ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ২৩ .

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ২৩
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমরা সকলে সাতশো আটানব্বই নম্বর শহরে পৌছে গেলাম। এর মধ্যে যানের ভিতরে কিছু আজব হলেও বের করতে পারছি না সেটা কার কাজ ছিলো। অবশ্য প্রিন্সেস এলিনা এরকম কোনো কাজ করবে না এটা আমি বুঝতে পেরেছি, আর লুসি এবং লুসানাও এরকম কোনো কিছু করবে না। আমার মনে হচ্ছে আমাদের সাথে থার্ড পার্টি ছিলো কেউ। সাতশো আটানব্বই নম্বর শহরটার তিন সাইট বিশাল ঘন বন দিয়ে ঢাকা এবং পিছনের সাইটে বিশাল একটা পর্বত। দক্ষিন দিকের বনের মাঝ দিয়ে একটা রাস্তা রয়েছে, যেটাই এখানে আসা যাওয়া করার একটা রাস্তা, আর বাকি কোনো দিক দিয়ে ফেরত কিংবা আসা যাবে না। হয়তো রাজা এটা জেনেই তার কোনো মিলিটারি সেনা আগে পাঠায় নি। মিলিটারিতে রয়েল গার্ডদের থেকে বেশী পাওয়ারফুল সেনা রয়েছে, অবশ্য এই জায়গাটা রাজা তেমন ভয়ানক মনে করেন নি। আবার এটাও হতে পারে, আমাকে দিয়ে টেস্ট করছে এখানে কি, সঠিক তথ্য জানতে পারলে পরে আক্রমন করবে। শহরে আসার পরই শহরের মিনিস্টার আমাদের বেশ আনন্দের সাথে একটা বাড়িতে আশ্রয়ের জন্য নিয়ে গেলেন।
।।।
।।।
শহরটা আমার একদম ভালোই লেগেছে। কারন অনেকটা উন্নত বলা যায়। সকল বাড়ি কাঠের এবং মাটির তৈরী ইট দিয়ে বানানো। নরমাল জিনিস দিয়ে বানালেও বাড়িগুলোর সাজানোর স্টাইল অন্যান্যদের থেকে অনেক সুন্দর। তাছাড়া প্রতিটা বাড়িতেই আমি ফল এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির গাছ দেখতে পাচ্ছি, সব বাড়িতেই সেগুলো উৎপাদন করে। তাদের ফসলও অনেক ভালো জন্মে, সূর্যের আলো কম পেলেও তারা ম্যাজিক কে দৈনন্দিন কৃষি কাজে ব্যবহার করে, যার কারনে তাদের ফসল অনেক বেশী উৎপাদন হয়। আর সেগুলো বিক্রী করে তারা অর্থ উপার্জন করে, মূলত তাদের অর্থের প্রতি কারো নজর নেই, তারা শুধু রাজ্যে থাকার জন্য ভ্যাট দেওয়ার জন্য কষ্ট করে। প্রতিটা রাজ্যের এক একটা শহরের মিনিস্টারের দায়িত্ব তাদের শহরের প্রতিটা ঘর থেকে মাসিক ভ্যাট সংগ্রহ করে সেটা রাজার কাছে পৌছে দেওয়া। যাইহোক আমি বাদ দিলাম সেসব কথা বার্তা। আমাদের থাকার ব্যবহার করে দিলো এই শহরের মিনিস্টার। অনেকটা ভালো লোক মনে হলো তাকে, তার কথা বার্তা অনেক সুন্দর।
.
–মিনিস্টার স্যার আপনি কি বলতে পারবেন এখানে কি হচ্ছে?(আমি)
.
–হ্যা অবশ্যই স্যার।(যেহেতু আমি রয়েল গার্ড তাই তিনি আমাকে স্যার বলে সম্মোধন করলো)
.
–তাহলে সব খুলে বলুন, কিছু লুকাবেন না।(আমি)
.
–প্রায় তিন মাস যাবৎ আমাদের শহরে খুব আজব হচ্ছে। লোকজন রাতের সময় ঘরের বাইরে যেতে পারে না, কিছু আজব আলো দেখা যায় আকাশে, যেগুলো শহরের যে দেখে সেই তাদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, কেউ কিছু দেখলেও সেটা মনে করতে পারেনা। সবার একটাই কথা তারা একটা আলো দেখেছিলো শুধু। তাছাড়া রাতের সময় পাহাড়ের পাশে উত্তরে বনের ভিতরে ভয়ানক যুদ্ধের আওয়াজ শোনা যায়। পুরো শহরে এরজন্য ভূমিকম্প দেখা যায় মাঝে মাঝে। কিন্তু সকালে আমরা কেউ বের হলে বনে গিয়ে কিছুই দেখতে পাই না।(মিনিস্টার)
.
–তিনমাস আগে থেকে এই ঘটনা ঘঠছে তাহলে আগে প্যালেসে এটা জানান নি কেনো?(আমি)
.
–আমরা চেষ্টা করেছি, তবে আমাদের শহরের চারপাশের বনের বাইরে যাওয়ার পর আমরা যাকে পাঠাইতাম সে এই সম্পর্কে সব রকম স্মৃতি হারিয়ে ফেলতো। সে কি করবে ভেবে না পেয়ে আবার ফেরত আসতো।(মিনিস্টার)
.
–তাহলে শেষমেষে প্যালেসে কিভাবে পাঠিয়েছেন খবরটা?(আমি)
.
–আমরা একটা চিঠি লিখেছি, এবং দুইজনকে আবার পাঠিয়েছি কিছুদিন আগে। অবশ্য এটা আমাদের মাথায় আগে আশে নি। চিঠির সাথে আরেকটা কাগজে লিখে দিয়েছিলাম যে তাকে ক্যাপিটালে গিয়ে প্যালেসে এই চিঠিটা জমা দিতে হবে।(মিনিস্টার)
.
–ও বুঝতে পারছি। তাহলে তাদের মেমোরী নষ্ট হওয়ার পরও তারা ঔ লেখা দেখে ক্যাপিটালে জমা দিয়েছে চিঠিটা?(আমি)
.
–হ্যা স্যার।(মিনিস্টার)
.
–আচ্ছা তাদের কি সকল মেমোরীই নষ্ট হয়ে গেছে, যারা বের হওয়ার চেষ্টা করেছে?(আমি)
.
–না স্যার, শুধু এই শহরের যা হচ্ছে এই নিয়ে তারা ভুলে যাচ্ছে, তাছাড়া তারা আগের দিন কি খেয়েছে এটাও মনে করতে পারছে।(মিনিস্টার)
.
–ওকে বুঝতে পারছি ব্যাপারটা অনেক জোটালে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সাহায্যের জন্য।(আমি)
.
–এটা তো আমাদের দায়িত্বই।(মিনিস্টার)
।।।।
।।।।
মিনিস্টারের কথা শুনে মনে হচ্ছে এখানে যা হচ্ছে কিছু লোক আছে যারা চাচ্ছে না এগুলো বাইরের কারো কানে যা, কিন্তু কি হচ্ছে এখানে এটাই আমার প্রশ্ন। যাইহোক এটা তো আসল জায়গায় গেলেই বোঝা যাবে। আমি শহরের কাউকে আনতে চাচ্ছি না। তাই হ্যারি, লুসি এবং লুসানাকে সাথে নিয়ে চলে গেলাম উত্তরের বনের দিকে। প্রিন্সেস এর শরীর ভালো লাগছে না, তাই সে একটু বিশ্রাম নিবে। আমরা হাটতে হাটতে জঙ্গলের কাছে চলে আসলাম,
.
–জ্যাক তোমার কি মনে হচ্ছে কি হতে পারে এটা?(হ্যারি)
.
–যাইহোক না কেনো তোমাদের তিনজনের জন্য তো কিছুই না। যতটা শক্তিশালী হয়েছো।(আমি)
.
–কি বলো, আমরা আবার শক্তিশালী। তুমি এক সুযোগে রয়েল গার্ড হয়ে গেলে। তাহলে বলো কে আসল শক্তিশালী।(লুসি)
.
–টপিক বাদ দি, তোমাদের সাবধান করছি প্রিন্সেস এলিনার থেকে, নিজেদের আসল পরিচয় কোনো ভাবেই দিবে না। আমার মনে হয়, রাজা সন্দেহ করেছে তোমাদের উপরে, তাই প্রিন্সেস এলিনাকে পাঠিয়েছে আমাদের সাথে।(আমি)
.
–হ্যা সেটা তো বুঝতে পেরেছি, তবে মিনিস্টারের থেকে শুনলাম এখানে ভয়ানক যুদ্ধের আওয়াজ শোনা যায় কিন্তু দিনের সময় কোনো চিহ্নও পাওয়া যায় না। এটা কিসের লক্ষন মনে করো?(হ্যারি)
.
–আমার তো ভূতের লক্ষন মনে হচ্ছে। ভূতের ভয় প্যালেস থেকে ঔ গুপ্ত জায়গা দিয়ে বের হওয়ার পর থেকেই ভুলে গেছি আমি। যে ভূতুরে জায়গা দিয়ে বের হতে হয় আমাকে।(আমি)
.
–হ্যা সেটা তো বটেই। আমরা উত্তরের পুরো বন খুজেও কোনো কিছু পেলাম না। অবশ্য লুসির এবং লুসানার সার্চ ম্যাজিক আমাদের কাজে দিয়েছে অনেক, এটার কারনে আমাদের হাটতে হয় নি। কিন্তু দুঃখের জিনিস কোনো কিছু আমরা পেলাম না। একটা লক্ষন পাওয়ার আশা করছিলাম। কিন্তু সেটা হলো না। এখন তো রাতেই আমাদেরকে দেখতে হবে। লোকদের মতে আকাশে এমন এক আলো থাকে যেটা দেখার পর তারা অজ্ঞান হয়ে যায়। আমাদের রাতের সময় আকাশের দিকে না তাকিয়েই চলাচল করতে হবে। এতে করে জ্ঞান হারানোর ভয় থাকবে না। আবার আমরা শহরের মধ্যে ফিরে গেলাম বন থেকে। মিনিস্টারের দেওয়া বাসার মধ্যে আমরা চারজন ঢুকে গেলাম। কিন্তু ভিতরে প্রিন্সেসকে না পেয়ে অনেকটা শিহরীত হলাম। যেটা আমাকে ভালোই ভাবিয়ে তুললো। হয়তো আমাদের বের হওয়ার পর কেউ প্রিন্সেসকে আক্রমন করেছে, কিডন্যাপ করেছে, প্রিন্সেস নিজের ইচ্ছায় এই শহর ঘুরতে বের হয়েছে কিংবা সে ক্যাপিটালে চলে গেছে। কি হয়েছে আমি সঠিক বলতে পারছি না। তাই সোজা আমি মিনিস্টারের সাথে কথা বলতে লাগলাম। সে জানালো প্রিন্সেস শহরেই ঘুরছে। তাই আমিও বের হলাম প্রিন্সেসকে খুজতে। যদিও বিরক্ত লাগে এসব কাজ। তারপরও তার গার্ড আমি আপাতোতো এই জার্নির জন্য। আমি বাইরে বের হয়ে খুজতে খুজতে পুরো সন্ধ্যা করে ফেললাম। শেষমেষ একটা দোকানের বাইরে বসে তাকে একটা কেক খেতে দেখে অনেকটা খুশি হলাম। কেনো জানি না তার চেহারা এখন দেখলেই আমার হার্টবিট বেড়ে যায়। হয়তো এটা আগের স্পেলের কারন, কিন্তু স্পেল তো সেটা চলে যাওয়ার কথা। হ্যারিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ও জানিয়েছে ও স্বাভাবিক আছে এখন। কিন্তু আমার মনের খবর আমি বলতে পারছি না এখন। আমি কিছু না বলে সোজা প্রিন্সেস এর কাছে চলে গেলাম। অবশ্য তাকে খুজে বিরক্ত ছিলাম এতোক্ষন, কিন্তু সেটা তো আর প্রিন্সেস কে বলা যায় না। যত হোক এটা আমার কাজ।
।।।
।।।
প্রিন্সেস কেক খাওয়া শেষ করে হাটা শুরু করলো আমার দিকে। অনেকটা দূরে আমরা বাসা থেকে, আর কিছুক্ষনের মধ্যে রাত হবে। আমাদেরকেও বের হতে হবে, তাই আমি তারাতারি করছি। কিন্তু প্রিন্সেস এলিনা আস্তে আস্তেই হাটছে। আমি নিরব না থেকে প্রশ্ন করলাম।
.
–প্রিন্সেস এলিনা,(আমি)
.
–হ্যা জ্যাক বলো?(প্রিন্সেস)
.
–আপনি এর আগে আমাকে বলেছিলেন আপনি টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করতে পারেন না। কিন্তু রাজা বললো আপনি পারেন। সেদিন মিথ্যা বলেছিলেন কেনো?(আমি)
.
–কিছু কিছু মিথ্যা বললে সমস্যা হয় না।(প্রিন্সেস)
.
–একজন প্রিন্সেস হয়ে মিথ্যা আপনার মুখে মানায় না।(আমি)
.
–একজন রয়েল গার্ড হিসাবেও মিথ্যা তোমার মুখেও মানায় না।(প্রিন্সেস)
.
–আমি কি মিথ্যা বললাম আপনাকে?(আমি)
.
–আমাকে নয়, পুরো রয়েল প্যালেস কে মিথ্যা বলে আসছো তুমি।(প্রিন্সেস)
.
–আমি বুঝতে পারছি না।(আমি)
.
–গুপ্ত রাস্তা, ব্লাক ড্রাগন, ওদের পরিচয় আমার কাছে লুকানো ইত্যাদি ইত্যাদি কথা।(প্রিন্সেস)
.
–ও তাহলে আপনি আমাদের কথা শুনেছেন।(আমি)
.
–হ্যা বাবা শুধু ঔ তিনজনের উপরে সন্দেহ করেছিলো, তাই আমাকে সেটা নিশ্চিত করার জন্য পাঠায়। তবে আমি আশা করি নি তুমিও তাদের অংশ।(প্রিন্সেস)
.
–তাহলে কি বলে দিবেন?(আমি)
.
–সেটা বলতে চাইলে তো বলেই দিতাম। কিন্তু আমি কারন জানতে চাই, কেনো একজন রয়েল গার্ড হয়ে রাজ্যের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছো?(প্রিন্সেস)
।।।
।।।
আমার মাথা কাজ করছে না। আমি সব দিক দিয়েই সিরিয়াস ছিলাম। কিন্তু প্রিন্সেস এলিনা এতো চালাক হবে সেটা আমি বুঝতে পারি নি। প্রশ্ন হলো সে কিভাবে শুনলো, আমি শিওর ছিলাম সে ঔখানে ছিলো না, আর টেলিপোর্ট হয়েও আমাদের আশেপাশে আসে নি। তাহলে এসব শুনলো কিভাবে? সব মিস্ট্রি রয়ে গেলো। কিন্তু আমি বিষয়টা ছোট ভাবে নিতে পারবো না। আমাকে এটার সম্পর্কে কিছু করতে হবে। হোক সে প্রিন্সেস, যদি তাকে হত্যা করে আমার বন্ধুদের নিরাপদ রাখা যায় আমি সেটা করতেও দেরী করবো না।
.
–তাহলে আমাকে হত্যা করার চিন্তা করছো?(প্রিন্সেস)
.
–কি বলছেন, প্রিন্সেস?(আমি)
.
–হাত কাপছে বার বার তোমার, আর জোরালো করে মুঠো করে রেখেছো, মানে রাগ হচ্ছে তোমার, আর এর মানে মনে আমাকে হত্যার চিন্তাও হচ্ছে।(প্রিন্সেস)
.
–প্রিন্সেস কি সব আজব বলছেন।(আমি)
.
–জ্যাক আমি কোনো কিছু আজব বলছি না।(প্রিন্সেস)
।।।
।।।
প্রিন্সেস সোজা আমার হাত ধরলো, আর আমাকে সহ টেলিপোর্ট করে পাশে বাসার ছাদের উপরে আনলো। প্রিন্সেস আমার হাত ধরায় আমার হার্ট বিট অনেকটা বেরে গেলো। একটা দেওয়াল রয়েছে ছাদের উপরে, যেটার পিঠে আমি পিঠ মিশিয়ে দাড়ালাম হার্ট বিট বারার কারনে। আর প্রিন্সেস এলিনা আমার মাথার পাশ দিয়ে তার দুই হাত দেওয়ালে দিয়ে আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।
.
–এখন আমার প্রশ্নের উত্তর দাও তুমি।(প্রিন্সেস)
.
–আগে বলো রাতে কোনো আজব স্বপ্ন দেখো কিনা?(প্রিন্সেস)
.
–না প্রিন্সেস।(আমি)
.
–এখন বলো ব্লাক ড্রাগনে যোগ দিয়েছো কেনো?(প্রিন্সেস)
.
–রাজ্যের আবর্জনা যেটা কিছু পাওয়ারফুল লোক তাদের রাজ্য থেকে পরিস্কার করতে।(আমি)
.
–এটা রাজার দায়িত্ব, তুমি কেনো এটা করতে যাবে?(প্রিন্সেস)
.
–কারন রাজা নিজেই আর্বজনা। এবং তাকেও পরিস্কার হওয়া দরকার।(আমি)
.
–কি আমার বাবা আবর্জনা?(প্রিন্সেস)
.
–হ্যা এখন বলো আমাকে নিয়ে কি ভাবনা তোমার?(প্রিন্সেস)
.
–আপনি একজন প্রিন্সেস। আর সেটার জন্য আমি বিরক্ত বোধ করি, প্রিন্সেস রা তাদের সুন্দর জীবন কাটায় আর যেখানে সাধারন লোকজনের ছেলে মেয়েরা দুঃখের সাথে থাকে, অনেকে খাবার পাচ্ছে আবার অনেকে পাচ্ছে না। তাই আমি বিরক্ত বোধ করি আপনার প্রতি। তবে ইদানিং জানি না আপনাকে দেখতে আমার হার্ট বিট বেড়ে যাচ্ছে। কারন বলতে পারবো না।(আমি)
।।।
।।।
আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করছি। তবে যা আমাকে প্রশ্ন করছে আমি কোনো কিছু লুকাতে পারছি না। মনে হচ্ছে আমার উপরে কোনো স্পেল ব্যবহার করা হচ্ছে, যেটা আমার মুখ থেকে সব সত্য কথা বলছে। হঠাৎ প্রিন্সেস আমার ডান হাত তার নরম ডান হাত দিয়ে শক্ত করে ধরলো এবং বলতে লাগলো,
.
–আমার হাতের স্পর্শ পেয়ে কেমন লাগছে তোমার?(প্রিন্সেস)
.
–আমার হার্ট বিট আরো বেড়ে যাচ্ছে।(আমি)
.
–একটা শেষ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো? আমাকে প্রিন্সেস না একটা মেয়ে হিসাবে তোমার কেমন লাগে?(প্রিন্সেস)
.
–আমি সেরকম ভাবে আপনাকে দেখি নি কখনো, তবে যতদূর বলতে পারি আপনি আমার দেখা সবথেকে সুন্দরী মেয়ে, তবে আমার দেখা সবচেয়ে বিরক্তকর মেয়েও।(আমি)
।।।
।।।
আমার এই কথা শুনে প্রিন্সেস অনেক রেগে গেলো। রাগে সোজা আমার ঠোটে তার ঠোট লাগিয়ে একটা চুমু দিয়ে দিলো, এবং আমার হাত ধরে আবার টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। এবার সোজা মিনিস্টার এর দেওয়া বাসাতেই এসে গেছি আমি। প্রিন্সেস কি করলো আমি কিছুই বুঝতে পারি নি। হঠাৎ কিছুক্ষনে জন্য আমার মাথা অনেক হ্যাং করলো।
.
–আমি এইটা করতে চাই নি, কিন্তু তোমার মনের কথা গুলো বের করার জন্য করতে হয়েছে আমাকে, এটাকে মাইন্ড রিডিং বলে। অবশ্য এই স্পেল দিয়ে আমি পড়ি না বরং যার উপরে ব্যবহার করি সেই আমাকে সব কিছু বলে দেই।(প্রিন্সেস)
.
–তাহলে আপনি সব কিছু এখন রাজাকে বলে দিবেন?(আমি)
.
–তুমি আসলেই বেশী বুঝো না, তোমার হার্ট আমাকে দেখলে কেপে যায় এর মানে এখনো তুমি বুঝো নাই, এরমানে আমাকে তুমি ভালোবাসো, আর আমি চাই না যে আমাকে ভালোবাসে তার বিরুদ্ধে কিছু বাবাকে বলতে। কিন্তু আমি এটা ঠিকই বলছি যে রাস্তা তুমি অবলম্বন করছো সেটা একদম ছেড়ে দিবে, দরকার পরলে তোমার কাজের জন্য আমি নতুন একটা রাস্তা খুজে দিবো।(প্রিন্সেস)
.
–সেটা কেনো করবেন?(আমি)
.
–আমার মন চাইছে তাই। এখন থেকে আমি তোমাকে যা বলতে বলবো তাই করতে হবে তোমাকে, নাহলে সব কথা আমার বাবার কানে যাবে।(প্রিন্সেস)
.
–হ্যা ঠিক আছে। একটা প্রশ্ন? আমাদের কথা বার্তা কিভাবে শুনেছেন?(আমি)
.
–তোমার শার্টের কলারে একটা ছোট ম্যাজিকাল ডিভাইস রয়েছে, যেটা তার আশেপাশের সকল শব্দ সোজা আমার কানে পৌছে দেই। অবশ্য সেটা আমার তৈরী।(এলিনা)
।।।
।।।
আমি ভাবিও নি এতো ভ্য়ানক হবে প্রিন্সেস এলিনা। মূলত যে পরিস্থিতিতে আমি আছি আমার কাছে দুটো রাস্তা আছে, এক হলো তার কথা শোনা নাহলে আমাদের চারজনের জীবনই ঝুকিতে। আর দুই হলো তাকে হত্যা করা, যেটা আমার হাত করতে পারবে না। আমি বুঝতে পারছি না, হঠাৎ আমার মনের মধ্যে তার জন্য অজানা মনোভাব আস্তে শুরু করেছে, এটা সে ভালেবাসা বললো। অবশ্য এই বিষয়ে কোনো জ্ঞান না থাকার কারনে আমি সঠিক বলতে পারছি না। এটা অন্য কারো সাথে শেয়ার করার দরকার আমার। যাইহোক আপাতোতো বেশ জোড়ালো একটা অবস্থায় আমি পরেছি, যেটা থেকে বের হওয়ার সমাধান আমি খুজে পাচ্ছি না। তার স্পেলের বিরু্দ্ধে আমি কোনো কিছুই করতে পারি নি। আমার শরীর নারাতে পারি নি, এবং মুখের কথাও আটকাতে পারি নি। এখন যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমাকে শুধু সামনের জিনিসের উপরে খেয়াল দিতে হবে।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরের পার্টের জন্য। কেমন হলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here