#অদ্ভুত_প্রেমোমোহ_তুমি
#পর্বঃ১৯
✍️ তাজরিয়ান খান তানভি
ছাদের একাংশ জুড়ে ফুলের গাছ লাগানো।যার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে যত্ন নেওয়া হয়।মারশিয়াদ প্রকৃতিপ্রেমী বলা চলে।তার বিশ্বাস “গাছ বাচলে বাচবে দেশ”।
প্রকৃতি যতক্ষন বিশুদ্ধ থাকবে ততক্ষনই আমরা বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নিতে পারবো।প্রকৃতি বাচাতে হলে প্রকৃতি কে ভালোবাসতে হবে।তাইতো বলে–“গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান”।
ছাদের কার্নিশে দাড়িয়ে মোবাইলে কারো সাথে কথা বলছে মারশিয়াদ।তথাকথিত ভাবে তার চোখ যায় মেইন গেটের দিকে।ইনশিরাহ দাড়িয়ে আছে।পড়নে তার ব্ল্যাক কালারের শাড়ি।কালো রঙ মারশিয়াদ এর প্রিয় রঙ।কালো গোলাপ,কালো চুল,কাজল কালো আখি কিন্তু তার পছন্দের তালিকায় নতুন করে স্থান পেয়েছে তার কাজলচোখী নীল অক্ষিমনি।যাকে বলে নীলনয়নধারী।
মারশিয়াদ এর মোবাইল বেজে ওঠে।স্ক্রিনে ভেসে উঠে ইনশিরাহ এর নাম।
“হ্যালো।”
“সকাল সকাল ছাদে কি করা হচ্ছে হটবয়??
“কেনো এসোছো এখানে??
“আমার খিদে পেয়েছে??
“আমাকে কি তোমার রেস্টুরেন্ট মনে হয়??
“না।হটডগ।
এখন তুমি নিচে আসবে না আমি বাড়ির ভিতরে আসবো??
“কোনোটাই না।চলে যাও এখান থেকে।”
“তুমি যদি এখন না আসো তাহলে কিন্তু,,,
“তাহলে কি??
“আমি কিন্তু ভিতরে ব্রাউন রঙের টপস পড়েছি।এখন যদি তুমি নিচে না আসো তাহলে কিন্তু আমি তোমার এই পালোয়ান হাতিগুলোর সামনে শাড়ি খুলে ফেলবো।”
মারশিয়াদ ভ্রু বাকায়।এই মেয়ে সত্যিই পাগল!!
“এইসব কি বলছো তুমি??
ইনশিরাহ ওর শাড়ির আচলে হাত দেয়।মারশিয়াদ দেখেই বিব্রত হয়।
“আসছি আমি ওয়েট।”
“গুডবয়।আই এম ওয়েটিং।”
মারশিয়াদ বাড়ির বাইরে আসে।লাইট ব্লু রঙের শার্ট পড়েছে।ফোল্ড করা হাতা।হালকা বাতাসে চুল গুলো উড়ছে আর সেই চন্দনের বাধ ভাঙা খুশবু।যা ইনশিরাহ কে ঘায়েল করতেই যথেষ্ট।
“তো হটি বয় সকাল সকাল ছাদে কি করা হচ্ছিলো,এক্সারসাইজ??
“কেনো এসেছো এখানে??
“গাড়ি তে উঠো।”
“সময় নেই আমার।”
“আমি কি বলেছি তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো।”
অগ্যতা মারশিয়াদ গাড়ি তে গিয়ে বসে।ইনশিরাহ বেশ খুশি।
,
,
,
বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন সবজি গাছ লাগানো।সেখান থেকে সজনে তুলে নিচ্ছে নন্দিতা।আজরাহান এর আজ অফিস ছুটি।
“কি করছো ভাবী??
“সজনে নিচ্ছি।তোমার ভাইয়ের সজনে ডাল খুব পছন্দ।আর সজনেগুলো বেশ বড় হয়েছে ভাবলাম আজ রান্না করে দেই।”
“এতো চিন্তা তার।আর সে তোমাকে নিয়ে কতটুকু ভাবে??
নন্দিতা সোজা হয়ে দাড়ায়।খানিক অপ্রস্তুত হয় সে।সাংসারিক অনেক ঝামেলাই সে এড়িয়ে যায়।বিশেষ করে সামানের সাথে ঘটা অপ্রীতিকর বিষয়গুলো।মুখে এক তোলা হাসি নিয়ে আজরাহান কে দেখে।বড্ড ভালোবাসে ছেলেটা তাকে।
“হঠাৎ এই কথা বললে যে??
“ভাইয়া তোমাকে কতটুকু ভালোবাসে??
“যতটুকু বাসলে একসাথে দুই নরনারী জীবন অতিবাহিত করতে পারে।”
“এইজন্যই বুঝি সারারাত ড্রয়িং রুমে ছিলে??
নন্দিতা ম্লান হাসে।সে এটা আশা করে নি।ভোর হওয়ার আগেই সে ড্রয়িং রুম থেকে চলে যায়।
“এইসব নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।”
আজরাহান নন্দিতার হাত ধরে পিছনের ঘরের দাওয়ায় বসায়।
“তুমি চাইলে বাবা কে বলতে পারো।”
“কি বলবো!!
আমার স্বামী পরনারী তে আসক্ত।নাকি আমি তার চাহিদা মিটাতে পারছিনা তা বলবো।”
আজরাহান মলিন চোখে দেখে নন্দিতাকে।এ ক বছরে কতোটা বদলে গেছে নন্দিতা।শুভ্র দেহে এখন মলিনতার সাম্রাজ্য।চোখের নিচটাও গেথে গেছে।হয়তো রাত জাগে।শরীরটাও ভারী হয়েছে।হবেই তো মাতৃত্বের স্বাধ যে সে আস্বাদন করেছে।কাক ডাকা ভোর থেকে নিশি রাত পর্যন্ত চলে তার বৈবাহিক জীবনের দায়িত্ব পালন।কিন্তু আমরা কতটুকু দিতে পেরেছি তাকে তার বদলে??
আজরাহান কঠিন কন্ঠে বলে–
“তাহলে ছেড়ে দাও তাকে।”
“এইসব কি বলছো তুমি??
“যেখানে তোমার সম্মান নেই সেখানে একজন আশ্রিতার মতো থাকার মানে হয় না।”
“কে বলল সম্মান নেই?
এই বাড়িতে বৌ হয়ে এসেছি।কিন্তু তোমরা আমাকে কি দাওনি।আম্মা আর বাবা তো সানায়ার চেয়ে আমাকে কম ভালোবাসে নি,,তুমি ভাবীর চেয়ে বেশি বড় বোনের সম্মান দিয়েছো।প্রহর ওতো আমাকেই ওর মায়ের পেটের বোন মনে করে।তাহলে কেনো আমি অসম্মানিত হবো বলো??
“কিন্তু এই বাড়ির সাথে তোমার সম্পর্ক জুড়েছে ভাইয়ার মাধ্যমে।তার দেওয়া ভালোবাসা তোমার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।”
“পেয়েছি তো আমার সূর্য্যি।”
আজরাহান হতাশ হয়।অদ্ভূত নারী সে।
“তুমি চাইলেই ভাইয়ার সাথে এ নিয়ে কথা বলতে পারো।আমরা আছি তোমার সাথে।”
“বলেছিলাম।আর তার পরিনতিও পেয়েছি।”
“তাহলে কেনো নিরবে মেনে নিচ্ছো সব??
ভাইয়া শোধরাবার নয়।”
“জানো তো নারীজীবন কন্টকপূর্ন।তাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।হয়তো সে বুঝবে।”
“তুমি বাধ্য নও।সংসার তোমার একার নয়।তাহলে তুমি কেনো একা চেষ্টা করবে?
একটি সংসার টিকিয়ে রাখতে সব সময় নারী কেনো বলির পাঠা হবে??
পুরুষদের কি কিছুই করার নেই??
“কেনো থাকবে না।অবশ্যই আছে।বিয়ে মানে শুধু দুটো মানুষের মিলন নয়।দুটো পরিবারের মিলন।আর একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে স্বামী স্ত্রী উভয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।সময়ের ব্যবধানে আজ তোমার ভাই ভুল পথে পা বাড়িয়েছে।তাই বলে তাকে আমি ছেড়ে চলে যাবো??
“যদি সে ফিরে না আসে??
“হয়তো নিয়তি এমনই ছিলো।”
“কেনো নিয়তি কে দোষ দিচ্ছো??
কেনো পুরুষতান্ত্রীক সমাজে নারী রা অবহেলিত হবে??পুরুষ ছাড়া কি নারী চলতে পারে না??কেনো বিয়ের পর নারীকেই সব কিছু মানিয়ে নিতে হবে?
“নারী,পুরুষ কখনো আলাদা নয়।তারা একে অন্যের পরিপূরক।
ঝিনুক দেখেছো??
ঝিনুকের ভিতর মুক্তো থাকে।ধরো নারী সে মুক্তা আর ঝিনুকের শক্ত আবরন পুরুষ।সে দামী মুক্তা যেনো জলের তলায় হারিয়ে না যায় সেই জন্য এই শক্ত আবরন ই তা রক্ষা করে।পুরুষ নারীর রক্ষা কবচ।তাহলে বলোতো তারা কি একে অপরের পরিপুরক নয়??
অকুল পাথার সাগরে মাঝিবিহীন ডিঙি নৌকা যেমন তীরে ভীড়তে পারে না তেমনই নৌকাবিহীন মাঝির পক্ষেও সম্ভব নয় সাতরিয়ে এতোদুর আসা।বরং তাদের যুগলবন্দি চেষ্টাই পারবে তাদের মাঝ দরিয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে।”
আজরাহান জ্ঞাত করে তার ভাবীর কথা।যার কোনো কিছুই মিথ্যে নয়।পুরুষ ছাড়া নারী যেমন অপূর্ন তেমনই নারী ছাড়া পুরুষও তেমন অপূর্ন।প্রয়োজন শুধু একে অন্যকে বোঝার আর সহযোগিতার।তাহলেই পৃথিবীর হবে চির কল্যানকর।এই জন্যই তো মহান রাব্বুল আলামীন আদি পিতা আদম(আ) এর জন্য মা হাওয়া কে সৃষ্টি করেছিলেন।
“কি কথা হচ্ছে দেবর ভাবী মিলে??
আজরাহান মৃদুছন্দে হাসে।
“কোথায় ছিলি তুই??
“সুর্য্যি কে নিয়ে ছাদে গিয়েছি।”
“তোকে না ছাদে যেতে বাড়ন করেছি??
“এখন তো সে নেই।”
নন্দিতা অক্ষি গোল করে।
“সে টা আবার কে??
আজরাহান কথা ঘুরায়।
“ওর শিম্পাঞ্জি।”
নন্দিতা হেসে উঠে।প্রহর এর আজকাল ওর এই শিম্পাঞ্জি কথা টা শুনলে বেজায় রাগ হয়।
“তোমরা কথা বলো আমি আসছি।”
নন্দিতা চলে যায়।প্রহর এসে একদম লাগোয়া হয়ে বসে আজরাহান এর।
“কিরে জায়গা নেই নাকি আর,আমার কোলে উঠে যাবি নাকি??
“বসবো,তাতে আপনার কি??
“আমার কোল আর আমি কিছুই না??
“নাহ।যখন আপনার কিঞ্চিরানী আপনার বুকের উপর উঠে বসে তখন।তখন বেশ ভালো লাগে আপনার??”
“লাগবেই তো।কোথায় আমার কিঞ্চিরানী আর কোথায় সাজনাতলার পেত্নীরানি।সর এখান থেকে।”
প্রহর কে হালকা ধাক্কা দিয়ে সরায় আজরাহান।
“কোথায় যাচ্ছেন আপনি??
“কাজ আছে।”
“ছুটির দিনে কিসের কাজ??
“সেটা যেনে তুই কি করবি??
প্রহর মুখ গোমড়া করে।তার কি কিছুই জানার অধিকার নেই??
,
,
,
শরতের বিকেল দারুন সুন্দর হয়।হালকা হালকা বাতাস থাকে।আকাশও বেশ ঝলমলে।কাশফুলের সমারোহ তো বলাই বাহুল্য।
নদীর পাড়ে কাশফুল ঘেরা শুভ্রসমুজে মিশেলে সমারোহে বসে আছে আজরাহান আর নুরাইসা।নুরাইসা শক্ত করে একহাত ধরে রেখেছে আজরাহান।তার নিস্তেজ জীবনের অপার্থিব সজীবতা আজরাহান।
“কেমন আছো নুরাজান??
প্রশান্তি তে ভরে উঠে নুরাইসার রক্তে মাংসে গড়া দেহখানি।এক অদ্ভুদ শিহরিত অনুভুতি তার অক্ষিযুগলে।
“এতোদিন পড় মনে পড়লো আমার কথা??
“মনে তো তাকে পড়ে যাকে আমরা ভুলে যাই।তোমাকে তো আমি কখনো ভুলিনি নুরাজান।”
“তাহলে কেনো আমাকে পর করে দিলে??
“সম্পর্ক হয় মনের শরীরের নয়।”
“আমার সবটা জুড়ে তো শুধু তুমি।আমি তো তোমাকে কোনো কিছুতে আলাদা করতে পারি না।”
আজরাহান নুরাইসার বন্ধন থেকে নিজেকে আলগা করে।
“ভুলে যাও সব।অতীত শুধু কষ্ট দেয় আমাদের।”
“তুমি পারবে প্রহর কে ভুলে যেতে??
“নাহ।”
“তাহলে আমাকে কেনো বলছো আমার প্রানদেব কে ভুলে যেতে।”
“অতীত বদলানো যায় না নুরাজান কিন্তু চাইলে ভোলা যায়।”
“তুমি আমার অতীত নও।তুমি আমার সর্বকাল।”
আজরাহান উঠে দাড়ায়।তিক্ততা তার কন্ঠে।
“ভুল আমার ছিলো তাহলে তার শাস্তি কেনো নিজেকে দিবে তুমি??
“তোমার জন্য ভুল হতে পারে কিন্তু আমার জন্য তা সূর্যের মতো সত্য।”
আজরাহান স্বর স্মিত করে।অপরাধ বোধ তার কমেনি।সাত বছর আগের নিজের অজান্তে করা ছোট্ট একটা ভুল যার দায়ভার নুরাইসা এখনো নিজের কাধে উঠিয়ে রেখেছে।
“কেনো বুঝতে পারছো না তুমি,,ওটা একটা ভুল।আমার কিছুই মনে নেই।আর এমন কিছু নয় যে তুমি সারাজীবন তার জন্য পস্তাবে।”
“সেদিনের কথা তোমার মনে না থাকতে পারে কিন্তু আমি,;আমি তোমাকে আমার সবকিছু দিয়ে অনুভব করেছি।আমার কিশোরী মনের প্রথম ভালোবাসা তুমি।আমি তোমাকে ভুলতে পারবো না।”
নুরাইসা চোখ মুছে নেয়।আজরাহান নিশ্চুপ।কি বলবে সে।এর আগেও অনেকবার বুঝিয়েছে কিন্তু লাভ হয় নি।নুরাইসা তার অশ্রু বিসর্জিত চোখে ফ্যাকাশে দৃষ্টি নিক্ষেপন করেছে আজরাহান এর দিকে।
“আমি তোমাকে কখনো বলবো না যে তুমি তোমার প্রহর কে ভুলে যাও।শুধু ওর পাশে আমাকে একটু জায়গা দাও।
সম্রাট শাহজাহান এর তো অনেক স্ত্রী ছিলো।কিন্তু তাজমহল তো সে শুধু তার প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজ এর জন্য বানিয়েছিলো।প্রহর না হয় তোমার মমতাজ হয়ে থাকবে।আমাকে না হয় সেই অসংখ্য জনের একজন ভাববে।”
“তা হয় না নুরাজান।আমি শাহজাহান নই।আমার জীবনের উপর একচ্ছত্র অধিকার আমার প্রহরিনীর।”
আজরাহার ঘুরে তাকায় নুরাইসার দিকে।দু হাতের আজলায় ওর মুখ নিয়ে বলে—
“আমি তোমার জীবনসঙ্গি না হতে পারি,কথা দিচ্ছি সারাজীবন একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে তোমার পাশে থাকবো।জীবনের যে কোন সংকটপূর্ণ মুহূর্তে আমাকে তোমার পাশে পাবে ঠিক তোমার ছায়ার মতো।কোনো মানুষের ছায়া যেমন তাকে ছাড়া চলতে পারে না ঠিক আমিও তোমায় কখনো ভুলবো না।”
নুরাইসার আর কিছু বলে।বাধ ভাঙা নেত্রনীর তার কোনো কথাই শুনে না।তার ধারা প্রবাহিত।
,
,
,
অসহ্যকর জ্যামে এ বসে আছে মারশিয়াদ আর ইনশিরাহ।গাড়ির হর্ন বাঝিয়েই যাচ্ছে।
“এইভাবে হর্ন বাজানোর কোনো মানে হয় না।”
“দেখছোনা জ্যাম।”
“তো তুমি হর্ন দিলে কি জ্যাম কমে যাবে??
ইনশিরাহ ঘাড় ঘুরায়।রাস্তার পাশেই চোখ যেতে দেখে নুরাইসা আর আজরাহান কে।গাড়ি থেকে নেমে ওদের কাছে যায়।কিছুক্ষন কথা বলে।নুরাইসা একবার খেয়াল করে গাড়িতে মারশিয়াদ বসে আছে।কিন্তু কোনো প্রশ্ন সে করে না।কথা শেষ করে ফিরে আসে ইনশিরাহ।
” কে হয় তোমার??
“আমার ফ্রেন্ড।”
“আর সাথে কে ছিলো??
“ওর বয়ফ্রেন্ড।”
“বয়ফ্রেন্ড!!!!
“হুম।এতে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে??
“ধন্যবাদ।”
“কিন্তু কেনো??
“এই যে আজকের ট্রিট এর জন্য।”
মারশিয়াদ এর চেহারায় পরিস্ফুটন ঘটে এক সুপ্রসন্ন হাসির।
“শিঘ্রই তোমার রব তোমাকে এতো বেশি দিবেন যে তুমি খুশি হয়ে যাবে।”
——–সুরা দোহা-০৫
চলবে,,,