বেখায়ালি ভালোবাসা পর্ব-২৯

0
2417

#বেখেয়ালি_ভালোবাসা,
#পর্ব_২৯
#লেখাঃসাবেরা_সুলতানা_রশিদ
.
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে সৈকত তার বাবার রুমে যায় ।
চৌধুরী সাহেব তখনও ঘুমাচ্ছেন তাই সৈকত কোন শব্দ না করে বেরিয়ে আসে রুম থেকে।
সৈকত নিচে এসে দেখে বাকি সবাই নাস্তার টেবিলে বসে আছে। সৈকত রোজিকে বলেঃ
—ভাবি বাবা উঠলে বাবাকে সময় মত নাস্তা দিয়ে দিও সাথে ঔষুধ গুলোও মনে করে খাইয়ে দিও।
—ঠিক আছে তোর এসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। তুই কি এখন অফিসে যাবি?
—হ্যা ভাবি, একটু কাজ আছে।
—আচ্ছা তুই কি বলতো!?
—কেন!আমি আবার কি করলাম!??
—তুই জানিস না তুই কি করছিস??
—না জানিনা। বলো কি করেছি??
—আমরা বাড়িতে এতগুলো মানুষ আমাদের কথার কি কোন দাম নেই তোর কাছে?
—আচ্ছা ভাবি এতঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে সোজাসুজি বললেই তো পারো।
—তোর আজকে অফিস যেতে হবে না।
—কেন !!?
—তুই আজ তোর শ্বশুর বাড়ি যাবি । বিয়ের পর একটা বারের জন্যও ঐবাড়িতে যাসনি। মেঘ তোর উপর অভিমান করে চলে গেছে । এখনো যদি তুই ওকে আনতে না যাস তাহলে কি করে হবে !!?মেঘের বাড়ির সবাই কি মনে করবে বলতো??
—এসেছিল তো আবার চলে গেল কেন??
—এসেছিল মানে!!?
—কেন বাবাকে দেখতে ক্লিনিকে এসেছিলতো । তাহলে আবার চলে যাওয়ার কি দরকার ছিল।
—সৈকত !!হ্যা মেঘ এসেছিল কিন্তু সেটা শুধুমাত্র বাবার অসুস্থতার কথা শুনে । আর নইতো কিন্তু ও আসতো না।
—হুম আসবেই বা কেন!!?আমাকে তো আর মন থেকে ভালবাসে না যে আসবে। (কথাগুলি মনে মনে বলতে থাকে সৈকত)
—আর এমনতো না যে তুই মেঘ কে একবারের জন্যেও থাকতে বলেছিস।
তুই যদি একবার মুখ ফুটে ওকে থেকে যাবার কথা বলতিস তাহলে ও ঠিকই থেকে যেত।
—হুম থাকতো না ছাই।
—তুই কি জানিস ও ক্লিনিক থেকে চলে যাওয়ার আগে বার বার শুধু তোর দিকে তাকাচ্ছিল। তুই তো খেয়াল করিস নি।
আমি জানি তখন ওর মনের ভিতরটা কেমন হচ্ছিল।
—হ্যা তুমি তো সব জানো!!
—এই একদম রাগাবি না। তোরা ছেলেরা কি করেই বা বুঝবি একটা মেয়ে কতটা আশা ভরসা করে থাকে তোদের কাছে ।
বাবার বাড়ির সব কিছু ফেলে নতুন জায়গায় নতুন মানুষদের সাথে তাদের মত করে মানিয়ে নিয়ে চলতে শুরু করে । আর তোরা ছেলেরা শুধু ঘুরে ফিরে কষ্ট দিস। বিয়ের পরে একটা মেয়ের কাছে তার স্বামী হয়ে যায় সব । বলতে পারিস স্বামীকে ঘিরে গড়ে ওঠে তার পুরো জগৎ । স্বামীর খুশী, স্বামীর ভালবাসা পাওয়ার জন্য একটা মেয়ে সবকিছু করতে পারে। আর সেই স্বামী যখন কষ্ট দেয় তখন আর সেই মেয়ের বেচে থাকা আর না থাকা সমান হয়ে যায়।
রোজির কথা গুলো শুনে সৈকতের মেঘের সেই ডায়েরিটার কথা মনে পড়ে । সত্যিই তো মেঘের কত ইচ্ছা কত স্বপ্ন কত আশা ছিল তার স্বামীকে ঘিরে । আর আমি না জেনে না বুঝে মেঘকে শুধু কষ্টই দিয়েছি। একটা দিনের জন্য মেয়েটার মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করিনি।
আর মেয়েটাও না কেমন!!কখনও মুখ ফুটে কিছু বলতে চাই না।আমার দেওয়া সব কষ্ট গুলি নিজের ভিতরে কি সুন্দর করে যত্নে লালন করছে।
একটি বারের জন্য অন্যে কাউকে কিচ্ছু বলেনি। এমনকি মেঘের আম্মু পর্যন্ত কথা গুলি জানেনা মনে হয় ।
—কিরে কি ভাবছিস!!!আমার কথা কিছু শুনতে পাচ্ছিস?
রোজির কথাই মৌনতা ভাঙ্গে সৈকতের ।
—হ্যা ভাবি শুনছি বলো ।
—শুনেছিস যখন তখন ভাল। আমি বা আমরা তোর আর কোন কথাই শুনতে চাইনা । তুই আজ এবং তাও এখন নাস্তা শেষ করে সোজা মেঘদের বাসায় যাবি । তারপর কিছুক্ষণ থেকে মেঘকে সঙ্গে করে নিয়ে চলে আসবি।
আমি মেঘকে ফোন করে দিচ্ছি যেন গুছিয়ে থাকে ।
—না ভাবি, আজ না। আজ আমার একটা জরুরী কাজ আছে । পরে সময় করে কোন একসময় নিয়ে আসবো ।
—তার মানে তুই যাবি না??এতক্ষন ধরে তাহলে তোকে কি বুঝালাম??
—প্লিজ ভাবি একটু বোঝার চেষ্টা করো।
আজ আমার একটা জরুরী কাজ আছে ।
—কি এমন কাজ যেটা বউয়ের থেকেও জরুরী !!?
সৈকত নাস্তা শেষ করে উঠে দাঁড়ায় ।
হঠাৎ ঝিনুক বলে ভাইয়া তুই কিন্তু ভুল করছিস। আমি জানি তোর জরুরী কাজটা কি। কিন্তু মনে রাখিস এখন যাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিস সেই এক সময় ——–
ঝিনুকের কথা শুনে বাকিরা সবাই একটু অবাক হয়ে যায় ।
ঝিনুকের কাছে আসল ঘটনা জানতে চাইলে ঝিনুক কোন কথা না বলে উঠে চলে যায় ।
রোজি সৈকতের কাছে জানতে চাই কি হয়েছে??ঝিনুক এমন কথা কেন বললো??তুই কাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিস তোর লাইফে !!?
সৈকত মুচকি হেসে বলে ভাবি ছাড়োতো এসব। ঝিনুক ছোট মানুষ ও কি বুঝে না বুঝে কথা গুলো বললো আর তোমরা সে কথা নিয়ে পড়ে আছো। আমার অফিসে যাওয়ার দেরি হয়ে যাচ্ছে আমাকে যেতে হবে ।
সৈকত রেডি হয়ে দরজা পর্যন্ত পৌছাতেই দারোয়ান এসে সৈকতের সামনে দাঁড়ায় ।
—কি হয়েছে ?কিছু বলবেন??
—ছোট সাহেব একটা লোক এসে এই জিনিসটা তাড়াতাড়ি করে আপনেরে দিতে কইলেন।
—কি জিনিস বলে সৈকত হাত বাড়ায় ।
আরে এটাতো একটা পেনড্রাইভ!!
কে দিল??কি আছে এতে?
—তা তো কইতে পারিনা সাহেব।
—সে লোকটা কোথায়??
—তিনিতো জিনিসটা দিয়েই অনেক আগেই চইল্লা গেছে । তবে জিনিসটা দিয়ে কইলো আপনার কাজে লাগবো।
—আচ্ছা ঠিক আছে আপনি যান।
দারোয়ান চলে যেতেই সৈকত পেনড্রাইভটা হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখে। তারপর হল রুমের একটা সোফাই বসে ব্যাগ থেকে ল্যাপটপটা বের করে অন করে ।
পেনড্রাইভটা ল্যাপটপে দিতেই একটা ফ্লোডার দেখতে পাই( সুইটি ক্রাইম)।
ফ্লোডারের নামটা দেখেই সৈকতের মনে একটা ধাক্কা লাগে ।
এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে ল্যাপটপটা অফ করে নিজের রুমে চলে যায় ।
রুমে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে বিছানায় গিয়ে ফ্লোডার টি ওপেন করতেই একটা ভিডিও ফ্লোডার আর একটা ছবির ফ্লোডার ভেসে ওঠে ।
সৈকত ভিডিও ফ্লোডার টা ক্লিক করতেই
মনে হচ্ছে সুইটির অজান্তে ওর সামনে বসে
কেউ একজন গোপন ক্যামেরায় ভিডিওটা করেছে। যে ভিডিওটা করেছে তাকে দেখা যাচ্ছে না। শুধু কথা শোনা যাচ্ছে।
—আরে এতদিন পর তুমি কি মনে করে ?(সুইটি)
—কেন এসে মনে হচ্ছে বিরক্ত করলাম। (অগান্তুক)
—তুমি আর বিরক্ত!!?
—তাহলে!!?
—কি বলতে এসেছো সেটা বলো?
—সুইটি প্লিজ ফিরে চলো । কেন এমন করছো ??তুমিতো জানো আমি তোমাকে এখনও ভালবাসি??
—তুমি সেই আগের মতোই আছো রাজু সেই বোকাটাইপের।
সুইটির মুখে নামটা শুনে বুঝা যাচ্ছে যে লোকটা সুইটির সামনে বসে ভিডিওটা করছে তার নাম রাজু।
—হ্যা আমি সেই বোকা টাইপেরই আছি।
—এই জন্যইতো তোমার সঙ্গে আমার যায় না। কোথায় তুমি আর কোথায় আমি??
একবার নিজের দিকে তাকাও আর আমার দিকে তাকাও।
—তুমি যে পথটা বেছে নিয়েছ সেটা ভুল পথ। প্লিজ ফিরে চলো আমার সঙ্গে।
—ভুল!কিসের ভুল? আমার টাকা চাই শুধু টাকা। দিতে পারবে!!?যদি পারো তাহলে যাবো।
—তুমি টাকার নেশায় পাগল হয়ে গেছ।
—হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছি । দেখ দেখ এখন আমার কত টাকা বলেই পাশ থেকে ব্যাগটা টেনে বিছানার উপর ঢেলে দেয় ।
—এত টাকা তোমার কাছে কি করে এলো!কে দিল??
—হা হা হা। টাকা কেউ দেয় না। আদায় করে নিতে হয় বুদ্ধি খাটিয়ে ।
—মানে?
—মানে খুব সহজ। তুমি রায়হান চৌধুরীকে চিনো?
—কোন রায়হান চৌধুরী?
—নেতা।
—হ্যাঁ । কেন
—এই টাকা গুলি তার ছেলের কাছ থেকে ফাঁদে ফেলে আদায় করেছি। আরো করবো। আস্তে আস্তে শুধু ডিমান্ড বাড়বে।
—কি বলছো তুমি!!?কি করেছ তুমি তার সাথে??
—তোমার শুনে কি লাভ!?তোমাকে তো বলেছিলাম আমার সঙ্গে থাকতে কিন্তু তুমি কি করলে !!?আসলে তুমি না থেকেই ভালই হয়েছে । তোমার মত নির্বোধ,বোকা আর এরাকম সহজ সরল সত্যবাদী মানুষ থাকলে আমারই সমস্যা হতো ।
—কি করেছ তুমি যার জন্য তোমাকে এতগুলি টাকা দিল?
—কিছুই করিনি। আবার অনেক কিছু করেছি।
—যেমন?
—আজ তোমার কি হয়েছে যে আমার কাজ জানতে চাইছো??এতদিন তো ঘৃনায় মুখ ও দেখতে না। আজ হঠাৎ কি এমন হলো?
—আসলে তেমন কিছু না সুইটি। আমি অনেক ভেবে দেখেছি আমি তোমাকে ভালবাসি আর তুমি টাকা কে। তুমি যেমন টাকার নেশা ছাড়তে পারছো না ঠিক তেমনি আমিও তোমাকে ছাড়তে পারছিনা। তাই ভাবলাম দুজনের কেউ এক জনকে তো কমপ্রোমাইজ করতেই হবে ।
—যদি কমপ্রোমাইজ তুমি করতে চাও তাহলে ঠিক আছে । আর যদি আমাকে করতে বলো তাহলে বলবো দরজা খোলা আছে যেতে পারো।
—রেগে যাচ্ছো কেন। ভালবাসার জন্য এটুকু ছাড় না হয় আমিই দিলাম।
—হা হা হা। খুবই ভাল সংবাদ । তাহলে তুমি একটু বসো আমি একটু কিছু নিয়ে আসি। আজ দুজন মিলে অনেক আড্ডা দিব।
—এখন না সুইট হার্ট । আজ আমার অনেক কাজ। আগে তোমার গল্প টা শেষ করো ।
—কি কাজ(বিরক্তি নিয়ে)।
—তুমি তো জানো বাবা মা এখন আর কেউ তোমাকে মন থেকে মানতে পারবে না। তাই ভাবছি এখন থেকে আমি তোমার কাছে থাকবো ।
— ওয়্যাও গ্রেট!!এই না হলে——
এখন আমি খুব খুশী এতদিনে তাহলে তোমার সুবুদ্ধি হয়েছে। আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম আর তুমি!!?
—আচ্ছা এসব বাদ দাও এখন বলো তারপর কি হলো ?নেতার ছেলেকে কিভাবে ফাসালে ?
—আসলে তেমন কিছুই না। শুধু ড্রিংকসের ভিতরে কয়েকটা ঘুমের ঔষুধ দিয়ে আমার বেড পর্যন্ত নিয়েছিলাম।
—তার মানে তুমি তার সঙ্গে রাত কাটিয়েছ?OMG!!
—আরে না ,তুমি যা ভাবছো তার কিছুই হয়নি। শুধু শুধু সন্দেহ করছো। শোন সুইটি টাকার লোভি হতে পারে কিন্তু চরিত্রহীনা নয়। আসলে সেদিন সৈকত আর আমি অফিসের একটা কাজে বাইরে গিয়েছিলাম । তারপর যে দিন কাজ শেষ হলো সেদিনই আমাদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আমি আগে থেকেই প্লান করে রেখেছিলাম যে সৈকতকে যেকোন ভাবেই একটা রাত রাখতে পারলেই আমার ফাদে সে পা দিবে ।
—এত না জটিল করে সোজা করে বলো।
—আসলে সেদিন রাতে ড্রিংকে ঘুমের ওষুধ দেওয়ার পর যখন সৈকত প্রায় ঘুমিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই আমি ওকে ওর রুম থেকে ধরে আমার রুমে নিয়ে আসি। তারপর আগে থেকে রুমে রাখা গোপন ক্যামেরায় আমি সৈকতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি তুলি । তারপর সারারাত সৈকত ঘুমিয়ে ছিল আর আমি ওর ঘুম ভাঙ্গার আগে ওর কাছে গিয়ে এমন ভাবে শুইয়ে ছিলাম যাতে সৈকত ঘুম ভেঙ্গে বুঝতে পারে যে——-
—তারপর কি হলো??
—তারপর আর কি যা হবার ছিল তাই হলো। আমার প্লানটাই সাকসেস হলো।
—উনি এত সহজে সব মেনে নিলেন??
—না প্রথমে মানতে চাইনি তারপর একটু ইমোশনাল ব্লাকমেইল করতে হলো।
আর সৈকত তো আমার সম্পর্কে ভাল করে জানেই না। আমি যা বলি সেটাই বিশ্বাস করে । গাধা টাইপের একটা নিজের বুদ্ধি খাটায় না। ওর বাবা যতটা বুদ্ধিমান সে অনুযায়ী ছেলের এক রতিও বুদ্ধি নেই।
—সে তো তোমাকে তার বন্ধু ভাবে বলেই বিশ্বাস করে । যদি কখনও তোমার আসল রুপটা তার সামনে চলে আসে তখন কি করবে??
—বুঝিয়ে দেব অন্যে কিছু বলে ।
সৈকত সম্পূর্ণ ভিডিওটা না দেখেই ল্যাপটপটা রাগে বন্ধ করে দেয় ।
কি দেখলো সে এতক্ষন যাকে সে এতদিন বন্ধু ভেবে সব রকম সাহায্যে সহযোগিতা করছে । সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছে আর সেই কিনা!!?
ছিঃছিঃ
এত দিন ওর ঐ ভাল মানুষী মুখোশের পিছনে যে এতটা বিদঘুটে আর বিশ্রী মন মানসিকতার মুখটি লুকিয়ে ছিল তা ভাবতেই আজ সৈকতের কষ্ট হচ্ছে।
ইচ্ছে করছে সুইটিকে কাছে পেলে —-
আসলেই আমি একটা গাধা।
নিজেকে নিজেই গালি দেয় মনে মনে।
আমার আশে পাশে থাকা মানুষ গুল
সবাই বুঝতে পেরেছিল মেয়েটি ভাল না আর আমি!!!???
এই শীতেও রাগে সৈকতের শরীর গরম হয়ে যেতে লাগলো ।
তাড়াতাড়ি করে কোর্ট টা খুলে এসি টা চালু করে বিছানায় বসে মাথা নিচু করে ভাবতে লাগলো ।
কি করা যায় এখন??
মেঘের কথা খুব মনে পড়ছে। এই মুহূর্তে মেঘ পাশে থাকলে খুব ভাল হতো । এই মেয়েটা কি করে যে এত কিছু বুঝতে পারে কে জানে!!?
বাবা আর ঝিনুকের পরে মেঘই তো আমাকে সেদিন ক্লিনিকে সুইটির কথা বলে সাবধান করে দিয়ে ছিল।
তারপরও আমি—–
সৈকতের এ মুহূর্তে ইচ্ছা করছে মেঘের সঙ্গে কথা বলতে ।
কি করে কথা বলবে তার তো মোবাইল নেই।
মোবাইলের কথা মনে হতেই মনে পড়লো মেঘ যে ফোনটা সৈকত কে গিফট করেছিল সেটার কথা।
সৈকত তাড়াতাড়ি করে আলমারি খুলে ফোনটা বের করে ।
আগের দিন অফিস থেকে ফিরে সৈকত মেঘের হাতে ফোনটা তুলে দিয়েছিল।
আর সেটা মেঘ যত্ন করে সৈকতের আলমারি তে রেখে ছিল।
ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে বন্ধ তারমানে চার্জ নেই।
থাকবেই বা কি করে এতদিন তো এমনিতেই পড়ে ছিল।
সৈকত তাড়াতাড়ি করে চার্জারটা বের করে ফোন চার্জে লাগিয়ে ফোনটা অন করে ।
ভাগ্যিস রিসিভ কলে নম্বরটা এখনো আছে ।
সৈকত নম্বরটা ডায়াল করতেই মেঘের নম্বরটা সুইচ অফ বলে।
সৈকতের মনটাই খারাপ হয়ে যায়।
কত আশা নিয়ে আজ ফোনটা ধরল আর সেটি কোন কাজেই আসছে না।
(চলবে….)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here