ভ্যাম্পায়ার_কুইন# পর্বঃ৩০

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
পর্বঃ৩০
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি পুরো অবাক হয়েছি। যে মেয়ে একটু আগে আমাকে খারাপ মনে করছিলো। ভাবছিলো আমি ওর সাথে খারাপ কিছু করবো, সেই এখন আমাকে চুমু দিলো। আমি রেগে আছি অনেকটা। আমি এখনো এনাকেই ঠিক মতো কিস করতে পারলাম না। কিন্তু এই এন্জেল আমার ঘুমের সুবিধা নিয়ে আমাকে কিস করেছে। আমি বুঝতে পারছি না ও এখনো এখানে কি করছে। এতোক্ষনে তো ওর হ্যাভেনে চলে যাওয়ার কথা ছিলো। তাহলে কি লুসেফার ওকে ফেরত পাঠায় নি। আমার একটা আদেশ কিভাবে অমান্য করলো সে এটা আমি বুঝতে পারলাম না। আমি সাথে সাথেই লুসেফারকে ডাকলাম আমার কক্ষে। আমার রাগের ফলে আমার শরীর থেকে কালো ছায়া আবার বারতে লাগলো,
.
–জ্বী মাই কিং, আপনি ডেকেছেন?(লুসেফার)
.
–হ্যা। আমি তোমাকে একটা কাজ দিয়েছি আর তুমি সেটা ঠিক মতো করো নি।(আমি)
.
–কিন্তু মাই কিং আমি তো প্রিন্সেস আফরিয়েলকে হ্যাভেনে পৌছে দিয়েছি।(লুসেফার)
.
–তাহলে ও এখানে কি করছে?(আমি রেগে বললাম)
.
–ডেভিল কিং শুধু শুধু আপনার জেনারেলের উপরে রাগ করে কোনো লাভ নেই। উনি আসলেই আমাকে হ্যাভেনে পৌছে দিয়ে এসেছেন।(আফরিয়েল)
.
–তাহলে আপনি আবার টেলিপোর্ট হয়ে এসেছেন? কিন্তু আপনি যে বললেন আপনি সেই স্পেল জানেন না।(আমি)
.
–আসলে সেটা নয়। একটা স্পেল আছে যেটার নাম বডি ডুপ্লিকেইট। এটার দ্বারা আমি আমার নিজের মতো দুটো বডি বানাতে পারি। আর আমার কপি বডিকে জেনারেল লুসেফার নিয়ে গিয়েছেন।(আফরিয়েল)
.
–কিন্তু কেনো? আপনি তো চলে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ছিলেন।(আমি)
.
–হ্যা। প্রথমে ভেবেছিলাম আপনি হয়তো আমার সাথে খারাপ কিছু করবেন তাই চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে মন বদলে গেলো। হ্যাভেনে এখন চলে গেলে আমার বাকি দুনিয়া গুলো দেখা হবে। বিশেষ করে আমার মানুষের দুনিয়া দেখার অনেক ইচ্ছা। আমার বড় দুই বোন সব সময় নিজের ইচ্ছামতো ঘুরতে পারে যেখানে সেখানে, কিন্তু আমার হ্যাভেনের বাইরে পা দেওয়া নিষেধ। তাই একটা সুযোগ পেয়েছি এটা হারাতে চাই না।(আফরিয়েল)
.
–ও।(আমি)
.
–আর আপনার অবস্থাও আমি ভালো দেখি নি। আপনি যখন আমার হাত স্পর্শ করেছিলেন আমি তখনি বুঝতে পেরেছিলাম আপনার মধ্যে কিছু একটা চলছে। আর সেটা খুবই ভয়ানক। আপনাকে প্রথম দেখে আমি অবাক হয়েছি। আজ পর্যন্ত কেউ ডেভিল আর এন্জেল এর ক্ষমতা এক সাথে ব্যবহার করতে পারে নি। আপনি দুটোর ক্ষমতা বহন করলেও, আপনার এন্জেল সাইড অনেক দুর্বল ছিলো। আর আপনি যখন ঘুমাচ্ছিলেন তখন আপনি আপনার মনস্টার-এন্জেল ফর্মে ছিলেন। কিন্তু আপনার বাম পাশের কালো ডানার পাওয়ার গুলো আসতে আসতে বারতে ছিলো, আর আপনার সাদা ডানাগুলো আসতে আসতে কালো হয়ে যাচ্ছিলো। আমার মনে হলো আপনার এন্জেল সাইড হয়তো পাওয়ার হারিয়ে ফেলছে।(আফরিয়েল)
.
–তাহলে আমি স্বপ্নে আকাশ থেকে একটা আলো দেখেছিলাম সেটা কি আপনার?(আমি)
.
–আপনি ঘুমে ছিলেন। আর স্বপ্নের রানী তার দুনিয়াতে নেই, তাই আপনার স্বপ্নে আপনার ক্ষমতা গুলো জীবন্ত হয়ে ছিলো। আর তাদের মধ্যে লড়াই ও হচ্ছিলো?(আফরিয়েল)
.
–এগুলো আপনি জানেন কিভাবে?(আমি)
.
–আপনার সাথে কি হচ্ছিলো সেটা আমি প্রথমে ভালো করে বুঝি নি। তাই আমাদের এন্জেলদের একটা গোপন স্পেল আমি ব্যবহার করেছি আপনার উপরে?(আফরিয়েল)
.
–সেটার জন্য কিস করতে হবে আমাকে?(আমি)
.
–স্পেলটা কিস এর মাধ্যমেই শুরু হয়। এটার দ্বারা আমি কারো কি ধরনের রোগ বা সমস্যা হচ্ছে এটা খুব সহজেই দেখতে পারি।(আফরিয়েল)
.
–এখন আমি বুঝতে পেরেছি। আপনি শক্তিশালী একটা স্পেল ব্যবহার করেছেন। আর যেহেতু আন্ডারওয়ার্ল্ডে ব্যবহার করছেন তার অর্ধেক ম্যাজিক পাওয়ার আমার শরীরে এসেছে।(আমি)
.
–হ্যা।(আফরিয়েল)
।।।
।।।
এবার আমি বুঝেছি কেনো এন্জেল জ্যাকের ক্ষমতা বেরেছিলো। আফরিয়েলের ব্যবহার করা স্পেলটার জন্যই সেটা আমার শরীরে অনেক ম্যাজিক পাওয়ার বারিয়েছে। যেহেতু সেটা অনেক পিওর পাওয়ার, তাই সেটা আমার এন্জেল সাইডে যোগ হয়েছে। যায়হোক বুঝলাম আফরিয়েল অনেকটা আমাকে খারাপ হওয়া থেকে বাচিয়েছে। তারপরও কিসের ব্যাপারটা আমার ভালো লাগছে। রাগ কমে গেছে এখন। মাথা ব্যথাও নেই এখন। এখন থেকে স্পেল কম ব্যবহার করতে হবে। একদম প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করতে হবে, নাহলে আবারো একটু আগের মতো অবস্থা হবে।
.
–আপনি আমার অথিতি। এমনকি আমার সাহায্যও করেছেন। আপনার এখানে থাকাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু একটা কথা বলে দি, কখনো আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না আর?(আমি)
।।।
।।।
আমার এই কথাটা শুনে অনেকটা নিরাশ হলো আফরিয়েল। হয়তো এটা আশা করে নি আমার থেকে। ওর ভাব দেখে মনে হচ্ছে হয়তো আমাকে লাইক করা শুরু করেছে। সে যায় হোক। আমাকে দুর্বল হওয়া চলবে না। দেখতে আফরিয়েল এনার থেকে অনেক গুন সুন্দরী হলেও আমার মন শুধু এনার জন্য। আমি চাই না ও আমার জন্য কষ্ট পাক। এমনিতেই এনা কষ্টে আছে এখন আমি জানি। ভালোবাসার মানুষ ডেভিল কিং এটা কেউ মানতে পারে না। সে যায় হোক আমি আর কিছু বললাম না। লুসেফার তার কাজের জন্য মাফ চেয়েছে। যদিও তার কোনো ভুল নেই, তারপরও মাফ চেয়েছে। একজন জেনারেল এতো সহজে বোকা হয়েছে এটা সে মানতে পারছিলো না। কিছু শাস্তি চাচ্ছিলো আমার থেকে। আমিও মানা করতে পারি নি। শাস্তি হিসাবে আমার টেলিপোর্ট এর সকল কাজ ওকে দিয়ে দিলাম। আমার এখন স্পেল কম ব্যবহার করতে হবে, তাই যেখানে যাওয়ার দরকার সেখানে লুসেফারই আমাকে নিয়ে যাবে। আমি লুসেফারের সাথে হেটে যাচ্ছি সিংহাসনের দিকে,
.
–মাই কিং আপনি হাটছেন কেনো? আপনি চাইলে আমি আপনাকে টেলিপোর্ট করে সিংহাসনে নিয়ে যাচ্ছি।(লুসেফার)
.
–এই ছোট ছোট কাজের জন্য ম্যাজিকের উপরে নির্ভর না করায় ভালো। আর হালকা হাটা চলা করা শরীরের জন্য ভালো, তাতে আমার মানুষের যে ফর্মটা আছে এটা ভালো থাকবে। তোমরাও মাঝে মাঝে চেষ্টা করো।(আমি)
.
–জ্বী মাই কিং, করবো। কিন্তু আমরা প্রিন্সেস আফরিয়েল এর কি করবো? তাকে এখানে এভাবে রাখলে তো হ্যাভেন ভাববে আমরা তাকে জোর করে এখানে রেখেছি। আর আমাদের মধ্যে যুদ্ধ আবার লেগে যাবে।(লুসেফার)
.
–আমার হ্যাভেনের সাথে যুদ্ধে যাওয়ার কোনো চিন্তা নাই। কিন্তু হ্যাভেন যদি জোর করে আমাদের উপরে হামলা করে, তাহলে হ্যাভেনকেও দেখিয়ে দিতে পারবো আন্ডারওয়ার্ল্ড আর আগের মনস্টার ওয়ার্ল্ড নেই। ডেভিলরা এখন মনস্টারদের ছাড়াই এন্জেলদের হারাতে পারবে।(আমি)
.
–মাই কিং, কিছু মনে করবেন না? কিন্তু হ্যারি আমাকে বলেছি কিং মাইকেল আপনার মামা হয়।(লুসেফার ভয়ে বললো)
.
–হ্যা। কোনো ভয় পাওয়ার দরকার নেই লুসেফার। আমাকে নিজের ছেলের মতোই দেখতে পারেন আপনি, শুধু শুধু ভয় পেয়ে লাভ আছে?(আমি)
.
–সেটা তো আমার ভাগ্য হবে মাই কিং, আমি বলতে চাচ্ছিলাম যেহেতু আপনার শরীরে আপনার আম্মার এন্জেল পাওয়ার রয়েছে, সেটার প্রমান আপনি হ্যাভেনের প্রিন্স। কিং মাইকেল এতোটাও বোকা হবে না যে আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, কারন সে জানে আপনার কাছে এখনি এন্জেল কিং এর ক্ষমতা রয়েছে। আপনার ছয়টা এন্জেল ডানা সেটার প্রমান।(লুসেফার)
.
–হ্যা, মাইকেল মনে হয় না কোনো যুদ্ধে যাবে আমাদের বিরুদ্ধে।(আমি)
.
–কিন্তু মাই কিং, কিং মাইকেল তার প্রায় সময় পৃথিবীতে কাটায়, তার পৃথিবীর পশুপাখির প্রতি অনেক ভালোবাসা। তাই হ্যাভেন থেকে কেউ তাকে যোগাযোগ না করলে তিনি সেখানেই থাকেন। আর সেই সময়ে হ্যাভেনের সকল কাজ হয় হ্যাভেনের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রিন্সেস এর আদেশে। কিং মাইকেল হয়তো আপনার সাথে যুদ্ধ করবে না। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় প্রিন্সেস পরের হ্যাভেনের সিংহাসন পাওয়ার জন্য ঠিকই আপনাকে হারাতে চাইবে।(লুসেফার)
.
–হ্যা আমি বুঝতে পেরেছি তাহলে। তারা এখন হয়তো ভাবছে আমি আসলেই জোর করে প্রিন্সেস আফরিয়েলকে এখানে রেখে দিয়েছি। তাই এই সুযোগে তারা যুদ্ধ ছুড়ে দিবে আমাদের উপর।(আমি)
.
–সবচেয়ে ভয়ানক হবে যদি দুই জন প্রিন্সেস এর একজনও লোকির সাথে হাত মিলিয়ে নেই। আর সেটা হলে আমাদের জন্য অনেক খারাপ হবে। আমাদের বাহিনী আগের থেকেও শক্তিশালী হলেও এজগার্ড, ড্রাগন এবং একই সাথে এন্জেলদের সাথে লড়তে পারবে না।(লুসেফার)
.
–হ্যা আমি বুঝেছি।(আমি)
।।।
।।।
আমি গিয়ে সিংহাসনে বসলাম। সময় যত যাচ্ছে আমার চিন্তা তত বারছে। একটা রাজ্য চালনা করা মোটেও সহজ কাজ নই সেটা আমি বুঝতে পারছি। একটা সাধারন জীবনই সবচেয়ে ভালো। তার উপর পুরান ডেভিল কিং এর অভিশাপ এই পুরো দুনিয়া আমার হাতের মুঠোই থাকবে। আসলেই কি সেটা হবে? আমার আম্মা নাকি সেই ভবিষ্যৎ পাল্টে দিয়েছিলো। পাল্টে দিলেই ভালো। এই ছোট একটা আন্ডারওয়ার্ল্ডই আমার শাসন করতে এখন এতো চিন্তা লাগছে আর পুরো এগারো দুনিয়া হলে তো আমার মাথা ফেটেই যাবে। কিন্তু আমি একটা জিনিস দেখতে পারছি না। আমার মধ্যে তো আমি পার্থক্য দেখতে পারছি নি। হয়তো নতুন হিসাবে আমার মধ্যে একজন ডেভিল আর এন্জেল দুটোর ক্ষমতা আছে। বিশেষ করে ডেভিল কিং এবং এন্জেল কিং এর ক্ষমতা। কিন্তু একজন ডেভিল কিং আর একজন এন্জেল কিং মিলেও কখনো এগারো দুনিয়াকে নিজেদের করতে পারবে না। এই এগারো দুনিয়াকে যত সহজ মনে হয় তত সহজ তারা না। মনস্টার দুনিয়াকেও যত দুর্বল মনে হয় তারা তত দুর্বল না। আন্ডারওয়ার্ল্ডে আসার পর আমি জানতে পেরেছি, এটা পুরানো ডেভিল কিং এর মেমোরীর মধ্যেই একটা জিনিস। মনস্টার দুনিয়ার পাঁচ রাজ্যের মধ্যে একটার মধ্যে এমন নয়জন মনস্টার আছে, যারা একত্রে একজন ডেভিল কিং কেও হারাতে পারে। তাদের ক্ষমতা এমন যে প্রথম ডেভিল কিং কে তাদের ক্ষমতা লক করে রাখতে হয়েছিলো। ক্ষমতা লক করে দেওয়ার পরও সেই নয়জন থেমে থাকেনি। বংশের মধ্য দিয়ে এই ক্ষমতা চলতে চলতে এই সময়েও নয়জন আছে। কিন্তু তাদের ক্ষমতা এখনো লক করা। পুরাতন সকল ডেভিল কিং ভয়ে থাকতো এই নয়জনের জন্য। কিন্তু আমাকে ভয় পেলে চলবে না।
।।।
।।।
মনে হয় না আমি নিজে কখনো এগারো দুনিয়াকে নিজের করতে পারবো। এমনকি আমি নিজে কখনো আন্ডারওয়ার্ল্ডকে শত্রুর থেকে বাচাতে পারবো না। কিন্তু দুটোই আমি করতে পারবো যদি আমার সেনা শক্তিশালী হয়। আমার এমন সৈন্য দরকার যাদের একশো জনই এক লক্ষ শত্রুকে হারাতে পারবে। আমার এগারো দুনিয়া দখলের কোনো উদ্দেশ্য নেই। কিন্তু এগারো দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বানানোর চেষ্টা করবো আন্ডারওয়ার্ল্ডে। এখানেও একটা সমস্যা। আমার আন্ডারওয়ার্ল্ড শক্তিশালী হলে সেটার লাভ মনস্টার দুনিয়ার বাকি পাঁচ রাজ্য ও করবে, যেহেতু আন্ডারওয়ার্ল্ড ও মনস্টার দুনিয়ার একটা অংশ। পরে হয়তো আমাকে আন্ডারওয়ার্ল্ডকে আলাদা একটা দুনিয়া বানিয়ে ফেলতে হবে। এতে করে আন্ডারওয়ার্ল্ড আর মনস্টার দুনিয়ার অংশ থাকবে না। সে যায় হোক অনেক আজে বাজে ভাবনা ভাবছিলাম। এখন আসল কাজে আসা যাক। থরের সাথে কথা বলতে হবে। থরও বিশাল একটা বিশ্রাম নিয়ে অপেক্ষা করছিলো আমার জন্য সিংহাসনের সামনে। যদিও সে একজন এজগার্ডের প্রিন্স, তারপর ও সে একজন অন্য দুনিয়ার রাজার সামনে দাড়িয়ে আছে, তাই তাকে আমাকে একটু সম্মান তো দেখাতে হবেই। থর আর আমি কিছুটা কথা বলতে লাগলাম,
.
–বেশ অনেকদিন লেগে গিয়েছে ডেভিল কিং আপনার পুরো ক্ষমতা জন্য।(থর)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–আপনার মনস্টার ফর্ম দেখেই মনে হচ্ছে আমার মিওনির থাকলেও আমি আপনাকে হারাতে পারবো না।(থর)
.
–আপনার মিওনির এর কাছে তো আমার এই মনস্টার ফর্ম ও কিছু না। আগের ডেভিল কিং এর মেমোরী থেকে জানতে পারলাম, আগের ডেভিল কিং কে প্রত্যেকবারই আপনি লড়াইয়ে হারিয়েছেন।(আমি)
.
–হ্যা। লোকির সাথে অনেকবার হাত মিলিয়ে আমাকে মারার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু আমার মিওনির এর এক আঘাতেই হেরে যেতো।(থর)
.
–আমার জন্যও এক আঘাতই প্রয়োজন।(আমি)
.
–আমার সেটা মনে হয় না। আপনার মধ্য থেকে আমি অসম্ভব পরিমান পাওয়ার অনুভব করতে পারছি।(থর)
.
–আচ্ছা সে যায়হোক। এখানে কেমন বোধ করছেন?(আমি)
.
–আন্ডারওয়ার্ল্ডে এর আগেও কয়েকবার এসেছি। তাই নিজের বাসার মতোই মনে হচ্ছে। বাদ দিন। আসল কথায় আসি। আপনার সৈন্য সবাই প্রস্তুত তো?(থর)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–লোকি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সে জানে আপনি আমার সাথে হাত মিলিয়েছেন। এবং যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত।(থর)
.
–হুমমম।(আমি)
.
–লোকি চাচ্ছে এই এগারো দুনিয়া মধ্যে যাতে সবাই ওকে রাজা হিসাবে মেনে নেই, আর যারা মানবে না তাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। আর ওর স্বপ্নের রাস্তায় প্রথমত আমি। এর পর আপনি রয়েছেন। লোকির কাছে আপনি অনেক বড় অস্ত্র। আর সে অস্ত্র যদি লোকি ব্যবহার না করতে পারে তাহলে তাকে ধ্বংস করতে দেরী করবে না সে।(থর)
.
–আমার চিন্তা করবেন না। লোকির স্বপ্ন কখনো পূরন হবে না। আমরা দুইদিনের মধ্যে যুদ্ধে যাবো। এজগার্ডের সিংহাসন থেকে লোকিকে সরিয়ে দিবো।(আমি)
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কেমন লেগেছে জানাবেন। কোনো কিছু বুঝতে না পারলেও কমেন্ট করবেন, বুঝিয়ে দিবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here