অদ্ভুত প্রেমোমোহ তুমি পর্বঃবোনাস পার্ট

0
2389

#অদ্ভুত_প্রেমোমোহ_তুমি
#বোনাস_পার্ট
✍️ তাজরিয়ান খান তানভি

এইটা কিন্তু পরে আমি ১৫পার্টের সাথে এড করবো।তখন কিন্তু বলতে পারবেন না ওই পার্ট ছোট 😌😌😌😌

অপূর্নতাই মানুষকে পূর্নতায় পৌছায়।আশা নিয়েই মানুষ বাচে।আশা আছে বলেই মানুষ বাচার স্বপ্ন দেখে।আমাদের যাই ই থাকুক না কেন তারপরও আমরা আরো কিছু পাওয়ার আশা করি,স্বপ্ন দেখি।আর সেই স্বপ্ন পূরন করার লড়াই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নেয়।
জীবন আমাদের অনেক কিছু দেয়।আবার অনেক কিছু কেড়ে নেয়।আর অনেক কিছুই আমরা জীবনব্যাপী খুজে যাই।কিছু পাই কিছু পাই না।না পাওয়াটাই হয়তো ভালো।কথায় আছে,,,,,,,,”কোনো কিছু না পাওয়ার চেয়ে পেয়ে হারানোর জ্বালা বেশি যা সহ্য করার ক্ষমতা সবার থাকে না।

প্রহর মারশিয়াদ এর কথায় ঢোক গিলে।কি বলে এই লোক!!আওয়াজ উচু করে বলে,,,
“কি বলছেন এইসব??কে আপনার কাজলচোখী??আমি কারো কাজলচোখী নই।আপনি চলে যান এখান থেকে।”

আজরাহান চুপ দাড়িয়ে আছে।ওর মনে হচ্ছে কেউ যেনো ওর কলিজা ছিড়ে নেওয়ার তাগাদা দিচ্ছে।ওর প্রহরিনী কে কেড়ে নিতে চাইছে।কি বলবে সে??

প্রহর আরেকটু শক্ত করে চেপে ধরে আজরাহান এর হাত।ওর দিকে তাকিয়ে কান্না জড়ানো চোখে বলে—
“রাহান ভাইয়া আপনি কিছু বলছেন না কেনো??চুপ করে আছেন কেনো আপনি??কি বলছে এই লোক??

নুরাইসা তার প্রান ফিরে পায়।আজরাহান এর নিরবতায় মনে হচ্ছে ও তার আজরাহান কে আবার ফিরে পাবে।

মারশিয়াদ উঠে দাড়ায়।
“কাজলচোখী,,একবার এই কাজল পড়ে আসুন।প্লিজ একবার।আমি একবার আপনার ওই কাজলকালো চোখসহ সম্পূর্ন আপনাকে দেখবো।”

প্রহর আবার চেচিয়ে বলে–
“বললাম তো আমি আপনার কাজলচোখী নই।চলে যান এখান থেকে।”

পিছন থেকে শিহরণ এসে বলে–
“প্রহর প্লিজ রাগ করোনা।মারশিয়াদ তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।হন্যে হয়ে খুজেছে এই দুইবছর।ওর চেয়ে বেশি তোমাকে কেউ ভালোবাসতে পারবে না।”

প্রহর এইবার আরো ক্ষেপে যায়।
“চুপ করুন আপনি।আর আপনার পাগল বন্ধু কে নিয়ে এখনি চলে যান এখান থেকে।”

প্রহর আজরাহান এর হাত ছেড়ে ওর শার্ট ধরে টানতে থাকে।
“রাহান ভাইয়া আপনি কিছু বলছেন না কেনো?? কিছু বলুন না।”

আজরাহান নিজের মধ্যে নেই। ভাবান্তরহীন সে।
“রাহান ভাইয়া,,,,,,

বেশ কড়া আওয়াজে গলা উচু করে প্রহর।
আজরাহান সজ্ঞানে আসে।সামনে দাড়ানো সে সুদর্শন পুরুষের দিকে তাকায়।তার চোখের তৃষ্ণা মিটবার নয়।

“প্লিজ কাজলচোখী,একবার পড়ুন এই কাজল আপনার চোখে।আমি আপনাকে দেখবো।”

“নাহ,,,কখনই না।”

আজরাহান মারশিয়াদ এর হাতের তালু থেকে কাজলটা নেয়।
“যা দিয়ে আয় চোখে।”

প্রহর ছলছল চোখ দিয়ে দেখে আজরাহান কে।

“বললাম তো দিয়ে আয় চোখে কাজল।”

“কেনো বলছেন আপনি এইসব??

“কি বলেছি শুনিস নি তুই,,কাজল টা চোখে দিয়ে আয়।যা।”

প্রহর প্রতিউত্তর করে না।তার রাহান ভাইয়া কি করে পারলো নিজের প্রহরিনী কে অন্যের কাজলচোখী বানাতে???

সবাই নিজ নিজ স্থানে দাড়িয়ে আছে।আজরাহান এর কথায় সবার মাথায় আকাশ গুড়ুম গুড়ুম।

সানোয়ার আহমেদ নিজের ছেলের দিকে প্রখর দৃষ্টিনিপাত করলেন।তার আদর্শ ছেলে কোনো ভুল করতে পারে না।তাহলে আজ কেনো এইসব করছে??
নিজের স্ত্রী কে কি করে অন্যের হাতে তুলে দিবে??

মারশিয়াদ চেয়ে আছে কখন তার কাজলচোখী আসবে।

প্রহর এসে দাড়ায়।মারশিয়াদ এর নিগূঢ় চাহনি আবদ্ধ প্রহর এর দিকে।
তার কাজলচোখী সত্যিই প্রানহারিনী।মারশিয়াদ এর নিবদ্ধ চাহনি পলক ফেলতেও নারাজ।পাছে তার কাজলচোখী একমুহূর্তে হারিয়ে না যায়।

আজরাহান একটা দম নিয়ে বলে—
“দেখা শেষ আপনার??
ইউ মে গো নাউ।”

মারশিয়াদ বিব্রত বোধ করে।এই লোকটা কখন থেকে তার কাজলচোখীকে আবদ্ধ করে রেখেছে।কি সম্পর্ক তার সাথে কাজলচোখীর??

“কি হলো দাড়িয়ে আছেন কেনো আপনারা??
আপনাদের দেখা শেষ এখন যেতে পারেন।”

শিহরণ সামনে এসে বলে–
“আমরা চলে যাবো।কিন্তু আমি প্রহর আর মারশিয়াদ এর,,,

“এর পরের শব্দ বলার কোনো প্রয়োজন নেই।প্রহর ইজ মাই ওয়াইফ।”

আজরাহান এর কথায় প্রহর আনন্দের ঢোক গিলে।

মারশিয়াদ বিরক্ত হয়।কপালের ভাজ স্পষ্ট তার।আজরাহান এর কথায় যেনো মনে হলো ওর হৃদপিন্ডে কেউ ছুরি মেরে দিয়েছে।ক্ষত বিক্ষত তার হৃদয়।কি বলে এই লোক!!
তার কাজলচোখী কি করে অন্যের স্ত্রী হতে পারে???

শিহরণ ওর কথায় হোচট খায়।বিয়ে!!!!!

“ও আপনার স্ত্রী কি করে হতে পারে??
নির্ধা তো কখনো বলেনি।”

“কারন নির্ধা জানে না।প্রহর আর আমার বিয়ে দু’মাস আগে হয়েছে।”

শিহরন এর পাজরের হাড় ভাঙতে শুরু হলো বলে।মারশিয়াদ পাথর হয়ে গিয়েছে।ও শুনতে তো পারছে কিন্তু তার রিয়েক্ট হচ্ছে না।শিহরণ আর দাড়ায় না।এখানে থাকা মানে আজ কাউকে না কাউকে সে হারাবে।এ হতে পারে না।

“মারশিয়াদ চল এখান থেকে।”

এক হিমশীতল কন্ঠ বলছে–
“কি বলল ও,,,আমার কাজলচোখী অন্য কারো হতে পারে না।ও শুধুই আমার।”

শিহরন এর হাত দুটো নিজের গালের সাথে লাগিয়ে বলে–
“কিরে বলনা তুই,,আমার কাজলচোখী কি করে অন্যের হতে পারে??
আমি কি অনেক বেশি দেরি করে ফেলেছি??

“মারশিয়াদ চল,,,এই নিয়ে পরে কথা হবে।”

“এ হতে পারে না।আমি কিছুতেই হতে দিবো না।”

মারশিয়াদ আজরাহান এর দিকে এক পা বাড়াতেই সামনে এসে দাড়ায় প্রহর।

“চলে যান আপনি এখান।প্লিজ চলে যান।”

প্রহর ঘুরে আজরাহান এর বুকে মুখ ঘুজে।ওর চোখের পানিতে ভিজতে শুরু করে আজরাহান এর শার্ট।অন্য সময় হলে হয়তো আজরাহান ওকে ধাক্কা মেরে ফেলেই দিতো।কিন্তু আজ তা করে নি।এক হাত আলতো করে রাখে প্রহর এর পিঠে।

মারশিয়াদ আর সহ্য করতে পারে না।এর চেয়ে তো মৃত্যুই ভালো।পুরো শরীর বিবশ হয়ে গিয়েছে মারশিয়াদ এর।শিহরণ কোনোমতে টেনে নিয়ে যায় ওকে।এক প্রানহীন দেহতে পরিনত হয়েছে মারশিয়াদ।

(বিঃ দ্রঃ আপনার রিকোয়েস্ট করলেন তাই দিলাম।কিন্তু একটা কথা বলেনতো মারশিয়াদ কেনো ভিলেন??ও কি এমন করেছে??

দুটো মেইল ক্যারক্টার আমার সৃষ্টি।সব গল্পের সব চরিত্র সবার ভালো লাগবে না।এটাই বাস্তব।আপনার আপনাদের অভিমত প্রকাশ করতে পারেন।কিন্তু আমি কি একবারও বলেছি মারশিয়াদ নায়ক কিংবা আজরাহানই নায়ক।না বলি নি।দুটোই প্রধান মেইল ক্যারেক্টার।কয়েকদিন আগে এক আপু এটা বলছিলো।সে আমার দুটো চরিত্রই ভালো করে ডেফিনেশন করেছে।#Titas_Gosh_Roy সে আমার দুটো চরিত্র কেই পজিটিবলি গ্রহন করেছে।

এইবার আসি তাদের চরিত্রে।মারশিয়াদ আর আজরাহান দুটোই একে অপরের বিপরীত। সবারই নিজস্ব স্বকীয়তা আছে।তাই একটাকে অপরের সাথে কম্পেয়ার না করে আলাদা করে বিবেচনা করুন।
এক ভাইয়া বলল পুরো গল্প জুড়ে মারশিয়াদ এর গুন।
আসলেই কি তাই??

শেষ কথা যার ভালো লাগবেনা ইগনোর করেন।নয়তো বলেন বন্ধ করে দেই লিখা।সমস্যা নাই।কিন্তু b** হোয়াট ইজ দিস?????

আপনাদের এক একটা কমেন্টস জাদুর মতো কাজ করে আমাদের মতো নব্য লেখিকাদের জন্য।আপনারা কি পাঠক হয়ে তা বুঝতে পারেন না??
তাহলে কেনো এই ধরনের মন্তব্য??
বেশি বলে থাকলে রিয়েলী সরি।

আর কেউ মিল মিল বলে আমার মাথা হ্যাং কইরেন না।আমার ভয় করে।)l

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here