এমনও প্রেম হয় পর্ব:-১৯

0
1029

#এমনও_প্রেম_হয়
#ইয়ানা_রহমান
#পর্ব:-১৯

উদয় লিয়াকে বলছে, সারাদিন আমাদের মাঝে যত ঝগড়া, রাগারাগি,
মনোমালিন্য হোক না কেন রাতে আমরা একে অপরকে ছেড়ে
থাকবো না। দুজন দুজনকে বুকে নিয়ে ঘুমাবো।

এই বলে লিয়াকে বুকের ওপর নিয়ে দুই হাত দিয়ে জোরে চেপে ধরলো। সাথে শুরু করলো উত্তেজনাময় দুষ্টামি।

কি হচ্ছে এসব, থামুন এবার আমাকে ঘুমাতে দিন কেপে কেপে বললো লিয়া।

আমি কি করবো বলো, চাইলেও থামতে পারছি না। নিজেকে কন্ট্রোল করা মুশকিল লাগছে।

আর এমন করলে আমি ফ্লোরে গিয়ে ঘুমাবো। সকালে উঠে দেখবেন আমার গায়ে একশ পাঁচ ডিগ্রি জ্বর। চলবে তাহলে! বিছানা থেকে নেমে যেতে চাইলো।

ওকে ওকে আমি আর কিছু করবো না তুমি এখানেই ঘুমাও।

ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চুলে বিলি কেটে দিতে থাকলো।

লিয়ার খুব অসস্তি লাগছে। কিন্তু মুখে কিছুই বললো না।
চোখে ওর এক রাজ্যের ঘুম। কিন্তু ঘুমাতে পারছে না ভয়ে। অসভ্য লোকটার অসভ্যতার ভয়ে।

একসময় ঘুমিয়ে পড়লো।

আর উদয়ও লিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে কিছুক্ষণ পর
ঘুমিয়ে পরলো।

সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে গেল অনেক। সারা রাততো ঘুমায়নি দুজন। প্রায় পুরো রাত গল্প করেছে।

উদয়ের মা দরজা নক করছে আর উদয় বলে ডাকছে।

উদয় লিয়ার অগোছালো জামা কাপড় ঠিক করে দিয়ে মাথাটা বালিশের ওপর রেখে কাত করে ঠিকমত শুইয়ে দিলো।

হাত দিয়ে নিজের চুলগুলি ঠিক করে নিলো।

তারপর দরজা খুলে দিলো।

ছেলের কপালে হাত দিয়ে জ্বর আছে কিনা দেখলো হেলেন খান।
সামান্য জ্বর আছে এখনও।

লিয়া তখনও ঘুমে।
হেলেন চোখ বড় বড় করে বলল,
ও এখনও ঘুমাচ্ছে কেন?

একটু হেসে দিয়ে বললো, বৌকে আনলাম ছেলের দেখাশুনা করতে, আর ও পরে পরে ঘুমাচ্ছে এতবেলা অব্দি।

মা রাতে আমার আবার জ্বরটা বেড়েছিল, তখন ও সারারাত বসে বসে আমার মাথায় জল পট্টি দিয়েছে। ঘুমায়নি একটুও।
কিছুক্ষণ আগেই ঘুমিয়েছে।

থাক তাহলে এখন আর ডাকিস না আর একটু ঘুমাক।

একটু পরে ডেকে দিস নাস্তা খাবে।

তোর জ্বর বেড়েছিল, তাহলে আমাকে ডাকেনি কেন?

আমি তো ডাকতে বলছিলাম, ও ছোট মানুষ, কতটুকুই বা বোঝে।

লিয়া ডাকতে চেয়েছিল,
আমি তোমাকে ডাকতে মানা করেছি।
সারাদিন তুমি কতো খাটাখাটনি করো, রাতে একটু ঘুমিয়েছ তাই আর ডাকতে দেইনি।

আচ্ছা তুই ফ্রেশ হয়ে নে, আমি তোর জন্য চা নাস্তা নিয়ে আসি।
ওষুধ খেতে হবে।

পুত্রবধূর দিকে একবার তাকিয়ে বেরিয়ে গেল হেলেন।

মা চলে যাওয়ার পর দরজা লক করে লিয়ার কাছে গেলো,
দুই হাতের মধ্যে ওর মুখটা ধরে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলো।

বিরবির করে বললো, বড্ডো বেশি ভালোবাসি তোমাকে পিচ্চি।

এই পিচ্চি বউটার মাঝে লুকিয়ে আছে আমার প্রাণ ভোমরা।
তুমি আমার জান। তারপর ওর কপালে একটা গাঢ় চুমু এঁকে দিলো।

তুমি কি কখনোই বুঝবে না, আমার ভালোবাসার
টান কতখানি তোমার জন্য।

ওর নাকে নাক ঘষে দিলো। গালের সাথে গাল ঘষে দিলো।

উদয়ের গালের খোচা খোঁচা দাড়ির ঘষাতে শিউরে উঠলো লিয়া। তবুও চোখ খুললো না। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলো।

ওর চুলে হাত বুলিয়ে ডাক দিলো উদয়।

লিয়া জেগেই ছিল ঘাপটি মেরে চোখ বন্ধ করে পড়ে ছিলো।
মা ছেলের কথা শুনছিল আর মনে মনে হাসলো, উদয়ের বলা মিথ্যাগুলো শুনে।

চোখ খুলছে না দেখে উদয়ের মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেলো। সে লিয়া ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ালো।

লিয়া দ্রুত চোখ খুলে তাকিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো।
বললো মাকে মিথ্যা বললেন কেন …..?

ওরে দুষ্টু তুমি জেগে ছিলে!? ফাজিল একটা ঘুমের ভান করে আমাদের মা ছেলের কথা শোনা হচ্ছিলো!

আর কোনটা মিথ্যা বলছি!

আপনার জর বেশি হইছিলো, আমি সারারাত আপনার মাথায় জলপট্টি করছি, এইসব কি মিথ্যা কথা না!

মিথ্যা কই বললাম, সেবাই তো করেছো, আমার গল্প শুনে রাত জেগে ছিলে, এটা আমার সেবার চেয়ে কোন অংশেই কম না।

এই সেবাটাই আমার শরীরের জন্য আর মনের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী ছিলো।

লিয়াকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আরও কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলো উদয়।

লিয়া ওর বাহুডোরে থাকতে চাইলো না।
মোরামুরি করতে থাকলো। সরে যেতে চাইছে।

উদয় বলে একদম নড়বে না। চুপ করে শুয়ে থাকো।

আমাকে ফিল করতে দাও যে, আমার পিচ্চি বউ আমার বুকেই আছে। আমি কোন স্বপ্ন দেখছি না।

সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর, চোখ খুলে গেলেও অনেকক্ষণ বৌকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকবো, এটাও আমার চাওয়া গুলির মধ্যে একটা।

একটু পর লিয়াকে
বললো,এখন ওঠো, ওয়াশরুমে যাও ফ্রেশ হয়ে এসো।
মা নাস্তা আনতে গেছে।

লিয়া বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবছে…..
বুঝতে শিখার পর কোনদিন কারো সাথে রুম শেয়ার করিনি।

মামার বাসায় গেলে কাজিন বোনদের সাথে আড্ডা দিতে আর গল্প করতে করতে রাত পার হয়ে
যেত। জেগেই রাত পার করেছি সেখানে।

আর এখানে সম্পূর্ণ আলাদা পরিবেশ, নতুন লোকজন, যার সাথে রাত পার করলাম তার চেহারাওতো আগে দেখিনি।
তার সাথে রুম শেয়ারতো করলামই,বেড শেয়ারও করলাম।

সময় আর পরিস্থিতি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ভেবে অবাক হচ্ছি।

লিয়া ব্যাগ থেকে টুথব্রাশ হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে দাঁত ব্রাশ করে চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিতেই ঝাপসা চোখে আয়নায় নিজের চেহারা দেখে চিন্তা করছে,
কোথায় ছিলাম,
কোথায় থাকার কথা, আর কোথায় আছি।

মন তুমি ঘুরে বেড়াও নানান রঙে রঙিন প্রজাপতি হয়ে, দূর দূরান্তে….. ।
তোমাকে ধরা যায় না, ছোয়া যায় না, কিন্তু মন তোমার
ঠিকানা খুঁজে না পেয়ে দেহটা আমার বেদনায় নিল হয়ে গেছে।

এই নিল বেদনা ছাড়লো না আমায়।
এই বেদনাগুলো প্রতি নিয়ত আমাকে কষ্ট দিয়ে যায় আর বলে …
তোর জন্মই হয়েছে
সকল কষ্ট সহ্য করার জন্য আর কষ্ট লুকিয়ে রাখার জন্য।

উদয় অন্য রুমের ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘরে এসে বসেছে। ওর মা নাস্তা নিয়ে এলো।

লিয়া শাশুড়িকে নাস্তা নিয়ে আসতে দেখে বললো মা
আমরাতো টেবিলেই যেতে পারতাম। কষ্ট করে এখানে নিয়ে এলেন কেন?

আচ্ছা, ঠিক আছে এখন এখানে খাও,
দুপুরে টেবিলে বসে সবার সাথে খেও।

দুজনের নাস্তা শেষ হলে উদয়কে ওষুধ গুলো দিয়ে দিও।

লিয়া কি যেনো ভেবে চলছে…. নাস্তায় মনোযোগ নেই তার।
উদয় খেয়াল করলো ব্যাপারটি,
কি এতো ভাবো সারাক্ষণ!?

তারপর নিজ হাতে লিয়াকে নাস্তা খাইয়ে দিলো।
নিজেও নাস্তা খেয়ে নিলো। ওষুধ খেলো।

লিয়া নাস্তার খালি প্লেট পিরিচ গুছিয়ে শাশুড়ি মার কাছে গেল।
মা কিছু করতে হবে,
তাহলে আপনার সাথে করি।
না, মা কিছু করতে হবে না। আমি (কাজের বুয়াকে দেখিয়ে) ওকে নিয়ে সব কাজ করে ফেলবো।

তুমি নতুন এসেছো, এখনই কি কাজ করবে।
একদিনতো তোমাকেই সব সামলাতে হবে, এখন তুমি শুধু আমার ছেলের দিকে খেয়াল রেখো।
ওর কি লাগে না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রেখো,
তাহলেই হবে।
এখন ঘরে যাও, ও একা আছে।

লিয়া এদিক ওদিক উকি দিচ্ছে বাসাটা খুব চুপচাপ, কেউ নেই নাকি?

হেলেন বললেন, এখন বাসায় কেউ নেই। সবাই যার যার কাজে বেরিয়ে গেছে।
তোমার শশুর অফিসে, উচ্ছাস ভার্সিটিতে, রিমি কলেজে।

ঘরে যাওয়ার সময় উদয়ের দাদুর সাথে দেখা হলো লিয়ার।
গতকাল দাদুর সাথে দেখা হয়েছে কিন্তু সালাম দেয়া ছাড়া কোন কথা হয়নি।

লিয়া দাদুকে সালাম দিয়ে আবার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো।

দাদু কেমন আছেন
আপনি, শরীর ভালো আছে আপনার?

হ্যা, দাদু ভাই আমি ভালো আছি।
তোমাকে এই বাড়িতে দেখে ভালো লাগছে।
দাদুর সাথে বসার ঘরে বসে কতক্ষণ কথা বললো।
দাদু নানান ধরনের কথা জিজ্ঞেস করলেন।
আমার দাদু কেমন আছে, জিজ্ঞেস করলেন।
তাদের বন্ধুত্বের পুরনো দিনের অনেক গল্প করলেন।
তারা কতটা প্রিয় বন্ধু আর আর আপনজন তাও বললেন।

উদয়ের জ্বর কি কমেছে? এখন কি অবস্থা?

এখন জর অনেকটাই কম।

জ্বর আবার থাকে কি করে জ্বরের ওষুধ যে চলে এসেছে বলেই হাসলেন।

লিয়া লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেললো।

কি করছে ও চলো ওকে একটু দেখে আসি।

লিয়া আর দাদু ঘরে ঢুকলে উদয় বললো,

এসো দাদু, বসো_
দাদু ওর কপালে হাত রেখে দেখলেন, এখনও
জ্বর আছে।

দাদু দুষ্টামী করে বললেন,
তা তোমার বাসর কেমন কাটলো?

আর বাসর,
জ্বরেই আমার অবস্থা খারাপ করে ফেলছে।

কালকে মাথা ব্যাথা আর জরে আমি পাগল হয়ে গেছিলাম, সেই চরম অবস্থা দেখেই তো মা লিয়াকে এ বাড়িতে
নিয়ে এলো।

কোথায় ভাবলাম
বউ সাজিয়ে ধুমধাম করে খুব তাড়াতাড়ি ওকে ঘরে তুলে আনবো। কিন্তু আমার অসুখের জন্য এইভাবে ওকে এখানে আসতে হলো।
যা আমি মোটেও চাইনি।

মা লিয়াকে এনে শুধুই অস্বস্তিতে ফেললো, অপ্রস্তুত করলো। বেচারী নতুন জায়গা নতুন পরিবেশে এসে বিপাকে পড়েছে।

এ বাড়ি ওর নিজের বাড়ি বিপাকে পড়বে কেন? দাদু ভাই তুমি যেমন করে খুশি এখানে থাকবে, লিয়ার দিকে তাকিয়ে। এখানে তোমার ভুল ধরার কেউ নেই। তুমি বাড়ির প্রথম বউ তোমার পাওয়ার অনেক বুঝেছো!

তারপর দাদু আরও দু চারটা অন্যান্য কথা বলার পর
বললেন, তোমরা গল্প করো, একে অন্যের কাছে এসো, দুজন দুজনকে ভালোভাবে জেনে নাও। তবেই
তোমাদের সম্পর্ক সহজ হবে।

দাদু চলে গেলেন ঘর থেকে।

বউ দরজা লক করে দিয়ে আসো।

লিয়া একটু অবাক হয়ে তাকালো। এই দিনের বেলা দরজা বন্ধ করতে বলছে কেন?

যা বলছি তাই করো। এক কথা দুইবার বলতে আমি পছন্দ করি না। দরজা লক করে এখানে এসো।

লিয়া দরজা লক করে দিলো।

ভয়ে ভয়ে সামনে যেতেই লিয়ার হাত ধরে নিজের কাছে টেনে নিলো।

দুই হাত দিয়ে ওর মুখটা কাছে এনে,
নিজের ঠোট লিয়ার ঠোঁটের সাথে চেপে ধরলো।
দখল করে নিলো লিয়ার অধর ওষ্ঠ।
ভালোবাসার রাজ্যে হারিয়ে গেল সে। জোরে একটা কামড় দেয়ার লিয়ার ঠোঁট কেটে যায়।

ব্যথায় লিয়া উদয়কে ধাক্কা দিয়ে ঠোঁট ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় চলে গেলো।

ঠোঁট ছাড়িয়ে নেওয়ার সময়ও ঠোঁটে যথেষ্ট
ব্যাথা পেয়েছে। ঠোঁট কেটে রক্ত বেরিয়েছে।
বারান্দায় বসে কান্না করে দিলো লিয়া।

উদয় হতভম্ব হয়ে গেলো। লিয়ার কাছে গিয়ে ওকে ধরে দাড় করায়, চোখের পানি মুছে দেয়।
কি হইছে তোমার, আমাকে খুলে বলো।
আমি তোমার সব কথা শুনবো।

বিয়ের দিনই তোমাকে বলছিলাম, তুমি আমাকে বন্ধু ভাবতে পারো। তোমার কোন কথা থাকলে আমাকে বলতে পারো অনায়াসে।

ও কাদতে কাদতেই বললো, আমি এতো তাড়াতাড়ি এসবের মাঝে জড়াতে চাইনি।
আমি পড়তে চেয়েছি। আমাকে না বলে, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই বিয়ে দেয়া হইছে।

ও এই ব্যাপার! আর এই জন্য এতো কান্নাকাটি!
তুমি পড়তে চাও খুব ভালো কথা, আমি তোমাকে আমাদের এদিকে কোন একটা ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে দিবো। আর বিয়ের কথা বলছো, এটা অস্বীকার করার সুযোগ তোমার আমার কারোই নেই।
দুই পরিবারের সবার সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হইছে।

স্বামী স্ত্রীর দৈহিক সম্পর্ক সেতো আদিম যুগ থেকে চলে আসছে আমরাও এর বাইরে নই। এই সম্পর্ক তোমাকে মেনে নিতেই হবে।
তুমি আমার ওয়াইফ। তোমাকে কাছে পাওয়ার অধিকার আমার আছে।

আমিও রক্ত মাংসে
গড়া মানুষ।
তোমাকে একান্ত কাছে চাইতেই পারি।

আমি অতি সাধারন মানুষ।
কোন মহাপুরুষ না।
তুমি আমায় ভালোবাসো না তাই আমার কাছ থেকে দূরে থাকলেও তোমার কিছু এসে যায় না কিন্তু আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। হয়তো নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি তোমাকে। তাই তোমাকে ছেড়ে থাকা আমার জন্য একেবারেই অসম্ভব। এই কথা বলে দুই হাত বাড়িয়ে দেয় ওর দিকে।
উদয় লিয়ার একদম কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।

অনিচ্ছা স্বত্বেও কাদতে কাদতে লিয়া ধরা দিলো উদয়ের বাহুডোরে।

(বানানের ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন)

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here