#আনকোরা
#রূবাইবা_মেহউইশ
২৯.
বৃষ্টি নেই, বাতাসে শিরশিরানিও এখন আর লাগছে না। অভির গাড়ি এসে পৌঁছে গেছে মিস্টার আহমেদের বাড়ির সামনে। মাত্র ঘন্টা দুই আগেও তারা ছিলো নির্জন জনমানবশূন্য রাস্তায় আর এখন কোলাহল, চারপাশ আলোয় আলোয় একাকার হয়ে ভাসছে। অভিকে ঘরে যেতে বলতে চেয়েও আর বলল না লোকটা। এই রাতে নিশ্চয়ই অভি এখন হাসপাতালে যাবে মেয়েটির কাছে। তাই আপাতত ফরমালিটিকে সরিয়ে দিয়ে মিস্টার আহমেদ অভির উদ্দেশ্যে বলল, “আমি খুব শিগগিরই আসবো আপনার প্রিয় মানুষটিকে দেখতে। তবে প্রতিনিয়ত দোয়া থাকবে সে যেন জলদিই সুস্থ হয়ে ওঠে।”
অভি একটু করে হেসেই আবার গাড়ি ছাড়লো। সত্যিই সে এই রাতে আর বাড়ি ফিরবে না। হাসপাতালে পৌঁছুতে তার আরও আধঘন্টা লেগে গেল। চৈতীকে যে হাসপাতালে রাখা হয়েছে সে হাসপাতালে অভি নতুন জয়েন করে এসেছে মাত্রই একমাস হলো। সে নতুন হলেও কাজের অভিজ্ঞতা ভালো তার। আগে তার মা-বাবা যেখানে ছিলো অভির প্র্যাকটিসিং সে হাসপাতালেই ছিলো। এই তো বছরও হয়নি সে হার্ট নিয়ে তার পড়াশোনা করবে বলে বিদেশেও চলে গেল কিন্তু শেষপর্যন্ত সে ফিরে এলো এই দেশেই। আর অভির ফিরে আসার পেছনে দায়ী অনামিকা নিজেকেই করে। কেন যে সেদিন বলেছিলো চৈতীর দূর্ঘটনার কথা। চৈতী কোমায় তার স্বামী স্পট ডেড আর বাচ্চাটাও ডেড। হাসপাতালের দক্ষিণের দেয়ালের লাস্ট সিসিটিভি ক্যামেরাটায় সেদিনের দূর্ঘটনার সম্পূর্ণ ফুটেজ দেখেছিলো হাসপাতাল কতৃপক্ষ আর দিশান। অনামিকা অত সাহসী মহিলা হয়েও তার সাধ্যে কুলোয়নি ফুটেজটা দেখার। সে শুধু দিশানের চিৎকার করে কান্না দেখেই গ্রাউন্ড ফ্লোর ছেড়ে পঞ্চমতলায় এসে বসেছিলো। তার মনে হয়েছিলো সে তখন এতোটাই দূরে চলে যাবে যেখান থেকে দিশানের আর্তনাদ শোনা যাবে না। সেই ফুটেজ দেখা এবং দূর্ঘটনায় কবলিত মানুষগুলোকে যারাই দেখেছিলো তারা কেউ প্রথমবস্থায় সুস্থ থাকতে পারেনি। দিহানের শরীরটার হাজারো ক্ষত চিহ্ন আর তার মাথার খন্ডিত টুকরো দেখে ডাক্তাররাও অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এতোটা মর্মান্তিক ঘটনা প্রত্যেকটা হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলো সেদিন। ডান চোখটা জায়গায় নেই আর তার ডান হাতটাও প্রায় আলাদা হয়ে যায় যায় এমন। আঘাত গুলো শুধু ট্রাকের ধাক্কায় নয় ট্রাকে থাকা রডের মাধ্যমেই হয়েছিলো বেশি।
অভি যখন হাসপাতালে ফিরলো তখন রাত একটা ছুঁই ছুঁই। গাড়ি পার্ক করে প্রথমেই সে রিসেপশনে জানতে চাইলো চৈতীর ফুপির কথা। রিসেপশনিস্ট মেয়েটা জানালো মহিলা এখনো আছেন তবে কেবিনের বাইরে। আর চৈতীর ড্রেসিং করে গেছেন আজ ডক্টর রাশেদ। পেটে খিদে কিন্তু হাসপাতালের ক্যান্টিনটা বারোটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। এখন চাইলেও সে কফি ছাড়া কিছু পাবে না খাওয়ার জন্য। ক্লান্ত পায়ে তিনতলায় গিয়ে প্রথমে সে চৈতীর কেবিনের দিকে গেল। দেখা হয়ে গেল ডাক্তার লিসার সাথে। লিসা এখানকার গাইনি চিকিৎসক। সেও চৈতীর ট্রিটমেন্ট করেছে কিছুদিন কিন্তু আপাতত সেরকম কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই চৈতীর। লিসা বয়সে অভির চেয়েও বছর পাঁচেক সিনিয়র। মহিলা স্বভাব আর আচরণে যথেষ্ট কোমল। অভিকে দেখতেই মিষ্টি করে হাসি দিলেন প্রথমে। তারপরই প্রশ্ন করলেন, “আজ আবার হাসপাতালে কেন? তোমার তো ইনভাইটেশন ছিলো কোথাও!”
“হ্যাঁ সেখান থেকেই ফিরেছি।”
“তাহলে আজ আর না আসতে। এমনিতেও রাশেদ স্যার তোমার পেশেন্টের চেকআপ করে গেছেন৷”
“হু, তবুও ভাবলাম আজ রাতটা এখানেই কাটিয়ে দেই এমনিতেও কাল আমার অফ ডে।”
“আর সেজন্যই রাতটা চোখটাকে অন্তর্দহনে ভেজাতে এসেছো!” বলেই নিঃশব্দে হাসলো লিসা। এই হাসপাতালে প্রত্যেকটা ডাক্তার, নার্স প্রায় সকলেই অভিকে চৈতীর অভিভাবক বলে মনে করে। চৈতী প্রথমে অনামিকাদের কাছেই ছিলো কিন্তু এরই মাঝে অভি আর তার মায়ের মধ্যকার সম্পর্ক খারাপ হয় চৈতীকে ঘিরেই। যে মানুষটা জাগতিক কোন কিছুতেই জাগ্রত ছিলো না যার আশেপাশের বস্তু,মানুষ এমনকি তার নিজেরও কোন খেয়াল ছিলো না সেই মানুষটাকে নিয়েই দুই মা ছেলের মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়ে গেল। অনামিকা খন্দকার আর অভিনব খন্দকার হঠাৎ করেই যেন একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠলো। চাঁদ খান চোখের সামনেই দেখেছিলেন অনামিকা আর অভির তর্কাতর্কি যার মূল ছিলো চৈতী। আর সেদিনই চাঁদ হাসপাতাল বদলাতে চাইলে অভি এসে অনুরোধ জানায় সে চৈতীর ট্রিটমেন্ট তার পরিচিত ডক্টরের আন্ডারে করাবে। সময়ক্ষেপণ না করেই চাঁদ অভির কথা মেনে নিয়েছিলো। তাছাড়া অভি শুধু চাঁদ নয় দিশানেরও মতামত চেয়েছিলো আর দিশান নিজেই বলেছিলো, “তুমি প্লিজ যা ভালো হয় তাই করো। প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করবো শুধু ওকে সুস্থ করে তোলো।”
অভি ভরসা পেয়েই নিজের এখানে নিয়ে আসে। অনেকগুলো দিন চৈতী কোমায় থাকার পর যখন সবাইকে দেখলো চোখের পলক জাপটালো সেদিন ভেবেছিলো বিপদ বুঝি কেটেই গেল। কিন্তু না তারা বিপদমুক্ত আজও হতে পারেনি। চৈতী চোখে মেলে, পলক ফেলে কিন্তু কখনো কোন আওয়াজ করেনি। তার চোখ মুখের ফোলা একটুও কমেনি। শুধু বেঁচে আছে এই প্রমাণটাই পাওয়া যায় তার চোখের পলক আর নিঃশ্বাস দেখে।
চৈতীর কেবিনের সামনে আসতেই অভি থমকে গেল। দরজার বাইরে দিলশাদ দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর মাথায় হিজাবের মত করে ওড়না পেঁচানো। দেখে মনে হচ্ছে মাত্রই নামাজ পড়ে উঠেছে সে। হঠাৎ দেখলেই যে কারো ভ্রম হবে তাঁকে সুস্থ বলে। অভিকে দেখতেই দিলশাদ হেসে বলল, “তোমারই অপেক্ষা করছিলাম সন্ধ্যে থেকে৷ আমাকে চৈতীর কাছে বসতেই দিচ্ছে না কেউ৷ তাই এখানেই অপেক্ষা করছি তোমার জন্য?”
“আমি আসবো আপনাকে কে বলল?”
“কেউ বলেনি আমি তো জানি তুমি আসবে। দিহান বলছিলো তুমি আজকে আসবে।”
“দিহান!” আঁতকে উঠল অভি। কয়েক সেকেন্ড এর জন্য তার মনে হচ্ছিলো সত্যিই দিহান এসে গেছে। ভুল ভাঙলো দিলশাদেরই দ্বিতীয় কথা শুনে।
” অনেক রাত হলো বাচ্চাটা তো কান্না করবে এবার। চৈতীকে দেখো তো ঘুম ভাঙলো কিনা!”
অভির বুকচিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। এই মহিলাটাকে সে প্রথমবার যখন দেখেছিলো তখন মনে হয়েছিলো মানুষটা খুব কঠিন ধাঁচের। তার চোখে বুদ্ধি আর কঠোরতার স্পষ্ট ছাপ দেখা যেত অথচ আজ এই মানুষটাকেই কেমন বাচ্চা মনে হচ্ছে। কয়েক দিন পরপরই পালিয়ে চলে আসে এখানে এই অসুস্থ শরীরেই। তাঁর মেন্টাল ট্রিটমেন্ট অতি দ্রুত হওয়া উচিত নইলে অচিরেই তার যেটুকু খেয়াল মাঝেমধ্যে সচল হয় সেটুকুও আর থাকবে না। অভি অনেক বলে কয়ে দিলশাদকে নিয়ে গেল ফাঁকা এক ওয়ার্ডে। নার্সকে ডেকে তার বিপি চেক করে অনেকটা জোর করেই ঘুমের ইনজেকশন দিলো। কয়েক মিনিটের মধ্যেই দিলশাদের চোখে ঝিমুনি এলো। অভির ফোনে দিশানের নম্বরটা আগে থেকেই ছিলো। সময়টা দেখে ইচ্ছে করেই কল দিলো না। ছোট্ট করে একটা বার্তা লিখলো, “মিস্টার দিশান, আপনার মা হসপিটালে আপাতত ঘুমিয়ে আছে। টেনশন করবেন না সকালে এসে নিয়ে যাবেন।
-ডক্টর অভিনব”
কোলাহল থেমে গেছে রাত্রি বাড়তেই সেই সাথে বিদায় নিয়েছে বৃষ্টিরাও। অভির দু চোখের পাতায় ঘুম ভর করছে পাথরের মত ওজন নিয়ে। সারাদিনের ক্লান্তি দেহটাকে আর সামাল দিতে পারছে না। সকাল থেকে আম্মু একটাবারও ফোন দেয়নি। আজকাল এমনই হয় অভি দু একদিন বাড়ি না ফিরলেও আম্মুর নম্বর থেকে কোন কল আসে না। আব্বু কল দেয় অথবা বাড়ির কাজের মেয়েটা। কাজের মেয়েটাকে দিয়ে আম্মুই কল করায় তা অভি জানে। কিন্তু কি করবে সেও তো এই মায়েরই সন্তান৷ যতোটা জেদ মায়ের মনে তার কোন অংশেই কম নয় অভির। মা কেন এত ক্রোধ দেখাচ্ছে অচেতন চৈতীর ওপর! সে চৈতীকে সুস্থ করে তুলতে চাইছে তারমানে তো এই নয় সে চৈতীর জীবনসঙ্গী হয়ে যাচ্ছে। এত অযৌক্তিক আচরণ সে তার আম্মুর মত মানুষটা থেকে কখনোই আশা করেনি। হ্যাঁ এটাই সত্যি সে প্রথম দেখাতেই চৈতীর প্রেমে পড়েছে। চৈতী বিবাহিত এটা শুনেই তো সে দূরে সরে যাচ্ছিলো। এমন এক দূর্ঘটনার কথা শুনলে তো শত্রুও তার শত্রুর জন্য কেঁদে উঠবে আর অভি তো চৈতীকে ভালোই বেসেছে। চৈতী যদি সুস্থ হয়েও যায় তাহলেই কি সে অভির ডাকে সাড়া দেবে! কেন বুঝতে চায় না আম্মু এই ভয় তাঁর অযৌক্তিক। টুলে বসে চৈতীর বেডের ওপর মাথা রেখে এসব ভাবতে ভাতেই চোখ লেগে গেল অভির। হাসপাতাল সংলগ্ন মসজিদ থেকে ফজরের আজান কানে আসতেই ঘুম ভেঙে গেছে। টানা তিন ঘন্টা একই অবস্থায় ঘাড় কাত করে থাকায় প্রচণ্ড ঘাড়ের ব্যথা অনুভব৷ হচ্ছে। কালকেও মাগরিব আর এশার নামাজ কাযা হয়েছে তার তাই আজ আর দেরি না করে নামাজের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো। ফজর পড়ে পুনরায় হাসপাতালে ঢুকতে গেইটে দেখা হলো দিশানের সাথে। চোখ দুটো ভীষণ লাল তার, চুলগুলো এলোমেলো। দেখেই মনে হলো ছেলেটা রাতভর ঘুমায়নি। অভির মায়া লাগছে দিশানের জন্য খুব৷ তার কোন ভাই-বোন নেই কিন্তু দিশানের সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকেই তার আফসোস হয় একটা ভাই বোনের অভাবে। দেখতে কঠিন এই ছেলেটা যেদিন হাসপাতালে তার মামাকে ধরে কেঁদেছিলো সেদিন অভি তার সামনেই ছিলো। দিশানের প্রতিটা বাক্য ছিলো তার ভাইকে হারানোর যন্ত্রণা প্রকাশে ব্যবহৃত। সে বারংবার বলছিলো ভাইটা তার পঙ্গু হয়ে যেত, বিকলাঙ্গ থাকতো সারাজীবন তবুও সে আগলে রাখতো। কিন্তু এভাবে কেন চলে গেল তাকে ছেড়ে! আজও এই ছেলেটা একা বুকে বয়ে বেড়ায় ভাই হারানোর যন্ত্রণা, মায়ের অসুস্থতার দ্বায়িত্ব, বাবার দূর্বলতায় শক্ত হয়ে কাঁধ সামলানো আর চোখের সামনে একরকম মৃত্যুর সাথে লড়তে থাকা মামাতো বোনের প্রতিও তার সমান দ্বায়িত্ব। মনে মনে হাজার বার স্যলুট জানায় অভি দিশানকে। দিশানের জায়গায় সে হলেও হয়তো এতোটা শক্ত থাকতে পারতো না। এ গল্পের শক্ত দুটি পুরুষ চরিত্রের একটি নাম হলো দিশান৷
অভিকে দেখেই দিশান জানতে চাইলো চৈতীর অবস্থা। ছোট্ট বাক্যে জবাব দিলো অভি, “নো রেসপন্স।”
“মা কোথায়।”
“তিন তলাতেই একটা কেবিনে রাখা আছে। ঘুমাচ্ছেন আমি ইনজেকশন দিয়েছি নয়তো রাতভর হয়তো পায়চারী করতো।”
“ধন্যবাদ ডক্টর অভি।”
“ইট’স ওকে। বাহিরে নেওয়ার ব্যবস্থা কতটুকু?”
“এখনো কিছুই হয়নি। জানেনই তো ব্যবসায় খেয়াল না করলে টাকা আসবে না আর টাকা ছাড়া কিছু করা অসম্ভব। আর মায়ের সাথে বাবাকে পাঠানো রিস্কি তাই আমার দিকটা আমি গুছিয়ে তবেই বের হতে পারবো। যে কদিন আমি না থাকবো বাবাকে সামলাতে হবে সবটা তাই আরেকটু গোছাতে সময় নিচ্ছি।”
“হুম, আমি জানি সবখানেই টাকার খেলা। তবুও মাথায় রাখবেন আন্টির অবস্থা। সময় যত গড়াবে তত পরিস্থিতি বেসামাল হবে। এখান উনি যার চিকিৎসাধীন আছেন তিনিও বেস্ট। আপনি বরং এখানকার ট্রিটমেন্টটা ঠিকঠাকভাবে চালিয়ে যান। আন্টির প্রধান সমস্যাগুলোর প্রতি বিশেষ নজর জরুরি। মনে রাখবেন শারীরিক ক্ষতের চেয়েও গভীর মানসিক ক্ষত।”
দুজন কথা বলতে বলতেই তিন তলায় পৌঁছালো। দিলশাদ ঘুমে তাকে কয়েকবার ডাকতেই চোখ পিটপিট করে তাকালো। এক পলক দিশান আর অভিকে দেখে তার আবারও ভ্রম হলো। সে অভিকে দিহান বলে ডাকলো অনেকবার। বারবার বলছে আজকে বাইরে যাস না দিহান। চৈতীকে নিয়ে ঝড় বৃষ্টিতে বাইরে যাওয়া ঠিক না।”
দিশান মাকে ধরে আস্তে আস্তে নিচে নিয়ে গেল। গাড়িতে বসাতেই দিলশাদ চিৎকার করে উঠলো সে এই গাড়িতে বসবে না। তার মনে পড়লো দিহানের মৃত্যুর কথা। দিহান সাদা গাড়িতে বসেই তাকে ছেড়ে চলে গেছে। দিশান অনেক বলে কয়ে বোঝালো এটা সাদা রঙের গাড়ি নয়। এটা তার বাবার পুরনো কালো গাড়িটা যেটাকে তারা ডিব্বা বলে। দিলশাদ গাড়ি থেকে বের হয়ে দেখলো গাড়িটাকে। এটা কালো গাড়ি, এটাতে দিহানের লাশ নেই৷ মাকে শান্ত করে নিয়েই বাড়ি ফিরলো দিশান। আর তারপরই দেখলো তার অর্ধেক স্বস্তি ব্যাগবন্দী করে তৈরি হয়ে আছে বাবার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সেও মাকে ঘরে শুইয়ে দিয়ে ময়না খালাকে বলল, “মায়ের খেয়াল রেখো খালা আমি একটু পরেই আসছি। নাশতা বানানোর দরকার নেই আসার সময় কিনে আনবো।”
ঐশীর ব্যগটা নিজের হাতে নিয়ে নিঃশব্দে পুনরায় গাড়িতে বসলো দিশান। ঐশীও পিছু পিছু এসে বসলো পাশে।
চলবে