Child Of Night part-9

0
1565

#Child_Of_Night
Writer : Tanjima Islam

[10]

ওরহানের কথা শুনে নীরা নিজের ঘটনাই আউলিয়ে ফেলেছে। ওরহান এবার নীরার দিকে আরেকটু ঝুকে বলল,

” আচ্ছা যদি বলি যে, এইমুহূর্তে আপনার সামনে একটা ভ্যাম্পায়ার বসে আছে!

নীরা ভ্রুঁ কুঁচকে তাকিয়ে আছে। ওরহানের অযৌক্তিক কথাবার্তা নীরার মাথায় ঢুকছেনা। ওরহান ঠিক আগের মতই শান্ত গলায় বলল,

“কী, বিশ্বাস হচ্ছে না, তাই না। আপনার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে আপনি আমায় বিশ্বাস করতে পারছেন না।

নীরা একটা বিরক্তিমাখা হাসি দিয়ে বলল, ” আপনি ভ্যাম্পায়ার ভালো তো। অসুবিধা কোথায়?

“ট্রান্সিলভ্যানিয়ার বিখ্যাত কাউন্ট ড্রাকুলার গল্প পড়েননি?
হাস্যোজ্জ্বলভাবে প্রশ্ন করল ওরহান।

“ড্রাকুলারা তো রোদ লাগলে মারা যায়?

“হা হা হা, মিডিয়াগুলোর এমনই ধারণা। আসলে তেমন কিছু না।

নীরার ভীষণ অস্বস্তি লাগছে। লোকটা হটাৎ এমন অদ্ভুত কথাবার্তা বলছে কেন?
ভ্যাম্পায়ার কি সত্যি সত্যি আছে নাকি? নীরা খেয়াল করল, অন্যান্য দিনের তুলনায় ওরহানকে আজ বেশ রহস্যময় লাগছে।
এটাই কি তার অস্বস্তির কারণ? নীরা হাসার চেষ্টা করে বলল,

“তাই নাকি! তো আপনি থাকেন কোথায়, কফিনে?

নীরার এমন তাচ্ছিল্যপূর্ণ কথায় কিঞ্চিৎ ব্যথিত হতে দেখা গেল ওরহানকে।
সে এবার সোজা হয়ে নিজের জায়গায় বসে বাইরে তাকালো।
পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দানিয়ুব। নদীর ওপর দিয়ে নির্মল বাতাস এসে গায়ে লাগছে। ওরহান সেদিকে তাকিয়ে বলল,

” মিলিয়ান এখনও বাচ্চা। তাই ওর কথাবার্তা এতটা আমলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।

মুহুর্তেই প্রসঙ্গ পালটে ফেলল ওরহান। সাথেসাথে নীরার অস্বস্তি আরও দ্বিগুণ বেড়ে গেলো।
তার সমস্যা তো সমাধান হল না। এখন মনে হচ্ছে সে ওরহানকেই বা এসব বলল কেন?
ভীষণ বিরক্ত লাগছে তার। নিজের ওপরই রাগ হচ্ছে। ওরহান দৃষ্টি সরিয়ে নীরার দিকে তাকিয়ে বলল,

” দুঃখীত মিস নীরা। আমাকে এখন যেতে হবে। খুব জরুরি একটা কাজ আছে।

নীরা না চাইতেও হেসে বলল, ” ঠিকাছে,সমস্যা নেই।

ওরহান উঠে চলে গেলো। নীরা ঠায় বসে রইলো কর্নারের চেয়ারটায়। অজানা একটা ভয় ক্রমশ তাকে গ্রাস করে চলেছে। মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই কিছু একটা ঘটতে চলেছে। ভয়ংকর কিছু!
_____________________
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
দূরের গীর্জায় ঘণ্টাধ্বনি হল ঢং….ঢং….. রাত বারোটা বাজে। শীতের কুয়াশা ঢাকা নিশুতি রাত।
আকাশের একফালি ক্ষীণ চাঁদ মাঝেমাঝে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে কুয়াশায়।
থেকে থেকে জানলার কাঁচে হু হু শব্দে ঝাঁপিয়ে পড়ছে হিমেল হাওয়া।

বেডে বসে লাগেজ প্যাক করছে সারলোট। এবারের উইন্টার ভ্যাকেশনটা তারা মিউনিখে এক ঘনিষ্ঠ আত্নীয়ের বাসায় কাটাবে।
কাল সকালেই ট্রেন। সারলোটের বাবা-মা ঘন্টা খানেক আগেই রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েছে।
পুরো বাড়িতে সারলোট একাই জেগে আছে এখন। বেড়াতে যাওয়ার এক্সাইটমেন্টে তার ঘুম উবে গেছে বোধহয়।
কি কি ড্রেস নেবে সেসব সিলেক্ট করছে। তবে এতো এক্সাইটমেন্টের মাঝেও গত কালকের সেই অদ্ভুত দৃশ্য ভুলতে পারছেনা সারলোট।
বারবার মনে হচ্ছে, একই সময়ে একটা মানুষ কিভাবে দুই জায়গায় থাকতে পারে?
সে ভুল দেখেনি নিশ্চিত। তাহলে কি ঘটল তখন? নীরা আন্টি কি আদৌ মানুষ নাকি ভূতপ্রেত কিছু?

সারলোট আনমনে এসব ভাবছে আর একে একে কাপড়চোপড় ভাজ করে লাগেজে ঢোকাচ্ছে।
হটাৎ জানালার গ্লাসে ডানার ঝাপটা খাওয়া শব্দ পেয়ে চমকে উঠল সে।
ঘাড় ঘুরিয়ে জানালার দিকে তাকালো, চোখে অন্যমনস্ক দৃষ্টি। একটা পাখি মতো কিছু জানালা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে।
হয়তো পথ ভুলে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে কোনো পাখি। সারলোট আবার দৃষ্টি লাগেজের দিকে ফিরিয়ে নিতে গিয়েই চমকে উঠে থেমে গেল। জানলার কাঁচে একটা ছায়া!

ক্ষীণ চাঁদের আলোয় দেখা গেল অতর্কিতে একপাশে সরে গেল যেন সেই ছায়া!
এপাশে জানলার কাছাকাছি কোনও গাছপালা নেই। তাই অস্পষ্ট ছায়ামুর্তিটা চোখে পড়তেই চমকে উঠল সারলোট।
স্থির অপলক সন্ধানী দৃষ্টি জানলায় ধরে রাখল সে। কিন্তু না – আর কিছুই দেখা গেল না।
সারলোট ভাবল, নিশ্চয়ই তার চোখের ভ্রম। হঠাৎ বাইরে তাকিয়েছে – তাই আলো আঁধারিতে বিভ্রান্ত হয়েছে দৃষ্টি।
চোখ নামিয়ে সারলোট আবার লাগেজ প্যাক করতে ব্যস্ত হয়ে উঠল।

কিন্তু মূহুর্ত কয়েক পরেই আবার মনোযোগ ভঙ্গ হল সারলোটের। প্রবল এক হাওয়ার ঝাপটা যেন জানলার ওপর আছড়ে পড়ল।
ঝনঝন শব্দে বেজে উঠল জানলার কাঁচ। চমকে তাকালো সারলোট।
না, কোনও ছায়া এবারে তার চোখে পড়ল না। বাইরে হাওয়ার বেগ বাড়ছে – জানলার পাল্লার ফাঁকে সেই শব্দ উঠছে দীর্ঘশ্বাসের মতো।
সারলোট ভাজ করা টিশার্টটা রেখে জানালার দিকে এগিয়ে যেতে লাগল। ওপরের ছিটকিনিটা বোধহয় দেওয়া হয়নি।
কিন্তু জানলার দিকে এগোতে গিয়েই চোখ বিস্ফারিত হয়ে উঠল ওর।

স্পষ্ট দেখতে পেল একটা অতিকায় বাদুড় জানলার কাঁচ বেয়ে উঠতে গিয়ে ছিটকে পড়ে গেল!
ওটার নখ লেগে শার্সির বুকে ধাতব কর্কশ শব্দ উঠল চড়..চড়… সারলোট ভাবল, ঝোড়ো হাওয়ায় বেচারা নিশ্চয়ই দিশা হারিয়ে ফেলেছে!
এই ভাবতে ভাবতেই বাদুড়টা আবার উড়ে এসে আঁকড়ে ধরবার চেষ্টা করল জানলাটা।
ওটার ডানা দুটি প্রসারিত। কিন্তু এবারেও ব্যর্থ হয়ে নিচে পড়ে গেল। এক মূহুর্ত দ্বিধায় কাটাল সারলোট। পরক্ষণেই দ্রুত এগিয়ে এসে জানলার পাল্লাদুটো সামান্য ফাঁক করে ধরল।

সঙ্গে সঙ্গে এক ঝলক ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভর করে বিকট বাদুড়টা আছড়ে পড়ল ঘরের ভেতর।
ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝাপটায় গোটা শরীরটা রি রি করে উঠল সারলোটের।
ঘাড় ফিরিয়ে বাদুড়টাকে দেখতে দেখতে আবার জানলার পাল্লাদুটো টেনে বন্ধ করে দিল।
ঘরে ঢুকেই বাদুড়টা ঘরময় ঘুরপাক খেল কয়েক চক্কোর। দেয়ালে ঠোক্কর লাগল ডানার।
এ দেয়াল থেকে ও দেয়ালে উড়ে গিয়ে যেন বসবার কোনও অবলম্বন খুঁজতে লাগল।
সকৌতুকে প্রাণীটাকে দেখতে লাগল সারলোট। মনে মনে বলল,

“বেচারা! তবু তো ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচলি!

এইসময় আবার গীর্জার ঘণ্টাধ্বনি ভেসে এল বাতাসে। …..ঢং। রাত একটা।
সারলোট লাগেজ প্যাক করে তারপর বেডে উঠে বসে বাদুড়টাকে খুঁজতে লাগল।
আশ্রিত প্রাণীটা এই মূহুর্তে সমস্ত মনোযোগ আকর্ষণ করে নিয়েছে তার।
কোনো দিকে আর মন যাচ্ছে না। সারলোট খেয়াল করল একটা আশ্রয় খুঁজে পেয়ে গেছে প্রাণীটা।
ঘরের কোণার উঁচু আলমারিটার একটা কোণা ধরে ঝুলে পড়েছে ওটা।
স্মিত হাসির রেখা জেগে উঠল সারলোটের ঠোঁটের কোণে। যাক, নিশ্চিন্ত হওয়া গেল এতক্ষণে।

সারলোট মনে মনে বলল, “রাতটা ওখানেই কাটিয়ে দে। এই রাতে ঠান্ডার মধ্যে আর বাইরে গিয়ে কাজ নেই – জমে বরফ হয়ে যাবি।

সারলোট নিজেও যেন মনে মনে স্বস্তি অনুভব করল। রুমের লাইট অফ করে একটা আরামসূচক শব্দ করতে করতে লম্বা হয়ে বিছানায় শুয়ে কম্বল টেনে আপাদমস্তক ঢেকে ফেলল নিজেকে।
_______________________
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে আছে সারলোট। রাত হয়েছে আরও গভীর। কিছুক্ষণ আগে গীর্জার ঘড়িতে রাত দুটো বাজার সঙ্কেত ঘোষিত হয়েছে।
নিথর নিস্তব্ধ চরাচর। কেবল থমথমে রাত এগিয়ে চলেছে নিঃসাড়ে। সারলোট পাশ ফিরে শুয়েছে।
মাথার একপাশ থেকে সরে গেছে কম্বলটা। কম্বলের তলায় কুঁকড়ে আছে তার শরীরটা।
দেয়ালের পাশের আলমারির কোণা আঁকড়ে বাদুড়টা এখনও ঝুলে আছে।
অতর্কিতে সেটা খসে এসে পড়ল মেঝের ওপর। শব্দ হল না এতটুকুও।

কিন্তু পরক্ষণেই দেখা গেল বাদুড় থেকে এক সুদীর্ঘ মূর্তি উঠে দাঁড়িয়েছে মেঝে থেকে।
তার রক্তাভ চোখের হিংস্র লোলুপ দৃষ্টি সারলোটের ঘুমন্ত মুখের দিকে নিবদ্ধ।
ঠোঁটের কোণায় ফুটে উঠল তার এক কুটিল হাসির রেখা। নিদ্রাগত সারলোট বুঝতেও পারল না অসহায় প্রাণীর কষ্টে বিগলিত হয়ে যাকে সে খানিক আগে জানলা খুলে ঘরে আশ্রয় নেবার সুযোগ করে দিয়েছে – এখন তার আসল রূপ প্রকাশিত হয়েছে অন্ধকার ঘরে।
পায়ে পায়ে মূর্তিটা এগিয়ে আসতে লাগল ঘুমন্ত সারলোটকে লক্ষ্য করে, তাজা রক্তের উন্মাদকরা নেশায়।

রক্ত তৃষ্ণায় টান ধরেছে তার শুকিয়ে আসা কণ্ঠনালীতে। শুষ্ক ওষ্ঠ সিক্ত করার আকুল আগ্রহে অধীর উন্মুখ হয়ে উঠেছে মূর্তিটি।
বুঝি আর সবুর সইছে না তার। সারলোট যদি জেগে থাকত, এই অন্ধকারেও দেখতে পেত ভয়াল ভয়ঙ্কর এই নৈশ মূর্তির ঠোঁটের ফাঁকে বেরিয়ে আসা তীক্ষ্ণাগ্র দুটি দাঁত রক্তের নেশায় যেন ঝলসে উঠছে থেকে থেকে। হতভাগ্য সারলোটকে গভীর নিদ্রা অচেতন করে রেখেছে।

পায়ে পায়ে খাটের পাশে এগিয়ে এসে সারলোটের দেহের ওপর ঝুঁকে পড়ল মূর্তিটি।
সন্তর্পণে মুখের সামনে থেকে সরিয়ে দিল কম্বলটা। পরক্ষণেই একহাতে ঘুমন্ত সারলোটের মুখ চেপে ধরে ঘাড়ের পাশে বসিয়ে দিল তার তীক্ষ্ণাগ্র দীর্ঘ দাঁতদুটি। যন্ত্রণায় শিউরে উঠে পাশ ফেরার চেষ্টা করল সারলোট ঘুমের মধ্যে।
কিন্তু মূর্তিটির কঠিন হাতের প্রবল চাপে সে ব্যর্থ হল। একটা গোঁ গোঁ শব্দ উঠল তার গলায়।
পরক্ষণেই বন্ধ হয়ে গেল সেই শব্দ। গলার চামড়ার রন্ধ্রপথে ফিনকি দিয়ে ততক্ষণে বেরিয়ে এসেছে তাজা লাল রক্ত।
মূর্তিটির তৃষিত ঠোঁট সঙ্গে সঙ্গে হুমড়ি খেয়ে পড়ল সেই রক্তঝরা ক্ষতের ওপর।
সারলোটের ঘাড়ের ক্ষত থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ে ভিজিয়ে দিতে লাগল তার বিছানা – বালিশ।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
নীরার রুমে বেডের পাশে দাড়িয়ে আছে মিলিয়ান। দুচোখের দৃষ্টি আবদ্ধ ঘুমন্ত নীরার মুখের দিকে।
থেকে থেকে নিঃশ্বাস ফেলছে নীরা। কাচের জানালা দিয়ে আসা চাঁদের আবছা আলো আর অন্ধকার মিশে অদ্ভুত আলোছায়া খেলছে ঘরের ভেতর।

মিলিয়ান নীরার পাশ থেকে সরে জানালায় উঁকি দিল। বাইরে কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। কিছুদূর পরপর ল্যাম্পপোস্টের হলদে আলো দেখা যাচ্ছে। মিলিয়ান আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,

” মাম্মাম! নীরা মাম্মামও কি তোমার মতো আমায় রেখে চলে যাবে?

ঠিক এই সময়ে একটা অতিকায় বাদুড়কে তার প্রশস্ত ডানা মেলে উড়ে যেতে দেখল মিলিয়ান।
ডানা মেলে উড়তে উড়তে একসময় কুয়াশার বুকে হারিয়ে গেলো বাদুড়টা।
এতো বড় বাদুড়ও পৃথিবীতে আছে তা জানা ছিলো না মিলিয়ানের।
তার হটাৎ মনে হল, ওটা সাধারণ কোনো বাদুড় নয়। ওটা অন্য কিছু।

নীরার ডাক পেয়ে চমকে পেছনে ফিরল মিলিয়ান। ঘুম ভেঙে উঠে মিলিয়ানকে জানালার ধারে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বেশ অবাক হয়েছে নীরা। সে বেড থেকে নেমে আসতে আসতে বলল,

” কি হয়েছে মিলিয়ান? এতো রাতে তুমি এখানে?

এগিয়ে এসেই মিলিয়ানের গায়ে মাথায় চিন্তিত হয়ে হাত বুলাতে লাগল নীরা। মিলিয়ান কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বলল,

” আমার একা ঘুমাতে ভয় লাগছে মাম্মাম। আমি কি তোমার সাথে ঘুমাতে পারি?

নীরা ভাবছে মিলিয়ান হটাৎ কি দেখে ভয় পেলো। সে কি তাকে জিজ্ঞেস করবে? না থাক, মনে হচ্ছে এখনও ভয় কাটেনি তার। নীরা মিলিয়ানকে নিয়ে বেডে বসে বলল,

” হ্যাঁ। কেন নয়? এসো আমার সাথে শুয়ে পড়ো। ভয়ের কিছু নেই। মাম্মাম আছে তো তোমার পাশে।

মিলিয়ান বেডে শুয়ে নীরাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ” তুমি সবসময় আমার পাশে থাকবে তো মাম্মাম?

” হ্যাঁ থাকবো।

” প্রমিজ করো!

” প্রমিজ।

নীরা মিলিয়ানের কপালে চুমু দিয়ে চুলে বিলি কেটে দিতে লাগল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ল মিলিয়ান।
বাকি রাতটা নীরার আর ঘুম এলো না। মিলিয়ানের ভীতসন্ত্রস্ত অসহায় মুখখানা তাকে বড্ড ভাবাচ্ছে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
[চলবে]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here