#অদ্ভুত_প্রেমোমোহ_তুমি
#পর্বঃ২১
✍️ তাজরিয়ান খান তানভি
শুভ্র সাদা মেঘ আকাশের ভেলা।ভেলায় উড়ে চলে পক্ষিকুল।জানান দিচ্ছে ঋতুর পরিবর্তন।
ফ্যানের নিচে বসেও অনবরত ঘামছে শিহরণ।কানের চারপাশ দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে।চোখের সামনে সন্ধ্যা তারারা আকুলি বিকুলি করছে।কানের পাশ দিয়ে টুপ টুপ করে একটু একটু ঘাম ওর শার্ট এর উপর পড়ছে।
কিন্তু ওর চোখ আটকে আছে মারশিয়াদ এর দিকে।মারশিয়াদ দিব্যি সামনে থাকা সেন্টার টেবিলের উপর থেকে বাটিতে রাখা আঙুর একটা একটা করে মুখে চালান করছে।
আশরাফ,আশফিক আর ইতিয়ারা বেগম বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছে মারশিয়াদ এর দিকে।সেদিনের মারশিয়াদ আর আজকের মারশিয়াদ এর মধ্যে তেলে জলের মতো অবস্থা।
“মানুষ বড় অদ্ভুত প্রানী।গিরগিটির মতো রঙ বদলায়।কখনো নিজে বাচতে কখনো অন্যকে বাচাতে।”
নিরবতা ভেঙে মারশিয়াদ বলে—
“তো আপনাদের এখন আপত্তি নেই তো শিহরণ আর নির্ধার বিয়েতে???
আশরাফ সাহেব হালকা কেশে বললেন,,
“বিয়েতে আমাদের আপত্তি নেই।কিন্তু,,
“জানেন তো আঙ্কেল মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ সমান হয় না।ঠিক তেমন পরিস্থিতি মানুষকে বদলে দেয়।কাউকে মানুষে পরিনত করে কাউকে অমানুষে।”
শিহরণ আজকাল মারশিয়াদ কে নিবিড়ভাবে দেখে।কিন্তু তারপরও কেনো যেনো এখন আর ওকে বুঝতে পারে না।তাহলে কি তাদের মধ্যে দুরত্ব বেড়ে গেছে??
আশফিক যথেষ্ট খোজ খবর নিয়েছে শিহরণ সম্পর্কে।যা জানা গেছে তাতে তাকে বাড়াবাড়ি রকমের ভালো বলা চলে।কিন্তু মারশিয়াদ!!তার সম্পর্কে কোনো ইনফরমেশন সে বের করতে পারে নি।
আজ সকালেই হুট করে মারশিয়াদ শিহরণ আর ওর পরিবার কে নিয়ে নির্ধাদের বাড়িতে চলে আসে।নির্ধার পরিবার ভীষন অপ্রস্তুত হয়।কিন্তু মারশিয়াদ এর শান্তু আর অমায়িক এবং অকল্পনীয় স্নিগ্ধ ব্যবহার ওদের আবেগতাড়িত করে।শিহরণ এর বাবা মা ওকে নিজের ছেলের মতোই দেখে।শিহরণ কোনো কথা বলে নি।বলবে কি করে ও প্রস্তুতই ছিলো না।সব কিছুই একটা ঘোর।
অনেক কিছু বলে মারশিয়াদ তাদের অপারগতা ভাঙতে সক্ষম হয়।তারা গ্রহন করে প্রস্তাব।আশফিক কিছুটা বিচলিত ছিলো।কিন্তু ওর মন এখন প্রসন্ন এই ভেবে যে ইনশিরাহ এর সাথে মারশিয়াদ এর কিছু একটা আছে।
আর অন্যদিকে তার আশার প্রদীপের দীপ্ত শিখা না চাইতেও বুঝে যায়।অবশ্য এই নিয়ে কোনো সংকচ নেই তার মনে।আজরাহান কে ও যথেষ্ট ভালোবাসে।কথায় আছে,,,””ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ””।
,
,
,
ভ্যাবসা গরম পড়েছে।সারাদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলেও পরিবেশ একদম থমথমে।রাস্তার কর্দমাক্ত পিচ ঢালা পথ শুধু যে মানুষের যাতায়াত এই কষ্টকর তা নয়।দিন আনে দিন খায় মানষগুলোও আজ বিপাকে।অন্নের সন্ধানে তাদের সবকিছু উপেক্ষা করে বের হতেই হয়।
“রোদ,বৃষ্টি,ঝড়
নয়তো কারো পর,
কারো জন্য সুখের বিলাস
কারো জন্যে ডর।
সদ্য গোসল করে বেরিয়েছে প্রহর।ভেজা চুলে টপ টপ করে পানি পড়ছে।চুলের আগায় টাওয়েল দিয়ে ঘষে ঘষে পানি মুছে নিচ্ছে।
আচ্ছা,ভেজা চুলে নাকি মেয়েদের মায়ামতি লাগে।
সত্যিই কি তাই??
হয়তো প্রাননারী কে সবসময়ই তার প্রানপুরুষের কাছে মায়ামতি ই লাগে।
ভেজা চুল থেকে টাওয়েল নিয়ে তা মেলে দেয় প্রহর।গন্ধরাজ চারার কলি দেখা যাচ্ছে।আর তাই ই খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে প্রহর।চুলের পানিতে তার কামিজের কোমড়ের অংশটুকু ভিজে চুপচুপ।উপুর হয়ে গন্ধরাজ এর কলি স্পর্শ করছে প্রহর।
আচমকা ভেজা কোমড়ে উষ্ণতার স্পর্শে প্রহর হুট করে পিছনে ফিরতেই আজরাহান দুহাতের বন্ধনে আবদ্ধ করে প্রহর কে।প্রহর দু হাত দিয়ে আজরাহার এর শার্ট খামছে ধরে।
“আপনি??
“জ্বি,,মাই প্রিটি গার্ল।
কি করছিস তুই এখানে??
“কিছু না।আপনি ভুতের মতো কেনো এলেন??
আজরাহান প্রহর এর নাকে নাক ঘষে বলে–
“তুই এতো নরম কেনো রে,একদম রসমালাই এর মতো।আর মিষ্টিও।”
বলেই প্রহর এর গালে ওষ্ঠ ছোয়ায়।হালকা কেপে উঠে প্রহর।এমন কেনো হলো??
আজরাহান ওকে ঘুরিয়ে প্রহর এর পিঠ ঠেকায় নিজের বুকে।প্রহর এর ঘন কালো চুলে নাক ডোবায়।অসম্ভব মাদকতা তাতে।
“চুলে শ্যাম্পু করেছিস??
“হুম।”
“আর গায়ে কি মেখেছিস,,বেলি ফুল??
প্রহর খিলখিলিয়ে হাসে।
“হাসিছ কেনো তুই??
“আপনি গন্ধরাজ আর আমি বেলি।তাই আমাদের বাড়িতে আর ফুল গাছ লাগাতে হবে না।”
“কেনো??
“ওমা আমাদের ফুটবল টিম এলেই তো পুরো বাড়ি গন্ধরাজ আর বেলি ফুলে ভরে যাবে।”
প্রহর আবার হাসে।আজরাহান ওর চুল সরিয়ে প্রহর এর উন্মুক্ত পিঠে অধর ছোয়ায়।প্রহর এর পুরো শরীর কেপে উঠে।ও নিজেকে ছাড়িয়ে রেলিং ঘেষে দাড়ায়।
“কিরে সরে গেলি কেনো??
প্রহর চোখ লুকোয়।কি বলবে সে??কেনো এমন হচ্ছে??তার রাহান ভাইয়ার স্পর্শ আজ কেনো তাকে ভাবাচ্ছে এতো??
এমন তো কখনো হয়নি।
আজরাহান রেলিং এর দুপাশে হাত রাখে।প্রহর কোনো ভাবেই ওর দিকে তাকায় না।প্রহর এর মনে হচ্ছে ওর রাহান ভাইয়ার স্পর্শ আজ অন্য কিছু বলছে।আজরাহান প্রহর এর একদম কাছে চলে আসে।একটা ফু দিতেই প্রহর এর কানের কাছের ভেজা চুল থেকে পানি উড়ে এসে আজরাহান এর ঠোঁটে পড়ে।আর প্রহর কেমন অস্থিরতা অনুভব করে।ভালো লাগছে না ওর।এ কেমন অনুভুতি??
আজরাহান আরেকটু কাছে গিয়ে ঘাড় হালকা বাকিয়ে প্রহর এর কানের ঠিক নিচে ঘাড়ে ছোট্ট করে চুমু খায়।প্রহর এর পুরো শরীরে বিদ্যুৎ খেলে যায়।তার ভালোলাগা আজ তার রুপ পরিবর্তন করে ভালোবাসায় পরিনতি নিচ্ছে।আজরাহান নিজের কপাল ঠেকায় প্রহর এর কপালে।
“কিরে ভালোবাসবি না আমাকে??
“আমার ভালো লাগছে না রাহান ভাইয়া।”
প্রহর ওর হাত সরিয়ে সামনে যেতেই আজরাহান ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে।
“কোথায় যাচ্ছিস??
তুই না সংসার করবি।তাহলে পালাচ্ছিস কেনো??
প্রহর নিরুত্তর।ওর মনে বয়ে উঠা ঝড় এখন শুধু তার রাহান ভাইয়াই থামাতে পারে।
“ভয় পাচ্ছিস??
“নাহ।”
“তাহলে???
“জানি না।”
“জানতে হবে না।আজ আমি বলবো তুই শুনবি।”
আজরাহান প্রহর কে কোলে তুলে নেয়।প্রহর নিশ্চুপ।মিশে থাকে আজরাহান এর বুকের সাথে।বিছানায় রাখতেই ফিরে শোয় প্রহর।
“এতো লজ্জা পাচ্ছিস কেনো তুই???
তোর রাহান ভাইয়াকে ভালোবাসবি না??
প্রহর ফ্যালফ্যাল করে তাকায়।কেমন যেনো নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছে।নাকের ডগায় মুক্তোর দানার মতো ঘাম জমেছে।ওর রাহান কি চায় আজ ওর কাছে??
“ভালোবাসা চাই।দিবিনা???
প্রহর চোখের পাপড়ি নাচিয়ে সম্মতি দেয়।আজরাহান দেখে কিঞ্চি ওর নীল চোখ দিয়ে মায়াভরা কন্ঠে ম্যাও ম্যাও করছে।আজরাহান ওকে চোখ দিয়ে কিছু একটা ইশারা করে।কিঞ্চি ঘুরে যায়।মাথা নিচু করে তার বিছানায় ডিম্বকোষ হয়ে রয়।আজরাহান এইবার পলক ফেলে প্রহর এর দিকে।কেমন লাল হয়ে আছে তার প্রহরিনী।আজরাহান ওর উপর ঝুকে যায় পুরো।ওর কানের কাছে গিয়ে বলে–
“চোখ বন্ধ করেছিস কেনো তুই??
“আমার লজ্জা করে।”
আজরাহান ওর কানে ছোট্ট করে কামড় বসায়।
“আমি তোকে ভালোবাসবো আর তুই দেখবি না??
“নাহ।”
“তাহলে আমি গেলাম।”
“না,না, আপনি যাবেন না।”
প্রহর চোখ খুলে তাকায়।আজ প্রথম ওর রাহান ভাইয়াকে এতো কাছে দেখে এক অস্থিরতা ভর করছে ওর পুরো শরীরে।যেনো কোনো অদৃশ্য চৌম্বক ওকে টেনে নিচ্ছে তার রাহান ভাইয়ার কাছে।
“ভালোবাসা এক অদৃশ্য চৌম্বক।যতক্ষন তুমি তার থেকে অজানা ততক্ষন তুমি তার থেকে দুরে।একবার তার ক্ষমতা আস্বাদন করলে সে আর কখনো তোমাকে তার থেকে আলাদা হতে দিবে না।”
আজরাহান অধর ছোয়ায় প্রহর এর কপালে,চোখে,গালে।প্রহর আবারো চোখ বন্ধ করে নেয়।আজরাহান ছোট্ট করে হাসে।তার ছোট্ট প্রহরিনী আর তার ভালোবাসা আজ পূর্নতা পাবে।আজরাহান ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় প্রহর এর গলার কাছে।
আচমকায় উঠে বসে আজরাহান।
“কি হলো রাহান ভাইয়া???
“কিছু না।”
“তাহলে কোথায় যাচ্ছেন??
প্লিজ যাবেন না আপনি।”
আজরাহান তার ভুল বুঝতে পারে।এভাবে প্রহর কে ডেস্পারেট করা উচিত হয়নি।
“প্লীজ,আমাকে ছেড়ে যাবেন না।আমি থাকতেপারবো না।”
ও প্রহর কে জড়িয়ে ধরে বলে—
“ক্ষমা করে দে প্রহরিনী।কথা দিচ্ছি তোর রাহান ভাইয়া তোর ভালোবাসার পূর্নতা না দিয়ে কোথাও যাবে না।”
আজরাহান যেতেই ঝড়ঝড় করে কেঁদে উঠে প্রহর।কেনো যেনো ওর খুব কান্না পাচ্ছে জানে না ও।কিঞ্চি তার বিছানা থেকে নেমে প্রহর এর ওড়না মুখে দিয়ে ত চাটতে থাকে।
,
,
নিচে আসতেই দৌড়ে আসে সৃর্য্যি।গাল গুলো লাল হয়ে আছে।চোখের জলে ভেসেছে তার মুখ।
“চাচ্চু,চাচ্চু দেখোনা মামুনি কাঁদছে।”
আজরাহান দেখে কাউচের উপর পা তুলে থম মেরে বসে আছে নন্দিতা।চুল এলোথেলো।ঠোঁটের কোন বেয়ে রক্ত ঝড়ছে।আজরাহান গিয়ে হাটু গেড়ে বসে।
“কি হয়েছে ভাবী।তোমার এই অবস্থা কেনো??
সানোয়ার আহমেদ বাহির থেকে এসে এইসব দেখেই চিৎকার শুরু করেন।আর তার আওয়াজ ই আজরাহান এর কানে পৌছায়।নন্দিতা নির্বাক।অল্প মাত্রায় ছোট করে একটা ঢোক গিলে।
সানোয়ার আহমেদ অনেকক্ষন যাবৎ কথা বলে যাচ্ছেন সামান এর সাথে।সামান নন্দিতা কে ডিবোর্স দিতে চায়।তার পক্ষে কোনো ভাবেই নন্দিতার সাথে একঘরে থাকা সম্ভব নয়।কুহেলিকা ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টা করে।তার এক কথা বেশি বাড়াবাড়ি করলে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে।সানোয়ার আহমেদ কিছুতেই ডিবোর্স হতে দিবে না।
“ভাইয়া,,তোমাকে আমি আগেই বলেছি।এইসব এর মানে কী???
“কি তা দেখতেই পারছিস।আমি আর ওর সাথে থাকবো না।”
“তুমি না বললে তো হবে না।ভাবী এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবে না।”
সামান ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে।এক পর্যায়ে আজরাহান আর নন্দিতা কে জড়িয়ে অনেক বাজে কথাও বলে ফেলে।নন্দিতা আর চুপ করে থাকে না।উঠে গিয়ে ঠাস করে এক চড় বসায় সামান এর গালে।সবাই অবাক হয়ে যায়।ওর মতো শান্ত শিষ্ট মেয়ে এ কাজ করেছে।
“আপনার ডিবোর্স দরকার তাই তো।ওকে দিবো।আপনার মতো পুরুষের সাথে থাকার চেয়ে রাস্তায় থাকা ভালো।”
আজরাহান উত্তেজিত হয়ে বলে—
“ভুল করলে ভাইয়া।আজ কয়লা ভেবে সে হীরে কে তুমি পায়ে ঠেলে দিচ্ছো একদিন তোমাকে তার চরম মূল্য দিতে হবে।”
“বিশ্বাস হলো পরশ পাথরের মতো।তার স্পর্শে কেউ যেমন খাঁটি সোনায় পরিনত হয় তেমন কেউ অন্যের অন্তর কে কুড়ে কুড়ে খায়।”
মহান আল্লাহ বলেন—-“আমি অবিশ্বাসীদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি শিকল,বেড়ী ও প্রজ্জ্বলিত অগ্নি।”
—-সূরা আদ-দাহর–০৪
,
,
,
পিজ্জার এক পিস এ কামড় বসিয়ে দেয় মারশিয়াদ।অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে আছে শিহরন।
“কি করে করলি তুই এইসব??
মারশিয়াদ আরাম করে বসে।টেবিলে থাকা পিজ্জার বক্সের উপরের পার্ট উঠিয়ে বলে–
“বাকি পিজ্জার তিন পিস আমার দুই পিস তোর।চলবে তো??
“আবার কেনো এইসব খুনখারাবি শুরু করলি??
মারশিয়াদ তার অধরের কোন প্রসারিত করে বলে—
“তুই কি আমাকে জেলের ভাত খাওয়াবি নাকি??
পাবলিক প্লেসে কি শুরু করলি??
“অরল্যান্ডো কোথায় জানিস??
“শালা এখানেই কোথাও ঘাপটি মেরে আছে।একবার হাতের কাছে পাই ওর খবর আছে।অবশ্য ওকে তার আগে একবার ধন্যবাদ জানাবো।ওর জন্যই তো আমি আমার কাজলচোখী কে পেয়েছি।”
“তুই এখনো ওকে ভালোবাসিস??
“এই জীবনে আমি ওকে ভুলতে পারবো না।”
“দেখ মারশিয়াদ,যে ভুল আমাদের কষ্ট দেয় তাকে ভুলে যাওয়াই শ্রেয়।”
“ভুল করে ভালোবাসা যায় কিন্তু ভুল করেও তাকে ভোলা যায় না।”
“ভালোবাস এক অকুল পাথার।সাতার না যেনে তাতে ডুব দিলে তো ডুবে যাবেই।”
“তাহলে তুই কি করবি???
“তাকে ভালোবাসবো।তাকে নিয়ে ঘর বাঁধতে না পারি স্বপ্ন তো সাজাতে পারবো।”
“কেনো ভালোবাসিস তুই ওকে এতো???
“ঘৃনা করতে কারণ লাগে রে বন্ধু ভালোবাসতে লাগে না।আমি মরেছি ওর ওই কাজল চোখে।”
“আর আজরাহান???
“আমি তোকে আগেও বলেছি,আমি তার চোখের জলের কারণ হবো না।কিন্তু সে যদি কখনো আমার দ্বারে এসে দাড়ায় আমি তাকে ফিরিয়ে দেবো না।”
“তা কোনোদিনও হবে না।”
“জানি।আমার কাজলচোখী তার রাহান ভাইয়া কে খুব ভালোবাসে।আমি না হয় সারাজীবন তাকে দূর থেকেই ভালোবাসবো।”
“আর ইনশিরাহ??
“আই ডোন্ট লাভ হার।”
“মেয়েটা তোকে ভালোবাসে।”
“সেইটা ওর সমস্যা।আমার না।
আচ্ছা শোন,তোদের এংগেজমেন্ট এর পুরো অ্যারেঞ্জমেন্ট আমি করবো।এটা আমার পক্ষ থেকে তোদের জন্য ট্রিট।”
“কিসের ট্রিট???
“আমার কাজলচোখীর সাথে আমাকে দেখা করিয়ে দেওয়ার জন্য।”
শিহরণ ভাবে,,ভালোবাসা কি সত্যিই অন্ধ???
চলবে,,,
(বিঃদ্রঃ আজকের পর্ব হয়তো ভালো হয় নি।আসলে মাথা কাজ করছে না😢😢😢।সরি ফর লেট😦😦।
ধন্যবাদ।)