#আয়নামতী
#পর্ব_২৫
#পুষ্পিতা_প্রিমা
বিয়ের দুইদিনের মাথায় আয়ান, নামিরা আর রূপা এসে দেখে গেল আয়নাকে। আয়শা বেগম আর আজহার সাহেব দাওয়াত করা ছাড়া আসবে না। মানসম্মানের একটা ব্যাপার আছে। আয়না সায়ান আর রূপাকে দেখে দারুণ খুশি হলো। সায়ান তো সেই কোলে ঝাপ দিল ফুপীকে দেখে, আর কারো দিকে তাকায় ও না। গালে গাল লাগিয়ে চুপটি করে আয়নার কোলে বসে থাকে। নামিরা বলল
‘ এই ছেলে তো তোমাকেই বেশি ভালোবাসে আয়না। দেখো আমাদের দিকে তাকাচ্ছে ও না।
আয়না আর ও শক্ত করে গালটা লাগিয়ে রাখলো। বলল
‘ এটা তো আমার আব্বা। আব্বা মেয়েকে একটু বেশি ভালোবাসবে না?
খিকখিক করে হাসলো সায়ান। আয়ান বলল
‘ দেখ কিভাবে হাসে, মনে হচ্ছে সে আমাদের কথা কতকিছু বুঝে ফেলেছে।
রূপা বলল
‘ পাকনা বুড়ো।
সায়ান ডাক দিল জোরে,
‘ পাহহহ!
রূপা বলল
‘ ওরেবাবা, ভয় পাইছি।
সবাই হেসে কুটিকুটি হলো তার কান্ড দেখে।
আয়না দুইদিনের মাথায় বাড়িতে চলে গেল। অনুরাগ দুইদিন না যেতেই নিয়ে আসলো। আয়না তো ভীষণ ক্ষেপে গেল। অনুরাগ বলল
‘ আমার ভার্সিটি থেকে কলিগরা আসবে। স্যারেরা ও আসবে। সেজন্যই নিয়ে আসা। ওনাদের সামনে ভালো করে কথা বলবে।
আয়না বলল
‘ আমি কারো সামনে যেতে পারব না। কথা ও বলতে পারব না। ওসব আমি কেন করব? লোক দেখানো রংঢং করত পারব না আমি। আপনি আশা ছেড়ে দিন।
অনুরাগ বলল
‘ কিন্তু আমি তো ওনাদেরকে আসতে বলেছি। ওনারা আসছেন।
আয়না মুখের না বলে দিল। অনুরাগ মহাচিন্তায় পড়ে গেল।
অনুরাগের কলিগরা আসার পর খাওয়া দাওয়া কথাবার্তা অনেক চললো।
আনহিতাকে বারবার অনুরাগ ইশারায় বলছে আয়নাকে একবার যেন রাজি করায়। গিয়াসউদ্দিন সেলিম অনুরাগের অনেক সিনিয়র। বেশ স্নেহ করে অনুরাগকে। তিনি বললেন
‘ আমাদের সাথে মিসেসের আলাপ করিয়ে দাও অনুরাগ।
অনুরাগ কান চুলকালো। আনহিতার দিকে তাকালো বারবার। অনিমা মুখ মোচড়ে চলে গেল। ওই মেয়ের এত ঢং দেখলে গা জ্বলে তার। বিরক্ত লাগে।
আনহিতা কাজের বুয়ার সাহায্যে আয়নার ঘরের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। দেখলো ভেতর থেকে দরজাটা বন্ধ। আনহিতা হতাশ হলো পরপর কয়েকবার ডেকে। বসার ঘরের দিকে যেতেই অনুরাগ এসে বলল
‘ আসবে না?
আনহিতা মাথা নামিয়ে ফেলে বলল
‘ দরজা তো বন্ধ। ওনাদের বলো ও কারো সামনে যেতে চায় না। অনুরাগ বলল
‘ এভাবে বলা যায় নাকি মা? বিয়ে উপলক্ষেই তো ওনারা এখানে এসেছেন।
আনহিতা বলল
‘ আমি অনেক ডেকেছি।
অনুরাগ বলল
‘ আমি একবার ডেকে দেখি।
আনহিতা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
দু তিনবার দরজায় টোকা দিতেই দরজা খুললো আয়না। খোলা চুল, কাঁধ থেকে শাড়ির আঁচলটা সরানো। গায়ের অর্ধেকাংশ উন্মুক্ত। শাড়িটা কোনোমতে পেঁচিয়েছে।
চট করে ঘুরে দাঁড়ালো অনুরাগ। আয়না ঠেস গলায় বলল,
‘ এসব দেখার জন্য তর সইছে না? ফিরে গেলেন কেন? ভালো করে দেখুন।
কান জ্বলে উঠলো অনুরাগের।
‘ তাড়াতাড়ি এসো।
বলেই চলে গেল অনুরাগ। আয়না ধপ করে আওয়াজ সমেত দরজা বন্ধ করলো।
অনুরাগকে ফিরে আসতে দেখে আনহিতা বলল
‘ আসছে।
‘ হ্যা।
আনহিতা বড় করে শ্বাস ফেলল। যাক শান্তি!
খয়েরী রঙের শাড়ি আর একটি কালো ওড়না গায়ে জড়িয়েছে আয়না। ওড়নাটার উপর চকচকে সোনালি রঙের ফুলের কাজ করা। বেশ পুরু দেখতে।
আনহিতা তাকে বেরোতে দেখে বেশ খুশি হলো। শায়লা বেগম সহ লুকিয়ে দেখতে দেখতে বলল
‘ রাণীমা হাজির।
আনহিতা খিক করে হেসে উঠলো।
_____________
গম্ভীর সম্ভীর আর তেজীয়ান মুখখানা হাসিখুশি দেখালো যখন গিয়াসউদ্দিন সেলিম আর বাকিদের সাথে আয়নার কথাবার্তা চলছিল। বেশ হাস্যরসাত্মক কথাবার্তা চলছিল। অনুরাগকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলল
‘ আরেহ দাঁড়িয়ে আছ কেন অনুরাগ। বসে পড়ো। দেখি দুজনকে কেমন মানিয়েছে।
আয়নার মুখে তখুনি অন্ধকার নেমে পড়লো। অনুরাগের তা খেয়াল হতেই সে বলে উঠলো
‘ আছি তো এখানেই। আপনারা কথা বলুন আমি আসছি।
গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলল
‘ মিসেস চৌধুরীরকে নিয়ে শহরে উঠো। এখান থেকে যাতায়াত করতে তোমার তো অসুবিধা। রাজনীতির কি অবস্থা? তোমার মতো একজন আদর্শ শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় মানায় অনুরাগ। রাজনীতির মাঠে তোমাকে দেখে আমি তো রীতিমতো শিহরিত। এমনটা কখনো ভাবিনি।
আয়না মাথা নামিয়ে বসে রইলো। অনুরাগ বলল
‘ মামাদের ইচ্ছে ছিল আর বাবার ও। আমার ওই বাঁধাধরা জীবন ভালো লাগছেনা। তাই ব্যতিক্রম কিছু করার ইচ্ছে জাগলো।
‘ তাহলে তো তোমাকে চাকরি ছাড়তেই হবে।
অনুরাগ বলল
‘ হ্যা, লেটার দিয়েছি। কোনো খবর নেই।
‘ তোমার মিসেস কি বলে? সে খুশি?
অনুরাগ তাকালো আয়নার দিকে। বলল
‘ হ্যা হ্যা খুব।
‘ তাহলে তো ঠিক আছে। ভালো কিছু করো। অনেক বড় হও। সাবধানে ও থেকো।
অনুরাগ মাথা ঝাঁকালো।
সবাই চলে যাওয়ার সময় আয়নাকে অনেক উপহার সামগ্রী দিল। গিয়াসউদ্দিন সেলিম আয়নাকে চুপিসারে বলল
‘ অনুরাগ কিন্তু আমার ছেলের মতো। সেই হিসেবে তুমি আমার ছেলের বউ। দারুণ লেগেছে আমার ছেলেবউ হিসেবে। ভালো থেকো।
আয়না মিষ্টি করে হাসলো ভেতরে তিক্ততা পুষে রেখে। বলল
‘ আবার আসবেন।
_______________
হাতের মেহেদী তাড়াতাড়ি চলে না যাওয়ার জন্য রান্নাঘরে পা রাখতে দিল না কেউ আয়নাকে। আয়না কারো কথা শুনলো না। নিজেই রান্নাঘরে চলে গেল। সে শুধু শুধু ঘাড়ে বসে খেতে পছন্দ করেনা। আম্মা তাকে আসার সময় পইপই করে বলেছে কাজ দেখে হাত গুটিয়ে বসে থাকবি না৷ রান্না না করলে ও রান্নার কাজে সাহায্য করবি। কাজের বুয়া দুজন জমিলা আর চামেলি । আয়নাকে সন্ধ্যায় রান্নাঘরে দেখে জমিলা বলল
‘ বৌরাণী আপনারে রান্নাঘরে আসতে বারণ কইরা দিছে দাদীসাহেবা।
আয়না বলল
‘ কেন?
‘ হাতের মেহেদী নষ্ট হইবো তাই।
‘ নষ্ট হবে না। কি রান্না হবে রাতের জন্য ?
চামেলি বলল
‘ বড়মা মাছ রান্না করতে বলছে। ছুড চাহেবের লগে বেয়ুন ভাজা, চিংড়ি আর ডাল। চে আবার ঝাল পছন্দ করেনা। মাংচ খায় না। মিডা মিডা কইরা রান্না করা লাগে।
মাংচ রান্না করা আছে। তাই আর রান্না করতে হইবো না। বুড়ির লগে শুঁটকি ভর্তা করা লাগবো। একেকজনের একেক ঢং এই বাড়িত। কামের চেছ ( শেষ) নাই।
আয়না হেসে বলল
‘ আপনি স এর জায়গায় চ বলেন কেন?
জমিলা তার মাথায় টোকা মেরে বলল
‘ বেয়াদব বেডিরে আমি কতবার কয়, হুনেনা।
চামেলি মাথা ঢলে বলল
‘ তুমি আমার লগে চবচময় ওরকম করো কিল্লাই? আমি ছুড চাহেবরে বিচার দিমু। তিনিই তো আমারে রাখছে।
আয়না বলল
‘ ঝগড়া করছেন কেন? কাজে মনোযোগ দিন।
চামেলি বলল
‘ আমি চেটা কই, চে ছুনতে চাই না। চবচময় খালি মারে।
আয়না আবার ও হেসে ফেলল। তরকারির সেল্প থেকে বেগুন নিয়ে বলল
‘ আজ ঝাল ঝাল বেগুন ভাজা হবে। আমি করব।
জমিলা আর চামেলি চোখ পাকিয়ে তাকালো। আয়না বলল
‘ আপনারা তো খুব ফাঁকিবাজ। হা করে কি দেখছেন?
চামেলি বলল
‘ ছুড চাহেব ঝাল খাইতে পারেনা বৌরাণি।
‘ খাওয়া শিখবে। সমস্যা কি?
‘ কুনো চমচ্যা নাই।
আয়নাকে রান্নাঘরে দেখে খানিকটা অবাক হলো আনহিতা। অনিমা নাকতুলে বলল
‘ বাহবা অনুরাগ চৌধুরীর বউ তো একেবারে রান্নাঘর দখল করতে চলে এসেছেন।
অনুরাগ বাইরে থেকে এসে জিজ্ঞেস করলো
‘ কি হয়েছে?
অনিমা বলল
‘ আপনার বউ রান্না করছে, দেখছেন না সুগন্ধে মৌ মৌ করছে।
অনুরাগ কিছু না বলে চলে গেল। রুমের দিকে পা বাড়ানোর আগে চামেলি এসে বলল
‘ চাহেব আপনার লগে কথা আছে।
অনুরাগ বলল
‘ কি হয়েছে আবার?
‘ আপনি রাতের খাবারে বেয়ুন ভাজি খাইবেন না। বৌরাণি তো ঝাল মিচাই দিছে।
অনুরাগ বলল
‘ তোমার চচচ শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছি আমি। যাও এখন। দেখা যাবে।
বলেই রুমে ঢুকে গেল অনুরাগ। চামেলি মুখটা মোচড়ে বলল
‘ বাপরে বাপ ছালারে ভালা কথা কইছি, ছালা আমারে ধমকায়।
অনুরাগ ভেতর থেকে বলল
‘ কি বকবক করছ চামেলী আপা? কি সমস্যা তোমার?
চামেলী বলল
‘ কুনো চমচ্যা নাই।
খাওয়ার টেবিলে চামেলি অনুরাগকে ইশারা করে বলছে যাতে বেগুন ভাজা না খায়।
অনুরাগ চামেলির কথা তোয়াক্কা করলো না। কিন্তু ভয়ে থাকলো। সত্যি ঝাল দিয়েছে আয়নামতী?
আয়না খাবার বেড়ে দিল আনহিতা, অমি আর শায়লা বেগমকে। বাকিদের দিল না। চামেলি আর জমিলা অনিমা আর শায়খ চৌধুরীকে বেড়ে দিতে লাগলো। অমি বলল
‘ মামিমা খেতে বসো আমাদের সাথে। খাবে না?
আনহিতা বলল
‘ বউমা আমার পাশে এসে বসো।
অনিমা চোখ উল্টে তাকালো। খাওয়া শুরু করলো। আয়না আঁড়চোখে অনুরাগের দিকে তাকালো। বলল
‘ না আমি খাব না।
আনহিতা আর জোর করলো না। শায়লা বেগম বলল
‘ নাতবউ আমার নাতির কি লাগে দেখো।
অনুরাগ বলল
‘ না দরকার নেই।
আয়না নিজ থেকে এগিয়ে গেল। এক একটা বাড়িয়ে দিল। বেগুন ভাজা আর চিংড়ির তরকারি তুলে দিল। অনুরাগ বেগুন খেয়ে দেখলো কোনো ঝাল নেই। মনে মনে বেশ খুশি হলো।
কিন্তু চিংড়ির ঝোল মেখে মুখে দিয়ে খেতে খেতে মনে হলো গলা জ্বলে যাচ্ছে তার। চোখের কোণায় জল জমে গেছে। রক্তলাল দেখাচ্ছে। কপালে ঘাম ছুটে গেছে তার। টিস্যু দিয়ে কপাল মুছে পানি খেতেই আয়না বিড়বিড় করে বলল
‘ ঝাল বউ বিয়ে করেছেন, ঝাল রান্না তো খেতেই হবে।
আনহিতা তাকালো ছেলের দিকে। বুঝে গেল ঝাল লেগেছে। চিংড়ি নিয়ে খেতেই দেখলো অনেক ঝাল হয়েছে। যা অনুরাগের জন্য অনেক বেশি। জোরে চেঁচিয়ে চামেলি আর জমিলাকে ডাকলো আনহিতা। বলল
‘ চিংড়ি এত ঝাল হয়েছে কেন?
‘ চিংড়ি তো আমরা রান্না করিনাই বড়মা।
‘ তো কে রেঁধেছে?
‘ আজ তো সবকিছু বৌরাণি রাঁনছে।
আয়নার ভাবান্তর নেই। অনুরাগ চেয়ার ছেড়ে উঠলো না। চুপচাপ খেতে খেতে বলল
‘ ঝাল হয়নি মা। সব ঠিকঠাক আছে।
আনহিতা তাকালো আয়নার দিকে। আবার চোখ সরিয়ে নিল। অনিমা বলল
‘ এখন যদি ভুলটা জমিলা আর চামেলি করতো তাহলে তো তুই চেয়ার ছেড়ে উঠে যেতি ভাই।
অনুরাগ খাওয়া শেষ করে পানি খেয়ে উঠে গেল। বলল
‘ এখন ও তো উঠলাম। কথা না বলে চুপচাপ খা।
__________
নারকেল পাতার শলা দিয়ে বাঁধানো বেডঝাড়ু। জোরে জোরে আঘাত করে করে বেড ঝেড়ে নিল আয়না। বেডশিট বিছালো। তারপর ঘুমিয়ে পড়লো মশারি না টাঙিয়ে। ঘরে ও সে এই কাজটা করতো না। আম্মা বকে বকে করাতো। আজ ও করলো না। খুব একটা ভালো করলে বুঝা যাবে তার মাথার নিচে বালিশটা ভিজে উঠেছে অনেকটা। সবটা কেমন উলটপালট হয়ে গেল এক লহমায়।
অনুরাগ মশারি টাঙিয়ে দিল। দেখলো আয়না ঘুম। আয়নার শাড়ির আঁচলটা তার জায়গায় পড়ে আছে। তাই সে ধীরেসুস্থে শাড়ির আঁচলটা দিয়ে দিল তার গায়ে। আয়না চট করে ফিরে তাকালো। চোখের কোণা ভেজা। শাঁড়ির আচলটা সরিয়ে অনুরাগের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল
‘ নিন। এভাবে কি দেখছেন? আমি কি কিছু বুঝিনা ভেবেছেন? একা একটা ঘরে এত কাছে পেয়ে পুরুষত্ব ফলাতে ইচ্ছে করছে না? অতটা ভালো মানুষ তো আপনি নন।
অনুরাগ রোষপূর্ণ চোখে তাকালো। বলল
‘ কারণে অকারণে ভুল বুঝাটা তোমার পেশা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সারা বিছানায় শাড়ি মেলে শুলে সেখানে আমার কি করার থাকে? শাড়ির উপর শুলে তো অন্য কথা বলতে।
বলেই ফিরে শুয়ে পড়লো অনুরাগ।
আয়না ফোঁসফোঁস করতে করতে ফিরে গেল। পা দিয়ে ঠেলে ফেলে দিল পায়ের নিচের কাঁথা। টান দিয়ে মশারির এককোণ ছাড়িয়ে নিয়ে মশার কামড় খেয়ে খেয়ে ঘুমালো।
অনুরাগ মাঝরাতে উঠে আবার মশারি টাঙিয়ে দিল। আয়না টের পেয়ে পুরো মশারিটা খুলে ছুঁড়ে ফেলল। মশারির ভেতর তার দমবন্ধ লাগছে নাকি অন্য কোনো কারণ তা বেশ ভালো করে টের পেল অনুরাগ।
আয়না সকাল সকাল ঘুম থেকে বলল
‘ মশা সারারাত খেয়েছে আমাকে এই লোকের জন্য।
অনুরাগ তা শুনে বলল
‘ ভাগ্য ভালো মানুষে খায়নি। ইন্ডাইরেক্টলি চরিত্রহীন উপাধিতে ভূষিত করলে। চরিত্রহীন হইনি বলে কুহেলী অন্যের কাছে গিয়েছিল।
আয়না চমকে তাকালো। বলল
‘ জঘন্য মানুষের মুখে জঘন্য কথায় মানায়।
‘ আমি জঘন্য, তুমি অনন্য হও।
চলবে,