ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ১৯

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ১৯
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
প্যালেস থেকে খুব সাবধানেই আমি বের হয়েছি। লাইব্রেরীর গুপ্ত রাস্তাটা ভালোই কাজে দিয়েছে। আজকে আমাদের টার্গেট হলো ক্যাপিটালের সবচেয়ে ধনী যারা খারাপ উপায়ে অর্থ উপার্জন করেছেন তাদের গুপ্ত ভাবে হত্যা করা। আমি সাধারনত কাউকে কিছু বলি নি। ওদের সাথে দেখা করেই ওদেরকে বলতে হবে প্লান সম্পর্কে। আমি সোজা গুপ্ত রাস্তা থেকে উঠে হ্যারিদের কাছে চলে গেলাম। ওদের শহরে এখন চলতে কোনো সমস্যা হয় না তেমন। যখন বের হয় তখন লুসানার স্পেলের মাধ্যমে চেহারা বদলে বের হয়। আমি ওদের গোপন ঘরের মধ্যে ঢুকে গেলাম। জায়গাটা অনেক সুন্দর করে বানানো। আমি শুনেছি এটা ওদেরকে একলোক দিয়েছিলো থাকার জন্য। কিন্তু লোকটা কে সেটা কেউই জানে না। আমি ভিতরে গিয়ে কথা বলতে লাগলাম।
.
–তারাতারি রেডি হয়ে যাও। আমরা মিশনে যাবো।(আমি)
.
–কিসের মিশন?(লুসি)
.
–ক্যাপিটালের কিছু খারাপ লোকদের হান্ট করবো যারা গরীবদের লুটে খাচ্ছে।(আমি)
.
–প্লান আছে তোমার কাছে? এবং কাদেরকে আক্রমন করবো সেটা সঠিক জানো?(লুসানা)
.
–হ্যা। সব তথ্য আমার কাছে আছে এবং প্লানও আমি বানিয়ে নিয়েছি, কিন্তু সবার আগে নিজেদের চেহারা কাপড় দিয়ে ভালো করে ডাকো, যাতে কেউ কাছ থেকে দেখলেও চিন্তে না পারে।(আমি)
.
–হ্যা আমি আমাদের চারজনের জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট একটা ড্রেস বানিয়েছি যেটা পরলে কেউই আমাদের চিনতে পারবে না।(লুসি)
.
–ওয়াও।(আমি)
।।।।।
।।।।।
সকলেই ড্রেস পরে নিলাম। কালো একটা ড্রেস। মাথায় হুডও আছে বড় যেটা চেহারা অনেকটা ডেকে রাখে। তারপরও কাপড় দিয়ে মাস্ক বানিয়ে পড়তে হবে আমাদের। আমার মাস্ক আছে বলে আর পড়তে হবে না অবশ্য এখন মাস্কের অভ্যাস হয়ে গেছে আমার। হাত ঢাকার ফলে মাস্কটাও পরা অভ্যাস হয়ে গেছে আমার। যাইহোক আমরা সকলে রেডি হয়ে চলে গেলাম।
.
–আজকে আমাদের টার্গেট হলো রাজবংশেরই পাঁচ পরিবার। অবশ্য পরিবারের কোনো সদস্যদের আমরা কিছু করবো না। শুধু পরিবারের প্রধান যে তাদেরকেই হত্যা করবো।(আমি)
.
–এটা কি ভালো বুদ্ধি হবে? তুমি তো বললে ধনী ব্যক্তিদের বাসায় হামলা করবো। কিন্তু রাজবংশের লোক হবে সেটা তো বলো নি আগে?(হ্যারি)
.
–দেখো যেই পাঁচজনকে আমি টার্গেট করেছি তারা ক্যাপিটালের পাঁচ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের প্রধান। শহরের সকল ছোট বড় ব্যবসায়ীকে ভ্যাট দিতে হয় তাকে, তাছাড়া কেউ কোনো পন্য বেচাকেনা করতে পারবে না ক্যাপিটাল থেকে। আর বর্তমানে তার ভ্যাট চারগুন বারিয়ে দিয়েছে। তাদের জন্য শহরের অনেক গরীব লোকেরা না খেয়ে মরছে। এখন যদি আমরা তাদেরকে হত্যা করতে পারি, তাহলেই আমাদের নাম ছড়াবে।(আমি)
.
–ও আমি বুঝেছি তোমার প্লান।(হ্যারি)
.
–আমি কাউকে ক্ষমা করবো না যারা গরীব নিষ্পাপের উপরে ঝুলুম করবে। সে রাজা হোক আর জেনারেল। সবাইকে আমি শাস্তি দিবো।(আমি)
.
–হ্যা আমরাও তোমার সাথে আছি।(হ্যারি)
।।।।
।।।।
আমরা চারজন একসাথেই পাঁচজনের বাসায় হামলা করবো। এতে ধরা খাওয়ার সম্ভবনা অনেক কম থাকবে। মূলত আজ রাতের পর থেকে আমাদের নাম চারিদিকে ছরাবে। আমি যেটা ভাবতেছি সেটা হলো যদিও আমরা তাদের হত্যা করে ফেলি, কিন্তু তাতে আমাদের নাম ছরাবে না। তার জন্য সবচেয়ে ভালো পন্থা আমাদের অবলম্বন করতে হবে। আমি এই পাচজনকে টার্গেট করতাম না। মূলত আজ প্রসাদে প্রিন্সেস এলিহার সাথে ঘোরার ফলে আমি তাদের দুজনের কথাবার্তা শুনেছি। দুজনের কথাবার্তায় যেটা শুনেছিলাম সেটা হলো, তারা পাঁচটা মেয়েকে কিডন্যাপ করেছে। আর তাদের রেপ করার জন্য তারা পাচজন একজায়গায় মিলিত হবে। অবশ্য তারা কোথায় যাবে এটাও আমি শুনতে পেয়েছিলাম। পাচজনের মধ্যে একজনের নাম হলো ড্রুস। আজকে ড্রুসের বাসায় কেউ নাই। তাই তারা সবাই সেখানে জড়ো হবে। অবশ্য এগুলো আমি হ্যারিদের বলি নাই এখনো। ওরা পরিস্থিতি দেখলেই বুঝে যাবে। আমি চাইনা ওরা ভাবুক আমার স্বার্থের জন্য আমি ওদের মারতে চাচ্ছি। বরং ওরা দেখে বুঝবে ওরা অনেক বড় পাপ করেছে, যেটায় ওদের মৃত্যু হবেই।
।।।।
।।।।
আমরা চারজন ড্রুসের বাসার সামনে চলে গেলাম। বাসার পাশে থাকা একটা গাছের ডালে আমরা চারজন বসে আছি। ভিতরে অনেক গার্ড রয়েছে। যেহেতু শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে ড্রুস তাই তার বাসার সিকিউরিটি একটু বেশীই হবে। আর তাছাড়া আজকে তার বাসায় আরো চারজন ধনী ব্যক্তি রয়েছে। অবশ্য পাঁচজনই ক্যাপিটালের মধ্যে খারাপ লোক। তবে ওদের থেকে আরো খারাপ লোক রয়েছে। আমরা সিকিউরিটির ফলে সোজা ভিতরে ঢুকতে পারবো না।
.
–জ্যাক, এখানে তো অনেক সিকিউরিটি, ঢুকবো কিভাবে?(হ্যারি)
.
–সেটা আমার উপরে ছেড়ে দাও।(আমি)
.
–কি প্লান তোমার?(লুসি)
.
–প্রথমত হ্যারি এখানে একদম ছোট একটা স্প্লোশন স্পেল ব্যবহার করবে, যেটা একদম ছোট হবে। সেটা চেক করতে এখানে অনেক গার্ডই চলে আসবে। আর সেই সুযোগে হ্যারি আর আমি পাশ দিয়ে চলে যাবো ভিতরে ঢুকতে।(আমি)
.
–তাহলে আমরা কি করবো?(লুসি)
.
–তোমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ থাকবে। রোড সার্কাজের নাম তো শুনেছো?(আমি)
.
–হ্যা।(লুসি)
.
–তোমরা দুজনে এখানে ছোট ছোট ট্রিকস দেখাবে ম্যাজিকের। আর আমার মতে, তারা প্রথমে একটু সন্দেহ করবে, কিন্তু অনেকক্ষন দাড়িয়ে দেখবে। আর তাদের সময় বেশী লাগলে ভিতর থেকে আরো গার্ড বের হবে বাইরে চেক করতে। আর সেই সুযোগে আমরা ভিতরে ঢুকবো।(আমি)
.
–ওয়াও। পারফেক্ট প্লান।(হ্যারি)
.
–কিন্তু ওরা যদি আক্রমন করে আমাদের।(লুসি)
.
–আমার মতে করবে না। যতক্ষন পর্যন্ত চালাকি না করো। শুধু সার্কাস দেখাতে থাকবে একটু।(আমি)
.
–ওকে চেষ্টা করবো।(লুসানা)
।।।
।।।
হ্যারির স্পেলের পরেই কিছু গার্ড আসলো। অবশ্য আমরা ছিলাম ঔ লোকটার জায়গার বাইরে। তাই এখানে কোনো সমস্যা হবে না। লুসি এবং লুসানা ওদের ম্যাজিক ট্রিকস দেখাতে লাগলো। আর আমরা সেই সুযোগে পাশ দিয়ে দেওয়াল টপকিয়ে ভিতরে চলে গেলাম। কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম ভিতর থেকে আবার আরেকদল বাইরে যাওয়ার জন্য। যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হলো। কিছু সংখ্যক বের হলো আবারো। আমরা সেই সুযোগে বাসার মধ্যে ঢুকে পরলাম। হ্যারি আর আমি খুব সাবধানে যেতে লাগলাম। অবশ্য ভিতরে দুইজন গার্ডের সাথে দেখা হলো, যাদের দুইজনকেই হ্যারি ওর ম্যাজিক দিয়ে ব্লাস্ট করতে চেয়েছিলো, কিন্তু আমি আমার সোর্ড টেকনিকের মাধ্যমে তাদের বেহুস করে দিলাম। অবশ্য এরপর আমাদের আর কোনো সমস্যা হলো না। আমরা খুব সহজেই সেই পাঁচজনের কক্ষে ঢুকে পরলাম। ভিতরে যেটা দেখতে পেলাম সেটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আমরা। মূলত তাদের খুজতে খুজতে আমাদেরকে এই বাসার মাটির নিচের রুমে প্রবেশ করতে হয়। সুন্দর একটা আন্ডারগ্রাউন্ড রুম বানিয়ে রেখেছে এখানে। বাইরে অনেকগুলো তালা এবং সিল করার কাগজ ছিলো, যেগুলো খোলাই ছিলো। ভিতরে ঢুকে দেখতে পেলাম অনেকগুলো মৃত শরীর দড়ি দিয়ে বাধা এবং সেগুলো চেইন দিয়ে বাধা রয়েছে। শরীরকে একটা বিশেষ পলিথিন দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে যারজন্য একটা দিয়েও গন্ধ বের হচ্ছে না। পচেও যায় নি একদম। কিন্তু আমি তাদের শরীর থেকে কোনোরকম ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পাচ্ছি না। অবশ্য ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পাওয়া আমার একটা ক্ষমতা। জিনিসটা অনেক রেয়ার। সবাই এটা পারে না। আর সবচেয়ে অবাক হলাম জীবিত পাঁচটা মেয়েদের দেখে। তারা প্রায় অর্ধ উলঙ্গ রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে তাদের রক্ত বের হচ্ছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাদের কামড় দেওয়া হয়েছে। এবং তার ফলে শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। আমি আশা করছিলাম আমরা সময় মতো পৌছে যাবো। অবশ্য সেটাও হয়েছে মেয়েগুলোকে দড়ি দিয়ে শুধু হাত পিছনে বেধে রাখা হয়েছে। লোকগুলো একপাশে বসে মদপান করছে। আর গল্প করছে মেয়েগুলোর সাথে কিভাবে মজা করবে আজকে। আমি তাদের এই রুম দেখে বুঝতে পারলাম তারা শহরের সুন্দরী মেয়েদেরকে জোর করে তুলে আনে এবং তাদেরকে রেপ করে মেরে এই রুমে ঝুলিয়ে রাখে। লাশের সংখ্যা হিসাব করতে গেলে এখানে আশিটার উপরে হবে। জিনিসটা আমার দ্বারা আর দেখা গেলো না আমি একদম রেগে গেলাম। মূলত হ্যারি প্রথমে আক্রমন করতে চাচ্ছিলো। কিন্তু আমার রাগ এতোটা বেরে গেলো যে আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না। কেউ এখনো আমাদের দুজনকে লক্ষ করে নি। কারন আমরা ভিতরে এসে কোনো শব্দ করি নি এখনো। মেয়েগুলোর জন্য আমার অনেক দুঃখ হচ্ছে। কত নিষ্পাপ মেয়ের জীবন এই পশুরা নিয়েছে। আমি এটা দেখবো সেটা কখনো আশা করি নি। রাগে আমার হাত মুঠো হয়ে গেলো। ডান হাতে আগুন জ্বলতে লাগলো আমার। আমি জানি ভিরুদাকে হাতে নিলে এই আগুন বেরে যাবে। তাছাড়া আমি এখন এখানে আগুন লাগাতে চাই না। অনেক নিষ্পাপ শরীর আছে এখানে যাদেরকে মাটির মধ্যে জায়গা দিতে হবে।
।।।।
।।।।
বেশী রাগের ফলে আমার পিঠ থেকে কখন হাত বের হলো আমি নিজেই লক্ষ করি নি। অবশ্য বরাবরের মতো এবারো এটা আমার নিয়ন্ত্রনে নেই। পাঁচটা হাত হঠাৎ তলোয়ারের রূপ নিয়ে নিলো। আর সেই পাঁচটা লোকের দিকে আক্রমন করলো। লোকগুলো এদিকে ফেরার সময়ও পাইনি। আর সোজা তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে গেলো। আর সেটা তাদেরকে সোজা দেওয়ালে গেথে দিলো। অবশ্য আবারো হাতের রূপ নিয়ে আমার পাশে চলে আসলো। কিন্তু তলোয়ার পাঁচটা তাদের পিঠের মধ্যেই রয়ে গেলো। তলোয়ারগুলো একদম সাদা। আমি একরকম ম্যাজিক আগে কখনো দেখি নি। তলোয়ারগুলো অনেকটা পাখির ডানার মতো দেখা যাচ্ছে। লোকগুলো নেশার মধ্যে থাকলেও জীবনের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিলো, তাই ক্ষমা চাচ্ছিলো আমাদের কাছে। কিন্তু এবার আর আমাকে কিছু করতে হলো না। হ্যারি সোজা ওদের পাঁচজনের মাথায় ছোট একটা স্প্লোশন স্পেল ব্যবহার করলো। সাথে সাথে ওদের পাঁচজনের মাথা ব্লাস্ট হয়ে গেলো।
.
–এরকম হিংস্র পশুদের জন্য এটাই প্রাপ্ত শাস্তি যারা নিষ্পাপ মেয়েদেরকে রেপ করে হত্যা করে।(হ্যারি)
.
–হ্যা সেটা ঠিক।(আমি)
.
–তো এখন কি করবে?(হ্যারি)
.
–আমাদের একটা কাজ হয়েছে, কিন্তু বাকি কাজ রয়েছে এখনো।(আমি)
.
–কি কাজ?(হ্যারি)
.
–দেখতে থাকো শুধু।(আমি)
।।।
।।।
আমার হাতগুলো আবার নিজেদের ইচ্ছামতো চলছে। এগুলোকে হাত বলাও আজব লাগে আমার কাছে। কারন কারো তো আর অসংখ্য হাত থাকে না। যায়হোক হাতগুলো মেয়েদের মাথার উপরে হাত দিলো। যেপাচটা জীবিত ছিলো তাদের মাথায় হাত দিলো। তারা অনেকটা আহত। তাই আমার হাতের স্পর্শ পেয়ে সাথে সাথে হিল হয়ে গেলো। যত দিন যাচ্ছে এই হিলিং পাওয়ারের ক্ষমতাও বেড়ে চলেছে। আগে কিছুটা সময় লাগতো। তবে এখন খুব শীঘ্রই হিল হয়ে যায়। মেয়েগুলো কেদে দিলো আমাদের দেখে। এটা দুঃখের কাদা না। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের সাথে তেমন কিছু হবে যেমনটা এখানে থাকা বাকি লাশগুলোর সাথে হয়েছে। আমি হ্যারিকে বললাম মেয়েগুলোকে সাবধানে বের করে দিতে। কারন আমাকে এখানে কিছু করতে হবে। অবশ্য এখানে কাল মিলিটারি আসবে। আর তারা সব শরীরের জন্য সঠিক ব্যবস্থা নিবে। ব্যবস্থা না নিলে তাদের ব্যবস্থা তো ব্লাক ড্রাগন ঠিকই নিবে। যাইহোক আমি দেওয়ালে একটা সঠিক মেসেজ লিখে দিলাম
মেসেজটা এরকম,
।।।
।।।
“” যারা অসহায় গরীবদের হক নষ্ট করবে তাদেরকে ব্লাক ড্রাগন আর্মি শাস্তি দিবে। আর সেই শাস্তি হবে মৃত্যদন্ড। আর এটাই সেটার নমুনা। পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সম্রাট যারা অসৎ পথে অর্থ এবং নিষ্পাপ মেয়েদের তুলে এনে তাদের রেপ এবং হত্যা করেছেন। তাদের এই শাস্তির জন্য তাদের মৃত্য হয়েছে। মিলিটারী এসব আইন দেখছে না। তাই তাদের সাবধান করে দিচ্ছি আইন ঠিকমতো কাজে লাগান। নাহলে পরের শাস্তি আপনাদেরও হতে পারে।””
।।।
।।।
অবশ্য আমি জানি মিলিটারি ধামাচাপা দিয়ে দিবে বিষয় টা। জনগন জানবে না এটার সম্পর্কে। কিন্তু সেটার জন্যও আমার কাছে ভালো একটা প্লান আছে। অবশ্য সেটার জন্য একটু কষ্ট করতে হবে আমাকে। আমি এই ড্রুসলোকটার অফিস রুমে চলে আসলাম। লোকটা বাসার মধ্যেই অফিস খুলে রেখেছে। আমি একটা কাগজ নিলাম। এবং সেখানে একটা উইল লিখে রাখলাম।
।।।
।।।
উইল অনুযায়ী লোকটার যেভাবেই মৃত্যু হোক না কেনো, তার সকল অর্থ গরীবদের মাঝে দিয়ে দেওয়া হবে। অবশ্য এটা আমাকে বাকি চারজনের অফিসে ঢুকেও করতে হবে। আমি ড্রুসের বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম। দূর থেকে আমার ইশারা দেখে লুসি এবং লুসানা ও চলে আসলো। গার্ড গুলোও বলদ ছিলো, তারা সার্কাস দেখছিলো গার্ড না দিয়ে। অবশ্য রয়েল গার্ড ছিলো না আজকে। রয়েল গার্ড থাকলো এতো সহজ হতো না। আমি তিনজনকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলাম। ওরা আবার ওদের গোপন বাসায় চলে যাবে। কিন্তু আমাকে বাকি চারজনের অফিসে ডুকে উইল করতে হবে। অবশ্য উইল জিনিসটা খুবই মারাত্মকভাবে মানা হয় আমাদের রাজ্যে। সেটা যেরকমই হোক না কেনো। রাজার সর্বোচ্চ নিয়মের মধ্যে এটা একটা। এটা রাজার পরিবার থেকে শুরু করে সবাইকেই মানতে হবে। কেউ এটার অমান্য করলে তার মৃত্যু হবেই। এখন উইলের তারিখ হিসাবে উইল পরিবর্তন হয়। প্রতিটা রাজবংশের লোকেদের কাছেই উইলের কাগজ থাকে, যাতে তারা মৃত্যুর আগে নিজেদের ইচ্ছা লিখে যেতে পারে। আর তার মৃত্যুর পরে একদম ঠিক তাই করা হবে। আর আমি তো একসাথে সবার অর্থ হাতে হাতে নিয়ে বিলাতে পারবো না। এটাই সবচেয়ে সহজ রাস্তা হবে যাদের অর্থ তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।।।।
।।।।
।।।।
আমার পুরো কাজ শেষ করে আমি ফিরে আসলাম। অবশ্য একা থাকলে এই গুপ্ত কাজগুলো অনেক সহজ হয়। বাকি চারজনের বাসায় যেহেতু তাদের মালিক ছিলো না তাই সকল গার্ড ঘুমাচ্ছিলো। আর তাদের মাঝ থেকে অফিসে যেতে আমার কোনো সমস্যা হয় নি। মূলত অনেকটা সময় আমার লেগেছে। আর আমাকে প্যালেসেও যেতে হবে। প্যালেসে না থাকলে অনেকে সন্দেহ করবে আমার উপরেই। তাই দেরী করা যাবে না। আমি সোজা প্যালেসে চলে গেলাম আবার সেই গুপ্ত রাস্তা দিয়ে। জানি না কালকে কি হবে। কিন্তু অপেক্ষা করছি কালকের জন্য।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরের পার্টের জন্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here