#অজানা_আলোর_খোঁজে
#লেখিকা-শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব-৯
কারণ খেয়াল করলো লঞ্চের করিডোরটা লাল নীল আলোয় আলোকিত। চারদিকে শুধু অবাক চোখে তাকাচ্ছিল রুকু। লঞ্চের মনোরম পরিবেশটা যেন তার ব্যাকুল মনটা শীতল করতেছিল। তানভীর শুধু রুকুর দিকে তাকিয়ে তাকে অবলোকন করছিল। রুকু চারপাশ তাকিয়ে তানভীরের দিকে তাকাতেই তানভীর হতচকিয়ে গেল। অজানা এক ভালোবাসার বান যেন তানভীরের বুকে বিদ্ধ করলো। চোখে চোখ পড়তেই চোখ সরানোর ব্যার্থ চেষ্টা করছে তানভীর। কোনোভাবেই চোখ সরাতে পারছে না। ভালোবাসার রঙ্গিন সূতার টানে যেন চোখের বাঁধনে আটকা পড়েছে সে। অসম্ভব মায়াময় এ চোখের তাকানো। রুকু তানভীরের দিকে একটু জোরে এগিয়ে আবার গতি মন্থর করে দিল। যতই তানভীরের দিকে এগুচ্ছিল ততই তানভীরের বুকের পালপিটিশন যেন বেড়েই চলছে। বুকে হাত দিতেই খেয়াল করলো বুকের ভেতরে হার্টবিটটা বেশ জোরালো ভাবে আঘাত হানছে। মনে মনে ভাবতে লাগল একি টর্নেডো নাকি ঘূর্ণিঝড়। রুকুর সামনে আগানোর গতি আরও মন্থর হতে লাগল আর তানভীরের বুকের ধুকপুকানি আরও বাড়তে লাগল। অনেকটা ব্যস্তানুপাতিক হারে বাড়ছিল।রুকু ঠিক তানভীরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। চোখ দুটো তানভীরের চোখে তাক করা। হালকা নয়ন জোড়ায় ইশারা দিতেই তানভীরের বুকের বানটা যেন ছেদ করে এপিঠ দিয়ে বের হয়ে ওপিঠে চলে গেল।
– আচ্ছা লঞ্চটার একটু বর্ণণা দিবেন? একটু ঘুরে দেখাবেন।
বলেই রুকু চোখটা নামিয়ে ফেলল। রুকুর চোখটা নামানোর সাথে সাথে তানভীরের বুকের পালপিটিশানটাও কমে গেল। স্বস্থির একটা নিঃশ্বাস নিয়ে আকাশের দিকে তাকাল। খয়াল করল আকাশে চাঁদ নেই তবে হাজারও তারা ফুটে মেলা বসে আছে। তানভীরের মনে হচ্ছে সেখান থেকে একটা তারা খসে পড়েছে। খসে পড়া তারাটার অবস্থান এখন লঞ্চের করিডোরে। সে আর কেউ না সে হলো রুকু। তানভীরের নীরবতা দেখে রুকু হালকা করে ডেকে বলল
– বলবেন না।
তানভীর আকাশ থেকে চোখটা সরিয়ে রুকুকে বলল
– আমরা এখন যে লঞ্চে আছি সেটার নাম হলো এ ভি মনামী। এটা ঢাকা টু বরিশাল আবার বরিশাল টু ঢাকা আসে। আমরা এখন বরিশাল যাব। লঞ্চের টিকেট কাটতে হয় চার পাঁচদিন আগে। বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত এ লঞ্চ। এটা মূলত তিন স্তরে বিভক্ত। মোট ভি আই পি কেবিন আছে চারটি। লঞ্চের প্রথমে ঢুকে দোতলায় উঠার সময় একটা বড় টিভি স্ক্রিন চোখে পড়বে সেখানে লঞ্চের সব বিষয়গুলো দেখানো হয়। আমরা যে কেবিনে আছি সেটা হলো সিনগেল কেবিন। ভি আই পি কেবিন গুলো আরও সুন্দর।
রুকু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
– ভি আই পি কেবিনে কখনো ঢুকে দেখেছেন?
তানভীর মাথা নেড়ে বলল
– হ্যাঁ দেখেছি।
– আমাকে একটু দেখাবেন?
– এখন কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দেখানো সম্ভব না। বরিশাল থেকে যখন ঢাকায় আসব তখন দেখানোর চেষ্টা করব।
– আচ্ছা ঠিক আছে এখন দেখাতে হবে না। পরে দেখালেও হবে। তবে দেখতে কেমন সেটা বলুন আগে।
– ভি আই পি কেবিনের প্রথমে ঢুকতেই সোফা পড়বে। সেখানে দায়িত্বরত আছেন কয়েকজন কেবিনটা দেখাশোনার জন্য। তারপর একটু সামনে ডাইনিং টেবিল রাখা আছে খাওয়া দাওয়া করার জন্য । তারপর যেখানে থাকা হয় সেখানে মোট দুটো বেড আছে। মোট চারজন মানুষ অনায়েসে আরাম করে থাকতে পারবে। ভি আইপি কেবিন ছাড়াও এ লঞ্চে ডাবল কেবিনও আছে। এসি কেবিন আবার নন এসি কেবিন ও আছে আমরা যে কেবিনে আছি সেটা এসি কেবিন। মাঝখানের এ অংশে অনেকে তুশক নিয়ে শুয়ে আছে খেয়াল করেছেন হয়তো এটাকে অনেকে বলে তুশক ব্যবস্থা।চলুন আমার সাথে।
– কোথায় যাব?
– একটু ছাদের দিকে যাওয়া যাক। যদিও ছাদটা এখন তালা দেওয়া। বেশি মানুষের ভিড় হলে ছাদ খুলে দেওয়া হয়। ঈদের সময়টাতে ছাদ খুলা থাকে। বলেই রুকুকে নিয়ে ছাদের কাছে গেল। রুকু অবাক হয়ে লঞ্চের সব খুতিয়ে খুতিয়ে দেখল। এ যেন এক প্রাসাদ। বাড়ির ছাদে যেমন পানির ট্যাংক থাকে তেমনি লঞ্চের ছাদেও পানির ট্যাংক বসিয়ে দেওয়া আছে। রুকু একটু পুলকিত নয়নে তানভীরের দিকে তাকিয়ে বলল
– আমাদের বাড়ির ছাদে ও এমন পানির ট্যাংক দেওয়া আছে। এটা দেখে বাড়ির কথা মনে পড়ে গেল। লঞ্চটা একদম প্রাসাদের মতো। লঞ্চের ভেতরটা যে এত সুন্দর হবে কখনো বুঝতে পারিনি।
তানভীর হাসতে হাসতে জবাব দিল
– হুম একটা তিন তলা সুন্দর বাড়ি বলা যায় আরকি। মনামী লঞ্চের এ পানির ট্যাংক গুলো ভি আই এস টি অনুমোদিত পানি দ্বারা পূর্ণ। এটা আবার পিউরিফিকেশনের মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌঁছে। চলেন আপনাকে নিয়ে একটু খাবার যে জায়গায় বিক্রি করে সেখানে যাই৷ আপনি তো জানতে চেয়েছিলেন লঞ্চে কোথায় থেকে খাবার পাব। সেটা দেখিয়ে নিয়ে আসি চলুন।
বলেই তনাভীর খাবারের কাছে নিয়ে গেল। রুকু শুধু অবাক নয়নে সব দেখতে লাগল। একটা লঞ্চের পরতে পরতে যে এত সুন্দরতা লুকিয়ে আছে সেটা রুকুর একদম অজানা ছিল। রুকু অবাক নয়নে পুরো লঞ্চটা ঘুরে দেখল। তারপর করিডোরের কার্নিশে এসে দাঁড়ালো। হালকা মৃদুমগ্ন বাতাস লঞ্চে ধেয়ে আসছে। পানির উপর হেলে দুলে যাওয়ার মতো রোমাঞ্চকর ব্যাপার হয়তো দ্বিতীয়টি আর হতে পারে না। চোখ বন্ধ করে বাতাস অনুভব করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যেই তানভীর ডেকে উঠল।
– কেবিনে চলুন অনেক তো হলো।
– আরেকটু থাকি না একটু সমুদ্রবিলাস করি।
তানভীর কথাটা শোনে হাসিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। তানভীরের হাসি দেখে রুকু অবাক চোখে তাকাল।
– হাসছেন কেন এভাবে?
– তো হাসব না তো কাঁদব।
– অকারণে হাসার তো কারণ দেখছি না।
– আপনি নদীর উপর দিয়ে গিয়ে সমুদ্রবিলাস করছেন?
– মানে?
– মানে এটা সমুদ্র না। আমরা ছোট বড় মোট ১০-১৩ টার মতো নদী পার হয়ে বরিশাল লঞ্চ ঘাটে পৌঁছাব। নদীর সংখ্যাটা মনে নেই তবে এরকমেই হবে হয়তো। সেখান থেকে অটো দিয়ে নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে যাব৷ ১৫-২০ টাকার মতো ভাড়া লাগবে।নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে ২০০ টাকা করে সিট ভাড়া করে বি আর টি সি দিয়ে কুয়াকাটা যাব। তখন নাহয় সমুদ্র বিলাস করবেন। এখন আপাতত নদী বিলাস করুন। নদী বিলাস শেষ হলে চলুন৷ অনেক রাত হয়ে গেছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল প্রায় দুটো বেজে গেছে। আর তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টার মতো লাগবে বরিশাল পৌঁছাতে। এর মধ্যে না ঘুমাতে পারলে শরীরটা বেশ খারাপ লাগবে। মাইগ্রেনের ব্যাথাটাও চেপে বসবে। রুকু কথা না বাড়িয়ে বলল
– চলুন তাহলে।
রুকু আর তানভীর কেবিনে আসলো। রুকু বোরকাটা খোলে নিল। তানভীর কেবিনের নীচে একটা বিছানা পেতে শুয়ে রুকুকে বলল
– আপনি উপরে শুয়ে পড়ুন। বলেই তানভীর চাঁদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল।
রুকুও কথা না বাড়িয়ে শুয়ে পড়ল। ঘুমে চোখটা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল। নীচে খেয়াল করে তাকিয়ে দেখল তানভীর ঘুমিয়ে গেছে। রুকুও পরক্ষণে চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেল।
খানিকক্ষণ পর দরজায় একটা আওয়াজ পেল। রুকু ভয়ে ভয়ে জেগে উঠল। খেয়াল করল রাত চারটা বাজে। তানভীর তখন নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। বেড থেকে নেমে তানভীরকে হালকা ডেকে বলল
– এই যে একটু উঠবেন দেখুন না দরজায় কে নক করছে।
তানভীর এ কাঁত থেকে ও কাঁত হয়ে বলল
– বড্ড ঘুম পাচ্ছে। এভাবে নক করতে দিন৷ কে আর করবে। এত রাতে সাড়া না পেয়ে নক করে চলে যাবে। মাথাটা বেশ ব্যাথা করছে। মাইগ্রেনের ব্যাথাটাও চড়েছে খুব। আমাকে একটু ঘুমাতে দিন।
রুকু কথা না বাড়িয়ে বেডে পুনরায় শুয়ে পড়ল। এদিকে দরজায় নকের শব্দ প্রখর থেকে প্রখর হতে লাগল। যতই দরজা নক করছিল রুকুর ভেতরটা ততই ছেদ করে উঠছিল। কি করবে বুঝতে পারছিল না।ভাবল লিয়াকত চাচা আসলো না তো। বেশ সাহস করে দরজার সামনে গিয়ে আওয়াজ করে বলল
– কে নক করছেন? কিজন্য?
খেয়াল করলো ওপাশ থেকে মধুমতি বলে উঠল
– আমি মা, খোলো একটু।
রুকু হালকা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে দরজাটা খুলতেই কেঁপে উঠল।খেয়াল করলো তেজনস্বিনী দাঁড়িয়ে।রুকুকে দেখে তেজস্বিনী বিকট একটা হাসি দিয়ে মুখে কি যেন ছিটাল।সাথে সাথে রুকুর মুখ দিয়ে লালা পড়তে লাগল রুকুর শরীরের শক্তি বিলীন হয়ে যেতে লাগল। তবুও রুকু সাহস হারাল না। কোনোরকমে নিজেকে সামলে নিয়ে তানভীরের উপর আঁচড়ে পড়ল। রুকু খেয়াল করলো তানভীরের ঘুমের তীব্রতা এতই প্রখর যে তানভীরের কোনো সাড়া শব্দ নাই। রুকু তানভীরের শার্টে হালকা টেনে বলতে চাচ্ছিল যে আমাকে বাঁচান। তবে সে মুখ দিয়ে কিছুই বলতে পারছে না। যতই বলার জন্য আওয়াজ তুলতে যাচ্ছে ততই আওয়াজটা গলায় আটকে যাচ্ছে। এদিকে তেজস্বিনী রুকুর পা ধরে টান দিতেই। রুকু হিচড়ে যাচ্ছে। তানভীরের শার্টের কলার থেকে রুকুর হাতটা ছুটে যাচ্ছে।রুকুর কলিজাটা যেন কেঁপে যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে গলাও শুকিয়ে যাচ্ছে। বেশ জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। এর মধ্যেই তানভীর আওয়াজটা পেয়ে ধুম করে উঠে বসে পড়ল। খেয়াল করল রুকু বিছানায় শুয়ে হাপাচ্ছে। হাত পা কাঁপাচ্ছে। তানভীর দৌঁড়ে গিয়ে রুকুকে ধরে ধাক্কা দিল। কিন্তু রুকু সে ধাক্কায় সাড়া না দিয়ে আআআআআ …. করতে লাগল। তানভীর বোতল থেকে হালকা পানি নিয়ে রুকুর মুখে ছিটা দিতেই রুকুর চোখ গুলো কাঁপতে লাগল। হালকা কাঁপুনি দিয়ে রুকু উঠল। ভয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাসের আওয়াজ তুলছিল।তানভীর রুকুকে ধরে বলল
– হুট করে এরকম করছিলেন কেন?
– দুঃস্বপ্ন দেখছিলাম। তাই এমনটা হয়েছে।
– অহ মাই গুডনেস। আমি তো ভেবেছিলাম আপনাকে বুবা জ্বিনে ধরেছে। যেভাবে আআআআ…. করছিলেন। বেশ ভয় পেয়ে গেছিলাম। আচ্ছা যাইহোক আপনি বোতল থেকে পানি খেয়ে শুয়ে পড়ুন। সাড়ে চারটা বাজে আর এক ঘন্টার মধ্যেই হয়তো পৌঁছে যাব। কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে নেন। চা খেলে বলুন চা করে দিই। যদিও ঠান্ডা চা খেতে হবে কারণ পানি গরম করতে পারব না এখন। ঠান্ডা পানিতে টি ব্যাগ ডুবিয়ে খেতে হবে।
রুকু কপালটা টেনে উপরে তুলে বলল
– কিছু লাগবে না। আপনি ঘুমান। আপনাকে বেশ কষ্ট দিয়ে ফেলছি।
– তা তো একটু দিচ্ছেনেই। তবে কপালে ছিল কি আর করা। ভেবেছি কুয়াকাটা ঘুরার পর আমার এক বন্ধু আছে তার সাহায্য নিয়ে পুলিশকে সবটা বলে এর ব্যাবস্থা করব।
– আচ্ছা আপনি কুয়াকাটা কোথায় যাবেন?
– আমার দলবল সব ঐখানে একদিন আগেই পৌঁছেছে। আমি ঢাকায় একটা কাজে আটকে গেছিলাম। তাই একদিন পর যাচ্ছি। কুয়াকাটা ঘুরতে যাব৷ তারপর সেখান থেকে আরেকটা জায়গা বের করে ঘুরব। ঘুরাফেরার একটা ঝোঁক আছে তো তাই।
– ওহ আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি ঘুমান।
বলতেই বলতেই ঘড়ির কাঁটার টুংটাং আওয়াজ জানান দিল যে পাঁচটা বেজেছে। তানভীর হাত পা মুড়াতে মুড়াতে বলল
– এখন আর ঘুমিয়ে লাভ নেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই লঞ্চ ঘাটে পৌঁছাব সব গুছিয়ে নিই আগে।
বলেই সবকিছু গুছিয়ে নিল। খানিকক্ষণ পর লঞ্চ গন্তব্যে পৌঁছাল। তানভীর রুকুকে তাড়া দিয়ে বলল
– আপনি উড়না দিয়ে মুখ মুড়ে দিয়ে নেন। আমি লিয়ালত সাহেবকে বোরকাটা দিয়ে আসি।
রুকু তার উড়না দিয়ে ভালো করে মুখটা ঢেকে নিল। তানভীর বোরকাটা নিয়ে লিয়াকত সাহেবের কাছে যাওয়ার জন্য দরজাটা খুলতেই খেয়াল করল লিয়ালত সাহেব দাঁড়িয়ে আছে। তানভীরকে দেখে ফিক করে হেসে দিয়ে বলল
– বাবা বিদায় নিতে আসলাম। আবার কখন দেখা হয় বলা যায় না। তবে তোমরা চাইলে আমাদের বাড়ি যেতে পার।
তানভীর হালকা হেসে বলল
– চাচা যা করেছেন যথেষ্ট করেছেন। আমি আর রুকু এতেই অনেক কৃতজ্ঞ। কোনোদিন সুযোগ হলে যাব আপনার বাড়িতে ।
এর মধ্যেই মধুমতি হেসে বলল
– তোমরা ভালো থাকো দোআ করি।
মধুমতিকে দেখে তানভীর বোরকাটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল
– চাচী আপনার বোরকাটা।
মধুমতি বোরকাটা হাত দিয়ে তানভীরের দিকে ঠেলে দিয়ে বলল
– এটা রেখে দাও কখনো দরকার পড়লে পড়ো। অনেক কাজে লাগতে পারে। তোমরা ভালো থাকো।
রুকু উড়না মুড়িয়ে লিয়াকত সাহেব আর মধুমতির কাছ থেকে বিদায় নিল। এরপর তানভীর রুকুকে নিয়ে লঞ্চ ঘাটে নামল। তারপর একটা অটো ভাড়া করলো নথুল্লাবাদ যাওয়ার জন্য। দুজনেই অটোতে উঠে পড়ল। কিছুক্ষণ পর নথুল্লাবাদ এসে পৌঁছাল। তানভীর পকেট থেকে ২০ টাকার দুটো নোট বাড়িয়ে দিল। দিনের বেলা লঞ্চ ঘাট থেকে নথুল্লাবাদ যাওয়ার ভাড়া লাগে ১০ টাকা কম করে নেয় এখন শেষ রাত তাই ভাড়া ১০ টাকা করে বেশি। তানভীর ভাড়াটা এগিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে খেয়াল করলো কেউ একজন তার ঘাড়ে হাত দিয়েছে। তানভীরের হাতের স্পর্শ পেতেই পেছনে তাকিয়ে চমকে গেল।
চলবে?
(কপি করা নিষেধ)
গল্প সম্পর্কিত আপডেট পেতে কমেন্টে দেওয়া গ্রূপ লিংকে ঢুকে গ্রূপে জয়েন করুন।