অজানা_অনুভূতি #পর্বঃ ২১

#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ২১
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

আদ্রিতা বলে উঠলো, আপনার কাছে কি এইটা খেলনা বন্দুক নাকি?

আদ্রিতার কথায় সাজ্জাদ বিষম খেলো। যাকে সবাই ভয় পাই তাকে কিনা আদ্রিতা বলছে খেলনা বন্দুক চালায়। সাজ্জাদ আর কিছু বললো না আদ্রিতার থেকে দূরে সরে গেলো।

কি হলো কিছু বললেন না যে? আপনি ত ব্যবসায়ী আপনার কাছে ত আসল বন্দুক থাকার কথা না। তার মানে এটি নিশ্চয়ই নকল। (আদ্রিতা)

তুমি কি কি কিনবে কিনে নেও। (সাজ্জাদ)

আমাদের বাসার ওখানে একটি মার্কেট আছে না ওইটায় চলুন। (আদ্রিতা)

গাড়িতে বসো ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা গিয়ে গাড়িতে বসে পড়লো। সাজ্জাদ ও আসলো।

সাজ্জাদ গাড়ি চালানো শুরু করলো।আদ্রিতা একটার পর একটা কথা বলেই যাচ্ছে আর সাজ্জাদ চুপচাপ শুনছে সাজ্জাদের মনে হচ্ছে আদ্রিতা যেনো প্রাণবন্ত ভাবে আবার কথা বলছে তাই সাজ্জাদ ও আদ্রিতাকে কথা বলার জন্য কোনো রকম বাঁধা দিচ্ছে না। গাড়িতে একটি গান চলতেছিলো ~

এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়
ছুঁয়ে দিলে হাত
আমার বৃদ্ধ বুকে তোমার মাথা
চেপে ধরে টলছি কেমন নেশায়
এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়
ছুঁয়ে দিলে হাত
আমার বৃদ্ধ বুকে তোমার মাথা
চেপে ধরে টলছি কেমন নেশায়
কেন যে অসংকোচে অন্ধ গানের কলি
পাখার ব্লেডের তালে সোজাসুজি কথা বলি
আমি ভাবতে পারি নি
তুমি বুকের ভিতর ফাটছো আমার
শরীর জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ
আমি থামতে পারি নি
তোমার গালে নরম দুঃখ
আমায় দুহাত দিয়ে মুছতে দিও প্লিজ
তোমার গানের সুর
আমার পকেটভরা সত্যি মিথ্যে
রেখে দিলাম তোমার ব্যাগের নীলে
জানি তর্কে বহুদূর
তাও আমায় তুমি আঁকড়ে ধরো
আমার ভেতর বাড়ছো তিলে তিলে
কেন যে অসংকোচে অন্ধ গানের কলি
পাখার ব্লেডের তালে সোজাসুজি কথা বলি
আমি ভাবতে পারি নি
তুমি বুকের ভিতর ফাটছো আমার
শরীর জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ
আমি থামতে পারি নি
তোমার গালে নরম দুঃখ
আমায় দুহাত দিয়ে মুছতে দিও প্লিজ
এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়
ছুঁয়ে দিলে হাত
আমার বৃদ্ধ বুকে তোমার মাথা
চেপে ধরে টলছি কেমন নেশায়
এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়,
ভালোবাসায়

[ যদি ও তখন রাত ছিলো না সন্ধ্যা ছিলো 🫣🤭 ]

সাজ্জাদ যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে এসে গাড়ি থামালো।

নেমে এসো (সাজ্জাদ)

এইখানে কেনো? আমি এইখান থেকে কিছু কিনবো না। এইখান থেকে চলুন। ( আদ্রিতা)

আদ্রিতা নামছে না ডেকে সাজ্জাদ নিজেই আদ্রিতাকে গাড়ি থেকে নামালো।

আদ্রিতা ঠিক করেছিলো আবিরের থেকে টাকা নিতে পারে নি কিন্তু পরে সাজ্জাদকে টাকা পরিশোধ করে দিবে। কিন্তু যমুনা ফিউচার পার্কে সব কিছুর দাম অনেক বেশি। এতো টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে।

সাজ্জাদ হয়তো বুঝতে পারছে আদ্রিতা কি জন্য যেতে চাচ্ছে না। সাজ্জাদ আদ্রিতার কাছে এসে বললো, তোমাকে না বলেছি অন্য কোনো কিছু নিয়ে এখন ভাবতে হবে না যা পছন্দ সেটি কিনে নেও।

আদ্রিতা কি বলবে বুঝতে পারছে না। সাজ্জাদ এক হাতে আদ্রিতার কোমর জড়িয়ে ধরলো।

কি করছেন ছাড়ুননন। (আদ্রিতা)

হুঁশশ কোনো কথা না। (সাজ্জাদ)

সাজ্জাদ আদ্রিতাকে জড়িয়ে ধরেই মার্কেটের ভিতরে গেলো। প্রথমেই একটি শাড়ির দোকানে গেলো।

How are you, sir? ( দাকোনের ম্যানেজার)

I’m fine and you? ( সাজ্জাদ)

আমি ও ভালো আছি স্যার। (ম্যানেজার)

নতুন কালেকশনের সব শাড়ি দেখান। (সাজ্জাদ)

জ্বি স্যার বসুন৷(ম্যানেজার)

আদ্রিতা আর সাজ্জাদ বসলো।

আপনি আগে ও এসেছেন নাকি? আপনাকে চিনে কিভাবে? (আদ্রিতা)

হুম সব সময় এই দোকান থেকে শাড়ি কিনি। (সাজ্জাদ)

মানে কার জন্য শাড়ি কিনেন আপনি? (আদ্রিতা)

পরে দেখে নিও কার জন্য কিনি। (সাজ্জাদ)

ম্যানেজার সাজ্জাদের সাথে একটি মেয়েকে দেখে অবাক হলো আগে ও অনেক বার এসেছে কিন্তু সাথে কখনো ও কোনো মেয়ে ছিলো না।

স্যার আপনার সাথে কে এসেছে? (ম্যানেজার)

My wife সাজ্জাদের সোজাসাপ্টা উওর।

কথাটি শুনে আদ্রিতা বিষম খেলো।

কেও পানি দিন প্লিজ (সাজ্জাদ)

ম্যানেজার পানি দিলো। সাজ্জাদ আদ্রিতাকে পানি খাইয়ে দিলো।

স্যার আপনাদের অনেক মানিয়েছে (ম্যানেজার)

সাজ্জাদ মুচকি হাসলো।

দোকানের কর্মচারীরা একে একে শাড়ি দেখানো শুরু করলো।

কি হলো কোনটা নিবে? (সাজ্জাদ)

অনেক গুলো দেখে বুঝতে পারছি না কোনটা নিবো। সব গুলোইত অনেক সুন্দর। (আদ্রিতা)

সব গুলোই নিয়ে নেও ( সাজ্জাদ)

কি বলছেন আপনি? একটা কাজ করুন আপনি পছন্দ করে দিন। (আদ্রিতা)

সাজ্জাদ কালো আর গোল্ডেনের মধ্যে একটি শাড়ি পছন্দ করে দিলো।

পছন্দ হয়েছে? (সাজ্জাদ)

হুম অনেক সুন্দর কিন্তু (আদ্রিতা)

কিন্তু কি? (সাজ্জাদ)

আদ্রিতার সাজ্জাদের কাছে এসে বললো এটির দাম কতো?

তোমাকে কি আমি দাম জিজ্ঞেস করতে বলেছি?পছন্দ হয়েছে নাকি সেটা বলো। (সাজ্জাদ)

হ্যাঁ অনেক পছন্দ হয়েছে। (আদ্রিতা)

সাজ্জাদ সাথে একটি গোল্ডেন হিজাব নিলো। সাথে আর ও অনেক কসমেটিকস।

এতো কিছু কেনো? (আদ্রিতা)

চুপ কালকে আমার মন মতো তুমি সাজবে। (সাজ্জাদ)

আদ্রিতা আর কিছু বললো না। সাজ্জাদ আদ্রিতার শাড়ির সাথে মিলিয়ে একটি ব্লেজার নিলো। সাথে আর ও কিছু শপিং করলো।

কিছু খাবে? নাকি বাসায় যাবে? (সাজ্জাদ)

না বাসায় চলেন। (আদ্রিতা)

ওকে। (সাজ্জাদ)

এতোগুলো ব্যাগ আপনি নিয়েছেন আমাকে একটি ব্যাগ দিয়ে দিন আমি নিচ্ছি। (আদ্রিতা)

তুমি চাইলে এখন তোমাকে ও আমি নিয়ে যেতে পারি আর এগুলো ত সামান্য ব্যাগ। নিবো নাকি তোমাকে ও?আসো কাছে আসো (সাজ্জাদ)

অ*সভ্য লোক একটা লজ্জা শরমের মাথা খেয়েছে।

না আপনি নিয়ে যান এই ব্যাগ গুলো আমি নিবো না।(আদ্রিতা)

আদ্রিতা আর সাজ্জাদ মার্কেট থেকে বেরিয়ে গেলো।

গাড়িতে বসো। (সাজ্জাদ)

আদ্রিতা আর সাজ্জাদ গাগিতে বসলো। সাজ্জাদ গাড়ি চালানো শুরু করলো। কতক্ষণ পর হঠাৎ গাড়ি থেমে গেলো।

কি হলো গাড়ি থামালেন কেনো? (আদ্রিতা)

গাড়ি চলছে না। (সাজ্জাদ)

সাজ্জাদ গাড়ি থেকে বের হয়ে কতক্ষণ বোঝার চেষ্টা করলো কি হয়েছে কিন্তু বুঝতে পারছে না।

আমাদের মনে হয় বাসে যেতে হবে। (সাজ্জাদ)

আর গাড়িটা? (আদ্রিতা)

আমার ম্যানেজার এসে নিয়ে যাবে। (সাজ্জাদ)

আদ্রিতা আর সাজ্জাদ রাস্তায় বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। আদ্রিতা খেয়াল করছে দুর থেকে কিছু ছেলে তার দিকে কুনজরে তাকিয়ে আছে। সাজ্জাদ খেয়াল করে নি ওদের।

আদ্রিতা গিয়ে সাজ্জাদের হাতটি ধরলো। হঠাৎ আদ্রিতা সাজ্জাদের হাত ধরায় সাজ্জাদ চমকে উঠে।

কি হয়েছে ভয় পাচ্ছো নাকি? (সাজ্জাদ)

আদ্রিতা ইশারায় ওই ছেলেদের দেখালো।

সাজ্জাদ দেখে আর কিছু বললো না। সাজ্জাদ নিজে ও আদ্রিতার হাত শক্ত করে ধরলো। আদ্রিতার কাছে যেনো এটি সবচেয়ে ভরসার হাত ও নিরাপদ স্থান

#চলবে

[ সরি আজকে আর কালকে একটু বেশি ব্যস্ত আছে। এইযে একটু পর ২টার দিকে বাসা থেকে বের হবো আসবো ৬ টায় ব্যাচ আছে 🤦‍♀️ তারপর আবার অনলাইন ক্লাস। সব কিছু মিলিয়ে অনেক ব্যস্ত আছি

আদ্রিতার সাথে সাজ্জাদের এই দিনটা একটু বড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আচ্ছা সাজ্জাদের কাছে বন্দুক কেনো থাকে? আপনাদের সবার কথা অনুযায়ী শাড়ি কিনে দিলো সাজ্জাদ। সাজ্জাদ আগে ও কার জন্য শাড়ি কিনেছে? ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here