কাজল নদীর জলে পর্ব-৭

0
991

কাজল নদীর জলে
আফিয়া আপ্পিতা

৭.
বিকেল হতেই ছাদে আসে সুরলা। ঝাঁজরি হাতে নিয়ে গাছে পানি দিতে থাকে। মূলত, সে কাজ করার ভান করছে। এক ফোঁটা পানি দেয়, তো দুইবার পাশের ছাদে উঁকি মারে। এখনো চয়ন আসছে না কেন! আজ কী আসবে না! সুরলার ভাবনার মাঝেই পেইন্টিং হোল্ডারসহ বাকি সরঞ্জাম হাতে চিলেকোঠার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে চয়ন। সুরলা আড়চোখে দেখে। ওহ আচ্ছা! এই ঘরে থাকে সব সরঞ্জাম!
হাতের জিনিসগুলো ছাদের মাঝে এনে রাখে চয়ন। সুরলা তার কাজে মন দেয়। সে চায়, চয়ন তাকে দেখুক, দেখে আগ বাড়িয়ে কথা বলুক। মিনিট পাঁচেকে ও যখন চয়নের ডাক পড়ে না, তখন সে আড়চোখে তাকায়। দেখে, তার দিকে পিঠ করে দাঁড়িয়ে নিজ মনে পেইন্টিং করছে চয়ন। এরমানে চয়ন তাকে খেয়াল করে নি! মুখ ফুলায় সুরলা। এত মনোযোগ দিয়ে কাজ করার কী আছে? একটু অমনোযোগী হয়ে কাজ করতে গিয়ে চারপাশ তাকালে কী হয়? একবার ভাবে যেসে কথা বলবে। আবার ভাবে, নাহ কেমন দেখাবে! আবার ভাবে, সকালে তো চয়ন যেসে কথা বলেছে, এখন না হয় সে বলবে! চয়নের যেসে কথা বলার দিকে তাকিয়ে থাকলে আর কথা বলা হবে না। এই ভেবে দেনামনা করে রেলিঙের দিকে পা বাড়ায়। সাদা টি-শার্ট এর সাথে কালো ডেনিম জাম্প সুট পরেছে সুরলা। জাম্প সুটের দু’পকেটে দু’হাত রেখে রেলিঙের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়ায়। চয়নের দিকে এক পলক তাকায়। তারপর বলে,
” কী করছেন?” কী দিয়ে কথা শুধু করবে ভেবে পাচ্ছিল না সুরলা। তার কথায় চয়নের কাজে ব্যাঘাত ঘটে। পেছু ফিরে তাকায়। চোখে মুখে বিরক্তির আভা। সুরলাকে দেখে সেই আভা ঠেলে মুচকি হাসে। বলে,
“আরে পিচ্ছি যে!”

সুরলা চোখ ছোট ছোট করে তাকায়। চয়ন তার ভুল বুঝতে পারে। ফিরতি হেসে বলে,
“স্যরি, পিচ্ছি নয় কিট্টি।”
“আমার নাম সুরলা, এসব উদ্ভট নামে ডাকবেন না।” হতাশ গলায় বলে সুরলা। চয়ন হেসে বলে,
” তুমি না সকালে বললে? তোমার বিড়ালছানা ভীষণ পছন্দের। তবে তোমার পছন্দের জিনিসের নাম ধরে ডাকলে ক্ষতি কী?”
“আমি কী বিড়ালছানা নাকি! আমাকে কেন বিড়ালছানা ডাকবেন?”

পেইন্টিং হোল্ডারের উপর হাত রেখে দাঁড়ায় চয়ন। তারপর আর্ট ব্রাশ নাড়িয়ে রগড় করে বলে,
“তোমাকে দেখতে অনেকটাই বিড়ালছানার মত মনে হয়। ছোটোখাটো কিউট! তোমার সাথে বড়দের নাম থেকে ‘কিট্টি’ নামটাই বেশি যায়।”

চয়নের রগড় বুঝতে পারে না সুরলা। চয়ন তাকে নোটিশ করেছে! তাকে কিউট বলেছে! ভাবতেই খুশিতে মনটা নেচে উঠে । বিড়ালছানার সাথে উপমা দেয়ার ব্যাপারটা আর গায়ে লাগে না। চয়ন যা খুশি তা ডাকুক, সে রাগ করবে না। সুরলার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠে। সে অন্যদিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। চয়ন ভ্রু কুঁচকে বলে,
“হাসো কেন!”

সুরলা প্রসঙ্গ এড়াতে চয়নের দিকে তাকায় এক পলক, তারপর পেইন্টিংয়ের দিকে তাকায়। পেইন্টিং পেপারে মাঝে এলোমেলো কতগুলো নখের আচড় চোখে পড়ে। কী আঁকতে চাচ্ছে বুঝতে পারে না। অবাক হওয়ার ভান করে বলে,
“আপনি পেইন্ট করতে পারেন!”

এমন করে বলে যেন সে জানেই না। চয়ন সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হেসে বলে,
” টুকটাক করি অবসর সময়ে।”

সুরলা মুগ্ধ কন্ঠে বলে,
“ওয়াও, আমার পেইন্টিং দেখতে খুব ভালো লাগে।” থেমে গিয়ে পেইন্টিং পেপারের দিকে তাকিয়ে বলে, “কী আঁকছেন এখন! কিছুই বুঝতে পারছি না।”

চয়নের পেইন্টিং পেপারে তাকায়। বলে,
“মাত্র তো শুরু করলাম। এখন বুঝা যাবে না। পুরোটা শেষ করি, তারপর দেখবে কী আঁকতে চাচ্ছিলাম আমি।”
“ঠিক আছে, আপনি আঁকুন। আমি দেখি।” রেলিঙের উপরে হাত রেখে গালে হাত দিয়ে পেইন্টিং এ মনোযোগ দিয়ে বলে সুরলা। চয়ন পেইন্টিং হোল্ডার ছাদের কিনারায় আনে। দুটো বিল্ডিং একবারেই লাগোয়া। এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফ দিয়ে যাওয়া যাবে। পেইন্টিং হোল্ডার ছাদের কিনারায় আনায় সুরলার জন্য দেখতে সহজ হয়। আগে থেকে দূরত্ব কমে। পেইন্টিং হোল্ডার সেট করে আর্ট প্লেটে ব্রাশ দিয়ে রঙ মিশ্রণ করতে করতে চয়ন হেসে বলে,
“শিখে গেলে টাকা দিতে হবে কিন্তু! আগেই বলে দিলাম।”

“আমি শিখব না, শুধু দেখব। ” সরল মনে বলে সুরলা। ওর হাতে এখন টাকা নেই। টাকা পাবে কোথায়? সুরলার কথা শুনে চয়ন ভাবুক কন্ঠে বলে,
“শুনেছি, পিচ্ছিরা উদার হয়। তোমাকে দেখে তো পিচ্ছি জাতিদের নিয়ে এই ভাবনা বদলে যাচ্ছে। ভীষণ কিপটে তুমি।”

“আমি কিপটের মত কী করলাম!” প্রশ্নবিদ্ধ চাহনি সুরলা।
চয়ন ভাবে, পিচ্ছিদের সাথে মজা করতে হলে এই এক সমস্যা! সব কথা বুঝিয়ে দিতে হয়। কপাল গুনে এক পিচ্ছির পাল্লায় পড়ে হাজার অভিজ্ঞতা হচ্ছে। হাহ! সে বলে,
” সামান্য ক’টা টাকার জন্য তুমি আমার থেকে পেইন্টিং শিখবে না, এটা কিপটতা হলো না!”

“আমার কাছে টাকা নেই, কিভাবে শিখবো? টাকা থাকলে শিখতাম। পিংক প্রমিজ।” মুখ ফুলিয়ে বলে সুরলা।
চয়ন বুঝতে পারে সুরলা তার রগড় বুঝে নি। গম্ভীরতার সাথে ভেবেছে। মেয়েটা বড্ড বোকা আর অবুঝ। কেমন গাল ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! দেখেই হাসি পায় চয়নের। হাসি চেপে রাখতে না পেরে শব্দ করে হেসে দেয়। হাসির শব্দে চয়নের দিকে তাকায় সুরলা। চয়নের প্রাণবন্ত হাসিটায় চোখ আটকায়। এই হাসিটা এর আগে চোখে পড়েনি সুরলার। হাসতে গেলে চয়নের চোখ দুটো ছোটো আকার ধারণ করে, গালের দু’পাশে টোল পড়ে। ছাপ দাঁড়ির জন্য টোলটা যদিও কম বুঝা যায়, তাও সুরলার কাছে চমৎকার লাগে চয়নের হাসিটা। এই হাসিটা আরো একবার কাবু করে সুরলাকে। সে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে চয়নের পানে। চয়ন হাসি থামিয়ে বলে,
” মজা করছিলাম আমি, তুমি তো একবারে সিরিয়াস হয়ে গেলে। টাকা থাকলে শিখে নিতে, সো ফানি!” বলে আবার ও হাসতে থাকে চয়ন। সুরলা মনে মনে বলে,
“তোমার প্রাণবন্ত হাসির কারণ হতে চাই। তোমার মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কারণে-অকারণে, ইচ্ছায়- অনিচ্ছায় বোকামি করতে চাই। নানা বাহানায় হাসাতে চাই তোমাকে। একবার নয়, বারেবার, হাজারবার, জীবনের শেষ হাসির কারণটাও আমি হতে চাই। সুযোগ আর অনুমতি দিবে?”

মনের কথাটা বলা হয়ে উঠে না সুরলার। মনেই রয়ে যায়। চয়নের হাসি সুরলার হৃদ স্পদন বাড়ায়, ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটায়, সুখ অনুভূতি আনয়ন করে। সুরলা আবারও গায়েল হয় চয়নের প্রেমে। পকেট থেকে ফোন বের করে চয়নের চোখের আড়ালে কয়েকটা ছবি তুলে নেয়। একটা সময় হাসি থামায় চয়ন। কাজে মন দেয়। মিনিট বিশেকের মাঝে পেইন্টিং শেষ করে। পুরো পেইন্টিং শেষ হলে সুরলা বুঝতে পারে, সে যেগুলোকে আচঁড় ভেবেছে সেগুলো আচঁড় নয়। মূলত, সেগুলো মাথার চুল। পরে ভরাট হয়েছে। চয়ন তার রঙ তুলি দিয়ে পেইন্ট পেপারে একটা মেয়ের ছবি এঁকেছে। চৌকো মুখ, রংধনু আকৃতির ভ্রু, টানা টানা চোখ, সরু নাক, পরু ঠোঁট আর কার্লি চুলের চমৎকার একটা চেহারা। কী জীবন্ত আর নিঁখুত ছবিটা! যেন ছবি নয় বাস্তবে কাউকে দেখতে সে। পেইন্টিং এর প্রশংসা করতে গিয়ে সুরলা খুশিতে গদগদ হয়ে বলে,
“কী চমৎকার ছবি এঁকেন আপনি! যেন জীবন্ত মুখ!”

জবাবে হাসে চয়ন। সুরলা বায়নার সুরে বলে,
“আমার একটা ছবি এঁকে দিবেন?”

চয়ন মজা করে,
“রাস্তা থেকে একটা বিড়ালছানা তুলে নিয়ে স্কেচ টেপ দিয়ে পেইন্টিং পেপারে আটকিয়ে তোমাকে দিব, হবে?”
“বিড়ালছানা নয়, ওই মেয়ের মত এমন একটা ছবিই লাগবে আমার। দিবেন? প্লিইজ!”
পেইন্টিং এর দিকে ইশারা করে বায়নার সুরে টেনে বলে সুরলা।
তার মুখভঙ্গি এত মায়াবী লাগে যে চয়নের ইচ্ছে করে গাল টেনে দিতে। আবার না রেগে যায় এই ভয়ে নিজেকে সংযত রাখে। তার আফসোস হয়, কেন তার এই বয়সী একটা বোন নেই। থাকলে কত মজা হত! চয়নের ইচ্ছে করে সুরলাকে বোন হিসেবে দত্তক নিতে। কিন্তু চয়ন তো জানে না, সে যেই মেয়েকে বোন হিসেবে দত্তক নিতে চাইছে, সেই মেয়ে তাকে মনে মনে বর হিসেবে বন্ধক নেয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে। সুরলার মনের কথা ঘুণাক্ষরেও টের পায় না চয়ন। তার ভাবনা, সুরলা তার সাথে প্রতিবেশী ভেবেই কথা বলে, এর বেশি কিছু নয়।

চয়নের নিরবতা মেনে নিতে পারে না সুরলা। বলে উঠে,
” চুপ করে আছেন কেন? আমার ছবি এঁকে দিবেন না? দিন না প্লিজ! বিনিময়ে আমি টাকা ও দিব, না হয়!”

চয়ন আনন্দিত হওয়ার ভান করে বলে,
“টাকা দিবে! কত দিবে? টাকার পরিমাণ বললে আমি ভেবে দেখতে পারি।”

সুরলা ভাবনায় পড়ে। তার কাছে তো এখানে টাকা নেই। আসার সময় আম্মু যা টাকা দিয়েছে সব খরচ করে ফেলেছে। টাকা পাবে কোথায়? আচ্ছে বাবাকে টাকা পাঠাতে বললে তো টাকা পাঠিয়ে দিবে। সেই টাকা না হয় চয়নকে দিয়ে দিবে! কিন্তু কত টাকা দিবে? এর আগে কখনো কারো কাছ থেকে তো পেইন্টিং করায় নি। আন্দাজ করতে পারছে। সে ভাবুক কন্ঠে বলে,
“আমার তো এই ব্যাপারে ধারণা নেই। আপনিই বলুন। আমি বাবার কাছে থেকে টাকা নিয়ে দিব আপনাকে। ”

“হাজার পঞ্চাশেক বা লাখ দশেক টাকা দিতে পারবে?” অনেক কষ্টে হাসি চেপে গম্ভীর মুখে বলে চয়ন। সুরলা অবাক হয়? একটা পেইন্টিং করতে এত টাকা লাগে! হয়তো একটু বেশি সুন্দর, তাই বলে এত টাকা? তাকে এত টাকা একসাথে দিবে তার বাবা ? কী বলে নিবে? ভাবনায় পড়ে যায় সুরলা।
দরকষাকষির নারীমন জেগে উঠে। সরল মনে বলে,
“টাকার পরিমাণ বেশি হয়ে যাচ্ছে। আর কমে হবে না?”

চয়ন অন্যদিকে ঘুরে। মুখ চেপে হাসে। মেয়েটা এত বোকা কেন! তার কথা বিশ্বাস করে নিয়েছে! টাকার পরিমাণ শুনে ভয় পেয়েছে। ভাবনায় পড়েছে টাকা কোথায় পাবে, আবার দরকষাকষি ও করছে! কী হাস্যকর! চয়ন দেখতে চায় সুরলা পেইন্টিং এর জন্য কী করতে পারে। সে মুখে গম্ভীরর্যতা টেনে সুরলার দিকে ফিরে। গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
“কম হবে না। তবে টাকা ছাড়াও অন্য উপায়ে নিতে পারো।”

“কী উপায়?” তড়িৎ প্রশ্ন করে সুরলা। চোখে উৎফুল্লতা দেখা দিয়েছে তার। চয়ন তার চেহারার গম্ভীরর্যতা বজায় রেখে বলে,
“পেইন্টিং-এর বিনিময়ে তুমি যদি তোমার একটা কিডনি আমাকে দাও। তবে আমি একটি আইফোন কিনব এবং তোমাকে একটা ছবি এঁকে দিব। রাজি আছো?”

সুরলা মাথা চুলকে ভাবে। তারপর বলে,
“কিডনি দিতে গেলে ব্যাথা পাব আমি, তখন আম্মু আর খালামণি বকবে আমায়। তারা দিবে কিডনি দিতে?” চোখে মুখে অসহায়ত্ব ছেয়ে গেছে সুরলার। তার ভীষণ ইচ্ছে চয়নের কাছ থেকে পেইন্টিং করানোর। কিন্তু চয়নের দেয়া শর্তগুলো পূরণ করতে পারবে না সে। এতক্ষণ বহু প্রচেষ্টার পর চেহারার গম্ভীরর্যতা ধরে রাখতে পারলে ও এবার আর পারল না চয়ন। বাধভাঙ্গা হাসিতে ফেঁটে পড়ল। সুরলা ভ্রু কুঁচকে তাকায় চয়নের দিকে। চয়নের হাসির কারণ বুঝে উঠতে পারছে না সে। না পেরে বলেই দেয়,
“আপনি হাসছেন কেন!”

হাসি থামিয়ে চয়ন উত্তর দেয়,
“তোমার বোকামী দেখে হাসছি। আরে! আমি মজা করছিলাম। সামান্য একটা পেইন্টিং এর বিনিময়ে কেউ কিডনি চায়? আমি আগেই বলেছিলাম, আমি অবসরে পেইন্টিং করি। তারমানে আমি পেশাদারী পেইন্টার নয়। পেশাদারী না হলে টাকা চাইব কেন তোমার কাছে থেকে! আমার আগে-পরের কথা একটু ভাবলেই তুমি বুঝতে পারতে আমি মজা করছিলাম। তা না করে, তুমি কত কী ভেবে নিলে!”

এতক্ষণে নিজের বোকামী বুঝতে পারে সুরলা। করুণ গলায় বলে,
“আসোলে, আমি এত কিছু ভাবি নি। আপনি যেভাবে বলেছিলেন, আমি ভেবেছিলাম সত্যি সবটা। তাছাড়া এর আগে আমি পেইন্টিং করিনি তাই ধারণা নেই।”

“এত বোকা হলে চলে না, কিট্টি! মানুষ সহজে বোকা বানিয়ে চলে যাবে। একটু বুদ্ধিমতী হও।” বিজ্ঞের মত আদেশের সুরে বলে চয়ন। সুরলা নিজের বোকামীতে লজ্জা পায়। প্রসঙ্গ এড়াতে বলে,
” আপনি কার ছবি এঁকেছেন? মেয়েটা কে?”

“কেউ না, এমনি মাথায় এসেছে, এঁকে ফেলেছি। এই যা। তা, তোমার ছবি এঁকে দেয়া লাগবে? কিডনির বিনিময়ে?” আবারো মজা করে চয়ন। আবার ও লজ্জা পায় সুরলা। এই ব্যক্তি এখন শুধু খোঁচাবে। তারচেয়ে ভালো, কেটে পড়ি। ভেবেই বলে,
“লাগবে না পেইন্টিং, আমি গেলাম। ”

বলে সিড়ির দিকে দৌড়ে দেয়। সুরলার যাওয়ার পানে তাকিয়ে উচ্চৈঃস্বরে হেসে দেয় চয়ন। এই দৃশ্যটা কেউ একজন আড়াল থেকে দেখে। ভ্রু কুঁচকে সাত পাঁচ মেলাতে থাকে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here