ধ্রুবতারা পর্ব_১৬ পুষ্পিতা_প্রিমা

ধ্রুবতারা
পর্ব_১৬
পুষ্পিতা_প্রিমা

পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে তেজ দীপ্ত সূর্য। নরম মিঠে আলোয় আবছা আবছা কুয়াশা। এমন গোধূলী লগ্নে গায়ে শাল মাথায় টুপি জড়িয়ে গ্রামের বড় সড়ক ধরে হাঁটুরে এগোচ্ছে হাঁটের উদ্দেশ্যে। কারো পড়নে শার্ট লুঙ্গি। কারো কারো পড়নে পাঞ্জাবী। নাহিলের এক হাতের মুঠোয় রাহার হাত। অন্য হাতে ছোটখাটো একটা ব্যাগ । নাহিল কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে একটি রিকশা ডাকলো। রাস্তাঘাট উন্নত হয়েছে আজকাল। রিকশাচালক জিজ্ঞেস করলেন
‘ কই যাবেন সাহেব?
নাহিল বলল
‘ আহম্মেদ মঞ্জিলে। চেনেন?
রিকশাচালক বললেন
‘ চিনি। আপনে আহম্মদে বাড়ির পোলা?
নাহিল বলল
‘ জ্বি।
রিকশাচালক রাহাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন
‘ আর এইডা আপনার মাইয়্যা?
নাহিল বলল
‘ জ্বি।
রিকশাচালক বললেন
‘ ভারী মিষ্টি মাইয়্যা। আমার ও এমন একডা ছেড়ি আছে। উঠেন। ভাড়া একজন বিশ কইরা লয়।
নাহিল রাহাকে নিয়ে উঠে পড়লো। রাহা নাহিলের কাঁধে মাথা রেখে বলল
‘ আব্বা তুমি আমায় ছেড়ে চলে যাবে?
নাহিল বলল
‘ ওখানে তোমার নানু আছে, নানাভাই আছে। মামা মামি আছে। সামিরা আর সিহাব আছে। ওদের সাথে থাকবে। ওরা তোমাকে খুব ভালোবাসে। তাছাড়া কিছুদিন পর তোমার আম্মা আসবে। আমি নিয়ে আসবো।
রাহা বলল
‘ আচ্ছা।
নাহিল বলল
‘ মামির কথা শুনবে। আমাদের কথা মনে পড়লে ফোন দেবে। একা থাকা শিখতে হয় মা৷
রাহা বলল
‘ একা থাকা কেন শিখতে হয়? সবাইকে কি একা একা থাকতে হয়? তুমি একা থাকো?
নাহিল জবাব দিতে পারলো না। তাই চুপ থাকলো।

রাহাকে দেখে খুশি হলো সবাই। সামাদ মিয়া বাজারে গেল বড় ইলিশ আনতে নাতনির জন্য। সালমা বেগম খুশিতে আত্মহারা। সামিরা সিহাব খুশি হলো রাহাকে পেয়ে। রাহা ও মুহূর্তেই মিশে গেল তাদের সাথে। নাহিল স্বস্তি পেল। যাক মেয়েটা ভালো থাকলেই হলো। কারো কাছে অন্তত অবহেলিত হবে না।
নাহিলকে একটা রাত থেকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করল সবাই। রাহা ও কান্না করায় যেতে পারলো না নাহিল। থেকে যেতে হলো। সামাদ মিয়া জামাই আপ্যায়নে ত্রুটি রাখলো না।
তবে সকাল সকাল নাহিল চলে যাওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লো।
যাওয়ার আগে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে চুমু আঁকল। বলল
‘ ভালো থেকো আম্মা । কোনো সমস্যা হলে ফোন দিও আব্বাকে। কেমন?
রাহা মাথা নাড়লো শুধু। নাহিলের যাওয়ার পানে চেয়ে রইলো।

________

রাত বারোটা তখন। নাহিল মাত্রই ঘুমিয়ে পড়েছিল। সোরার গায়ে জ্বর এসেছে সামান্য। রাহার কথা বলতে বলতে সে ও ঘুমিয়ে পড়েছে। ফোন বেজে উঠায় চিন্তিত দেখালো নাহিলকে। এত রাতে আবার কার ফোন?
ফোন তুলতেই ফোনের স্ক্রীনে দেখতে পেল রোয়েনের নাম। নাহিল উঠে গেল। এত শীতের মাঝে এত রাত করে বাড়ি ফেরার কি দরকার বুঝে পায় না নাহিল।
নিচে নেমে দরজা খুলে দিল নাহিল। রোয়েনের হাতে ফোন। মাথা নিচের দিকে ঝুঁকে ফোন টিপছে। অন্য হাতে ব্যাডমিন্টন ব্যাট।
নাহিল দরজা খুলে দেওয়ায় রোয়েন পা টিপে বাড়িতে ঢুকলো। বলল
‘ ঘুমের ডিস্টার্ব করলাম?
নাহিল বলল
‘ দিনদিন কি ছোট হচ্ছ? এত রাতে কেউ ব্যাডমিন্টন খেলে? তুমি এখনো অতটা ও বড় হওনি যে শাসন করতে পারবো না। চুপ করে আছি বলে যা ইচ্ছে তাই করছ।
গর্জে বলল নাহিল। ধীরেধীরে সোরা নিচে নেমে এল।
রোয়েন বলল
‘ মাত্র বারোটা। অত রাত কোথায় হলো?
সোরা ইশারা করলো নাহিলকে। নাহিল কিছু বললো না। সোরা বলল
‘ মুননা খেতে এসো তাড়াতাড়ি।
রোয়েন ফোনের দিকে ঝুঁকে আছে এখনো। নাহিল বলল
‘ কি বলেছে শুনতে পাওনি?
রোয়েন মাথা তুলে তাকালো। শান্ত গলায় বলল
‘ পেয়েছি। যাচ্ছি।
রোয়েন পা বাড়ালো। পায়ের আওয়াজে ও ক্ষোভের আভাস। নাহিল সোরাকে বলল
‘ একটু বেশি আদর দিয়ে ফেলেছি বোধহয়। তাই এমন ঘাড়ত্যাড়া হয়েছে। ভালোবাসা না পেলে মানুষগুলো এমন হয়, আর একে তো আদর, ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা সব দিয়ে বড় করেছি। তারপরও এমন হলো কেন?

সোরা বলল
‘ আমি চুপ করতে বলেছি আপনাকে।
নাহিল বলল
‘ অনেক চুপ থেকেছি। আর থাকবো না।
ডিভোর্স পেপার রেডি করব আমি। রাখব না রাহাকে এই ছেলের কাছে। যার কাছে কোনো মূল্যই নেই আমার মেয়ের।
সোরা বলল
‘ মুখে সবসময় খারাপ কথা রেডি রাখেন নাহ? ডিভোর্স মানে কি জানেন?
নাহিল বলল
‘ জানি। আমাকে জানাতে এসো না। আমার মেয়ে কি ফেলনা? যে তাকে যেমন ইচ্ছে তেমন করবে?

রোয়েন নিচে নেমে এল। মুখের আশপাশ ভেজা। হয়ত মুখ ধুঁয়েছে। গায়ে সাদা লেদার জ্যাকেট। সোরা নাহিল চুপ হয়ে গেল তাকে আসতে দেখে। রোয়েন চেয়ার টেনে টেবিলে বসে বলল
‘ কবে রেডি করছো ডিভোর্স পেপার? তাড়াতাড়ি করো। আমি থাকছি না এখানে।
নাহিল কপালে ভাঁজ ফেলে তাকিয়ে থাকলো। সোরা টলমলে চোখে তাকালো। পরক্ষণেই প্লেটে ভাত তুলে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। নাহিল বলল
‘ ফিরে যাবে তুমি? তাহলে ফিরেছ কেন?
রোয়েন কিছু বলল না। সোরা বলল
‘ রাহা এখনো সুস্থ হয়নি।
রোয়েন কিছু বললো না। নাহিল বলল
‘ সুস্থ না হোক সোরা। কার কি যায় আসে? আরেহ রাহাকে পাগল ডাকতে পারলে অনেকে খুশি হয় বুঝোনা?
সোরা বলল
‘ আপনি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
নাহিল গটগট পায়ে হাঁটা ধরলো। রোয়েন দাঁড়িয়ে পড়ে বলল
‘ খাব না আমি। খিদে নেই।
সোরা বলল
‘ মুননা?
নাহিল দাঁড়িয়ে পড়লো। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো রোয়েন ফোন টিপতে টিপতে চলে যাচ্ছে। নাহিল ডাক দিল
‘ মুননা খেয়ে নাও বলছি।
রোয়েন জবাব দিল না। রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করলো। পুরো রুম ঘুরেঘুরে রাহার সব জামাকাপড় খুঁজে নিল। চিরুনি, তেলের বোতল, রাহার ওড়না সব নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল। রাহার রুমের কাছে থেমে গেল। দরজা বন্ধ কেন? রোয়েন কারো পায়ের আওয়াজ পেয়ে পিছু ফিরলো। নাহিল বলল
‘ রাহা নেই।
রোয়েন বিস্ময় কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো
‘ কোথায়?
‘ তুমি জেনে কি করবে? কেন এসেছ?
রোয়েন হাতের জিনিসগুলো ফেলে দিল। বলল
‘ রাহা কখন গিয়েছে?
‘ কাল সন্ধ্যায়। যাও খেয়ে নাও। না খেয়ে ঘুমালে খবর আছে।

রোয়েন বলল
‘ খাব না বলেছি আমি।
নাহিল চেঁচালো।
‘ গায়ে হাত তুলেছি দেরী হয়েছে। তুলতে বাধ্য করো না। যাও। আর বলতে না হয় মতো।
রোয়েন গটগট পায়ে হাঁটা ধরলো। নিচে নেমে ধপ করে বসলো চেয়ারে। সোরা খাবার দিল। বলল
‘ রাতে না খেয়ে থাকতে নেই সেকথা তুমি বলো সবসময়।
রোয়েন চুপচাপ খেল। বাকিগুলোতে পানি ঢেলে চলে গেল। নাহিল দূরে দাঁড়িয়ে দেখলো। সোরা তাকাতেই ঘরে চলে গেল নাহিল। হাসিমুখে তাকিয়ে থাকা সাহিলের ছবিটার দিকে তাকিয়ে বলল

‘ আমাকে কতবড় দায়িত্ব দিয়ে গেলে ভাই? তোমার ছোট ভাই এত বড় দায়িত্ব পালন করতে পারবে কিনা সেটা ও একবার ভাবলে না। আদর দিয়ে দিয়ে বড় করেছি তোমার ছেলেমেয়ে দুটোকে। আদরের সময় আদর করেছি। শাসনের সময় শাসন করেছি। কোনোকিছু অপূর্ণ রাখিনি। চাওয়ার আগেই সব এনে হাজির করেছি তাদের সামনে। নিজের দস্যিপনা ছেড়ে দিয়ে এত বড় ব্যবসাটা নিজ হাতে সামলাচ্ছি। বাড়িটাকে, বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষকে ভালো রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভালো পাত্রে বিয়ে দিয়েছি তোমার মেয়েকে। আর ছেলেটা?
সেই ছোট্ট মুননু কখনো তার বাবাইকে কষ্ট দিতো না। তাহলে এখন কেন দিচ্ছে? ওর দেওয়া আঘাত আমি সহ্য করতে পারছিনা ভাই। আমি এটা আশা করিনা তার কাছ থেকে। তুমি তো এটাই চেয়েছিলে যে রাহাই তোমার ছেলেবউ হোক কিন্তু তোমার ছেলে কেন চায় না? আমার চোখের সামনে রাহার প্রতি মুননার অবহেলা সহ্য হয় না আমার। আমি সইতে পারিনা ভাই। কি করব আমি? তুমি কেন নেই? আজ তুমি থাকলে, জিনিয়া থাকলে আমার নিজেকে এতটা দুর্বল মনে হতো না। আমাকে এতটা একা করে চলে গিয়ে ভালো আছ তুমি? শান্তিতে আছ? হয়ত তোমাদের অনাদর অবহেলায় ছেলেটা এমন হয়েছে। আমি বোধহয় তোমার মতো অতটা ভালোবাসতে পারিনি ওকে। তোমার মতো আগলে রাখতে পারিনি। ওর মন নেই ভাই। হৃদয় নেই। পাষাণ তোমার ছেলে। পাষাণ হৃদয়হীন। তুমি তো জিনিয়াকে চোখে হারাতে, তাহলে তোমার ছেলে কেন তোমার মতো হয়নি? তুমি তো পাষাণ ছিলে, তারপরে ও সেই পাষাণ হৃদয় গলে ভালোবাসা বোরোতো জিনিয়ার জন্য। জিনিয়াকে ভালোবেসে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজের সবটা দিয়ে দিলে। কিন্তু হয়ত সে থাকতে চায়নি তোমাকে ছাড়া। তাই চলে যেতে হলো।
কিন্তু তোমার ছেলে কি কারণে পাষাণ? এতটা হৃদয়হীন ও হয়? তোমার আর জিনিয়ার ছেলেকে এতটা পাষাণ হওয়া কি আদৌ মানায়? তুমি থাকলে আজ এত অন্যায় হতে দিতে আমার মেয়ের সাথে? এত প্রশ্নের উত্তর কোথায় পাব আমি? আমায় ছেড়ে কেন চলে গেলে ভাই? কতগুলো বছর আমি তোমায় দেখিনা? তোমার সাথে টেবিলে বসে একসাথে খাইনা।
তোমায় দেখতে খুব ইচ্ছে করছে ভাই। খুব।

ছোট্ট অবুঝ শিশুর মতো দুহাত দিয়ে ভেজা গাল মুছলো নাহিল।
নাহিল ফিরতেই দরজার পাশ থেকে সরে পড়লো রোয়েন। সোরা এসে পড়ায় রোয়েন দাঁড়িয়ে পড়লো। থেকে থেকে কেঁপে উঠা নাক চোখ একসাথে হাতের কব্জি দিয়ে ঘষলো রোয়েন। সোরাকে ডিঙিয়ে চলে গেল রুমে। সালেহা বেগম ঘুমঘুম গলায় রোয়েনের পিছু যেতে যেতে বলল
‘ ভাই কি হয়েছে তোর? চোখ মুখের এই অবস্থা কেন? এই নাহিল তুই কি বকেছিস আমার ভাইকে?
নাহিল সালেহা বেগমের পিছু এসে দাঁড়ায়। সালেহা নাহিলের চোখমুখ দেখে বলে
‘ কি হয়েছে তোদের?
নাহিল বলল
‘ কিছু হয়নি। আমি ভাইকে নালিশ দিয়েছি তার ছেলের নামে।
সালেহা বেগম রোয়েনের রুমে চলে যায়। রোয়েন বেডের উপর বসে দুহাতে ভর দিয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে। সালেহা বেগম গিয়ে বসে রোয়েনের পাশে। কাঁধে হাত দিয়ে ডাকে
‘ ভাই মাথা তোল।
রোয়েন হাত নামিয়ে দেয়। সালেহা বেগম রোয়েনের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলেন
‘ তোর বাবাই বকেছে তোকে? ভাই শোন আমার কথা। এমন করিসনা ভাই। আমার দিকে তাকা।
রোয়েন চোখ ফিরিয়ে রাখে। সালেহা বেগম বলেন
‘ ভালো আমার ভাই।
রোয়েন চোখ উপরে তুলে রাখে। সালেহা বেগম রোয়েনের মুখ ছুঁয়ে তার দিকে ফিরায়। বলে
‘ ভাই তাকা আমার দিকে। এইতো দেখ, যার চোখে জল নামে যার মন কাঁদে মা বাবার জন্য। যার চোখ ভিজে উঠে চাচার শাসনে। সে কখনো পাষাণ নয়। তাকা আমার দিকে। রোয়েন মুখ ফিরিয়ে নিল। সালেহার হাত আবার ও নামিয়ে দিল। হাত তুলে বাহু দিয়ে চোখ মুছলো।
সালেহা বেগম আবার ফিরালেন রোয়েনকে। বললেন
‘ ভাই কেন করছিস এমন? তুই কি ভালো আছিস এসব করে?
রোয়েন আবার নাকমুখ ঢললো। সালেহা বেগম বলল
‘ তুই নিজের সরূপ আর কতক্ষণ লুকাবি ভাই ? কাঁদছিস তুই? নিজের আরেক বাপকে কাঁদিয়ে নিজে কাঁদছিস? তাহলে কষ্ট দিস কেন? আমার দিকে তাকা। তুই চাইলে সব ঠিক হয়ে যাবে এখন।
রোয়েন নিজের হাতের বাহুতে আবার ও গাল মুছলো। ভার গলায় বলল
‘ কিচ্ছু ঠিক হবে না। অভিযোগের পাহাড় আমার নামে লেখা। পারব না আমি।
সালেহা বেগম বলল
‘ রাহামণিকে নিয়ে আয়। তোর বাবাই খুশি হবে। কষ্ট পাবে না আর। তোর উপর রাগ থাকবে না আর। অভিযোগ কমে যাবে। তোকে ভালোবাসে তো তাই তোর দেওয়া কষ্ট সইতে পারে না। তার ভাই তো তাকে কাঁদায়নি কখনো তাহলে তার ছেলে কেন কাঁদায়? কেন আঘাত দেয়?
রাহা তোর বউ। তাকে কেন কষ্ট দিস? এতদিন রাত জেগে তার সেবাশুশ্রূষা করে তাকে সুস্থ করে তুলেছিস? তাহলে এখন এমন কেন? পাগল ডাকলি কেন? বউ বলে অস্বীকার করলি কেন?
রোয়েন মুখ ফিরিয়ে নিল। বলল
‘ জানিনা। যাও।
সালেহা বেগম গেল না। বলল
‘ তোর বউকে ফিরিয়ে নিয়ে আয়।
রোয়েন সরাসরি জবাব দিল।
‘ আমি যেতে বলিনি। তাই ফিরিয়ে ও আনব না। তাছাড়া আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে। ঔষধের পাতা ছিঁড়ে ঔষধ খেতে এখন রোয়েনকে প্রয়োজন পড়ে না। রাহা নিজেই খেতে জানে। ওর আব্বা ও ভালো সিদ্ধান্তঃ নিয়েছে, মেয়ের ভালো চান উনি। উনার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ভালো হবে। আমি ও একমত।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here