কাজল নদীর জলে পর্ব-৬

0
1110

কাজল নদীর জলে
আফিয়া আপ্পিতা

৬.
চয়নকে শিক্ষা দিয়ে ব্যাপাক আনন্দ পায় সুরলা। এবার বুঝবে সুরলা কী! কিছুদূর গিয়ে ফিরে তাকায়। দেখে, চয়ন সেখানেই মাথা চেপে বসে আছে। চুল কী বেশি জোরে টেনেছে? তার জন্য মাথা ব্যাথা করছে! দেনামনা করে ফিরে যেতে চায়, পারে না। অপরাধবোধ তাড়া করে তাকে। অগত্যা ফিরে যায় চয়নের কাছে। চয়নের সামনে গিয়ে অনুতপ্ত গলায় বলে,
“স্যরি, আসোলে আমি খেয়াল করি নি। কেউ আমার হাইট নিয়ে কথা বললে আমার রাগ হয় ভীষণ। আর আপনি আমাকে হেয়জ্ঞান করে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাই প্রতিশোধ নিতে চেয়েছি, সুযোগটা পেয়ে হাতছাড়া করি নি। স্যরি! মাথায় বেশি ব্যাথা পেয়েছেন? ”

বিরতিহীনভাবে প্রশ্ন করে থামে সুরলা। মাথা থেকে হাত সরিয়ে চোখ তুলে তাকায় চয়ন। সুরলার অনুতপ্ত চেহারা চোখে পড়ে। সুরলা চোখে পানি টলমল করছে। এই বুঝি পড়ে যাবে! যেন ব্যাথা সে নয়, সুরলা পেয়েছে। নিজে ব্যাথা দিয়ে আবার নিজেই ব্যাথা পাচ্ছে! একেই বলে বাচ্চামন। বাচ্চাদের মন সচ্ছ আর নরম হয়, তারা অন্যের ব্যাথা সইতে পারে না। বড় হতে হতে সেই সচ্ছতা আর কোমলতা চলে যায়।

চয়নের নিরবতা সুরলাকে আরো অপরাধী বানিয়ে দেয়। আচ্ছা, তার চুল টানার অপরাধে যদি চয়ন তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়, তখন! ভাবতে পারে না সুরলা। চেহারায় অসহায়ত্ব মাখিয়ে, দু’কানে দু’হাত দেয়। কান ধরে কোমল গলায় বলে,
“স্যরি, আর চুল টানব না। পিংক প্রমিজ।”

সুরলার ক্ষমা চাওয়ার ধরণ দেখে হেসে দেয় চয়ন। বলে,
” ব্যাথা পাই নি। তোমার মত পিচ্ছির শক্তি, আমাকে ব্যাথা দেয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।”

সুরলা গাল ফুলায়। বলে,
“দেখুন, পিচ্ছি বলবেন না। আমার রাগ হয়। পরে দেখা যাবে, আবারও চুল টেনে দিব। তখন আপনি ব্যাথা পাবেন। তাই দয়া করে পিচ্ছি বলবেন না!”

চয়ন আবারও হাসে। চুলে হাত বুলিয়ে বলে,
“টাক হতে চাই না আমি। টাক না হওয়ার জন্য হলেও পিচ্ছি সম্বোধন ছাড়তে হবে। ”
“সুরলা আমার নাম, সুরলা ডাকবেন।”

চয়ন খানিক ভাবে। তারপর বলে,
” ‘কিট্টি’ নামটা কেমন?”

তৎক্ষনাৎ বুঝতে পারে না সুরলা। প্রশ্ন করে,
“কিট্টি মানে?”
“বিড়ালছানা। একটা বিড়ালছানার মত জীব চোখে পড়েছে। ভাবছি তাকে ‘কিট্টি’ ডাকব। সে কী রাগ করবে তোমার মত? ”

“রাগ করবে কেন? বিড়ালছানা অনেক কিউট হয়। আকার, চেহারা, আচরণ, চলা ফেরা কত কিউট! আমার তো বিড়ালছানা অনেক পছন্দ।”
সরল মনে উৎফুল্লতার সাথে জবাব দেয় সুরলা। পরক্ষণেই ঠোঁট উল্টিয়ে বলে,
“কিন্তু জানেন? আম্মু বিড়াল রাখতে দেয় না বাসায়। আমি কত চাই, একটা বিড়ালছানা নিয়ে আসতে, আম্মুকে বললে আম্মু বকে। ”

চোখে মুখে কষ্টের আভা সুরলার। চয়ন উঠে দাঁড়ায়। সুরলার দিকে ঝুকে বলে,
“জলজ্যান্ত একটা কিট্টি থাকতে আরেকটা কিট্টির প্রয়োজন হয় না, তাই তোমার মা বিড়াল পুষতে দেয় না।”

“কোথায় বিড়াল? নেই তো!” অবুঝের মত প্রশ্ন করে সুরলা। এখনো সে চয়নের কথার মর্মার্থ বুঝতে পারে নি। চয়ন বলে,
“কখনো সুযোগ হলে একটা বিড়ালছানা কোলে নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখো, একজোড়া কিট্টি দেখতে পাবে।”
“মানে?”

চয়ন আকাশের দিকে তাকায়। চারদিকে সোনালী রোদের আগমন ঘটেছে। এখানে আর থাকা ঠিক হবে না। বাসায় ফেরা উচিত। এই পিচ্ছি মেয়ের পাল্লায় পড়ে আজ জগিংটাই মাটি হয়েছে। চয়ন সুরলার কথা এড়িয়ে বলে,
” আমার ফেরার সময় হয়ে গেছে। আমি যাই, তুমি ও আন্টির সাথে চলে যাও। ”

হাটা ধরে। যেতে যেতে বলে,
” আবার দেখা হবে, ভালো থেকো কিট্টি। ”

চয়ন চলে যায়। সুরলা মাথা চুলকায়। চয়ন কী সব বলে গেল! কিট্টি, আয়না, জোড়া বিড়ালছানা! কী বলল! আবার যাওয়ার সময় কিট্টি বলে সম্বোধন করল! ভাবতে গিয়ে মাথা খুলে সুরলার। তারমানে এতক্ষণ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাকেই বিড়ালছানা বলেছে!

জগিং থেকে ফিরে সোজা ডাইনিং রুমে চলে যায় চয়ন। ফ্যান ছেড়ে ফ্যানের তলার চেয়ারটায় বসে পড়ে। ঘড়ির কাটায় তখন সাতটা বেজে চল্লিশ মিনিট। তখন এক হাতে রুটিভর্তি বক্স, অন্য হাতে মিক্স সবজি ভাজার কড়াই হাতে রান্নাঘর থেকে ডাইনিং রুমে আসেন বাদামী চামড়ার মধ্যবয়সী এক মহিলা। পরনে তার বাদামী রঙের সুতি থ্রি-পিস। নাম, জোবায়দা আক্তার। সম্পর্কে, চয়নের মা।
ড্রয়িংরুমে এসে চয়নকে হাত পা ছেড়ে চেয়ারে বসে থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকান। বন্ধ চোখ, ঘামার্ত মুখ, গায়ে ঘামে ভেজা জগিং সুট, পায়ে ধুলোময়লায় আবৃত জগিং সু এর দিকে এক পলক তাকান। ছেলের ক্লান্তিমাখা চেহারায় মায়া হয় তার। হাতে থাকা কড়াই আর বক্স টেবিলে রেখে বলেন,
” এভাবে বসে না থেকে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলেই পারিস।”

মায়ের গলার আওয়াজ পেয়ে চোখ খুলে তাকায় চয়ন। সোজা হয়ে বসে বলে,
“ঘাম শুকানোর অপেক্ষা করছি। শাওয়ার নিব একেবারে। শরীর ভর্তি ঘাম নিয়ে এখন শাওয়ার নেয়া ঠিক হবে না। স্বাস্থ্যঝুকি আছে। ”

জোবায়েদা ছেলের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসেন। এই ছেলেটা ঠিক তার বাবার মত স্বাস্থ্য সচেতন। চয়নের স্বভাব, চরিত্র, এমনকি গায়ের রংটাও বাবার সাথে মিলে। চয়নের বাবা বখতিয়ার আরেফিন শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করেন। বছরের অর্ধেকটা সময় বাড়িতে থাকেন। বাকি অর্ধেক সময় জাহাজে থাকেন, এদেশ ওদেশ ঘুরে বেড়ান। বাড়িতে যতদিন থাকেন, ততদিন নিয়মিত জগিং করতে বের হন, স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে এমন সব খাবার এড়িয়ে যান। চয়ন যদিও খাবারের ব্যাপারে উদাসীন।
চট্রগ্রামে বাবার দেয়া ফ্ল্যাটে একা থাকে চয়ন। নিজে টুকটাক রান্না পারে, কিন্তু অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত শরীরে রান্নাঘরমুখী হওয়া তার নীতিবিরোধী। তাই একটা ছাটা বুয়া ঠিক করেছে। বুয়া রান্না করে দিয়ে যায় প্রতিদিন। বুয়া যা রান্না করে তাই খেতে হয় তাকে। কখনো বুয়া না এলে অনলাইন থেকে পিৎজা কিংবা বিরিয়ানি অর্ডার দেয়। খাবার এলে খেয়ে দিন কাটায়। সেক্ষেত্রে খাবার সচেতন দেখানো হয়ে উঠে না তার। এতে চয়নের আপত্তি না থাকলে ও জোবায়েদার চরম আপত্তি। তিনি চান, ছেলে তার কাছে থাকুক, নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াবেন ছেলেকে। কয়েক মাস পর পর ছেলেটা আসে, কয়েকদিন থেকে আবার চলে যায়। এটা তার পছন্দ নয়। ছেলে তার মায়ের কাছে থাকবে, কেন দূরে থাকবে! তিনি প্রায় প্রতিদিন ছেলেকে তাড়া দেন ঢাকা চলে আসতে। হয় চাকরি বদলি করতে, নাহয় চাকরি ছেড়ে দিতে বলেন। চয়ন হাসে। বলে, ‘মাত্র কয়েকদিন হল জয়েন করলাম। এখন বদলি নিব কিভাবে! আরো কিছু সময় যাক, প্রমোশন হোক। তারপর বদলি হওয়ার চেষ্টা করব। ততদিন একটু আধটু কষ্ট করি।

পরিবারের বড় ছেলে চয়ন। তার পরে এক ভাই এক বোন। ভাই, জুনায়েদ আরেফিন চরণ। ইলেক্ট্রিসিটি নিয়ে বুয়েটে পড়ছে। সবার ছোট চিবা। যে কি-না, নিতুর সাথে খিলঁগাও উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। ছেলের কষ্ট দেখে জোবায়েদা চান ছেলের বিয়ে দিতে। বিয়ে করে বউ নিয়ে চট্রগ্রাম গিয়ে থাকুক। তাতে অন্তত ছেলের খাওয়া দাওয়ার কষ্টটা গুছবে। ছেলেকে বিয়ের কথা বলতেই হেসে উড়িয়ে দেয়। বলে, মাত্র চাকরিতে ঢুকলাম, ভালোমত সেটেল্ড হয়ে নিই। তারপর এসব নিয়ে ভাবা যাবে। ছেলের এই ছন্নছাড়া ভাব দেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন তিনি।
কাঁচের পিরিচে চিবা আর তার জন্য সবজি সার্ভ করতে করতে বলেন,
“তুই খেতে বসবি এখন? সার্ভ করব?”

“এই ঘামার্ত শরীর নিয়ে খেতে বসব না।” এখনো চেয়ারে বসে আছে চয়ন । চোখ বন্ধ। খাবার সার্ভ করে চিবাকে ডাকেন জোবায়েদা। মিনিটখানেক পর ড্রয়িংরুমে এসে হাজির হয় চিবা। ভাইয়ের দিকে তাকায় এক পলক। পাশের চেয়ারে বসে পড়ে। নাক চিটকে বলে,
“ভাইয়া, তোর গা থেকে ঘামের গন্ধ আসছে। খেতে বসেছি। গন্ধে না বমি এসে যায়! দূরে সর।” চয়নকে ‘তুই’ সম্বোধন করে চিবা। সাপে নিউলের সম্পর্ক কি-না! ঝগড়াঝাটিতে ‘আপনি’ আসে না তার।

চয়ন চোখ খুলে বোনের দিকে তাকায়। পাশের চেয়ারে হেলে বসে। বলে,
“কী সুন্দর ঘ্রাণ আমার ঘামের! যেন কোন পারফিউম। আমার তো ইচ্ছে করে, আমার ঘাম সংগ্রহ করে একটা স্প্রে বোতলে জমা করে তোকে দিতে। তুই পারফিউম হিসেবে তা ব্যবহার করবি। ভালো হবে না, বল?”

“পারফিউম আর ঘাম! ইয়াক” বমি করার উপক্রম চিবার। তা দেখে চয়ন হো হো করে হেসে দেয়। তারপর কপাল থেকে কয়েক ফোঁটা ঘাম আঙুলে উঠিয়ে নিয়ে চিবার হাতে লাগিয়ে দেয়। বলে,
“স্মেল দেখ। দারুণ না?”

“ছিঃ!” বলে চিৎকার দিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় চিবা। অভিযোগের সুরে মাকে বলে,
“মা, তোমার ছেলেকে কিছু বলবে?”

জোবায়েদা ছেলেকে শাসন করার আগে চয়ন গম্ভীরমুখে বলে,
“মা কথা বলবে, তবে তোর বিয়ের ব্যাপারে। জানিস? মা তোকে বিয়ে দিয়ে বিদায় করার ফন্দি আঁটছে। রাস্তায় কোন রিক্সাওয়ালা দেখলেই তোকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, সবাই তোকে রিজেক্ট করছে। ওদের মতে, ওরা এসএসসি আর এইচএসসি ফেইল করা মেয়েদের বিয়ে করবে, তাও তোকে করবে না বিয়ে। সে কি নাক চিটকাচ্ছিল! মায়ের থেকে শুনে আমি তো অবাক। ”

চিবা কপাল চাপড়ায়। কেন সে তার ভাইয়ের সাথে লাগতে যায়?যেখানে, সে জানে তার ভাইকে খোঁচাতে গেলে উলটো সে খোঁচা খাবে! অভিযোগের সুরে বলে,
“মায়ায়ায়ায়ায়া!”

জোবায়েদা ধমকে উঠেন,
“থামবি তোরা! এত বড় হয়ে গেলি এখনো তোদের ঝগড়া গেল না! এই চয়ন?যা ফ্রেশ হতে যা। চিবাকে শান্তিমত খেতে দে। আর চিবা? তুই বস, নাস্তা কর।”

মায়ের ধমকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। চিবা বসে নাস্তা করতে। চয়ন ও চুপ হয়ে যায়। অন্যদিকে ফিরে পায়ের উপর পা তুলে জগিং সু এর ফিতা খুলতে থাকে। এক ফাঁকে বলে,
“চিবা?”
“কোন বাজে কথা বলবি বা ভাইয়া!” কড়া গলা চিবার। চয়ন বলে,
“বাজে কথা নয়, কাজের কথা। তুই জগিং-এ যেতে পারিস না? তোর থেকে ছোট, নিতুর বোন ও যায় জগিং-এ। শিখ কিছু!”

চিবা রুটি ছিঁড়ছিল। ভাইয়ের কথায় থেমে যায়। ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলে,
” নিতুর ছোটো বোন! নিতুর কোন ছোটো বোন নেই। তুই ফেলি কোথায়?”

“নিতুর সাথে নাকি তোর ভালো ফ্রেন্ডশিপ! অথচ নিতুর ছোটবোন সম্পর্কেই জানিস না! এই তোর ফ্রেন্ডশিপ! আমার ফ্রেন্ডদের চৌদ্দ গুষ্ঠির খবর জানি আমি।” ভ্রু কুঁচকায় চয়ন।

“আমি ও জানি নিতুর চৌদ্দ গুষ্ঠির খবর। আমার থেকে বেশি জানো তুমি?”
” ওদের পরিবার নিয়ে পিএইচডি করিনি আমি, তবে জানি নিতু ছোটো বোন আছে। আর সে প্রতিদিন আন্টির সাথে জগিং-এ যায়। একেবারেই পিচ্ছি। এইট নাইনে পড়ে হয়তোবা। ”

ফিতা খুলতে মন দেয় চয়ন। নিতুর পরিবার সম্পর্কে খুব একটা ধারণা নেই তার। নিলয়ের সাথে টুকটাক কথা হয়, তাও পড়াশুনা বা বিভিন্ন কাজের বিষয়ে। নিতু এবং রেহানা জাহানের সাথে দেখে হলে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করা হয়। পরিবার সম্পর্কে আলোচনা হয় নি কখনো। তাই সুরলাকে সে নিতুর বোন ভেবেছে। সুরলার সাথে রেহানা জাহানের সম্পর্ক তার কাছে মা-মেয়ের মতই ঠেকেছে।

চিবা ভাবনায় পড়ে। নিতুর ছোট বোন আছে! সে তো জানে না। তার জানামতে, নিতুরা দুই বোন, এক ভাই। কাজিন বোনদের মধ্যে নিতুই সবার ছোটো। সবাইকেই চিনে চিবা। নিতুর থেকে সবার গল্প শুনেছে। তবে চয়ন কার কথা বলছে! নিতুকে জিজ্ঞেস করতে হবে, আন্টি কাকে নিয়ে জগিং-এ বের হয়। তাহলেই উত্তর পেয়ে যাবে। চিবা মাথা চুলকে বলে,
” আমার জানামতে এমন কেউ নেই। তাও আমি নিতুকে জিজ্ঞেস করব। ”

“কর, আর ওই পিচ্ছি মেয়ের থেকে শিখ কিছু! মেয়েটা কত স্বাস্থ্য সচেতন!” জুতার ফিতা খোলা শেষ। উঠে দাঁড়ায়। সু রে-কে রেখে রুমের দিকে পা বাড়ায়। উদ্দেশ্য, শাওয়ার নিবে। যাওয়ার আগে চিবার পোনিটেল বাধা চুল খুলে দিয়ে গেছে। চিবা ধাওয়া করে, রুমে গিয়ে দরজা দেয় চয়ন। কানে আসে চিবার হুমকি।”

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here