তৃষ্ণা পর্ব ১৫

0
1268

তৃষ্ণা
পর্ব ১৬
মিশু মনি
.
কিছু কষ্ট এতটাও তীব্র হয় যে প্রকাশ করার মত কোনো শব্দ থাকে না। কষ্টে কলিজা ছিঁড়ে যাওয়ার জোগাড় অংশীর। এ কষ্ট কাউকে না দেখানো যাবে, না বলা যাবে। একদিকে শরীরে মারের যন্ত্রণা, অন্যদিকে মনের ভেতর মানসিক যন্ত্রণা। অংশীর আজ আকাশ সমান কষ্ট হচ্ছে।

সারারাত খুব ছটফট করে কাটলো। জীবনে এই প্রথম কোনো নির্ঘুম রাত এতটা ভয়াবহ ভাবে কাটালো অংশী। খাওয়া নেই, ঘুম নেই, স্বস্তিতে নিশ্বাস ফেলার সুযোগ টুকুও নেই। শুধুই চাপা কষ্ট। এ কষ্টের কোনো সীমানা খুঁজে পায় না অংশী। শরীরে প্রচন্ড ব্যথা। বিছানা ছেড়ে উঠতে পারছে না। প্রায় অচেতন অবস্থায় পড়ে রইলো ও।

পৃথিবীতে আমরা যাদেরকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করি, তাদের থেকে পাওয়া কষ্টটাকে আমরা খুব সহজে গ্রহণ করতে পারি না। তখন নিজেরই নিজেকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

সকাল হতেই দরজা খুলে মাহিব ঘরে প্রবেশ করলো। অংশীকে এভাবে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হলো ওর। আবার খারাপ কিছু না হয়ে যায়। কাছে এসে পালস পরীক্ষা করে দেখলো। অংশী মানসিক যন্ত্রণা নিতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারাতাড়ি গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে এলো মাহিব। হাসপাতালে আসার পথে চোখ মেলে মাহিবকে দেখছিলো অংশী। ওর শরীরে শক্তি থাকলে এখনই সবকিছু থেকে পালিয়ে চলে যেতো। পরক্ষণেই মনে হলো, এইতো সুযোগ। এই সুযোগেই পালিয়ে যেতে হবে এখান থেকে। নয়তো মাহিব আবার ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বদ্ধ ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখবে ওকে। কিন্তু পালিয়ে যাবেই বা কোথায়, যাওয়ার মত কোনো জায়গা যে ওর নেই। বুকটা ফেটে যেতে চাইছিলো অংশীর।

হাসপাতালে অংশীকে ভর্তি করিয়ে দিয়ে বেডে শুইয়ে দেয়া হলো। চোখ বন্ধ থাকলেও সবকিছু স্পষ্ট বুঝতে পারছে অংশী। ওর ভয় হতে লাগলো মাহিব আজকেই বাচ্চাটা নষ্ট করে দেবে কিনা। ভয়ে ভয়ে বিছানায় শুয়ে রইলো অংশী। ঘরে নিস্তব্ধতা নেমে এলে ও টের পেলো এই মুহুর্তে ঘরে কেউ নেই। গায়ে শক্তি আনার চেষ্টা করলো অংশী। উঠে দাঁড়ালো, তারপর দরজা খোলার চেষ্টা করে দেখলো দরজা বাইরে থেকে আটকানো। আবারও বুক ফেটে কান্না এলো ওর। কি করবে এবার!

উপায় না পেয়ে আবারও বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো। এই কষ্ট অংশী ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। অংশী নিজের পেটের উপর হাত রেখে বললো, “সোনা রে, তোর বাবাটা কত খারাপ রে। মায়ের ভুলের জন্যি মায়রে মাপ কইরা দিস। তোর জন্যি তো আমি মইরা যাইতেও পারুম না। তোরে জন্ম দিমু ক্যামনে? তোর বাপ আইজই তোরে মাইরা ফেলতে চাইতাছে রে। এই মানুষ টারে আমি একদিন ভালাবাসছিলাম। ক্যামনে!”

কাঁদতে লাগলো অংশী। ঠিক সেই মুহুর্তে দরজা খুলে মাহিব ঘরে প্রবেশ করলো। অংশীকে কাঁদতে দেখে বললো, ‘কি হইছে অংশী? কাঁদছো কেন?’

অংশীর গায়ে হাত দিতেই অংশী মাহিবের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললো, ‘আমারে ছুঁইবেন না আপনের পাপের হাত দিয়া।’

মাহিব সবকিছুকে এড়িয়ে গিয়ে বললো, ‘শোনো, একটু পরে ডাক্তার আসবে। কোনো কান্নাকাটি করবে না। ডাক্তার এসে যা করতে বলবে করবা। আর বাচ্চার প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানোর চেষ্টা করবা না।’

অংশী কাঁদতে কাঁদতে বললো, ‘একটা জীবন কি কাউরে আপনে দিতে পারবেন? পুতুলরে হাজার বার কন তো মানুষ হইতে, সে কি পারবে মানুষ হইতে? একটা জীবন দিতে পারবেন না, তাইলে একটা জীবন কাইড়া নেয়ার অধিকারও আল্লাহ আপনারে দেয় নাই।’

মাহিব অংশীর হাত ধরে বললো, ‘এই বাচ্চাকে এখন কোনোভাবেই আমি নিতে পারবো না। আর তোমাকে বড় হতে হবে অংশী। বাচ্চাকে নিয়ে কিভাবে কি করবে বলো?’

অংশী চোখের জল মুছে বললো, ‘আমার বড় হওয়া নিয়া আপনেরে ভাবোন লাগবো না। আমি পাপ করছি। আমার পাপের দাগ আমার বাচ্চার গায়ে লাগাইতে দিমু না। আপনেরে আমার বাচ্চার দায়িত্ব নিতে হইবো না। আপনে আমারে ছাইড়া দেন, তাও আমার সন্তানের কিছু কইরেন না দোহাই লাগে।’

মাহিব অনেক্ষণ অংশীর দিকে তাকিয়ে থেকে বললো, ‘তুমি যা বলছো ভেবে বলছো তো?’
‘হ। আমি ভাইবাই কইছি। এইটা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নাই। আমি আপনেরে ভুইলা যামু। আমি আপনের মত না, কথা দিলে সেই কথা আমি রাখি। আমি কোনোদিনো সন্তানের বাপের অধিকার নিয়া আপনের সামনে আইসা খাড়ামু না। কথা দিলাম।’

অংশীর কথা শুনে মাহিব স্তব্ধ। মেয়েটা যেন এক রাতেই অনেক বড় হয়ে গেছে। কেমন বড়দের মত কথা বলছে। কিন্তু এই বাচ্চাকে নিয়ে অংশী কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? বাসাতেও তো যেতে পারবে না। চিন্তিত হয়ে মাহিব আপনমনে ভেবে চলেছে এসব।

অংশী বললো, ‘আপনে আমারে ভুইলা যাইয়েন। আমি ভুল করছি। আল্লাহ আমারে আমার ভুলের শাস্তি দিবেন। আপনে আমার সামনে আর থাইকেন না। আমি আপনের পথ থিকা সইরা দাঁড়াইতাছি, তাও আমার বাচ্চাটা নষ্ট কইরেন না।’

মাহিবের মনে হতে লাগলো, যে বাচ্চার সামান্য ভ্রুণ সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য অংশীর এত মায়া কেন! ব্যাপারটা ন্যাকামো ন্যাকামো হয়ে গেলো। আবার হঠাৎ আনন্দও হতে লাগলো। আপদ নিজে থেকেই বিদায় হতে চাইছে এ তো সুখের কথা। যাক না, চলে যাক। আপদ দূর হয়ে যাক। নিজে থেকে গেলেই তো বেঁচে যায় মাহিব। মাহিব বলল, ‘তুমি যদি সত্যিই চলে যেতে চাও, আমি তোমাকে দুই লাখ টাকা দিচ্ছি। থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এটা নিয়ে তুমি সেখানে থাকো। নিজের মত করে বাঁচবে। আমাদের কোনো যোগাযোগ থাকবে না।’

অংশী রেগে বললো, ‘একটা জীবনের দাম দুই লাখ টেকা? এই টেকা আমারে ভিক্ষা দিবেন? দুই লাখ টেকা দিয়া আমার ইজ্জত কিইনা নিতাছেন? আপনেরা বড়লোক, আমার মত বোকা মাইয়ারা না বুইঝা আপনেগের ফাঁদে পা দেয়। আমি আজ বুঝতাছি আপনের ভালোবাসা আসলে কি আছিলো?’

মাহিব এই অপমান গুলো ঠিক নিতে পারলো না। রেগে বললো, ‘বেশি কথা বলবা না তো। বেশি কথা বলা আমার ভালো লাগে না। যা বলছি শোনো, চুপচাপ শুয়ে থাকো। এক ঘন্টা সময় দিলাম ভাবার। ভেবেচিন্তে ঠিক করো তুমি কি করতে চাও? যদি আমার সাথে থাকতে চাও তাহলে এবোরশন করতে হবে। আর যদি চলে যেতে চাও, আজীবনের মত যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে হবে।’

অংশী যতটা দৃঢ় হয়ে কথাগুলো বলে থাকুক না কেন, মাহিবের মুখে এসব শুনে ওর কষ্ট হতে লাগলো। মনে হচ্ছে শরীরের কাটা জায়গায় কেউ নুন লাগিয়ে দিচ্ছে। শরীর, মন সবখানে জ্বালা হতে লাগলো। মাহিব এতটা নিচুমনের মানুষ সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছে অংশী। অংশীকে শোয়েটার কিনে দেয়া, টয়লেট বসিয়ে দেয়া, অংশীর সুস্থতার জন্য ব্যকুল হয়ে ওঠা, সবই তাহলে ছিলো মেয়ে পটানোর ধান্ধা। বিয়ে না করেই তার সাথে থাকতে হবে, তার কথামত চলতে হবে, কয়েক বছর পর সে বিয়ে করবে না তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই অনিশ্চিত জীবন কিছুতেই মেনে নেবে না অংশী।

মাহিব বললো, ‘সিদ্ধান্ত নাও কি করবে। তারপর আমাকে জানাও।’
– ‘সিদ্দান্ত নিয়া ফালাইছি। আমি আপনেরে ভুইলা যামু। আপনে আমারে ছাইড়া দেন। আমার দুই লাখ টেকা লাগবো না, দুই হাজার টেকা দেন যেইটা দিয়া আমি কোনোমত একটা আশ্রয় নিবার পারি। এই টাকাটা আমি আপনেরে শোধ দিয়া দিমু।’

মাহিবের এই কঠিন সময়েও মুখে হাসি এলো। যে মেয়ের পায়ের নিচে মাটি নেই, সে কিনা দুই হাজার টাকা শোধ করে দেবে। কথাটা হাস্যকর শোনালো মাহিবের কানে। ও ফিক করে হেসে বললো, ‘ধার হিসেবে নিচ্ছো? ওকে দিলাম। কিন্তু তুমি প্রমিস করছো তো, যে সারাজীবনের জন্য আমার পিছু ছেড়ে দিবা?’

অংশীর নিজেকে খুব অপমানিত মনে হতে লাগলো। পিছু তো অংশী লাগেনি, অথচ এখন সেই অবমাননাকর কথাগুলো অংশীকেই শুনতে হচ্ছে। মাহিবের এই নিষ্ঠুরতার বিচার একদিন হবে, ঠিকই হবে।

মাহিব বললো, ‘তবুও আমি তোমাকে এক ঘন্টা সময় দিলাম। ভাবো..’

কথাটা বলে হনহন করে বেরিয়ে গেলো মাহিব। অংশী বিছানা ধরে মেঝেতে বসে পড়লো। এমন দিন আসার আগে মৃত্যু হলো না কেন! নিজের সন্তানকে বাঁচাতে অংশী কঠিন হয়ে বলেছে মাহিবের অধিকার ছেড়ে দেবে। কিন্তু আদৌ মাহিবকে ছাড়া বেঁচে থাকতে পারবে তো? সারা শরীরে যেন কেউ সূঁচ ফুটিয়ে আঘাত করছে অংশীকে। বাড়িতে ফিরে যাওয়ার রাস্তা আজীবনের মত বন্ধ হয়ে গেছে। এই শহরে অংশী কোথায় যাবে, কিচ্ছু জানাশোনা নেই, বড় নির্মম পাথরের শহর। লোকজনের মুখে বিন্দু পরিমাণ মায়া নেই, মেয়েগুলোকে দেখলে প্লাস্টিকের পুতুলের মত লাগে। এমন আজব শহরে অংশী কার কাছে গিয়ে আশ্রয় নেবে! কে দেবে একটু মাথা গোঁজার ঠাই? কি যে কষ্ট হচ্ছে, ইচ্ছে করছে মাটি দুভাগ হয়ে যাক, অংশী ভিতরে ঢুকে যাবে।

কাঁদতে কাঁদতে হাফিয়ে উঠলো অংশী। এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি ভাবনা হচ্ছে বাচ্চাটাকে নিয়ে। আশ্রয় নাহয় একটা জুটিয়ে নিলো, সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরে প্রয়োজনে আশ্রয়ের মিনতি করবে অংশী। কিন্তু এই সন্তান বড় হলে তার থাকবে না কোনো পরিচয়, থাকবে না মাথার উপর কোনো গুরুজন। বাচ্চাটা বড় হবে এতিমখানায়। এসব ভেবেই অংশীর কষ্ট বেড়ে যেতে লাগলো। নিজের গলা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে নিজের কলিজা টেনে বের করে আনতে ইচ্ছে করছে ওর। এভাবে একটা মানুষ বাঁচতে পারে না।

১৮
মাহিব ফিরে এসে দেখে অংশী মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। দ্রুত ডাক্তারকে ডেকে এনে অংশীর অবস্থা দেখতে অনুরোধ করলো ও।

অংশীর শরীরে স্যালাইন লাগানো হলো। ডাক্তার সাহেব কিছু ওষুধপত্র আনার জন্য মাহিবকে পাঠালেন। জ্ঞান ফিরলে অংশী যখন দেখলো শরীরে পাইপ দিয়ে জলের ন্যায় তরল কিছু একটা ঢুকছে, ভয় পেয়ে গেলো ও। এটা আবার কি? অংশীর গলা শুকিয়ে গেলো। নিশ্চয় মাহিব বাচ্চা নষ্ট করার উপায় বের করেছে। এই ভেবে চিৎকার দিয়ে একটানে শরীর থেকে স্যালাইন খুলে ফেলে দিলো অংশী। হাত দিয়ে তরতর করে রক্ত বেরিয়ে পড়তে লাগলো। নিজের রক্ত দেখে নিজেরই শরীর ঘুলিয়ে উঠছে। অংশীর গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জলের বিন্দু। মনেমনে আল্লাহকে ডেকে চলেছে ও। এমন সময় ঘরে মাহিবের প্রবেশ।

অংশীর হাত দিয়ে রক্ত পড়তে দেখে ছুটে ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে এলো মাহিব। অংশী ডাক্তারকে অনুনয় করে বললো, ‘আপনারা আমারে ছাইড়া দেন দোহাই লাগে। আমি চইলা যাই। আমার বাচ্চাটারে মাইরা ফেইলেন না।’

ডাক্তারের পায়ের কাছে বসে কাঁদতে লাগলো অংশী। এই মুহুর্তে অংশীর নিজেকে নর্দমার কিটের মত তুচ্ছ মনে হচ্ছে। ডাক্তার মাহিবের দিকে তাকালো। মাহিব ওনাকে চলে যেতে বলে অংশীর পাশে এসে বসলো। হাত ধরে বললো, ‘অংশী প্লিজ পাগলামী কোরো না। আমি পাশে আছি তো। তোমার বাচ্চা নষ্ট করবো না। তুমি যা চাইবে তাই হবে অংশী। আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো।’

অংশী মাহিবের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে কাঁদতে বললো, ‘আমি তো চাইনা আপনে আমারে ছাইড়া দেন। আমি কি চাই আপনে জানেন না? কি হয় আমারে একটু ভালোবাসলে? বুকে একটু জায়গা দিলে কি খুব ক্ষতি হইয়া যায়? আমারে যদি এতই অযোগ্য মনেহয়, তয় ভালাবাসছিলেন ক্যান?’

মাহিব নিশ্চুপ হয়ে রইলো। মাহিবের বুকে খামচি ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো অংশী। মাহিবের খারাপ লাগছে। খারাপ লাগাটাই হয়তো স্বাভাবিক। যার সাথে কিছুদিনের প্রেম থাকে, তার প্রতি একটা টান সবসময় থেকেই যায়। অংশীর এই কষ্ট দেখে মাহিবের সত্যিই মনটা বিষন্ন হয়ে উঠছে। কিন্তু কিছুই করার নেই। এই মুহুর্তে বাচ্চার দায়িত্ব নেয়াটা বিরক্তিকর একটা ব্যাপার, তাছাড়া অংশীর প্রতি এখন কোনো ভালোবাসাই কাজ করছে না মাহিবের। ভালোবাসা ছাড়া একটা মেয়েকে নিজের কাছে অযথা রাখার কোনো মানেই হয় না। শুধু আনন্দ করার উদ্দেশ্যেই মাহিবের অংশীকে দরকার ছিলো। কিন্তু একটা বাচ্চাকে নিয়ে এই আনন্দ কখনো করা সম্ভব না। অংশীকে ছেড়ে দিতে খারাপ লাগলেও ছেড়ে দেয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ জানা নেই। অংশী মাহিবের বুকে লুটিয়ে এমনভাবে কাঁদছে যে, মেয়েটাকে কিছু বলার সাহস হলো না মাহিবের।

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here