Romantic_Devil পাঠ-৭

#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
07.

সিনহা না বুঝে কি বলে ফেললে তার সেদিকে খেয়াল নেই। এইদিকে সিনহার কথাগুলো শুনে ইমরান যে চরম রেগে গেছে সেটা সে ভালো করেই বুঝে গেছে।
ইমরান সাথে সাথে সিনহার গালে কষিয়ে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।

” আমার কথা অবশ্যই তোকে শুনতে হবে।নাহলে…..(রেগে)

ইমরান আর কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। সিনহা গালে হাত দিয়ে ইমরানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

” শুনবো না আমি তোর কথা। উঁহু থাপ্পড় মেরে গাল লাল করে দিলো ডেভিল একটা।

!¡!

পুরো একদিন সিনহা রুম থেকে বের হয়নি। ইমরানও কোনো খোঁজ নিতে সিনহার রুমে আর আসেনি। ইমরানের এমন আচরণে সিনহা অবাক হয়।

” একটা দিন রুমে বসে আছি। আর ডেভিল টা একটাবার খোঁজও নিতে এলো না। থাপ্পড়ও মারলো আমাকে, রাগও দেখাচ্ছে আমাকে। আর আমি বান্ধা আছি সব সহ্য করার জন্য। আল্লাহ এই ডেভিলটার মনে একটু মায়াদোয়া দিও আমার জন্য।

সিনহা কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে ইমরানের রুমে আসে। এসে দেখে ইমরানও রেডি হয়ে বসে আছে। সিনহা কোনো কথা না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।ইমরানও কিছু বলছে না, চুপচাপ বসে আছে।
সিনহাই প্রথম মুখ খুলল।

” আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।

” তো আমি কী করবো?

” আমাকে দিয়ে আসবি না?

” কেনো? অন্য কোনো ছেলে আজকে রিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে নেই?

সিনহা এবার ইমরানের পাশে এসে বসে।

” ওই কথা নিয়ে রেগে আছিস? আমি তো ওইটা মজা করে বলেছিলাম। আর কখনো আমি কোনো ছেলের সাথে রিক্সায় উঠবো না।

” কোনো ছেলের সাথেই উঠবি না?

” শুধু তোর সাথে উঠবো। আর কারো সাথে না।

” এইটা তো আগেও বলেছিস।

” এবার পাক্কা প্রমিজ। আর উঠবো না। এই যে কানে ধরে বলছি।

সিনহা গাল ফুলিয়ে কানে দিয়ে আছে। যা দেখে ইমরান হেসে দেয়। আর রাগ ধরে পারলো না।

” যাক হেসেছিস তাহলে।

” সরি সিনহা…

” কেনো কেনো?

” তোকে থাপ্পড় মেরেছি যে তাই।

” উঁহু থাপ্পড়ের কথা মনে করিয়ে দিতে হবে না। ব্যাথা পেয়েছি অনেক।

” সরি…।

” হয়েছে। এতো সরি সরি করতে হবে না। দেরি হয়ে যাচ্ছে।

” ওহ হ্যাঁ চল।

!¡!

ইমরান, সিনহাকে তার কলেজে নামিয়ে দিয়ে নিজের ভার্সিটিতে যায়। রাকিব সিনহাকে দেখে দৌড়ে আসে

” সিনহা ভালো আছো? হাটুর কী অবস্থা এখন?

” খুব ভালো আছি।

” তো সেদিন রিক্সা থেকে লাফ দিলে কেনো?

” যেকারণেই লাফ দিছি, ওইটা বিষয় না। বিষয় হচ্ছে আর কোনোদিন আমাকে রিক্সায় উঠাতে জোর করবি না, বা নিজে আমার রিক্সায় উঠে পড়বি না। আমার ডেভিল অন্য কারো সাথে আমাকে সহ্য করতে পারে না,হু।

” ইমরান ভাই, তোমাকে ভালোবাসে?

” জানি না।।

” তাহলে অন্য কারো সাথে সহ্য করতে পারে না কেনো?

” কারন ভালোবাসে তাই।

” এখন না বললে, জানো না।

” আসলেই আমি কিছুই জানি না, তার মতিগতি।😪

!¡!

দুপুরে ইমরান, সিনহাকে নিতে আসে। সিনহা বাইকে উঠে ইমরানকে জড়িয়ে ধরে।

” সিনহা এতো জোরে জড়িয়ে ধরেছিস কেনো? আস্তে ধর।

” না আমার ভয় করে,যদি পড়ে যায়।

” তুই কি নতুন বাইকে উঠেছিস নাকি? ঢঙ রাখ।

” আমি এভাবেই ধরে বসবো।

ইমরানও আর কিছু না বলে বাইক চালানো শুরু করে। সিনহা ইমরানকে জড়িয়ে ধরে ইমরানের পিঠে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকে।

” ভাইয়া ভাইয়া, বাইক থামা।

” কেনো?

” আমি আইস্ক্রিম খাবো।

” এখন আবার তোর আইস্ক্রিম খেতে ইচ্ছে হলো?

” হ্যাঁ।

ইমরান বাইক থামায়। আইস্ক্রিমের দোকান রাস্তার অপরপাশে।

” সিনহা তুই এখানেই থাক,আমি আইস্ক্রিম নিয়ে আসি।

” আচ্ছা।

ইমরান, আইস্ক্রিম আনতে যায়।সিনহা বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

” মাল টা তো হেব্বি জোস।

কথাটা শুনে সিনহা হকচকিয়ে যায়। পাশে তাকিয়ে দেখে দুইটা ছেলে তাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলেছে।

” সুন্দরী একা নাকি? সঙ দিতে আসবো নাকি?

কথাটা বলে উচ্চস্বরে হেসে উঠে তারা। ইমরান আইস্ক্রিম নিয়ে এলে দেখে সিনহা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে।

” সিনহা কী সমস্যা?

” ভাইয়া ওরা আমাকে মাল বলেছে।(ছেলেগুলোকে ইশারা দিয়ে দেখিয়ে)

ইমরান সিনহার হাতে আইস্ক্রিম ধরিয়ে সোজা ছেলেগুলোর সামনে এসেই একটা ছেলের মুখে ঘুষি বসিয়ে দেয়,অন্য আরেকটা ছেলের বুকে লাথি বসিয়ে দেয়। আক্রমণ হুঠ করে হওয়াতে ছেলেগুলো বাধা দেওয়ার সুযোগ পাইনি।

ইমরান পাশ থেকে একটা ইট নিয়ে মারতে গেলে সিনহা দৌড়ে এসে বাধা দেয়।

” ভাইয়া না…

ছেলে দুইটা ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়।

” সিনহা বাধা দিলি কেনো আমাকে? দুইটাকেই জানে মেরে ফেলবো। সাহস কী করে হয় তোকে খারাপ কথা বলার।

” মারতে হবে না। তুই মারতে গেছিস,তাতেই আমি খুশি।

” তোকে খুশি করার জন্য আমি মারতে যাইনি।

ইমরান গিয়ে বাইকে উঠে।

” তো কাকে খুশি করতে মারতে গেছিস?🙄

ইমরান জবাব দেয় না।বাইক চলতে শুরু করে।

!¡!

চাচার জন্য মেয়ে দেখতে আসা হয়েছে। চাচা তো অনেক খুশি। তার এবার বিয়ে হতে চলেছে। চাচা খুশির ঠেলায় ভুলেই গেছে এখন বিয়া না মেয়ে দেখতে এসেছে তারা।

চাচা সিনহা, ঈশিতা ভাবীকে বুঝাচ্ছে,

” শোন মাইয়ারে কোনো উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করবি না। তোদের তো আবার অভ্যাস খারাপ, উলটাপাল্টা প্রশ্ন কইরা মাইয়ারে নাচায় ছাড়স।

চাচা ওদের বুঝাতে বুঝাতে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করছিল। সামনে খেয়াল করছিল না, হঠাৎ করেই দরজায় পায়ার সাথে চাচা উষ্টা খেয়ে পড়ে যায়। আর চাচার লুঙ্গি উঠে যায় মাথায়।

” ওরে আল্লাহ…

চলবে….

~ ইমতিহান ইমরান।

WRiter im Ran

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here