ধ্রুব অরিত্রিকা আহানা পর্বঃ২০

# ধ্রুব
অরিত্রিকা আহানা
পর্বঃ২০

হলুদ উপলক্ষ্যে সাজগোজের আমাকে পার্লারে নিয়ে যাওয়া হলো। আমার খুব একটা ইচ্ছে ছিলো না, হলুদের সাজ বাসায়ই সাজা যায়। কিন্তু মা এবং আপু বাধ সাধলো! জোরপূর্বক আমাকে পার্লারে পাঠালো।

পার্লার থেকে ফিরতে ফিরতে অনেক সময় লেগে গেলো! ঘরে ঢুকে সর্বপ্রথম আমার বর মহাশয়ের দেখা পেলাম। স্কাই-ব্লু কালারের একটা টি-শার্ট আর কালো ট্রাউজার গায়ে দিয়ে জিনিসপত্র ছাদে তোলার কাজে লেগেছেন তিনি। বাসার দরজা খোলাই ছিলো। ধ্রুব আমার দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় আমাদের দেখতে পায় নি! দরজা ব্লক করে আত্মীয়স্বজন অনেকেই দাঁড়িয়ে আছে। আত্মীয়স্বজনদের ভিড় এড়িয়ে তাড়াতাড়ি ভেতরে ঢুকতে গেলাম। ফলাফলস্বরূপ, সচরাচর আমার সাথে যা ঘটে, আজও তা ঘটলো। সোফার কোনার সাথে প্রচন্ড জোরে বাড়ি খেলাম।আওয়াজ শুনে ধ্রুব পেছনে ঘুরতে না ঘুরতেই আবারো দুম করে আওয়াজ হলো। ওয়াসিফও বাড়ি খেয়ে মেঝেতে পড়ে গেছে! বেচারা ধ্রুবকে দেখে “লুবো মামা,লুবো মামা” করতে করতে এগিয়ে আসছিলো। বাড়ি খেয়ে একেবারে চিৎ হয়ে গেছে! বোধকরি ব্যথায় চেয়ে প্রেস্টিজে বেশি লেগেছে, তাই গলা ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করে দিলো। ধ্রুব হতভম্ভ! সাথে সাথেই সুমাইয়া, সীমা, তরু এরা সবাই ব্যস্ত হয়ে ওকে কোলে নেওয়ার জন্য এগিয়ে গেলো! ওয়াসিফ কারো কোলেই গেলো না! ততক্ষনে ধ্রুবর হুঁশ হলো। ছুটে গিয়ে ওয়াসিফকে কোলে নিয়ে দোলাতে দোলাতে বললো,”এই তো মামা! তোমার কাছেই আছি!” ওয়াসিফ আবারো নাকি সুরে কেঁদে উঠলো,”লুবো মামাআ!”
ধ্রুব ওর গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আদুরে গলায় বলল,”আছি তো মামা!..কি হয়েছে আমার মামাটার? ব্যথা পেয়েছো? কোথায় ব্যথা! মামাকে বলো?”

ওয়াসিফ ওর কথার জবাবে আরো জোরে চিৎকার করে উঠলো। ধ্রুবর কোলে থাকা সত্ত্বেও চেঁচামেচির ফাঁকে মাঝে মাঝে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে ‘লুবো মামা, লুবো মামা’ করে যাচ্ছিলো। বাড়ি খেয়ে বোধহয় ধ্রুবর চেহারা ভুলে গেছে! বিপদের মাঝেও সবাই হেসে ফেললো! আপু এসে ওকে ধ্রুবর কোল থেকে নিয়ে গেলো। এতকিছুর মাঝে আমি নিজের ব্যথার কথা ভুলেই গেলাম! অদ্ভুতভাবে সবার দিকে তাকাচ্ছিলাম। ধ্রুবই প্রথম কাছে এসে কোমল স্বরে জিজ্ঞেস করলো,”ব্যথা পেয়েছে?” আমি না-সূচক মাথা নাড়ালাম। এত লোকের সামনে ব্যথার কথা বলতেও লজ্জা লাগছিলো। ধ্রুব সোফা একপাশে ঠেলে সরিয়ে আমাকে ভেতরে যাওয়ার জায়গা করে দিয়ে বলল,”যাও ভেতরে যাও।”

আমি ভেতরে ঢুকে গেলাম। স্টেজ পুরোপুরি তৈরী না হওয়া পর্যন্ত চুপচাপ নিজের ঘরে বসে রইলাম। আশেপাশে মেহমানদের ভিড় তেমন নেই। সমবয়সীরা বেশিরভাগই ছাদে! হয়তবা আমার পার্লার থেকে ফিরে আসার খবর পায় নি! বয়স্করা মায়ের ঘরে জোট হয়ে গল্প করছে। আমার কামরা মোটামুটি ফাঁকা! মেকাপ ঠিক আছে কি না দেখে নিচ্ছিলাম। আমার পাশে কেবল সুমাইয়া বসে ছিলো। আধঘন্টা বাদে হঠাৎ সীমা, তরু, রাফি ভাই এরা ধ্রুবকে নিয়ে হুড়মুড়িয়ে রুমের ভেতরে ঢুকে পড়লো।

ধ্রুবর পরনে হলুদ সাদা পাঞ্জাবি আর সাদা চুড়িদার! পাঞ্জাবির ওপর সোনালি রংয়ের কোটি! বলা বাহুল্য, ওকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। আমি একদৃষ্টিতে ওর দিকে চেয়ে রইলাম। ধ্রুব মিটমিট করে হাসছিলো! রাফি ভাই আমাকে ইশারা করে বললেন,”আসতে চাইছিলো না! জোর করে ধরে নিয়ে এসেছি!”
আমি চোখ সরিয়ে নিলাম। সুমাইয়া ধ্রুবকে উদ্দেশ্য করে দুষ্টু হেসে বললো,”নিশাতকে কেমন লাগছে ভাইয়া?”
সিনেমাটিক কিছুই ঘটলো না। ধ্রুবর দৃষ্টিতে মুগ্ধতা থাকলেও প্রকাশ ছিলো না! আমার দিকে তাকিয়ে নিজের সবচেয়ে জঘন্য হাসিটা দিয়ে বললো,”মেকাপের জন্য বোঝা যাচ্ছে না!”

আমি মেকাপে মনোযোগ দিলাম। ধ্রুবকে আমি ভালো করেই জানি! দুনিয়া উলটে তিনভাগ পানির বদলে একভাগ পানি আর তিনভাগ মাটি হয়ে গেলেও এই ছেলে আমার প্রশংসা করবে না। অতএব দুঃখ পাওয়ার চিন্তাভাবনা করাটাও বোকামি! বড় জোর দুঃখিত হওয়ার একটু ভান করা যায়! আপাতত সেটাও মন চাইছে না।

সুমাইয়া, সীমা, এদের খোঁচাখুঁচিতে যোগ দিলাম না। নির্বিকার ভাবে বসে রইলাম। ফলে খোঁচাখুঁচি জমলো না! নিরাশ হয়ে সবাইকে বেরিয়ে যেতে হলো। ওরা বেরিয়ে গেলে আমিও মেক আপ ঠিক করে স্টেজে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। হঠাৎ ওয়াসিফকে দেখলাম “লুবো মামা” বলতে বলতে এদিকেই দৌঁড়ে আসছে। পেছনে ঘুরে দেখলাম ধ্রুব হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ধ্রুব অব্দি পৌছানোর আগেই আমি ওকে কোলে তুলে নিলাম। তারপর সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ঘটলো অঘটন ঘটে গেলো। ওয়াসিফকে কোল থেমে নামানোর জন্য ও হাত পা ছুঁড়ে আমার চুল টেনেটুনে এক অবস্থা করে দিলো। কিছুতেই শান্ত করতে পারলাম না। পুরো সাজ খারাপ করর দিলো! মেজাজ প্রচন্ড রকমের খারাপ হয়ে গেলো। এত কষ্ট করে পার্লার থেকে সেজে আসলাম সব মাটি! ঠাস করে ওর গালে এক চড় বসিয়ে দিয়ে বললাম,”যা ভাগ! আর যদি আমার কাছে এসেছিস! অসভ্য বেয়াদব ছেলে!”
ধ্রুব হতভম্ভ! চড় খেয়ে ওয়াসিফ নিজের স্বরযন্ত্রে সর্বোচ্চ জোর প্রয়োগ করে আকাশপাতাল কাঁপিয়ে চিৎকার শুরু করলো। ধ্রুব দ্রত এগিয়ে এলো। হাত বাড়িয়ে ওকে কোলে টেনে নিয়ে বললো,”আসো মামা!” ওয়াসিফের কান্না তখনো থামে নি!

ধ্রুব আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে ওয়াসিফকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। আমি নিজেও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম! আজকের এত আনন্দের একটা দিন! আমি কি করলাম! ছোট বাচ্চাটার সাথে অযথা খারাপ ব্যবহার করেছি!
লজ্জায়, অনুশোচনায় দুহাতে মুখ ঢেকে ঝরঝর করে কেঁদে ফেললাম। সুমাইয়ারা আমাকে ডাকতে এসে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলো! শুরু হলো একেরপর এক প্রশ্ন! আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলাম! ব্যাকুল হয়ে সুমাইয়াকে বললাম,”ওয়াসিফকে একটু আমার কাছে এনে দিতে পারবে? এক্ষুনি!”

সুমাইয়া ওয়াসিফের খোঁজে বেরিয়ে গেলো। পাঁচমিনিট পর ফিরে এসে বললো,”ওয়াসিফ ধ্রুব ভাইয়ার কাছে, আসতে চাইছে না।”

আমি মুখ ভার করে বসে রইলাম। ছাদে যেতে মন চাইছে না। মিনিটখানেক বাদে ওয়াসিফকে কোলে নিয়ে ধ্রুব ভেতরে ঢুকলো। ওয়াসিফ ওর গলা জড়িয়ে ধরে আমার দিকে চেয়ে আছে। আমি হাত বাড়াতেই মুখ ফিরিয়ে নিলো। ড্রেসিংটেবিলের ড্রয়ার থেকে চকলেট বের করে ওর দিকে বাড়িয়ে দিলাম। চকলেট নিলো কিন্তু কোলে আসতে রাজি হলো না। আমি ওর গালে চুমু খেয়ে বললাম,”খালামনি খুব পঁচা তাই না ওয়াসিফ?”

ধ্রুব আড়চোখে আমার দিকে চেয়ে আছে। আমি কিছু বললাম না। ও ওয়াসিফকে কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে বললো,”তুমি একটু বাইরে যাও তো ওয়াসিফ, মামা আসছি।”

সীমা, সুমাইয়া ওরাও বেরিয়ে গেলো। এতক্ষনে ওদেরও বোঝা হয়ে গেছে কিছু একটা নিশ্চই ঘটেছে। ধ্রুব দরজা বন্ধ করে এসে দাঁড়ালো। আমি চোখ নামিয়ে ফেললাম। ও অন্যদিকে মুখ করে তাকিয়ে থেকে বললো,”বলো, তোমার কি কি কমপ্লেইন আছে আমার সম্পর্কে!”

আমি জবাব দিলাম না। মাথা নিচু করে বসে রইলাম। ওয়াসিফের সাথে খারাপ ব্যবহার করার পর থেকে লজ্জায় অনুশোচনায় মরে যাচ্ছি। আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলার মত কিছু আমার কাছে নেই। আমি জানি ধ্রুবর কাছে আমি অনেক ছোট হয়ে গেছি! ও নিশ্চই আমাকে খুব খারাপ এবং নিচু মনের মেয়ে ভাবছে। চাপা কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিলো! ধ্রুবর শান্ত দৃষ্টি নিজের সম্মান হারানোর ভয়ে আমার ভেতরটাকে তীব্রভাবে সংকুচিত করে দিচ্ছিলো। ধ্রুব ফের শীতল কন্ঠে প্রশ্ন করলো,”কি হলো কথা বলছো না কেন?”

মুখে দেওয়ার মত কোন জবাব খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু এইমুহূর্তে চুপ করে থাকা মানে ধ্রুবর রাগ আরো বেশি করে বাড়িয়ে দেওয়া। ওর রাগ বেড়ে যাওয়ার আশংকায় আর একসেকেন্ডও দেরী করলাম না! ওকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিলাম। কান্নার চোটে দুই মিনিটেই মেকাপের অবস্থা কাহিল! ধ্রুব বিভ্রান্ত হয়ে গেলো! অবাক হয়ে আমার দিকে চেয়ে থেকে বললো,”কান্না থামাও নিশাত! কেঁদে কেঁদে অলরেডি মেকাপের বারোটা বাজিয়ে ফেলেছো!”
আমি কিচ্ছু শুনলাম না। আমি জানি এসব ওর রাগের কথা! দুহাতে ওর কোমর জড়িয়ে ধরে অনবরত কাঁদতে কাঁদতে বললাম,” আমি খুব খারাপ তাই না? অনেক খারাপ আমি!”
ধ্রুব আমার কথার জবাবে সংক্ষেপে বললো,”না!”
আমি কান্নারত কন্ঠেই অনুযোগ করে বললাম,”তাহলে তুমি আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছো কেন?”
আমার চোখের পানিতে ধ্রুবর পাঞ্জাবির বুকের কাছে অনেকটাই ভিজে গেছে। বিরতিহীন কান্না দেখে ও শান্ত হলো। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে নরম গলায় বললো,”কেঁদো না!”
ধ্রুবর নরম গলা শুনে এতক্ষণে বুকের ওপর থেকে ভার কমলো। কান্নার বেগও কিছুটা কমলো।
ধ্রুবর কাছ থেকে কিঞ্চিৎ ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্কায় করুণ মুখে ওর দিকে চেয়ে রইলাম। ও হাসলো! দুহাতে আমাকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিলো। আমি শান্ত মেয়ের মত ওর মুখে মাথা রেখে চুপ ফুঁপিয়ে উঠলাম! ও আমার এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে দিতে দিতে বললো,”তুমি যেমনই হও না কেন আমি তোমাকে ভালোবাসি! ভীষণ ভালোবাসি। আমার লাইফে তুমি ছাড়া অন্য কাউকে আমি ভাবতেও পারি না।”
আমি আরো শক্ত করে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। ও আবারো হাসলো! জড়িয়ে ধরে বললো,”ভাবছি বিয়ের পর মাঝে মাঝে তোমার ওপর রেগে যাবো। এই বাহানায় জড়িয়ে তো ধরবে।” আমি লজ্জায় সরে আসতে চাইলাম ধ্রুব ছাড়লো না। বললো,”আমি কিছু জানি না, জড়িয়ে তুমি ধরেছিলে। এখন আমার হাত আটকে গেছে! ছাড়ানো যাচ্ছে না!

আমি ওর দুষ্টুমি বুঝতে পেরে মুচকি হেসে বললাম,”রোমান্স পরে করো, এখন বাইরে চলো সবাই অপেক্ষা করছে!”

—“যাবো। কিন্তু তার আগে তোমার সাথে একটা ডিল করে নিতে চাই!”

—“কি?”

—“বলছি! একমিনিট।”

আমি অধীর অপেক্ষায় ধ্রুবর মুখের দিকে চেয়ে রইলাম। ওর মুখে সেই পুরোনো দুষ্টু হাসি! গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,”ওকে বলছি তাহলে?”

—“বলো না!”

—“আমি ঠিক করেছি বিয়ের পর প্রতিদিন সকাল থেকে রাত সন্ধ্যা অব্দি অন্তত তিনটা করে চুমু খাওয়া আবশ্যক!”

আমি হতাশ হলেও প্রকাশ করলাম না। ভেবেছিলা। সিরিয়াস কিছু। কিন্তু না ও তো ধ্রুব! মিনিটে মিনিটে শয়তানি বুদ্ধি বের না করলে কি ওর চলে? ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলাম,”আর রাতে?”

—“রাতে?..রাতেরটা হিসেবের বাইরে থাক!”

আমি এবার শান্ত থাকার ভান করে বললাম,”ও আচ্ছা! ঠিক আছে। তারপর?”

—“তারপর ধরো, সপ্তাহে একদিন আমরা চুমু ডে পালন করবো। সেদিন সারাদিন আমরা কেবল চুমু খেয়ে থাকবো। ক্ষিদে লাগলে শুধু চুমু খাবো।”

এরপর চুপ করে থাকলে এসব বেহুদা কথা শোনার অপরাধে আমার কান হাতের জায়গায় চলে এসে আমার গালে সপাটে চড় বসিয়ে দিতো। আমি তড়িৎগতিতে বাধা দিয়ে বললাম,”জীবনেও না।”

—“কেন কি সমস্যা?”

আমি ঠোঁট চেপে রাগত মুখে বললাম,”কি সমস্যা তুমি জানো না?

—“রাগছো কেন? চুমু খেতে বলেছি তোমাকে, বিষ খেতে নয়! এত রাগ করার কিছু নেই!”

—“তবুও আমি পারবো না।”

—“কেন পারবে না কেন?”

—“তোমাকে আমি চিনি। তুমি পাঁচমিনিট পর পর এসে বলবে তোমার ক্ষিদে পেয়েছে। আমি তো জীবনেও এইসব ডিল মানবো না।”

ধ্রুব হো হো করে হেসে উঠতে গিয়ে চেপে গেলো। মুচকি হেসে বললো,”এমন বেরসিক কেন তুমি?”

আমি উত্তর দিলাম না। উত্তর দিলেই মুসিবত! ধ্রুব কোন না কোন যুক্তি দিয়ে আমাকে এসব আজগুবি শর্ত মানতে রাজি করিয়ে ফেলবে। অতএব ও যাই বলুক, আমি এইমুহূর্তে ডাম্ব!

ধ্রুব আমার চুপ থাকার মনোভাব বুঝতে পেরে দুষ্টু হেসে আমার কাছে এগিয়ে আসছিলো। আমি একলাফে দরজা খুলে ভোঁ দৌড় দিলাম। আমার অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে ধ্রুবর চোখে পানি চলে এসেছে! চেঁচিয়ে উঠে বললো,”নিশাত… চুমু!”
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here