#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৫৬
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
দেখতে দেখতে আরো দশটা দিন কেটে গেলো। এর মাঝে আমাদের রাজ্যের অনেকটা উন্নয়নও হয়েছে। ত্রিশটার মতো ঘর বানানো শেষ হয়েছে। এবং সেই সাথে ডয়ারফসরা প্যালেসের কাজ ও শুরু করে দিয়েছে। আর ঘর তৈরী হওয়ার পর বাইরে থেকে লোকজনও আসছে এদিকে। আপাতোতো বেশ কয়েকজন আমাদের রাজ্যে থাকতে এসেছে, অবশ্য তাদের আনার জন্যও একটা কাজ করতে হয়েছে। আমি এবং হ্যারি তিনটা রাজ্যে গিয়েছিলাম, ইগড্রোলিয়া, হিমরার এবং এ্যালকোর্টে। যেখানে গিয়ে অনেক গুলো পোস্টার বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে দিয়ে এসেছি। পোস্টারে আমাদের রাজ্যের সম্পর্কে ছিলো, যেখানে প্রজাদের অনেক সুবিধার কথা বলা হয়েছিলো। এজন্য বেশ অনেকজনই আমাদের রাজ্যে এসেছি। আমার ধারনা আরো অনেকে আসবে। এমনিতেও অনেক সময়ের পথ এখানে আসতে। আর দ্বিতীয়ত, কেউ চাইলেই অন্য রাজ্যে গিয়ে থাকতে পারে না। অন্য রাজ্যের অধিবাসী হতে হলে নিজের রাজ্যে আর ফেরত যাওয়া যাবে না। তবে যারা তাদের রাজ্য থেকে বিরক্ত বোধ করে তারা আমাদের রাজ্যেই চলে আসবে। আমার রাজ্য সমস্ত গোত্রের প্রানীর জন্য খোলা থাকবে। যেখানে কোনো গোত্র নিজেদের বড়াই করতে পারবে না। সবার সমান অধিকারই থাকবে। তারপরও এখন নিজের রাজ্য বলা চলে না এটাকে। কারন এটা টেকনিক্যাল ভাবে আমার রাজ্য হলেও সবার সামনে এটা ভ্যাম্পয়ার কুইন এলিহার রাজ্য। তাই আমাকেও সেরকম ভাবতে হবে।
।।।
।।।
এই দশদিন সময়ের মাঝে আমি আরো দুজন বিশপের খোজ করতে পেরেছি। যাদেরকে আমি আমার রাজ্যে নিয়ে এসেছি। দুজনের একজন হচ্ছে একজন মেয়ে, যে কিনা এন্জেল। তাকে আমি এ্যারসাক থেকে ধরে নিয়ে এসেছি। অবশ্য এন্জেল ফর্মে আমার এ্যারসাকে টেলিপোর্ট হতে কোনো সমস্যা হয় না। যদিও মেয়েটাকে আমি ধরে আনি নি, সে নিজেই আমার রূপে মুগ্ধ হয়ে চলে এসেছে আমার সাথে। এন্জেল ফর্মে আমি দূর থেকে শক্তিশালী ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করতে পারি। তাই বিশপ খুজতে আমার সমস্যা হয় নি। এন্জেল বিশপের নাম ইকারেস। এন্জেল জেনারেল লুকের কন্যা সে। আমি দেখেছিলাম লুকের শরীরে অনেক শক্তিশালী ক্ষমতা ছিলো। আর তার কন্যার কাছেও যে ক্ষমতা থাকবে না সেটা মানা যায় না। তাই তাকে এ্যারসাকে গিয়ে আমি নিয়ে এসেছি। অবশ্য তাকে আমার রানীর বিশপ হওয়ার কথা বলার সাথেই সে রাজি হয়ে যায়। সে নাকি আমার চেহারার উপরে পাগল হয়েছে, এবং আমাকে বিয়ে করতে চাই। জানি না এন্জেল ফর্মে মেয়েরা এতো পাগল হয় কেনো। মানুষের ফর্মে থাকলে দুজন ছাড়া তো কেউই কথায় বলতে চাই না।।।।
।।।।
।।।।
যাইহোক আমাদের দুটো বিশপ হয়েছে, একজন হলো এন্জেল ইকারেস। যে কিনা আগের দুনিয়ায় শক্তিশালী একটা কুইন ছিলেন। যে ডেভিল কিং এর সাথে লড়াই এ প্রত্যেকবারই জিতেছেন। আর দ্বিতীয় বিশপ হলো একজন সাধারন মানুষ। হ্যা একজন সাধারন মানুষের মাঝে আমি এতো ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করেছি যেটা আমাকে অবাক করে দিয়েছে। তার নাম লুইস। অবশ্য এই দুনিয়াতে সবাই তার আগের দুনিয়ার ফর্মে জন্ম নেই নি। কিছু কিছু লোক আছে যাদের ফর্ম চেন্জ হয়ে গেছে। যেমন এই লুইস। সে আগের জন্মে একজন ডেভিল ছিলো। এবং ডেভিল কিং এর একজন জেনারেল ছিলো। অবশ্য আমারো জেনারেল ছিলো। সে এই দুনিয়ায় জন্ম নিয়েছে একজন মানুষ হয়ে। এরকম হাজারে একজন কিংবা দুইজন দেখা যায়। যাদের ফর্ম চেন্জ হয়েছে এই দুনিয়ায়। তবে এ সম্পর্কে তারা জানে না, তাই চিন্তা করার কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। যায়হোক আমাদের রাজ্যে দুটো বিশপ এসেছে আরো, যাদের একজন হলো এন্জেল এবং একজন মানুষ। তিনজন বিশপই আমি আপাতোতো রাখতে চাই। কারন একজন রুক যদি একটা পর্বত ভেঙে দিতে পারে, তাহলে বিশপদের ক্ষমতা আমার বোঝা হয়ে গেছে। বেশী বিশপ রাখলে সেটা সমস্যা হবে পরের জেনারেশন এর জন্য।
।।।
।।।
আমি শুধু রুক জোগাড় করি নি। সেই সাথে রাজ্যের জন্য মোট ত্রিশটা নাইট ও জোগাড় করেছি এই সময়ের মধ্যে। অবশ্য তাদেরকে জোড় করে আনতে হয়েছে আমাদের রাজ্যে। কিন্তু তারা এখানে আসার পর নিজেদের ইচ্ছামতোই থাকতে রাজি হয়েছে, তাই তাদেরকে নিয়ে আর চিন্তার বিষয় আমার নেই।
।।।
।।।
আপাতোতো আমি প্যালেসের কাজে নিযুক্ত হয়েছি। বিভিন্ন কাজে ডয়ারফসদের সাহায্য করছি। ব্লাক স্মিথ এখানে এসেছে বলে সেই খবর শোনার পর আরো অনেক ডয়ারফস আমাদের রাজ্যে বসবাস করার জন্য রাজি হয়েছে, যারা একদিন পরই পরিবার সহ এদিকে চলে আসবে। দেখতে দেখতে আমাদের রাজ্যও একদম শূন্য থেকে বড় হচ্ছে। রাজ্যে আপাতোতো কোনো কিছু বেচাকেনা শুরু হয় নি। তবে সেটাও শুরু হবে। কিছুক্ষন কাজ করার পরে আমাদের একটা মিটিং বসলো। প্যালেসটার কাজ এখনো চলছে। প্যালেসটা নির্মান হচ্ছে সেই ভাঙা বাড়ির জায়গাতেই। যেটাকে অনেক সুন্দর করে তৈরী করা হবে। তবে সেটা পরে হবে। আগে মিটিং এ যাওয়া যাক। মিটিং এ আপাতোতো কুইন, আমি, তিনজন বিশপ, ব্লাক স্মিথ যে কিনা রুক এবং পাচজন নাইট আছে। ত্রিশটা নাইটের মধ্য থেকে পাঁচজন প্রধান নাইট সিলেক্ট করে দিয়েছে হ্যারি, যারা বাকিদের সমান ভাগে ভাগ করে নিয়ে আদেশ দিবে। আর সেই পাঁচজনের মাঝে লুসি এবং লুসানাও আছে। যাইহোক মিটিং শুরু হলো।
।।।
।।।
.
–আমাদের রাজ্য আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। লোকজন আরো আসছে এখানে থাকার জন্য। আমাদের দ্রুত তাদের জন্য ঘর বানাতে হবে।(কুইন)
.
–হ্যা তবে এভাবে সবাইকে ঘর তৈরী করে দেওয়া ঠিক হচ্ছে কি? তারা তো কিছু সাহায্যও করছে না। বরং এসেই থাকছে। তাছাড়া তাদের খাবারের সকল ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হচ্ছে। এভাবে তো প্রজাদেরকে আমাদেরই পালতে হবে।(বিশপ লুইস)
.
–তাহলে কি করতে পারি আমরা এই বিষয়ে?(লুসি)
.
–মাই কুইন মিনিস্টার স্যারের আদেশ অনুযায়ী আমরা প্রতিটা বাড়িতে সমান জায়গা মেপে শুধু একটা বাসা এবং একটা পুকুর তৈরী করে দিয়েছি। আমাদের পাঁচজন ডয়ারফস এবং একজন জায়েন্ট এর একটা বাসা সেভাবে তৈরী করতে দুই থেকে তিন ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। এখন আমাদের কাছে রিসোর্সের কোনো কম নেই, কিন্তু এইরকম সাধারন কাঠের ঘরে প্রজারা থাকতে চাইবে না। কিছুদিন পর তারা নতুন ভাবে তৈরী করতে বলবে আবার।( রুক ব্লাক স্মিথ)
.
–মাই কুইন, আপাতোতো খাবারের ব্যাপারটা আমাদের নাইটদের নিতে হচ্ছে। এভাবেই কি আমাদের খাবার খাওয়াতে হবে সবাইকে চিরকাল?(লুসানা)
.
–হ্যা সবার সমস্যা বুঝতে পেরেছি। আমার কাছে খবর এসেছে আমাদের রুক ব্লাক স্মিথের এখানে আসার কারনে আরো অনেক ডয়ারফস তাদের পরিবার নিয়ে এদিকে আসছে। তখন তারা নির্মাণের কাজে আমাদের সাহায্য করতে পারবে। তাছাড়া খাবারের ব্যাপারটা প্রজারা নিজেই দেখতে পারবে।(কুইন)
.
–কুইন আপনার কথাট সত্য। তবে সেভাবে কাজ করলে কেউ এখানে থাকতে চাইবে না। যদিও এটা মাত্র রাজ্যের শুরু। এখানে সবাইকে তাদের কাজ করতে হবে। খাবারের সমস্যা অনেকটা গুরুতর। সেটাকে কম ভাবে দেখলে হবে না।(আমি)
.
–তো কি করলে ভালো হবে আমাদের জন্য।(কুইন)
.
–আপনি এখনো ভালো ভাবে জানেন না কি করলো ভালো হয়। তাই মাই কুইন আপনার হয়ে আমাকেই সব কিছু দেখতে দিন। আমি কিছুদিনের মধ্যেই আপনার শাসন করার জন্য সুন্দর একটা রাজ্য তৈরী করে দিবো।(আমি)
.
–ঠিক আছে।(কুইন)
।।
।।
কুইন আমি এন্জেল ফর্মে থাকলে কিছু বলে না আমার বিরুদ্ধে। তবে আমি মানুষের ফর্মে থাকলে অনেক কিছুই বলে।
.
–তো শুনো সবাই। কাল থেকে সকল প্রজাদের জন্য কাজ শুরু হবে। রুক ব্লাক স্মিথ আপনি কাল থেকে কোনো নির্মান এর কাজ করবেন না। আপনার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ন কাজ রয়েছে, সেটা হলো আপনি কাল থেকে নতুন এক ধরনের নতুন কাগজ তৈরী করবেন। যেটা আমাদের রাজ্যের আপাতোতো অর্থ হবে।(আমি)
.
–কাগজের অর্থ সেটা কিরকম?(ব্লাক স্মিথ)
.
–চারকোনা একটা ম্যাজিকাল নোট হবে, যেটা তৈরীর সিকরেট শুধু আপনিই জানবেন। অনেক সময় লাগবে আপনার। এজন্য কাল থেকে লেগে পরবেন। যত পন্য প্রয়োজন হয় সেটা বাকি রুকদের একজনকে বলবেন এনে দিতে।(আমি)
.
–হ্যা ঠিক আছে মিনিস্টার স্যার।(রুক ব্লাক স্মিথ)
.
–এখন ঘরের বিষয়ে আসা যাক। প্রতিটা বাসায় একটা করে ঘর এবং একটা পুকুর ই থাকবে। তাদের ঘরগুলো মেরমত কিংবা নতুন ভাবে নির্মান করতে হলে তাদের অর্থ দিতে হবে। তাছাড়া খাবারও তারা ফ্রিতে পাবে না। প্রতিদিন তাদের জন্য নির্দিষ্ট কাজ থাকবে। যেগুলো শেষ করার ফলে তারা অর্থ পাবে। এবং সেই অর্থ দিয়ে তাদের খাবার কিনে খেতে হবে।(আমি)
.
–তাহলে আমাদের রুক ব্লাক স্মিথের কাগজের অর্থ তৈরীর অপেক্ষা করতে হবে মিনিস্টার স্যার?(বিশপ লুইস)
.
–হ্যা। কাগজের অর্থ তৈরী না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ফ্রিতে খাবার, পোষাক এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে।(আমি)
.
–ঠিক আছে তাহলে আমরা সেটাই করবো।(সকলে একসাথে বললো)
।।।
।।।
আমাদের রানী এখনো কোনো আদেশ দিতে পারে না। সে সবকিছুতে আমার উপরে নির্ভর করে। যেটা অনেকটা ভালো লাগলেও ভালো বিষয় না। আমি চাই সে তার রাজ্যের ব্যাপার টা বুঝে নিক। কারন আমি তো আর রাজ্য চালাইতে চাই না। বিষয়টা অনেক বাজে লাগে। সেনার প্রধান হওয়াটা অনেক ভালো মানায় আমাকে। যাবো একটা রাজ্যে, গিয়ে যুদ্ধ করবো তাতেই মজা। তাছাড়া আমার মনে হয় না রানী আমাকে ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিবে। ব্যাপারটা তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। যাইহোক আমি আর সেদিকে নজর দিলাম না। অনেক কাজ বাকি আছে। যদিও কাজ করতে মন চাই না। তারপরও ভালো লাগছে। একটা রাজ্যকে কিছু না থেকে বানানোর মাঝে অন্যরকম একটা মজা। যেটা বানানো রাজ্যের রাজা হলেও মজা পাওয়া যায় না।
।।।।
।।।।
পুরো দুইদিন সময় লাগলো রুক ব্লাক স্মিথের কাগজের অর্থ তৈরী করতে। এটা অনেকটা আগের দুনিয়ার পৃথিবীর টাকার মতো। তবে অন্যরকম। তবে এটা সেই টাকার থেকে আলাদা। ম্যাজিকাল পাথর এবং বাশ দিয়ে এই কাগজের নোট তৈরী। যেটার নকল করা একদমই অসম্ভব। ভিতরে আমাদের কুইনের ছবি দেওয়া আছে। এবং বেশ কিছু লেখা আছে। লেখা এবং অংকনের কাজটা ব্লাক স্মিথ আমার থেকেই নিয়েছে। আমি যেটা লেখতে হবে আঁকতে বলেছি সেটাই সে লেখেছে এবং এঁকেছে। টাকা তৈরী হওয়ার পর আমরা প্রজাদের এক এক করে কাজ দিতে লাগলাম। শুধু প্রজা নয়, বরং রাজ্যের রানী সহ সবাইকেই একটা নির্দিষ্ট টাকার বেতন ঠিক করা হলো। শুধু রানীর টাকাটা রাজকোষেই জমা হবে। সকল টাকা রাখার জন্য একটা রাজকীয় প্রতিষ্ঠান খুললাম, যার নাম দেওয়া হলো ব্যাংক। যেটাকে পৃথিবীর মতোই অনুসরন করেছি। রাজ্যের সকল টাকা ব্যাংকের মধ্যেই জমা হবে। বেশ কয়েকটা প্রতিষ্ঠান খোলা হলো, যেগুলো সাধারন জনগনদের কাজ দিবে। কাজগুলো এক একরকমের।
।।।
।।।
অনেকের কাজ গাছ কাটা, কারো কাজ ফল সংগ্রহ করা, কারো কাজ বন্য পশু শিকার করা, কারো কাজ ফুল সংগ্রহ করা, কারো কাজ, অনেকের কাজ মূল্যবান পাথর সংগ্রহ করা। যারা নির্মাণের কাজ করে তাদেরও আলাদা একটা প্রতিষ্ঠান তৈরী করে দেওয়া হলো, যেখানে তারা টাকার বিনিময়ে তাদের শ্রমিক পাঠিয়ে কাজ করাবে। দেখতে দেখতে রাজ্যে শত রকমের কাজ দেখা গেলো, যেগুলো দিন শেষে করার ফলে তারা অর্থ পায়। এবং সেই অর্থ গুলো দিয়ে তারা খাবার ক্রয় করে।
।।।
।।।
রাজ্যে আস্তে আস্তে জনগন বারতে লাগলো। কারন আমাদের মতো অন্য কোনো রাজ্য এরকম সুবিধা দেই না। আমাদের রাজ্যে খাবারের কোনো অভাব নেই, সেই সাথে সবার ছোট ছোট কাজের জন্য অনেক অর্থ তারা পায়, যেটা দিয়ে তারা আমাদের রাজ্যেই অনেক কিছু করতে পারবে। দেখতে দেখতে লোকজন নিজেরাও কুইনের থেকে আদেশ নিয়ে নিজেদের জমিতে দোকান খোলা শুরু করেছে। যেখানে তাদের জমাকৃত মূল্যবান জিনিস, ধাতু এবং বিভিন্ন ফল, খাবারের জিনিস তারা বিক্রী শুরু করেছে। তাছাড়াও কুইনের থেকে অনেকে জমি লিজ দিয়ে কৃষি কাজও শুরু করেছে, যেটা আমাদের রাজ্যের খাবারের অনেক উন্নতি করবে। আর তাছাড়াও যেসব নাইটের পানির এট্রিবিউট আছে, তারা রাজ্যের সুন্দর্যের জন্য বিশাল পুকুর বানাচ্ছে। অবশ্য পুকুর খননের কাজটা পাঁচটা জায়েন্ট রুকই করেছে, নাইটরা শুধু পানি দিয়ে ভরে পুকুর বানাচ্ছে।
।।।।
।।।।
কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের রাজ্যকে রাজ্য বলা যায়। তারপরও অনেক কাজ রয়েছে, তাছাড়া আমার মনে পরেছো রানী এলিনা বলেছিলো সে এক মাসের মধ্যে আমাদের সাথে যুদ্ধে যেতে চাই। অবশ্য আপাতোতো যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই। কারন একটা রাজ্য তৈরী করতে অনেক মজা লাগে, যেটা আমি এখন অনুভব করেছি। অবশ্য ক্ষমতা থাকলে বিষয়টা অনেক সহজ হয়ে যায়। তাছাড়াও আমার রাজ্যটা বাকি সব কিছুর থেকে আলাদা হবে। আমি জানি না ড্রাকুলা কেমন রাজ্য বানাবে, কিন্তু আমারটা আগের দুনিয়ার পৃথিবীর মতো হবে, যেখানে সবাই সুখে শান্তিতে বাস করতে পারবে। অবশ্য একবার রাজ্যটা সম্পূর্ন তৈরী হয়ে গেলে এটাকে গনতান্ত্রিক ভাবে চালাতেও কোনো সমস্যা হবে না। তারপরও আমার কিংডম ক্রিয়েশন স্পেলের জন্য সেটা সম্ভব হবে না। কারন এই রাজ্যে সবারই তাদের কুইনের উপরে ভক্তি থাকবে, এবং সবাইকে যে ক্ষমতা দিয়েছে, তার হুকুমও মেনে চলতে হবে। মানে এই রাজ্যে মিনিস্টার এবং কুইনের আদেশ তাদের মানতে হবে।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
বোরিং লাগলে কিছু করার নাই, গল্পে এসব জিনিস থাকবেই, সব সময় লড়াই থাকলে গল্প থাকে না সেটা। তারপরও কেমন লাগলো জানাবেন।