এমনও প্রেম হয় পর্ব:-৩০

0
892

#এমনও_প্রেম_হয়
#ইয়ানা_রহমান
#পর্ব:-৩০

হঠাৎ করেই স্নোফল শুরু হয়। এতে জিয়ানরা খুব বিপাকে পড়ে যায়। ঘুরতে এসে একি মুসিবত। এমন হবে কে জানতো!

কোথায় ভাবলাম ঘুরে ফিরে এলে মন চাঙ্গা হবে, সেখানে চরম বিরক্তিতে ছেয়ে গেলো। মেজাজ খারাপ লাগছে। রাগে গা জ্বালা করছে।

.
এতো ঠান্ডায় পা এগুতে পারছে না কেউই। শরীরে মোটা ওভার কোট হ্যান্ড গ্লাভস পায়ে বুট জুতো থাকার পরও কনকনে ঠান্ডায় দাতে দাত বারি খাচ্ছে।
আশেপাশে কোন ঘর বাড়ি দেখা যাচ্ছে না। ওরা একটু একটু করে হেঁটে যাচ্ছে, চারিদিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখছে কোথাও কোন আশ্রয়স্থল দেখা যায় কিনা।

.
ওরা ওদের ভার্সিটি এরিয়ার বাইরে শহর ছেড়ে অনেকদূর চলে এসেছে। ভেবেছিল সারাদিন ঘুরঘুরি করে সন্ধায় ফিরে যাবে।

.
ছেলেগুলি শীতের তীব্রতা সহ্য করতে পারলেও মেয়েরা পারছে না মোটেও। মেয়েরা ঠান্ডায় জমে গেছে যেনো।

.
গ্রুপে তিনজন মেয়ে আর পাঁচ জন ছেলে। এই আটজন একসাথে ঘুরতে বেরিয়েছে।

.
ওদের সাথে হ্যান্ড ব্যাগ আর ছাতা ছাড়া আর কিছু নেই। সাথে কিছু থাকলে হাটতে আরো কষ্ট হতো।

.
অনেকটা পথ হাঁটার পর ওরা একটা কটেজ দেখতে পেলো। সবার মাঝে প্রাণের সঞ্চার হলো। সবাই যেনো একটু স্বস্তি ফিরে পেলো।

.
কটেজে ঢুকার মেইন দরজায় তালা লাগানো দেখলো। এখন উপায়?
কি করবে ভাবছে। একটু আশার আলো দেখেছিলো সেটাও নিভুনিভু প্রায়।

.
ওরা কটেজের পিছন দিকের জানালার একটা গ্লাস ভেঙ্গে
কটেজে ঢুকে পরলো।

.
কটেজটা বেশ পরিচ্ছন্ন। দেখেই বোঝা যায় এখানে কোন ভদ্র ফ্যামিলি বাস করে।

.
ওরা ফায়ার প্লেসে আগুন জ্বেলে মেয়েদের আগুনের সামনে বসিয়ে দিলো গায়ে একটু তাপ সঞ্চয় করতে।

.
লিলি, জেনি, ফ্লোরা আগুনের তাপ নিয়ে দুই হাতের তালু ঘষে গালে গলায় কানে ছোঁয়ায়। এটা দেখে ছেলেরা হেসে ফেলে।

তোমরা এতো দুর্বল কেন? এইটুকু শীতেই জমে গেছো। যদি এই কটেজটা না পেতাম তাহলে তোমরা তো ঠান্ডায় মরেই যেতে।

.
জিয়ান বললো, ওদের এইসব কথা বলে লাভ কি? আমারও একই অবস্থা। আমিও ভীষন শীত কাতর।

আমিতো তোদের সাথে আসতেই চাইনি, খামোখাই একটা ঝামেলা হয়ে গেলো। এখান থেকে কখন বের হতে পারবো কে জানে?

.
তুষারপাত আরো বেড়ে গেলেতো এখান থেকে বের হতে পারবো না তখন সমস্যার শেষ থাকবে না। কটেজের মালিক এসে পুলিশ ডেকে ঝামেলা করবে না হয় বাইরে বের করে দিবে। তখন কি হবে। কোথায় যাবো, আমাদের সাথে তিনটা মেয়েও আছে। অচেনা জায়গা, বিপদ কোথায় ওত পেতে আছে কে জানে!? মেয়েগুলোকে সেফ পৌঁছে দিতে পারলেই নিশ্চিন্ত হতে পারবো।

.
লিলি জিয়ানের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। এই ছেলেটা এতো ভালো কেনো? ওর চিন্তাধারা অনেক উন্নত। মেয়েদের খুব সম্মান করে। মেয়েদের সেফটির কথা খুব ভাবে। আজ যেখানে নিজেদের জীবনই সংকটে সেখানেও সে আমাদের নিয়ে ভাবছে।

.
ইন্ডিয়ান ফ্রেন্ড গৌতম বললো কটেজের মালিক যখন আসবে তখনকারটা তখন দেখা যাবে। আমরা তো ইচ্ছে করে আসিনি। বিপদে পরেই আশ্রয় নিয়েছি। আমরা কোন চোর ডাকাত নই। আমরা নামী দামী একটা ভার্সিটির স্টুডেন্ট। আমাদের কাছে ভার্সিটির কার্ড আছে, সেটা দেখলে আর কিছু বলবে না।

.
স্টিভ বললো, এই অবস্থায় একটু কফি হলে বেশ হতো। শরীরে চাঙ্গা ভাব চলে আসতো।

.
জিয়ান বললো, কফি খেয়ে তারপর বলবি সামান্য কিছু খেতে পারলে ভালো হতো। তারপর বলবি খেয়েছি যখন এখন একটু ঘুমিয়ে নেই।

.
জিয়ানের কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।

.
আর স্মিথ বললো, মন্দ বলিসনি। খাবারের চেয়ে ব্ল্যাংকেট মুরিয়ে একটা ঘুম খুব দরকার। হেঁটে হেঁটে টায়ার্ড হয়ে গেছি।

.
স্টিভ বললো যা ঐ ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়, ঘুম ভাঙ্গলে কাল/পরশু চলে আসিস। একথা শুনে আবার সবাই হেসে ফেললো।

.
পিছনের দিকের যেই জানালার কাচ ভেঙ্গে ওরা ভিতরে ঢুকেছিল সেখান দিয়ে হু হু করে ঠান্ডা বাতাস ঢুকছে। জিয়ান সেটা কোনভাবে বন্ধ করলো একটা ড্রেসিং টেবিল টেনে দিয়ে। এখনও ঠান্ডা হাওয়া আসছে কিন্তু আগের মত না।

.
লিলি, ফ্লোরা, জেনি তিনজনে আগুনের সামনে থেকে উঠে গিয়ে ছেলেদের বললো তোমরা এখানে বসো। যতই স্ট্রংই হও না কেন, কোন ভাবে ঠান্ডা লেগে জ্বর আসলে কালকে আর ক্লাস করা লাগবে না। ব্লাংকেট মুরি দিয়ে বিছানায় পড়ে কোকাতে হবে।

.
মেয়েরা পুরো কটেজটার এমাথা থেকে ওমাথা ভালো ভাবে দেখলো। তারপর গেলো কিচেনে।

.
কিচেনে গিয়ে কেবিনেট থেকে খুজে খুঁজে কফি চিনি দুধ বের করে কফি বানাতে লাগলো ফ্লোরা।

.
লিলি ফ্রীজ খুলে
কিছু সবজি পেলো। ডিম পেলো। কিচেন কেবিনেটে স্প্যাগেটি দেখেছে আগেই, সেগুলি নিয়ে স্প্যাগেটি রান্না করলো।

.
জেনি কাপ প্লেট চামচ রেডি করলো খাবার আর কফি পরিবেশন করতে।

.
একসাথে বসে সবাই একটু একটু স্প্যাগেটি খেয়ে গরম কফিতে চুমুক দিলো। আঃ সারাদিনের ক্লান্তি যেনো দুর হয়ে গেলো।

এঁটো কাপ প্লেট ধুয়ে জায়গা মত রেখে দিলো। তারপর সবাই বসে গল্প করতে লাগলো। জিয়ানের বন্ধুরা আজকে বুঝে গেছে লিলি জিয়ানকে ভালোবাসে। জিয়ানের সাথে ঘেঁষে বসা, জিয়ানের দিকে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে থাকা কারো নজর এড়ায়নি। সামনা সামনি কেউ কিছু বলেনি। পরে জিয়ানকে জিজ্ঞেস করবে ভেবে চুপ করে রইলো। স্টিভের ভালো লাগেনি ব্যাপারটা। স্টিভ লিলিকে পছন্দ করতে শুরু করেছে।

.
সন্ধ্যার কিছু আগে তুষারপাত কিছুটা কমে এলে ওরা বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলো। ফায়ার প্লেসের আগুন নিভিয়ে দিলো। যা অগোছালো করেছিলো, সব গুছিয়ে রাখলো।

.
জিয়ান একটা চিরকুটে সরি লিখলো, খুব বিপদে পড়ে তাদের বাসায় বিনা অনুমতিতে জানালার গ্লাস ভেঙে প্রবেশের জন্য। তাদের ফ্রিজে রেখে যাওয়া খাবার খাওয়ার জন্য, সব কিছুর জন্য সরি লিখলো।

.
চিরকুটের সাথে কিছু ডলারও সেন্টার টেবিলের ওপর একটা শো পিস দিয়ে চাপা দিয়ে রাখলো।

.
স্মিথ বললো ডলার না রাখলেও চলতো, আমরা তেমন কিছুই খাইনি।

.
জিয়ান বললো আমাদের ধর্মে অনুমতি না নিয়ে কিছু নেয়ার ব্যাপারে নিষেধ আছে। কারো কোনো জিনিস না জিজ্ঞেস করে নেওয়াকে চুরি করা বলে। আর চুরি করা মহাপাপ।

.
আমি এখন ডলার না রেখে গেলে আমার বিবেক আমার ছাড়বে না। দংশন করতেই থাকবে। তাই বিবেকের দংশন থেকে বাঁচার জন্য কাজটা করলাম। এবার চল বেরিয়ে পড়ি।

আমরা সবাই খেয়েছি তুই একা পে করবি কেন?
.

কোন ব্যাপার না চল বেরিয়ে পরি। যে পথে এসেছিলো সেই পথেই বেরিয়ে গেলো ওরা।

.
এভাবে কেটে গেলো কিছু মাস।

.
উদয় আবার অসুস্থ হয়ে পড়লো। এবারের অসুস্থতা খুব বেশি। গায়ে সবসময় জ্বর থাকে। খেতে পারে না একদম। যেটুকু খায় বমি করে ফেলে দেয়।

উদয়ের মা খুব কান্নাকাটি করলো। আর বলতে থাকলো কবে আমার ছেলে এতো অসুস্থ হলো, আমিতো টেরই পেলাম না। জন্ডিস তো প্রায় মানুষেরই হয়। আমারও এক দু বার হয়েছিলো। কই আমিতো অসুস্থ হইনি।

.
ডক্টর উদয়কে অনেক খাবার একদম নিষেধ দিয়ে দিলেন। ফলমূলও নিষেধ করলেন। চা কফিও নিষেধ করে দিলেন।

প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন খেতে বললেন। এই অসুখে শরীরে প্রোটিন তৈরী হয় না।
তেল ছাড়া সবজি আর কাচা পেঁপে সিদ্ধ করে খেতে বললেন। পাঁচটা ছয়টা ডিমের সাদা অংশ খেতে বললেন।

সবাই খুব মন খারাপ করে বাসায় ফিরে এলাম। কি থেকে কি হয়ে গেলো।

.
তারপর লিয়া নিজে উদয়ের সব রিপোর্ট নিয়ে আরো দুই জন ডাক্তারের সাথে কনসালট করেছে। তারাও একই কথা বলেছে ।

লিয়া খুব ভেঙে পরলো। উদয়ের অগোচরে শুধু কাদে।
আমার স্বামীর শরীর এতোটা খারাপ কবে হলো, আর এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কবে হলো জন্ডিস ! এ কেমন জন্ডিস? কোন লক্ষনই তো দেখিনি কোনদিন।

আমি তো জানি বিলুরুবিণ বাড়লে চোখ হলুদ হয়। হাত পা শরীর হলুদাভ হয়ে যায়।

এগুলি তো আমার চোখে কোনদিন পড়েনি। খাওয়া দাওয়াও স্বাভাবিক দেখেছি। ওর জীবন যাপন, দৈনন্দিন কাজকর্মও স্বাভাবিক ছিল। তবে কবে বিলুরুবিন নামক এই ঘুণ পোকা ওকে ভিতর থেকে শেষ করে দিলো। আমার চরম সর্বনাশ করে ছাড়বে এই ঘুণপোকা।

.
উদয় লিয়াকে সুযোগমত একা পেয়ে কাছে টেনে নিলো। জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ আদর করলো। লিপ কিস করতে গেলে লিয়া বাধা দিলো। লিপ কিস করতে বাধা পেয়ে গলায় গভীরভাবে চুমু খেলো। তারপর বললো, তোমাকে এতো আপসেট দেখাচ্ছে কেন?

ডক্টর আমাকে রুম থেকে বের করে দিয়ে সেদিন তোমাকে কি বলেছে বলো আমায়।

.
তারপর অন্য ডাক্তারের কাছেও তুমি গেছো, তারা কি বললো, সেগুলোও তো আমাকে কিছুই বললে না।

খারাপ কিছু বলছে কি?
আমি খুব শীঘ্রই মরে যাবো বলছে?

.
লিয়া খুব রাগ হয়ে ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো বললো, বাজে কথা বলবেন না। আপনি অনেক দিন, অনেক বছর বাচবেন। আপনার কিচ্ছু হয়নি । অসুখ কি মানুষের হয় না?
আপনি মরে গেলে কে আয়ুশকে দেখবে, ওর দায়িত্ব কে নিবে?

বাবা ছাড়া ছেলে মানুষ হবে কিভাবে? সামনে আপনার অনেক দায়িত্ব, সুতরাং আপনার মরাও ক্যানসেল।

.
উদয় বললো, তাহলে আড়ালে আবডালে কাদছিলে কেন? তুমি কি ভাবো, আমি কিছুই দেখিনি?
তোমাকে দেখার জন্য আমার সামনে দুই চোখের পাশাপাশি পিছনেও দুটো চোখ আছে। এটা মনে রেখো।

.
আপনি ভুল দেখেছেন বলে
উদয়ের বুকের ভিতর সেধিয়ে গেলো। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না, হু হু করে কেদে ফেললো।

.
উদয় নিজেও লিয়াকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো।

.
উদয় অসুস্থ শোনার পর লিয়ার আব্বু আম্মু ওকে দেখতে আসে প্রায়ই। আজও এসেছে।

.
উদয় শুয়ে ছিলো। শ্বশুর শাশুড়িকে দেখে শোয়া থেকে উঠে বসলো। সালাম দিলো।

.
লিয়ার বাবা ওর শারীরিক অবস্থা কেমন জিজ্ঞেস করলে,
.
উদয় বললো আগে তো কিছুই বুঝতে পারিনি, কিন্তু এখন শরীর খুব খারাপ লাগে। খুব বেশি উইক লাগে। আর বমি বমি ভাবটাতো লেগেই আছে সারাক্ষণ।

.
টেনশন করোনা, আল্লাহ চাইলে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। ডাক্তারের এডভাইস অনুযায়ী চলবে, তাহলে আর সমস্যা হবে না।

আমি তোমাকে নিয়ে চেন্নাই অ্যাপোলো হসপিটালে যাবো।

ইন্ডিয়া যাওয়ার ভিসার ব্যাবস্থা করছি খুব দ্রুত।

চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হসপিটাল থেকে একবার নতুন করে চেকাপ করিয়ে নিলে ভালো হবে। ওখানে টেস্ট করার পর এমনও হতে পারে যে, এইখানে করা রিপোর্ট ভুল।

তোমাদের দুজনের তো পাসপোর্ট আছে , কিন্তু
আয়ুশের পাসপোর্টের জন্য অ্যাপ্লাই করতে হবে।

এই ব্যাপারে যা যা করতে হয় আমি করবো।

.
লিয়ার মা উদয়কে জিজ্ঞেস করলো, কিছু খাবে কি না। বাইরের কিছু খেতে ইচ্ছে করে কি না।

.
উদয় বললো, না মা কিছুই খেতে ইচ্ছে করে না। আর বমি বমি ভাবটার জন্য কিছু খেতে ভালো লাগে না। ডাক্তারও প্রায় খাবারেই নিষেধ করে দিছে।

.
আচ্ছা তুমি রেস্ট করো বলে রুম থেকে উনারা বেরিয়ে এলো।

.
রুম থেকে বাইরে আসার পর লিয়া ওর মাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করলো।
ডাক্তার যা যা বলেছে সব বললো।

লিয়াও কাদছে সাথে ওর মাও কাদছে।

.
আমার এতটুকু বাচ্চা মেয়েটার কপালে এই লেখা ছিলো! ফুলের মত নাতিটাও তো খুব ছোট। মাত্র দুই বছর বয়স।

.
উদয়ের বাবা মায়েরও মানসিক অবস্থা খুব খারাপ।একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে তারা।

জোয়ান শক্ত সামর্থ্য ছেলে তার এই কঠিন অসুখ হইছে, এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।

.
উদয়ের মা বলছে, আমি মা হয়েও কেন বুঝলাম না আমার ছেলে অসুস্থ।

সবাই তাকে সান্তনা দিচ্ছে, আল্লাহ ওকে সুস্থ করে দিবেন। আপনি ওর মা, আপনি দুয়া করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ শুনবেন।

.
উদয়ের বাবা মাকে, লিয়াকে সান্তনা দিয়ে,তারা নিজেরাও কষ্ট ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ফিরে গেল নিজেদের বাসায়।

.
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আয়ুশের পাসপোর্ট আর ওদের ইন্ডিয়া যাওয়ার ভিসা রেডি করে ফেললো মিজান সাহেব।
যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেছে।
.
উদয়ের সাথে যাবে ওর বাবা মা, মিজান সাহেব, লিয়া আর আয়ুশ।
আজ ওরা চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলো।

উড়ে গেলো ওদের বিমান দুর নীল আকাশে।

(বানানের ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন)

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here