মশারি পর্ব-৭

0
1247

বর বউয়ের রোমান্টিক ঝগড়ার গল্প:

♠♥♠ #মশারি ♠♥♠

♣♣ পর্ব : ৭

গল্পকার : #গল্প বুড়ি তিলোত্তমা
!
!
!
!
ফোনটা রাখতেই দেখি সাহিল ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসেছে। সাদা টাউজার পরা আর খালি গায়। গলায় তোয়ালে ঝুলানো। সে মাথায় হাত দিয়ে চুল ঝাকাচ্ছে আর সেই চুলের পানি ছিটা আমার উপর পড়ছে । হঠাৎ তার পিঠের দিকে আমার চোখ পরতেই, আমি আমার জিহ্বায় কামড় দিলাম…….
!
ওনার পিঠের কয়েক জায়গায় আচড় লেগে আছে। হয়তবা, আজ যখন আমাকে তেলাপোকাঁর কথা বলে ভয় দেখাচ্ছিল তখনি লেগেছে। কারন আমি ভয় পেয়ে তার পিঠ এমন ভাবে খামচে ধরেছি যে,আর তখনি আমার চুড়ি আর আংটির আচড় লেগেছে।
!
( আপনারা আবার অন্য কিছু ভাবেন নি তো, যে আমার নখের আচড় লেগেছে। আমি কিন্তু আমার হাতের নখ বড় রাখি না। কারন হাতের নখ বড় রাখলে ওযূ হয়না, বুঝছেন আপনারা )
!
যাক হবার হয়েছে, এ ব্যাপারে আমার কোন কিছু যায় আসে না। কারন আমার তো কোন দোষ নেই।
আরেক জন চোরের মত আয়নার ভিতর থেকে আমাকে দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে । এ লোকটা কেন যে এত হাসে বুঝতে পারি না। মনে মনে বলি,এত দাঁত কেলিয়ে হাসলে দুদিন পর সব দাঁত অকালেই পরে যাবে। আর এসব কথা ভেবে আমারও হাসি পাচ্ছে । মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি সময় সাড়ে ৭টা বেজে গিয়েছে । এখন কি করি ? রুম থেকে বের হতে বড্ড দেরি করে ফেললাম। তাড়াতাড়ি করে রুম থেকে বের হব। তখনি কে যেন সাহিলকে ডাকলো, একটু দরকার আছে। সে যেন দ্রুত তার সাথে দেখা করে। এই কথা শুনে, আমার মাথা মোটা বরটা গলায় তোয়ালে নিয়েই বাহিরের দিকে যাচ্ছে । হায় আল্লহ ! আমি এখন কি করি? বাহিরে গেলে সবাই যদি দেখে ফেলে তখন কি হবে । তিলোত্তমারে তোর আর উপায় নাই । তোকে সাহিলকে গায়ে কাপড় ছাড়া বের হতে দেওয়া যাবে না। গেলে তুই তো শেষ ।
এখন আমার অবস্থা সাকের কোরাতের মত। যেদিকেই যাবো সে দিকেই বিপদ। এজন্যই তো গুরুজনেরা বলে

যদি বলি, থাকেনা মান
আর
না বলিলে কাটা যায় দুই কান…..
!
কান কাটা যাওয়া চেয়ে বরং বলেই ফেলি । আমি বলতে বলতেই তিনি দরজার কাছে চলে গিয়েছে …
!
আমি : এই যে শুনুন আপনি কি এভাবেই বাহিরে যাবেন ?
!
!
সাহিল : আপনি কি আমাকে বলছেন ?
!
আমি : না আপনাকে বলবো কেন? আপনার ঘরের আসবাবপত্রকে বলছি।
!
সাহিল : ও আচ্ছা তাই । ঠিক আছে আপনি তাদের সাথে কথা বলেন। আমি একটু আসছি।
!
!
আমি : এই না না না….
আপনি যাবেন না ।
!
সাহিল : কেন ? কি হয়েছে?
any problem.
!
!
আমি : না মানে…… আপনি এভাবে বাহিরে যেতে পারেন না ।
!
!
সাহিল : কিন্তু কেন ? তা না বললে তো আমি যাবই। আর শোনেন মিসেস দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি যাবো আর আসবো।
!
!
আমি : না আপনি এভাবে গেলে আমার সমস্যা আছে।
!
!
সাহিল : কি সমস্যা এবার না বললে, আমি কিন্তু বেরিয়ে গেলাম।।
!
আমি : না মানে….
আপনার পিঠে যেন কি একটা, তাই আপনি এভাবে যেতে পারেন না । ( কথাটা এক নিঃশ্বাসে বললাম)
!
সাহিল কপাল কুঁচকে কি যেন একটা ভাবছে, আর তারপর বললো আমি এভাবেই যাবো । কারন আমি ভাল ভাবে গোসল করেছি, আমার শরীরে কোন কিছু থাকার কথা না। আচ্ছা তাহলে আমি যাই।
!
মিচকে শয়তান একটা । আমি জানি, সে কিছু না কিছু আন্দাজ করতে পেরেছে । তাই এমনটা করছে। ঠিক আছে কি আর করার,
কথায় আছে না,
হাতি যখন কাঁদায় পরে
চামচিকেতেও লাথি মারে….
!
!
আমি : আপনার পিঠে আমার রিং এর আচড় লেগেছে। তাই আপনি এভাবে যাবেন না প্লিজ ! দেখলে কে, কি না কি ভাববে তাই। ( নীরহ মুখ করে)
!
!
সাহিল : ও…….
এই কথা। ঠিক আছে। তবে একটা শর্ত আছে। আমার শর্ত মানলে, আপনার কথা শুনবো,আর না হয়,এভাবেই যাবো ।
!
!
আমি : শর্ত বলেন। আমি শুনছি…
!
সাহিল : আমাকে পারমিশন দিতে হবে।
!
আমি : আপনি কি করবেন, তার পারমিশন আমি দিতে যাবো কেন বলিন তো। যান পারমিশন দিলাম।আর হ্যা আগে আপনি টি শার্টটা পড়ুন।
!
এ কথা শুনে সাহিল টি শার্ট পরতে পরতে আমাকে টেনে আয়নার সামনে দাড়া করালো। আর ও আমার ঠিক পিছনে দাড়িয়ে আছে। এই প্রথম দুজন দুজনকে এভাবে দেখছি, তা আবার আয়নার সামনে। আয়নার দিকে একবার তাকাতেই, লজ্জায় আমার মুখ লাল হয়ে গেল। কারণ প্রায় খালি গায়ে একটা ছেলে, তাও আবার আমার এতটা কাছে । আমি দেখছি ওর সুন্দর বডি ফিগার, ফর্সা গায়ের রং, বুকের কিছুটা জায়গা জুড়ে লোমে ভর্তি । এসব দেখে লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি চোখ বন্ধ করে নিলাম ।
সাহিল আস্তে আস্তে আমার কাঁধে ওর থুতনিটা রাখলো আর ওর খোঁচা খোঁচা দাড়িগুলো আমার চামড়াতে লাগছিল। আর ওর নিঃশ্বাসের বাতাসটা আমার গলায় ছুঁয়ে যাচ্ছিল ।
এ অবস্থায় আমি কেঁপে উঠলাম । আর বললাম…..
!
আমি : আ…..প….নি…
কি….. কর…
তে… চাইছেন। ( তোতলিয়ে)
!
সাহিল : কেন ? কি করছি আবার। আমার বউটাকে একটু আদর করতে চাইছি। আর ঠোঁট দিয়ে দেখতে চাইছি বউটা আমার কতটা মিষ্টি। শুধু কি নামেই মিষ্টি নাকি গুণেও মিষ্টি ….
!
এই বলে সাহিল আমাকে ঘুরিয়ে ওর সামনা সামনি দাড়া করালো। আর ওর ঠোঁট দুটো আমার ঠোঁটের কাছাকাছি এনে ছুঁয়ে দিতেই….
!
!
!
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here