অবশেষে ভালোবাসি❤পার্টঃ৬ +৭

অবশেষে ভালোবাসি❤পার্টঃ৬ +৭
#writer:রোদেলা❤

নাদিয়ার বিদায় হয়ে গেছে কিছুক্ষন আগে।এখন যার যার মতো শোয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।সারাদিনের ধকলে এবার সবাই ক্লান্ত।কাল রিসেপশন অনেক কাজ।রিয়াদও রুমে যাচ্ছিলো,,,,
অদিতিঃ ও,,,হ্যালো,,,shy boy
রিয়াদঃ excuse me,,,, আমি মোটেও shy boy নই ওকে??
অদিতিঃ তা নয় তো কি?আমাকে দেখেই তো লজ্জায় দৌড়ে পালান,,,
রিয়াদঃ আপনাকে দেখে লজ্জা পাওয়ার কি আছে?আজিব!
অদিতিঃ দেট মিনস্ লজ্জা পান না?
রিয়াদঃ জি না
অদিতিঃ ওকে,,,দেন প্রুভ করেন(দুষ্টুমি হাসি দিয়ে)
রিয়াদঃকিভাবে?(ব্রু কুচঁকে)
অদিতিঃ ভয় পাওয়ার কিছু নেই,,,, তেমন কিছু বলবো না।।শুধু আমাকে আইসক্রিম খেতে নিয়ে যেতে হবে।।।
রিয়াদঃ এখন??(অবাক হয়ে)
অদিতিঃ জি,,এখন।
রিয়াদঃ Are u mad?জানেন কয়টা বাজে?দেখুন আমি এখন ঘুমাবো,, আপনার মতো ফালতু টাইম নাই,,সরেন।।
অদিতিঃ এইতো প্রভ হয়ে গেলো যে আপনি shy boy…..
রিয়াদঃ আইসক্রিমের সাথে shy boy এর কোনো কানেকশন আছে বলে আমার মনে হয় না।।
অদিতিঃঅবশ্যয় আছে।।
রিয়াদঃ থাকলে থাকুক,,,, মিস অদিতি এখন ঘুমানোর টাইম,, আইসক্রিম খাওয়ার টাইম নয় ওকে?তাছাড়া আমার প্রচুর ঘুম পাচ্ছে আপনার ফালতু কথা শেষ হলে যেতে পারেন,,,,
অদিতিঃ কিন্তু আমার তো ঘুম আসছে না।।(মুখ কালো করে)
রিয়াদঃতো,,আমি কি করবো???আপনাকে ঘুম পাড়ানি গান শুনাবো?(বিরক্ত হয়ে)
অদিতিঃনট বেড,,,শুনাতে পারেন,,,আই ডোন্ট মাইন্ড(দাঁত কেলিয়ে)
রিয়াদঃ উফফফ্,,,, আপনি যান তো,,,গিয়ে ঘুমোন প্লিজ আর আমাকেও ঘুমোতে দেন।।।
অদিতিঃ দেখুন এখন ঘুম আসবে না,,,সাদিয়া এখনো ফুপিয়ে কাদঁছে সো ঘুম আসা ইম্পসিবল।
“সাদিয়া এখনো কাদঁছে” কথাটা শুনেই রিয়াদের বুকে মোচড় দিয়ে ওঠলো।।।তিন ঘন্টা হলো নাদিয়া চলে গেছে আর সাদিয়া এখনো কাদঁছে ব্যাপারটা রিয়াদের মোটেও ভালো লাগলো না,
রিয়াদঃ আচ্ছা,,ঠিক আছে। চলুন আইসক্রিম খাওয়াবো কিন্তু একটা শর্তে।
অদিতিঃ কি শর্ত?(ব্রু কুচঁকে)
রিয়াদঃ সাদিয়াকে ডেকে আনুন একসাথে যাবো।
অদিতিঃ সাদিয়া? কিন্তু,,,,
রিয়াদঃ কোনো কিন্তু নয়,,,,সাদিয়াকে নিয়ে আসার দায়িত্ব আপনার।।
অদিতি কিছু না বলে মুখ কালো করে চলে গেলো।দশ মিনিট পর সাদিয়াকে একপ্রকার টেনেই রিয়াদের সামনে দাঁড় করালো।।।রিয়াদ পোন গুতাচ্ছিল সাদিয়া দাড়াঁতেই চোখ তুলে তাঁকালো,,,সাদিয়া অফ হোয়াইট কামিজের সাথে নীল প্লাজু আর ওড়না পড়েছে।।চোখ দুটো ফুলে আছে।।কান্নার কারণে ঠোঁটগুলো কেঁপে কেঁপে ওঠছে বার বার।।চুলগুলো এলোমেলো,,,মুখটা কালো হয়ে আছে তবুও চাদের আলোতে অপূর্ব লাগছে মেয়েটাকে।।।
রিয়াদঃ চলো যাওয়া যাক?
অদিতিঃ হুম চলো।।
সাদিয়াঃ আমার একটা শর্ত আছে।
রিয়াদঃকি?
অদিতিঃউফফফ্ আজকে তোদের শর্ত মানতে মানতেই জীবন শেষ(বিরক্ত হয়ে)
রিয়াদঃ অদিতি প্লিজ।।।কি শর্ত?
সাদিয়াঃ কোনো আইসক্রিম পার্লারে যাবো না,,রাস্তায় দাঁড়িয়ে আইসক্রিম খাবো আর জ্যোৎস্না বিলাস করবো।।আজকের চাঁদটা কি অদ্ভুত সুন্দর।।
সাদিয়া চাদের দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ দৃষ্টিতে।।তার চেয়েও মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে আছে রিয়াদ কিন্তু সেই দৃষ্টি চাঁদ নয় অদিতির মাঝেই ঘুরে বেড়াচ্ছে অনবরত।।কি অদ্ভূত নেশা।।।।রিয়াদ যেন নেশায় পড়ে যাচ্ছে।।।আরেকটা নেশা ভরা দৃষ্টি টলমলে চোখে রিয়াদকে দেখছে।। এই দৃষ্টিতে কিছু পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। ফাহিম ওইদিক দিয়ে যাচ্ছিলো।
সাদিয়াঃ এই বাম হাত,,,(ফাহিম ফিরে তাকাতেই)এই অদিতি,, দেখ না আমার বাম হাতটাই কি জানো লেগেছে বুঝতে পারছি না(ড্রমা করে)
অদিতি ও রিয়াদ মুখ টিপে হাসছে।ফাহিম মন খারাপ করে সাদিয়ার সামনে দাঁড়ালো।
ফাহিমঃ সাদিয়া এটা তো ঠিক না।তুমি ওলয়েজ আমার সাথে মজা করো(মুখ কালো করে)
সাদিয়াঃ কি বলছেন ভাইয়া??আমি আর মজা??(ইনোসেন্ট মার্কা ফেস করে)
সাদিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে সরি,,,, আমরা জ্যোৎস্না বিলাসে যাচ্ছি উইথ আইসক্রিম,,, চলুন আমাদের সাথে।।
ফাহিমঃ এতো রাতে??
অদিতিঃ না,, চাঁদ তো দুপুরে ওঠে,,,তখনই যাবো।।
সাদিয়াঃ আরে ভাইয়া চলুন তো,,, আপনার হলুদ পাঞ্জাবীতে হিমু হিমু ফিল আসবে।।।আর অদিতি কি সুন্দর নীল শাড়ি পড়ে রূপা সেঁজে আছে।।হিমু- রূপার একসাথে জ্যোৎস্না বিলাস,,,ক্যাপশন টা কি জটিল।।।চলুন তো,, (অদিতি রেগে সাদিয়ার পেটে আস্তে করে কুনই মারলো)
ফাহিমঃ তুমি রূপা হলে আমি হিমু হতে রাজি আছি।।
সাদিয়াঃ আমি রূপা হলে,,সাদিয়া কে হবে??আচ্ছা চলুন হাঁটতে হাঁটতে ভেবে দেখি রূপা হওয়া যায় কি না,,,রিয়াদ তোমার ক্যামেরাটা সাথে নাও ছবি তুলবো
অদিতি,রিয়াদ,সাদিয়া রাস্তায় দাড়িয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে।।ফাহিমেরটনসিলের প্রব্লেম বলে সে খাচ্ছে না,,,, অনবরত ছবি তুলছে।।।এই আলোতে নাকি ছবিগুলো মারাত্মক সুন্দর আসছে।।
ফাহিমঃ পরিবেশটা রোমান্টিক তাই ছবিগুলোতেও রোমান্টিকতার ছাপ পড়েছে।।।
সাদিয়াঃ তাই??তাহলে তুলুন একটা ছবি # রোমান্স উইথ আইসক্রিম,,,, হি হি হি হি হি
ফাহিমও হেসে দিয়ে ওদের তিন জনের ছবি তুলতে লাগলো।।।রিয়াদ মাঝখানে আর দুপাশে দুজন।।হঠাৎ রিয়াদ অদিতির হাত ধরে হেঁচকা টানে একদম নিজের কাছে নিয়ে এলো,,,আবার সাথে সাথেই ছেড়ে দিলো।।অদিতি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,,,,
সাদিয়াঃঅদিতি,,,তুই কি পাগল?এভাবে রাস্তার মাঝে কেউ দাঁড়ায়?এখনি তো গাড়িটা তোর ওপরপ তুলে দিতো।।রিয়াদ সরিয়ে না নিলে কি হতো বুঝতে পারছিস?
অদিতি এতোক্ষনে বুঝতে পারলো রিয়াদ এমন বিহেভ কেন করলো।
অদিতিঃ এমন মোমেন্ট ক্রিয়েট করতে আমি গাড়ির নিচে যেতেও রাজি(মনে মনে)।।সরি,, আসলে খেয়াল ছিলো না।।।
ফাহিমঃ আচ্ছা ঠিক আছে।।।এবার তো চলো।।২টা বাজতে চলেছে।। আমি অনেক টায়ার্ড।।
সাদিয়াঃ আমিও।। আমার পক্ষে আর হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়।।
রিয়াদঃ হাঁটা ছাড়া উপায় নাই।। এতো রাতে রিক্সা পাওয়া যাবে না।।।
সাদিয়া ঃ ওহ্ নো।
কিছুক্ষন হাটার পরই একটি রিক্সার দেখা মিললো।।সাদিয়া উঠে বসলো।।অদিতি হেঁটেই যাবে ওর রিক্সায় যেতে ইচ্ছা করছে না।।।তাই সুযোগ পেয়ে ফাহিমই ওঠে বসলো।।।রিয়াদ আর অদিতি রয়ে গেলো।।।দুজন পাশাপাশি হাঁটছে।।।রিয়াদের এখন আর ততোটা অস্বস্থি লাগছে না।।অদিতির সাথে অনেকটাই মিশে গেছে।।
অদিতিঃ রিয়াদ??
রিয়াদঃ হুম?
অদিতিঃ আই লাভ ইউ,,,
রিয়াদ থমকে দাঁড়ালো,,,সে প্রচুর অবাক হয়েছে।।। অদিতি কি বলছে এসব।।।
# চলবে


·
#অবশেষে ভালোবাসি❤
#writer: রোদেলা❤
#পার্টঃ৭
রিয়াদঃসরি?কি বললেন?
অদিতিঃযা শুনেছো তাই বলেছি।আর আপনি আপনি করবেন না।।তুমি করে বলো,,,আমি তোমার হবু বউ।।।এবার যা বলার বলতে পারো,,,
রিয়াদঃকি বলছেন এইসব?আপনি কি…..
অদিতিঃ(কথা শেষ করতে না দিয়ে)তুমি বলতে বলেছি(চোখ রাঙিয়ে)
রিয়াদঃদেখুন,,,,,না মানে,,,দেখো,,,,আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারবো না,,ইট’স ইম্পসিবল।।সো এসব ফালতু বিষয় মাথা থেকে ঝেরে ফেলো।।
অদিতিঃ(মনোযোগ দিয়ে শুনে)বুঝলাম,,,কিন্তু কেনো??একটা লজিক্যাল রিজন দেখান।।
রিয়াদঃআমি বাধ্য নয়।।
অদিতিঃঅবশ্যই আপনি বাধ্য,,,একটা মেয়ে আপনাকে ভালোবাসে,,,আপনিমেয়েটাকে তো উইথআউট রিজন রিফিউজ করতে পারেন না,,,,আমার জানা মতে আপনার কোনো জিএফ নেই,,,তাহলে প্রবলেম কি??নাকি কারো জন্য ওয়েট করছেন?
রিয়াদঃ সত্যি তো,,,আমি কি সাদিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি??কিন্তু কেনো??আমি জানি সাদিয়া আমাকে কখনো মেনে নিবে না,,,,ও কখনো ফিরবে না।।।তবে কেনো??(মনে মনে)
অদিতিঃকি হলো?কিছু বলছেন না যে??কারে জন্য ওয়েট করছেনন?
রিয়াদঃ আমি এই বিষয় নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।।
অদিতিঃ ওকে,,,,এজ ইউর উইশ,,,বাট তোমার বউতো আমিই হবো,,,at any cost… so এইটা মাথায় ঢুকায় নাও।।
রিয়াদ অদিতির এই রূপ দেখে অবাকই হলো।।।ফুল কনফিডেন্সে কেমন সোজাসাপ্টা কথা বলে গেলো,,,, রিয়াদ তো পুরোই হা।।।
★ ★ ★
রিসেপশনটা বেশ ধুম করেই কেটে গেলো।।সবাই মিলে চুটিয়ে মজা করেছে আজ।।।কাল একে একে সবাই চলে যাবে,,,,অনেকে অলরেডি চলেও গেছে।।।তাই লাস্টবারের মতো টাইম স্পেন্ট আর জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার জন্য সবাই ছাদে গোল হয়ে বসেছে।।সবাই মিলে বিয়ের ছবিগুলো দেখছে।
সাদিয়াঃ কিরে অদিতি কাহিনী কি??(দুষ্টুমি হাসি দিয়ে)
অদিতিঃ কিসের কাহিনী?
সাদিয়াঃ এইযে,,,ছবিগুলো দেখ,,যেখানে রিয়াদ সেখানে তুই।।। প্রতিটা ছবিতেই তাই,,,,কিরে??প্রেমে টেমে পড়ছিস নাকি??
সাদিয়া কথাটা বলেই হাসতে লাগলো।।অদিতি লজ্জা পেলেও প্রকাশ করলো না রাগী চোখে তাকালো।।।রিয়াদের খারাপ লাগলো,,,সাদিয়ার মনে যে ওর জন্য কোনো ফিলিংস নাই তার প্রমান পেল,,,অদিতি আর ওর মাঝে কিছু হলে যে সাদিয়ার কোনো যায়-আসবে না তা স্পষ্ট।।।বরং আরো খুশিই হবে,,,ফ্রিতে লাফালাফি করার সুযোগ পাবে।।রিয়াদ মুখটা কালো করে উঠে গেলো।।
সাদিয়াঃআরে,,আরে,,,রিয়াদ কই যাও??লজ্জা পাওয়ার কি আছে??হি হি হি হি হি
অদিতিঃছবিগুলোতে তো ফাহিম ভাইয়াও তোর পাশে পাশে তার মানে কি ফাহিম ভাইয়া প্রেমে পড়েছে নাকি??(মুখ বাকিয়ে)
ফাহিমঃ তা তো অনেক আগেই পড়েছি।।
সাদিয়া আর অদিতি যেনো আকাশ থেকে পড়লো।।।এমন কোনো কথা শুনার জন্য তারা মোটেই প্রস্তুত ছিলো না।।।কিছুক্ষন দুজনেই চুপচাপ থাকলো,,,,
সাদিয়াঃতাই???তো কিভাবে পড়লেন??পা পিঁছলে??হি হি হি হি।।
অদিতিও হেসে দিলো।।ফাহিমের মনটা খারাপ হয়ে গেলো,,,সে মুখ কালো করে বসে রইলো।।।সাদিয়ার সিরিয়াস বিষয়েগুলো নিয়েও মজা করাটা ফাহিমের মোটেও ভালো লাগে না।।।
★ ★ ★
রিয়াদঃহ্যালো
অদিতিঃ তুমি কই?
রিয়াদঃ আমি কই মানে?এই টাইমে অবিয়েসলি বাসায়ই থাকবো।।আজাইরা
অদিতিঃ ওই আজাইরা বলবা না,,,,তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হও।।
রিয়াদঃ বের হবো মানে? কই যাবো?(অবাক হয়ে)
অদিতিঃ তুমি কফি শপে আসবা আমি ওয়েট করছি।।ফাস্ট
রিয়াদঃ হোয়াট রাবিশ,,,আমি কোথাও যাচ্ছি না(বিরক্ত হয়ে)
অদিতিঃ আসবা না তো?
রিয়াদঃ না,,
অদিতিঃ ওকে,,তোমার আসতে হবে না আমিই তোমার বাসায় চলে আসছি।।।তারপর আমার শাশুড়ি মার সাথে জমিয়ে গল্প করবো।।।আমাদের প্রেমের উপন্যাস শুনাবো,,ছবিগুলো দেখাবো এবং ডেসক্রিপশনও দিবো।।।অবিয়েসলি আমার নিজের মতো করে(দুষ্টুমি হাসি দিয়ে)
রিয়াদঃ তুমি তো খুব অসহ্য একটা মেয়ে।।।ফেক ছবি নিয়ে আমাকে ব্লেইকমেইল করছো।।কোনো যে সেদিন তোমাকে গাড়ির সামনে থেকে সরিয়েছিলাম,,,আর ফাহিম ভাইয়াও একটা বলদ,,,ওলয়েজ রং টাইমে পিক তুলে,,,অসহ্য।
অদিতিঃ তুমি আসছো?নাকি আমি যাবো?
রিয়াদঃ হয়ছে,,,আমিই আসছি।। যত্তোসব
অদিতিঃso sweet babu…. উম্মমমমমাহহহ্
রিয়াদঃJust shut up……
নাদিয়ার বিয়ের পর ১মাস কেটে গেছে।।অদিতি আর রিয়াদ এখন মাঝে মাঝেই ঘুরতে বের হয়।।।যদিও অদিতির চাপে তবুও রিয়াদের খারাপ লাগে না।।।সেইদিন রাতের incident এর সময় ফাহিম ভুলে ওদের কিছু ক্লোজ পিক তুলে নেয়।।ওইগুলো নিয়েই অদিতির যতো ব্লেইকমেইল।।।রিয়াদ এখন এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছে,,,ভালোই লাগে তার।। রিয়াদ রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ে।।কফি শপে গিয়ে দেখে অদিতি বসে আছে।। নীল শাড়িতে মেয়েটাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।।।রিয়াদ অদিতিকে আগে কখনো সেভাবে খেয়াল করে নি।কিন্তু আজ যতো দেখছে ততোই অবাক হচ্ছে।।।মেয়েটা রূপবতী,,,,, আসলে ভালোই রূপবতী।।এমন রূপবতী মেয়েদের দেখেই প্রেমে পড়ে যেতে হয় এটাই নিয়ম।।রিয়াদও হয়তো প্রেমে পড়েছিল,,নিজের অজান্তে,,, খুব গোপনে।।।
অদিতিঃ কি হলো?বসো
রিয়াদঃ হুম,,তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে(মুচকি হেসে)
অদিতিঃ এতোগুলো দিনে আজকেই প্রথম তোমার চোখে ধরা পড়েছি,,,শুনে খুশি হলাম।।এনিওয়ে থ্যাংক্স
রিয়াদঃ (মুচকি হাসলো শুধু)
অদিতিঃরিয়াদ?
রিয়াদঃ হুম?
অদিতিঃ তোমার হাতটা একটু ধরতে দিবে??খুব ইচ্ছা করছে তোমার হাতে হাত রাখতে।।প্লিজ,,,,
রিয়াদঃ দিবা,,,কিন্তু একটা শর্তে।।
অদিতিঃ কি শর্ত?
রিয়াদঃ হাতটা সারাজীবন ধরে রাখতে হবে,,,,ছাড়তে পারবে না কিছুতেই।
অদিতি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলো না।।নিজের অজান্তেই চোখ থেকে টপটপ করে দুইফোটা জল পড়ে গেলো।।।আজ অদিতি অনেক খুশি,,,রিয়াদ অবশেষে ভালবাসি বলেছে।।।এই সুখটা সে খুব গোপনে সাজিয়ে রাখতে চায়,, সবার চোখের আড়ালে।।
রিয়াদঃ কি হলো?পারবে না??ছেড়ে দিবে না তো?
অদিতিঃ তুমি চাইলেও না(হাতটা চেপে ধরলো শক্ত করে,,,যেনো সব প্রতিকূলতা থেকে রক্ষার চেষ্টা)
এভাবেই শুরু হলো দুটো জীবনের নতুন পথ চলা।।অদিতি রিয়াদকে খুব ভালোবাসে,, রিয়াদও তা জানে কিন্তু তবুও বুকের মাঝে শূন্যতা।।।বুকেরকোনো একটা জায়গায় এখনো কে যেনো কড়া নাড়ছে খুন তীব্রভাবে। অদিতির হাতে হাত রেখেও রিয়াদের হাতটা কেনো জানি খুব শূন্য বলে মনে হয়।।রিয়াদ একটা কুঁড়েঘরের পিছে ছুটতে ছুটতে অট্টালিকায় ঠাঁয় পেয়েও বুকের ভেতর গভীর মমতা,কষ্ট,না পাওয়ার তীক্ষ্ণ যন্ত্রনা যেন কুড়েঘরটার কথায় মনে করিয়ে দিচ্ছে বার বার।।।কি হবে এর শেষ পরিণাম?
★ ★ ★
রিয়াদের ফোনটা বেজেই চলেছে।।।রিয়াদের দৃষ্টিও ফোনের ওপর,,,,ফোনটা তোলার প্রবল ইচ্ছা থাকা স্বত্তেও রিয়াদ তুলছে না।।ফোনের আওয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে রিয়াদের হৃৎপিন্ডের গতি।।ফোনটা অনবরত বেজেই চলেছে,,,কাঁপা হাতে অবশেষে ফোনটা তুলে নিলো রিয়াদ,,,,,
#চলবে
·

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here