ধ্রুবতারা
পর্ব_১৫
পুষ্পিতা_প্রিমা
নোহা ভার্সিটি থেকে ফিরতে না ফিরতেই রাহা যেন একপ্রকার ঝাঁপিয়ে পড়লো তার উপর। জড়িয়ে ধরে বলল
‘ নুহা আমার চকলেট দাও।
নোহা হতভম্ব। বলল
‘ ওহ রাহাপু আমি চকলেট কোথা থেকে দেব? রোয়েন ভাইয়া কি তোমাকে চকলেট দেয় না?
রাহা বলল
‘ ডাক্তার দেয়। তুমি ও দিবে।
নুহা বলল
‘ এখন চকলেট নেই।
রাহা বলল
‘ আমি ডাক্তারকে বলে দেব তোমার ও একটা বর আছে।
নোহা হতভম্ব। বিস্মিত। বলল
‘ রাহাপু তুমি কি পাগল? ও হ্যা তুমি তো পাগলই। আমার বর কোথা থেকে আসবে? রাহাপু এসব কথা আম্মার আব্বার সামনে বলবে না।
রাহা বলল
‘ বলব। তোমার বর তোমার পিছু পিছু আসছে। আমি দেখেছি।
নোহার কপালে ভাঁজ পড়লো।
‘ আমার বর? কেমন দেখতে সে? কোথায় দেখেছ?
রাহা বলল
‘ ওই তো এখন চলে গিয়েছে। তোমার গাড়ির পিছু পিছু এসেছে।
নোহা কপালে হাত দিল।
‘ ও মোর খোদা তুমি কারো দেখলা রাহাপু। ডিরেক্ট আমার বর বানায় দিলা? তুমি আসলেই পাগল।
রাহা বলল
‘ পাগল বলবে না। আমি পাগল নই।
নোহা যেতে যেতে বলল
‘ তুমি পাগল। পাগল পাগল।
রাহা গর্জন করল। বলল
‘ আমি পাগল নই।
নোহা গেইটের কাছে গিয়ে বলল
‘ তুমি পাগল। পাগল। পাগল।
রাহা কাঁদোকাঁদো হয়ে বলল
‘ ডাক্তারকে বলে দেব।
নোহা হেসে ফেলল। বলল’ রাহাপু ভালো হয়ো যাও তাড়াতাড়ি। ভালো লাগেনা। আগের রাহাপুকে মিস করি । ভালো হয়ে যাও আর পাগল ডাকব না।
রাহা বলল
‘ আমি পাগল নই।
নোহা বলল
‘ ধুরর কি বলি শুনেছ?
রাহা বলল
‘ আমি পাগল নই।
নোহা বিরক্ত হয়ে বলল
‘ তুমি পাগল।
সাথেসাথে ধমক মেশানো গলার স্বর ভেসে এল। সোজা হয়ে দাঁড়ালো নোহা। রোয়েন বলল
‘ কি হচ্ছে নোহা? কতবার বলেছি রাহাকে পাগল বলবে না।
নোহা মিনমিন করে বলল
‘ সরি ভাইয়া। মজা করছিলাম।
রাহা দৌড়ে গিয়ে রোয়েনের পেছনে দাঁড়ায়। রোয়েনের হাতের বাহু আঁকড়ে ধরে বলে
‘ ডাক্তার আমি পাগল নই।
রোয়েন নোহাকে বলল
‘ মজা করে ও বলবে না। ও এটা সহ্য করতে পারে না। এখন যাও। আরেকবার বলতে হলে মাইর পরবে।
নোহা আঁতকে উঠে বলল
‘ আর বলব না।
রোয়েন বলল
‘ যাও।
নোহা দৌড়ে চলে গেল। উফফ রাহাপু কিভাবে তাকে ফাঁসায় দিল!
রোয়েন রাহার হাত নামিয়ে দিল। বলল
‘ তুমি হুটহাট রাস্তায় কেন চলে আসো রাহা?
রাহা বলল
‘ ঘুরতে আসি। আমার ঘরে ভালোলাগেনা।
‘ কেন ভালো লাগেনা।
‘ ঘরে তো সারাক্ষণ বর থাকেনা তাই।
রোয়েন বলল
‘ আমার সাথে তোমার কি?
রাহা গালে আঙুল দিয়ে দুলতে দুলতে বলল
‘ বর না থাকলে ভালো লাগেনা।
রোয়েন মৃদু ব্যঙ্গ করে বলে
‘ ওহহ সারাক্ষণ আমার মাথা খেতে পারলে ভালো লাগে তোমার?
রাহা বলল
‘ হ্যা। কিন্তু মাথা খায় কিভাবে?
রোয়েন বলল
‘ জানিনা। যাও ঘরে। আর আসবে না এখানে। ঠিক আছে?
রাহা বলল
‘ আচ্ছা।
রোয়েন দাঁড়িয়ে থাকলো। রাহা যেতে যেতে আবার ও থেমে গেল। আবার দৌড়ে এসে রোয়েনকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে বলল
‘ ডাক্তার আমার সাথে আসেন। আসেন।
রোয়েন জোরো ধমক দিল কর্কশ গলায়। রাহা দূরে ছিটকে দাঁড়ালো। রোয়েন ক্ষেপে গিয়ে বলল
‘ যাও, বেশি বাড়াবাড়ি করলে একদম রেখে চলে যাব দূরে কোথাও।
রাহার নাক কাঁপল থেকে থেকে। হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে নাক ঢললো। ফুঁপাতে ফুঁপাতে বলল
‘ মরে যাব আমি। সবসময় শুধু শুধু বকে আমাকে।
বলেই দৌড় লাগালো রাহা। রোয়েন ডাকল
‘ রাহা দাঁড়াও। হাতের কাছে পেলে খবর আছে কিন্তু।
রাহা দৌড়ে চলে গেল। রোয়েন দ্রুত পায়ে হেঁটে রাহার পিছু পিছু গেল। রাহা দৌড়াতে দৌড়াতে রুমে গেল। দরজা বন্ধ করলো। রোয়েন দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বলল
‘ রাহা দরজা খোলো। ড্যাম ইট।
রাহা খুললো। রোয়েন বলল
‘ ঠিক আছে। চলে যাচ্ছি আমি। থাকো তুমি।
রোয়েন বলেই দাঁড়িয়ে থাকলো। রাহা তাড়াতাড়ি করে দরজা খুলে দৌড় দিতেই রোয়েনের বুকের সাথে এসে ধাক্কা খেল। রোয়েন সোজা দাঁড়িয়ে থেকে চোখ নামিয়ে চাইলো। বলল
‘ কান্না বন্ধ করো। ঠাসস করে দেব একটা। রাহা জোরে কেঁদে দিল। সোরা এসে লুকিয়ে দেখলো।
রোয়েন বলল
‘ কি সমস্যা? কান্না বন্ধ করো রাহা।
রাহা বলল
‘ আপনি কানে ধরেন।
রোয়েন বলল
‘ কিহ? মাথা খারাপ?
রাহা বলল
‘ কানে ধরেন। নাহলে আর ও জোরো কাঁদব।
রোয়েন এদিকওদিক তাকিয়ে এক হাতে কান ধরলো। সোরা বহুকষ্টে হাসি সামলালো।
রাহা সাথে সাথে কান্না থামিয়ে দিল। হাত বাড়িয়ে রোয়েনের গলা ধরে ঝুলিয়ে পড়ে বলল
‘ ডাক্তার?
সোরা তাড়াতাড়ি সরে পড়লো।
রোয়েন বলল
‘ এসব কি ধরণের অসভ্যতামি রাহা? ছাড়ো। কেউ চলে আসবে।
রাহা ঠোঁট ফুলিয়ে বলল
‘ ইননা। একটু জড়িয়ে ধরি?
রোয়েন নাকমুখ কুঁচকে বলল
‘ নাহহ।
রাহা জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে।
______________
বিকেলের দিকে এল রোয়েনের বন্ধুরা। তিনজন । নাহিল আর সালেহা বেগমের সাথে গল্পে মশগুল তারা। সোরা নাশতা দিল। সোয়েভকে বলল
‘ কি ব্যাপার ইন্জিনিয়ার সাহেব বিয়ে শাদী কি করবেন না?
সোয়েভ চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে কেশে উঠলো। রোয়েন এসে সোফায় বসতে বসতে বলল
‘ আরেহ আস্তে ভাই।
সোরা হেসে বলল
‘ বাকিদের কি খবর?
অনিক আর অনির্বান নড়েচড়ে বসে বলল
‘ আমাদের ঠিক আছে আন্টি। বরং রোয়েনের কথা বলুন। ডাক্তার বাবুর জন্য কি একটা দেখব?
সোয়েভ বলল
‘ আরেহ ভাই এটা বলার কি আছে? দেখ দেখ।
সোরা নাহিলের দিকে তাকালো। নাহিল সোরার দিকে। রোয়েন নড়েচড়ে বসে বলল
‘ এসব কথা থাক।
সোয়েভ বলল
‘ আহা থাকবে কেন ব্রো? তোরা কর তারপর ভেবেচিন্তে ডিসিশন নেব আমি। আব্বা যেভাবে রোজ বলে মাকে বিয়ে তার লাইফ ত্যানাত্যানা হয়ে গেল, আমার তো ভয় করে বাপ।
সবাই হাসলো একসাথে। রোয়েন নড়েচড়ে বলল
‘ তুই ঠিক হলিনা ভাই। এবার একটু সিরিয়াস হ। সারাক্ষণ মজার তালে থাকিস। আমার মনে হয় তুই বিয়ে করে নিলেই চেন্জ হবি।
সোয়েভ বলল
‘ বুকে আয় ভাই। একদম মনের কথা বললি। কিন্তু বিয়ে ভয় লাগে।
সবাই আবার ও হাসলো। নাহিল বলল
‘ সোয়েভ চিন্তা নেই। করে ফেলো। রোয়েন অনিক অনির্বাণ ওরা আছে তো।
সোয়েভ বলল
‘ ধুরর আমার চিন্তা বাদ দেন। রোয়েনকে করায় দেন একটা বিয়ে। নাহিল কিছু বলতে গেল তার আগেই রোয়েন বলে উঠলো
‘ আচ্ছা বেরোই আমরা। একটা জায়গায় যেতে হবে।
অনির্বাণ বলল
‘ হ্যা। দেরী হয়ে যাচ্ছে। উঠি?
রোয়েন মাথা নাড়ালো। নাহিল বলল
‘ রাতে খেয়ে যেও সবাই। তোমাদের আন্টি রান্না করবে।
রোয়েন বলল
‘ না বাবাই আমাদের আজকে অন্য কোথাও ডিনারের কথা।
নাহিল মাথা নাড়ালো। সবাই বেরোতে যাবে ঠিক তখুনি রাহা দৌড়ে নিচে নেমে এল। হাতে একটি খাতা। রোয়েনের কাছে দৌড়ে গিয়ে ডাকলো
‘ এই বর, আমি লিখেছি।
রোয়েন বলল
‘ রুমে যাও। লিখতে বলেছি। এখানে কেন?
রাহা বলল
‘ ডাক্তার উফফ! আমি লিখেছি দেখেন হয়েছে কিনা?
রোয়েনের বন্ধুরা রাহার হাতে খাতাটার দিকে তাকালো। তাতে লেখা রাহা বউ, ডাক্তার বর।
সবাই রোয়েনের দিকে অদ্ভুত চোখে তাকালো। রোয়েন বিষয়টা এড়ানোর চেষ্টা করে বলল
‘ নাথিং ইয়ার। ওর মাথা ঠিক নেই। তাই ওসব উল্টাপাল্টা,
নাহিল কিছু বলতে গেল সোরা এসে আটকালো। মাথা নাড়িয়ে কিছু না বলতে বললো।
রোয়েন রাহার হাত ধরে টেনে উপরে নিয়ে গেল। রুমে ঢুকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে রাগে গিজগিজ করতে করতে বলল
‘ আর কত ভাবে হেনস্তা করবে বলে ভেবে রেখেছ রাহা?
রাহা চুপ করে তাকিয়ে থাকলো। রোয়েন বলল
‘ ওদের সামনে কেন গেলে? গেলে ভালো কথা বর ডাকার কি দরকার ছিল? পাগল তুমি? ও হ্যা তুমি পাগলই।
রাহার টলমলে চোখ দিয়ে বর্ষণ হলো। গাল ভিজে উঠলো মুহূর্তে। রোয়েন রুমের বাইরে গিয়ে দরজা বন্ধ করল। চলে গেল। রাহা শুধু দরজায় হাত দিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলো। খাতার কাগজটি ভিজে উঠলো নোনা জলের ফোঁটায়। রোয়েন বন্ধুদের নিয়ে বের হয়ে গেল। তারা বলল
‘ তোকে কেন বর ডাকে রে?
রোয়েন বলল
‘ রাহার মাথা ঠিক নেই। তাই ওসব উল্টাপাল্টা বলে। ও বর শব্দটার মিনিং বুঝে নাকি ?
সোয়েভ বলল
‘ আমি তো জানি রাহা তোকে,
রোয়েন বলল
‘ ওসব কিচ্ছু নেই। ফালতু কথা বলবি না সোয়েভ।
অনির্বাণ বলল
‘ তুই বকেছিস তাই রাহার মন খারাপ হয়ে গেছে মুহূর্তেই । ভালো ভাবে বলতে পারতি। কত হাসিখুশিভাবে তোকে বলতে এল।
রোয়েন বলল
‘ ওকে প্রশয় দিলে আবার ও করবে। এসব কথা এখানেই থামুক। আমি বাড়াতে চাই না। ভালো লাগছেনা।
রাতে করে বাড়ি ফিরলো রোয়েন। রুমে ঢুকে দেখলো রাহা নেই। গায়ের শার্ট পাল্টে মুখ হাত ধুঁয়ে নিল। তারপর শুয়ে থাকলো। তাননাকে ফোন দিল তখুনি। তাননা ফোন তুলে বলল
‘ বল।
রোয়েন বলল
‘ কবে আসছিস? গেলে আর আসার নাম তো নিস না। ভাইটাই তো নেই তোর।
তাননা কপট রাগ দেখিয়ে বলল
‘ তোর বোন আছে? একবার আসতে ইচ্ছে করেনা তোর? শুধু আমিই যাব!
রোয়েন বলল
‘ ফোন রাখ এমনিতেই মাথা খারাপ।
তাননা বলল
‘ রাখ। তোর সাথে কে কথা বলছে? একদম গোঁয়ার একটা। আম্মা আব্বা থাকলে পিটিয়ে সোজা করতো।
রোয়েন ফোন কেটে দিল রাগে । পুরো ঘরে চোখ বুলালো। জিনিয়ার সাহিলের ছবিটি নিয়ে ঠোঁট ছুঁয়ালো। বুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো। সোরা এসে দেখলো রোয়েন বুকে ছবি জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। সোরা হাতের প্লেটটি বেডসাইড টেবিলে রাখলো। রোয়েনের কপালে হাত দিয়ে ডাকলো
‘ মুননা? উঠো আব্বা খেয়ে নাও।
রোয়েন ঘুমঘুম গলায় বলল
‘ খেয়ে এসেছি নাহ?
সোরা বলল
‘ খেয়ে এসেছ? ওহ আমি তো ভুলে গেছি। আচ্ছা।
সোরার গলায় চাপা অভিমান। রোয়েন বলল
‘ রাহা কোথায়?
সোরা যেতে গিয়ে থেমে গেল। চাপা গলায় বলল
‘ জানিনা আমি।
রোয়েন বলল
‘ তুমি ও?
সোরা বলল
‘ আমি কি বলেছি? রাহার খোঁজ নেওয়ার দরকার নেই। ঘুমাও। আমি লাইট অফ করে দিচ্ছি।
রোয়েন কপালে এক হাত রেখে চোখ বন্ধ করলো। সোরা রুম থেকে বের হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর এসে ফ্রুটস দিল। বলল
‘ এগুলো খেয়ে নাও। কফি আনছি।
রোয়েন খেল না। সোরা কফি আনলো। রোয়েন কফি খাওয়ার জন্য উঠে বসলো
সোরা চলে যেতেই রোয়েন বলল
‘ রাহাকে আমি ডাকছি বলো।
সোরা বলল
‘ ও ঘুমিয়ে পড়েছে। থাকুক। তুমি ঘুমিয়ে পড়ো।
রোয়েন ধীরপায়ে পুরো ঘরে হাঁটতে হাঁটতে কফির মগে চুমুক বসালো। তারপর বের হয়ে গেল রুম থেকে।
রাহা তার আগের রুমে শুইয়েছে। সোরা রুমটা ভালোভাবে পরিষ্কার পরিপাটি করে রেখেছে। রাহা আজ থেকে এখানে থাকবে। এখন সে অনেকটা সুস্থ। যা বুঝায় তা ভালোভাবে বুঝে। রোয়েন তাননার রুমে গেল দেখলো রাহা নেই। সালেহা বেগমের রুমে গেল। সেখানেও নেই। রিহানের রুমে গেল। সেখানে ও নেই। শেষমেশ রাহার রুমে লাইট জ্বলতে দেখে দরজা ঠেলল। রাহাকে দেখে স্বস্তি মিললো। রোয়েন রুমে ডুকে দরজা ঠেলে দিল। রাহা ঘুম। চোখের জল এখনো লেপ্টে আছে গালে। রোয়েন চুপিসারে ডাকলো
‘ রাহা?
পরপর কয়েকবার ডাকায় রাহা উঠলো না। রোয়েন তার ঠান্ডা হাত রাহার গালে ছুঁয়ে দিয়ে ডাকতেই রাহা পিটপিট করে চোখ খুললো। রোয়েনকে দেখে ভাবান্তর ঘটলো না তার। রোয়েন কম্বল সরিয়ে দিল। কোলে তুলে নিয়ে হাঁটা ধরে বলল
‘ রাহা অল্পতেই কান্না করতে বারণ করেছি।
রাহা চুপটি করে চেয়ে থাকলো। রোয়েন বলল
‘ ভাত খেয়েছ?
রাহা জবাব দিল না। রোয়েন বলল
‘ ফ্রুটস খেয়েছ?
রাহা কথা বলল না।
রোয়েন রুমে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল রাহাকে। কম্বল টেনে দিল। বলল
‘ ওয়েট ফ্রুটস দিচ্ছি। ঘুমিয়ে পড়ো না।
রাহা বিছানা থেকে নেমে গেল। দৌড়ে রুম থেকে বের হলো। আবার নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিছানায় শুইয়ে পড়লো।
আম্মা তাকে বলেছে ডাক্তারের কাছ থেকে যত দূরে থাকবে ডাক্তার তাকে তত ভালোবাসবে। বকবে না আর। রাহা চায় ডাক্তার তাকে ভালোবাসুক দূর থেকে। না বকুক।
রাহার অবচেতন মন বুঝে না,
কাছে গেলে কি বিরক্তিকর কারণ হয়? দূরে থাকলে কি ভালোবাসা হয়?
রোয়েন রাহার পিছুপিছু রাহার রুমের দরজার কাছে এসে দাঁড়ালো। দরজায় কড়া নাড়লো না। রাহা যদি একা থাকতে পারে তাহলে তা বেশ ভালো। রোয়েনের কি তবে এবার মুক্তি? রাহা মুক্তি দিল তাকে অবশেষে?
চলবে