#অপরাধী
#লেখক_অন্তর
পর্ব_১২
,
,
,
–অন্তর,ঐ সব কথা বাদ দে,আর আমার কথাটা শুন,(তানভির হতাশ হয়ে)
–হ্যা বল,কি হইছে রে তোর কথা শুনে মনে হচ্ছে তুই হতাশ হয়ে আছিস! (আমি)
–অন্তর, তোর মামা মামী তোদের বাড়িটা আন্টি আংকেল থেকে চালাকি করে নিজেদের নামে লিখে নিছে।(তানভির)
তানভিরের কথাটা শুনে সাথে সাথে মেঝাজটা খুব খারাপ হয়ে গেলো!আর সাথে সাথে আমি সকলের সামনে থেকে উঠে যাই আর অন্য দিকে চলে যাই কথা বলার জন্য।
–কি বলতেছিস তুই,!??(আমি)
–দোস্ত,আমি এই সব নিয়ে তোর সাথে কোনো দিনও মিথ্যা বলবো না,দোস্ত,এটা একদম সত্যি কথা, তোর মামা মামী এই কাজটা করছে!তারা তোদের বাড়িটা নিজের নামে লিখে নিছে দোস্ত!(তানভির)
–তাহলে তারা তাদের আসল রূপ দেখিয়ে দিছে,দোস্ত তোকে আমি আগেই বলছিলাম তারা মোটেও সুবিধাজনক না আর শেষমেষ তো তারা তাদের রূপ দেখিয়েই দিছে,তবে দোস্ত এখন আম্মু আব্বু কোথায় আছে? !(আমি)
–দোস্ত আংকেল আন্টি এখন আমাদের বাড়িতে আছে,আমি প্রতি নিয়ত তোকে তোদের বাড়ির খবর পাঠাই, কারন তুই আমাকে বলছিলি তাদের খবরাখবর দিতে,তাই আজ আমি সকালে তোদের বাড়ির দিকে যাই সেখানে গিয়ে দেখি তোর মামা মামী ও সাইমন বাড়িতে উপস্থিত,তারা সেখানে এসে চেচামেচি শুরু করে দিছে, আমি আড়াল ভাবে দেখি তারা আংকেল আন্টির সাথে খুব ব্যবহার করতে লাগে, আর এক পর্যায়ে আংকেল আন্টিকে বলতে লাগে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে, এখানা তারা যখন “তাদের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে” বলে কথাটা শুনে আমি পূরাই নিস্তব্দ হয়ে গেলাম, তাদের বাড়ি মানে, পরে আংকেল আন্টিও তাদের বলে এটা আংকেল আন্টির বাড়ি, কিন্তু তোর মামা শয়তানি হাসি দিয়ে তাদের একটা দলিল দেখায় যা দেখে আংকেল নিমিশেই নিস্তব্দ হয়ে যায় পরে আন্টিও দেখে পেপারটা, আন্টি বলে এটা কি করে সম্ভব, তারা তাদের বাড়ি তোর মামা কাছে তো বেচেই নাই তাহলে কি করে এই দলিলে তোর আব্বু সাইম ও তোর আম্মুর সাইন পায়!পরে বুঝতে পারে তারা চালাকি করে সাইমনকে দিয়েই দলিলে সাইন নিয়ে নেয়,কারন গতরাতে নাকি সাইমন তোর আম্মু আব্বুর কাছে একটা কাগজ নিয়ে যায়, বলে কিসের ফর্মের মধ্যে সাইন লাগবে আর কিন্তু তোর মামা মামীও থেকে নাকি সে দূরে আছে তাই সাইমনের কথা শুনে তোর আম্মু আব্বু না দেখেই সেই পেপারে সাইন করে দেয়,তোর মামা মামী তোর আব্বু আম্মুকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,আর দরজা আটকে দেয়,তোর আব্বু আম্মু পুরাই হয়ে যায় আর আমিও বেরিয়ে তাদের সোজা আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি,এখন তারা বুঝতে পারতেছে তারা এতোদিন এক কালসাপকে তারা আদর যত্ন করতেছিলো,তোর মামা মামী ভালো ভাবেই সাইমনকে প্রশিক্ষিত করে তোর আব্বু আম্মুর কাছে পাঠায়,আর সাইমনও তোদের সাথে থেকে আসছে একমাত্র তার মা বাবার কাজটা করতে মানে তোদের এই বাড়িটা হাতিয়ে নিতে,এখন তো তারা সফল হলো তাদের ঐ পরিকল্পনায়।হাতিয়ে নিলো তোদের বাড়িটা।(তানভির)
কথাটা শুনেই কি করবো ভেবে পাচ্ছি না আমি,শেষমেষ মামা মামী ও সাইমন তাদের আসল রূপ দেখিয়ে দিলো,মামা মামীকে এমনেও আমার আগের থেকে সুবিধার লাগতো না তবে সাইমনকে আমি ভালো মনে করতাম কিন্তু শেষমেষ বুঝতে পারলাম যেমন গাছ তেমনি তার ফল, তারা আমাদের থেকে সেই আমাদের বাড়িটা কেড়ে নিয়ে নিয়ে, যে বাড়িতে আমরা হাসিখুশি ভাবে বড়ো হলাম,যেবাড়িটা আব্বুর কষ্টের টাকা দিয়ে তৈরী করছে আর আজ সেই বাড়ি থেকেই তারা বাহিরে,
–অন্তর,তোর আব্বু আম্মু খুব খারাপ ভাবেই ভেঙ্গে পড়ছে রে, তারা কান্না করেই যাচ্ছে, তোর আম্মু তার আপন ভাইয়ের এই কাজ কর্ম দেখে সত্যি খুব কষ্ট পাইছে।(তানভির)
–তানভির, তুই আমার অনেক উপকার করছিস, আর একটা উপরকার কর না ভাই!তাদের কোথাও যেতে দিস না তোদের বাড়িতেই কষ্ট করে হলেও রেখে দে!(আমি)
–দোস্ত, এটা তুই না বললেও আমি তাদের এখান থেকে এই অবস্থায় যেতে দিবো না, তবে দোস্ত তোর মামা মামী তোদের বাড়িটা হাতিয়ে নিছে, সেটার জন্য কিছু একটা করতে হবে!(তানভির)
–সেটা তুই বলতে হবে না,মামা মামী ও সাইমন তাদের আসল রূপ দেখিয়ে দিছে তাই না, তারা আমাদের বাড়ি আমাদের কাছ থেকেই হাতিয়ে নিয়ে,আমিও তাদের থেকে আমাদের বাড়িটা নিয়েই ছাড়বো, আমি আজকেই এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো!তুই আম্মু আব্বুকে তোর কাছেই রাখ,আর ভুলেও যেন জানতে না পারে তোর সাথে আমার যোগাযোগ হয়।থ্যাংক্স দোস্ত আমাকে খবরাখবর দেওয়ার জন্য।(আমি)
বলেই কল কেটে দিলাম,মেঝাজ আমার প্রচুর খারাপ হয়ে আছে কারন মামা মামীও সাইমন তাদের রূপ দেখিয়ে দিয়েছে, আমার আগের থেকেই মামা মামীকে ভালো লাগতো না, তবে সাইমনকে ভালো মনে করছিলাম,কিন্তু শেষমেষ সেও কাল সাপই প্রমানিত হইছে, তাদের আমি ছাড়তেছি না, যেদিন আমাকে অপবাদ দিয়ে অপরাধী করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় সেই দিনি দেখছিলাম সেই কালসাপটা আমার কষ্ট পাওয়া দেখে হাসতেছিলো,আমি প্রথমে এতোটা গুরুত্ব দেই নাই তবে এখন যা শুনলাম সাইমন মামা আর মামী সব গুলোকেই দেখে নিবো,তবে প্রথমে আমাকে যে করেই হোক আমাদের বাড়িটা তাদের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে হবে এরপর তাদের ব্যবস্থা নিবো।
আমি মিথ্যা অপরাধী হওয়ার পরে কেউই আমার খোজ নেই নি,একমাত্র তানভির ছাড়া,আমিও চাইলে তাদের এই অবস্থায় তাদের পাশে না দাড়াতেও পারতাম। তারা আমার বিপদে পাশে দাঁড়ায় নি বলে কি আমিও তাদের পাশে দাড়াবো না!যদি আমিও তাদের বিপদে পাশে না দাড়াই তাহলে তাদের আর আমার মধ্যে পার্থক্য কোথায়!তাছাড়াও আজ আমি তাদের বিপদে যদি পাশে না থাকি তাহলে উপরওয়ালাকে তার জবাব দিহি করতে হবে,জানি তারা আমাকে তাদের পরিবার থেকে দূরে ঠেলেই দিছে তাই বলে কি আমিও তাদের বিপদে পাশে দাড়াবো না সেটা তো হয় না,কারন আমি তাদের দ্বারাই জন্ম গ্রহন করছি,এখন একটা সুযোগ পেয়েগেছি তাদের পাশে দাড়ানোর, আর যাই হোক তাদের সন্তানই আমি আর এই বিপদে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সন্তান হওয়ার কর্তব্য পালন করতে হবে আমাকে,কারন যাই হোক এই পরিস্থিতিতে তাদের এই অবস্থায় ছড়ে যেতে পারবো না। সন্তান বলে কথা।হ্যা আমি এখন তাদের সন্তান হলেও তাদের কেউই না, তারপরেও তাদের পাশে থাকতে হবে। তবে চেষ্টা করবো তাদের থেকে নিজেকে আড়ালে রাখার, কারন আমি শুধুই তাদের বিপদেও পাশে দাড়াবো, এরপর বিপদটা কাটিয়ে দিয়ে তাদের থেকে দূরে সরে যাবো। কারন আমি বলেই দিছি তাদের কাছে ফিরবো না।শুধু বিপদের জন্য এখন তাদের কাছে যাচ্ছি তবে তাদের থেকে দূরেই থাকবো।
আমিও রুমে যাই গিয়ে দেখি সৌরভ নতুন ভাবি মুন্নি আর রিদিকা ও সেই ছেলেটা আছে,আমিও সেখানে যাই।
–কিরে কার ফোন ছিলো!(সৌরভ)
–আরে আর বলিস না, অনেক পূরানো একট বন্ধু কল দিছে তার সাথেই কথা বলতেছিলাম,(আমি)
–আচ্ছা,(সৌরভ)
এরপর আবার আড্ডা দিচ্ছে তবে আমি অন্য ভাবনায় আছি, যে কিভাবে আমি আমাদের বাড়িটা মামা মামীর হাত থেকে ছাড়িয়ে আনবো আর আম্মু আব্বুর কাছে তাদের বাড়িটা ফিরিয়ে দিবো!আমাকে যে করেই হোক বাড়িটা আব্বু আম্মুর কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
এরই মধ্যে কেউ একজন আমাকে ঝাকি দেয়, দেখলাম সৌরভ ঝাকিটা দেয়।
–কিরে অন্তর,কোন ধেয়ানে আছিস তুই!তোরে ডাকতেছি না আমি!(সৌরভ)
— না মানে,কিছু না, (আমি)
–কিছু না মানে, কি ভাবতেছিস তুই!দেখলাম একহধেয়ানেই আছিস তুই!আমাদের কথায় তোর ধেয়ানই নেই!(সৌরভ)
–আরে ভাই, যে হারামি কল দিছে না তার একটু সমস্যা হইছে তাই কল দিছে, সেটা নিয়েই ভাবতেছি!(আমি)
–কি প্রব্লেম(সৌরভ)
–ফেমেলি প্রব্লেম, তাই অনেক কথা বলছে,সরি ভাই অন্য ধেয়ানে থাকার জন্য, (আমি)
–আচ্ছা বাদ দে,তবে ভাই কথা বলতে বলতে ক্ষিদা লেগে গেছে, চল খাওয়া দাওয়া করে নি,এরপর বাকি আড্ডা হবে।(সৌরভ)
–হ্যা ভাইয়া আমারও ক্ষিদা লাগছে (মুন্নি)
এরপর আমি ছাড়া সকলেও রুম থেকে চলে যায়,আর আমি যেহুতু আজকে এলাকায় যাবো ভেবে নিছি তাই সেজন্য আমার ব্যাগ একটু অগোছালো ছিলো তা গুছিয়ে নিলাম।এরপর আমিও নিচে চলে গেলাম দেখলাম সকলে বসে আছে আর এটাও দেখলাম সবাইকে টেবিলে খাবার খাওয়ার জন্য ডাকতেছে তাই আমিও গেলাম টেবিলের দিকে সেখানে গিয়ে দেখি রিদিকা চেয়ারে বসলো,তার পাশের চেয়ার খালি,কিন্তু সেই ছেলেটা কই, তাকে দেখছি না কেন??ধুর বাদ দিলাম,রিদিকার পাশের চেয়ার খালি দেখার পরেও সেখানে বসলাম না বরং মুন্নির পাশেই বসলাম।আমার ঠিক সামনে বরাবর রিদিকা বসে আছে, তাকে দেখেও না দেখার ভান করলাম,এরপর মামাকে বসতে দেখলাম।
–মামা, আমার একটা কথা ছিলো!(আমি)
–হ্যা বল,কি বলবি??(মামা)
–আসলে মামা আমার এক ক্লোজ বন্ধু একটু সমস্যায় পড়ছে, আর সে আমাকে রিকোয়েষ্ট করছে তার সাথে দেখা করার জন্য।তাই মামা আমি কয়েকদিনের জন্য আমার নিজ এলাকায় যাবো!(আমি)
আমি দেখলাম কথাটা বলতেই সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে, বিশেষ করে রিদিকা,
–কিহহ,তুই চলে যাবি??(সৌরভ)
–হ্যা দোস্ত,আমাকে সেখানে যেতে হবে, আমার খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড আর সে এখন সমস্যায় পড়ছে তাই এখন যদি তার বিপদে না যাই তাহলে জিনিসটা খারাপ দেখাবে,(আমি)
–আচ্ছা কয়দিনের জন্য যাবি??আর কবে যাবি??(মামা)
–এই তো মামা ৪,৫ দিনের জন্য যাবো!কারন মামা বেপারটা একটু সিরিয়াস,তাই কয়েকদিন তার সাথে থাকতে হবে আমাকে।আর আজকে রাতেই রওনা দিবো??(আমি)
–মানে কি বলতেছিস তুই!অন্তর তুই কাল আমার সাথে তোর ভাবির বাড়িতে যাবি না!(সৌরভ)
–দেখ ভাই,ভাবির বাড়িতে যাওয়া যাবে ঠিক আছে তবে এখন একটা ফ্রেন্ড বিপদে পড়ছে, তাকে বিপদে দেখে তাকে এও অবস্থায় রেখে আমি কিভাবে অন্য কোথাও যাবো??আর যদি তোর সাথে ভাবির বাড়িতে যাই না সেখনে গিয়ে নিজেকে অপরাধী অপরাধী বোধ হবে, আর সেই অনুভূতি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবো না ভাই,আমি অন্য একদিন ভাবির বাড়িতে যাবো!(আমি)
–তাও ঠিক বলছিস, কিন্তু অন্তর তুই পাশে থাকলে না আমার থেকে একটু সাহস আসে, কিন্তু এটাও চাই না তুই খারাপ ফিল করে ঘুরাফেরা করিস, আচ্ছা যা সমস্যা নেই,তবে আমার সাথে যোগাযোগ রাখবি! (সৌরভ)
–অবশ্যই দোস্ত,সেটা কি বাদ যাবে নাকি??(আমি)
এরপর সকলেই খাবার খেয়ে নিলাম আর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমিও রুমের দিকে চলে গেলাম,সেখানে গিয়ে আমি শুয়ে আছি তখনি রুমে মামী আন্টি আংকেল মামা রুমে আসে।
–আরে আপনারা! আসেন! (আমি)
এরপর আংকেল আন্টি মামা মামী রুমে এসে বসে!
–তোর থাকতে কোনো সমস্যা হয় নাই তো!(আংকেল)
–না আংকেল কোনো সমস্যা হয় নাই,আমি একদমই ভালো ভাবেই ছিলাম রুমে।(আমি)
–তো তুমি কি সত্যিই আজকে চলে যাবা??(আন্টি)
–জি আন্টি আসলে একটু বেশি দরকার সেখানে যাওয়া!(আমি)
–আচ্ছা যাবি ভালো কথা, আমাদের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ রাখবি!(আন্টি)
–আরে আন্টি এটা তো অবশ্যই তা মিস হবে নাকি!আপনাদের সাথে তো অবশ্যই যোগাযোগ করবো!কারন আপনারা আমার যেভাবে খেয়াল রাখছেন, আমাকে গুরুত্ব দিছেন তা ভুলে যাওয়ার মতো না, (আমি)
এরপর তারা আমার সাথে বিকাল পর্যন্ত কথা বলে, সন্ধায় আমরা সকলে নাস্তা করে নিলাম এরপর আমি রুমে গিয়ে রেডি হয়ে নিলাম এরপর ব্যাগ নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে সোজা হল রুমের দিকে গেলাম, সেখানে গিয়ে সকলের থেকে বিদাই নিতে লাগলাম,
–সাবধানে যাইস, আর পোছে আমাকে কল দিবি কেমন!(মামী)
–জী মামী!চিন্তা করিও না, শুধু আমার জন্য দোয়া করিও যেন আমি যেকাজটার জন্য যাচ্ছি তা যেন সফল ভাবে করে আসতে পারি!(আমি)
–দোয়া তো তোর জন্য করবোই,তবে উল্টা পাল্টা কিছু করবি না বলে দিলাম(মামী)
–উল্টা পাল্টা মানে কি বুঝাইছো তুমি মামী(আমি)
–মানে, বলছি সোজা যাবি তোর বন্ধুর বিপদে সাহায্য করবি,এতোটুকুতেই ব্যাস,এর বাহিরে আমি যেন কোনো কিছু যেন না শুনি!(মামী)
–মামী,তুমি আমাকে এভাবে বলতে পারলা!আর আমাকে দেখে কি ঐটাইপের ছেলে মনে হয় নাকি!আমি পিয়র ভালো ছেলে!তাহলে এই কথাটা বলতে পারলা তুমি!(আমি)
–শুন,ভালো ছেলে তা আমিও জানি কিন্তু নিজের এলাকায় গেলে না শরীরে একটু পাকনা গজিয়ে যায়,আর বহুত কুকাজ করতে মন চাইবে, ভুলেও সেই সবের খবর জেন আমি না শুনি!(মামী)
–যাও মামী ইন্সাল্ট করলা,কথা বল্মু না,(আমি)
এরপর সকল থেকে বিদাই নিয়ে গাড়ির কাছে চলে যাই,আংকেল গাড়ি নিয়ে বসে আছে আমাকে বাসস্টেশনে পোছে দেওয়ার জন্য। মামাও যাবে আংকেলের সাথে।আমিও ব্যাগ নিয়ে গাড়িতে বসে পড়লাম,এরপর মামা বসে আর আংকেলও গাড়ি স্টাট দেয়!
–এই দাড়াও,
আমরা গাড়ি থেকে বাহিরে দেখলাম, আমি দেখলাম রিদিকা ব্যাগ নিয়ে গাড়ির কাছে আসতেছে আর এসেই সোজা আমার পাশে বসে পড়ে বিষয়টা দেখেই আমি থ হয়ে আছি,
–এই তুমি ব্যাগ নিয়ে আসলা কেন?তুমি আবার কই যাও(আমি)
–আসলেই তো রিদিকা মামনি তুমি আবার ব্যাগ নিয়ে আসলে কেন??(আংকেল)
আমি দেখলাম মামীও আসে,
–কিরে তুই ব্যাগ নিয়ে গাড়িতে বসলি কেন??(মামী)
–আরে ও তো ফুফিদের এলাকায় যাচ্ছে আর ফুফিও অনেকদিন যাবৎ বলতেছিলো তাদের বাড়িতে যেতে তাই চিন্তা করলাম যেহুতু ও যাচ্ছে আমিও তার সাথে চলে যাই, (রিদিকা)
–মানে,আমি ঐ এলাকায় কি ঘুরতে যাচ্ছি নাকি, আমি একজনের বিপদে যাচ্ছি আর আমি তোমার ফুফির বাড়ির দিকে যাচ্ছি না,তার থেকে কিছুটা দূরে যাবো!(আমি)
–সমস্যা নেই,আমি বাস স্টেশন থেকে সিএনজি নিয়ে ফুফিদের বাড়িতে চলে যাবো!(রিদিকা)
–না না, এটা ঠিক হচ্ছে না,একা মেয়ে বাসস্টেশন থেকে একা চলা ফেরা করবে, এটা মোটেও ঠিক না,(আমি)
–তুমি বললে হবে নাকি,আমি আব্বুর সাথে এই বেপারে কথা বলেই ফেলছি,কি বলো আব্বু!(রিদিকা)
কথাটা শুনেই আমি বেক্কেল হয়ে গেলাম,রিদিকা যে আমার সাথে যাবে সেটা মামাকে বলে ফেলছে, কিন্তু মামা আমাকে কিছুই বলল না,
–অন্তর থাক নিয়ে যা,তুই তাকে আপুর বাড়িতে পোছে দিস, কষ্ট করে, আর আপুও অনেক বলছিলো রিদিকাকে পাঠাতে কিন্তু একা মেয়ে বলে তাকে পাঠানোর সুযোগ পাই নাই যেহুতু তুইও একই এলাকায় যাবি তাই নিয়েই যা!(মামা)
বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই,আমি এমন পরিস্থিতির জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না, কারন আমি যাচ্ছি আমার কাজে,সেখানে আমার আপন মামারা আমাদের সাথে বেইমানি করে আমাদের বাড়িটা হাতিয়ে নিছে সেটা তাদের হাত থেকে ছুটানোর জন্য, এখন যদি রিদিকা আমার সাথে যায় তাহলে সে আমার সত্যিটা জেনে যেতে পারে যেটার সম্ভনা আছে অনেক,আমি মামা মামী ও বাকিদের বুঝদিলাম আমার ফ্রেন্ডের বিপদ হইছে তাই যাচ্ছি কিন্তু প্রকৃত সত্যি হচ্ছে আমার নিজের আম্মু আব্বুর বিপদে আমি যাচ্ছি,এখন যা দেখতেছি এতোটুকু বলতে পারতেছি রিদিকা আমার সাথেই যাচ্ছে আর সে সেখানেই যাচ্ছে সেখানে আমি যাবো ও আব্বু আম্মু আছে আর যদি রিদিকার সাথে একবার আমার আব্বু আম্মুর সাক্ষাৎ হয় তাহলে আমার সকল সত্যি ফাস হয়ে যাবে ও আমি আব্বু আম্মুর থেকে আড়ালেও থাকতে পারবো না।
চলবে…………..
ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর লাইক ও গল্প ভিত্তিক কমেন্ট করে পাশে থাকুন।সেয়ার করুন আর পরর্বতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
পার্ট 13
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/399853502009906/
পার্ট 11
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/399279482067308/