারমিতা। এখন রোদ আসার কথা। কিন্তু ফোন হাতে নিতেই দেখল রোদের নাম্বার থেকে একটা মেসেজ এসেছে। একটা ঠিকানা লেখা তাতে। নির্দিষ্ট সময়ে ওখানে চলে যেতে বলেছে। এ আবার কী ধরনের কাহিনি?
পারমিতার রাগ হচ্ছে। প্রীতুলকে তৈরি করে যথাসময়ে পারমিতা রোদের দেয়া ঠিকানায় চলে এলো। ভেতরে ঢুকেই দেখল চারপাশে বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের আলো। একটা বেয়ারা এসে পারমিতার পরিচয় জানতে চাইল। পরিচয় দেয়ার পর লোকটা ওদেরকে ভেতরের ঘরে নিয়ে গেল। পারমিতা অবাক হয়ে দেখল এই ঘর স্বাভাবিক ঘরের চাইতে একদম ভিন্ন। কিন্তু ভীষণ সুন্দর। পুরো ঘর জুরে নান্দনিক কারুকার্য। মাঝখানে একটা বসার টেবিল। টেবিলের পাশে সুন্দর তিনটা চেয়ার। মাঝখানে জ্বলছে মোমবাতি।
পারমিতা রোদের এসব পাগলামোর সঙ্গে অভ্যস্ত। মাঝেমাঝে ছেলেটা কী যে করে বুঝতে পারে না ও। বিস্মিত না হয়ে পারল না পারমিতা। প্রীতুল মায়ের হাত ছেড়ে দিয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছে।
এমন সময় পেছন দিক থেকে রোদের স্পর্শ টের পেলো পারমিতা। রোদ ওকে জড়িয়ে ধরে ওর ঘাড়ে মুখ রেখে বলল, রাজকন্যার বুঝি অভিমান হয়েছে?
– হবে না? এসবের মানে কি?
– একটু সারপ্রাইজই দিতে চেয়েছিলাম শুধু।
– আর কত সারপ্রাইজ রোদ?
– বাহ তোমার মুখে রোদ নামটা শুনতে তো বেশ লাগছে। আরেকবার বলো না?
– আগে আপনি আমার কথার উত্তর দিন? এসব পাগলামো আর কত?
– তোমাকে হাসিখুশি দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে পারমিতা।
– আর সারাটা দিন যে মন খারাপ করে কাটালাম সেটা বুঝি কিছুই না?
– ওলে বাবালে! আমার লক্ষিটার বুঝি মন খারাপও হয়?
রোদ পারমিতার গালের সঙ্গে নিজের গাল ঘষে দিলো। মুহুর্তেই পরম আদর পেয়ে সমস্ত রাগ উধাও হল পারমিতার। ও রোদের হাত শক্ত করে চেপে ধরে বলল, আমার সঙ্গে আর এমন মজা করবেন না প্লিজ।
– মজা কোথায় করলাম। আচ্ছা বাবা আর করবো না যাও। এখন থেকে আগেই বলব তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে। চলবে?
পারমিতা হেসে ফেলল। রোদের উষ্ণ শরীরটা জড়িয়ে রাখতে ইচ্ছে করছে ওর। ভালবাসা কি এভাবেই মানুষ কে কাছে টানে?
প্রীতুলকে ছুটে আসতে দেখে ওরা সতর্কভাবে একজন আরেকজনকে ছেড়ে দিলো। বেয়ারাকে ডেকে খাবারের অর্ডার দিলো রোদ৷ তারপর তিনজনে টেবিলটায় গিয়ে বসলো।
পারমিতা রোদের দিকে তাকিয়ে আছে। রঙিন আলো পড়েছে রোদের মুখে। অপুর্ব লাগছে ওকে। স্নিগ্ধ এবং সুন্দর।
খাবার চলে এলো। প্রীতুল যখন সবার আগেই খাওয়া শুরু করে দিয়েছে, তখন রোদ পারমিতার হাত ধরে বলল, উঠে আসো।
– ওমা কোথায়!
– আহা আসো না। প্রীতুল সোনা, তুমি খাও। আমি তোমার মামণিকে একটা কথা বলবো।
– কি কথা? আমিও শুনবো।
– হ্যাঁ তোমাকেও বলবো। খাও তুমি। খাওয়া শেষ হলে বলবো।
পারমিতা রোদের হাত ধরে উঠে দাঁড়াল। টেবিল থেকে খানিকটা দূরে এসে মেঝেতে হাঁটুগেরে বসল রোদ। পারমিতা হা হয়ে গেল। ও কি আজ ওকে আনুষ্ঠানিক প্রপোজ করতে চায় নাকি! পারমিতার হৃদস্পন্দন শুরু হয়ে গেল।
রোদ পারমিতার দিকে তাকিয়ে বলল, আমি কি তোমার পা স্পর্শ করতে পারি?
– কিহ! কেন?
– অনুমতি দাও।
– করুন। অনুমতি কেন নিতে হবে? কিন্তু সালাম করবেন নাকি?
রোদ হেসে পারমিতার একটা পা আলতো করে তুলে ওর হাঁটুর ওপর রাখল। তারপর পকেট থেকে নূপুর বের করে পরম যত্নে পরিয়ে দিতে লাগল। অবাক হল পারমিতা। শুধু অবাক-ই নয়, এরচেয়ে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর অনুভূতি যেন কখনো আসেনি ওর জীবনে। কেউ ভালবাসলে তার ছোট ছোট পাগলামি গুলোই আকাশ সমান ভালো লাগে, সেখানে রোদ ওকে এত অদ্ভুতভাবে সারপ্রাইজ দিয়ে চলেছে, এই সুখের উপমা ও কিভাবে দেবে জানেনা। শুধু এটুকু জানে, রোদকে সে সত্যিই জীবনসঙ্গী হিসেবে পেলে তারচেয়ে সুখী আর কেউ হবে না।
পারমিতার চোখে পানি চলে আসছে। প্রীতুলের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি আটকালো ও৷ প্রীতুল আনন্দ নিয়ে খাবার খাচ্ছে। এদিকে ওরা কি করছে সেটার ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপ নেই ওর। প্রীতুলকে সবসময় এমন আনন্দে রাখতে পারলে পারমিতার জীবনটা সার্থক হয়ে যেত। ওর মনে হচ্ছে, নিজের সুখের চাইতে তার সন্তানের সুখের জন্যই রোদকে ওর পাশে থাকা প্রয়োজন। রোদ প্রীতুলের চাহিদা বোঝে, ওর কিসে আগ্রহ, কিসে অপছন্দ সবকিছু দ্রুত বুঝে ফেলেছে রোদ৷ মনের গহীন থেকে পারমিতার একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
রোদ পারমিতার অন্য পায়েও নূপুর পরিয়ে দিলো। অনেক্ষণ মুগ্ধ দৃষ্টিতে পারমিতার পায়ের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে রোদ বলল, এরকমটাই চেয়েছিলাম। আমি ঠিকই ধরেছি। তোমার পা দুটো আগে খালি খালি লাগত। এখন পূর্ণ মনে হচ্ছে।
রোদ উঠে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পারমিতার কি যে হয়ে গেল, আষ্ঠেপৃষ্ঠে রোদকে জড়িয়ে ধরল ও। নিজেকে সামলাতে পারল না। প্রীতুলের কথা মাথায়ই আসেনি ওর। রোদকে ও ভালবাসে, শুধু এটুকুই জানে পারমিতা।
ওরা একে অপরকে ছেড়ে দেয়ার পর দেখল প্রীতুল ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। রোদ গিয়ে বসল প্রীতুলের পাশে। বলল, তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেবো বলেছিলাম না?
প্রীতুল বলল, হুম। কি সারপ্রাইজ?
– তোমার বাবার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবো বলেছিলাম না।
প্রীতুল খাওয়া বন্ধ করে বিস্মিত চোখে রোদের দিকে চেয়ে রইল। চোখের পলকও পড়ছে না। পারমিতা রোদের কাঁধে হাত রাখল। রোদ কি বলতে যাচ্ছে ধারণা নেই ওর। কিন্তু এই বিষয়টা নিয়ে প্রীতুলের সঙ্গে কথা না বললেই পারতো।
রোদ পারমিতার দিকে তাকিয়ে আশ্বাস দিলো। প্রীতুলকে বলল, আমিই তোমার বাবা।
অনেক্ষণ কথা বলতে পারল না প্রীতুল। ওর চোখ ছলছল করছে। হাত বাড়িয়ে মায়ের কাছে যেতে চাইল ও। পারমিতা প্রীতুলের পাশে গিয়ে বসল। প্রীতুল মায়ের কোলে মুখ গুঁজে দিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল। পারমিতা বলল, কি হয়েছে বাবা?
– উনি মিথ্যা কথা বলছে আম্মু। আমার তো বাবা নেই।
পারমিতারও চোখ ভিজে উঠতে শুরু করল। প্রীতুলকে কাছে টেনে নেয়ার চেষ্টা করল রোদ৷ কিন্তু প্রীতুল এলো না। ও ধীরকণ্ঠে বলল, আমার আব্বুর নাম তো রাসিফ। আব্বু নেই। মরে গেছে।
পারমিতা প্রীতুলকে বুকে চেপে ধরল। রোদ বিব্রতবোধ করছে। ওর ধারণা ছিল প্রীতুলকে কথাটা বললে আনন্দে লাফিয়ে উঠে ওকে জড়িয়ে ধরবে প্রীতুল৷ কিন্তু না, এ কী হল!
পারমিতা প্রীতুলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, বাবা শোনো। আম্মুর কথা শোনো।
– কি?
– তুমি তো বলো সবার বাবা আছে। বাবারা ছেলেদেরকে অনেক আদর করে। কত মজা করে ওরা। ছেলেকে সাইকেল চালানো শেখায়। আমার তো তোমার জন্য অনেক খারাপ লাগে। তোমার একটা বাবা থাকলে কত ভালো হত। তাই আমি রোদকে নিয়ে এসেছি তোমার বাবা বানানোর জন্য।
প্রীতুল শান্ত হয়ে উত্তর দিলো, সত্যি?
– হ্যাঁ।
– তাহলে আগে কেন বলোনি?
– হুট করে যদি তোমাকে বলতাম এই লোকটা তোমার নতুন বাবা। তাহলে কি তোমার ভালো লাগত? দেখা যেত তুমি ওকে পছন্দই করছ না, ওর সঙ্গে খেলছো না। এজন্য ওকে বলেছি আগে তুমি প্রীতুলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করো। প্রীতুল যদি তোমাকে পছন্দ করে তাহলেই তুমি ওর বাবা হতে পারবে। আমার তো মনে হচ্ছে তুমি রোদকে পছন্দ করে ফেলেছো। এখন তুমিই আমাকে বলো তো, রোদ কি তোমার বাবা হবে নাকি হবে না?
প্রীতুল একবার মায়ের দিকে তাকাচ্ছে আর একবার রোদের দিকে। পারমিতার টেনশন হচ্ছে। প্রীতুল যদি ‘না’ বলে তাহলে তো কখনো রোদকে সে বিয়ে করতে পারবে না। ছেলের একটা গুরুত্ব তো আছে ওর কাছে। বুক দুরুদুরু করছে ওর। উদাস মনে রোদ পারমিতাকে দেখছে।
প্রীতুল মুচকি হাসি দিয়ে বলল, রোদ আমার বাবা হবে।
আনন্দে লাফিয়ে উঠে প্রীতুলকে কোলে নিলো রোদ৷ পারমিতার গাল বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।
রোদ বলল, আমি কি তোমার বাচ্চার বাবা হতে পারি পারমিতা?
পারমিতা জড়িয়ে ধরল রোদকে, হ্যাঁ পারো।
তিনজনে একে অপরকে জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে রইল। একজন আরেকজনের চোখের পানিতে সিক্ত হচ্ছে। রোদ প্রীতুলের গালে চুমু খেয়ে বলল, আজ থেকে তুই আমাকে আব্বু ডাকবি। তুই আমার ছেলে। ঠিক আছে?
প্রীতুল ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। রোদের গালে চুমু খেয়ে মুচকি হেসে বলল, ঠিক আছে।
পারমিতার আজ আনন্দের দিন। ওর এত খুশি খুশি লাগছে, মনে হচ্ছে রোদকে ও আপন করে পেয়েছে। যেন আজ থেকে একসঙ্গে একই বাসায় থাকবে ওরা। কতই না মজা হতো তাহলে! এবার বোধহয় সত্যিই তার মনে বিয়ের শখ জাগবে।
রোদ বলল, খাবার তো ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। চলো চলো খেয়ে নেই। দাঁড়াও আরেকবার গরম করে দিতে বলি।
পারমিতা খাবারে হাত দিয়ে বলল, গরম আছে তো।
– না না ঠাণ্ডা হয়ে গেছে।
বেয়ারাকে ডেকে রোদ খাবারটাকে আরেকবার গরম করে এনে দিতে অনুরোধ করল। প্রীতুলকে কোলে বসিয়ে রেখে বলল, তুমি আর কি কি খাবে এখানে মেনু দেখে বলো।
প্রীতুল খাবারের মেনুতে চোখ বুলাতে লাগল। পারমিতা অবাক হয়ে রোদকে দেখছে। রোদ ওর হাতের ওপর হাত রেখে ওকে আশ্বাস দিলো।
খাওয়া শেষে রোদ বলল, এখন সময় করে একদিন আমার বাসায় আসো। আম্মুর সঙ্গে দেখা করো। কবে আসতে পারবে?
চমকে উঠলো পারমিতা। তবে কি সত্যি সত্যি সে আবারও কারও জীবনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতে যাচ্ছে! ওর হৃদস্পন্দন দ্রুত হতে লাগল। বলল, জানাবো।
রোদ ওদেরকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে অনেক্ষণ প্রীতুলের সঙ্গে খেলা করল। রাত বাড়ছে। গেট বন্ধ হয়ে যাবে। এখন ফিরতেই হবে রোদকে। কিন্তু ওর একদমই যেতে ইচ্ছে করছে না। প্রীতুলও ছাড়তে চাইছে না রোদকে।
তবুও বিদায় নিয়ে রোদ বলল, যত দ্রুত সম্ভব তোমাকে আমার করে নেবো। আমার ঘরে নিয়ে যাবো। ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না।
– আমার কি ইচ্ছে করছে?
– তাহলে বলতেও তো পারো আজকে থেকে যাও।
– না গো। এই বাড়িতে যারা আমাকে চেনে সবাই আমার সম্পর্কে ভালো জানে। ইদানীং তুমি আসা যাওয়া করো, জানিনা তারা কি ভাবে। তবে ডিভোর্সি মেয়ে তো, নানান মন্দ কথা হবে। আমি সেসব শুনতে পারবো না।
– খবরদার নিজেকে ডিভোর্সি বলবা না। তুমি ভাব্বে আগে তোমার কখনো বিয়েই হয়নি। ওই কাপুরুষকে ভুলে যাও৷ তুমি আমার স্ত্রী, প্রীতুল আমার সন্তান। এখন থেকে এটাই তোমাদের পরিচয়।
পারমিতা নিশ্চুপ রইল। রোদের আবেগঘন চোখ দুটোই বলে দিচ্ছে তার আজকে একদমই যেতে ইচ্ছে করছে না। শক্ত করে পারমিতার হাত ধরে রইল কিছুক্ষণ। তারপর বেরিয়ে গেল। রোদ চলে যাওয়ার পরও পারমিতা অনেক্ষণ দরজা ধরে দাঁড়িয়ে রইল। একটা মানুষ কিভাবে যেন তার জীবনে এসে সবকিছু বদলে দিলো! ভাবতে লাগল, কোন পূণ্যের গুণে আজ রোদের মতো কাউকে জীবনে পেয়েছে সে।
সকালে খুব ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে পারমিতা অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। প্রীতুল আজ স্কুল যাবে না বলছে। ওকে কাজের মেয়ের কাছে রেখেই বেরিয়েছে। গেটের সামনে আসতেই আচমকা ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো। রাসিফ দাঁড়িয়ে আছে!
পারমিতা বিস্ফোরিত চোখে কয়েক সেকেণ্ড তাকিয়ে রইল। তারপর দ্রুত পদে পারলে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। ওর পেছনে দৌড়াতে লাগল রাসিফ, এই পারমিতা দাঁড়াও। এভাবে ছুটছো কেন?
পারমিতা দাঁড়াল না। দ্রুত পালানোর চেষ্টা করছে। রাসিফ দৌড়ে এসে ওর সামনে দাঁড়িয়ে হাফাতে হাফাতে বলল, আমি কি ডাকাত না গুণ্ডা? আমাকে দেখে এভাবে দৌড়ে পালাচ্ছো?
– আপনি তার চাইতে বেশি কিছু। আমার বাসার সামনে কি করছেন আপনি?
– তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য দাঁড়িয়ে আছি।
– সেদিন বলেছি না, আপনার সঙ্গে আমার কোনো কথা নেই।
পারমিতা হাঁটতে শুরু করল। রাসিফ হাত ধরল ওর। আচমকা পেছন ফিরে রাসিফের গালে কষে একটা থাপ্পড় মারল পারমিতা। চড় দেয়ার পর নিজেই অবাক হল, সে একটা মানুষের গায়ে হাত তুললো!
চলবে..
আগের পর্ব গুলো https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=641896073477694&id=100029719223370